নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। কিন্তু এ সময় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়া গেলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের সিপিআর সম্পর্কে ধারণা নেই। এ কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার বেশি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ হৃদ্রোগে মারা যায়। এর মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যায় প্রায় ৩ লাখ ২৪ হাজার। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো হার্টের বৈদ্যুতিক সংকেতে সমস্যার কারণে তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন (অ্যারিথমিয়া), যা হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং ব্যাহত করে। এই অবস্থায় সিপিআর দেওয়া গেলে অনেক রোগীর মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব বলে জানিয়েছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন।
সিপিআর একটি জরুরি চিকিৎসাপ্রক্রিয়া। কারও হৃৎস্পন্দন বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি দেখা দিলে এটি প্রয়োগ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বুকে চাপ দিয়ে ও প্রয়োজনে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে সাময়িকভাবে রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সচল রাখা হয়, যাতে মস্তিষ্ক ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কার্যকর থাকে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মহসীন আহমদ কর্মশালার মূল প্রবন্ধে বলেন, দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ জানে না কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর কী। ফলে হঠাৎ কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে নেওয়ার আগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাই সবার সিপিআর বিষয়ে প্রশিক্ষণ জরুরি।
সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে, তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী, মহাপরিচালক সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তর
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিফ ফিজিশিয়ান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক সৈয়দা সায়েদা আলেয়া সুলতানা বলেন, ‘হৃদ্রোগে আক্রান্তদের সাহায্যকারী বাড়াতে পারলে অনেক জীবন বাঁচানো যাবে। সচেতনতা শুধু দিবসকেন্দ্রিক হলে চলবে না, প্রতিদিন এ নিয়ে কাজ করতে হবে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় হতে পারে। তাই সবার জানা জরুরি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী বলেন, ‘সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।’
কর্মশালায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, হাসপাতালটিতে নতুনভাবে ৫০ শয্যার আধুনিক আইসিইউ চালু করা হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এটি উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে হাসপাতালের ২০ শয্যার সিসিইউ এবং ২০ শয্যার এইচডিইউ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ষষ্ঠতলায় ২০ শয্যার এনআইসিইউ স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে।
মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১০০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন ৬০ জন রোগী ৪৭০ টাকায় সেবা পাচ্ছে, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। শিগগির আরও ৩০ শয্যা বাড়ানো হবে। নতুন ইউনিট চালু হলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০০ রোগী ডায়ালাইসিস সুবিধা পাবে।’ কুর্মিটোলা হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে গেছে বলেও জানান পরিচালক। ইতিমধ্যে অনলাইন রিপোর্টিং সেবা চালু হয়েছে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) সভাপতি আবু রেজা মো. কাউয়ুম খান, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক এবং সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। কিন্তু এ সময় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়া গেলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের সিপিআর সম্পর্কে ধারণা নেই। এ কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার বেশি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ হৃদ্রোগে মারা যায়। এর মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যায় প্রায় ৩ লাখ ২৪ হাজার। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো হার্টের বৈদ্যুতিক সংকেতে সমস্যার কারণে তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন (অ্যারিথমিয়া), যা হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং ব্যাহত করে। এই অবস্থায় সিপিআর দেওয়া গেলে অনেক রোগীর মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব বলে জানিয়েছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন।
সিপিআর একটি জরুরি চিকিৎসাপ্রক্রিয়া। কারও হৃৎস্পন্দন বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি দেখা দিলে এটি প্রয়োগ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বুকে চাপ দিয়ে ও প্রয়োজনে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে সাময়িকভাবে রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সচল রাখা হয়, যাতে মস্তিষ্ক ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কার্যকর থাকে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মহসীন আহমদ কর্মশালার মূল প্রবন্ধে বলেন, দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ জানে না কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর কী। ফলে হঠাৎ কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে নেওয়ার আগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাই সবার সিপিআর বিষয়ে প্রশিক্ষণ জরুরি।
সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে, তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী, মহাপরিচালক সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তর
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিফ ফিজিশিয়ান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক সৈয়দা সায়েদা আলেয়া সুলতানা বলেন, ‘হৃদ্রোগে আক্রান্তদের সাহায্যকারী বাড়াতে পারলে অনেক জীবন বাঁচানো যাবে। সচেতনতা শুধু দিবসকেন্দ্রিক হলে চলবে না, প্রতিদিন এ নিয়ে কাজ করতে হবে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় হতে পারে। তাই সবার জানা জরুরি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী বলেন, ‘সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।’
কর্মশালায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, হাসপাতালটিতে নতুনভাবে ৫০ শয্যার আধুনিক আইসিইউ চালু করা হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এটি উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে হাসপাতালের ২০ শয্যার সিসিইউ এবং ২০ শয্যার এইচডিইউ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ষষ্ঠতলায় ২০ শয্যার এনআইসিইউ স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে।
মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১০০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন ৬০ জন রোগী ৪৭০ টাকায় সেবা পাচ্ছে, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। শিগগির আরও ৩০ শয্যা বাড়ানো হবে। নতুন ইউনিট চালু হলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০০ রোগী ডায়ালাইসিস সুবিধা পাবে।’ কুর্মিটোলা হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে গেছে বলেও জানান পরিচালক। ইতিমধ্যে অনলাইন রিপোর্টিং সেবা চালু হয়েছে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) সভাপতি আবু রেজা মো. কাউয়ুম খান, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক এবং সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। কিন্তু এ সময় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়া গেলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের সিপিআর সম্পর্কে ধারণা নেই। এ কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার বেশি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ হৃদ্রোগে মারা যায়। এর মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যায় প্রায় ৩ লাখ ২৪ হাজার। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো হার্টের বৈদ্যুতিক সংকেতে সমস্যার কারণে তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন (অ্যারিথমিয়া), যা হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং ব্যাহত করে। এই অবস্থায় সিপিআর দেওয়া গেলে অনেক রোগীর মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব বলে জানিয়েছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন।
সিপিআর একটি জরুরি চিকিৎসাপ্রক্রিয়া। কারও হৃৎস্পন্দন বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি দেখা দিলে এটি প্রয়োগ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বুকে চাপ দিয়ে ও প্রয়োজনে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে সাময়িকভাবে রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সচল রাখা হয়, যাতে মস্তিষ্ক ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কার্যকর থাকে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মহসীন আহমদ কর্মশালার মূল প্রবন্ধে বলেন, দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ জানে না কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর কী। ফলে হঠাৎ কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে নেওয়ার আগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাই সবার সিপিআর বিষয়ে প্রশিক্ষণ জরুরি।
সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে, তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী, মহাপরিচালক সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তর
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিফ ফিজিশিয়ান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক সৈয়দা সায়েদা আলেয়া সুলতানা বলেন, ‘হৃদ্রোগে আক্রান্তদের সাহায্যকারী বাড়াতে পারলে অনেক জীবন বাঁচানো যাবে। সচেতনতা শুধু দিবসকেন্দ্রিক হলে চলবে না, প্রতিদিন এ নিয়ে কাজ করতে হবে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় হতে পারে। তাই সবার জানা জরুরি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী বলেন, ‘সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।’
কর্মশালায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, হাসপাতালটিতে নতুনভাবে ৫০ শয্যার আধুনিক আইসিইউ চালু করা হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এটি উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে হাসপাতালের ২০ শয্যার সিসিইউ এবং ২০ শয্যার এইচডিইউ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ষষ্ঠতলায় ২০ শয্যার এনআইসিইউ স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে।
মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১০০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন ৬০ জন রোগী ৪৭০ টাকায় সেবা পাচ্ছে, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। শিগগির আরও ৩০ শয্যা বাড়ানো হবে। নতুন ইউনিট চালু হলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০০ রোগী ডায়ালাইসিস সুবিধা পাবে।’ কুর্মিটোলা হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে গেছে বলেও জানান পরিচালক। ইতিমধ্যে অনলাইন রিপোর্টিং সেবা চালু হয়েছে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) সভাপতি আবু রেজা মো. কাউয়ুম খান, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক এবং সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। কিন্তু এ সময় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়া গেলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের সিপিআর সম্পর্কে ধারণা নেই। এ কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার বেশি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়।
গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ হৃদ্রোগে মারা যায়। এর মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যায় প্রায় ৩ লাখ ২৪ হাজার। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো হার্টের বৈদ্যুতিক সংকেতে সমস্যার কারণে তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন (অ্যারিথমিয়া), যা হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং ব্যাহত করে। এই অবস্থায় সিপিআর দেওয়া গেলে অনেক রোগীর মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব বলে জানিয়েছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন।
সিপিআর একটি জরুরি চিকিৎসাপ্রক্রিয়া। কারও হৃৎস্পন্দন বন্ধ হওয়ার পরিস্থিতি দেখা দিলে এটি প্রয়োগ করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় বুকে চাপ দিয়ে ও প্রয়োজনে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে সাময়িকভাবে রক্ত ও অক্সিজেন সঞ্চালন সচল রাখা হয়, যাতে মস্তিষ্ক ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কার্যকর থাকে।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মহসীন আহমদ কর্মশালার মূল প্রবন্ধে বলেন, দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ জানে না কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর কী। ফলে হঠাৎ কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে নেওয়ার আগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাই সবার সিপিআর বিষয়ে প্রশিক্ষণ জরুরি।
সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে, তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী, মহাপরিচালক সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তর
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিফ ফিজিশিয়ান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক সৈয়দা সায়েদা আলেয়া সুলতানা বলেন, ‘হৃদ্রোগে আক্রান্তদের সাহায্যকারী বাড়াতে পারলে অনেক জীবন বাঁচানো যাবে। সচেতনতা শুধু দিবসকেন্দ্রিক হলে চলবে না, প্রতিদিন এ নিয়ে কাজ করতে হবে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় হতে পারে। তাই সবার জানা জরুরি।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. কাজী মো. রশিদ-উন-নবী বলেন, ‘সুস্থ জীবনের জন্য হৃৎপিণ্ডের যত্ন নিতে হবে। কার কখন কীভাবে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবে তা কেউ জানে না। তাই সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।’
কর্মশালায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. সায়েদুর রহমান জানান, হাসপাতালটিতে নতুনভাবে ৫০ শয্যার আধুনিক আইসিইউ চালু করা হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে এটি উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে হাসপাতালের ২০ শয্যার সিসিইউ এবং ২০ শয্যার এইচডিইউ চালু রয়েছে। এ ছাড়া ষষ্ঠতলায় ২০ শয্যার এনআইসিইউ স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে।
মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে ১০০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন ৬০ জন রোগী ৪৭০ টাকায় সেবা পাচ্ছে, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। শিগগির আরও ৩০ শয্যা বাড়ানো হবে। নতুন ইউনিট চালু হলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০০ রোগী ডায়ালাইসিস সুবিধা পাবে।’ কুর্মিটোলা হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটালাইজেশনে এগিয়ে গেছে বলেও জানান পরিচালক। ইতিমধ্যে অনলাইন রিপোর্টিং সেবা চালু হয়েছে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি, হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) সভাপতি আবু রেজা মো. কাউয়ুম খান, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক এবং সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে সারা দেশে ২০০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১ দিন আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
২ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে সারা দেশে ২০০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭২, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ছয়, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ২২৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এযাবৎ মোট ৯৪ হাজার ৬২৪ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৬ হাজার ৮২৭ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এযাবৎ ডেঙ্গুতে মোট ৩৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে সারা দেশে ২০০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭২, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ছয়, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ২২৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এযাবৎ মোট ৯৪ হাজার ৬২৪ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৬ হাজার ৮২৭ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এযাবৎ ডেঙ্গুতে মোট ৩৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। কিন্তু এ সময় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়া গেলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের সিপিআর সম্পর্কে ধারণা নেই। এ কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার বেশি
০১ অক্টোবর ২০২৫
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১ দিন আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
২ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতনবৈষম্য দূরীকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় সমবেত হয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন।
গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি প্রথম দুই দিন চলেছিল শহীদ মিনারে। পরে তাঁরা অবস্থান নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা।
এই কর্মসূচির কারণে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে টিকা নিতে এসে অনেক মা ও শিশু ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের এ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সেবা কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে টিকা নিতে এসে মা ও শিশুরা ফিরে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কর্মবিরতিতে যেতে তাঁরা চাননি। কিন্তু দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তাঁরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বারবার প্রতিশ্রুতির আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আমাদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করার সরকারি আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে বাধ্য হব।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের নানা বঞ্চনার চিত্রও তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা জানান, টিকাদানের আগে মাসজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নবজাতক ও গর্ভবতী মায়ের রেজিস্ট্রেশন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ, ডটস (সরাসরি পর্যবেক্ষণ থেরাপি) পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানো, উঠান বৈঠক, মা সমাবেশসহ বিভিন্ন সেবা তাঁরা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দেওয়ার পরও তাঁদের মাসিক ভ্রমণভাতা মাত্র ৬০০ টাকা। আর বেতন মোট ৯ হাজার ৭০০ টাকা।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমাধারীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া, ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, বেতনস্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) সম্পন্নকারীদের সমমান স্বীকৃতি প্রদান।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব ফজলুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনো বিশ্লেষণ শুরু হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ৬৪ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের দাবির বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ রয়েছে। সেখানে প্রক্রিয়াগতভাবে কিছুটা সময় লাগছে। গত তিন দিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছে। আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু ভালোভাবে সমাধান হবে।’

নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতনবৈষম্য দূরীকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় সমবেত হয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন।
গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি প্রথম দুই দিন চলেছিল শহীদ মিনারে। পরে তাঁরা অবস্থান নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা।
এই কর্মসূচির কারণে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে টিকা নিতে এসে অনেক মা ও শিশু ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের এ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সেবা কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে টিকা নিতে এসে মা ও শিশুরা ফিরে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কর্মবিরতিতে যেতে তাঁরা চাননি। কিন্তু দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তাঁরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বারবার প্রতিশ্রুতির আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আমাদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করার সরকারি আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে বাধ্য হব।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের নানা বঞ্চনার চিত্রও তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা জানান, টিকাদানের আগে মাসজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নবজাতক ও গর্ভবতী মায়ের রেজিস্ট্রেশন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ, ডটস (সরাসরি পর্যবেক্ষণ থেরাপি) পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানো, উঠান বৈঠক, মা সমাবেশসহ বিভিন্ন সেবা তাঁরা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দেওয়ার পরও তাঁদের মাসিক ভ্রমণভাতা মাত্র ৬০০ টাকা। আর বেতন মোট ৯ হাজার ৭০০ টাকা।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমাধারীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া, ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, বেতনস্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) সম্পন্নকারীদের সমমান স্বীকৃতি প্রদান।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব ফজলুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনো বিশ্লেষণ শুরু হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ৬৪ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের দাবির বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ রয়েছে। সেখানে প্রক্রিয়াগতভাবে কিছুটা সময় লাগছে। গত তিন দিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছে। আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু ভালোভাবে সমাধান হবে।’

হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। কিন্তু এ সময় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়া গেলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের সিপিআর সম্পর্কে ধারণা নেই। এ কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার বেশি
০১ অক্টোবর ২০২৫
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে সারা দেশে ২০০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
২ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। কিন্তু এ সময় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়া গেলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের সিপিআর সম্পর্কে ধারণা নেই। এ কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার বেশি
০১ অক্টোবর ২০২৫
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে সারা দেশে ২০০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
৩ দিন আগেমুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অন্যতম কারণ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ। কিন্তু এ সময় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়া গেলে অনেক জীবন রক্ষা করা সম্ভব। কিন্তু দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের সিপিআর সম্পর্কে ধারণা নেই। এ কারণে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যুর হার বেশি
০১ অক্টোবর ২০২৫
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে সারা দেশে ২০০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১ দিন আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
২ দিন আগে