আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে হানাদার ইসরায়েল অঞ্চলটিতে ১ লাখ টনেরও বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে, যার বড় একটি অংশই এখনো অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে। এ ছাড়া, এই সময়ে দখলদার বাহিনী ১২ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এদিকে, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ ১১ হাজারের বেশি মানুষসহ সব মিলিয়ে ৬২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
লন্ডন থেকে পরিচালিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে ১৯ মাস আগে অভিযান শুরুর পর ইসরায়েল ১ লাখ টন বিস্ফোরক ফেলেছে। এতে ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী ১২ হাজারেরও বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া যুদ্ধের মূল পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, যাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা অজানা।
ইসরায়েল ১২ হাজারেরও বেশি গণহত্যা চালিয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৯২৬টি গণহত্যা চালানো হয়েছে ফিলিস্তিনি পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে। এতে ২ হাজার ২০০টি পরিবার সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এবং ৬ হাজার ৩৫০ জনের নাম সিভিল রেজিস্ট্রি থেকে মুছে গেছে।
অভিযানে গাজার কবরস্থানগুলোও টার্গেট করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার কবর থেকে ২ হাজার ৩০০টি মরদেহ চুরি করেছে এবং হাসপাতালগুলোর ভেতরে সাতটি গণকবর তৈরি করেছে। এ পর্যন্ত ৫২৯টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতের ভয়াবহতা তুলে ধরে গাজার জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং গাজার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার কারণে ২১ লাখের বেশি মানুষ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭১ হাজার ৩৩৮ জন হেপাটাইটিসে ভুগছে।
ধর্মীয় ও মানবিক পরিকাঠামোও ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে ৮২৮টি মসজিদ এবং আংশিকভাবে ১৬৭টি মসজিদ ধ্বংস করেছে। ৩টি গির্জাকেও টার্গেট করা হয়েছে এবং ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে ১৯টি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
ক্ষুধার্ত রাখার নীতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ৬৬টি ত্রাণকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি ফুড চ্যারিটি কিচেন এবং ৩৭টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ছিল। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত ক্রসিংগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৩৭ হাজার ৪০০টি ত্রাণ ও জ্বালানিভর্তি ট্রাক প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইসরায়েল গাজায় তার যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগেরও সম্মুখীন।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে হানাদার ইসরায়েল অঞ্চলটিতে ১ লাখ টনেরও বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে, যার বড় একটি অংশই এখনো অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে। এ ছাড়া, এই সময়ে দখলদার বাহিনী ১২ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এদিকে, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ ১১ হাজারের বেশি মানুষসহ সব মিলিয়ে ৬২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
লন্ডন থেকে পরিচালিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গাজা ভূখণ্ডে ১৯ মাস আগে অভিযান শুরুর পর ইসরায়েল ১ লাখ টন বিস্ফোরক ফেলেছে। এতে ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী ১২ হাজারেরও বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার গাজার সরকারি জনসংযোগ বিভাগ এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া যুদ্ধের মূল পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণে ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, যাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা অজানা।
ইসরায়েল ১২ হাজারেরও বেশি গণহত্যা চালিয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৯২৬টি গণহত্যা চালানো হয়েছে ফিলিস্তিনি পরিবারের সদস্যদের লক্ষ্য করে। এতে ২ হাজার ২০০টি পরিবার সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে এবং ৬ হাজার ৩৫০ জনের নাম সিভিল রেজিস্ট্রি থেকে মুছে গেছে।
অভিযানে গাজার কবরস্থানগুলোও টার্গেট করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার কবর থেকে ২ হাজার ৩০০টি মরদেহ চুরি করেছে এবং হাসপাতালগুলোর ভেতরে সাতটি গণকবর তৈরি করেছে। এ পর্যন্ত ৫২৯টি মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতের ভয়াবহতা তুলে ধরে গাজার জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং গাজার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার কারণে ২১ লাখের বেশি মানুষ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭১ হাজার ৩৩৮ জন হেপাটাইটিসে ভুগছে।
ধর্মীয় ও মানবিক পরিকাঠামোও ধ্বংস করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে ৮২৮টি মসজিদ এবং আংশিকভাবে ১৬৭টি মসজিদ ধ্বংস করেছে। ৩টি গির্জাকেও টার্গেট করা হয়েছে এবং ৬০টি কবরস্থানের মধ্যে ১৯টি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।
ক্ষুধার্ত রাখার নীতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ৬৬টি ত্রাণকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি ফুড চ্যারিটি কিচেন এবং ৩৭টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র ছিল। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত ক্রসিংগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ৩৭ হাজার ৪০০টি ত্রাণ ও জ্বালানিভর্তি ট্রাক প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইসরায়েল গাজায় তার যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগেরও সম্মুখীন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের দুই পুত্র দেশে ফিরতে চান। এরই মধ্যে তাঁরা ভিসার আবেদন করেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন পিটিআই ঘনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাবর আওয়ান।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহান্তে ফ্লোরিডায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীদের সম্মতিতে তৈরি হওয়া ২০ দফার এই পরিকল্পনার বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকানরা রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলার পর তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এই পরিকল্পনাকে ‘যুদ্ধ শেষ করার মূল রূপরেখা’ হিসেবে বর্ণনা করে জেলেনস্কি জানান, এতে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যাতে রাশিয়া পুনরায় ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে জেলেনস্কি বলেন, একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গঠন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হতে পারে। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহারের বিপক্ষে থাকায় মার্কিন মধ্যস্থতাকারীরা একটি অসামরিক অঞ্চল অথবা মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘এখানে দুটি পথ খোলা আছে—হয় যুদ্ধ চলবে, নতুবা সম্ভাব্য সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিষয়ে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ এই ২০ দফার পরিকল্পনাটিকে কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সঙ্গে করা ২৮ দফার মূল দলিলের একটি হালনাগাদ সংস্করণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের সেই দলিলটি মূলত ক্রেমলিনের দাবি পূরণের লক্ষ্যেই তৈরি বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়েছিল।
শান্তি চুক্তির বিনিময়ে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা থেকে ইউক্রেনকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। ওই অঞ্চলের বাকি অংশ ইতিমধ্যে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। জেলেনস্কি ব্যাখ্যা করেন, ভূখণ্ড বিষয়ক স্পর্শকাতর প্রশ্নসহ অন্যান্য জটিল বিষয়গুলো ‘নেতৃপর্যায়ে’ সমাধান করতে হবে। তবে এই নতুন খসড়া ইউক্রেনকে শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং ৮ লাখ সৈন্যের এক বিশাল সামরিক শক্তি নিশ্চিত করবে।
হালনাগাদ করা এই পরিকল্পনার অনেকটাই বার্লিনে সাম্প্রতিক আলোচনার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে মার্কিন মধ্যস্থতাকারী উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় নেতারা অংশ নিয়েছিলেন। এরপর গত সপ্তাহান্তে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সরে যায় মিয়ামিতে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রুশ দূত কিরিল দিমিত্রিয়েভ এবং পরে ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।
ভূখণ্ড বিষয়ক ইস্যুতে এখন অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও এটা স্পষ্ট যে ইউক্রেনীয় পক্ষ এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। ইউক্রেন যদি দোনেৎস্কের অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ এলাকায় একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ গড়ে তুলতে তাদের ভারী সামরিক সরঞ্জাম ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার পিছিয়ে নিতে রাজি হয়—যাতে এলাকাটি কার্যত অসামরিক হয়ে পড়ে—তবে জেলেনস্কির মতে, রাশিয়াকেও ‘অনুরূপভাবে ৫, ১০ বা ৪০ কিলোমিটার’ পিছু হটতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশেও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং নিপ্রোপেত্রভস্ক, মাইকোলাইভ, সুমি ও খারকিভ—এই চারটি অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে হানাদার ইসরায়েল অঞ্চলটিতে ১ লাখ টনেরও বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে। যার বড় একটি অংশই এখনো অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে। এ ছাড়া, এই সময়ে দখলদার বাহিনী ১২ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এদিকে, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ ১১ হাজারের বেশি মানুষসহ
০৯ মে ২০২৫
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের দুই পুত্র দেশে ফিরতে চান। এরই মধ্যে তাঁরা ভিসার আবেদন করেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন পিটিআই ঘনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাবর আওয়ান।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শেখ ফয়সাল নোমান ২০০১ সালে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁকে ফজর নামাজের পরপরই মদিনার আল-বাকি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আল-বাকি কবরস্থান জান্নাতুল বাকি নামেও পরিচিত। এটি মদিনার সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি গোরস্তান। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, স্ত্রী ও সাহাবিদেরসহ হাজার হাজার প্রারম্ভিক যুগের মুসলিমদের শেষ আশ্রয়স্থল এটি।
শেখ ফয়সালের মৃত্যুর পর মসজিদে নববি কর্তৃপক্ষ তাঁর দেওয়া শেষ আজানের একটি আবেগঘন ভিডিও শেয়ার করেছে। গত ২ নভেম্বর তিনি এই শেষ আজানটি দিয়েছিলেন।
আজানের সুর যেন শেখ ফয়সালের রক্তে মিশে ছিল। তাঁর পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই মহান সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা ও দাদা—উভয়েই এই পবিত্র মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দাদা যেমন মুয়াজ্জিন ছিলেন, তেমনি তাঁর বাবাও মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ৯০ বছরের বেশি বয়সে মৃত্যুর আগপর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাঁর বাবা এই খেদমত করে গেছেন। বাবার ইন্তেকালের পরই শেখ ফয়সাল নোমানকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
দুই পবিত্র মসজিদের ধর্মীয় বিষয়াবলিসংক্রান্ত প্রেসিডেন্সির প্রধান শেখ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস তাঁর নিজের এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও কর্মীদের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শেখ সুদাইস মরহুম মুয়াজ্জিনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন যে, আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন এবং মসজিদে নববিতে দীর্ঘকাল আজান দেওয়ার জন্য তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। একই সঙ্গে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের ধৈর্য ধারণের শক্তি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি এবং কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ আল আল-শেখ ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এক রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে শেখ ড. সালেহ বিন ফাওজান বিন আবদুল্লাহ আল-ফাওজানকে নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত করেন।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে হানাদার ইসরায়েল অঞ্চলটিতে ১ লাখ টনেরও বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে। যার বড় একটি অংশই এখনো অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে। এ ছাড়া, এই সময়ে দখলদার বাহিনী ১২ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এদিকে, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ ১১ হাজারের বেশি মানুষসহ
০৯ মে ২০২৫
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের দুই পুত্র দেশে ফিরতে চান। এরই মধ্যে তাঁরা ভিসার আবেদন করেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন পিটিআই ঘনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাবর আওয়ান।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ১০০ পৃষ্ঠার সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা চীনের টুটি চেপে ধরতে, আধিপত্য বিস্তার করতে কিংবা হেয় করতে চাই না...আমরা শুধু চাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কোনো দেশ যেন আমাদের বা আমাদের মিত্রদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে।’
এতে আরও যোগ করা হয়, ‘চীনের ঐতিহাসিক সমরসজ্জা বা সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে মার্কিন ভূখণ্ড আগের চেয়ে বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্রভান্ডার, নৌ-শক্তি, প্রথাগত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাইবার এবং মহাকাশ গবেষণার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব সরাসরি আমেরিকানদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এই প্রতিবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আমেরিকার লক্ষ্য হলো—নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করে তোলা যাতে শত্রুপক্ষ আগ্রাসনের কথা চিন্তাও না করে, ‘এবং এর ফলে শান্তি পছন্দনীয় ও সংরক্ষিত থাকে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বারবার উচ্চারিত একটি বিষয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওয়াশিংটনের বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে আমেরিকা ও চীনের সামরিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরের মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক বহু বছরের তুলনায় এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’ পেন্টাগন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে এই গতি বজায় রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কৌশলগত স্থিতিশীলতা, বিবাদ নিরসন এবং উত্তেজনা প্রশমনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা পিএলএ-এর সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে এটি সম্পন্ন করব। আমাদের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য পরিষ্কার করার জন্য আমরা অন্যান্য পথও খুঁজব।’
প্রতিবেদনটিতে চীনের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতাকে উদ্বেগের কারণ এবং সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের প্রধান সামরিক কৌশল হলো ‘জাতীয় সর্বাত্মক যুদ্ধ’ বা সমগ্র জাতির সংহতি অভিযানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরাস্ত করা।
‘পিপলস রিপাবলিক অব চায়না সংশ্লিষ্ট সামরিক ও নিরাপত্তা উন্নয়ন’—শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনী ২০২৭ সালের তিনটি লক্ষ্য অর্জনে স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যগুলো হলো—তাইওয়ানের ওপর ‘কৌশলগত চূড়ান্ত বিজয়’ অর্জনে সক্ষম হওয়া; পরমাণু এবং অন্যান্য কৌশলগত ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত ভারসাম্য’ তৈরি করা এবং অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করা।
বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও পুনরায় একীভূত করতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে ওয়াশিংটন এই স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে শক্তি প্রয়োগ করে দখল করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধী এবং তারা তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বার্ষিক প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা গেছে, বেইজিং এবং মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে—সম্ভবত ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলার অভিন্ন স্বার্থে।’ তবে এতে এও বলা হয়েছে যে, তাদের পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে এই সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএস) প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর এল। সেই কৌশলটিও শুক্রবার অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে চীনের চেয়ে অভ্যন্তরীণ ইস্যু এবং প্রশাসনের ভাষায় ‘মনরো ডকট্রিনের ট্রাম্প অনুসিদ্ধান্ত’—যা পশ্চিম গোলার্ধের কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দেয়—সেদিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, মঙ্গলবারের প্রতিবেদনটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এতে কোনো সূচিপত্র নেই এবং কিছু অংশ সেকেলে বা পুরোনো মনে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ‘খুবই সামান্য উচ্চপর্যায়ের বিনিময়সহ’ শীতল সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, অথচ গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে চীনের বিশাল সামরিক প্যারেডে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তা সত্ত্বেও, বিশ্লেষকদের মতে এই প্রতিবেদনটি পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউস দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে দেখছে, তার একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ইউরেশিয়া গ্রুপের সিনিয়র অ্যানালিস্ট জেরেমি চ্যান বলেন, ‘প্রতিবেদনের সুরটি চীনের প্রতি বিশেষভাবে গঠনমূলক, যেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জোর দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এই দাবিটি প্রশ্নবিদ্ধ, তবে এটি ট্রাম্পের চীন নীতি এবং গত অক্টোবরে বুসানে হওয়া সমঝোতা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো বিষয়ে বেইজিংকে চাপ দিতে তাঁর অনীহার সংকেত দেয়।’
শেনিয়াংয়ের মার্কিন কনস্যুলেটের সাবেক কর্মকর্তা চ্যান মনে করেন, প্রতিবেদনটি চীনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অগ্রগতির বিষয়টি স্বীকার করলেও খুব দূরের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। তিনি বলেন, ‘চীনের সামরিক শক্তি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। চীনের এই ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতার স্বীকৃতি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।’

ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ১০০ পৃষ্ঠার সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমরা চীনের টুটি চেপে ধরতে, আধিপত্য বিস্তার করতে কিংবা হেয় করতে চাই না...আমরা শুধু চাই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কোনো দেশ যেন আমাদের বা আমাদের মিত্রদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে।’
এতে আরও যোগ করা হয়, ‘চীনের ঐতিহাসিক সমরসজ্জা বা সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে মার্কিন ভূখণ্ড আগের চেয়ে বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।’ বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান পরমাণু অস্ত্রভান্ডার, নৌ-শক্তি, প্রথাগত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাইবার এবং মহাকাশ গবেষণার সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব সরাসরি আমেরিকানদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এই প্রতিবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আমেরিকার লক্ষ্য হলো—নিজেদের এতটাই শক্তিশালী করে তোলা যাতে শত্রুপক্ষ আগ্রাসনের কথা চিন্তাও না করে, ‘এবং এর ফলে শান্তি পছন্দনীয় ও সংরক্ষিত থাকে।’
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বারবার উচ্চারিত একটি বিষয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওয়াশিংটনের বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে আমেরিকা ও চীনের সামরিক সম্পর্ক গত কয়েক বছরের মধ্যে সেরা অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক বহু বছরের তুলনায় এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’ পেন্টাগন পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে এই গতি বজায় রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কৌশলগত স্থিতিশীলতা, বিবাদ নিরসন এবং উত্তেজনা প্রশমনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা পিএলএ-এর সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে এটি সম্পন্ন করব। আমাদের শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য পরিষ্কার করার জন্য আমরা অন্যান্য পথও খুঁজব।’
প্রতিবেদনটিতে চীনের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতাকে উদ্বেগের কারণ এবং সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের প্রধান সামরিক কৌশল হলো ‘জাতীয় সর্বাত্মক যুদ্ধ’ বা সমগ্র জাতির সংহতি অভিযানের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরাস্ত করা।
‘পিপলস রিপাবলিক অব চায়না সংশ্লিষ্ট সামরিক ও নিরাপত্তা উন্নয়ন’—শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামরিক বাহিনী ২০২৭ সালের তিনটি লক্ষ্য অর্জনে স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যগুলো হলো—তাইওয়ানের ওপর ‘কৌশলগত চূড়ান্ত বিজয়’ অর্জনে সক্ষম হওয়া; পরমাণু এবং অন্যান্য কৌশলগত ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত ভারসাম্য’ তৈরি করা এবং অঞ্চলের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে ‘কৌশলগত প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করা।
বেইজিং তাইওয়ানকে চীনের অংশ মনে করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও পুনরায় একীভূত করতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অধিকাংশ দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না, তবে ওয়াশিংটন এই স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটিকে শক্তি প্রয়োগ করে দখল করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধী এবং তারা তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বার্ষিক প্রতিবেদনে লক্ষ্য করা গেছে, বেইজিং এবং মস্কোর মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে—সম্ভবত ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলার অভিন্ন স্বার্থে।’ তবে এতে এও বলা হয়েছে যে, তাদের পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে এই সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএস) প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর এল। সেই কৌশলটিও শুক্রবার অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে চীনের চেয়ে অভ্যন্তরীণ ইস্যু এবং প্রশাসনের ভাষায় ‘মনরো ডকট্রিনের ট্রাম্প অনুসিদ্ধান্ত’—যা পশ্চিম গোলার্ধের কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দেয়—সেদিকে বেশি নজর দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, মঙ্গলবারের প্রতিবেদনটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এতে কোনো সূচিপত্র নেই এবং কিছু অংশ সেকেলে বা পুরোনো মনে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ‘খুবই সামান্য উচ্চপর্যায়ের বিনিময়সহ’ শীতল সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে, অথচ গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে চীনের বিশাল সামরিক প্যারেডে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়নি।
তা সত্ত্বেও, বিশ্লেষকদের মতে এই প্রতিবেদনটি পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউস দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে দেখছে, তার একটি অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ইউরেশিয়া গ্রুপের সিনিয়র অ্যানালিস্ট জেরেমি চ্যান বলেন, ‘প্রতিবেদনের সুরটি চীনের প্রতি বিশেষভাবে গঠনমূলক, যেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে জোর দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এই দাবিটি প্রশ্নবিদ্ধ, তবে এটি ট্রাম্পের চীন নীতি এবং গত অক্টোবরে বুসানে হওয়া সমঝোতা বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো বিষয়ে বেইজিংকে চাপ দিতে তাঁর অনীহার সংকেত দেয়।’
শেনিয়াংয়ের মার্কিন কনস্যুলেটের সাবেক কর্মকর্তা চ্যান মনে করেন, প্রতিবেদনটি চীনের সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অগ্রগতির বিষয়টি স্বীকার করলেও খুব দূরের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। তিনি বলেন, ‘চীনের সামরিক শক্তি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। চীনের এই ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতার স্বীকৃতি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতির ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।’

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে হানাদার ইসরায়েল অঞ্চলটিতে ১ লাখ টনেরও বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে। যার বড় একটি অংশই এখনো অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে। এ ছাড়া, এই সময়ে দখলদার বাহিনী ১২ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এদিকে, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ ১১ হাজারের বেশি মানুষসহ
০৯ মে ২০২৫
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের দুই পুত্র দেশে ফিরতে চান। এরই মধ্যে তাঁরা ভিসার আবেদন করেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন পিটিআই ঘনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাবর আওয়ান।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের দুই পুত্র দেশে ফিরতে চান। এরই মধ্যে তাঁরা ভিসার আবেদনও করেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন পিটিআই ঘনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাবর আওয়ান।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাবর আওয়ান জানিয়েছেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের ওপর যদি এমন ‘নিপীড়ন’ চলতেই থাকে, তবে তাঁর ছেলেরা দেশে ফিরে আসতে পারেন। তিনি আরও জানান, তাঁরা ফেরার জন্য ইতিমধ্যে ভিসার আবেদন করেছেন।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বাবর আওয়ান বলেন, ‘ছেলেদের নিয়ে একটা উদ্বেগ আছে যে, যদি তাঁদের (ইমরান খানের সঙ্গে) কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তাঁরা ফিরে আসতে পারেন। আমিও এই উদ্বেগের অংশীদার। যদি এই অবিচার চলতেই থাকে, তবে তাঁরা অবশ্যই ফিরে আসবেন।’
প্রবীণ এই আইনজীবী স্পষ্ট করে বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার ছেলেরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি উল্লেখ করেন, আইন অনুযায়ী সপ্তাহে অন্তত একবার তাঁদের বাবার সঙ্গে কথা বলতে দেওয়ার কথা, অথচ মাসের পর মাস কেটে গেলেও কোনো যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়ানডে ফরম্যাটে পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী দলের নেতৃত্ব দেওয়া ইমরান খানের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হবে না বলে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন আওয়ান। তিনি বলেন, এমন নির্দেশ দেওয়ার কোনো আইনি এখতিয়ার তাঁদের নেই। তাঁর ভাষ্যমতে, আইন অনুযায়ী এটি দুটি অপরাধ—কর্তৃত্বের অপব্যবহার ও সংবিধান লঙ্ঘন।
আওয়ান ব্যাখ্যা করেন, কেবল আদালত—যিনি একজন বন্দীকে জেলে পাঠান এবং জেল কর্তৃপক্ষেরই আইনগত অধিকার রয়েছে সাক্ষাৎ নিয়ন্ত্রণ বা অনুমতি দেওয়ার। আওয়ান বলেন, ‘অন্য কারও এই ক্ষমতা নেই। কোন অধিকারে এই মন্ত্রীরা সাক্ষাৎ বন্ধ করেছেন?’
নওয়াজ শরিফ ও শাহবাজ শরিফের কারাবন্দী সময়ের কথা উল্লেখ করে এ আইনজীবী বলেন, তাঁরা জেলের ভেতর বৈঠক করেছেন এবং ন্যাব (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো) হেফাজতে থাকাকালে একবারে ৫০ জন দর্শনার্থীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছেন। আওয়ান বলেন, একমাত্র ভয় কেবল পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের দুই পুত্র দেশে ফিরতে চান। এরই মধ্যে তাঁরা ভিসার আবেদনও করেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন পিটিআই ঘনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাবর আওয়ান।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাবর আওয়ান জানিয়েছেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের ওপর যদি এমন ‘নিপীড়ন’ চলতেই থাকে, তবে তাঁর ছেলেরা দেশে ফিরে আসতে পারেন। তিনি আরও জানান, তাঁরা ফেরার জন্য ইতিমধ্যে ভিসার আবেদন করেছেন।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বাবর আওয়ান বলেন, ‘ছেলেদের নিয়ে একটা উদ্বেগ আছে যে, যদি তাঁদের (ইমরান খানের সঙ্গে) কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তাঁরা ফিরে আসতে পারেন। আমিও এই উদ্বেগের অংশীদার। যদি এই অবিচার চলতেই থাকে, তবে তাঁরা অবশ্যই ফিরে আসবেন।’
প্রবীণ এই আইনজীবী স্পষ্ট করে বলেন, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার ছেলেরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি উল্লেখ করেন, আইন অনুযায়ী সপ্তাহে অন্তত একবার তাঁদের বাবার সঙ্গে কথা বলতে দেওয়ার কথা, অথচ মাসের পর মাস কেটে গেলেও কোনো যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ও ওয়ানডে ফরম্যাটে পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ী দলের নেতৃত্ব দেওয়া ইমরান খানের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হবে না বলে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন আওয়ান। তিনি বলেন, এমন নির্দেশ দেওয়ার কোনো আইনি এখতিয়ার তাঁদের নেই। তাঁর ভাষ্যমতে, আইন অনুযায়ী এটি দুটি অপরাধ—কর্তৃত্বের অপব্যবহার ও সংবিধান লঙ্ঘন।
আওয়ান ব্যাখ্যা করেন, কেবল আদালত—যিনি একজন বন্দীকে জেলে পাঠান এবং জেল কর্তৃপক্ষেরই আইনগত অধিকার রয়েছে সাক্ষাৎ নিয়ন্ত্রণ বা অনুমতি দেওয়ার। আওয়ান বলেন, ‘অন্য কারও এই ক্ষমতা নেই। কোন অধিকারে এই মন্ত্রীরা সাক্ষাৎ বন্ধ করেছেন?’
নওয়াজ শরিফ ও শাহবাজ শরিফের কারাবন্দী সময়ের কথা উল্লেখ করে এ আইনজীবী বলেন, তাঁরা জেলের ভেতর বৈঠক করেছেন এবং ন্যাব (ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো) হেফাজতে থাকাকালে একবারে ৫০ জন দর্শনার্থীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছেন। আওয়ান বলেন, একমাত্র ভয় কেবল পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ১৯ মাসের বেশি সময় ধরে। এই সময়ের মধ্যে হানাদার ইসরায়েল অঞ্চলটিতে ১ লাখ টনেরও বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে। যার বড় একটি অংশই এখনো অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে। এ ছাড়া, এই সময়ে দখলদার বাহিনী ১২ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এদিকে, অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিখোঁজ ১১ হাজারের বেশি মানুষসহ
০৯ মে ২০২৫
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, যেখানে মস্কোর দাবি অনুযায়ী পূর্ব ইউক্রেন থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই। দীর্ঘ ২৫ বছর এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের পর গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে কোনো জবরদস্তিমূলক কৌশল নিচ্ছে না, তবে বেইজিংয়ের ‘ঐতিহাসিক’ সমরসজ্জা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমেই অরক্ষিত করে তুলছে। চীনের সামরিক উন্নয়ন সংক্রান্ত কংগ্রেসের বার্ষিক প্রতিবেদনে পেন্টাগন এমনটাই জানিয়েছে। খবর হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
১ ঘণ্টা আগে