ইশতিয়াক হাসান

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন
ইশতিয়াক হাসান

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এসব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। মজার ঘটনা হলো, বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির প্রত্যেকটির জনসংখ্যাই ২ কোটির বেশি। আর এই শীর্ষ ১০ শহরের তালিকায় নেই নিউইয়র্ক, লন্ডন কিংবা মস্কোর মতো বিখ্যাত শহরও। তাহলে জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কত? ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর সূত্রে এ তথ্যই দেব আজ।
টোকিও, জাপান
জনসংখ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শহর জাপানের রাজধানী টোকিও। বর্তমানে ৩ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের বাস সেখানে। যা নিউ ইয়র্ক সিটির জনসংখ্যার চার গুণের বেশি।
স্বাভাবিকভাবেই ঘনবসতির কারণে টোকিওর জনসাধারণকে কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। আবাসন ঘাটতি ব্যাপক। শুধুমাত্র নয় বর্গমিটারের ছোট অ্যাপার্টমেন্টগুলি তরুণদের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ তারা কাজের জন্য শহরের কেন্দ্রের কাছে থাকতে চায়।
শহর এবং আশপাশের রাস্তাগুলোয় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। যানবাহনে ফাঁকা জায়গা পাওয়া মুশকিল এবং যাতায়াত ব্যয়বহুল। তবে ভালো দিক হলো, প্রায় সব সময় এগুলো সময়সূচি মেনে চলে।
দিল্লি, ভারত
জনবহুল শহরের তালিকায় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি আছে দুইয়ে। শহরটির জনসংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪০০। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি এর অংশ।
দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো শহরটিতে আছে কুতুব মিনার, লালকেল্লাসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা। দিল্লির বেশ কিছু সমস্যাও আছে। অবকাঠামো পুরোনো, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এটি মানুষের যাতায়াত কিছুটা সহজ করেছে।
শিল্প কারখানার দূষণ প্রকট এ শহরে। তেমনি কথা আছে আবাসন নিয়েও। এটি অনুমান করা হয় যে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নিম্নমানের বাসস্থানে বাস করে।
সাংহাই, চীন
তালিকায় তিন নম্বরে আছে চীনের শহর সাংহাই। দুই কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস এ শহরে।
অথচ এক সময় সাংহাই ছিল ছোট্ট এক জেলে গ্রাম। কিন্তু ইয়াংজি নদীর দক্ষিণ মোহনায় অবস্থানের কারণে ধীরে ধীরে ফুলে-ফেঁপে উঠতে থাকে এটি। এখন জনসংখ্যান দিক থেকে চীনের বৃহত্তম শহর এটি।
নানজিং রোড শপিং ডিস্ট্রিক্ট এর অংশ। আধুনিক মল এবং ঐতিহ্যবাহী চীনা দোকান এবং খাবারের রেস্তোরাঁর মিশ্রণ বলা চলে একে। ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার রাস্তার দুপাশের জায়গাটিতে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে প্রতিদিন দশ লাখ মানুষ কেনাকাটা করে।
ঢাকা, বাংলাদেশ
জনবহুল শহরের তালিকায় চারে বাংলাদেশের রাজধানী তথা আমাদের প্রিয় শহর ঢাকা। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ জানাচ্ছে, ঢাকার বর্তমান জনসংখ্যা দুই কোটি ৩৯ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
ঢাকা শহর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন মানুষ ঠাঁই নিচ্ছেন এখানে। মহানগর জুড়ে মানুষের প্রয়োজন মেটাতে উঠছে সুবিশাল সব দালান। শহরের রাস্তাগুলোয় যানজট খুব সাধারণ চিত্র। অপরিকল্পিতভাবে খাল-নালা ভরাটের কারণে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর বড় সমস্যা।
ঐতিহাসিক শহরটি বাঙালির বড় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বছর জুড়েই নানান উৎসব চলতে থাকে শহরজুড়ে। দেশের নানা প্রান্তের মানুষ এখানে এসে আস্তানা গাড়ায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও চোখে পড়ার মতো। লালবাগের কেল্লা, আহসান মঞ্জিলসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনার দেখা মেলে এখানে।
সাও পাওলো, ব্রাজিল
সেরা দশে থাকা দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র শহর ব্রাজিলের সাও পাওলো। বিশ্বের পঞ্চম এই জনবহুল শহরটিতে দুই কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
সাও পাওলো বিশাল বৈপরীত্যের একটি শহর। এখানে চরম দারিদ্র্য ও বিপুল বিত্তের অবস্থান পাশাপাশি। বস্তির ভগ্ন ঘরগুলোর ওপর পড়ে আকাশচুম্বী ভবনগুলির ছায়া।
সাও পাওলোর এই বিপুল জনসংখ্যার সঙ্গে পুরোপুরি তাল মেলাতে পারেনি শহরের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। শহরে পানীয় জলের প্রাকৃতিক উৎস সীমিত। তবে এখানে অপরাধ হ্রাস পাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বায়ুর গুণমানের উন্নতি হচ্ছে। যা একে ক্রমেই বসবাসের জন্য একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করছে।
কায়রো, মিসর
তালিকায় থাকা আফ্রিকা মহাদেশের একমাত্র শহর কায়রো। মিসরের রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৬ লাখ ২৩ হাজার ৯০০।
ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অনেক স্থাপত্যকীর্তির জন্য কায়রোর আলাদা নাম আছে। তবে একে মানুষ সবচেয়ে বেশি চেনে গিজার পিরামিডের জন্য। এ ছাড়াও মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি বাস করেন কায়রোতে।
শহরটিকে আরও বাসোপযোগী করার জন্য দুটি মনোরেল ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এটি হলে যানজট সমস্যা সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘন ঘন ধুলো ঝড় এবং মরুভূমির জলবায়ু শহরটিতে থাকার জন্য প্রতিবন্ধকতা বলে মনে হতে পারে। তবে সত্যি কথা হলো এ সমস্যা শহরটিতে বিপুল মানুষের বসবাস বা পর্যটক আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মোটেই।
মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
জনবহুল শহরের এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডার কোনো শহর না থাকলে আছে উত্তর আমেরিকার শহর মেক্সিকো সিটি। তালিকায় সাতে থাকা মেক্সিকোর রাজধানী শহরটির জনসংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৫ হাজারের কিছু বেশি।
সাগর সমতল থেকে দুই হাজার ২৪০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মেক্সিকো সিটি উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ মিলিয়ে সবচেয়ে প্রাচীন রাজধানী।
১৯০০ সালের দিকে শহরের জনসংখ্যা ছিল কেবল পাঁচ লাখ। তবে গ্রামাঞ্চল থেকে বিপুল মানুষের আগমনে ১৯৭০-র দশকে সংখ্যাটি গিয়ে লেখে ৯০ লাখে। ধীরে ধীরে শহরটির জনসংখ্যা আরও বেড়েছে।
এদিকে বিপুল এই জনসংখ্যার তুলনায় বাসস্থানের অভাবের কারণে প্রচুর সংখ্যক লোক শহরের চারপাশে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
তবে মেক্সিকো সিটি এখন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র। প্রচুর ভিনদেশি পর্যটকের আগমন হয় এখানে। শহরটি জাদুঘর এবং রেস্তোরাঁয় পরিপূর্ণ।
বেইজিং, চীন
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন শহর ও চীনের রাজধানী বেইজিং। জনবহুল শহরের তালিকায় আটে থাকা বেইজিংয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৮৯ হাজার মানুষের বেশি। এটি একটি বড় বাণিজ্যকেন্দ্রও। যা গত ৫০ বছরে বিপুল জনসংখ্যা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে। শহরের বিত্তবান মানুষেরও অভাব নেই। বেশ ভালো সংখ্যক বিলিয়নিয়ারের বাস শহরটিতে।
শিল্প দূষণ, ঘন ঘন বালির ঝড় এবং গাড়ির কারণে সৃষ্ট দূষণে বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এটি এড়াতে অনেক সময়ই বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় শহরের বাসিন্দাদের।
মুম্বাই, ভারত
মুম্বাই তার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য গোটা বিশ্বে পরিচিত। ভারতের এ শহরটি কিন্তু বিশ্বের নবম জনবহুল শহরও। জনসংখ্যা দুই কোটি ১৬ লাখ ৭৩ হাজারের মতো।
ঐতিহাসিক শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পের জন্যও পরিচিত। মুম্বাইকে ভারতের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে। ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলি মুম্বাইতে অবস্থিত। এ কারণে গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ এখানে এসে বসবাস করছেন।
দুর্বল স্যানিটেশন এবং নিম্নমানের আবাসন প্রধান সমস্যা। মুম্বাইতে বিশ্বের কিছু ব্যস্ততম রাস্তাও রয়েছে।
ওসাকা, জাপান
জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা ওসাকাই একমাত্র শহর যার জনসংখ্যা দুই কোটির কম। জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস।
বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদরদপ্তর অবস্থিত।
ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। তারপরও যানজট একটি বিশাল সমস্যা। ভালো আবাসন পাওয়া কঠিন, এমনকি আপনার কাছে প্রচুর নগদ অর্থ থাকলেও।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
১৪ মিনিট আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
২৯ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
২৯ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
১৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় ভুলভাবে আটক হওয়া, আটক অবস্থায় নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ, স্থানীয় আইনের স্বেচ্ছাচারী প্রয়োগ, অপরাধ, নাগরিক অস্থিরতা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তাই দেশটিতে ভ্রমণ এবং সেখানে অবস্থান না করতে মার্কিন নাগরিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও আইনগত স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশ ছাড়তে জোরালো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সতর্কবার্তা এল এমন এক সময়, যার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রাণঘাতী হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকা লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত হয়েছে বলে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়।
সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী এই নৌযানটি একটি ‘সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত সংগঠনের’ সঙ্গে যুক্ত। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, নৌকাটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরপথে অবৈধ মাদক পরিবহন করছিল। এক্সে দেওয়া পোস্টে সাউদার্ন কমান্ড জানায়, নৌকায় থাকা চার পুরুষ ‘মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বহু ইঞ্জিনবিশিষ্ট দ্রুতগতির নৌকাটি আচমকা একটি প্রবল বিস্ফোরণে আঘাত পেয়ে আগুনে ঘিরে যায়।
ঘটনাটি এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত মাদকবিরোধী সামরিক অভিযানের অংশ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অভিযান নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে। কারণ, এতে নিহতের সংখ্যা এখন ৮৫-এর বেশি ছাড়িয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনার জেরে একযোগে ছয়টি বড় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনের অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি বাতিল করেছে ভেনেজুয়েলা। এর আগে মার্কিন সতর্কবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলার কারাকাসগামী ফ্লাইটগুলো স্থগিত করেছিল এই এয়ারলাইনগুলো। পরে ভেনেজুয়েলা তাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ২৭ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়া এয়ারলাইনগুলো হলো—আইবেরিয়া, টিএপি পর্তুগাল, গোল, লাতাম, অ্যাভিয়াঙ্কা এবং টার্কিশ এয়ারলাইনস। ভেনেজুয়েলার এই সিদ্ধান্তে হাজারো যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। তবে কিছু ছোট ছোট এয়ারলাইন এখনো দেশটিতে যাতায়াত করছে।
সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ঘিরে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় এলাকায় ১৫ হাজার সেনা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, এই অভিযান মাদকবিরোধী তৎপরতার অংশ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকবিরোধী অভিযানে এত বড় সামরিক উপস্থিতি সাধারণত দেখা যায় না।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় ভুলভাবে আটক হওয়া, আটক অবস্থায় নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ, স্থানীয় আইনের স্বেচ্ছাচারী প্রয়োগ, অপরাধ, নাগরিক অস্থিরতা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তাই দেশটিতে ভ্রমণ এবং সেখানে অবস্থান না করতে মার্কিন নাগরিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও আইনগত স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশ ছাড়তে জোরালো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সতর্কবার্তা এল এমন এক সময়, যার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রাণঘাতী হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকা লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত হয়েছে বলে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়।
সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী এই নৌযানটি একটি ‘সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত সংগঠনের’ সঙ্গে যুক্ত। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, নৌকাটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরপথে অবৈধ মাদক পরিবহন করছিল। এক্সে দেওয়া পোস্টে সাউদার্ন কমান্ড জানায়, নৌকায় থাকা চার পুরুষ ‘মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বহু ইঞ্জিনবিশিষ্ট দ্রুতগতির নৌকাটি আচমকা একটি প্রবল বিস্ফোরণে আঘাত পেয়ে আগুনে ঘিরে যায়।
ঘটনাটি এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত মাদকবিরোধী সামরিক অভিযানের অংশ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অভিযান নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে। কারণ, এতে নিহতের সংখ্যা এখন ৮৫-এর বেশি ছাড়িয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনার জেরে একযোগে ছয়টি বড় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনের অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি বাতিল করেছে ভেনেজুয়েলা। এর আগে মার্কিন সতর্কবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলার কারাকাসগামী ফ্লাইটগুলো স্থগিত করেছিল এই এয়ারলাইনগুলো। পরে ভেনেজুয়েলা তাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ২৭ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়া এয়ারলাইনগুলো হলো—আইবেরিয়া, টিএপি পর্তুগাল, গোল, লাতাম, অ্যাভিয়াঙ্কা এবং টার্কিশ এয়ারলাইনস। ভেনেজুয়েলার এই সিদ্ধান্তে হাজারো যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। তবে কিছু ছোট ছোট এয়ারলাইন এখনো দেশটিতে যাতায়াত করছে।
সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ঘিরে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় এলাকায় ১৫ হাজার সেনা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, এই অভিযান মাদকবিরোধী তৎপরতার অংশ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকবিরোধী অভিযানে এত বড় সামরিক উপস্থিতি সাধারণত দেখা যায় না।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
১৪ মিনিট আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
২৯ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৮০০ কোটির বেশি। এ সব মানুষ ছড়িয়ে আছেন লাখো শহরে। এগুলোর কোনো কোনোটির জনসংখ্যা একেবারে কম, কোনোটিতে আবার মানুষের ভিড়ে টিকা দায়। মজার ঘটনা বিশ্বের জনবহুল শহরের দশটির নয়টির জনসংখ্যাই দুই কোটির বেশি। জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম শহর কোনগুলো? এতে ঢাকার অবস্থানই বা কততে? ওয়ার্ল্ড
১৪ অক্টোবর ২০২৪
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
১৪ মিনিট আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
২৯ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে