আশিকুর রহমান সমী

পুরো পৃথিবীতে জলাভূমিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে জলাভূমিকে কেন্দ্র করে বেঁচে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী। এদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো এই জলাভূমি। আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই দিনে দূষণে-দখলে সংকটাপন্ন আমাদের ঢাকা শহরের জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্যের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
পরিবেশগত গুরুত্বের পাশাপাশি একটি দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সামাজিক জীবন—সবকিছুর সঙ্গে জলাভূমি ও জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। এর অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। কিন্তু দিনে দিনে জলাভূমিগুলো হারাচ্ছে তার জৌলুশ, আবাসস্থলের গুণগত মান হারিয়ে যাওয়ার ফলে জীববৈচিত্র্যের এক বড় অংশ আজ বিপন্ন। বিশেষ করে শহরের জীববৈচিত্র্য আজ সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে।
ঢাকার অতীত ও বর্তমান অবস্থা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়, বাংলাদেশের শহরকেন্দ্রিক জলজ জীববৈচিত্র্য কতটা ঝুঁকিতে আছে। বাকি শহরগুলোতে সংরক্ষণের উদ্যোগ না নিলে একই পরিস্থিতি হবে সেগুলোরও। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা তার যাত্রা শুরু করে ১৭ শতকের শুরুতে। সেই সময় ঢাকা ছিল প্রাকৃতিক জলাভূমির বৈচিত্র্যময়তায় পরিপূর্ণ। সবুজে ভরপুর ছিল শহরটি। সময়ের পরিক্রমায় সেই ঢাকায় এখন বসবাস করা কঠিন।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড আরবানাইজেশন প্রসপেক্টের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার জনসংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে পৌঁছে যাবে ২ কোটি ৭৪ লাখে। বর্তমানের ১১তম জনবহুল শহর থেকে তখন তা পরিণত হবে বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল নগরীতে।
অধিক জনসংখ্যা তৈরি করছে অতিরিক্ত বর্জ্য, হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ, যার ফলে কংক্রিটের চাপে ঢাকা ক্রমাগত হারিয়ে ফেলেছে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর ঐশ্বর্য।
ঢাকা বাংলাদেশের ২২টি জীব পরিবেশীয় এলাকার মধ্যে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র প্লাবনভূমিতে অবস্থিত, যা জলাভূমিকেন্দ্রিক প্রাকৃতিক সম্পদ আর জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ ছিল একসময়। শুরুতে তখন বুড়িগঙ্গার তীরে কিছু বসতি ছাড়া উত্তর দিকের মিরপুর, পল্টন, তেজগাঁও, কুর্মিটোলা ছিল বিশাল জঙ্গল আর দক্ষিণের কামরাঙ্গীরচরে ছিল বিশাল বাদাবন, বাকি এলাকাগুলোই মূলত ছিল জলাশয়। আর এগুলোকে কেন্দ্র করে বসতি ছিল বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর, যারা শুধুই আজ বইয়ের পাতায়।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বাঘ, বিশাল, অজগর, বুনো শূকর, বনবিড়াল, মেছো বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর আনাগোনাও ছিল। ৫০ বছর আগেও ঢাকা ছিল মানব আবাসস্থল, অফিস, দোকান আর রাস্তার চেয়ে জলা, বনজঙ্গল, তৃণভূমির সমন্বয়ে গঠিত এক অপূর্ব ক্যানভাস। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী তৎকালীন সময়ে বর্তমান ঢাকার ব্যস্ত এলাকাগুলোতেও আনাগোনা ছিল বন্যপ্রাণীদের। ছিল তাদের অবাধ বিচরণ। কাঁটাবন থেকেও শোনা যেত শিয়ালের ডাক।
একসময় দেশি ময়ূর, লাল বনমোরগ, মেটে তিতির, কালো তিতিরদের বিচরণের এলাকাগুলো এখন পরিণত হয়েছে ইটকাঠ আর জঞ্জালের স্তূপে। বুনো হাঁস, সারসদের জলাশয়গুলো প্রাণ হারিয়ে পচা ডোবায় পরিণত হওয়ার পাশাপাশি হয়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক ব্যাধির উৎপাদনকেন্দ্র। প্রকৃতি ধ্বংস করে মানুষ নিজেই তৈরি করেছে তার মৃত্যু কফিন। প্রকৃতি হারিয়ে ফেলছে তার ভারসাম্য।
২০১০ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য ও স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৬০ সালে ঢাকার জলাভূমির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৫২ হেক্টর ও নিম্নভূমির পরিমাণ ১৩ হাজার ৫২৭ হেক্টর, যা ২০০৮ সালে এসে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৯৯০ হেক্টর ও ৬ হাজার ৪১৪ হেক্টরে। ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৮৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হারিয়ে গেছে ঢাকার ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জলাভূমি, খাল ও নিম্নাঞ্চল। এমনকি ১৯৯৫ সালে ঢাকা শহরের মোট আয়তনের ২০ শতাংশের বেশি ছিল জলাভূমি। একটি শহরের মোট আয়তনের জলাশয় থাকা প্রয়োজন ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। কিন্তু ঢাকায় এখন টিকে আছে মাত্র ৩ শতাংশ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালে ঢাকায় পানির স্তর ছিল ২৫ মিটারে, যা ২০০৫ সালে ৪৫ মিটার, ২০১০ সালে ৬০ মিটার এবং ২০২৪ সালে এসে ৮৬ মিটারে পৌঁছেছে। প্রতি বছরই ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দুই থেকে তিন মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হলে শহরের মোট ভূমির ১৫ শতাংশ সবুজ আচ্ছাদিত রাখতে হয়। ঢাকা শহরে এখন সেটি আছে মাত্র ৯ শতাংশ।
আর ঢাকায় যে বর্তমানে জলাশয়গুলো টিকে আছে, সেগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও গুণগত মান কি ঠিক আছে? এর উত্তর হলো, না। ক্রমাগত দূষণের ফলে বেশির ভাগ জলাশয়ের পানি বিষাক্ত এখন। পানির বিভিন্ন নিয়ামক যেমন দ্রবীভূত অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ইত্যাদিতে এসেছে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন, যা পরিবর্তন ঘটিয়েছে জলজ পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনায়। তাইতো পরিবর্তন ঘটেছে উৎপাদক থেকে সর্বোচ্চ খাদকের স্তর পর্যন্ত।
খাদ্য শৃঙ্খলে ঘটে গেছে এক বিশাল পরিবর্তন। আর এর ফলেই লক্ষ করবেন, কিছু কিছু জলাশয় ঠিকই আছে, জলাশয়ে পানিও আছে, কিন্তু সেখানে জীবের বৈচিত্র্য নেই। নেই পাখি, নেই তেমন কোনো স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ বা উভচর। সহজ কথায় যদি বোঝাতে চাই, এই তীব্র গরম আর তাপপ্রবাহে আপনি কখনোই বাইরে অবস্থান করবেন না, আপনি আপনার জন্য সুবিধাজনক একটি জায়গা খুঁজবেন বেঁচে থাকার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে এমন। আর এই জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে। এ কারণেই ঢাকা থেকে জলাশয়কেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্য ক্রমাগত হারিয়ে গেছে।
গত সাত বছর ধরে নিয়মিত ঢাকা শহরের জীববৈচিত্র্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ ল্যাবরেটরি। বর্তমানে জীববৈচিত্র্যের সম্প্রদায়ের গঠন। কী পরিবর্তন ঘটছে তাদের আবাসস্থলে? ঢাকায় এখন আর নেই সেই জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্যের প্রাচুর্য। হারিয়ে ফেলেছি বুনো হাঁসের দল, হারিয়েছি সারস, মদনটাক, মানিকজোড়, বিরল প্রজাতির বগা-বগলা, সৈকত পাখি আর জলাভূমিকেন্দ্রিক পাখিদের। কিছু পাখি যেমন, জিরিয়া, বাটান, ধূসর বক টিকে আছে; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, তাদের সংখ্যা এখন অনেক কম।
উভচর প্রাণীদের অবস্থা আরও করুন এই শহরে। সাত বছর আগেও যে জীববৈচিত্র্য ছিল, আজ অনেক কমে গেছে। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়, রমনা পার্ক, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিগত সময়ে যেসব উভচর সহজেই দেখতাম ,তাদের সংখ্যা এখন খুব বেশি কমে গেছে। ঢাকার আশপাশের নদীগুলো, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু একসময় ডলফিন বা শুশুকে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু এখানকার পানি এতটাই দূষিত যে, শেষ ডলফিনগুলো বিদায়ের প্রহর গুনছে।
২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফিরোজ জামানের তত্ত্বাবধানে ঢাকা শহরের বন্যপ্রাণী নিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ ল্যাবরেটেরির এক গবেষণায় দেখা যায়, বর্তমানে এখনো এই শহরে ২০৯ প্রজাতির বন্যপ্রাণী আছে, এ ছাড়া রয়েছে ৪৫ প্রজাতির ফড়িং ও সুচ ফড়িং। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রজাপতি আছে ১৪০ প্রজাতির। এই গবেষণাগুলোর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্যের সংখ্যা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে, যার অন্যতম কারণ জলাশয়ের পরিবর্তন ও জলাভূমির প্রাকৃতিক বিপর্যয়। মানুষ কী এত কিছু করে ভালো আছে এই শহরে? না, জীবন মানে সমস্যা, বিশুদ্ধ পানির অভাব, প্রচণ্ড গরম, দূষণ, মহামারি, রোগব্যাধি—সব মিলে এখানে মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ।
তাহলে আমাদের এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ কীভাবে মিলবে? যথাযথ উদ্যোগ কী হতে পারে? ঢাকাকে আগের রূপে আর কখনো ফেরানো যাবে না, কিন্তু যতটুকু আছে তা সংরক্ষণ সম্ভব। প্রাকৃতিক পরিবেশকে নিজের মতো ছেড়ে দেওয়াই হতে পারে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতো থাকত দিতে হবে।
তবে মনে রাখতে হবে, মানুষ কখনো কৃত্রিমভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন করতে পারবে না। জলাভূমির প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে, সেখানে কংক্রিট স্থাপনা করে সৌন্দর্য বর্ধন করে, কখনো মানুষ প্রাকৃতিক জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে পারবে না, যা বর্তমানে অহরহ ঘটছে। পরিবেশের ছোট একটি নিয়ামকের অনুপস্থিতি ডেকে নিয়ে আসছে মহাবিপর্যয়। তাই সৌন্দর্যবর্ধনের নামে জলজ পরিবেশ নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মানুষকে বুঝতে হবে, প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তার হাতে নেই।
তেমনি আমাদের এখনই ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্ব দিতে হবে। যে কোনো প্রকল্পের পরিবেশগত সমীক্ষা খুব ভালোভাবে হওয়া জরুরি। জলজ পরিবেশের মহাবিপর্যয় ঘটিয়ে গাছ লাগিয়ে কখনো জলজ পরিবেশকে সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। আমাদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে মানুষকে আরও বেশি সচেতন করতে হবে। সাময়িক সুবিধার জন্য বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আজ সময়ের দাবি।
লেখক,বন্যপ্রাণী পরিবেশবিদ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল বন্ড জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস), বাংলাদেশ।

পুরো পৃথিবীতে জলাভূমিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে জলাভূমিকে কেন্দ্র করে বেঁচে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী। এদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো এই জলাভূমি। আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই দিনে দূষণে-দখলে সংকটাপন্ন আমাদের ঢাকা শহরের জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্যের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
পরিবেশগত গুরুত্বের পাশাপাশি একটি দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সামাজিক জীবন—সবকিছুর সঙ্গে জলাভূমি ও জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। এর অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। কিন্তু দিনে দিনে জলাভূমিগুলো হারাচ্ছে তার জৌলুশ, আবাসস্থলের গুণগত মান হারিয়ে যাওয়ার ফলে জীববৈচিত্র্যের এক বড় অংশ আজ বিপন্ন। বিশেষ করে শহরের জীববৈচিত্র্য আজ সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে।
ঢাকার অতীত ও বর্তমান অবস্থা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়, বাংলাদেশের শহরকেন্দ্রিক জলজ জীববৈচিত্র্য কতটা ঝুঁকিতে আছে। বাকি শহরগুলোতে সংরক্ষণের উদ্যোগ না নিলে একই পরিস্থিতি হবে সেগুলোরও। বর্তমানে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা তার যাত্রা শুরু করে ১৭ শতকের শুরুতে। সেই সময় ঢাকা ছিল প্রাকৃতিক জলাভূমির বৈচিত্র্যময়তায় পরিপূর্ণ। সবুজে ভরপুর ছিল শহরটি। সময়ের পরিক্রমায় সেই ঢাকায় এখন বসবাস করা কঠিন।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড আরবানাইজেশন প্রসপেক্টের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার জনসংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে পৌঁছে যাবে ২ কোটি ৭৪ লাখে। বর্তমানের ১১তম জনবহুল শহর থেকে তখন তা পরিণত হবে বিশ্বের ষষ্ঠ জনবহুল নগরীতে।
অধিক জনসংখ্যা তৈরি করছে অতিরিক্ত বর্জ্য, হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ, যার ফলে কংক্রিটের চাপে ঢাকা ক্রমাগত হারিয়ে ফেলেছে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর ঐশ্বর্য।
ঢাকা বাংলাদেশের ২২টি জীব পরিবেশীয় এলাকার মধ্যে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র প্লাবনভূমিতে অবস্থিত, যা জলাভূমিকেন্দ্রিক প্রাকৃতিক সম্পদ আর জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ ছিল একসময়। শুরুতে তখন বুড়িগঙ্গার তীরে কিছু বসতি ছাড়া উত্তর দিকের মিরপুর, পল্টন, তেজগাঁও, কুর্মিটোলা ছিল বিশাল জঙ্গল আর দক্ষিণের কামরাঙ্গীরচরে ছিল বিশাল বাদাবন, বাকি এলাকাগুলোই মূলত ছিল জলাশয়। আর এগুলোকে কেন্দ্র করে বসতি ছিল বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর, যারা শুধুই আজ বইয়ের পাতায়।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বাঘ, বিশাল, অজগর, বুনো শূকর, বনবিড়াল, মেছো বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর আনাগোনাও ছিল। ৫০ বছর আগেও ঢাকা ছিল মানব আবাসস্থল, অফিস, দোকান আর রাস্তার চেয়ে জলা, বনজঙ্গল, তৃণভূমির সমন্বয়ে গঠিত এক অপূর্ব ক্যানভাস। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী তৎকালীন সময়ে বর্তমান ঢাকার ব্যস্ত এলাকাগুলোতেও আনাগোনা ছিল বন্যপ্রাণীদের। ছিল তাদের অবাধ বিচরণ। কাঁটাবন থেকেও শোনা যেত শিয়ালের ডাক।
একসময় দেশি ময়ূর, লাল বনমোরগ, মেটে তিতির, কালো তিতিরদের বিচরণের এলাকাগুলো এখন পরিণত হয়েছে ইটকাঠ আর জঞ্জালের স্তূপে। বুনো হাঁস, সারসদের জলাশয়গুলো প্রাণ হারিয়ে পচা ডোবায় পরিণত হওয়ার পাশাপাশি হয়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক ব্যাধির উৎপাদনকেন্দ্র। প্রকৃতি ধ্বংস করে মানুষ নিজেই তৈরি করেছে তার মৃত্যু কফিন। প্রকৃতি হারিয়ে ফেলছে তার ভারসাম্য।
২০১০ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণার তথ্য ও স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৬০ সালে ঢাকার জলাভূমির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৫২ হেক্টর ও নিম্নভূমির পরিমাণ ১৩ হাজার ৫২৭ হেক্টর, যা ২০০৮ সালে এসে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৯৯০ হেক্টর ও ৬ হাজার ৪১৪ হেক্টরে। ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৮৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হারিয়ে গেছে ঢাকার ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জলাভূমি, খাল ও নিম্নাঞ্চল। এমনকি ১৯৯৫ সালে ঢাকা শহরের মোট আয়তনের ২০ শতাংশের বেশি ছিল জলাভূমি। একটি শহরের মোট আয়তনের জলাশয় থাকা প্রয়োজন ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। কিন্তু ঢাকায় এখন টিকে আছে মাত্র ৩ শতাংশ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালে ঢাকায় পানির স্তর ছিল ২৫ মিটারে, যা ২০০৫ সালে ৪৫ মিটার, ২০১০ সালে ৬০ মিটার এবং ২০২৪ সালে এসে ৮৬ মিটারে পৌঁছেছে। প্রতি বছরই ঢাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দুই থেকে তিন মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে হলে শহরের মোট ভূমির ১৫ শতাংশ সবুজ আচ্ছাদিত রাখতে হয়। ঢাকা শহরে এখন সেটি আছে মাত্র ৯ শতাংশ।
আর ঢাকায় যে বর্তমানে জলাশয়গুলো টিকে আছে, সেগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও গুণগত মান কি ঠিক আছে? এর উত্তর হলো, না। ক্রমাগত দূষণের ফলে বেশির ভাগ জলাশয়ের পানি বিষাক্ত এখন। পানির বিভিন্ন নিয়ামক যেমন দ্রবীভূত অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ইত্যাদিতে এসেছে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন, যা পরিবর্তন ঘটিয়েছে জলজ পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাপনায়। তাইতো পরিবর্তন ঘটেছে উৎপাদক থেকে সর্বোচ্চ খাদকের স্তর পর্যন্ত।
খাদ্য শৃঙ্খলে ঘটে গেছে এক বিশাল পরিবর্তন। আর এর ফলেই লক্ষ করবেন, কিছু কিছু জলাশয় ঠিকই আছে, জলাশয়ে পানিও আছে, কিন্তু সেখানে জীবের বৈচিত্র্য নেই। নেই পাখি, নেই তেমন কোনো স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ বা উভচর। সহজ কথায় যদি বোঝাতে চাই, এই তীব্র গরম আর তাপপ্রবাহে আপনি কখনোই বাইরে অবস্থান করবেন না, আপনি আপনার জন্য সুবিধাজনক একটি জায়গা খুঁজবেন বেঁচে থাকার অনুকূল পরিবেশ রয়েছে এমন। আর এই জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছে। এ কারণেই ঢাকা থেকে জলাশয়কেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্য ক্রমাগত হারিয়ে গেছে।
গত সাত বছর ধরে নিয়মিত ঢাকা শহরের জীববৈচিত্র্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ ল্যাবরেটরি। বর্তমানে জীববৈচিত্র্যের সম্প্রদায়ের গঠন। কী পরিবর্তন ঘটছে তাদের আবাসস্থলে? ঢাকায় এখন আর নেই সেই জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্যের প্রাচুর্য। হারিয়ে ফেলেছি বুনো হাঁসের দল, হারিয়েছি সারস, মদনটাক, মানিকজোড়, বিরল প্রজাতির বগা-বগলা, সৈকত পাখি আর জলাভূমিকেন্দ্রিক পাখিদের। কিছু পাখি যেমন, জিরিয়া, বাটান, ধূসর বক টিকে আছে; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, তাদের সংখ্যা এখন অনেক কম।
উভচর প্রাণীদের অবস্থা আরও করুন এই শহরে। সাত বছর আগেও যে জীববৈচিত্র্য ছিল, আজ অনেক কমে গেছে। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়, রমনা পার্ক, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিগত সময়ে যেসব উভচর সহজেই দেখতাম ,তাদের সংখ্যা এখন খুব বেশি কমে গেছে। ঢাকার আশপাশের নদীগুলো, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু একসময় ডলফিন বা শুশুকে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু এখানকার পানি এতটাই দূষিত যে, শেষ ডলফিনগুলো বিদায়ের প্রহর গুনছে।
২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফিরোজ জামানের তত্ত্বাবধানে ঢাকা শহরের বন্যপ্রাণী নিয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ওয়াইল্ডলাইফ রিসার্চ ল্যাবরেটেরির এক গবেষণায় দেখা যায়, বর্তমানে এখনো এই শহরে ২০৯ প্রজাতির বন্যপ্রাণী আছে, এ ছাড়া রয়েছে ৪৫ প্রজাতির ফড়িং ও সুচ ফড়িং। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রজাপতি আছে ১৪০ প্রজাতির। এই গবেষণাগুলোর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্যের সংখ্যা ক্রমাগত কমে যাচ্ছে, যার অন্যতম কারণ জলাশয়ের পরিবর্তন ও জলাভূমির প্রাকৃতিক বিপর্যয়। মানুষ কী এত কিছু করে ভালো আছে এই শহরে? না, জীবন মানে সমস্যা, বিশুদ্ধ পানির অভাব, প্রচণ্ড গরম, দূষণ, মহামারি, রোগব্যাধি—সব মিলে এখানে মানুষের জীবন আজ দুর্বিষহ।
তাহলে আমাদের এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ কীভাবে মিলবে? যথাযথ উদ্যোগ কী হতে পারে? ঢাকাকে আগের রূপে আর কখনো ফেরানো যাবে না, কিন্তু যতটুকু আছে তা সংরক্ষণ সম্ভব। প্রাকৃতিক পরিবেশকে নিজের মতো ছেড়ে দেওয়াই হতে পারে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। প্রকৃতিকে প্রকৃতির মতো থাকত দিতে হবে।
তবে মনে রাখতে হবে, মানুষ কখনো কৃত্রিমভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন করতে পারবে না। জলাভূমির প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে, সেখানে কংক্রিট স্থাপনা করে সৌন্দর্য বর্ধন করে, কখনো মানুষ প্রাকৃতিক জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে পারবে না, যা বর্তমানে অহরহ ঘটছে। পরিবেশের ছোট একটি নিয়ামকের অনুপস্থিতি ডেকে নিয়ে আসছে মহাবিপর্যয়। তাই সৌন্দর্যবর্ধনের নামে জলজ পরিবেশ নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মানুষকে বুঝতে হবে, প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তার হাতে নেই।
তেমনি আমাদের এখনই ঢাকার বাইরের শহরগুলোতে জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্ব দিতে হবে। যে কোনো প্রকল্পের পরিবেশগত সমীক্ষা খুব ভালোভাবে হওয়া জরুরি। জলজ পরিবেশের মহাবিপর্যয় ঘটিয়ে গাছ লাগিয়ে কখনো জলজ পরিবেশকে সুস্থ রাখা সম্ভব নয়। আমাদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে মানুষকে আরও বেশি সচেতন করতে হবে। সাময়িক সুবিধার জন্য বড় বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আজ সময়ের দাবি।
লেখক,বন্যপ্রাণী পরিবেশবিদ, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল বন্ড জিওগ্রাফিকাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস), বাংলাদেশ।

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

পুরো পৃথিবীতে জলাভূমিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে জলাভূমিকে কেন্দ্র করে বেঁচে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী। তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো এই জলাভূমি। আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই দিনে দূষণে-দখলে সংকটাপন্ন আমাদের ঢাকা শহরের জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত
০৫ জুন ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

পুরো পৃথিবীতে জলাভূমিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে জলাভূমিকে কেন্দ্র করে বেঁচে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী। তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো এই জলাভূমি। আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই দিনে দূষণে-দখলে সংকটাপন্ন আমাদের ঢাকা শহরের জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত
০৫ জুন ২০২৪
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।
দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।
দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

পুরো পৃথিবীতে জলাভূমিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে জলাভূমিকে কেন্দ্র করে বেঁচে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী। তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো এই জলাভূমি। আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই দিনে দূষণে-দখলে সংকটাপন্ন আমাদের ঢাকা শহরের জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত
০৫ জুন ২০২৪
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।
এ ছাড়া আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।
এ ছাড়া আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে।

পুরো পৃথিবীতে জলাভূমিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে জলাভূমিকে কেন্দ্র করে বেঁচে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী। তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো এই জলাভূমি। আজ ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই দিনে দূষণে-দখলে সংকটাপন্ন আমাদের ঢাকা শহরের জলাভূমিকেন্দ্রিক জীববৈচিত
০৫ জুন ২০২৪
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে