ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর হিন্দুপল্লীতে আগুন— এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, গাছপালা পরিবেষ্টিত কয়েকটি ঘর জ্বলছে। এছাড়া ভিডিওটিতে ‘ফারজানা, ‘ফারজানা’ ডাকতে শোনা যায়। সেটির ক্যাপশনে লেখা, ‘বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর হিন্দুপল্লীতে আগুন ঠিক ১৯৭১ সালের মত। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মের মানুষেরা সরতর্ক থাকুন।’ একই দাবিতে ভিডিওটি ইউটিউব ও এক্সেও পোস্ট করা হয়েছে।
মো. নজরুল ইসলাম (Md Nazrul Islam) নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে পোস্ট করা ভিডিওটি বেশি ভাইরাল। এই পোস্টে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩৪৭টি রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং ভিডিওটি ৪০ হাজারের বেশি দেখা হয়েছে। এছাড়া সাড়ে তিনশর বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি শেয়ার এবং একশর বেশি অ্যাকাউন্ট থেকে কমেন্ট করা হয়েছে। এসব কমেন্টে কোনো কোনো অ্যাকাউন্ট এটাকে ‘গুজব’ বলছে। আবার সত্য মনে করেও কিছু কিছু অ্যাকাউন্ট মন্তব্য করেছে। বিশ্বজিত চৌধুরী রাজীব নামে একটি অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি’। আশিকুর রহমান (Ashikur Rahman) নামের অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘দুঃখ জনক’।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে অনলাইন গণমাধ্যম ঢাকা পোস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই দৃশ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি গতকাল বুধবার প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাগেরহাটে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় হামলা ও পাল্টা হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন এবং সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এই দুই পক্ষের মধ্যে গতকাল পাল্টাপাল্টি হামলা হয়। এই হামলায় রুহুল আমিন ও তার ৭ ভাইয়ের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়।
নিউজ টুয়েন্টিফোরের ওয়েবসাইটে গতকাল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও একই ছবিসহ একই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন এবং যমুনা টেলিভিশনেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এসব প্রতিবেদনের কোথাও কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বী হতাহত হয়েছেন কিংবা তাঁদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে— এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।
একই ঘটনা নিয়ে গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাতেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বিষয়টির সম্পর্কে আরও জানতে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের পক্ষ থেকে আজকের পত্রিকার বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি এস এস শোহানের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বীর কারও বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়নি। সবাই মুসলিম ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিনের মধ্যে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটে। কুলিয়াদাইড় গ্রামে মূলত আট জনের বসতঘর পোড়ানো হয়েছে। সেই সাথে এসব পরিবারের খড়ের গাদা, গবাদিপশুর গোয়াল, হাঁস-মুরগি রাখার ঘরও পুড়িয়েছে হামলাকারীরা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সম্পর্কে পরস্পর ভাই। তারা হচ্ছেন, কুলিয়াদাইড় গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান শেখের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে রুহুল মেম্বার, রেজাউল করিম ওরফে রেজা মেম্বার, ফজলুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, নজু শেখ, নুরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান।’
বাগেরহাট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল আরিফ আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘বাগেরহাটে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে অগ্নিসংযোগ ঘটনাটি বিএনপির দুই পক্ষের আন্তঃকোন্দলের কারণে ঘটেছে। এখানে হিন্দুধর্মাবলম্বীর কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হননি। বিষয়টি গুজব।’
সুতরাং, গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাগেরহাটে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে কোনো হিন্দু বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। এই দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ওই গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন তাঁদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়, যারা সবাই মুসলিম।
বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর হিন্দুপল্লীতে আগুন— এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, গাছপালা পরিবেষ্টিত কয়েকটি ঘর জ্বলছে। এছাড়া ভিডিওটিতে ‘ফারজানা, ‘ফারজানা’ ডাকতে শোনা যায়। সেটির ক্যাপশনে লেখা, ‘বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর হিন্দুপল্লীতে আগুন ঠিক ১৯৭১ সালের মত। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মের মানুষেরা সরতর্ক থাকুন।’ একই দাবিতে ভিডিওটি ইউটিউব ও এক্সেও পোস্ট করা হয়েছে।
মো. নজরুল ইসলাম (Md Nazrul Islam) নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে পোস্ট করা ভিডিওটি বেশি ভাইরাল। এই পোস্টে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩৪৭টি রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং ভিডিওটি ৪০ হাজারের বেশি দেখা হয়েছে। এছাড়া সাড়ে তিনশর বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি শেয়ার এবং একশর বেশি অ্যাকাউন্ট থেকে কমেন্ট করা হয়েছে। এসব কমেন্টে কোনো কোনো অ্যাকাউন্ট এটাকে ‘গুজব’ বলছে। আবার সত্য মনে করেও কিছু কিছু অ্যাকাউন্ট মন্তব্য করেছে। বিশ্বজিত চৌধুরী রাজীব নামে একটি অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি’। আশিকুর রহমান (Ashikur Rahman) নামের অ্যাকাউন্ট লিখেছে, ‘দুঃখ জনক’।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে অনলাইন গণমাধ্যম ঢাকা পোস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই দৃশ্য পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি গতকাল বুধবার প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাগেরহাটে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় হামলা ও পাল্টা হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন এবং সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মধ্যে প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এই দুই পক্ষের মধ্যে গতকাল পাল্টাপাল্টি হামলা হয়। এই হামলায় রুহুল আমিন ও তার ৭ ভাইয়ের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়।
নিউজ টুয়েন্টিফোরের ওয়েবসাইটে গতকাল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও একই ছবিসহ একই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন এবং যমুনা টেলিভিশনেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এসব প্রতিবেদনের কোথাও কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বী হতাহত হয়েছেন কিংবা তাঁদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে— এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।
একই ঘটনা নিয়ে গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাতেও একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বিষয়টির সম্পর্কে আরও জানতে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের পক্ষ থেকে আজকের পত্রিকার বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি এস এস শোহানের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। সেখানে কোনো হিন্দু ধর্মাবলম্বীর কারও বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়নি। সবাই মুসলিম ছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিনের মধ্যে বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটে। কুলিয়াদাইড় গ্রামে মূলত আট জনের বসতঘর পোড়ানো হয়েছে। সেই সাথে এসব পরিবারের খড়ের গাদা, গবাদিপশুর গোয়াল, হাঁস-মুরগি রাখার ঘরও পুড়িয়েছে হামলাকারীরা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সম্পর্কে পরস্পর ভাই। তারা হচ্ছেন, কুলিয়াদাইড় গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান শেখের ছেলে রুহুল আমিন ওরফে রুহুল মেম্বার, রেজাউল করিম ওরফে রেজা মেম্বার, ফজলুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, নজু শেখ, নুরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান।’
বাগেরহাট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল আরিফ আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে বলেন, ‘বাগেরহাটে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে অগ্নিসংযোগ ঘটনাটি বিএনপির দুই পক্ষের আন্তঃকোন্দলের কারণে ঘটেছে। এখানে হিন্দুধর্মাবলম্বীর কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হননি। বিষয়টি গুজব।’
সুতরাং, গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাগেরহাটে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কুলিয়াদাইড় গ্রামে কোনো হিন্দু বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেনি। এই দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ওই গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন তাঁদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়, যারা সবাই মুসলিম।
মনোজ কুমার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন— এমন একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা, ‘অভিনেতার পাশাপাশি তিনি এখন একজন কাস্টমস অফিসার! বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা তে কর্মরত আছেন!’
১৫ ঘণ্টা আগেমাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে একটি ধানের ওপর ধান লাগানো থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার নকশা করা হয়েছে— এই দাবিতে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘এটা একটা ধান যার উপরে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে, ধান লাগানো থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত সকল প্রসেস নকশা করা হয়েছ
১৯ ঘণ্টা আগেদেশে মোটরসাইকেলের সিসি লিমিট ৬০০ পর্যন্ত করা হয়েছে— এমন দাবিতে একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘কংগ্রাচুলেশনস বাংলাদেশ। ৬০০ সিসি কনফার্মড! ৩৭৫–৫৯৯ সিসি পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শিঘ্রই গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
১ দিন আগেপরীক্ষার আগে অভিভাবকেরা সাধারণত ডিম খেতে নিষেধ করেন। এটি বহু দিন ধরে প্রচলিত একটি ধারণা। ধারণা করা হয়, পরীক্ষার আগে ডিম খেলে মাথা গুলিয়ে যাবে, কেউ কেউ আবার ডিমের আকারের সঙ্গে পরীক্ষার নম্বরের সম্পর্ক আছে মনে করেন! এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন সময় পোস্ট হতে দেখা গেছে।
২ দিন আগে