
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় নিজের ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বৃহৎ তেল ও গ্যাস খনি খনন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে ৮০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সোমবার (১৩ মার্চ) প্রকল্পটিতে অনুমোদন দেন বাইডেন।
এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই। তথাকথিত এই ‘উইলো’ প্রকল্পের পেছনে রয়েছে কনোকোফিলিপস। তারা দাবি করছে, এটি সম্পূর্ণ স্থানীয় বিনিয়োগ এবং হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
প্রকল্পটি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিশেষ করে টিকটকে তরুণেরা ব্যাপক বিরোধিতা করে আসছেন। তরুণ পরিবেশবাদী কর্মীরা এই প্রকল্পের প্রতিবাদে টিকটকে প্রচুর ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁরা বলছেন, এই প্রকল্প জলবায়ু এবং বন্যপ্রাণীর জীবনচক্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এটি অবশ্যই বন্ধ করা উচিত।
অথচ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটেই স্পষ্ট করে বলা আছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় মার্কিন নেতৃত্ব অপরিহার্য এবং তাদের নেতৃত্ব অব্যাহত রয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বকে কার্বন নেট-জিরোতে পৌঁছানোর পথে দেশে এবং বিদেশে পদক্ষেপ বাড়াতে একটি পরিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। বিদ্যমান প্রতিশ্রুতিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্য পূরণে এবং সবার জন্য একটি নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সকল অংশীজনদের আহ্বানও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেই যুক্তরাষ্ট্রই এখন জীবাশ্ম জ্বালানির সন্ধানে বৃহৎ প্রকল্পের অনুমোদন দিতে শুরু করেছে। আলাস্কার প্রত্যন্ত উত্তর ঢালে অবস্থিত ওই খনি এলাকা কয়েক দশকের মধ্যে এই অঞ্চলের সর্ববৃহৎ তেলের আধার। এখান থেকে প্রতিদিন ১ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন সম্ভব হবে।
ইউএস ব্যুরো অব ল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অনুমান অনুসারে, তেলক্ষেত্রটি থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত যথেষ্ট তেল উৎপাদন করা যাবে। ফলে এই সময়ের মধ্যে এটি পরিবেশ দূষণে ২৭ কোটি ৮০ লাখ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের সমান ভূমিকা রাখবে। এই পরিমাণ প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের সড়কে ২০ লাখ নতুন গাড়ি যুক্ত হওয়ার সমতুল্য।
বাইডেন প্রশাসন আলাস্কা এবং আর্কটিক মহাসাগরের ১ কোটি ৬০ লাখ একর এলাকায় তেল ও গ্যাস খননের ওপর সীমা আরোপ করার একদিন পরেই সোমবার (১৩ মার্চ) এই অনুমোদন এল। ফলে উইলো প্রকল্প বিরোধী কর্মীদের সঙ্গে একপ্রকার আপস করার এক দিন পরেই নিজের অবস্থান থেকে সরে গেলেন বাইডেন।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, উইলো প্রকল্পের অনুমোদন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জলবায়ু প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
এই প্রকল্পের প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসে ১০ লাখের বেশি চিঠি গেছে। উইলো প্রকল্পের অনুমোদন না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চেঞ্জ ডটঅর্গে একটি পিটিশনে ৩০ লাখের বেশি স্বাক্ষর সংগৃহীত হয়েছে।
পরিবেশ বিষয়ক দাতব্য সংস্থা সিয়েরা ক্লাব বলেছে, ‘এটি ভুল পদক্ষেপ এবং এটি বন্যপ্রাণী, ভূমি, স্থানীয় বাসিন্দা এবং আমাদের জলবায়ুর জন্য একটি বিপর্যয় হবে।’
আলাস্কার একজন তরুণ পরিবেশ কর্মী সনি আহক শুরু থেকেই উইলোর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প ‘আর্কটিকে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের’ জন্য আগামী ৩০ বছরের জন্য দখল করে রাখবে। সেই সঙ্গে আর্কটিকে তেল খননের সম্ভাবনা ও সুযোগ সম্প্রসারণে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
কিন্তু কংগ্রেসে আলাস্কার প্রতিনিধিত্বকারী তিনজন আইনপ্রণেতা, যাদের মধ্যে একজন ডেমোক্র্যাটও রয়েছেন, তাঁরা প্রকল্পটির অনুমোদনের জন্য চাপ দিয়েছিলেন। এটিকে এই অঞ্চলের সম্প্রদায়গুলোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। তাঁদের যুক্তি, এটি দেশীয় জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিদেশি তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে।
কনোকোফিলিপসের সিইও রায়ান ল্যান্স সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আলাস্কা এবং আমাদের পুরো জাতির জন্য এটি খুবই সঠিক সিদ্ধান্ত।’ যুক্তরাষ্ট্রের এই জ্বালানি তেল জায়ান্ট এরই মধ্যে আলাস্কার বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তারা এখন আলাস্কায় আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের লোভও দেখাচ্ছে।
তাহলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন, যিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং কিছু কিছু বাস্তবায়নও শুরু করেছেন, তিনি এমন একটি ‘কার্বন বোমা’ প্রকল্পের অনুমোদন দিলেন কেন?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, উইলো প্রকল্পের পেছনে রয়েছে রাজনীতি এবং আইন। এটি পরিবেশের কোনো ব্যাপার নয়।
২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রচারণার সময় জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোনো জমিতে আর তেল–গ্যাস খনন হবে না।
অন্তত তাঁর আমলে এটি তিনি হতে দেবেন না। সেই প্রতিশ্রুতি অবশ্য গত বছরই ভেঙেছেন তিনি। তাঁর প্রশাসন আদালতের চাপে খননের জন্য ইজারা দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
এই উইলো প্রকল্পের ব্যাপারেও হোয়াইট হাউস সম্ভবত আদালতের ভূমিকাকেই উল্লেখ করে দায় এড়াতে পারবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
তেল কোম্পানি কনোকোফিলিপস ১৯৯৯ সাল থেকেই সরকারি খনি খননের ইজারা ধরে রেখেছে। তাদের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করা হলে আদালতে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, জলবায়ু রক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে উইলো প্রকল্প যে ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না, বাইডেন প্রশাসন এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই সচেতন। সুতরাং, বিরোধীদের সুযোগ না দিতে, বাইডেন প্রশাসন আর্কটিক মহাসাগরে তেল এবং গ্যাস কূপ ইজারা দেওয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে উইলো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে।
অবশ্য বেশিরভাগ পরিবেশবাদী বাইডেন প্রশাসনের এমন অবস্থানকে ন্যায্য বলে মেনে নিতে পারছেন না।
অপরদিকে উইলো প্রকল্পও গভীরভাবে রাজনৈতিক। ১৮ মাস পরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফলে জো বাইডেনকে মার্কিন নাগরিকদের জন্য গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং জ্বালানির দামের দিকে নজর দিতেই হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সামনে নিজেকে আস্থাভাজন করে তুলতে এক মধ্যপন্থী রাজনীতিক হিসেবে প্রমাণ করা এখন তাঁর জন্য জরুরি।
কিন্তু এটিও সত্য যে, তেলের খনির অনুমোদন দিয়ে বহু তরুণের মন ভাঙলেন জো বাইডেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পেছনে এই তরুণ ভোটারদের অবদান কিন্তু কম না!

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় নিজের ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বৃহৎ তেল ও গ্যাস খনি খনন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে ৮০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সোমবার (১৩ মার্চ) প্রকল্পটিতে অনুমোদন দেন বাইডেন।
এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই। তথাকথিত এই ‘উইলো’ প্রকল্পের পেছনে রয়েছে কনোকোফিলিপস। তারা দাবি করছে, এটি সম্পূর্ণ স্থানীয় বিনিয়োগ এবং হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
প্রকল্পটি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিশেষ করে টিকটকে তরুণেরা ব্যাপক বিরোধিতা করে আসছেন। তরুণ পরিবেশবাদী কর্মীরা এই প্রকল্পের প্রতিবাদে টিকটকে প্রচুর ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁরা বলছেন, এই প্রকল্প জলবায়ু এবং বন্যপ্রাণীর জীবনচক্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এটি অবশ্যই বন্ধ করা উচিত।
অথচ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটেই স্পষ্ট করে বলা আছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অধীনে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় মার্কিন নেতৃত্ব অপরিহার্য এবং তাদের নেতৃত্ব অব্যাহত রয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বকে কার্বন নেট-জিরোতে পৌঁছানোর পথে দেশে এবং বিদেশে পদক্ষেপ বাড়াতে একটি পরিপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। বিদ্যমান প্রতিশ্রুতিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার লক্ষ্য পূরণে এবং সবার জন্য একটি নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সকল অংশীজনদের আহ্বানও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেই যুক্তরাষ্ট্রই এখন জীবাশ্ম জ্বালানির সন্ধানে বৃহৎ প্রকল্পের অনুমোদন দিতে শুরু করেছে। আলাস্কার প্রত্যন্ত উত্তর ঢালে অবস্থিত ওই খনি এলাকা কয়েক দশকের মধ্যে এই অঞ্চলের সর্ববৃহৎ তেলের আধার। এখান থেকে প্রতিদিন ১ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন সম্ভব হবে।
ইউএস ব্যুরো অব ল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অনুমান অনুসারে, তেলক্ষেত্রটি থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত যথেষ্ট তেল উৎপাদন করা যাবে। ফলে এই সময়ের মধ্যে এটি পরিবেশ দূষণে ২৭ কোটি ৮০ লাখ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের সমান ভূমিকা রাখবে। এই পরিমাণ প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের সড়কে ২০ লাখ নতুন গাড়ি যুক্ত হওয়ার সমতুল্য।
বাইডেন প্রশাসন আলাস্কা এবং আর্কটিক মহাসাগরের ১ কোটি ৬০ লাখ একর এলাকায় তেল ও গ্যাস খননের ওপর সীমা আরোপ করার একদিন পরেই সোমবার (১৩ মার্চ) এই অনুমোদন এল। ফলে উইলো প্রকল্প বিরোধী কর্মীদের সঙ্গে একপ্রকার আপস করার এক দিন পরেই নিজের অবস্থান থেকে সরে গেলেন বাইডেন।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, উইলো প্রকল্পের অনুমোদন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জলবায়ু প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
এই প্রকল্পের প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসে ১০ লাখের বেশি চিঠি গেছে। উইলো প্রকল্পের অনুমোদন না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চেঞ্জ ডটঅর্গে একটি পিটিশনে ৩০ লাখের বেশি স্বাক্ষর সংগৃহীত হয়েছে।
পরিবেশ বিষয়ক দাতব্য সংস্থা সিয়েরা ক্লাব বলেছে, ‘এটি ভুল পদক্ষেপ এবং এটি বন্যপ্রাণী, ভূমি, স্থানীয় বাসিন্দা এবং আমাদের জলবায়ুর জন্য একটি বিপর্যয় হবে।’
আলাস্কার একজন তরুণ পরিবেশ কর্মী সনি আহক শুরু থেকেই উইলোর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প ‘আর্কটিকে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের’ জন্য আগামী ৩০ বছরের জন্য দখল করে রাখবে। সেই সঙ্গে আর্কটিকে তেল খননের সম্ভাবনা ও সুযোগ সম্প্রসারণে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
কিন্তু কংগ্রেসে আলাস্কার প্রতিনিধিত্বকারী তিনজন আইনপ্রণেতা, যাদের মধ্যে একজন ডেমোক্র্যাটও রয়েছেন, তাঁরা প্রকল্পটির অনুমোদনের জন্য চাপ দিয়েছিলেন। এটিকে এই অঞ্চলের সম্প্রদায়গুলোর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। তাঁদের যুক্তি, এটি দেশীয় জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিদেশি তেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে।
কনোকোফিলিপসের সিইও রায়ান ল্যান্স সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আলাস্কা এবং আমাদের পুরো জাতির জন্য এটি খুবই সঠিক সিদ্ধান্ত।’ যুক্তরাষ্ট্রের এই জ্বালানি তেল জায়ান্ট এরই মধ্যে আলাস্কার বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তারা এখন আলাস্কায় আদিবাসীদের কর্মসংস্থানের লোভও দেখাচ্ছে।
তাহলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন, যিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং কিছু কিছু বাস্তবায়নও শুরু করেছেন, তিনি এমন একটি ‘কার্বন বোমা’ প্রকল্পের অনুমোদন দিলেন কেন?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, উইলো প্রকল্পের পেছনে রয়েছে রাজনীতি এবং আইন। এটি পরিবেশের কোনো ব্যাপার নয়।
২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রচারণার সময় জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোনো জমিতে আর তেল–গ্যাস খনন হবে না।
অন্তত তাঁর আমলে এটি তিনি হতে দেবেন না। সেই প্রতিশ্রুতি অবশ্য গত বছরই ভেঙেছেন তিনি। তাঁর প্রশাসন আদালতের চাপে খননের জন্য ইজারা দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
এই উইলো প্রকল্পের ব্যাপারেও হোয়াইট হাউস সম্ভবত আদালতের ভূমিকাকেই উল্লেখ করে দায় এড়াতে পারবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
তেল কোম্পানি কনোকোফিলিপস ১৯৯৯ সাল থেকেই সরকারি খনি খননের ইজারা ধরে রেখেছে। তাদের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করা হলে আদালতে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, জলবায়ু রক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে উইলো প্রকল্প যে ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না, বাইডেন প্রশাসন এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই সচেতন। সুতরাং, বিরোধীদের সুযোগ না দিতে, বাইডেন প্রশাসন আর্কটিক মহাসাগরে তেল এবং গ্যাস কূপ ইজারা দেওয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে উইলো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার মধ্য দিয়ে একটি ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে।
অবশ্য বেশিরভাগ পরিবেশবাদী বাইডেন প্রশাসনের এমন অবস্থানকে ন্যায্য বলে মেনে নিতে পারছেন না।
অপরদিকে উইলো প্রকল্পও গভীরভাবে রাজনৈতিক। ১৮ মাস পরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ফলে জো বাইডেনকে মার্কিন নাগরিকদের জন্য গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং জ্বালানির দামের দিকে নজর দিতেই হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সামনে নিজেকে আস্থাভাজন করে তুলতে এক মধ্যপন্থী রাজনীতিক হিসেবে প্রমাণ করা এখন তাঁর জন্য জরুরি।
কিন্তু এটিও সত্য যে, তেলের খনির অনুমোদন দিয়ে বহু তরুণের মন ভাঙলেন জো বাইডেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার পেছনে এই তরুণ ভোটারদের অবদান কিন্তু কম না!

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১২ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় নিজের ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বৃহৎ তেল ও গ্যাস খনি খনন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে ৮০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই। তথা
১৪ মার্চ ২০২৩
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১২ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় নিজের ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বৃহৎ তেল ও গ্যাস খনি খনন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে ৮০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই। তথা
১৪ মার্চ ২০২৩
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১২ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় নিজের ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বৃহৎ তেল ও গ্যাস খনি খনন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে ৮০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই। তথা
১৪ মার্চ ২০২৩
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মোকাবিলায় নিজের ঘোষিত প্রতিশ্রুতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বৃহৎ তেল ও গ্যাস খনি খনন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে ৮০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া নেই। তথা
১৪ মার্চ ২০২৩
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১২ ঘণ্টা আগে