Ajker Patrika

বুনো হাতিরা কি হারিয়ে যাবে বাংলাদেশ থেকে? 

ইশতিয়াক হাসান
বুনো হাতিরা কি হারিয়ে যাবে বাংলাদেশ থেকে? 

আজ বিশ্ব হাতি দিবস। তিনটি হাতির বাচ্চার কথা বড় বেশি মনে পড়ছে। প্রথমটির গল্প মন খারাপ করে দেওয়া। গত বছরের নভেম্বরের এক সকালে পত্রিকাতে খবরটা দেখেই মনটা কেঁদে উঠল। কক্সবাজারের চকোরিয়ায় তিন বছর বয়সের একটা হাতির বাচ্চাকে গুলি করে মারা হয়। মাদী বাচ্চা হাতিটাকে মেরে পুতে ফেলা হয়েছিল মাটির নিচে! কীভাবে সম্ভব! একটা বাচ্চা হাতি, তাও মাদি, কাজেই ওর থেকে দাঁত পাওয়ার সুযোগ নেই! শুধু ধান খাওয়ার অপরাধে মেরে ফেলল ছোট্ট হাতিটাকে?

এই লেখার সূত্র ধরেই আমার নিজের হাতিপ্রীতির কথা না বলে পারছি না। এটা এতটাই যে, বন্ধু ও সহকর্মীরা মজা করে হাতি ইশতিয়াকও ডাকে! তবে এতে আমার গা জ্বালা করে না মোটেই! হাতির খোঁজে চষে বেড়িয়েছি রাঙামাটির কাপ্তাই, বান্দরবানের লামা-আলীকদম, দুধপুকুরিয়াসহ কত জঙ্গলে। কাসালং ফরেস্টের রাঙ্গীপাড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম হাতির পালের ১০ গজের মধ্যে। তখন হাতিগুলো মানুষের যন্ত্রণায় ছিল খুব অস্থির, তারপরও আমাকে কিছুই করেনি। 

কাসালংয়ের বুনো হাতিওই রাঙ্গীপাড়াতেই মা আর বাচ্চা হাতির সঙ্গে হয়েছিল আশ্চর্য এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। আজ সকালে কেন যেন মনে পড়ছে কাসালং রিজার্ভের রাঙ্গীপাড়ার ওই বাচ্চা হাতির কথা, যে মায়ের সঙ্গে আটকা পড়েছিল জঙ্গলে। চারপাশ থেকে মানুষজন ঘিরে ফেলেছিল ওদের। এমনকি গাছের ওপর উঠেও ওদের দেখছিল উৎসুক জনতা। কী অসহায় লাগছিল মা ও বাচ্চাটাকে যখন ওরা এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে যাচ্ছিল। সত্যি কি বুনো হাতিদের জন্য আর জায়গা নেই আমাদের বনে?

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) ২০১৬ সালের জরিপ বলছে এ দেশে স্থায়ী বুনো হাতি আছে ২৭০ টির মতো। আশ্চর্যজনক হলেও কক্সবাজার ও এর আশপাশের বন-পাহাড়ে গত নভেম্বরে এক সপ্তাহর কিছু বেশি সময়ের মধ্যে হত্যা করা হয় চারটি বন্য হাতি। 

সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোয় দাঁতের জন্য হাতি মারে চোরাশিকারিরা। এটা নিঃসন্দেহে অনেক বড় অপরাধ! তবে আশ্চর্য ব্যাপার কক্সবাজারের এই হাতিগুলোকে এমনকি দাঁতের জন্যও মারা হয়নি। এদের বেশির ভাগ হয় মাদি, নয়তো শিশু। তার মানে কেবল ধান খাওয়া, মরিচ খাওয়ার মতো অপরাধে এদের মেরে ফেলা হয়েছে। কারা মারছে? আমরা; এই সভ্য, বুদ্ধিমান মানুষেরা!

টেকনাফের অরণ্যে মা ও বাচ্চা হাতি

গত দেড়-দুই বছর ধরে একের পর এক হাতি মারা যাওয়ার খবর পাচ্ছি আমাদের অরণ্যগুলো থেকে। কক্সবাজার-টেকনাফ-লামা-আলীকদম—এই জায়গাগুলোয় বেশ কয়েকটি বড় পাল ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতিদের, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে। রোহিঙ্গা বসতির কারণে ওগুলোর কয়েকটি এক রকম বন্দীজীবন কাটাচ্ছে। আছে চরম খাবার সংকটে।

মাঝখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনিরুল খান ভাই কক্সবাজারের বুনো হাতির পালের ছবি তুলেছিলেন। এর মধ্যে কয়েকটি হাতি ছিল একেবারেই কঙ্কালসার। কোনো হাতির চেহারা যে এতটা পলকা হতে পারে, তা কল্পনাও করিনি। হয়তো খাবার অভাবেই ওদের এই হাল! 

ইদানীং, চট্টগ্রাম বিভাগের বনাঞ্চলে একের পর এক হাতি মৃত্যুর যে ঘটনা ঘটছে, তার প্রায় সবগুলোই কক্সবাজার-লামার বন-পাহাড়ে। এর মধ্যে অনেকগুলো মারা পড়েছে কীভাবে শুনবেন? বিদ্যুতায়িত তারের স্পর্শে। বেশ কিছুকে হত্যা করা হয়েছে গুলি করে। আমরা মানুষেরা পরিকল্পিতভাবে এটা করেছি। 

রাঙ্গীপাড়ার মা আর বাচ্চা হাতি

আইইউসিএনের পাঁচ বছর আগের জরিপ বলছে, দেশের স্থায়ী বুনো হাতির অর্ধেকের বেশি, অর্থাৎ ১৪৭ টির (গড়) আস্তানা কক্সবাজার-লামার বনাঞ্চলে। যে হারে হাতি মারা পড়ছে ওই এলাকায়, এখন আর কতটি বুনো হাতি আছে কে জানে? 

এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বন বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে হাতির বিচরণ আছে—এমন তিনটি সংরক্ষিত অরণ্য চুনতি ও ফাঁসিয়াখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং মেধাকচ্ছপিয়া ন্যাশনাল পার্কের ২৭ কিলোমিটার বনাঞ্চল কেটে যাবে রেললাইনটি। যত দূর জানি, ওই রেলপথ যাবে হাতি চলাচলের অন্তত ছয়টি করিডরের ওপর দিয়ে। ভারতে নীলগিরিসহ আরও বেশ কিছু এলাকায় হাতি চলাচলের রাস্তার ওপর দিয়ে রেললাইন গেছে। ওদের ব্যবস্থাপনা তুলনামূলক ভালো। তারপর সেখানেও রেলগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে হাতি মারা পড়ার রেকর্ড আছে প্রচুর। 

এখন হাতি মারা হচ্ছে গুলি করে, বিদ্যুতায়িত করে; রেললাইন তৈরি হলে রেলগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে আরও কিছু মারা পড়া খুব স্বাভাবিক। কারণ, ওই হাতিগুলোর রেলগাড়ি নামক যন্ত্রদানবের সঙ্গে পরিচয়ই নেই। অবশ্য যে পরিস্থিতি ট্রেন চলাচল শুরু পর্যন্ত আর কতটি বুনো হাতি ওই এলাকায় টিকে থাকে—এটাও ভাববার বিষয়। রেললাইন তৈরির বিরোধিতা করার সুযোগ নেই। তবে বুনো হাতির ব্যাপারটা মাথায় রেখে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জরুরি। 

হাতি দেখতে রাঙ্গীপাড়ার মানুষেরা উঠে পড়েছে গাছের ওপর

কক্সবাজার-লামা বাদে তাহলে হাতিরা ভালো আছে? একেবারেই না, ওই সব অরণ্যে হাতির অবস্থা আগে থেকেই ভয়াবহ। আমার জানামতে, সিলেট বিভাগে লাঠিটিলা বাদে আর কোথাও এখন এমনকি সীমান্ত পেরিয়েও আসে না হাতিরা। এই বুনো জন্তুরাও বুঝে গেছে, সীমানা পেরোলেই বিপদ! ওই হিসাবে জামালপুর-শেরপুরের দিকটায় গারো পাহাড়ের ভারতের অংশ থেকে নামা হাতিগুলো নিরেট গর্দভ! বছরে কয়েক মাস আমাদের সীমানায় কাটায় এরা। তবে যেগুলো আসে, সবগুলো ফিরতে পারে না। বিদ্যুতায়িত করে এই এলাকায়ও হাতি মারা হয় নিয়মিতই।

আমাদের স্থায়ী বুনো হাতি আছে কেবল পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে। আগেই বলেছি আইইউসিএনের ২০১৬ সালের জরিপে সংখ্যাটা ২৭০ টির মতো বলে ধারণা করা হয়েছে। যেভাবে বুনো হাতি হত্যা হচ্ছে, সংখ্যাটা কতটা কমেছে খোদা জানে! অথচ ড. রেজা খান ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশের বনগুলোতে ৪০০ টির মতো স্থায়ী বন্য হাতি আছে বলে ধারণা করেছিলেন। তবে আমার ধারণা সংখ্যায় হয়তো আরও বেশিই ছিল বুনো হাতিরা তখন।

২০১৬ সালের জরিপে রাঙামাটির কাসালং, কাপ্তাই মিলিয়ে সাকল্যে ৫০ টির মতো বুনো হাতি থাকার খবরও অশনিসংকেত আমাদের জন্য। নয় বছর আগে রাঙামাটির রাঙ্গীপাড়ায় বুনো হাতির যে দল দেখেছিলাম, সেখানে একটিও দাঁতাল হাতি ছিল না। দাঁতাল হাতির সংখ্যা এতই কমছে যে, এক সময় জিন পুল থেকেই এদের হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে!

জঙ্গলের ভেতর বুনো হাতি

অথচ আগে হাতিরা কী সুন্দর দিন কাটাত। ইউসুফ এস আহমদ, এনায়েত মাওলার বই থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, বিংশ শতকের মাঝামাঝির দিকে রাঙামাটির কাসালংয়ের মাইনিমুখ, মাহিল্লা, শিশক, কাপ্তাইয়ের অরণ্যে ঘটা করে খেদার আয়োজন হতো। এক একটা খেদায় ত্রিশ-চল্লিশ, এমনকি ষাট-সত্তরটি হাতিও ধরা পড়ত। ওই জঙ্গলগুলোতে যে তখন বিস্তর হাতি ঘুরে বেড়াত, তাতে নিশ্চয় সন্দেহ নেই। মাইনিতে এক বৃদ্ধ বলেছিলেন, তরুণ বয়সে কাসালংয়ের অরণ্যে ১০০ হাতির পালও দেখেছেন। ১০ বছর আগে আমি প্রায় ৩০টি হাতির দলের সন্ধান পেয়েছিলাম।

এনায়েত মাওলার ‘যখন শিকারি ছিলাম’ বইয়ে গত শতকের পঞ্চাশের দশকে থানচি থেকে সাঙ্গু নদী ধরে রেমাক্রির দিকে যাওয়ার পথে মধু নামের এক জায়গায় পাগলা হাতি শিকারের বর্ণনা আছে। ওই হাতিটার ভয়ে মুরংরা গাছের ওপর মাচা বানিয়ে থাকা শুরু করেছিল। ওই সময় তো বটেই মধু, বড় মোদক ও সাঙ্গু রিজার্ভে বুনো হাতির বিচরণ ছিল বেশ। তবে এখন আর ওদিকে স্থায়ী হাতির আস্তানা নেই। আইইউসিএনের ২০১৬ সালের জরিপ অনুসারে সাঙ্গু রিজার্ভে ১৫-২০টি বুনো হাতি মিয়ানমারের সীমানা পেরিয়ে বেড়াতে আসে কখনো-সখনো।

মধুপুর জঙ্গলেও বিচরণ ছিল বুনো হাতির। ময়মনসিংহের মহারাজারা গারো পাহাড়ে খেদার আয়োজন করতেন। অবশ্য এটি সোয়া শ বছর আগের ঘটনা! তেমনি সিলেটের লালাখালের ওদিকটাসহ আরও বিভিন্ন এলাকায় এই কয়েক দশক আগেও হাতিরা নামত ভারত থেকে। বুঝুন তাহলে, বুনো হাতির দিক থেকে মোটামুটি গর্ব করার জায়গায় ছিলাম আমরা!

 

কাসালংয়ের জঙ্গলে হাতি

নেট ঘাঁটাঘাঁটি করে যা বুঝেছি, এশীয় হাতি আছে এখন যে তেরোটি দেশে, তার সবগুলোই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। দু-একটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে ওসব এলাকার হাতিরা অনেক ভালো আছে আমাদেরগুলোর চেয়ে!

দারুণ বুদ্ধিমান এক জন্তু হাতি। এদের ধীরে ধীরে বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া একটুও কি কষ্ট দেয় না আমাদের? আমরা মানুষেরা যেমন কেউ মারা গেলে দুঃখ পাই, শোক করি, হাতিরাও তাই করে। শুঁড় দিয়ে মৃত সঙ্গীর শরীরটা ছুঁয়ে দেখে, কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। হাতিদের মধ্যে কেউ মারা গেলে সঙ্গীর দেহটা কবর দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেল একবার দারুণ এক ভিডিও প্রকাশ করেছিল। সেখানে একটা মেয়ে হাতিকে মৃত সঙ্গীর দাঁত শুঁড় দিয়ে পরম মমতায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা জড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

এখন আপনি হয়তো ভাবছেন, তো হাতিরা জঙ্গলে থাকলেই পারে? তাদের লোকালয়ে আসার দরকার কি ধান-সবজি খেতে? জঙ্গলও কি খালি রেখেছি আমরা। কত মানুষ আস্তানা গেড়েছে অরণ্যে। তা ছাড়া বনের গাছপালা কেটে বিশাল জন্তুটার খাওয়ার জন্য তেমন কিছু রাখিনি আমরা। এখন যেসব জায়গায় মানুষের বসতি, ধানখেত, সেখানে এক সময় ছিল হাতিদের আস্তানা। ওদের এক জঙ্গল থেকে আরেক জঙ্গলে যাওয়ার পথও আমরা আটকে দিয়েছি নানা স্থাপনা তুলে। বলুন তো হাতিরা যাবে কোথায়?

রাঙ্গীপাড়ায় বুনো হাতির পিছেরাঙ্গীপাড়ার ছোট্ট সে হাতির গল্পে ফিরে আসছি আবার। এখন তরতাজা যুবক বা যুবতী হওয়ার কথা তার। কারণ, হাতিরা অনায়াসে সত্তর-আশি বছর বাঁচে। তবে যেভাবে হাতি শিকার হচ্ছে আমার আশঙ্কা হয়তো প্রিয় ওই ছোট্ট হাতিটা বড়ই হতে পারেনি, এর আগেই ওটা মারা পড়েছে। আমার মনে ইদানীং একটা ভয় ঘুরপাক খাচ্ছে, হয়তো বাঘের আগেই বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বুনো হাতি। তখন কেবল রূপকথা গল্পেই ওদের কথা পড়বে আমাদের শিশুরা। সত্যি কী বুনো হাতিদের জন্য জায়গা নেই আমাদের বনে?

তারপরও শেষটা করতে চাই ভালো খবর দিয়ে। ওই যে শুরুতে তিন হাতি শিশুর কথা বলেছিলাম। তার তিন নম্বর এটি। এই আগস্টের শুরুতেই কক্সবাজারের টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের হোয়াইক্যং রেঞ্জে বনের ভেতর জন্ম নেয় ছোট্ট এক হাতি শিশু। হাতির পাল ঘিরে ছিল হস্তিশিশু ও তার মায়ের নিরাপত্তায়। বন বিভাগের একটি টহল দলও খেয়াল রাখছিল, যেন বাচ্চাটার ক্ষতি না হয়। ছোট্ট সেই হাতির ছানা পরে তার মা-বাবা আর খালা-স্বজনদের সঙ্গে ছোট ছোট পা ফেলে চলে যায় পাহাড়ের গভীরে। কক্সবাজার-টেকনাফের অরণ্যে এই হাতি শিশুসহ বুনো হাতিরা মহানন্দে ঘুরে বেড়াবে, ভালো থাকবে দেশের সব বুনো হাতি, হাতি দিবসে এই চাওয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজ ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণে বছরে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ

  • ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মধ্যে আছে বাংলাদেশও
  • অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে কোটি কোটি মানুষ
  • ক্ষতি হচ্ছে জিডিপির ১০ শতাংশের সমপরিমাণ
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।

বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।

গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।

দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্‌করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।

প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, আজও দূষণে শীর্ষে দিল্লি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত