বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

এক পা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যেতেন। বই-খাতা-কলম বহন করতেন ছোট বোন। বোন না গেলে স্কুলে যাওয়া হতো না। ২০০০ সালে তাঁর জন্ম। তখন থেকেই দুই হাত ও এক পা নেই ফজলু রহমানের। তবে থেমে যাননি। এক পা দিয়েই লিখে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ফজলু রহমান সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের চরগোপালপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে মিটুয়ানী উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁকে স্কুলে নিয়ে যেতেন ছোট বোন আসমা। বেলকুচির দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ২ দশমিক ৭৫ পেয়ে পাস করেন।
ফজলু রহমান বলেন, ‘দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়ার ওপর প্রভাব ফেলেছে। তারপরও পরীক্ষায় যে রেজাল্ট হয়েছে তাতে আমি খুশি। এরপরও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। প্রতিবন্ধী কার্ড ছাড়া তেমন কোনো সহযোগিতা পাইনি। ফেসবুকের মাধ্যমে মামুন বিশ্বাস ভাই কিছু টাকা ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সেই টাকা ও প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা দিয়ে পড়াশোনা চালিয়েছি।’
ফজলু রহমান আরও বলেন, ‘সামনে পড়ালেখায় যে খরচ তাতে কীভাবে কী হবে বলতে পারছি না। ছোটবেলা থেকে বাবা, মা, বোন, সহপাঠী ও শিক্ষকদের সহযোগিতা পেয়েছি। এভাবে সবার সহযোগিতা পেলে পড়াশোনা চালিয়ে যাব।’
ফজলুর বাবা সাহেব আলী বলেন, ‘দিনমজুরি করে কোনোরকম সংসার চালাই। এর মধ্যে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ জোগাব কীভাবে। টাকার অভাবে কোনো দিন প্রাইভেট পড়াতে পারিনি। বইও কিনে দিতে পারিনি। ফজলুর নামের একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড আছে। তা দিয়েই ওর লেখাপড়ার খরচ চলে।’
সাহেব আলী আরও বলেন, ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ৭৬ হাজার টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন সমাজসেবক মামুন বিশ্বাস। সেই টাকা দিয়েই পড়াশোনা করেন ফজলুর। সে টাকা দিয়েই ছেলের পড়াশোনা করেছে।
ফজলুর মা সারা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলের এই রেজাল্টে সত্যি অনেক খুশি।’
দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, ‘ফজলু লেখাপড়ায় দারুণ আগ্রহ, স্মরণশক্তি প্রখর। তাঁর ফলাফলে আমরা খুশি। ফজলু আরও এগিয়ে যাবে এই বিশ্বাস আছে।’
সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস বলেন, ‘ফজলু রহমানের লেখাপড়ার প্রতি প্রবল ইচ্ছা দেখে এসএসসিতে ফেসবুকের মাধ্যমে ৭৬ হাজার টাকা অনুদান তুলে দিই। এ টাকা দিয়েই তাঁর এত দিন লেখাপড়া চলেছে। সাহায্য সহযোগিতা পেলে সে সামনে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। পাশাপাশি একটা সরকারি চাকরি পেলে জীবন পাল্টে যাবে।’

এক পা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যেতেন। বই-খাতা-কলম বহন করতেন ছোট বোন। বোন না গেলে স্কুলে যাওয়া হতো না। ২০০০ সালে তাঁর জন্ম। তখন থেকেই দুই হাত ও এক পা নেই ফজলু রহমানের। তবে থেমে যাননি। এক পা দিয়েই লিখে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ফজলু রহমান সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের চরগোপালপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে মিটুয়ানী উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তাঁকে স্কুলে নিয়ে যেতেন ছোট বোন আসমা। বেলকুচির দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় ২ দশমিক ৭৫ পেয়ে পাস করেন।
ফজলু রহমান বলেন, ‘দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়ার ওপর প্রভাব ফেলেছে। তারপরও পরীক্ষায় যে রেজাল্ট হয়েছে তাতে আমি খুশি। এরপরও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। প্রতিবন্ধী কার্ড ছাড়া তেমন কোনো সহযোগিতা পাইনি। ফেসবুকের মাধ্যমে মামুন বিশ্বাস ভাই কিছু টাকা ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সেই টাকা ও প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা দিয়ে পড়াশোনা চালিয়েছি।’
ফজলু রহমান আরও বলেন, ‘সামনে পড়ালেখায় যে খরচ তাতে কীভাবে কী হবে বলতে পারছি না। ছোটবেলা থেকে বাবা, মা, বোন, সহপাঠী ও শিক্ষকদের সহযোগিতা পেয়েছি। এভাবে সবার সহযোগিতা পেলে পড়াশোনা চালিয়ে যাব।’
ফজলুর বাবা সাহেব আলী বলেন, ‘দিনমজুরি করে কোনোরকম সংসার চালাই। এর মধ্যে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ জোগাব কীভাবে। টাকার অভাবে কোনো দিন প্রাইভেট পড়াতে পারিনি। বইও কিনে দিতে পারিনি। ফজলুর নামের একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড আছে। তা দিয়েই ওর লেখাপড়ার খরচ চলে।’
সাহেব আলী আরও বলেন, ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ৭৬ হাজার টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন সমাজসেবক মামুন বিশ্বাস। সেই টাকা দিয়েই পড়াশোনা করেন ফজলুর। সে টাকা দিয়েই ছেলের পড়াশোনা করেছে।
ফজলুর মা সারা খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলের এই রেজাল্টে সত্যি অনেক খুশি।’
দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, ‘ফজলু লেখাপড়ায় দারুণ আগ্রহ, স্মরণশক্তি প্রখর। তাঁর ফলাফলে আমরা খুশি। ফজলু আরও এগিয়ে যাবে এই বিশ্বাস আছে।’
সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস বলেন, ‘ফজলু রহমানের লেখাপড়ার প্রতি প্রবল ইচ্ছা দেখে এসএসসিতে ফেসবুকের মাধ্যমে ৭৬ হাজার টাকা অনুদান তুলে দিই। এ টাকা দিয়েই তাঁর এত দিন লেখাপড়া চলেছে। সাহায্য সহযোগিতা পেলে সে সামনে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। পাশাপাশি একটা সরকারি চাকরি পেলে জীবন পাল্টে যাবে।’

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫