
মার্চ ২৬, ১৯৫৩। আমেরিকান চিকিৎসক ও গবেষক জোনাস সাল্ক দেশের জাতীয় রেডিওর এক অনুষ্ঠানে দেন যুগান্তকরী সেই ঘোষণা। পলিওমিয়েলিটিসের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন এক টিকার সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তিনি। এই ভাইরাসই পোলিও রোগের জন্য দায়ী।
এই ঘোষণা আসার আগের বছর, অর্থাৎ ১৯৫২ সালে পোলিওর জন্য ছিল মহামারির বছর। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নতুন ৫৮ হাজার আক্রান্ত হয় এই রোগে, এদের মধ্যে মারা যায় ৩ হাজারের বেশি।
পোলিও এ সময় পরিচিতি পায় ‘ইনফ্যান্ট প্যারালাইসিস’ বা ‘শিশুদের পক্ষাঘাত’ নামে। কারণ এতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। আর এই রোগ নির্মূলে বড় ভূমিকা রাখায় ড. সাল্ক এ সময় ব্যাপক পরিচিতি পান।
ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে মানব জাতি আক্রান্ত হয়েছে পোলিওতে। স্নায়ুকে আক্রমণ করে পক্ষাঘাতসহ শরীরের নানা অংশ অবশ করে দেয় রোগটি। আর একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। তাই বিশ শতকের প্রথম দশকে পোলিও মহামারি অতি সাধারণ এক ঘটনায় পরিণত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বড় পোলিও মহামারি আঘাত হানে ১৮৯৪ সালের গ্রীষ্মে, ভারমন্টে। ওই সময় কোয়ারেন্টিন আর বিখ্যাত আয়রন-লাঙেই (শ্বাস নিতে সাহায্য করে এমন কফিনের মতো দেখতে যন্ত্র) সীমাবদ্ধ ছিল চিকিৎসা।
যদিও শিশু, বিশেষ করে নবজাতকেরা সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত ছিল রোগটিতে, প্রাপ্তবয়স্করাও বাদ যেতেন না। যেমন পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট ১৯২১ সালে ৩৯ বছর বয়সে আক্রান্ত হন রোগটিতে। পরে রুজভেল্ট ‘ওয়ার্ম স্প্রাংসে’ তাঁর নিজের জমিতে পোলিও রোগীদের চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলেন। শুধু তাই নয়, রোগটির প্রতিষেধক তৈরিতে গবেষণা এবং চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহেও বড় ভূমিকা রাখেন।
১৯১৪ সালে নিউইয়র্কে জন্ম নেওয়া সাল্ক ভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ১৯৩০-এর দশকে। তখন তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে মেডিকেলের শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্লুর প্রতিষেধকের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। ১৯৪৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের একটি গবেষণা পরীক্ষাগারের প্রধান হন। ১৯৪৮ সালে পোলিও ভাইরাস নিয়ে গবেষণা এবং প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টার জন্য বৃত্তি পান। ১৯৫০ সালের দিকে পোলিও ভ্যাকসিনের প্রাথমিক একটি সংস্করণ তৈরিতে সফল হোন।
সাল্কের আগে অবশ্য আরও অনেকেই চেষ্টা করেন ভাইরাসটির প্রতিষেধক তৈরিতে। মোটামুটি কাছাকাছি পৌঁছেও ১৯৩০-এর দশকে আমেরিকান মরিস ব্রডির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সাল্ক প্রথম মানুষের ওপর পরীক্ষা চালান ভাইরাসটির। এটি তিনি চালান একসময় পোলিও আক্রান্ত হয়েছিল এমন মানুষদের এবং নিজের ও তাঁর পরিবারের ওপর। ১৯৫৩ সালে নিজের সাফল্যের বিষয়টি মানুষের সামনে প্রকাশ করার পর্যায়ে পৌঁছে যেন। আর এটি করেন সিবিএস ন্যাশনাল রেডিও নেটওয়ার্কে। দুই দিন পর অবশ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি জার্নালেও এ বিষয়ে একটি লেখা প্রকাশিত হয়।
১৯৫৪ সালে এই টিকার পরীক্ষাগার প্রয়োগ শুরু হয়। এ সময় আমেরিকার স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়। ১৯৫৫ সালে এই টিকা কার্যকর এবং নিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা দেন ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ড. টমাস ফ্রান্সিস, ১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল। টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন তিনি।
তারপর গোটা দেশে প্রচার ও প্রয়োগ শুরু হয়। এ সময়ই পশ্চিম ও মধ্য-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রে বড় একটা সমস্যা তৈরি হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলের একটি গবেষণাগারের তৈরি ত্রুটিপূর্ণ প্রতিষেধক দেওয়া হয় ২ লাখের বেশি মানুষকে। এ ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষ পোলিও আক্রান্ত হয়। ২০০ শিক্ষার্থীর পক্ষাঘাত দেখা দেয় এবং ১০ জন মারা যায়।
এ ঘটনা টিকাটি তৈরিতে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করে। তবে এই টিকা সহজপ্রাপ্য হওয়ার প্রথম বছরে, ১৯৫৭ সালে নতুন পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা নেমে আসে ৬ হাজারের নিচে। ১৯৬২ সালে পোলিশ-আমেরিকান গবেষক আলবার্ট সাবিন মুখ দিয়ে খাওয়া যায় এমন একটি পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন। এতে প্রতিষেধকটি আরও বেশি সহজলভ্য হয়। এদিকে তাঁর পোলিও টিকার জন্য রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যাওয়া জোনাস সাল্ক অন্যান্য সম্মাননার সঙ্গে লাভ করেন প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম। সেটা ১৯৭৭ সালের ঘটনা। ১৯৯৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার লা জালায় মারা যান তিনি।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, উইকিপিডিয়া

মার্চ ২৬, ১৯৫৩। আমেরিকান চিকিৎসক ও গবেষক জোনাস সাল্ক দেশের জাতীয় রেডিওর এক অনুষ্ঠানে দেন যুগান্তকরী সেই ঘোষণা। পলিওমিয়েলিটিসের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন এক টিকার সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তিনি। এই ভাইরাসই পোলিও রোগের জন্য দায়ী।
এই ঘোষণা আসার আগের বছর, অর্থাৎ ১৯৫২ সালে পোলিওর জন্য ছিল মহামারির বছর। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নতুন ৫৮ হাজার আক্রান্ত হয় এই রোগে, এদের মধ্যে মারা যায় ৩ হাজারের বেশি।
পোলিও এ সময় পরিচিতি পায় ‘ইনফ্যান্ট প্যারালাইসিস’ বা ‘শিশুদের পক্ষাঘাত’ নামে। কারণ এতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। আর এই রোগ নির্মূলে বড় ভূমিকা রাখায় ড. সাল্ক এ সময় ব্যাপক পরিচিতি পান।
ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে মানব জাতি আক্রান্ত হয়েছে পোলিওতে। স্নায়ুকে আক্রমণ করে পক্ষাঘাতসহ শরীরের নানা অংশ অবশ করে দেয় রোগটি। আর একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। তাই বিশ শতকের প্রথম দশকে পোলিও মহামারি অতি সাধারণ এক ঘটনায় পরিণত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বড় পোলিও মহামারি আঘাত হানে ১৮৯৪ সালের গ্রীষ্মে, ভারমন্টে। ওই সময় কোয়ারেন্টিন আর বিখ্যাত আয়রন-লাঙেই (শ্বাস নিতে সাহায্য করে এমন কফিনের মতো দেখতে যন্ত্র) সীমাবদ্ধ ছিল চিকিৎসা।
যদিও শিশু, বিশেষ করে নবজাতকেরা সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত ছিল রোগটিতে, প্রাপ্তবয়স্করাও বাদ যেতেন না। যেমন পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট ১৯২১ সালে ৩৯ বছর বয়সে আক্রান্ত হন রোগটিতে। পরে রুজভেল্ট ‘ওয়ার্ম স্প্রাংসে’ তাঁর নিজের জমিতে পোলিও রোগীদের চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলেন। শুধু তাই নয়, রোগটির প্রতিষেধক তৈরিতে গবেষণা এবং চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহেও বড় ভূমিকা রাখেন।
১৯১৪ সালে নিউইয়র্কে জন্ম নেওয়া সাল্ক ভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ১৯৩০-এর দশকে। তখন তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে মেডিকেলের শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্লুর প্রতিষেধকের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। ১৯৪৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের একটি গবেষণা পরীক্ষাগারের প্রধান হন। ১৯৪৮ সালে পোলিও ভাইরাস নিয়ে গবেষণা এবং প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টার জন্য বৃত্তি পান। ১৯৫০ সালের দিকে পোলিও ভ্যাকসিনের প্রাথমিক একটি সংস্করণ তৈরিতে সফল হোন।
সাল্কের আগে অবশ্য আরও অনেকেই চেষ্টা করেন ভাইরাসটির প্রতিষেধক তৈরিতে। মোটামুটি কাছাকাছি পৌঁছেও ১৯৩০-এর দশকে আমেরিকান মরিস ব্রডির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সাল্ক প্রথম মানুষের ওপর পরীক্ষা চালান ভাইরাসটির। এটি তিনি চালান একসময় পোলিও আক্রান্ত হয়েছিল এমন মানুষদের এবং নিজের ও তাঁর পরিবারের ওপর। ১৯৫৩ সালে নিজের সাফল্যের বিষয়টি মানুষের সামনে প্রকাশ করার পর্যায়ে পৌঁছে যেন। আর এটি করেন সিবিএস ন্যাশনাল রেডিও নেটওয়ার্কে। দুই দিন পর অবশ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি জার্নালেও এ বিষয়ে একটি লেখা প্রকাশিত হয়।
১৯৫৪ সালে এই টিকার পরীক্ষাগার প্রয়োগ শুরু হয়। এ সময় আমেরিকার স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়। ১৯৫৫ সালে এই টিকা কার্যকর এবং নিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা দেন ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ড. টমাস ফ্রান্সিস, ১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল। টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন তিনি।
তারপর গোটা দেশে প্রচার ও প্রয়োগ শুরু হয়। এ সময়ই পশ্চিম ও মধ্য-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রে বড় একটা সমস্যা তৈরি হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলের একটি গবেষণাগারের তৈরি ত্রুটিপূর্ণ প্রতিষেধক দেওয়া হয় ২ লাখের বেশি মানুষকে। এ ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষ পোলিও আক্রান্ত হয়। ২০০ শিক্ষার্থীর পক্ষাঘাত দেখা দেয় এবং ১০ জন মারা যায়।
এ ঘটনা টিকাটি তৈরিতে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করে। তবে এই টিকা সহজপ্রাপ্য হওয়ার প্রথম বছরে, ১৯৫৭ সালে নতুন পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা নেমে আসে ৬ হাজারের নিচে। ১৯৬২ সালে পোলিশ-আমেরিকান গবেষক আলবার্ট সাবিন মুখ দিয়ে খাওয়া যায় এমন একটি পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন। এতে প্রতিষেধকটি আরও বেশি সহজলভ্য হয়। এদিকে তাঁর পোলিও টিকার জন্য রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যাওয়া জোনাস সাল্ক অন্যান্য সম্মাননার সঙ্গে লাভ করেন প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম। সেটা ১৯৭৭ সালের ঘটনা। ১৯৯৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার লা জালায় মারা যান তিনি।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, উইকিপিডিয়া

মার্চ ২৬, ১৯৫৩। আমেরিকান চিকিৎসক ও গবেষক জোনাস সাল্ক দেশের জাতীয় রেডিওর এক অনুষ্ঠানে দেন যুগান্তকরী সেই ঘোষণা। পলিওমিয়েলিটিসের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন এক টিকার সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তিনি। এই ভাইরাসই পোলিও রোগের জন্য দায়ী।
এই ঘোষণা আসার আগের বছর, অর্থাৎ ১৯৫২ সালে পোলিওর জন্য ছিল মহামারির বছর। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নতুন ৫৮ হাজার আক্রান্ত হয় এই রোগে, এদের মধ্যে মারা যায় ৩ হাজারের বেশি।
পোলিও এ সময় পরিচিতি পায় ‘ইনফ্যান্ট প্যারালাইসিস’ বা ‘শিশুদের পক্ষাঘাত’ নামে। কারণ এতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। আর এই রোগ নির্মূলে বড় ভূমিকা রাখায় ড. সাল্ক এ সময় ব্যাপক পরিচিতি পান।
ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে মানব জাতি আক্রান্ত হয়েছে পোলিওতে। স্নায়ুকে আক্রমণ করে পক্ষাঘাতসহ শরীরের নানা অংশ অবশ করে দেয় রোগটি। আর একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। তাই বিশ শতকের প্রথম দশকে পোলিও মহামারি অতি সাধারণ এক ঘটনায় পরিণত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বড় পোলিও মহামারি আঘাত হানে ১৮৯৪ সালের গ্রীষ্মে, ভারমন্টে। ওই সময় কোয়ারেন্টিন আর বিখ্যাত আয়রন-লাঙেই (শ্বাস নিতে সাহায্য করে এমন কফিনের মতো দেখতে যন্ত্র) সীমাবদ্ধ ছিল চিকিৎসা।
যদিও শিশু, বিশেষ করে নবজাতকেরা সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত ছিল রোগটিতে, প্রাপ্তবয়স্করাও বাদ যেতেন না। যেমন পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট ১৯২১ সালে ৩৯ বছর বয়সে আক্রান্ত হন রোগটিতে। পরে রুজভেল্ট ‘ওয়ার্ম স্প্রাংসে’ তাঁর নিজের জমিতে পোলিও রোগীদের চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলেন। শুধু তাই নয়, রোগটির প্রতিষেধক তৈরিতে গবেষণা এবং চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহেও বড় ভূমিকা রাখেন।
১৯১৪ সালে নিউইয়র্কে জন্ম নেওয়া সাল্ক ভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ১৯৩০-এর দশকে। তখন তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে মেডিকেলের শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্লুর প্রতিষেধকের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। ১৯৪৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের একটি গবেষণা পরীক্ষাগারের প্রধান হন। ১৯৪৮ সালে পোলিও ভাইরাস নিয়ে গবেষণা এবং প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টার জন্য বৃত্তি পান। ১৯৫০ সালের দিকে পোলিও ভ্যাকসিনের প্রাথমিক একটি সংস্করণ তৈরিতে সফল হোন।
সাল্কের আগে অবশ্য আরও অনেকেই চেষ্টা করেন ভাইরাসটির প্রতিষেধক তৈরিতে। মোটামুটি কাছাকাছি পৌঁছেও ১৯৩০-এর দশকে আমেরিকান মরিস ব্রডির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সাল্ক প্রথম মানুষের ওপর পরীক্ষা চালান ভাইরাসটির। এটি তিনি চালান একসময় পোলিও আক্রান্ত হয়েছিল এমন মানুষদের এবং নিজের ও তাঁর পরিবারের ওপর। ১৯৫৩ সালে নিজের সাফল্যের বিষয়টি মানুষের সামনে প্রকাশ করার পর্যায়ে পৌঁছে যেন। আর এটি করেন সিবিএস ন্যাশনাল রেডিও নেটওয়ার্কে। দুই দিন পর অবশ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি জার্নালেও এ বিষয়ে একটি লেখা প্রকাশিত হয়।
১৯৫৪ সালে এই টিকার পরীক্ষাগার প্রয়োগ শুরু হয়। এ সময় আমেরিকার স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়। ১৯৫৫ সালে এই টিকা কার্যকর এবং নিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা দেন ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ড. টমাস ফ্রান্সিস, ১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল। টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন তিনি।
তারপর গোটা দেশে প্রচার ও প্রয়োগ শুরু হয়। এ সময়ই পশ্চিম ও মধ্য-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রে বড় একটা সমস্যা তৈরি হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলের একটি গবেষণাগারের তৈরি ত্রুটিপূর্ণ প্রতিষেধক দেওয়া হয় ২ লাখের বেশি মানুষকে। এ ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষ পোলিও আক্রান্ত হয়। ২০০ শিক্ষার্থীর পক্ষাঘাত দেখা দেয় এবং ১০ জন মারা যায়।
এ ঘটনা টিকাটি তৈরিতে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করে। তবে এই টিকা সহজপ্রাপ্য হওয়ার প্রথম বছরে, ১৯৫৭ সালে নতুন পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা নেমে আসে ৬ হাজারের নিচে। ১৯৬২ সালে পোলিশ-আমেরিকান গবেষক আলবার্ট সাবিন মুখ দিয়ে খাওয়া যায় এমন একটি পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন। এতে প্রতিষেধকটি আরও বেশি সহজলভ্য হয়। এদিকে তাঁর পোলিও টিকার জন্য রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যাওয়া জোনাস সাল্ক অন্যান্য সম্মাননার সঙ্গে লাভ করেন প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম। সেটা ১৯৭৭ সালের ঘটনা। ১৯৯৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার লা জালায় মারা যান তিনি।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, উইকিপিডিয়া

মার্চ ২৬, ১৯৫৩। আমেরিকান চিকিৎসক ও গবেষক জোনাস সাল্ক দেশের জাতীয় রেডিওর এক অনুষ্ঠানে দেন যুগান্তকরী সেই ঘোষণা। পলিওমিয়েলিটিসের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন এক টিকার সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তিনি। এই ভাইরাসই পোলিও রোগের জন্য দায়ী।
এই ঘোষণা আসার আগের বছর, অর্থাৎ ১৯৫২ সালে পোলিওর জন্য ছিল মহামারির বছর। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নতুন ৫৮ হাজার আক্রান্ত হয় এই রোগে, এদের মধ্যে মারা যায় ৩ হাজারের বেশি।
পোলিও এ সময় পরিচিতি পায় ‘ইনফ্যান্ট প্যারালাইসিস’ বা ‘শিশুদের পক্ষাঘাত’ নামে। কারণ এতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। আর এই রোগ নির্মূলে বড় ভূমিকা রাখায় ড. সাল্ক এ সময় ব্যাপক পরিচিতি পান।
ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে মানব জাতি আক্রান্ত হয়েছে পোলিওতে। স্নায়ুকে আক্রমণ করে পক্ষাঘাতসহ শরীরের নানা অংশ অবশ করে দেয় রোগটি। আর একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। তাই বিশ শতকের প্রথম দশকে পোলিও মহামারি অতি সাধারণ এক ঘটনায় পরিণত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বড় পোলিও মহামারি আঘাত হানে ১৮৯৪ সালের গ্রীষ্মে, ভারমন্টে। ওই সময় কোয়ারেন্টিন আর বিখ্যাত আয়রন-লাঙেই (শ্বাস নিতে সাহায্য করে এমন কফিনের মতো দেখতে যন্ত্র) সীমাবদ্ধ ছিল চিকিৎসা।
যদিও শিশু, বিশেষ করে নবজাতকেরা সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত ছিল রোগটিতে, প্রাপ্তবয়স্করাও বাদ যেতেন না। যেমন পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়া ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট ১৯২১ সালে ৩৯ বছর বয়সে আক্রান্ত হন রোগটিতে। পরে রুজভেল্ট ‘ওয়ার্ম স্প্রাংসে’ তাঁর নিজের জমিতে পোলিও রোগীদের চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলেন। শুধু তাই নয়, রোগটির প্রতিষেধক তৈরিতে গবেষণা এবং চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহেও বড় ভূমিকা রাখেন।
১৯১৪ সালে নিউইয়র্কে জন্ম নেওয়া সাল্ক ভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ১৯৩০-এর দশকে। তখন তিনি নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে মেডিকেলের শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্লুর প্রতিষেধকের উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। ১৯৪৭ সালে ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গের একটি গবেষণা পরীক্ষাগারের প্রধান হন। ১৯৪৮ সালে পোলিও ভাইরাস নিয়ে গবেষণা এবং প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টার জন্য বৃত্তি পান। ১৯৫০ সালের দিকে পোলিও ভ্যাকসিনের প্রাথমিক একটি সংস্করণ তৈরিতে সফল হোন।
সাল্কের আগে অবশ্য আরও অনেকেই চেষ্টা করেন ভাইরাসটির প্রতিষেধক তৈরিতে। মোটামুটি কাছাকাছি পৌঁছেও ১৯৩০-এর দশকে আমেরিকান মরিস ব্রডির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। সাল্ক প্রথম মানুষের ওপর পরীক্ষা চালান ভাইরাসটির। এটি তিনি চালান একসময় পোলিও আক্রান্ত হয়েছিল এমন মানুষদের এবং নিজের ও তাঁর পরিবারের ওপর। ১৯৫৩ সালে নিজের সাফল্যের বিষয়টি মানুষের সামনে প্রকাশ করার পর্যায়ে পৌঁছে যেন। আর এটি করেন সিবিএস ন্যাশনাল রেডিও নেটওয়ার্কে। দুই দিন পর অবশ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি জার্নালেও এ বিষয়ে একটি লেখা প্রকাশিত হয়।
১৯৫৪ সালে এই টিকার পরীক্ষাগার প্রয়োগ শুরু হয়। এ সময় আমেরিকার স্কুল শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়। ১৯৫৫ সালে এই টিকা কার্যকর এবং নিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা দেন ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ড. টমাস ফ্রান্সিস, ১৯৫৫ সালের ১২ এপ্রিল। টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন তিনি।
তারপর গোটা দেশে প্রচার ও প্রয়োগ শুরু হয়। এ সময়ই পশ্চিম ও মধ্য-পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রে বড় একটা সমস্যা তৈরি হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলের একটি গবেষণাগারের তৈরি ত্রুটিপূর্ণ প্রতিষেধক দেওয়া হয় ২ লাখের বেশি মানুষকে। এ ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষ পোলিও আক্রান্ত হয়। ২০০ শিক্ষার্থীর পক্ষাঘাত দেখা দেয় এবং ১০ জন মারা যায়।
এ ঘটনা টিকাটি তৈরিতে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করে। তবে এই টিকা সহজপ্রাপ্য হওয়ার প্রথম বছরে, ১৯৫৭ সালে নতুন পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা নেমে আসে ৬ হাজারের নিচে। ১৯৬২ সালে পোলিশ-আমেরিকান গবেষক আলবার্ট সাবিন মুখ দিয়ে খাওয়া যায় এমন একটি পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন। এতে প্রতিষেধকটি আরও বেশি সহজলভ্য হয়। এদিকে তাঁর পোলিও টিকার জন্য রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যাওয়া জোনাস সাল্ক অন্যান্য সম্মাননার সঙ্গে লাভ করেন প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম। সেটা ১৯৭৭ সালের ঘটনা। ১৯৯৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার লা জালায় মারা যান তিনি।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, উইকিপিডিয়া

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ফলাফল স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় পাস করা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৬৪২ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ১২৮ জন এবং নারী পরীক্ষার্থী ৫০ হাজার ৫১৪ জন। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৬৪৫ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ, আটটি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটসমূহের ৫ হাজার ৬৪৫টি আসনের জন্য নির্বাচিত নারী পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৬০৩ জন ও পুরুষ পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৪২ জন।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র ও ৪৯টি ভেন্যুতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি; যার মধ্যে এমবিবিএসের ৫ হাজার ১০০ ও বিডিএসের ৫৪৫টি।
বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে আসনসংখ্যা ৭ হাজার ৩৬১টি; যার মধ্যে এমবিসিএসের ৬ হাজার ১ ও বিডিএসের ১ হাজার ৩৬০টি। মোট ১৩ হাজার ৬টি আসনের বিপরীতে এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন। ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ২০ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

আমেরিকান চিকিৎসক ও গবেষক জোনাস সাল্ক ১৯৫৩ সালের ২৬ মার্চ রেডিওর এক অনুষ্ঠানে দেন যুগান্তকরী এক ঘোষণা। পোলিও টিকার সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণা আসার আগের বছর, অর্থাৎ ১৯৫২ সালে পোলিওর জন্য ছিল মহামারির বছর।
২৬ মার্চ ২০২৩
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

আমেরিকান চিকিৎসক ও গবেষক জোনাস সাল্ক ১৯৫৩ সালের ২৬ মার্চ রেডিওর এক অনুষ্ঠানে দেন যুগান্তকরী এক ঘোষণা। পোলিও টিকার সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণা আসার আগের বছর, অর্থাৎ ১৯৫২ সালে পোলিওর জন্য ছিল মহামারির বছর।
২৬ মার্চ ২০২৩
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

আমেরিকান চিকিৎসক ও গবেষক জোনাস সাল্ক ১৯৫৩ সালের ২৬ মার্চ রেডিওর এক অনুষ্ঠানে দেন যুগান্তকরী এক ঘোষণা। পোলিও টিকার সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণা আসার আগের বছর, অর্থাৎ ১৯৫২ সালে পোলিওর জন্য ছিল মহামারির বছর।
২৬ মার্চ ২০২৩
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
২ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

আমেরিকান চিকিৎসক ও গবেষক জোনাস সাল্ক ১৯৫৩ সালের ২৬ মার্চ রেডিওর এক অনুষ্ঠানে দেন যুগান্তকরী এক ঘোষণা। পোলিও টিকার সফল পরীক্ষা চালিয়েছেন তিনি। এই ঘোষণা আসার আগের বছর, অর্থাৎ ১৯৫২ সালে পোলিওর জন্য ছিল মহামারির বছর।
২৬ মার্চ ২০২৩
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ও ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হার ৬৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯১ দশমিক ২৫।
৬ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
২ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
২ দিন আগে