Ajker Patrika

স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে চিড় ধরা নন–স্টিক প্যান ব্যবহার বন্ধ করুন

স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে চিড় ধরা নন–স্টিক প্যান ব্যবহার বন্ধ করুন

রান্নাঘরে রাঁধুনিদের পছন্দের এক অনুষঙ্গ হলো নন–স্টিক ফ্রাই পেন। কারণ এতে রান্নার সময় কোনো কিছু আটকে থাকে না বা জড়িয়ে যায় না। ফলে তেল খরচ কম হয়, সেই সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ধোয়া যায়। বিজ্ঞানীরা ১৯৫৪ সালে প্রথম ননস্টিক প্যান আবিষ্কারের পর এটি দ্রুত বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

বিজ্ঞান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পপুলার সায়েন্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, করোনা মহামারির সময় থেকে নন–স্টিক রান্নার পাত্রের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। ২০২০ সালে নন–স্টিক রান্নার পাত্রের চাহিদা বেড়ে ২০ কোটি ৬১ লাখ ইউনিটে পৌঁছায়। এর চাহিদা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রান্নার পাত্রের নন–স্টিক প্রলেপটি সিনথেটিক ফ্লুরোপলিমার দিয়ে তৈরি, যাকে বলা হয় পলিটেট্রাফ্লুরোইথিলিন (পিটিএফই)। এটি টেফলন নামেই বেশি পরিচিত। ২০২২ সালে অলাভজনক সংস্থা ইকোলজি সেন্টারের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, ৭৯ শতাংশ নন–স্টিক রান্নার পাত্র এবং ২০ শতাংশ নন–স্টিক বেকিং প্যানের মধ্যেই পিটিএফইর প্রলেপ ব্যবহার করা হয়।

সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্টের এক নতুন গবেষণায় বিভিন্ন ধরনের নন–স্টিক পাত্র নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এ ক্ষেত্রে গবেষকেরা রান্নার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পাত্রগুলো পরীক্ষা করেন। রান্নার প্রক্রিয়ায় তাঁরা স্টিল এবং কাঠের খুন্তি ব্যবহার করেছেন।

ওই গবেষণায় দেখা গেছে, টেফলনের প্রলেপ দেওয়া নন–স্টিক পাত্রে কোনো ছোটখাটো চিড় ধরলেই রান্নার সময় ৯ হাজার ১০০টি প্লাস্টিক কণা উঠে আসে। প্রলেপটি উঠে গেলে প্রায় ২৩ লাখ মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং ন্যানো প্লাস্টিক কণা খাবারের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।

এ ধরনের চিড়গুলো বিপজ্জনক। কারণ পিটিএফই এক ধরনের পার ও পলি ফ্লুওরিনেটেড পদার্থ (পিএফএএস)। এটি এমন এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ যা পরিবেশের সঙ্গে মিশে যায় না, ফলে মাটি এবং পানি দূষিত করে এবং জীবিত প্রাণীর দেহে জমা হতে থাকে। পিএফএএসের লাখখানেক কণা একবার ছড়িয়ে পড়লে তা বাস্তুতন্ত্রে দীর্ঘসময় অক্ষত থাকে। এ জন্য এদের ‘ফরএভার কেমিক্যাল’ বা ‘চিরস্থায়ী রাসায়নিক’ বলা হয়।

পরিবেশে এ রাসায়নিক ছড়িয়ে পড়লে মানবদেহে পিএফএএস আরও বেশি পরিমাণে জমতে থাকবে। এর ফলে মানুষের বিপাকীয় কাজে পরিবর্তন আসবে, ওজন বাড়ার ঝুঁকি বাড়বে এবং কোনো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যাবে।

তথ্য সংগ্রহের জন্য গবেষকেরা বিভিন্ন নন–স্টিক পাত্রের উপরিতল পরীক্ষা করেন এবং নন–স্টিক পাত্র থেকে প্লাস্টিক কণা ছড়িয়ে পড়ার পরিমাণ বের করেন।

অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউক্যাসলের গ্লোবাল সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল রেমেডিয়েশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক চেঙ ফ্যাং বলেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং ন্যানো প্লাস্টিক সরাসরি দৃশ্যমান করতে পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত ডেটা তিনটি অ্যালগরিদম ব্যবহার করে একটি ছবিতে পরিণত করা হয়। তাতে তাঁরা বিপজ্জনক পরিমাণে প্লাস্টিক কণা দেখেছেন।

ইউনিভার্সিটি অব নটর ড্যামের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক গ্রাহাম পিসলি বলেন, ‘পিএফএএস হলো এমন এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যেগুলো বেশ দীর্ঘ সময় ধরে পরিবেশে টিকে থাকে। তুলনামূলক ক্ষুদ্র পিএফএএসে সূর্যের আলোর প্রভাবে মাইক্রোঅর্গানিজমে বা অন্য কোনো নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভাঙনের সৃষ্টি হয় না। এর মানে হলো, একবার তৈরি করার পর এগুলো প্রকৃতিতে শত শত বছর ধরে টিকে থাকতে সক্ষম।’ গ্রাহাম পিসলি অবশ্য এ গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

বিপদ এড়াতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা—খাবারে বা পরিবেশে পিটিএফই পাত্র থেকে প্লাস্টিক কণা ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য রাধুনীকে অবশ্যই নরম খুন্তি ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, রান্নার সময় এবং পরিষ্কার করার সময় যেন নন–স্টিক পাত্রের উপরিতলে কোনো ধরনের আঁচড় না পড়ে। গবেষক ফ্যাং বলেন, পাত্রে কোনো ধরনের আঁচড় পড়লে পাত্রটি অবশ্যই বদলে ফেলতে হবে।

টেফলনের পাত্রে রান্না করলে শুধু চিড় বা আঁচড় খেয়াল করলেই চলবে না; অতিরিক্ত তাপমাত্রার সংস্পর্শে এলে এর প্রলেপ থেকে বাতাসে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর কারণে অনেকের মধ্যে পলিমার ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট অস্থায়ী ফ্লুর (সর্দি–জ্বর) লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

পিসলি বলেন, ১৯৫০–এর দশকে টেফলনকে যুগান্তকারী নতুন প্রযুক্তি হিসেবে প্রচার করা হলেও এ ক্ষেত্রে ঢালাই লোহাও একই রকম কার্যকর। অর্থাৎ ঢালাই লোহার পাত্রও নন–স্টিক প্যানের বিকল্প হতে পারে।

পিসলি আরও বলেন, পরিবেশ এবং মানবস্বাস্থ্যের জন্য ফ্লুরোপলিমার ক্ষতিকর কারণ এটি তৈরির সময়, প্রক্রিয়াজাত করার সময়, ব্যবহারের সময় এবং ব্যবহার শেষে পিএফএএস নিঃসরণ হয়। এর আরও অনেক সাশ্রয়ী বিকল্প আছে, যেগুলো পরিবেশের তুলনামূলক কম ক্ষতি করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাওরে বিদ্যুৎ সংযোগ: বাঁশের খুঁটিতে ৩৩,০০০ ভোল্টের লাইন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া: এক রাখাইন পরিবারের ৪০ একর জমি দখল

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

ইমরান খানের জন্য ইলন মাস্কের কাছে জেমিমার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে যেসব খাবার মন শান্ত রাখবে

মো. ইকবাল হোসেন
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫২
শীতে যেসব খাবার মন শান্ত রাখবে

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।

ডোপামিন হরমোনের জন্য খাবার

মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

সেরোটোনিন হরমোনের জন্য খাবার

আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।

এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।

এন্ডোরফিন হরমোনের জন্য খাবার

শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।

এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।

এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।

আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।

ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।

আরও যা মনে রাখবেন

খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—

  • গ্যাস্ট্রিকসহ অন্যান্য ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না।
  • লাল আটা এবং আঁশসমৃদ্ধ চালের ভাত খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • ফার্মেন্টেড ফুড; যেমন টক দই বা পান্তা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • প্রতিদিন এক বেলা ৩০-৪০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস বা ব্যায়াম করতে হবে।
  • সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
  • অন্তত প্রতি ১৫ দিনে এক দিন কাছাকাছি দূরত্বে ঘুরতে যেতে হবে।
  • রাতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাওরে বিদ্যুৎ সংযোগ: বাঁশের খুঁটিতে ৩৩,০০০ ভোল্টের লাইন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া: এক রাখাইন পরিবারের ৪০ একর জমি দখল

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

ইমরান খানের জন্য ইলন মাস্কের কাছে জেমিমার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুরুষ বন্ধ্যত্ব: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

ডা. অবন্তি ঘোষ
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ১৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।

জীবনযাপন ও অভ্যাসের কারণ

  • নিয়মিত ধূমপান
  • অ্যালকোহল ও অন্য নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ
  • দীর্ঘ সময় বসে থাকা অথবা কম নড়াচড়া করা
  • অতিরিক্ত ওজন
  • অনিয়মিত ঘুম
  • মানসিক চাপ

শরীরের ভেতরের হরমোন ও শারীরবৃত্তীয় কারণ

  • টেস্টোস্টেরন হরমোনের সমস্যা
  • থাইরয়েড হরমোনের অস্বাভাবিকতা
  • প্রোল্যাকটিন হরমোনের বৃদ্ধি
  • জিনগত সমস্যা

সংক্রমণ ও শারীরিক রোগ

  • ক্ল্যামাইডিয়া বা গনোরিয়া সংক্রমণ
  • অণ্ডকোষের টিউমার
  • ভেরিকোসিল
  • মামস-পরবর্তী অণ্ডকোষের প্রদাহ
  • শুক্রনালির ব্লকেজ

পরিবেশগত কারণ

  • যাঁদের দীর্ঘ সময় গরম পরিবেশে কাজ করতে হয়
  • যাঁরা নিয়মিত গরম পানিতে গোসল করেন

পুরুষ বন্ধ্যত্ব যেভাবে নির্ণয়

বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি

দেখা হয়।

  • অন্তত তিন দিন সহবাস বন্ধ রেখে নমুনা দিতে হয়
  • প্রথম পরীক্ষার রিপোর্ট খারাপ হলে এক মাস পর আবার পরীক্ষা করা হয়
  • দ্বিতীয় পরীক্ষাও স্বাভাবিক না হলে অণ্ডকোষের আলট্রাসনোগ্রাম এবং হরমোন পরীক্ষা করা হয় এসব পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় সমস্যা কোথায়, কতটা এবং কোন ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন।

চিকিৎসা

চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।

জীবনযাপনের পরিবর্তন

ওষুধ ও পুষ্টিগুণ

শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:

ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।

স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণের চেষ্টা

ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।

বিশেষ চিকিৎসা

  • যদি শুক্রাণুর সংখ্যা বা গতি মাঝারি কম হয়, তাহলে আইইউআই (গর্ভাশয়ে শুক্রাণু প্রবেশ করানো) করা যায়।
  • সংখ্যা খুব কম হলে বা গতি খুব খারাপ হলে আইসিএসআই (শুক্রাণু সরাসরি ডিম্বাণুর মধ্যে প্রবেশ করানো) করা হয়।

অস্ত্রোপচার

ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

অ্যাজোস্পার্মিয়া হলে করণীয়

যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।

গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাওরে বিদ্যুৎ সংযোগ: বাঁশের খুঁটিতে ৩৩,০০০ ভোল্টের লাইন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া: এক রাখাইন পরিবারের ৪০ একর জমি দখল

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

ইমরান খানের জন্য ইলন মাস্কের কাছে জেমিমার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতকালীন নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন যেভাবে

ডা. কাকলী হালদার
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৪
শীতকালীন নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন যেভাবে

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

ভাইরাসজনিত সংক্রমণ

সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।

রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।

ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ

এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

রোগ প্রতিরোধের উপায়

সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।

পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।

উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।

ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।

সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাওরে বিদ্যুৎ সংযোগ: বাঁশের খুঁটিতে ৩৩,০০০ ভোল্টের লাইন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া: এক রাখাইন পরিবারের ৪০ একর জমি দখল

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

ইমরান খানের জন্য ইলন মাস্কের কাছে জেমিমার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে করণীয়

ফিচার ডেস্ক
রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে করণীয়

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন যাপন করতে পারবেন। এখানে কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শক্তি জোগায়। প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হজমের গতি কমিয়ে রক্তে শর্করা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। ফাইবার হজম শক্তি ভালো করে, হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং পেট ভরা অনুভব করায়। এই চারটি উপাদান একসঙ্গে থাকলে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণ এবং সন্তুষ্টি বোধ করবেন। এই সমন্বয় রক্তে শর্করাকে ধীরে ধীরে বাড়তে সাহায্য করে এবং আপনার শক্তিকে স্থির রাখে।

উপাদানগুলো কীভাবে পাতে রাখবেন

কার্বোহাইড্রেটের জন্য ভাত, রুটি, আলু, ওটস, কুইনোয়া খেতে হবে। প্রোটিনের জন্য খেতে হবে মুরগি, মাছ, ডিম, টোফু, ডাল বা শিম। আমাদের সবার জানা, শাকসবজিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। এ ছাড়া ফল ও শস্য খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জন্য খাওয়া যেতে পারে পনির, বীজ, বাদাম, জলপাই তেল।

সংযোজনের ওপর জোর দিন, বর্জন নয়

সব সময় যে খাদ্যতালিকা থেকে খাবার বাদ দেবেন, এমন নয়; বরং খাদ্যতালিকায় পছন্দের খাবার যোগ করুন। তবে সে ক্ষেত্রে ধরনটা হবে ভিন্ন। আপনি যদি ভাত-ডাল খেতে ভালোবাসেন, তবে তার সঙ্গে অতিরিক্ত সবজি যোগ করুন। সকালের খাবারের সঙ্গে ডিম রাখুন। শীতকালীন সবজি হিসেবে টমেটো যোগ করুন। ধরুন, পাস্তা আপনার পছন্দ। সেটির সঙ্গে অতিরিক্ত সবজি এবং লিন প্রোটিন যোগ করুন। ফল খাওয়ার সময় সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে নিতে পারেন। এই ছোট ছোট সংযোজন আপনার প্রিয় স্বাদের পরিবর্তন না করে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।

স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস

বিকেলের ক্লান্তি কিংবা গভীর রাতের ক্ষুধা এড়াতে স্ন্যাকসেও একই নীতি মেনে চলুন। এ সময় চারটির মধ্যে কমপক্ষে দুটি মূল উপাদান রাখুন। কার্ব শক্তি দেবে, আর প্রোটিন বা ফ্যাট হজমপ্রক্রিয়া ধীর করবে। যেমন কোনো ফল দিয়ে টক দই কিংবা পিনাট বাটার দিয়ে কলা খেতে পারেন। টক দইয়ের সঙ্গে ফল খেলে তা প্রোটিন ও ফাইবারের চাহিদা পূরণ করবে। আর পিনাট বাটার ও কলার মাধ্যমে কার্ব, ফ্যাট ও প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করবে। এ ছাড়া বাদাম, বীজ ও ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন; যা ফ্যাট, ফাইবার ও কার্বসমৃদ্ধ একটি নাশতা হয়।

কৌতূহলী হোন, বিচারক নয়

যদি কোনো খাবারের পর আপনার রক্তে শর্করা বেড়ে যায়, তবে এটিকে ব্যর্থতা না ভেবে তথ্য হিসেবে গ্রহণ করুন। সঠিক ব্যালেন্স পেতে চাইলে খাবারে ফাইবার যোগ করে দেখুন। অথবা খাবারের সময় পরিবর্তন করে দেখুন। কিংবা একসঙ্গে বিভিন্ন খাবার খেয়ে দেখতে পারেন। মনে রাখবেন, মানসিক চাপ, ঘুম, হরমোন এবং আরও অনেক কিছু রক্তে শর্করার মাত্রা প্রভাবিত করতে পারে। তাই একক সংখ্যার পরিবর্তে প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সবকিছু অতিরিক্ত মনে হয়, তাহলে শুধু একটি ছোট পদক্ষেপ নিন। প্রথমে শুধু ফাইবার যোগ করা শুরু করতে পারেন। আপনার নিয়মিত খাবারের সঙ্গে সবজি যোগ করুন। রাতারাতি সব খাবারে পরিবর্তন আনার দরকার নেই। রক্তে শর্করা এবং মানসিক শান্তি—উভয়ের জন্য ছোট ও ধারাবাহিক পরিবর্তনগুলোই সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে।

সূত্র: হেলথ লাইন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাওরে বিদ্যুৎ সংযোগ: বাঁশের খুঁটিতে ৩৩,০০০ ভোল্টের লাইন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া: এক রাখাইন পরিবারের ৪০ একর জমি দখল

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

ইমরান খানের জন্য ইলন মাস্কের কাছে জেমিমার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত