ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে টানা সাত দিন ধরে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। গত মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকা থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়া এই দাবানলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সানসেট ফায়ার’। ঝড়ো বাতাসের কারণে আগুন আশেপাশের এলাকায় আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর তথ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এসেছে। এর মধ্যে, লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুন নেভানোর জন্য কর্তৃপক্ষ মুসুল্লিদের মাধ্যমে আজান দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে-এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল্ভাবে প্রচারিত হয়েছে। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস শহরে আগুন নিভাতে যখন সকল প্রযুক্তি ব্যর্থ, সবশেষে মোল্লাদের সরনাপহ্ন হলো, তার পর আযান, আল্লাহু আকবার, ওঁরাও বুঝে একমাত্র হক আল্লাহ। আল্লাহ মহান। ‘ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন মুসুল্লি মিলে “আল্লাহু আকবর” বলে আজান দিচ্ছেন।
আমীর বিন আঃসালাম নগরী নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে আজকে সোমবার সকাল ৭টার দিকে পোস্ট করা ভিডিওটি বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। ওই পোস্টে আজকে রাত ৯টা পর্যন্ত ২ হাজার ২ শত রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং ভিডিওটি ৫ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। এছাড়া ভিডিওটি সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শেয়ার করা হয়েছে এবং ১৪০-এর বেশি কমেন্ট করা হয়েছে। এসব কমেন্টে ভিডিওটির সত্যতা জানতে চাওয়া হয়েছে। আবার এটি ভিন্ন জায়গার ভিডিও উল্লেখ করেও মন্তব্য করেছে। এমনকি সত্য মনেকরে অনেক অ্যাকাউন্ট থেকে মন্তব্য করা হয়েছে। মহিউদ্দীন ইসলাম (Mohiuddin Islam) নামের অ্যকাউন্ট থেকে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ এ ব্যাপারটি দেখে খুবই ভালো লাগলো চোখের পানি চলে আসলো। ‘মো. ইসমাইল (Md Ismail) লিখেছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ এটা দেখে মনটা ভরে গেছে প্রিয় ভাইয়া।’
ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম এবিসি হাবের (ABC Haber)-এর একটি প্রতিবেদনে দৃশ্যটি পাওয়া যায়।
ভিডিও থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২ জুন তারিখে পাকিস্তানের করাচির একটি ভবনের নিচতলায় আগুন লাগার পর স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর সময়ে আযান দেন। যা পরবর্তীতে দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়।
এসব তথ্যের সূত্র ধরে গুগলে সার্চ করলে, পাকিস্তানি টক শো নামে একটি ওয়েব পোর্টাল রিয়েল ফ্যাক্ট নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন পোস্ট করে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের করাচি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে আগুন নেভানোর জন্য মানুষ আজান পাঠ করছে।
রিয়েল ফ্যাক্ট নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও থেকে জানা যায়, কেস জেল চৌরঙ্গীর কাছে সুপার স্টোরের অবৈধ গুদামে আগুন লাগলে তার তখন পর্যন্ত নেভানো যায়নি। আল্লাহর সহয়াতার জন্য মানুষজন আযান দিচ্ছিলেন।
অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে আগুন লাগার আড়াই বছর আগে থেকেই ভিডিওটি ইন্টারনেটে প্রচাত হয়েছে।
কেস জেল চৌরঙ্গীর বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায় এটি পাকিস্তানের কচারি শহরের একটি হাইপারমার্কেট।
WeAreAtWar নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলেও একই ভিডিও পাওয়া যায়।
সুতরাং, বাংলাদেশে যে ভিডিওক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে তার সাথে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানের করাচি শহরের একটি গুদামে আগুন লাগায় আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার দাবিতে ২০২২ সালে প্রচারিত একটি ভিডিও সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের আগুন নেভাতে মুসুল্লিরা আজান দিয়েছে দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলে টানা সাত দিন ধরে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। গত মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকা থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়া এই দাবানলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সানসেট ফায়ার’। ঝড়ো বাতাসের কারণে আগুন আশেপাশের এলাকায় আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর তথ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এসেছে। এর মধ্যে, লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুন নেভানোর জন্য কর্তৃপক্ষ মুসুল্লিদের মাধ্যমে আজান দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে-এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল্ভাবে প্রচারিত হয়েছে। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস শহরে আগুন নিভাতে যখন সকল প্রযুক্তি ব্যর্থ, সবশেষে মোল্লাদের সরনাপহ্ন হলো, তার পর আযান, আল্লাহু আকবার, ওঁরাও বুঝে একমাত্র হক আল্লাহ। আল্লাহ মহান। ‘ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন মুসুল্লি মিলে “আল্লাহু আকবর” বলে আজান দিচ্ছেন।
আমীর বিন আঃসালাম নগরী নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে আজকে সোমবার সকাল ৭টার দিকে পোস্ট করা ভিডিওটি বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। ওই পোস্টে আজকে রাত ৯টা পর্যন্ত ২ হাজার ২ শত রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং ভিডিওটি ৫ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। এছাড়া ভিডিওটি সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শেয়ার করা হয়েছে এবং ১৪০-এর বেশি কমেন্ট করা হয়েছে। এসব কমেন্টে ভিডিওটির সত্যতা জানতে চাওয়া হয়েছে। আবার এটি ভিন্ন জায়গার ভিডিও উল্লেখ করেও মন্তব্য করেছে। এমনকি সত্য মনেকরে অনেক অ্যাকাউন্ট থেকে মন্তব্য করা হয়েছে। মহিউদ্দীন ইসলাম (Mohiuddin Islam) নামের অ্যকাউন্ট থেকে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ এ ব্যাপারটি দেখে খুবই ভালো লাগলো চোখের পানি চলে আসলো। ‘মো. ইসমাইল (Md Ismail) লিখেছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ এটা দেখে মনটা ভরে গেছে প্রিয় ভাইয়া।’
ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম এবিসি হাবের (ABC Haber)-এর একটি প্রতিবেদনে দৃশ্যটি পাওয়া যায়।
ভিডিও থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২ জুন তারিখে পাকিস্তানের করাচির একটি ভবনের নিচতলায় আগুন লাগার পর স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর সময়ে আযান দেন। যা পরবর্তীতে দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং হয়।
এসব তথ্যের সূত্র ধরে গুগলে সার্চ করলে, পাকিস্তানি টক শো নামে একটি ওয়েব পোর্টাল রিয়েল ফ্যাক্ট নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন পোস্ট করে। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের করাচি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে আগুন নেভানোর জন্য মানুষ আজান পাঠ করছে।
রিয়েল ফ্যাক্ট নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও থেকে জানা যায়, কেস জেল চৌরঙ্গীর কাছে সুপার স্টোরের অবৈধ গুদামে আগুন লাগলে তার তখন পর্যন্ত নেভানো যায়নি। আল্লাহর সহয়াতার জন্য মানুষজন আযান দিচ্ছিলেন।
অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে আগুন লাগার আড়াই বছর আগে থেকেই ভিডিওটি ইন্টারনেটে প্রচাত হয়েছে।
কেস জেল চৌরঙ্গীর বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায় এটি পাকিস্তানের কচারি শহরের একটি হাইপারমার্কেট।
WeAreAtWar নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলেও একই ভিডিও পাওয়া যায়।
সুতরাং, বাংলাদেশে যে ভিডিওক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে তার সাথে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তানের করাচি শহরের একটি গুদামে আগুন লাগায় আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার দাবিতে ২০২২ সালে প্রচারিত একটি ভিডিও সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের আগুন নেভাতে মুসুল্লিরা আজান দিয়েছে দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ছিল এই গণ-অভ্যুত্থানের ছয় মাসপূর্তির দিন। এদিন রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ থেকে শেখ হাসিনার...
১৯ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার এই বক্তব্য দেওয়া নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেক ছাত্র-জনতা ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ধানমন্ডি ৩২ অভিমুখে ‘বুলডোজার মিছিল’ এবং ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচির ডাক দেন। পরবর্তী সময় গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটিতে ঢুকে ভাঙচুর
১ দিন আগেদীর্ঘ তিন রাস্তার মোড়ে কিছু যুবক লাঠি, দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কয়েকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে রাস্তায় কাউকে ধাওয়া দিতে দেখা যাচ্ছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, এই দৃশ্যের ঘটনাটি সম্প্রতি দেশে ঘটেছে। ভিডিওটিতে জনসমাগমের আওয়াজ, আগ্নেয়াস্ত্র চা
২ দিন আগেরোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিকে ‘বিশেষ বিবেচনা’ করেননি বলে জানান শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজের ভূমি ফেরত চাচ্ছেন—এমন একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
২ দিন আগে