ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ভারতে চলছে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আঙুল সদৃশ কিছু বস্তুর ছবি প্রচার করা হচ্ছে। ছবিটি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ‘পশ্চিমবঙ্গে জাল ভোট দেওয়ার জন্য নকল আঙুল তৈরি হচ্ছে। আঙুল তো নয় আঙুলের খোলস। আঙুল পরে নিলে বোঝাই যাবে না সেটি আসল না নকল। ভোটগ্রহণ কর্মীরা ওই আঙুলে কালি মাখিয়ে বোকা বনে যেতে পারেন।’
আঙুল সদৃশ বস্তুগুলোর ছবি ‘Ankur (Modi Ji’s Family)’ নামের একটি ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করে হিন্দি ভাষায় দাবি করা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি জাল ভোটের জন্য আরও আয়োজন।’ তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, আঙুল সদৃশ বস্তুগুলোর সঙ্গে ভারতের নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। একই বস্তুর ছবি দেশটির ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগেও প্রচার করা হয়েছিল।
২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল বার্তা সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এগুলো মূলত কৃত্রিম আঙুল। এগুলো জাপানে তৈরি। আঙুলগুলো তৈরি করা হয়েছিল জাপানের ইয়াকুযা গ্যাংয়ের সদস্যদের জন্য; কোনো সময় অপরাধ জগত থেকে ফিরে এলে যেন এসব কৃত্রিম আঙুল ব্যবহার করে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতে ভোট কারচুপির জন্য কৃত্রিম আঙুল তৈরি করার দাবিতে ভাইরাল ছবিগুলো আকিকো ফুজিতা নামে এক জাপানি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিকের ব্লগে পাওয়া যায়। পরে ওই সাংবাদিকের একটি ব্যক্তিগত ব্লগ থেকে কৃত্রিম আঙুলগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
আকিকো ফুজিতা ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর তাঁর ব্লগটিতে লেখেন, ইয়াকুযা জাপানের সংগঠিত একটি অপরাধ চক্র। এই চক্র ইউবিৎসুমে নামে একটি প্রথা মেনে চলে। এই প্রথা অনুযায়ী, চক্রের কোনো সদস্য যদি দলের কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, তাহলে কনিষ্ঠ আঙুলের কিছু অংশ কেটে ক্ষমা চাইতে হয়।
আকিকো ফুজিতা তাঁর ব্লগে শিনতারো হায়াশি নামে এক জাপানি কৃত্রিম অঙ্গ নির্মাতার তথ্য তুলে ধরেন। অপরাধের জগত থেকে ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ইচ্ছুক ইয়াকুজা সদস্যদের জন্য কৃত্রিম আঙুল তৈরি করেন শিনতারো। কৃত্রিম কনিষ্ঠ আঙুল পরলে তাদের আর ইয়াকুজার সাবেক সদস্য বলে শনাক্ত করা যায় না।
ভারতের ২০১৯ সালের নির্বাচনেও একই দাবি ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান বুম লাইভ ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
একই দাবি এবারের জাতীয় নির্বাচনের সময় ছড়িয়ে পড়ায় আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত ভারতের আরেকটি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান তেলেগু পোস্ট দাবিটি ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছে।
ভারতে চলছে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচন। আগামী ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আঙুল সদৃশ কিছু বস্তুর ছবি প্রচার করা হচ্ছে। ছবিটি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ‘পশ্চিমবঙ্গে জাল ভোট দেওয়ার জন্য নকল আঙুল তৈরি হচ্ছে। আঙুল তো নয় আঙুলের খোলস। আঙুল পরে নিলে বোঝাই যাবে না সেটি আসল না নকল। ভোটগ্রহণ কর্মীরা ওই আঙুলে কালি মাখিয়ে বোকা বনে যেতে পারেন।’
আঙুল সদৃশ বস্তুগুলোর ছবি ‘Ankur (Modi Ji’s Family)’ নামের একটি ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করে হিন্দি ভাষায় দাবি করা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি জাল ভোটের জন্য আরও আয়োজন।’ তবে অনুসন্ধানে দেখা যায়, আঙুল সদৃশ বস্তুগুলোর সঙ্গে ভারতের নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। একই বস্তুর ছবি দেশটির ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগেও প্রচার করা হয়েছিল।
২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল বার্তা সংস্থা এএফপিতে প্রকাশিত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এগুলো মূলত কৃত্রিম আঙুল। এগুলো জাপানে তৈরি। আঙুলগুলো তৈরি করা হয়েছিল জাপানের ইয়াকুযা গ্যাংয়ের সদস্যদের জন্য; কোনো সময় অপরাধ জগত থেকে ফিরে এলে যেন এসব কৃত্রিম আঙুল ব্যবহার করে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।
এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতে ভোট কারচুপির জন্য কৃত্রিম আঙুল তৈরি করার দাবিতে ভাইরাল ছবিগুলো আকিকো ফুজিতা নামে এক জাপানি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিকের ব্লগে পাওয়া যায়। পরে ওই সাংবাদিকের একটি ব্যক্তিগত ব্লগ থেকে কৃত্রিম আঙুলগুলো সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
আকিকো ফুজিতা ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর তাঁর ব্লগটিতে লেখেন, ইয়াকুযা জাপানের সংগঠিত একটি অপরাধ চক্র। এই চক্র ইউবিৎসুমে নামে একটি প্রথা মেনে চলে। এই প্রথা অনুযায়ী, চক্রের কোনো সদস্য যদি দলের কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, তাহলে কনিষ্ঠ আঙুলের কিছু অংশ কেটে ক্ষমা চাইতে হয়।
আকিকো ফুজিতা তাঁর ব্লগে শিনতারো হায়াশি নামে এক জাপানি কৃত্রিম অঙ্গ নির্মাতার তথ্য তুলে ধরেন। অপরাধের জগত থেকে ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ইচ্ছুক ইয়াকুজা সদস্যদের জন্য কৃত্রিম আঙুল তৈরি করেন শিনতারো। কৃত্রিম কনিষ্ঠ আঙুল পরলে তাদের আর ইয়াকুজার সাবেক সদস্য বলে শনাক্ত করা যায় না।
ভারতের ২০১৯ সালের নির্বাচনেও একই দাবি ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান বুম লাইভ ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
একই দাবি এবারের জাতীয় নির্বাচনের সময় ছড়িয়ে পড়ায় আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত ভারতের আরেকটি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান তেলেগু পোস্ট দাবিটি ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেছে।
ভিডিওতে একটি স্থাপনার মেঝে ও সিঁড়িতে ভাঙা ইট ছড়ানো এবং আধভাঙা ইটের দেয়াল দেখা যাচ্ছে। টুকরো ইটের ওপরে মই ও ড্রিল মেশিন দেখা যাচ্ছে। ভিডিওর শেষের দিকে কিছু স্থাপনার স্থিরচিত্রে একটি নামফলক দেখা যাচ্ছে, যেটিতে লেখা ‘মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন’।
১ দিন আগেভিডিওতে শাড়ি পরিহিত এক নারীকে মাটিতে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। তাঁকে ঘিরে রেখেছে একদল শিশু, তরুণ ও মধ্যবয়সী। একটু দূরে কিছুটা নিচু জায়গায় দাঁড়িয়ে নারীদের একটি দল সেই দৃশ্য দেখছে। ভিডিওটির একপর্যায়ে নারীটির দিকে ঢিল ছুড়তে দেখা যায়। ঢিল নিক্ষেপকারীদের তিনজন মাথায় টুপি, সাদা পাঞ্জাবি
২ দিন আগেযুবলীগ নেতাকে গুলি চালানোর সময় এক নারী এসে সন্ত্রাসীদের তাড়া করেছেন—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে আলাদা ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৫ দিন আগেবাংলাদেশে এক হিন্দু নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি না হওয়ায় ও জিযিয়া কর দিতে অস্বীকার করায় মুসলমানেরা পুরো হরিজন কলোনি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
৬ দিন আগে