
ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি রপ্তানি ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে ইইউয়ের শীর্ষ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। তবে এসব জ্বালানির বড় অংশ রাশিয়া থেকে ছাড়ে কিনেছে ভারত। এরপর পরিশোধন করে চড়া দামে ইইউয়ে বিক্রি করেছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) মাসিক ট্র্যাকার রিপোর্টে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়াকে অর্থনৈতিক দিক থেকে ভঙ্গুর করে দিতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি৭ দেশগুলো রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর মূল্যসীমা ও আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
তবে রাশিয়ার অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রে কোনো স্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত দেশগুলো রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করেছে। এরপর পরিশোধন করে মূল্যসীমা আরোপকারী ইইউ জোটভুক্ত দেশেই রপ্তানি করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ভারত রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক। যুদ্ধের আগে ভারতের মোট আমদানি করা তেলের মধ্যে রুশ তেলের পরিমাণ এক শতাংশেরও কম ছিল। কিন্তু এখন তা প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। রাশিয়ার তেল ভারত কম দামে কিনে পরিশোধনের পর পূর্ণ দামে ইইউয়ে রপ্তানি করছে। ইউরোপীয় দেশগুলো মস্কো থেকে সরাসরি তেল আমদানি কমানোর ফলে এই চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পরিশোধনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভারত এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক। ভারতের জামনগর, বদিনার (গুজরাট) ও নিউ ম্যাঙ্গালোরে শোধনাগারে রুশ তেল পরিশোধন করা হয়। এসব শোধনাগার থেকে ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি ৫৮ শতাংশ তেল রপ্তানি বেড়েছে।
জামনগরের শোধনাগারটি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ও বদিনারের শোধনাগারটি রাশিয়ার রোসনেফট-সমর্থিত নাইয়ারা এনার্জির একটি ইউনিট। ম্যাঙ্গালোর শোধনাগার অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেড (এমআরপিএল) ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
সিআরইএ জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো এখনো ভারত থেকে তেল আমদানি করে চলেছে। এতে ভারত রাশিয়া থেকে আরও অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে ও রাশিয়ার বৈদেশিক আয় বাড়ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইউরোপ প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল ডিজেল ও জেট ফুয়েল আমদানি করত, যা এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
সিআরইএ আমদানির নির্দিষ্ট পরিমাণ না জানালেও ইউরোপের এই থিংক ট্যাংক আগের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ মাসে মূল্যসীমা আরোপকারী দেশগুলো অপরিশোধিত রুশ তেল থেকে তৈরিকৃত তেলজাত পণ্য আমদানিতে প্রায় ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো ব্যয় করেছে। যা ইইউয়ের ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ইউক্রেনকে সহায়তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অর্থের ৬৮ শতাংশের সমান।
ফিনল্যান্ডভিত্তিক থিংক ট্যাংক সিআরইএ আগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, তেলের মূল্যসীমা কার্যকর হওয়ার (ডিসেম্বর ২০২২) পর থেকে এই ১৩ মাসে ভারতের রপ্তানিকৃত তেলের এক-তৃতীয়াংশের বেশি রাশিয়ান অপরিশোধিত থেকে তৈরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৬ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার)।
রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ক্রয় ও এ থেকে তৈরি ডিজেলের মতো জ্বালানি রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে মূল্যসীমা আরোপকারী জোট নামে পরিচিত গ্রুপ অব সেভেন (জি৭), ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত রুশ তেলের মূল্যসীমা ৬০ ডলার নির্ধারণ করে। বাজার তেলের জোগান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মস্কোর বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমাতে এটি করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সিআরইএ জানিয়েছে, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল ভোক্তা ও আমদানিকারক ভারত অক্টোবর মাসে রাশিয়া থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন ইউরো মূল্যের অপরিশোধিত তেল কিনেছে। আগের মাসের যা ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো ছিল।
সিআরইএ আরও জানিয়েছে, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ৩৪ শতাংশ সমুদ্রপথে ট্যাংকারে সরবরাহ করা হয়েছে, যা মূল্যসীমা নীতির আওতায় ছিল। বাকি অংশ ‘শ্যাডো’ ট্যাংকার দিয়ে সরবরাহ করা হয়েছে, যা নিয়ম বহির্ভূত।
সিআরইএ আরও জানিয়েছে, অক্টোবরে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ৪৭ শতাংশ কিনেছে চীন, এরপর ভারত ৩৭ শতাংশ, ইইউ ৬ শতাংশ ও তুরস্ক ৬ শতাংশ।
অক্টোবরে রুশ জ্বালানি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ছিল ভারত। এতে শীর্ষ পাঁচ আমদানিকারকের মোট মাসিক রপ্তানি আয়ের ১৯ শতাংশ (২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরো) ভারতের থেকে পেয়েছে রাশিয়া। ভারতের আমদানির প্রায় ৭৭ শতাংশই (মূল্য প্রায় ২ বিলিয়ন ইউরো) ছিল অপরিশোধিত তেল। সেপ্টেম্বরে ভারত রাশিয়ার শীর্ষ পাঁচ আমদানিকারকের তালিকায় ২১ শতাংশ (২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরো) অবদান রেখেছিল। ভারতের আমদানির প্রায় ৮৫ শতাংশ (মূল্য ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো) ছিল অপরিশোধিত তেল।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার মোট কয়লা রপ্তানির ৪৬ শতাংশ কিনেছে চীন, তারপর ভারত ১৭ শতাংশ, তুরস্ক ১০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ১০ শতাংশ ও তাইওয়ান ৫ শতাংশ।
সিআরইএর মতে, রাশিয়ার মোট সমুদ্রপথে রপ্তানি করা তেলের ৮৩ শতাংশ শ্যাডো ট্যাংকারে পরিবহন করা হচ্ছে, যা পশ্চিমা নীতি অনুসরণ করতে বাধ্য নয়।

ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি রপ্তানি ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে ইইউয়ের শীর্ষ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। তবে এসব জ্বালানির বড় অংশ রাশিয়া থেকে ছাড়ে কিনেছে ভারত। এরপর পরিশোধন করে চড়া দামে ইইউয়ে বিক্রি করেছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) মাসিক ট্র্যাকার রিপোর্টে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়াকে অর্থনৈতিক দিক থেকে ভঙ্গুর করে দিতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি৭ দেশগুলো রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর মূল্যসীমা ও আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
তবে রাশিয়ার অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রে কোনো স্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত দেশগুলো রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করেছে। এরপর পরিশোধন করে মূল্যসীমা আরোপকারী ইইউ জোটভুক্ত দেশেই রপ্তানি করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ভারত রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক। যুদ্ধের আগে ভারতের মোট আমদানি করা তেলের মধ্যে রুশ তেলের পরিমাণ এক শতাংশেরও কম ছিল। কিন্তু এখন তা প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। রাশিয়ার তেল ভারত কম দামে কিনে পরিশোধনের পর পূর্ণ দামে ইইউয়ে রপ্তানি করছে। ইউরোপীয় দেশগুলো মস্কো থেকে সরাসরি তেল আমদানি কমানোর ফলে এই চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পরিশোধনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভারত এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক। ভারতের জামনগর, বদিনার (গুজরাট) ও নিউ ম্যাঙ্গালোরে শোধনাগারে রুশ তেল পরিশোধন করা হয়। এসব শোধনাগার থেকে ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি ৫৮ শতাংশ তেল রপ্তানি বেড়েছে।
জামনগরের শোধনাগারটি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ও বদিনারের শোধনাগারটি রাশিয়ার রোসনেফট-সমর্থিত নাইয়ারা এনার্জির একটি ইউনিট। ম্যাঙ্গালোর শোধনাগার অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেড (এমআরপিএল) ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
সিআরইএ জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো এখনো ভারত থেকে তেল আমদানি করে চলেছে। এতে ভারত রাশিয়া থেকে আরও অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে ও রাশিয়ার বৈদেশিক আয় বাড়ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইউরোপ প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল ডিজেল ও জেট ফুয়েল আমদানি করত, যা এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
সিআরইএ আমদানির নির্দিষ্ট পরিমাণ না জানালেও ইউরোপের এই থিংক ট্যাংক আগের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ মাসে মূল্যসীমা আরোপকারী দেশগুলো অপরিশোধিত রুশ তেল থেকে তৈরিকৃত তেলজাত পণ্য আমদানিতে প্রায় ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো ব্যয় করেছে। যা ইইউয়ের ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ইউক্রেনকে সহায়তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অর্থের ৬৮ শতাংশের সমান।
ফিনল্যান্ডভিত্তিক থিংক ট্যাংক সিআরইএ আগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, তেলের মূল্যসীমা কার্যকর হওয়ার (ডিসেম্বর ২০২২) পর থেকে এই ১৩ মাসে ভারতের রপ্তানিকৃত তেলের এক-তৃতীয়াংশের বেশি রাশিয়ান অপরিশোধিত থেকে তৈরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৬ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার)।
রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ক্রয় ও এ থেকে তৈরি ডিজেলের মতো জ্বালানি রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে মূল্যসীমা আরোপকারী জোট নামে পরিচিত গ্রুপ অব সেভেন (জি৭), ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত রুশ তেলের মূল্যসীমা ৬০ ডলার নির্ধারণ করে। বাজার তেলের জোগান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মস্কোর বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমাতে এটি করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সিআরইএ জানিয়েছে, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল ভোক্তা ও আমদানিকারক ভারত অক্টোবর মাসে রাশিয়া থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন ইউরো মূল্যের অপরিশোধিত তেল কিনেছে। আগের মাসের যা ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো ছিল।
সিআরইএ আরও জানিয়েছে, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ৩৪ শতাংশ সমুদ্রপথে ট্যাংকারে সরবরাহ করা হয়েছে, যা মূল্যসীমা নীতির আওতায় ছিল। বাকি অংশ ‘শ্যাডো’ ট্যাংকার দিয়ে সরবরাহ করা হয়েছে, যা নিয়ম বহির্ভূত।
সিআরইএ আরও জানিয়েছে, অক্টোবরে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ৪৭ শতাংশ কিনেছে চীন, এরপর ভারত ৩৭ শতাংশ, ইইউ ৬ শতাংশ ও তুরস্ক ৬ শতাংশ।
অক্টোবরে রুশ জ্বালানি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ছিল ভারত। এতে শীর্ষ পাঁচ আমদানিকারকের মোট মাসিক রপ্তানি আয়ের ১৯ শতাংশ (২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরো) ভারতের থেকে পেয়েছে রাশিয়া। ভারতের আমদানির প্রায় ৭৭ শতাংশই (মূল্য প্রায় ২ বিলিয়ন ইউরো) ছিল অপরিশোধিত তেল। সেপ্টেম্বরে ভারত রাশিয়ার শীর্ষ পাঁচ আমদানিকারকের তালিকায় ২১ শতাংশ (২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরো) অবদান রেখেছিল। ভারতের আমদানির প্রায় ৮৫ শতাংশ (মূল্য ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো) ছিল অপরিশোধিত তেল।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার মোট কয়লা রপ্তানির ৪৬ শতাংশ কিনেছে চীন, তারপর ভারত ১৭ শতাংশ, তুরস্ক ১০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ১০ শতাংশ ও তাইওয়ান ৫ শতাংশ।
সিআরইএর মতে, রাশিয়ার মোট সমুদ্রপথে রপ্তানি করা তেলের ৮৩ শতাংশ শ্যাডো ট্যাংকারে পরিবহন করা হচ্ছে, যা পশ্চিমা নীতি অনুসরণ করতে বাধ্য নয়।

ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি রপ্তানি ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে ইইউয়ের শীর্ষ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। তবে এসব জ্বালানির বড় অংশ রাশিয়া থেকে ছাড়ে কিনেছে ভারত। এরপর পরিশোধন করে চড়া দামে ইইউয়ে বিক্রি করেছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) মাসিক ট্র্যাকার রিপোর্টে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়াকে অর্থনৈতিক দিক থেকে ভঙ্গুর করে দিতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি৭ দেশগুলো রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর মূল্যসীমা ও আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
তবে রাশিয়ার অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রে কোনো স্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত দেশগুলো রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করেছে। এরপর পরিশোধন করে মূল্যসীমা আরোপকারী ইইউ জোটভুক্ত দেশেই রপ্তানি করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ভারত রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক। যুদ্ধের আগে ভারতের মোট আমদানি করা তেলের মধ্যে রুশ তেলের পরিমাণ এক শতাংশেরও কম ছিল। কিন্তু এখন তা প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। রাশিয়ার তেল ভারত কম দামে কিনে পরিশোধনের পর পূর্ণ দামে ইইউয়ে রপ্তানি করছে। ইউরোপীয় দেশগুলো মস্কো থেকে সরাসরি তেল আমদানি কমানোর ফলে এই চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পরিশোধনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভারত এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক। ভারতের জামনগর, বদিনার (গুজরাট) ও নিউ ম্যাঙ্গালোরে শোধনাগারে রুশ তেল পরিশোধন করা হয়। এসব শোধনাগার থেকে ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি ৫৮ শতাংশ তেল রপ্তানি বেড়েছে।
জামনগরের শোধনাগারটি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ও বদিনারের শোধনাগারটি রাশিয়ার রোসনেফট-সমর্থিত নাইয়ারা এনার্জির একটি ইউনিট। ম্যাঙ্গালোর শোধনাগার অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেড (এমআরপিএল) ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
সিআরইএ জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো এখনো ভারত থেকে তেল আমদানি করে চলেছে। এতে ভারত রাশিয়া থেকে আরও অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে ও রাশিয়ার বৈদেশিক আয় বাড়ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইউরোপ প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল ডিজেল ও জেট ফুয়েল আমদানি করত, যা এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
সিআরইএ আমদানির নির্দিষ্ট পরিমাণ না জানালেও ইউরোপের এই থিংক ট্যাংক আগের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ মাসে মূল্যসীমা আরোপকারী দেশগুলো অপরিশোধিত রুশ তেল থেকে তৈরিকৃত তেলজাত পণ্য আমদানিতে প্রায় ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো ব্যয় করেছে। যা ইইউয়ের ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ইউক্রেনকে সহায়তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অর্থের ৬৮ শতাংশের সমান।
ফিনল্যান্ডভিত্তিক থিংক ট্যাংক সিআরইএ আগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, তেলের মূল্যসীমা কার্যকর হওয়ার (ডিসেম্বর ২০২২) পর থেকে এই ১৩ মাসে ভারতের রপ্তানিকৃত তেলের এক-তৃতীয়াংশের বেশি রাশিয়ান অপরিশোধিত থেকে তৈরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৬ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার)।
রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ক্রয় ও এ থেকে তৈরি ডিজেলের মতো জ্বালানি রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে মূল্যসীমা আরোপকারী জোট নামে পরিচিত গ্রুপ অব সেভেন (জি৭), ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত রুশ তেলের মূল্যসীমা ৬০ ডলার নির্ধারণ করে। বাজার তেলের জোগান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মস্কোর বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমাতে এটি করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সিআরইএ জানিয়েছে, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল ভোক্তা ও আমদানিকারক ভারত অক্টোবর মাসে রাশিয়া থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন ইউরো মূল্যের অপরিশোধিত তেল কিনেছে। আগের মাসের যা ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো ছিল।
সিআরইএ আরও জানিয়েছে, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ৩৪ শতাংশ সমুদ্রপথে ট্যাংকারে সরবরাহ করা হয়েছে, যা মূল্যসীমা নীতির আওতায় ছিল। বাকি অংশ ‘শ্যাডো’ ট্যাংকার দিয়ে সরবরাহ করা হয়েছে, যা নিয়ম বহির্ভূত।
সিআরইএ আরও জানিয়েছে, অক্টোবরে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ৪৭ শতাংশ কিনেছে চীন, এরপর ভারত ৩৭ শতাংশ, ইইউ ৬ শতাংশ ও তুরস্ক ৬ শতাংশ।
অক্টোবরে রুশ জ্বালানি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ছিল ভারত। এতে শীর্ষ পাঁচ আমদানিকারকের মোট মাসিক রপ্তানি আয়ের ১৯ শতাংশ (২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরো) ভারতের থেকে পেয়েছে রাশিয়া। ভারতের আমদানির প্রায় ৭৭ শতাংশই (মূল্য প্রায় ২ বিলিয়ন ইউরো) ছিল অপরিশোধিত তেল। সেপ্টেম্বরে ভারত রাশিয়ার শীর্ষ পাঁচ আমদানিকারকের তালিকায় ২১ শতাংশ (২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরো) অবদান রেখেছিল। ভারতের আমদানির প্রায় ৮৫ শতাংশ (মূল্য ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো) ছিল অপরিশোধিত তেল।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার মোট কয়লা রপ্তানির ৪৬ শতাংশ কিনেছে চীন, তারপর ভারত ১৭ শতাংশ, তুরস্ক ১০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ১০ শতাংশ ও তাইওয়ান ৫ শতাংশ।
সিআরইএর মতে, রাশিয়ার মোট সমুদ্রপথে রপ্তানি করা তেলের ৮৩ শতাংশ শ্যাডো ট্যাংকারে পরিবহন করা হচ্ছে, যা পশ্চিমা নীতি অনুসরণ করতে বাধ্য নয়।

ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি রপ্তানি ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে ইইউয়ের শীর্ষ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। তবে এসব জ্বালানির বড় অংশ রাশিয়া থেকে ছাড়ে কিনেছে ভারত। এরপর পরিশোধন করে চড়া দামে ইইউয়ে বিক্রি করেছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) মাসিক ট্র্যাকার রিপোর্টে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়াকে অর্থনৈতিক দিক থেকে ভঙ্গুর করে দিতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি৭ দেশগুলো রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর মূল্যসীমা ও আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
তবে রাশিয়ার অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেলের ক্ষেত্রে কোনো স্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত দেশগুলো রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করেছে। এরপর পরিশোধন করে মূল্যসীমা আরোপকারী ইইউ জোটভুক্ত দেশেই রপ্তানি করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ভারত রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক। যুদ্ধের আগে ভারতের মোট আমদানি করা তেলের মধ্যে রুশ তেলের পরিমাণ এক শতাংশেরও কম ছিল। কিন্তু এখন তা প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। রাশিয়ার তেল ভারত কম দামে কিনে পরিশোধনের পর পূর্ণ দামে ইইউয়ে রপ্তানি করছে। ইউরোপীয় দেশগুলো মস্কো থেকে সরাসরি তেল আমদানি কমানোর ফলে এই চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরইএ) সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পরিশোধনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভারত এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক। ভারতের জামনগর, বদিনার (গুজরাট) ও নিউ ম্যাঙ্গালোরে শোধনাগারে রুশ তেল পরিশোধন করা হয়। এসব শোধনাগার থেকে ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি ৫৮ শতাংশ তেল রপ্তানি বেড়েছে।
জামনগরের শোধনাগারটি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ও বদিনারের শোধনাগারটি রাশিয়ার রোসনেফট-সমর্থিত নাইয়ারা এনার্জির একটি ইউনিট। ম্যাঙ্গালোর শোধনাগার অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেড (এমআরপিএল) ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস করপোরেশনের (ওএনজিসি) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
সিআরইএ জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো এখনো ভারত থেকে তেল আমদানি করে চলেছে। এতে ভারত রাশিয়া থেকে আরও অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে ও রাশিয়ার বৈদেশিক আয় বাড়ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইউরোপ প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার ব্যারেল ডিজেল ও জেট ফুয়েল আমদানি করত, যা এখন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
সিআরইএ আমদানির নির্দিষ্ট পরিমাণ না জানালেও ইউরোপের এই থিংক ট্যাংক আগের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ মাসে মূল্যসীমা আরোপকারী দেশগুলো অপরিশোধিত রুশ তেল থেকে তৈরিকৃত তেলজাত পণ্য আমদানিতে প্রায় ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো ব্যয় করেছে। যা ইইউয়ের ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ইউক্রেনকে সহায়তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অর্থের ৬৮ শতাংশের সমান।
ফিনল্যান্ডভিত্তিক থিংক ট্যাংক সিআরইএ আগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল, তেলের মূল্যসীমা কার্যকর হওয়ার (ডিসেম্বর ২০২২) পর থেকে এই ১৩ মাসে ভারতের রপ্তানিকৃত তেলের এক-তৃতীয়াংশের বেশি রাশিয়ান অপরিশোধিত থেকে তৈরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৬ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার)।
রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ক্রয় ও এ থেকে তৈরি ডিজেলের মতো জ্বালানি রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে মূল্যসীমা আরোপকারী জোট নামে পরিচিত গ্রুপ অব সেভেন (জি৭), ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত রুশ তেলের মূল্যসীমা ৬০ ডলার নির্ধারণ করে। বাজার তেলের জোগান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মস্কোর বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমাতে এটি করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সিআরইএ জানিয়েছে, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল ভোক্তা ও আমদানিকারক ভারত অক্টোবর মাসে রাশিয়া থেকে প্রায় দুই বিলিয়ন ইউরো মূল্যের অপরিশোধিত তেল কিনেছে। আগের মাসের যা ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো ছিল।
সিআরইএ আরও জানিয়েছে, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ৩৪ শতাংশ সমুদ্রপথে ট্যাংকারে সরবরাহ করা হয়েছে, যা মূল্যসীমা নীতির আওতায় ছিল। বাকি অংশ ‘শ্যাডো’ ট্যাংকার দিয়ে সরবরাহ করা হয়েছে, যা নিয়ম বহির্ভূত।
সিআরইএ আরও জানিয়েছে, অক্টোবরে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ৪৭ শতাংশ কিনেছে চীন, এরপর ভারত ৩৭ শতাংশ, ইইউ ৬ শতাংশ ও তুরস্ক ৬ শতাংশ।
অক্টোবরে রুশ জ্বালানি পণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ছিল ভারত। এতে শীর্ষ পাঁচ আমদানিকারকের মোট মাসিক রপ্তানি আয়ের ১৯ শতাংশ (২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউরো) ভারতের থেকে পেয়েছে রাশিয়া। ভারতের আমদানির প্রায় ৭৭ শতাংশই (মূল্য প্রায় ২ বিলিয়ন ইউরো) ছিল অপরিশোধিত তেল। সেপ্টেম্বরে ভারত রাশিয়ার শীর্ষ পাঁচ আমদানিকারকের তালিকায় ২১ শতাংশ (২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউরো) অবদান রেখেছিল। ভারতের আমদানির প্রায় ৮৫ শতাংশ (মূল্য ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউরো) ছিল অপরিশোধিত তেল।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার মোট কয়লা রপ্তানির ৪৬ শতাংশ কিনেছে চীন, তারপর ভারত ১৭ শতাংশ, তুরস্ক ১০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ১০ শতাংশ ও তাইওয়ান ৫ শতাংশ।
সিআরইএর মতে, রাশিয়ার মোট সমুদ্রপথে রপ্তানি করা তেলের ৮৩ শতাংশ শ্যাডো ট্যাংকারে পরিবহন করা হচ্ছে, যা পশ্চিমা নীতি অনুসরণ করতে বাধ্য নয়।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি রপ্তানি ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে ইইউয়ের শীর্ষ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। তবে এসব জ্বালানির বড় অংশ রাশিয়া থেকে ছাড়ে কিনেছে ভারত। এরপর পরিশোধন করে চড়া দামে ইইউয়ে বিক্রি করেছে।
১০ নভেম্বর ২০২৪
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি রপ্তানি ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে ইইউয়ের শীর্ষ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। তবে এসব জ্বালানির বড় অংশ রাশিয়া থেকে ছাড়ে কিনেছে ভারত। এরপর পরিশোধন করে চড়া দামে ইইউয়ে বিক্রি করেছে।
১০ নভেম্বর ২০২৪
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছেন।
গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে পরিচিত ছয়টি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর শান্তি আলোচকেরা বারবার দাবি করছেন, পুতিন এই যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী। তবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার সময় পুতিনের যে লক্ষ্য ছিল, তা এখনো অপরিবর্তিত। তিনি কেবল ইউক্রেন নয়, বরং ন্যাটোর জোটভুক্ত বাল্টিক দেশগুলো ও পোল্যান্ডের মতো অঞ্চলের জন্যও হুমকি।
ট্রাম্প প্রশাসন চলমান যুদ্ধের ইতি টানার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সর্বশেষ প্রতিবেদন (সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ প্রস্তুতকৃত) বলছে, পুতিন দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বর্তমানে ইউক্রেন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ২০ দফার একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন।
সম্প্রতি বার্লিনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইউক্রেনকে ন্যাটোর বাইরে কিন্তু ‘আর্টিকেল ৫’-এর মতো শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর অধীনে ইউক্রেনের সীমান্তে ইউরোপীয় বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে সেনার সংখ্যা সর্বোচ্চ ৮ লাখে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব রয়েছে, তবে রাশিয়া একে আরও কমানোর দাবি তুলছে।
আলোচনার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দখল করা ভূখণ্ড। অভিযোগ উঠেছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে দনবাসের অন্য অংশ (দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক) থেকে সেনা সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছেন।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনোভাবেই তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে তুলে দেবে না। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা গ্যারান্টি বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তার উত্তর এখনো আমি পাইনি।’
মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড অবশ্য ভিন্ন কথা বলছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে বড় কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না এবং বর্তমানে তাদের সেই সক্ষমতাও নেই। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বীকার করেছেন, পুতিন কি সত্যিই চুক্তি করতে চান, না পুরো দেশ দখল করতে চান—তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছেন।
গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের সঙ্গে পরিচিত ছয়টি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর শান্তি আলোচকেরা বারবার দাবি করছেন, পুতিন এই যুদ্ধ শেষ করতে আগ্রহী। তবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করার সময় পুতিনের যে লক্ষ্য ছিল, তা এখনো অপরিবর্তিত। তিনি কেবল ইউক্রেন নয়, বরং ন্যাটোর জোটভুক্ত বাল্টিক দেশগুলো ও পোল্যান্ডের মতো অঞ্চলের জন্যও হুমকি।
ট্রাম্প প্রশাসন চলমান যুদ্ধের ইতি টানার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সর্বশেষ প্রতিবেদন (সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ প্রস্তুতকৃত) বলছে, পুতিন দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বর্তমানে ইউক্রেন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ২০ দফার একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন।
সম্প্রতি বার্লিনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইউক্রেনকে ন্যাটোর বাইরে কিন্তু ‘আর্টিকেল ৫’-এর মতো শক্তিশালী নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর অধীনে ইউক্রেনের সীমান্তে ইউরোপীয় বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। পাশাপাশি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে সেনার সংখ্যা সর্বোচ্চ ৮ লাখে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাব রয়েছে, তবে রাশিয়া একে আরও কমানোর দাবি তুলছে।
আলোচনার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দখল করা ভূখণ্ড। অভিযোগ উঠেছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে দনবাসের অন্য অংশ (দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক) থেকে সেনা সরিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছেন।
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনোভাবেই তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ড রাশিয়ার হাতে তুলে দেবে না। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা গ্যারান্টি বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তার উত্তর এখনো আমি পাইনি।’
মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড অবশ্য ভিন্ন কথা বলছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে বড় কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না এবং বর্তমানে তাদের সেই সক্ষমতাও নেই। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বীকার করেছেন, পুতিন কি সত্যিই চুক্তি করতে চান, না পুরো দেশ দখল করতে চান—তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি রপ্তানি ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে ইইউয়ের শীর্ষ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। তবে এসব জ্বালানির বড় অংশ রাশিয়া থেকে ছাড়ে কিনেছে ভারত। এরপর পরিশোধন করে চড়া দামে ইইউয়ে বিক্রি করেছে।
১০ নভেম্বর ২০২৪
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষ করে তরুণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের তাঁকে সরবরাহ করার প্রক্রিয়া এতে স্পষ্ট হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নথিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে বিচার বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত প্রকাশনার অংশ। তবে এই প্রকাশনা আংশিক এবং ব্যাপকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি নথি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। নথিটির নম্বর ইএফটিএ–০০০০৪১৭৯। এতে রয়েছে এফবিআইয়ের একটি প্রমাণ-সংক্রান্ত কভার শিট এবং ১৩ পৃষ্ঠার হাতে লেখা তদন্ত নোট। ২০১৯ সালের ২ মে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এসব নোট তৈরি করা হয়। সাক্ষাৎকারদাতার পরিচয় এবং নথির কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।
তবে নোটগুলোতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের নিয়োগ, ‘ম্যাসাজ’-এর আড়ালে যৌন নিপীড়ন এবং বয়স ও গায়ের রং নিয়ে এপস্টেইনের নির্দিষ্ট পছন্দ। নোট অনুযায়ী সাক্ষী বলেন, ‘ (এই অংশ মুছে ফেলা হয়েছে)–এর বন্ধুদের বন্ধু। বড় ব্রাজিলিয়ান গ্রুপ। খুবই মরিয়া সময় যাচ্ছে। মেয়েদের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছিল।’ নোটে জেফরি এপস্টেইনকে ‘জেই’ আদ্যক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তথাকথিত ‘মরিয়া সময়ে’ একজন ‘বাদামি ত্বকের ডমিনিকান’ মেয়েকে আনা হয়েছিল। কিন্তু নোটে বলা হয়েছে, ‘জেই স্প্যানিশ বা গাঢ় রঙের মেয়ে চায়নি।’ যিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এপস্টেইনের কাছে নিয়ে আসতেন, তাঁর পরিচয় নথিতে গোপন রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এপস্টেইনকে জানান, তিনি তাঁর জন্য ‘তরুণী মেয়েদের’ নিয়ে আসছেন। তবে এপস্টেইন অভিযোগ করেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু বাদামি রঙের না।’
সাক্ষী জানান, তিনি নিশ্চিত নন এপস্টেইন ওই জোগাড়দারকে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি না। তবে মেয়েটিকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। নোটে আরও উল্লেখ আছে, একটি বাথরুমে ঘটে যাওয়া ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বাথটাবের কাছে স্তন ও যোনি…সে শাওয়ারে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বলে, সে যেন এমন মেয়েদের না আনে যাদের সে পছন্দ করে না…তাকে বলে, খুঁজে যেতে।’
আরও বলা হয়, ‘একপর্যায়ে (নাম মুছে ফেলা হয়েছে) তাকে একটি মেয়ের পরিচয়পত্র চাইতে দেখেছে।’ নোট অনুযায়ী, এপস্টেইন নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন মেয়েটি ১৮ বছরের নিচে কি না। কারণ আগে বেশি বয়সী মেয়েদের আনার ঘটনায় তাঁর আস্থা নষ্ট হয়েছিল।
নোটে সাক্ষী যৌন নিপীড়নের বিবরণও দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এপস্টেইন ‘অদ্ভুত শব্দ করতেন’ এবং ভুক্তভোগীদের ‘রূঢ়ভাবে’ স্পর্শ করতেন। নথিটিতে কয়েকজন মেয়ের ছবি সংযুক্ত রয়েছে। নোট অনুযায়ী, তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। ছবিগুলোতে তাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং সৈকতে বিকিনিতে দেখা যায়। নোটে নিউইয়র্কের একাধিক স্থানের উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ম্যানহাটনের ৪১ তম স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, রচেস্টার, ব্রাইটন বিচ এবং একটি হাইস্কুল প্রম।
সাক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে নোটে থাকা তথ্য এপস্টেইনের ব্রাজিলের শিশুদের প্রতি আগ্রহের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ফেডারেল অভিযোগপত্রে ‘মাইনর ভিকটিম–১’ হিসেবে চিহ্নিত ব্রাজিলের অভিবাসী মারিনা লাসেরদা ছিলেন মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি জানান, ১৪ বছর বয়স থেকে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, এপস্টেইনের সঙ্গে তিনি একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখেছেন। তবে ট্রাম্প এপস্টেইনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন বলে অস্বীকার করেছেন।
লাসেরদার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে এপস্টেইন আত্মহত্যা করেন। এপস্টেইনের সহযোগী জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল, যিনি তাঁর অর্থায়নে একটি মডেলিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ২০২২ সালে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এপস্টেইনের জন্য এক হাজারের বেশি মেয়ে ও তরুণী সরবরাহ করেছিলেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনেল ব্রাজিলের একটি মডেলিং এজেন্সিতে যান, যেটির সঙ্গে তাঁর কোম্পানির আগে কাজ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মডেল পাঠানোর উদ্দেশ্যেই এই সফর করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এপস্টেইনের মৃত্যুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দণ্ডিত ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলকেও ব্রাজিলের রিভিয়েরা এলাকায় দেখা গেছে বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের একটি কারাগারে জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল আত্মহত্যা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষ করে তরুণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের তাঁকে সরবরাহ করার প্রক্রিয়া এতে স্পষ্ট হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নথিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে বিচার বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত প্রকাশনার অংশ। তবে এই প্রকাশনা আংশিক এবং ব্যাপকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি নথি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। নথিটির নম্বর ইএফটিএ–০০০০৪১৭৯। এতে রয়েছে এফবিআইয়ের একটি প্রমাণ-সংক্রান্ত কভার শিট এবং ১৩ পৃষ্ঠার হাতে লেখা তদন্ত নোট। ২০১৯ সালের ২ মে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এসব নোট তৈরি করা হয়। সাক্ষাৎকারদাতার পরিচয় এবং নথির কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।
তবে নোটগুলোতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের নিয়োগ, ‘ম্যাসাজ’-এর আড়ালে যৌন নিপীড়ন এবং বয়স ও গায়ের রং নিয়ে এপস্টেইনের নির্দিষ্ট পছন্দ। নোট অনুযায়ী সাক্ষী বলেন, ‘ (এই অংশ মুছে ফেলা হয়েছে)–এর বন্ধুদের বন্ধু। বড় ব্রাজিলিয়ান গ্রুপ। খুবই মরিয়া সময় যাচ্ছে। মেয়েদের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছিল।’ নোটে জেফরি এপস্টেইনকে ‘জেই’ আদ্যক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তথাকথিত ‘মরিয়া সময়ে’ একজন ‘বাদামি ত্বকের ডমিনিকান’ মেয়েকে আনা হয়েছিল। কিন্তু নোটে বলা হয়েছে, ‘জেই স্প্যানিশ বা গাঢ় রঙের মেয়ে চায়নি।’ যিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এপস্টেইনের কাছে নিয়ে আসতেন, তাঁর পরিচয় নথিতে গোপন রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এপস্টেইনকে জানান, তিনি তাঁর জন্য ‘তরুণী মেয়েদের’ নিয়ে আসছেন। তবে এপস্টেইন অভিযোগ করেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু বাদামি রঙের না।’
সাক্ষী জানান, তিনি নিশ্চিত নন এপস্টেইন ওই জোগাড়দারকে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি না। তবে মেয়েটিকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। নোটে আরও উল্লেখ আছে, একটি বাথরুমে ঘটে যাওয়া ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বাথটাবের কাছে স্তন ও যোনি…সে শাওয়ারে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বলে, সে যেন এমন মেয়েদের না আনে যাদের সে পছন্দ করে না…তাকে বলে, খুঁজে যেতে।’
আরও বলা হয়, ‘একপর্যায়ে (নাম মুছে ফেলা হয়েছে) তাকে একটি মেয়ের পরিচয়পত্র চাইতে দেখেছে।’ নোট অনুযায়ী, এপস্টেইন নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন মেয়েটি ১৮ বছরের নিচে কি না। কারণ আগে বেশি বয়সী মেয়েদের আনার ঘটনায় তাঁর আস্থা নষ্ট হয়েছিল।
নোটে সাক্ষী যৌন নিপীড়নের বিবরণও দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এপস্টেইন ‘অদ্ভুত শব্দ করতেন’ এবং ভুক্তভোগীদের ‘রূঢ়ভাবে’ স্পর্শ করতেন। নথিটিতে কয়েকজন মেয়ের ছবি সংযুক্ত রয়েছে। নোট অনুযায়ী, তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। ছবিগুলোতে তাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং সৈকতে বিকিনিতে দেখা যায়। নোটে নিউইয়র্কের একাধিক স্থানের উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ম্যানহাটনের ৪১ তম স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, রচেস্টার, ব্রাইটন বিচ এবং একটি হাইস্কুল প্রম।
সাক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে নোটে থাকা তথ্য এপস্টেইনের ব্রাজিলের শিশুদের প্রতি আগ্রহের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ফেডারেল অভিযোগপত্রে ‘মাইনর ভিকটিম–১’ হিসেবে চিহ্নিত ব্রাজিলের অভিবাসী মারিনা লাসেরদা ছিলেন মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি জানান, ১৪ বছর বয়স থেকে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, এপস্টেইনের সঙ্গে তিনি একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখেছেন। তবে ট্রাম্প এপস্টেইনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন বলে অস্বীকার করেছেন।
লাসেরদার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে এপস্টেইন আত্মহত্যা করেন। এপস্টেইনের সহযোগী জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল, যিনি তাঁর অর্থায়নে একটি মডেলিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ২০২২ সালে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এপস্টেইনের জন্য এক হাজারের বেশি মেয়ে ও তরুণী সরবরাহ করেছিলেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনেল ব্রাজিলের একটি মডেলিং এজেন্সিতে যান, যেটির সঙ্গে তাঁর কোম্পানির আগে কাজ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মডেল পাঠানোর উদ্দেশ্যেই এই সফর করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এপস্টেইনের মৃত্যুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দণ্ডিত ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলকেও ব্রাজিলের রিভিয়েরা এলাকায় দেখা গেছে বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের একটি কারাগারে জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল আত্মহত্যা করেন।

ভারত থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) ডিজেলসহ বিভিন্ন জ্বালানি রপ্তানি ২০২৪ সালের প্রথম তিন প্রান্তিকে ৫৮ শতাংশ বেড়েছে। এতে ইইউয়ের শীর্ষ জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে ভারত। তবে এসব জ্বালানির বড় অংশ রাশিয়া থেকে ছাড়ে কিনেছে ভারত। এরপর পরিশোধন করে চড়া দামে ইইউয়ে বিক্রি করেছে।
১০ নভেম্বর ২০২৪
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার তোড়জোড় চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর মূল লক্ষ্য থেকে একচুলও সরে আসেননি। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, পুতিন এখনো পুরো ইউক্রেন দখল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর...
৪ ঘণ্টা আগে