ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

এক দিন পর শুরু হচ্ছে মাঘ মাস। আর পৌষ শেষ হচ্ছে শীতের প্রচণ্ড দাপটে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে চলছে শৈত্যপ্রবাহ, যা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশে চলমান শীতের এই দাপটের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে গোসল করা না করা নিয়ে আলোচনা। ফেসবুকে ১০ জানুয়ারি ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ শীর্ষক ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দাবি করা হচ্ছে, ‘প্রতিদিন গোসল করলে আমাদের শরীরে থাকা ভালো কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়, যার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই দুই থেকে তিন দিন পর পর গোসল করা উচিত।’ প্রতিদিন গোসল করা আসলেই কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? এই পরামর্শ কি সবার জন্যই প্রযোজ্য?
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন জানায়, অভিজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। দ্বন্দ্ব থাকলেও প্রতিদিন গোসল করা নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা একমত পোষণ করেন। প্রথমত, প্রতিদিন গোসল আবশ্যক নয়। আবার এতে ক্ষতিও নেই। যদি কেউ ঘর্মাক্ত, নোংরা বা অপরিষ্কার বোধ করেন, তবে এসব ক্ষেত্রে প্রতিদিন গোসলে কোনো সমস্যা নেই। গোসল করার বিষয়টি মূলত নির্ভর করে শারীরিক অনুভূতির ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জয়েস পার্ক প্রতিদিন গোসল করা প্রয়োজন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, গোসলের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। তাই সবার জন্য এক সমাধান দেওয়া যাবে না। গোসলের প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে মূলত ব্যক্তির ত্বক ও চুলের ধরন, কী পরিমাণ ঘামছে অথবা শরীর কতটুকু নোংরা হয়েছে, তার ওপর। তবে জয়েস পার্ক বলেন, খুব ঘন ঘন গোসল ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি আরও খারাপ করে দিতে পারে।

নিউইয়র্ক শহরের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মারিসা গারশিক একই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কেউ কেউ প্রতিদিন গোসলে সাবান ব্যবহারে উপকার পান। উদাহরণস্বরূপ কেউ যদি প্রচুর ঘামেন, সেই ঘাম থেকে পরিচ্ছন্ন হতে গোসল করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন গোসল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নেভারাস্কা—লিংকনের হেলথ সেন্টারের ওয়েবসাইটে বলা হয়, এর উত্তর ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। ত্বকের অবস্থার ওপর নির্ভর করে ঘন ঘন গোসল করা প্রয়োজন কি না। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, কারও ত্বক যদি শুষ্ক হয় এবং চর্মরোগ থাকে, তাহলে তাঁর প্রতিদিন গোসল প্রয়োজন নেই। অপরদিকে যদি ত্বক তৈলাক্ত হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি ঘন ঘন গোসল করতে পারে। যদি কারও ব্রণের সমস্যা থাকে, তবে তার প্রতিদিন বা দিনে কয়েকবার গোসল করা এবং মুখ ধোয়া উচিত।
ওয়েবসাইটটিতে আরও বলা হয়, প্রতিদিন গোসল করা ব্যক্তির পছন্দের ওপরও নির্ভর করে। যদি কেউ প্রতিদিন গোসলে স্বচ্ছন্দ বোধ করে, তাহলে তাঁর সেটাই করা উচিত। কেউ চাইলে গোসল থেকে কয়েক দিন বিরতও থাকতে পারে। তবে সেটা যেন দুই থেকে তিন দিনের বেশি না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় দ্য ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির ওয়েক্সনার মেডিকেল সেন্টার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ মানুষ প্রতিদিনই গোসল করে। আবার কোনো কোনো দেশে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার বা তার চেয়ে কম গোসল করে। অনেক সময় এটি অভ্যাস এবং আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কারণ, প্রতিদিনের গোসল মানুষকে সতেজতা দেয়, শরীরের গন্ধ এড়াতে এবং পেশি শিথিলতায় সাহায্য করে। একই সঙ্গে ওয়েবসাইটটিতে প্রতিদিন গোসল করা এবং না করার প্রভাব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটটি জানায়, ঘন ঘন গোসলের ফলে ত্বক শুষ্ক এবং চুলকানিযুক্ত হয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে যদি গোসলে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা হয়। আবার ঘন ঘন গোসল না করলে কারও কারও ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেউ যদি দৈনিক গোসলে অভ্যস্ত হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত গোসল করতে পারে। এটি সম্ভবত বেশির ভাগ মানুষের জন্যই ভালো। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার গোসল করাও সম্ভবত স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশের জন্যও ভালো। সর্বোপরি, গোসল করার সময় নিয়ে কোনো সর্বসম্মত মত নেই।
একই মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংও। গোসল করার আদর্শ কোনো সময় নেই। বিশেষজ্ঞরা অধিকাংশ ব্যক্তির জন্য সপ্তাহে একাধিকবার গোসল করার পরামর্শ দেন। যদি না ওই ব্যক্তি ঘর্মাক্ত, নোংরা বোধ করেন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক সংবাদ ও তথ্য প্রকাশকারী আমেরিকান করপোরেশন ওয়েব এমডিও এমন প্রশ্নের উত্তরে জানায়, অনেক চিকিৎসক প্রতিদিন গোসল করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এর উত্তর ব্যক্তির ত্বক ও তাঁর জীবনযাপনের ওপর নির্ভর করে। কেউ যদি তীব্র গরমে দীর্ঘক্ষণ কাজ করে, দৌড়ায় বা মোটরবাইক চালায়—এমন ব্যক্তির গোসলের প্রয়োজনীয়তা শীতল পরিবেশ বা গৃহাভ্যন্তরে কাজ করা ব্যক্তির চেয়ে বেশি। আবার কোনো কোনো ব্যক্তির জন্য স্বাস্থ্য রক্ষায় সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার গোসলেই যথেষ্ট।
উল্লিখিত বিষয়গুলো ছাড়াও ওয়েব এমডি জানায়, প্রতিদিনের গোসলের পেছনে আরও কিছু বিষয় কাজ করে। কারও যদি নির্দিষ্ট কোনো অ্যালার্জিজনিত সমস্যা বা বিশেষ করে ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে ঘন ঘন গোসল করাই ভালো। আবার ত্বকের কিছু নির্দিষ্ট অবস্থার জন্য ব্যক্তিভেদে গোসলের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হতে পারে।
ওয়েস্ট সাইড মাউন্ট সিনাই ডার্মাটোলজি ফ্যাকাল্টি প্র্যাকটিসের ডিরেক্টর ড. অ্যাঞ্জেলা ল্যাম্ব যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টুডেকে বলেন, গোসলের নির্দিষ্ট সময় নিয়ে বাস্তব কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এটি বেশির ভাগই ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। তবে দিনে একাধিকবার গোসল করা উচিত নয়।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গোন হেলথের চর্মরোগের সহযোগী অধ্যাপক ডার্মাটোলজিক্যাল সার্জন মেরি স্টিভেনসনও সংবাদমাধ্যমটিকে একই মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, কারও কত ঘন ঘন গোসল করা উচিত, তা ওই ব্যক্তির ত্বক, বয়স, কাজের ধরনসহ অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, কারও প্রতি দুই থেকে তিন দিনে গোসল বা নিজেকে পরিষ্কার করা উচিত। তবে কোনো ব্যক্তি যদি এমন কাজে যুক্ত থাকেন, যেখানে তিনি প্রচুর ঘামছেন, তবে তাঁকে আরও ঘন ঘন গোসল করতে হতে পারে।
ওপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট, ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ এই তথ্য সবার জন্য ঢালাওভাবে প্রযোজ্য নয়। গোসলের নির্দিষ্ট সময় নিয়ে বাস্তব কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। আবার ঘন ঘন গোসলের অপকার যেমন আছে, তেমনি ঘন ঘন গোসল না করারও ক্ষতি আছে।
সর্বোপরি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তির পেশা, জীবনযাপনের ধরনসহ নানা কারণে একজন ব্যক্তিকে দৈনিক গোসল করতে হতে পারে।

এক দিন পর শুরু হচ্ছে মাঘ মাস। আর পৌষ শেষ হচ্ছে শীতের প্রচণ্ড দাপটে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে চলছে শৈত্যপ্রবাহ, যা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশে চলমান শীতের এই দাপটের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে গোসল করা না করা নিয়ে আলোচনা। ফেসবুকে ১০ জানুয়ারি ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ শীর্ষক ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দাবি করা হচ্ছে, ‘প্রতিদিন গোসল করলে আমাদের শরীরে থাকা ভালো কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়, যার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই দুই থেকে তিন দিন পর পর গোসল করা উচিত।’ প্রতিদিন গোসল করা আসলেই কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? এই পরামর্শ কি সবার জন্যই প্রযোজ্য?
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন জানায়, অভিজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। দ্বন্দ্ব থাকলেও প্রতিদিন গোসল করা নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা একমত পোষণ করেন। প্রথমত, প্রতিদিন গোসল আবশ্যক নয়। আবার এতে ক্ষতিও নেই। যদি কেউ ঘর্মাক্ত, নোংরা বা অপরিষ্কার বোধ করেন, তবে এসব ক্ষেত্রে প্রতিদিন গোসলে কোনো সমস্যা নেই। গোসল করার বিষয়টি মূলত নির্ভর করে শারীরিক অনুভূতির ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জয়েস পার্ক প্রতিদিন গোসল করা প্রয়োজন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, গোসলের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। তাই সবার জন্য এক সমাধান দেওয়া যাবে না। গোসলের প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে মূলত ব্যক্তির ত্বক ও চুলের ধরন, কী পরিমাণ ঘামছে অথবা শরীর কতটুকু নোংরা হয়েছে, তার ওপর। তবে জয়েস পার্ক বলেন, খুব ঘন ঘন গোসল ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি আরও খারাপ করে দিতে পারে।

নিউইয়র্ক শহরের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মারিসা গারশিক একই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কেউ কেউ প্রতিদিন গোসলে সাবান ব্যবহারে উপকার পান। উদাহরণস্বরূপ কেউ যদি প্রচুর ঘামেন, সেই ঘাম থেকে পরিচ্ছন্ন হতে গোসল করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন গোসল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নেভারাস্কা—লিংকনের হেলথ সেন্টারের ওয়েবসাইটে বলা হয়, এর উত্তর ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। ত্বকের অবস্থার ওপর নির্ভর করে ঘন ঘন গোসল করা প্রয়োজন কি না। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, কারও ত্বক যদি শুষ্ক হয় এবং চর্মরোগ থাকে, তাহলে তাঁর প্রতিদিন গোসল প্রয়োজন নেই। অপরদিকে যদি ত্বক তৈলাক্ত হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি ঘন ঘন গোসল করতে পারে। যদি কারও ব্রণের সমস্যা থাকে, তবে তার প্রতিদিন বা দিনে কয়েকবার গোসল করা এবং মুখ ধোয়া উচিত।
ওয়েবসাইটটিতে আরও বলা হয়, প্রতিদিন গোসল করা ব্যক্তির পছন্দের ওপরও নির্ভর করে। যদি কেউ প্রতিদিন গোসলে স্বচ্ছন্দ বোধ করে, তাহলে তাঁর সেটাই করা উচিত। কেউ চাইলে গোসল থেকে কয়েক দিন বিরতও থাকতে পারে। তবে সেটা যেন দুই থেকে তিন দিনের বেশি না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় দ্য ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির ওয়েক্সনার মেডিকেল সেন্টার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ মানুষ প্রতিদিনই গোসল করে। আবার কোনো কোনো দেশে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার বা তার চেয়ে কম গোসল করে। অনেক সময় এটি অভ্যাস এবং আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কারণ, প্রতিদিনের গোসল মানুষকে সতেজতা দেয়, শরীরের গন্ধ এড়াতে এবং পেশি শিথিলতায় সাহায্য করে। একই সঙ্গে ওয়েবসাইটটিতে প্রতিদিন গোসল করা এবং না করার প্রভাব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটটি জানায়, ঘন ঘন গোসলের ফলে ত্বক শুষ্ক এবং চুলকানিযুক্ত হয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে যদি গোসলে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা হয়। আবার ঘন ঘন গোসল না করলে কারও কারও ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেউ যদি দৈনিক গোসলে অভ্যস্ত হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত গোসল করতে পারে। এটি সম্ভবত বেশির ভাগ মানুষের জন্যই ভালো। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার গোসল করাও সম্ভবত স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশের জন্যও ভালো। সর্বোপরি, গোসল করার সময় নিয়ে কোনো সর্বসম্মত মত নেই।
একই মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংও। গোসল করার আদর্শ কোনো সময় নেই। বিশেষজ্ঞরা অধিকাংশ ব্যক্তির জন্য সপ্তাহে একাধিকবার গোসল করার পরামর্শ দেন। যদি না ওই ব্যক্তি ঘর্মাক্ত, নোংরা বোধ করেন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক সংবাদ ও তথ্য প্রকাশকারী আমেরিকান করপোরেশন ওয়েব এমডিও এমন প্রশ্নের উত্তরে জানায়, অনেক চিকিৎসক প্রতিদিন গোসল করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এর উত্তর ব্যক্তির ত্বক ও তাঁর জীবনযাপনের ওপর নির্ভর করে। কেউ যদি তীব্র গরমে দীর্ঘক্ষণ কাজ করে, দৌড়ায় বা মোটরবাইক চালায়—এমন ব্যক্তির গোসলের প্রয়োজনীয়তা শীতল পরিবেশ বা গৃহাভ্যন্তরে কাজ করা ব্যক্তির চেয়ে বেশি। আবার কোনো কোনো ব্যক্তির জন্য স্বাস্থ্য রক্ষায় সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার গোসলেই যথেষ্ট।
উল্লিখিত বিষয়গুলো ছাড়াও ওয়েব এমডি জানায়, প্রতিদিনের গোসলের পেছনে আরও কিছু বিষয় কাজ করে। কারও যদি নির্দিষ্ট কোনো অ্যালার্জিজনিত সমস্যা বা বিশেষ করে ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে ঘন ঘন গোসল করাই ভালো। আবার ত্বকের কিছু নির্দিষ্ট অবস্থার জন্য ব্যক্তিভেদে গোসলের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হতে পারে।
ওয়েস্ট সাইড মাউন্ট সিনাই ডার্মাটোলজি ফ্যাকাল্টি প্র্যাকটিসের ডিরেক্টর ড. অ্যাঞ্জেলা ল্যাম্ব যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টুডেকে বলেন, গোসলের নির্দিষ্ট সময় নিয়ে বাস্তব কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এটি বেশির ভাগই ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। তবে দিনে একাধিকবার গোসল করা উচিত নয়।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গোন হেলথের চর্মরোগের সহযোগী অধ্যাপক ডার্মাটোলজিক্যাল সার্জন মেরি স্টিভেনসনও সংবাদমাধ্যমটিকে একই মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, কারও কত ঘন ঘন গোসল করা উচিত, তা ওই ব্যক্তির ত্বক, বয়স, কাজের ধরনসহ অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, কারও প্রতি দুই থেকে তিন দিনে গোসল বা নিজেকে পরিষ্কার করা উচিত। তবে কোনো ব্যক্তি যদি এমন কাজে যুক্ত থাকেন, যেখানে তিনি প্রচুর ঘামছেন, তবে তাঁকে আরও ঘন ঘন গোসল করতে হতে পারে।
ওপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট, ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ এই তথ্য সবার জন্য ঢালাওভাবে প্রযোজ্য নয়। গোসলের নির্দিষ্ট সময় নিয়ে বাস্তব কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। আবার ঘন ঘন গোসলের অপকার যেমন আছে, তেমনি ঘন ঘন গোসল না করারও ক্ষতি আছে।
সর্বোপরি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তির পেশা, জীবনযাপনের ধরনসহ নানা কারণে একজন ব্যক্তিকে দৈনিক গোসল করতে হতে পারে।
ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

এক দিন পর শুরু হচ্ছে মাঘ মাস। আর পৌষ শেষ হচ্ছে শীতের প্রচণ্ড দাপটে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে চলছে শৈত্যপ্রবাহ, যা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশে চলমান শীতের এই দাপটের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে গোসল করা না করা নিয়ে আলোচনা। ফেসবুকে ১০ জানুয়ারি ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ শীর্ষক ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দাবি করা হচ্ছে, ‘প্রতিদিন গোসল করলে আমাদের শরীরে থাকা ভালো কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়, যার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই দুই থেকে তিন দিন পর পর গোসল করা উচিত।’ প্রতিদিন গোসল করা আসলেই কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? এই পরামর্শ কি সবার জন্যই প্রযোজ্য?
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন জানায়, অভিজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। দ্বন্দ্ব থাকলেও প্রতিদিন গোসল করা নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা একমত পোষণ করেন। প্রথমত, প্রতিদিন গোসল আবশ্যক নয়। আবার এতে ক্ষতিও নেই। যদি কেউ ঘর্মাক্ত, নোংরা বা অপরিষ্কার বোধ করেন, তবে এসব ক্ষেত্রে প্রতিদিন গোসলে কোনো সমস্যা নেই। গোসল করার বিষয়টি মূলত নির্ভর করে শারীরিক অনুভূতির ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জয়েস পার্ক প্রতিদিন গোসল করা প্রয়োজন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, গোসলের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। তাই সবার জন্য এক সমাধান দেওয়া যাবে না। গোসলের প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে মূলত ব্যক্তির ত্বক ও চুলের ধরন, কী পরিমাণ ঘামছে অথবা শরীর কতটুকু নোংরা হয়েছে, তার ওপর। তবে জয়েস পার্ক বলেন, খুব ঘন ঘন গোসল ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি আরও খারাপ করে দিতে পারে।

নিউইয়র্ক শহরের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মারিসা গারশিক একই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কেউ কেউ প্রতিদিন গোসলে সাবান ব্যবহারে উপকার পান। উদাহরণস্বরূপ কেউ যদি প্রচুর ঘামেন, সেই ঘাম থেকে পরিচ্ছন্ন হতে গোসল করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন গোসল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নেভারাস্কা—লিংকনের হেলথ সেন্টারের ওয়েবসাইটে বলা হয়, এর উত্তর ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। ত্বকের অবস্থার ওপর নির্ভর করে ঘন ঘন গোসল করা প্রয়োজন কি না। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, কারও ত্বক যদি শুষ্ক হয় এবং চর্মরোগ থাকে, তাহলে তাঁর প্রতিদিন গোসল প্রয়োজন নেই। অপরদিকে যদি ত্বক তৈলাক্ত হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি ঘন ঘন গোসল করতে পারে। যদি কারও ব্রণের সমস্যা থাকে, তবে তার প্রতিদিন বা দিনে কয়েকবার গোসল করা এবং মুখ ধোয়া উচিত।
ওয়েবসাইটটিতে আরও বলা হয়, প্রতিদিন গোসল করা ব্যক্তির পছন্দের ওপরও নির্ভর করে। যদি কেউ প্রতিদিন গোসলে স্বচ্ছন্দ বোধ করে, তাহলে তাঁর সেটাই করা উচিত। কেউ চাইলে গোসল থেকে কয়েক দিন বিরতও থাকতে পারে। তবে সেটা যেন দুই থেকে তিন দিনের বেশি না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় দ্য ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির ওয়েক্সনার মেডিকেল সেন্টার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ মানুষ প্রতিদিনই গোসল করে। আবার কোনো কোনো দেশে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার বা তার চেয়ে কম গোসল করে। অনেক সময় এটি অভ্যাস এবং আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কারণ, প্রতিদিনের গোসল মানুষকে সতেজতা দেয়, শরীরের গন্ধ এড়াতে এবং পেশি শিথিলতায় সাহায্য করে। একই সঙ্গে ওয়েবসাইটটিতে প্রতিদিন গোসল করা এবং না করার প্রভাব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটটি জানায়, ঘন ঘন গোসলের ফলে ত্বক শুষ্ক এবং চুলকানিযুক্ত হয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে যদি গোসলে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা হয়। আবার ঘন ঘন গোসল না করলে কারও কারও ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেউ যদি দৈনিক গোসলে অভ্যস্ত হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত গোসল করতে পারে। এটি সম্ভবত বেশির ভাগ মানুষের জন্যই ভালো। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার গোসল করাও সম্ভবত স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশের জন্যও ভালো। সর্বোপরি, গোসল করার সময় নিয়ে কোনো সর্বসম্মত মত নেই।
একই মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংও। গোসল করার আদর্শ কোনো সময় নেই। বিশেষজ্ঞরা অধিকাংশ ব্যক্তির জন্য সপ্তাহে একাধিকবার গোসল করার পরামর্শ দেন। যদি না ওই ব্যক্তি ঘর্মাক্ত, নোংরা বোধ করেন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক সংবাদ ও তথ্য প্রকাশকারী আমেরিকান করপোরেশন ওয়েব এমডিও এমন প্রশ্নের উত্তরে জানায়, অনেক চিকিৎসক প্রতিদিন গোসল করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এর উত্তর ব্যক্তির ত্বক ও তাঁর জীবনযাপনের ওপর নির্ভর করে। কেউ যদি তীব্র গরমে দীর্ঘক্ষণ কাজ করে, দৌড়ায় বা মোটরবাইক চালায়—এমন ব্যক্তির গোসলের প্রয়োজনীয়তা শীতল পরিবেশ বা গৃহাভ্যন্তরে কাজ করা ব্যক্তির চেয়ে বেশি। আবার কোনো কোনো ব্যক্তির জন্য স্বাস্থ্য রক্ষায় সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার গোসলেই যথেষ্ট।
উল্লিখিত বিষয়গুলো ছাড়াও ওয়েব এমডি জানায়, প্রতিদিনের গোসলের পেছনে আরও কিছু বিষয় কাজ করে। কারও যদি নির্দিষ্ট কোনো অ্যালার্জিজনিত সমস্যা বা বিশেষ করে ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে ঘন ঘন গোসল করাই ভালো। আবার ত্বকের কিছু নির্দিষ্ট অবস্থার জন্য ব্যক্তিভেদে গোসলের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হতে পারে।
ওয়েস্ট সাইড মাউন্ট সিনাই ডার্মাটোলজি ফ্যাকাল্টি প্র্যাকটিসের ডিরেক্টর ড. অ্যাঞ্জেলা ল্যাম্ব যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টুডেকে বলেন, গোসলের নির্দিষ্ট সময় নিয়ে বাস্তব কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এটি বেশির ভাগই ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। তবে দিনে একাধিকবার গোসল করা উচিত নয়।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গোন হেলথের চর্মরোগের সহযোগী অধ্যাপক ডার্মাটোলজিক্যাল সার্জন মেরি স্টিভেনসনও সংবাদমাধ্যমটিকে একই মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, কারও কত ঘন ঘন গোসল করা উচিত, তা ওই ব্যক্তির ত্বক, বয়স, কাজের ধরনসহ অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, কারও প্রতি দুই থেকে তিন দিনে গোসল বা নিজেকে পরিষ্কার করা উচিত। তবে কোনো ব্যক্তি যদি এমন কাজে যুক্ত থাকেন, যেখানে তিনি প্রচুর ঘামছেন, তবে তাঁকে আরও ঘন ঘন গোসল করতে হতে পারে।
ওপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট, ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ এই তথ্য সবার জন্য ঢালাওভাবে প্রযোজ্য নয়। গোসলের নির্দিষ্ট সময় নিয়ে বাস্তব কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। আবার ঘন ঘন গোসলের অপকার যেমন আছে, তেমনি ঘন ঘন গোসল না করারও ক্ষতি আছে।
সর্বোপরি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তির পেশা, জীবনযাপনের ধরনসহ নানা কারণে একজন ব্যক্তিকে দৈনিক গোসল করতে হতে পারে।

এক দিন পর শুরু হচ্ছে মাঘ মাস। আর পৌষ শেষ হচ্ছে শীতের প্রচণ্ড দাপটে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে চলছে শৈত্যপ্রবাহ, যা কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশে চলমান শীতের এই দাপটের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে গোসল করা না করা নিয়ে আলোচনা। ফেসবুকে ১০ জানুয়ারি ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ শীর্ষক ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দাবি করা হচ্ছে, ‘প্রতিদিন গোসল করলে আমাদের শরীরে থাকা ভালো কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়, যার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই দুই থেকে তিন দিন পর পর গোসল করা উচিত।’ প্রতিদিন গোসল করা আসলেই কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? এই পরামর্শ কি সবার জন্যই প্রযোজ্য?
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইন জানায়, অভিজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। দ্বন্দ্ব থাকলেও প্রতিদিন গোসল করা নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা একমত পোষণ করেন। প্রথমত, প্রতিদিন গোসল আবশ্যক নয়। আবার এতে ক্ষতিও নেই। যদি কেউ ঘর্মাক্ত, নোংরা বা অপরিষ্কার বোধ করেন, তবে এসব ক্ষেত্রে প্রতিদিন গোসলে কোনো সমস্যা নেই। গোসল করার বিষয়টি মূলত নির্ভর করে শারীরিক অনুভূতির ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জয়েস পার্ক প্রতিদিন গোসল করা প্রয়োজন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, গোসলের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। তাই সবার জন্য এক সমাধান দেওয়া যাবে না। গোসলের প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে মূলত ব্যক্তির ত্বক ও চুলের ধরন, কী পরিমাণ ঘামছে অথবা শরীর কতটুকু নোংরা হয়েছে, তার ওপর। তবে জয়েস পার্ক বলেন, খুব ঘন ঘন গোসল ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি আরও খারাপ করে দিতে পারে।

নিউইয়র্ক শহরের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মারিসা গারশিক একই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কেউ কেউ প্রতিদিন গোসলে সাবান ব্যবহারে উপকার পান। উদাহরণস্বরূপ কেউ যদি প্রচুর ঘামেন, সেই ঘাম থেকে পরিচ্ছন্ন হতে গোসল করা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন গোসল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নেভারাস্কা—লিংকনের হেলথ সেন্টারের ওয়েবসাইটে বলা হয়, এর উত্তর ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। ত্বকের অবস্থার ওপর নির্ভর করে ঘন ঘন গোসল করা প্রয়োজন কি না। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, কারও ত্বক যদি শুষ্ক হয় এবং চর্মরোগ থাকে, তাহলে তাঁর প্রতিদিন গোসল প্রয়োজন নেই। অপরদিকে যদি ত্বক তৈলাক্ত হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি ঘন ঘন গোসল করতে পারে। যদি কারও ব্রণের সমস্যা থাকে, তবে তার প্রতিদিন বা দিনে কয়েকবার গোসল করা এবং মুখ ধোয়া উচিত।
ওয়েবসাইটটিতে আরও বলা হয়, প্রতিদিন গোসল করা ব্যক্তির পছন্দের ওপরও নির্ভর করে। যদি কেউ প্রতিদিন গোসলে স্বচ্ছন্দ বোধ করে, তাহলে তাঁর সেটাই করা উচিত। কেউ চাইলে গোসল থেকে কয়েক দিন বিরতও থাকতে পারে। তবে সেটা যেন দুই থেকে তিন দিনের বেশি না হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় দ্য ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির ওয়েক্সনার মেডিকেল সেন্টার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ মানুষ প্রতিদিনই গোসল করে। আবার কোনো কোনো দেশে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার বা তার চেয়ে কম গোসল করে। অনেক সময় এটি অভ্যাস এবং আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কারণ, প্রতিদিনের গোসল মানুষকে সতেজতা দেয়, শরীরের গন্ধ এড়াতে এবং পেশি শিথিলতায় সাহায্য করে। একই সঙ্গে ওয়েবসাইটটিতে প্রতিদিন গোসল করা এবং না করার প্রভাব নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটটি জানায়, ঘন ঘন গোসলের ফলে ত্বক শুষ্ক এবং চুলকানিযুক্ত হয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে যদি গোসলে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা হয়। আবার ঘন ঘন গোসল না করলে কারও কারও ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেউ যদি দৈনিক গোসলে অভ্যস্ত হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত গোসল করতে পারে। এটি সম্ভবত বেশির ভাগ মানুষের জন্যই ভালো। প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার গোসল করাও সম্ভবত স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশের জন্যও ভালো। সর্বোপরি, গোসল করার সময় নিয়ে কোনো সর্বসম্মত মত নেই।
একই মত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংও। গোসল করার আদর্শ কোনো সময় নেই। বিশেষজ্ঞরা অধিকাংশ ব্যক্তির জন্য সপ্তাহে একাধিকবার গোসল করার পরামর্শ দেন। যদি না ওই ব্যক্তি ঘর্মাক্ত, নোংরা বোধ করেন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক সংবাদ ও তথ্য প্রকাশকারী আমেরিকান করপোরেশন ওয়েব এমডিও এমন প্রশ্নের উত্তরে জানায়, অনেক চিকিৎসক প্রতিদিন গোসল করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এর উত্তর ব্যক্তির ত্বক ও তাঁর জীবনযাপনের ওপর নির্ভর করে। কেউ যদি তীব্র গরমে দীর্ঘক্ষণ কাজ করে, দৌড়ায় বা মোটরবাইক চালায়—এমন ব্যক্তির গোসলের প্রয়োজনীয়তা শীতল পরিবেশ বা গৃহাভ্যন্তরে কাজ করা ব্যক্তির চেয়ে বেশি। আবার কোনো কোনো ব্যক্তির জন্য স্বাস্থ্য রক্ষায় সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার গোসলেই যথেষ্ট।
উল্লিখিত বিষয়গুলো ছাড়াও ওয়েব এমডি জানায়, প্রতিদিনের গোসলের পেছনে আরও কিছু বিষয় কাজ করে। কারও যদি নির্দিষ্ট কোনো অ্যালার্জিজনিত সমস্যা বা বিশেষ করে ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে ঘন ঘন গোসল করাই ভালো। আবার ত্বকের কিছু নির্দিষ্ট অবস্থার জন্য ব্যক্তিভেদে গোসলের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হতে পারে।
ওয়েস্ট সাইড মাউন্ট সিনাই ডার্মাটোলজি ফ্যাকাল্টি প্র্যাকটিসের ডিরেক্টর ড. অ্যাঞ্জেলা ল্যাম্ব যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টুডেকে বলেন, গোসলের নির্দিষ্ট সময় নিয়ে বাস্তব কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এটি বেশির ভাগই ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। তবে দিনে একাধিকবার গোসল করা উচিত নয়।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাঙ্গোন হেলথের চর্মরোগের সহযোগী অধ্যাপক ডার্মাটোলজিক্যাল সার্জন মেরি স্টিভেনসনও সংবাদমাধ্যমটিকে একই মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, কারও কত ঘন ঘন গোসল করা উচিত, তা ওই ব্যক্তির ত্বক, বয়স, কাজের ধরনসহ অনেকগুলো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, কারও প্রতি দুই থেকে তিন দিনে গোসল বা নিজেকে পরিষ্কার করা উচিত। তবে কোনো ব্যক্তি যদি এমন কাজে যুক্ত থাকেন, যেখানে তিনি প্রচুর ঘামছেন, তবে তাঁকে আরও ঘন ঘন গোসল করতে হতে পারে।
ওপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট, ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ এই তথ্য সবার জন্য ঢালাওভাবে প্রযোজ্য নয়। গোসলের নির্দিষ্ট সময় নিয়ে বাস্তব কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। আবার ঘন ঘন গোসলের অপকার যেমন আছে, তেমনি ঘন ঘন গোসল না করারও ক্ষতি আছে।
সর্বোপরি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তির পেশা, জীবনযাপনের ধরনসহ নানা কারণে একজন ব্যক্তিকে দৈনিক গোসল করতে হতে পারে।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া ফটোকার্ড।
আজকের পত্রিকা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, এই ধরনের কোনো খবর আজকের পত্রিকাতে কখনোই প্রকাশিত হয়নি। ফটোকার্ডটিতে আজকের পত্রিকার লোগো ব্যবহার করা হলেও এর ভেতরের খবর ও শিরোনাম সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
আজকের পত্রিকা সর্বদা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বর্তমান সময়ে এ ধরনের ভুয়া ফটোকার্ড ও খবর নিয়ে পাঠকদের সচেতনতা জরুরি। যেকোনো সন্দেহজনক খবর যাচাই করার জন্য অনুরোধ রইল।

ফেসবুকে ১০ জানুয়ারি ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ শীর্ষক ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন গোসল করা আসলেই কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর? এই পরামর্শ কি সবার জন্যই প্রযোজ্য? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
১৩ জানুয়ারি ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতে রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এই ভিডিও শেয়ার করে দাবি করছেন, একটি সিসিটিভি ফুটেজ। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ এলাকার। ওই ব্যক্তি দেশীয় মদ পান করে মাতাল হয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তিনি এতটা মাতাল ছিলেন যে বাঘকেও মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। বাঘ অবশ্য তাঁর হাতে মদ্যপানে রাজি হয়নি! পরে ওই বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগ। বাঘটি ওই ব্যক্তির কোনো ক্ষতি করেনি।

ভিডিওটি দেখে অনেকেই বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন—কেউ বিশ্বাস করেছেন, এটি বাস্তব কোনো ঘটনা; কেউ আবার মনে করছেন, এটি নিছকই কৃত্রিম ভিডিও। কিন্তু সত্যিটা কী? দ্য কুইন্টের সাংবাদিক অভিষেক আনন্দ ও ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা বুম বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বুম ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে এ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করেছে, কিন্তু কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর তারা সরাসরি মধ্যপ্রদেশের সেওনি জেলার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে। দ্য কুইন্ট ও বুমকে সেওনি জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—তাদের জানামতে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, ভিডিওটির সঙ্গে পেঞ্চ এলাকার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি আরও ব্যাখ্যা দেন, বনের বাঘের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠভাবে মানুষের যোগাযোগ সম্ভব নয়, যদি না বাঘটিকে বন্দী করে দীর্ঘদিন ধরে পোষ মানানো হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বনের বাঘ কখনো এমন আচরণ করে না, এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।’
ভিডিওর সন্দেহজনক দিক বা ভিজ্যুয়াল অসংগতি
বুম ভিডিওটির একটি উচ্চমানের সংস্করণ সংগ্রহ করে তাতে কিছু অস্বাভাবিক দিক লক্ষ করে। দেখা যায়, ভিডিওটির পটভূমির দৃশ্যে কিছু অস্পষ্ট বস্তু নড়াচড়া করছে, যা বাস্তব ভিডিওর মতো স্বাভাবিক নয়।
বাঘের মাথায় হাত রাখা ব্যক্তির আঙুলগুলো বিকৃতভাবে বাঁকানো, যেন সফটওয়্যারে তৈরি কৃত্রিম ছায়া। এমনকি হাতে থাকা বোতলের মুখ কখনো দেখা যায়, আবার মিলিয়ে যায়—এই ভিজ্যুয়াল অসংগতিগুলো ইঙ্গিত দেয়, এটি ধারণকৃত কোনো ফুটেজ নয়। সব মিলিয়ে ভিডিওটির একাধিক ফ্রেমে গ্রাফিক বিকৃতি স্পষ্ট।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিশ্লেষণ
এরপর ভিডিওটি পরীক্ষা করা হয় ডিপফেক-ও-মিটার নামের একটি উন্নত টুলে। এটি তৈরি করেছে ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর মিডিয়া ফরেনসিকস ল্যাব। এই টুল ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করে দেখায়, এতে ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক নির্মাণের চিহ্ন’ রয়েছে।

এরপর বুম তাদের অংশীদার ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিটের সাহায্য নেয়। তারা ভিডিওটি পরীক্ষা করে ‘Is It AI’ এবং ‘AI Or Not’—নামক দুটি আলাদা টুলে। উভয় টুলের বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিডিওটি এআই দিয়ে নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৬৯ শতাংশ।
এই ফলাফল অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিডিওর মানুষের সঙ্গে প্রাণীর মিথস্ক্রিয়া এবং আলো-ছায়ার ত্রুটি স্পষ্ট করে দিচ্ছে এটি আসল নয়, বরং জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বানানো একটি দৃশ্য।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ব্যবহারকারী এটিকে সত্যি বলে বিশ্বাস করেছেন। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওর ওই ব্যক্তির নাম রাজু পাতিল। ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি একজন দিনমজুর। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাস্তায় বাঘটিকে আদর করছিলেন এবং আশ্চর্যজনকভাবে অক্ষত অবস্থায় রয়ে গেছেন।
একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ টুলের ফলাফল এবং প্রশাসনিক যাচাই মিলিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ভিডিওটি বাস্তব নয়, বরং এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি একটি কৃত্রিম দৃশ্য। পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের উপপরিচালক রাজনীশ সিংহও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এই ভিডিওর কোনো অংশই পেঞ্চের নয়। এটি সম্পূর্ণ ভুয়া।’

ফেসবুকে ১০ জানুয়ারি ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ শীর্ষক ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন গোসল করা আসলেই কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর? এই পরামর্শ কি সবার জন্যই প্রযোজ্য? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
১৩ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
ভারতের সংবাদমাধ্যমটি গতকাল এক প্রতিবেদনে দাবি করে, পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জাকে এমন একটি পতাকা উপহার দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস, যেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সিএ ফ্যাক্ট চেক জানায়, প্রকৃতপক্ষে অধ্যাপক ইউনূস উপহার দিয়েছেন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ নামে একটি চিত্রসংকলন—যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আঁকা রঙিন গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্র সংকলিত হয়েছে।
‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একটি সচিত্র দলিল, যেখানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে উঠেছে।
গ্রাফিতি সংকলনের প্রচ্ছদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাইদের পিছনে রক্তরাঙ্গা বাংলাদেশের মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
প্রচ্ছদে দৃশ্যমান মানচিত্রটি গ্রাফিতি হিসেবে অঙ্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের মূল মানচিত্রের পরিমাপের কিছুটা হেরফের হয়েছে বলে কারো কাছে মনে হতে পারে। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের কোনো অংশ গ্রাফিতি মানচিত্রটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে দাবি করাটা সম্পূর্ণ অসত্য এবং কল্পনাপ্রসূত। বাংলাদেশের মানচিত্রের সাথে উল্লেখিত গ্রাফিতিতে দৃশ্যমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অঙ্কিত মানচিত্রটিতে বাংলাদেশের প্রকৃত মানচিত্র প্রায় হুবহুভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এর আগেও একই গ্রাফিতি সংকলন ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ জাতিসংঘের মহাসচিব, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের উপহার দিয়েছেন।

ফেসবুকে ১০ জানুয়ারি ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ শীর্ষক ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন গোসল করা আসলেই কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর? এই পরামর্শ কি সবার জন্যই প্রযোজ্য? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
১৩ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
১৩ আগস্ট ২০২৫ফ্যাক্টচেক ডেস্ক

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আক্রমণ করে হত্যা করেছে।
ভিডিওটি টিকটক, ফেসবুক এবং এক্সে ভাইরাল হয়েছে। তবে, একাধিক ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং এর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ভিডিওতে যা দেখানো হয়েছে
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটিতে দেখা যায়, একজন তরুণী একটি অরকার পিঠে দাঁড়িয়ে নাচছেন। দর্শকেরা তখন উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অরকাটি ওই তরুণীকে আক্রমণ করে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি শেয়ার করা অনেক ব্যবহারকারী দাবি করেছেন, পানির নিচে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।
ঘটনা বা প্রশিক্ষকের কোনো প্রমাণ নেই
ভিডিওটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া সত্ত্বেও, জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে একজন প্রশিক্ষক অরকার আক্রমণে মারা গেছেন—এই দাবির পক্ষে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ, মেরিন পার্ক এবং প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের অস্তিত্ব বা এমন কোনো ঘটনার রেকর্ড খুঁজে পায়নি। দ্য স্টার পত্রিকার মতে, ভিডিওটি কাল্পনিক; এমনকি ভিডিওতে থাকা কণ্ঠস্বরগুলোও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যান্য প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এমন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধরনের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়, এই ঘটনায় তার কোনোটিই পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ভিডিওর মধ্যে পানির অস্বাভাবিক গতিবিধি এবং অদ্ভুত বিরতিও নিশ্চিত করে যে এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ভিডিওতে যে পার্কের নাম বলা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।

সম্পূর্ণভাবে এআই-নির্মিত
ফোর্বস ম্যাগাজিন ক্লিপটিকে ‘একটি প্রতারণা’ বলে চিহ্নিত করেছে। তারা উল্লেখ করেছে, এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা যদি সত্যিই ঘটতো, তাহলে তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হতো। ভিডিওর দৃশ্য এবং শব্দ সম্ভবত চাঞ্চল্যকর প্রভাব তৈরির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, এই গল্পের চরিত্র এবং নাম কোনো যাচাইযোগ্য রেকর্ডের সঙ্গে মেলে না। ফলে বলা যেতে পারে যে, পুরো গল্পটি বানোয়াট।
সত্যিকারের দুর্ঘটনার সঙ্গে মিল
এই ধরনের প্রতারণামূলক ভিডিওগুলোতে কিছুটা সত্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি ২০১০ সালে সি ওয়ার্ল্ডে ডন ব্রাঞ্চেউ এবং ২০০৯ সালে অ্যালেক্সিস মার্টিনেজ-এর বাস্তব জীবনের মৃত্যুর ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। উভয় প্রশিক্ষকই অরকার আক্রমণে মারা যান। কিন্তু এই ঘটনাগুলো জেসিকা র্যাডক্লিফের গল্পের মতো নয়, কারণ সেগুলো নথিভুক্ত এবং কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে।
কেন এই ধরনের প্রতারণা ভাইরাল হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটি ভিডিওর আবেগপূর্ণ তীব্রতা এবং বাস্তবসম্মত উৎপাদন কৌশল এটি ভাইরাল হতে সাহায্য করে। এই ধরনের ক্লিপগুলো বুদ্ধিমান সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বন্দী করে রাখার নৈতিকতা নিয়ে মানুষের গভীর উদ্বেগগুলোকে কাজে লাগায়। একই সঙ্গে, এগুলো চাঞ্চল্যকর বিষয়বস্তু ব্যবহার করে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টচেকিং হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
কথিত জেসিকা র্যাডক্লিফকে নিয়ে অরকার আক্রমণের ভিডিওটি একটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এই নামে কোনো প্রশিক্ষকের অস্তিত্বেরও কোনো প্রমাণ নেই।

ফেসবুকে ১০ জানুয়ারি ‘প্রতিদিন গোসল করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!’ শীর্ষক ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন গোসল করা আসলেই কি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর? এই পরামর্শ কি সবার জন্যই প্রযোজ্য? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
১৩ জানুয়ারি ২০২৪
সম্প্রতি আজকের পত্রিকার নাম ও ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘হরেকৃষ্ণ হরিবোল, দাঁড়িপাল্লা টেনে তোলঃ পরওয়ার’ শিরোনামে একটি ভুয়া ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
০৩ নভেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের রাস্তার মাঝখানে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি এক হাতে একটি স্বচ্ছ বোতল, অপর হাতে বাঘের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি বাঘটির মুখে বোতল গুঁজে দিতেও দেখা যায় তাঁকে।
০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের যৌথবাহিনীর চেয়ারম্যানকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা উপহার দিয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের দাবি সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত বলে জানিয়েছে সিএ (প্রধান উপদেষ্টা) ফ্যাক্ট চেক।
২৮ অক্টোবর ২০২৫