জাহীদ রেজা নূর

টিপ পরে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন যে নারী শিক্ষক, তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন মোটরসাইকেলে বসে থাকা এক লোক। তিনি পুলিশের পোশাক পরা ছিলেন। তাই এটা মনে করা স্বাভাবিক যে তিনি পুলিশ বাহিনীরই সদস্য। শিক্ষক রুখে দাঁড়ানোয় তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে গেছেন সেই লোকটি। মোটরসাইকেলের নম্বরটা জানা গেছে। তাঁকে খুঁজে পাওয়া খুব শক্ত কাজ হবে বলে মনে হয় না। খুঁজে পেলে তাঁর হয়তো শাস্তি হবে—কিন্তু শাস্তি হলেও আসলে লাভ কী? মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনযাত্রায় ধীরে ধীরে যে অসহিষ্ণুতা স্থান করে নিয়েছে, তা ক্রমেই ধর্মীয় উগ্রবাদের সঙ্গে মিলেমিশে যাচ্ছে, সেটা কি আমরা বুঝতে পারছি? এটি যে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সমাজে এই অসুস্থ প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ছে, এদিকটায় এখনই নজর না দিলে মানুষের মনের মানবিক জায়গাটি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
একজন বাঙালি বা বাংলাদেশে বসবাসকারী নারী কপালে টিপ পরবেন কি পরবেন না, সেটা যে তাঁর একান্ত নিজস্ব ব্যাপার, সে কথা কে কাকে বোঝাবে?
দুই.
বিষয়টি একটু তলিয়ে দেখা যাক।
নারীকে যুদ্ধ করতে হয় ঘরে-বাইরে—সর্বত্র। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতায় শুধু পুরুষের অধিকার আছে, তা নয়; পরিবারের নারীদেরও সেই মানসিকতায় গড়ে নেওয়া হয়। ফলে, সেই নারীরা তাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার সুযোগ পান না; বরং ময়না পাখির মতো শেখানো বুলিই তাঁদের সম্বল হয়। পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার উন্মেষের পর থেকেই নারীকে অবদমিত করে রাখা হয়েছে। সে সময় থেকে সমাজের যে যে ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে, সে সে ক্ষেত্রে পুরুষেরাই হয়ে থেকেছেন একনায়ক। নারীকে তাঁর ভাগ্য গড়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। নারীরা থেকেছেন পুরুষদের সম্পত্তি হয়ে। শুধু পশ্চাৎপদ দেশেই নয়, নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার উন্নত দেশগুলোতেও নারীকে হেনস্তা হতে হয়।
নারী কোন পোশাক পরবেন, সেটা নারীই ঠিক করবেন।
যেকোনো দেশে পোশাক নির্ধারণ করা হয় আবহাওয়া ও সংস্কৃতিকে মনে রেখে। কখনো কখনো শাসকশ্রেণির পোশাকও জায়গা করে নেয় নাগরিকদের শরীরে। সেটাই কিন্তু আমরা দেখে এসেছি আজীবন। এককালে শুধু এক বস্ত্র পরিধান করতেন এই অঞ্চলে বসবাসকারী নারী-পুরুষ সবাই। এরপর মোগল অথবা সুলতানদের আগমনের পর তাঁদের দেশ থেকে আনা পোশাকে স্বচ্ছন্দ বোধ করত ওপরতলার মানুষেরা। ইংরেজ শাসনামলে ইংরেজদের পোশাকই বেছে নিয়েছিল তারা।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, পোশাকের এই বিবর্তন মূলত ঘটেছে সমাজের উপরিস্তরে। দেশের গরিব মানুষের এখনো প্রধান পোশাক লুঙ্গি অথবা ধুতি। প্রচণ্ড গরমে পুরুষেরা গায়ে গেঞ্জিও পরেন না। নারীরা এক প্যাঁচে শাড়ি পরেন। পোশাকে বৈচিত্র্য মূলত আসে শহুরে মানুষের মধ্যে, তারপর একটু একটু করে তা ছড়িয়ে যায় গ্রামের দিকে।
সমাজে কোন সংস্কৃতি প্রবল, তার ওপর নির্ভর করে পোশাক-আশাক। চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, নৃত্য ইত্যাদি তথা সংস্কৃতিজগতের সঙ্গে মানুষের প্রত্যক্ষ সংযোগ মানুষের মন ও পোশাকের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে। সেগুলো যদি সাংস্কৃতিক জীবন থেকে হারিয়ে যেতে থাকে কিংবা সুকৌশলে সেগুলোকে যদি সাংস্কৃতিক জীবন থেকে বিদায় করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে এ ধরনের উগ্রপন্থী মনোভাব গোটা সমাজে ছড়িয়ে যেতে পারে।
তিন.
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের প্রত্যয় কী ছিল, সেটা জেনে নেওয়া যাক। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা আছে, ‘বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করা’ এই রাষ্ট্রের লক্ষ্য হবে। তার মানে এই রাষ্ট্রে যারা বসবাস করবে, তারা যে ধর্মের মানুষই হোক না কেন, রাষ্ট্রের চোখে তারা সমান, তাদের মানবিক মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকবে এবং সামাজিকভাবে তারা কেউ সুবিচার বঞ্চিত হবে না।
বাংলাদেশের সংবিধানে আমরা পেয়েছিলাম আরও কয়েকটি শব্দ: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
কোনো এক অদ্ভুত কারণে এ দেশের বহু মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটির অর্থ হৃদয়ে ধারণ করতে পারে না। তারা মনে করে, এ শব্দটি বুঝি নাস্তিকতার সঙ্গে যুক্ত। এই ভুল ব্যাখ্যাটি শহরে-গ্রামগঞ্জে—সর্বত্রই সুকৌশলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্যুলারিজম শব্দটিকে নাস্তিকতার প্রতিশব্দ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলা হয়েছে। অথচ শব্দটিকে অসাম্প্রদায়িকতা হিসেবে অনুবাদ করলে হয়তো মতলববাজেরা এভাবে গোটা জাতিকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ পেত না।
সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে দেখতে পাচ্ছি,
‘১২। ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য,
(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদাদান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন বিলোপ করা হইবে।’
এই বাক্যগুলোকে আমি খুব জরুরি বার্তা বলে মনে করছি। টিপ পরা নিয়ে সেই মানুষ নামের দুর্বৃত্তটি একজন শিক্ষকের সঙ্গে যে কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন, তা যে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা থেকে, সে কথা বুঝতে হলে রকেটবিজ্ঞানী হতে হয় না। শুধু তা-ই নয়, তিনি যে নিজের আত্মপরিচয়ও ভুলে গেছেন, সেটা বললেও বুঝি ভুল হয় না।
সংবিধানে বর্ণিত এই শব্দগুলো মানুষের মনে দৃঢ়ভাবে ঠাঁই নিতে পারছে না কেন, সে ব্যাখ্যায় যাওয়ার আগে এই শব্দগুলোকে সরলভাবে বোঝা দরকার।
প্রথমত, এই রাষ্ট্রে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতা থাকতে পারবে না, অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তাঁর কর্তব্য পালন করবেন, তাঁর ধর্ম এখানে কোনো বিষয় নয়। রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দেওয়া যাবে না, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার করা যাবে না, এই দুটি বাক্যকে তো এভাবেও বলা যেতে পারে যে নিজের ব্যক্তিস্বার্থ বা গোষ্ঠীস্বার্থ উদ্ধার করার জন্য তার সম্প্রদায়ের মানুষদের উসকে দিয়ে অন্য ধর্মের মানুষের জীবনে ক্ষতি ডেকে আনা কিংবা সাধারণ ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে অসহিষ্ণু ও উত্তেজিত করে তোলা যাবে না। অন্য ধর্মের ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন বা তাঁকে নিপীড়ন করা যাবে না।
এই সরল কথাগুলোই জানিয়ে দিচ্ছে, আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন গোষ্ঠীর দ্বারা সংবিধানের এই প্রতিটি অংশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যাগুরুরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালায়, এটা শুধু আমাদের দেশেই নয়, পৃথিবীর সবখানেই তা ঘটে। পৃথিবীর সবখানে ঘটে বলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। আমাদের দেশে একটা মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশের মানুষ ধর্মের নামে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অনৈতিকতা ও শাসন-শোষণকে লাল কার্ড দেখিয়েছিল। তার মানে, ১৯৭১ সালে এসে যে মুক্তিযুদ্ধ হলো, সেটি ছিল ধর্মের নামে, জাতির নামে যেকোনো ধরনের শোষণের বিরোধী, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার আকাঙ্ক্ষা। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হবে, অথচ সেই চেতনার কবর দেওয়া হবে, এটা কোনো চিন্তাশীল জাতির পরিচয় নয়।
চার.
এবার এই টিপবিদ্বেষী লোকটির মনস্তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা করি। আমরা চাই বা না চাই, নানা কারণেই আমাদের এখনকার বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশের মধ্যে অনেক বড় ফারাক তৈরি হয়েছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্সের সঙ্গে সঙ্গে সালাফি মতবাদ প্রবেশ করেছে, গ্রামে গ্রামে আধুনিক বোধবুদ্ধিওয়ালা মানুষের হাত থেকে সামাজিক নেতৃত্ব চলে গেছে গোঁড়া রক্ষণশীল মানুষের হাতে। সবখানেই তাঁদের দেওয়া ফতোয়ায় বিশ্বাসী হয়ে উঠছে মানুষ। আর তাতে বিতর্ক করার কোনো জায়গা খোলা থাকছে না। গোঁড়ামি দিয়েই চলছে সমাজ। যার প্রত্যক্ষ ফল আমরা দেখতে পাই যত্রতত্র।
এখন হাট-বাজারে কোনো সিনেমার গান অথবা লোকজ সংগীত অথবা ব্যান্ডসংগীত বাজতে শোনা যায় না। সেখানে চলে শুধু কতিপয় কিছু লোকের ওয়াজ। ধর্মের নামে চলা এসব ওয়াজ কিছুক্ষণ শুনলে বোঝা যায়, সেখানে নারীর পোশাক-আশাক নিয়ে অকথ্য ভাষায় বয়ান দেওয়া হচ্ছে। যে রসাল ভাষায় নারীদেহের বর্ণনা দেওয়া হয়, তা শোনার জন্য অবদমিত শরীর ও মন উৎসুক হয়ে উঠলে কাউকে দোষ দেওয়া যাবে? বিশ্বাস না হলে একবার কান খাড়া করে শুনুন। চমকে যাবেন। এসব বক্তৃতায় দেওয়া হয় আরও নানা ধরনের উসকানি। এজন্য বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থাও নিয়েছে।
গ্রামবাংলার যাত্রা-পালাগানকে বর্বররা বিতর্কিত করেছে ‘প্রিন্সেস লাকি খান’দের অশ্লীল নৃত্য যুক্ত করে। অথচ যাত্রা, পালাগান, জারি, সারি, আলকাপ ছিল গ্রাম্য সমাজের বিনোদনের সূক্ষ্ম মাধ্যম। কিন্তু সেগুলোও প্রায় বিদায় নিয়েছে। দেশ থেকে বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক আবহকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। এ তো গেল একটি দিক। পুরো সাংস্কৃতিক জীবনেই একটা রক্ষণশীল সৃজনহীনতা রাজত্ব করছে। কেউ কি তা অনুভব করতে পারছে না?
আর সেই রক্ষণশীল, চরম সৃজনহীনতার শিকার হয়েছেন সেই নারী শিক্ষক। কে কোন পোশাক পরে রাস্তায় বের হবে, কিছুদিন পর যদি তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ রকম গোঁড়া রক্ষণশীলদের রাস্তায় রাস্তায় দেখা যায়, তাহলে তার দায়ভার কে নেবে?
আমাদের রাজনীতিকেরা যখন আখের গোছাতে ব্যস্ত, সংস্কৃতিসেবী ও বুদ্ধিজীবীরা সরকারের মুখাপেক্ষী, সাংবাদিকেরা যখন দেশ ও দশের কথা না বলে অন্য কথা নিয়ে ব্যস্ত, তখন কোন মাকড়সা কোথায় তার জাল বুনছে, সেটা বুঝে ওঠা কি খুব কঠিন ব্যাপার? একই প্রশ্ন রাখা যায় যেকোনো পেশাজীবীর ক্ষেত্রে। সবকিছু, এমনকি মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকেও যদি জাতিগতভাবে জীবন থেকে বিদায় করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে পুলিশের পোশাকে ধর্মান্ধতার চাষ হবে না তো কী হবে?
যদি এই গোঁড়ামির টুঁটি চেপে ধরা না হয়, তাহলে সামনে কী ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে—সেটা নিশ্চয়ই বুঝিয়ে বলতে হবে না।
জাহীদ রেজা নূর, উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

টিপ পরে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন যে নারী শিক্ষক, তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন মোটরসাইকেলে বসে থাকা এক লোক। তিনি পুলিশের পোশাক পরা ছিলেন। তাই এটা মনে করা স্বাভাবিক যে তিনি পুলিশ বাহিনীরই সদস্য। শিক্ষক রুখে দাঁড়ানোয় তাঁর পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে গেছেন সেই লোকটি। মোটরসাইকেলের নম্বরটা জানা গেছে। তাঁকে খুঁজে পাওয়া খুব শক্ত কাজ হবে বলে মনে হয় না। খুঁজে পেলে তাঁর হয়তো শাস্তি হবে—কিন্তু শাস্তি হলেও আসলে লাভ কী? মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনযাত্রায় ধীরে ধীরে যে অসহিষ্ণুতা স্থান করে নিয়েছে, তা ক্রমেই ধর্মীয় উগ্রবাদের সঙ্গে মিলেমিশে যাচ্ছে, সেটা কি আমরা বুঝতে পারছি? এটি যে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সমাজে এই অসুস্থ প্রবণতা ছড়িয়ে পড়ছে, এদিকটায় এখনই নজর না দিলে মানুষের মনের মানবিক জায়গাটি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
একজন বাঙালি বা বাংলাদেশে বসবাসকারী নারী কপালে টিপ পরবেন কি পরবেন না, সেটা যে তাঁর একান্ত নিজস্ব ব্যাপার, সে কথা কে কাকে বোঝাবে?
দুই.
বিষয়টি একটু তলিয়ে দেখা যাক।
নারীকে যুদ্ধ করতে হয় ঘরে-বাইরে—সর্বত্র। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতায় শুধু পুরুষের অধিকার আছে, তা নয়; পরিবারের নারীদেরও সেই মানসিকতায় গড়ে নেওয়া হয়। ফলে, সেই নারীরা তাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার সুযোগ পান না; বরং ময়না পাখির মতো শেখানো বুলিই তাঁদের সম্বল হয়। পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার উন্মেষের পর থেকেই নারীকে অবদমিত করে রাখা হয়েছে। সে সময় থেকে সমাজের যে যে ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে, সে সে ক্ষেত্রে পুরুষেরাই হয়ে থেকেছেন একনায়ক। নারীকে তাঁর ভাগ্য গড়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। নারীরা থেকেছেন পুরুষদের সম্পত্তি হয়ে। শুধু পশ্চাৎপদ দেশেই নয়, নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার উন্নত দেশগুলোতেও নারীকে হেনস্তা হতে হয়।
নারী কোন পোশাক পরবেন, সেটা নারীই ঠিক করবেন।
যেকোনো দেশে পোশাক নির্ধারণ করা হয় আবহাওয়া ও সংস্কৃতিকে মনে রেখে। কখনো কখনো শাসকশ্রেণির পোশাকও জায়গা করে নেয় নাগরিকদের শরীরে। সেটাই কিন্তু আমরা দেখে এসেছি আজীবন। এককালে শুধু এক বস্ত্র পরিধান করতেন এই অঞ্চলে বসবাসকারী নারী-পুরুষ সবাই। এরপর মোগল অথবা সুলতানদের আগমনের পর তাঁদের দেশ থেকে আনা পোশাকে স্বচ্ছন্দ বোধ করত ওপরতলার মানুষেরা। ইংরেজ শাসনামলে ইংরেজদের পোশাকই বেছে নিয়েছিল তারা।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, পোশাকের এই বিবর্তন মূলত ঘটেছে সমাজের উপরিস্তরে। দেশের গরিব মানুষের এখনো প্রধান পোশাক লুঙ্গি অথবা ধুতি। প্রচণ্ড গরমে পুরুষেরা গায়ে গেঞ্জিও পরেন না। নারীরা এক প্যাঁচে শাড়ি পরেন। পোশাকে বৈচিত্র্য মূলত আসে শহুরে মানুষের মধ্যে, তারপর একটু একটু করে তা ছড়িয়ে যায় গ্রামের দিকে।
সমাজে কোন সংস্কৃতি প্রবল, তার ওপর নির্ভর করে পোশাক-আশাক। চলচ্চিত্র, নাটক, সংগীত, নৃত্য ইত্যাদি তথা সংস্কৃতিজগতের সঙ্গে মানুষের প্রত্যক্ষ সংযোগ মানুষের মন ও পোশাকের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে। সেগুলো যদি সাংস্কৃতিক জীবন থেকে হারিয়ে যেতে থাকে কিংবা সুকৌশলে সেগুলোকে যদি সাংস্কৃতিক জীবন থেকে বিদায় করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে এ ধরনের উগ্রপন্থী মনোভাব গোটা সমাজে ছড়িয়ে যেতে পারে।
তিন.
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের প্রত্যয় কী ছিল, সেটা জেনে নেওয়া যাক। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা আছে, ‘বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করা’ এই রাষ্ট্রের লক্ষ্য হবে। তার মানে এই রাষ্ট্রে যারা বসবাস করবে, তারা যে ধর্মের মানুষই হোক না কেন, রাষ্ট্রের চোখে তারা সমান, তাদের মানবিক মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকবে এবং সামাজিকভাবে তারা কেউ সুবিচার বঞ্চিত হবে না।
বাংলাদেশের সংবিধানে আমরা পেয়েছিলাম আরও কয়েকটি শব্দ: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
কোনো এক অদ্ভুত কারণে এ দেশের বহু মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটির অর্থ হৃদয়ে ধারণ করতে পারে না। তারা মনে করে, এ শব্দটি বুঝি নাস্তিকতার সঙ্গে যুক্ত। এই ভুল ব্যাখ্যাটি শহরে-গ্রামগঞ্জে—সর্বত্রই সুকৌশলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্যুলারিজম শব্দটিকে নাস্তিকতার প্রতিশব্দ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলা হয়েছে। অথচ শব্দটিকে অসাম্প্রদায়িকতা হিসেবে অনুবাদ করলে হয়তো মতলববাজেরা এভাবে গোটা জাতিকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ পেত না।
সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে দেখতে পাচ্ছি,
‘১২। ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য,
(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদাদান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন বিলোপ করা হইবে।’
এই বাক্যগুলোকে আমি খুব জরুরি বার্তা বলে মনে করছি। টিপ পরা নিয়ে সেই মানুষ নামের দুর্বৃত্তটি একজন শিক্ষকের সঙ্গে যে কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন, তা যে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা থেকে, সে কথা বুঝতে হলে রকেটবিজ্ঞানী হতে হয় না। শুধু তা-ই নয়, তিনি যে নিজের আত্মপরিচয়ও ভুলে গেছেন, সেটা বললেও বুঝি ভুল হয় না।
সংবিধানে বর্ণিত এই শব্দগুলো মানুষের মনে দৃঢ়ভাবে ঠাঁই নিতে পারছে না কেন, সে ব্যাখ্যায় যাওয়ার আগে এই শব্দগুলোকে সরলভাবে বোঝা দরকার।
প্রথমত, এই রাষ্ট্রে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতা থাকতে পারবে না, অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তাঁর কর্তব্য পালন করবেন, তাঁর ধর্ম এখানে কোনো বিষয় নয়। রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দেওয়া যাবে না, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার করা যাবে না, এই দুটি বাক্যকে তো এভাবেও বলা যেতে পারে যে নিজের ব্যক্তিস্বার্থ বা গোষ্ঠীস্বার্থ উদ্ধার করার জন্য তার সম্প্রদায়ের মানুষদের উসকে দিয়ে অন্য ধর্মের মানুষের জীবনে ক্ষতি ডেকে আনা কিংবা সাধারণ ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে অসহিষ্ণু ও উত্তেজিত করে তোলা যাবে না। অন্য ধর্মের ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন বা তাঁকে নিপীড়ন করা যাবে না।
এই সরল কথাগুলোই জানিয়ে দিচ্ছে, আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন গোষ্ঠীর দ্বারা সংবিধানের এই প্রতিটি অংশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যাগুরুরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালায়, এটা শুধু আমাদের দেশেই নয়, পৃথিবীর সবখানেই তা ঘটে। পৃথিবীর সবখানে ঘটে বলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। আমাদের দেশে একটা মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশের মানুষ ধর্মের নামে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অনৈতিকতা ও শাসন-শোষণকে লাল কার্ড দেখিয়েছিল। তার মানে, ১৯৭১ সালে এসে যে মুক্তিযুদ্ধ হলো, সেটি ছিল ধর্মের নামে, জাতির নামে যেকোনো ধরনের শোষণের বিরোধী, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার আকাঙ্ক্ষা। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হবে, অথচ সেই চেতনার কবর দেওয়া হবে, এটা কোনো চিন্তাশীল জাতির পরিচয় নয়।
চার.
এবার এই টিপবিদ্বেষী লোকটির মনস্তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা করি। আমরা চাই বা না চাই, নানা কারণেই আমাদের এখনকার বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশের মধ্যে অনেক বড় ফারাক তৈরি হয়েছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্সের সঙ্গে সঙ্গে সালাফি মতবাদ প্রবেশ করেছে, গ্রামে গ্রামে আধুনিক বোধবুদ্ধিওয়ালা মানুষের হাত থেকে সামাজিক নেতৃত্ব চলে গেছে গোঁড়া রক্ষণশীল মানুষের হাতে। সবখানেই তাঁদের দেওয়া ফতোয়ায় বিশ্বাসী হয়ে উঠছে মানুষ। আর তাতে বিতর্ক করার কোনো জায়গা খোলা থাকছে না। গোঁড়ামি দিয়েই চলছে সমাজ। যার প্রত্যক্ষ ফল আমরা দেখতে পাই যত্রতত্র।
এখন হাট-বাজারে কোনো সিনেমার গান অথবা লোকজ সংগীত অথবা ব্যান্ডসংগীত বাজতে শোনা যায় না। সেখানে চলে শুধু কতিপয় কিছু লোকের ওয়াজ। ধর্মের নামে চলা এসব ওয়াজ কিছুক্ষণ শুনলে বোঝা যায়, সেখানে নারীর পোশাক-আশাক নিয়ে অকথ্য ভাষায় বয়ান দেওয়া হচ্ছে। যে রসাল ভাষায় নারীদেহের বর্ণনা দেওয়া হয়, তা শোনার জন্য অবদমিত শরীর ও মন উৎসুক হয়ে উঠলে কাউকে দোষ দেওয়া যাবে? বিশ্বাস না হলে একবার কান খাড়া করে শুনুন। চমকে যাবেন। এসব বক্তৃতায় দেওয়া হয় আরও নানা ধরনের উসকানি। এজন্য বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থাও নিয়েছে।
গ্রামবাংলার যাত্রা-পালাগানকে বর্বররা বিতর্কিত করেছে ‘প্রিন্সেস লাকি খান’দের অশ্লীল নৃত্য যুক্ত করে। অথচ যাত্রা, পালাগান, জারি, সারি, আলকাপ ছিল গ্রাম্য সমাজের বিনোদনের সূক্ষ্ম মাধ্যম। কিন্তু সেগুলোও প্রায় বিদায় নিয়েছে। দেশ থেকে বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক আবহকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। এ তো গেল একটি দিক। পুরো সাংস্কৃতিক জীবনেই একটা রক্ষণশীল সৃজনহীনতা রাজত্ব করছে। কেউ কি তা অনুভব করতে পারছে না?
আর সেই রক্ষণশীল, চরম সৃজনহীনতার শিকার হয়েছেন সেই নারী শিক্ষক। কে কোন পোশাক পরে রাস্তায় বের হবে, কিছুদিন পর যদি তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ রকম গোঁড়া রক্ষণশীলদের রাস্তায় রাস্তায় দেখা যায়, তাহলে তার দায়ভার কে নেবে?
আমাদের রাজনীতিকেরা যখন আখের গোছাতে ব্যস্ত, সংস্কৃতিসেবী ও বুদ্ধিজীবীরা সরকারের মুখাপেক্ষী, সাংবাদিকেরা যখন দেশ ও দশের কথা না বলে অন্য কথা নিয়ে ব্যস্ত, তখন কোন মাকড়সা কোথায় তার জাল বুনছে, সেটা বুঝে ওঠা কি খুব কঠিন ব্যাপার? একই প্রশ্ন রাখা যায় যেকোনো পেশাজীবীর ক্ষেত্রে। সবকিছু, এমনকি মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকেও যদি জাতিগতভাবে জীবন থেকে বিদায় করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তাহলে পুলিশের পোশাকে ধর্মান্ধতার চাষ হবে না তো কী হবে?
যদি এই গোঁড়ামির টুঁটি চেপে ধরা না হয়, তাহলে সামনে কী ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছে—সেটা নিশ্চয়ই বুঝিয়ে বলতে হবে না।
জাহীদ রেজা নূর, উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

কোনো এক অদ্ভুত কারণে এ দেশের বহু মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটির অর্থ হৃদয়ে ধারণ করতে পারে না। তারা মনে করে, এ শব্দটি বুঝি নাস্তিকতার সঙ্গে যুক্ত। এই ভুল ব্যাখ্যাটি শহরে-গ্রামগঞ্জে—সর্বত্রই সুকৌশলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্যুলারিজম শব্দটিকে নাস্তিকতার প্রতিশব্দ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলা হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

কোনো এক অদ্ভুত কারণে এ দেশের বহু মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটির অর্থ হৃদয়ে ধারণ করতে পারে না। তারা মনে করে, এ শব্দটি বুঝি নাস্তিকতার সঙ্গে যুক্ত। এই ভুল ব্যাখ্যাটি শহরে-গ্রামগঞ্জে—সর্বত্রই সুকৌশলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্যুলারিজম শব্দটিকে নাস্তিকতার প্রতিশব্দ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলা হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

কোনো এক অদ্ভুত কারণে এ দেশের বহু মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটির অর্থ হৃদয়ে ধারণ করতে পারে না। তারা মনে করে, এ শব্দটি বুঝি নাস্তিকতার সঙ্গে যুক্ত। এই ভুল ব্যাখ্যাটি শহরে-গ্রামগঞ্জে—সর্বত্রই সুকৌশলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্যুলারিজম শব্দটিকে নাস্তিকতার প্রতিশব্দ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলা হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

কোনো এক অদ্ভুত কারণে এ দেশের বহু মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটির অর্থ হৃদয়ে ধারণ করতে পারে না। তারা মনে করে, এ শব্দটি বুঝি নাস্তিকতার সঙ্গে যুক্ত। এই ভুল ব্যাখ্যাটি শহরে-গ্রামগঞ্জে—সর্বত্রই সুকৌশলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্যুলারিজম শব্দটিকে নাস্তিকতার প্রতিশব্দ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ফেলা হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫