আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি এর কারণ কী। তবে বায়ুদূষণ ও সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে একবার যদি দূষণ কমে যায় ও সেচ সম্প্রসারণের গতি থেমে যায়, তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাবে।
দক্ষিণ এশিয়া এমনিতেই তাপমাত্রার দিক থেকে একটি উত্তপ্ত অঞ্চল। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত (বর্ষা আসার আগে)—এই সময়টিই সবচেয়ে গরম থাকে। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু করে ভারতের উত্তরাঞ্চল ও বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে নিয়মিতভাবেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর যারা সবচেয়ে তীব্র বা চরম তাপমাত্রার সঙ্গে লড়ছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায়। এই ধরনের তাপমাত্রা বিশেষ করে বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
এই বিপজ্জনক গরম দিনগুলো আরও ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। ২০২৫ সালেই ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ছে ঠিকই, তবে দক্ষিণ এশিয়া এখনো বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্ণ প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর এক বড় কারণ এই অঞ্চলের চরম মাত্রার দূষণ।
কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দীর্ঘমেয়াদি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো বিশ্বব্যাপী সমভাবে ছড়িয়ে পড়লেও অন্য দূষণ অনেক বেশি স্থানীয়। এই স্থানীয় দূষণের একটি বড় অংশ আবার পৃথিবীর তলদেশ ঠান্ডা রাখে। সালফেট কণা, ধোঁয়া ও অন্যান্য অ্যারোসল (ছোট ছোট বায়ু কণা) সূর্যালোককে মাটিতে পৌঁছাতে বাধা দেয়—কখনো তা প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে ফিরে যায়, আবার কখনো তা বাতাসে শোষিত হয়। অ্যারোসল মেঘের গঠনে প্রভাব ফেলে, যা আরও সূর্যালোক আটকে রাখে।
আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) মতে, শিল্পযুগের আগের সময়ের তুলনায় এখন পর্যন্ত অ্যারোসল দূষণের গড় প্রভাব পৃথিবীকে দশমিক ৪ ডিগ্রি ঠান্ডা করেছে, যা গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুষিয়ে দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ চলাচলে জ্বালানি পরিবর্তনের কারণে অ্যারোসল কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণতা আবার দ্রুত বাড়ছে।
ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি পৃথিবীর অন্যতম দূষিত এলাকা। ভারী শিল্প, যানবাহনের ধোঁয়া, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো ও রান্নার কাজে কঠিন জ্বালানির ব্যবহার অ্যারোসল বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এই দূষণ দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বৃদ্ধিকে কিছুটা ঠেকিয়ে রেখেছে। তবে কালো ধোঁয়া সূর্যালোক শোষণ করে মাটিকে ঠান্ডা রাখলেও বাতাসকে গরম করে তোলে—এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এক গবেষণা দেখা যায়, ২০২০ সালের বসন্তে করোনা মহামারির লকডাউনের সময় দূষণ হঠাৎ কমে গেলে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, তবে উল্টো অনেক শহরে তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। গবেষণায় মাত্র কয়েক মাসের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই এই পরিবর্তনগুলো কাকতালীয়ভাবেও ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো কিছুটা রহস্যজনক বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ুবিদ লরেটা মিকলি।
দক্ষিণ এশিয়ায় ধীর গতির উষ্ণতার আরেকটি কারণ হলো ব্যাপক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ। বাষ্পীভবনের সময় পানি তাপ শোষণ করে চারপাশ ঠান্ডা রাখে। ১৯৮০ সাল থেকে ভারতে সেচকৃত জমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই বাড়তি সেচ ব্যবস্থা বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবকে ঢেকে রেখেছে। ২০২০ সালে ‘নেচার কমিউনিকেশনসে’ প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, যদি সেচ না থাকত, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এখনকার তুলনায় ২ থেকে ৮ গুণ বেশি ‘চরম’ গরমের দিন থাকত।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—দূষণ ও সেচ ঠিক কতটা ভূমিকা রেখেছে। এর প্রভাবে শুধু তাপমাত্রা নয়, বর্ষা ও বৃষ্টিপাতের ধরনও বদলাচ্ছে। তবে একটি বিষয়ে সব বিশেষজ্ঞ একমত: আগামী ২০ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার উষ্ণতা বিগত ২০ বছরের দ্বিগুণ হারে বাড়বে। ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ডেভিড ব্যাটিস্টি বলেন, ‘ভারতের জন্য এটা একপ্রকার নিশ্চিত।’
হার্ভার্ডের ডেনিয়েল শ্রাগ বলেন, ভারতের উষ্ণতা বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও দ্রুত বাড়বে।
আগামী দিনে দূষণ ও সেচ—দুটিই আগের মতো বাড়বে না। কারণ, এগুলোর তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখার ভূমিকা কেবল তখনই থাকে যখন এগুলোর পরিমাণ বাড়ে। একবার যদি এগুলো স্থির হয়ে যায় বা কমে যায়, তখন দক্ষিণ এশিয়া বিগত দশকের লুকানো উষ্ণতার পুরো চাপ একসঙ্গে অনুভব করবে।
ড. শ্রাগ বলেন, ‘ভারত এভাবে সেচ দিতে পারবে না। কারণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। আর এ রকম দূষণও দেশটি ধরে রাখতে পারবে না।’
ভারত সরকার ইতিমধ্যে বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ২০১৭ সালের তুলনায় কণিকা দূষণ ২০-৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। ২০২৬ সালের লক্ষ্য ৪০ শতাংশ। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো নতুন অ্যারোসল মনিটরিং স্টেশন স্থাপন। অনেক শহর ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, গত এক দশকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
১৯৬০-এর দশকে ছিল বিশ্বের অন্যতম দূষিত দেশ জাপান। পরবর্তী দুই দশকে কঠোর আইন ও পরিবেশ কর আরোপ করে পরিস্থিতির উন্নতি আনে। ১৯৮০ সাল নাগাদ সেখানে অ্যারোসল দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। চীনও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপকভাবে দূষণ কমাতে সক্ষম হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত, দক্ষিণ এশিয়ায় দূষণ চরম গরমের চেয়েও অনেক বড় হুমকি। ২০২১ সালে ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ’ গবেষণা বলছে, কণিকা দূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ২০-৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে চরম গরমে মৃত্যু হয়েছে ১ থেকে ৬ লাখ মানুষের। দিল্লির সাসটেইনেবল ফিউচারস কল্যাবোরেটিভের গবেষক ভাগরব কৃষ্ণ বলেন, ‘বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহ। কারণ, মানুষ বছরে ৩৬৫ দিন দূষণের সংস্পর্শে থাকে।’
এমনকি অল্প একটু উষ্ণতা বাড়লেও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এরই মধ্যে কিছু এলাকায় এমন গরম ও আর্দ্রতা অনুভূত হয় যা মানুষের সহ্যসীমার কাছাকাছি (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৫০ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা)। আগামী দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি আরও বেশি ঘন ঘন হবে।
ড. ব্যাটিস্টি বলেন, যদি দূষণ ও সেচ একই রকম থাকে, তাহলেও ২০৪৭ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় বছরে যত দিন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে তীব্র চাপ সহ্য করেন, তা চারগুণ বেড়ে যাবে। আর এই দুই উপাদান যদি কমে যায়, তবে চাপ হবে আরও বেশি।
ভারতের প্রায় অর্ধেক মানুষ বাইরে কাজ করেন এবং মাত্র ১০ শতাংশ পরিবারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে। কিছু শহর ইতিমধ্যে গরম মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে—কোথায় ঠান্ডা জায়গা তৈরি করা হবে বা পানি বিতরণ হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে। তবে এখনো অধিকাংশ শহরেই তাপ-সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি এর কারণ কী। তবে বায়ুদূষণ ও সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে একবার যদি দূষণ কমে যায় ও সেচ সম্প্রসারণের গতি থেমে যায়, তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাবে।
দক্ষিণ এশিয়া এমনিতেই তাপমাত্রার দিক থেকে একটি উত্তপ্ত অঞ্চল। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত (বর্ষা আসার আগে)—এই সময়টিই সবচেয়ে গরম থাকে। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু করে ভারতের উত্তরাঞ্চল ও বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে নিয়মিতভাবেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর যারা সবচেয়ে তীব্র বা চরম তাপমাত্রার সঙ্গে লড়ছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায়। এই ধরনের তাপমাত্রা বিশেষ করে বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
এই বিপজ্জনক গরম দিনগুলো আরও ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। ২০২৫ সালেই ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ছে ঠিকই, তবে দক্ষিণ এশিয়া এখনো বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্ণ প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর এক বড় কারণ এই অঞ্চলের চরম মাত্রার দূষণ।
কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দীর্ঘমেয়াদি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো বিশ্বব্যাপী সমভাবে ছড়িয়ে পড়লেও অন্য দূষণ অনেক বেশি স্থানীয়। এই স্থানীয় দূষণের একটি বড় অংশ আবার পৃথিবীর তলদেশ ঠান্ডা রাখে। সালফেট কণা, ধোঁয়া ও অন্যান্য অ্যারোসল (ছোট ছোট বায়ু কণা) সূর্যালোককে মাটিতে পৌঁছাতে বাধা দেয়—কখনো তা প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে ফিরে যায়, আবার কখনো তা বাতাসে শোষিত হয়। অ্যারোসল মেঘের গঠনে প্রভাব ফেলে, যা আরও সূর্যালোক আটকে রাখে।
আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) মতে, শিল্পযুগের আগের সময়ের তুলনায় এখন পর্যন্ত অ্যারোসল দূষণের গড় প্রভাব পৃথিবীকে দশমিক ৪ ডিগ্রি ঠান্ডা করেছে, যা গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুষিয়ে দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ চলাচলে জ্বালানি পরিবর্তনের কারণে অ্যারোসল কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণতা আবার দ্রুত বাড়ছে।
ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি পৃথিবীর অন্যতম দূষিত এলাকা। ভারী শিল্প, যানবাহনের ধোঁয়া, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো ও রান্নার কাজে কঠিন জ্বালানির ব্যবহার অ্যারোসল বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এই দূষণ দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বৃদ্ধিকে কিছুটা ঠেকিয়ে রেখেছে। তবে কালো ধোঁয়া সূর্যালোক শোষণ করে মাটিকে ঠান্ডা রাখলেও বাতাসকে গরম করে তোলে—এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এক গবেষণা দেখা যায়, ২০২০ সালের বসন্তে করোনা মহামারির লকডাউনের সময় দূষণ হঠাৎ কমে গেলে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, তবে উল্টো অনেক শহরে তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। গবেষণায় মাত্র কয়েক মাসের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই এই পরিবর্তনগুলো কাকতালীয়ভাবেও ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো কিছুটা রহস্যজনক বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ুবিদ লরেটা মিকলি।
দক্ষিণ এশিয়ায় ধীর গতির উষ্ণতার আরেকটি কারণ হলো ব্যাপক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ। বাষ্পীভবনের সময় পানি তাপ শোষণ করে চারপাশ ঠান্ডা রাখে। ১৯৮০ সাল থেকে ভারতে সেচকৃত জমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই বাড়তি সেচ ব্যবস্থা বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবকে ঢেকে রেখেছে। ২০২০ সালে ‘নেচার কমিউনিকেশনসে’ প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, যদি সেচ না থাকত, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এখনকার তুলনায় ২ থেকে ৮ গুণ বেশি ‘চরম’ গরমের দিন থাকত।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—দূষণ ও সেচ ঠিক কতটা ভূমিকা রেখেছে। এর প্রভাবে শুধু তাপমাত্রা নয়, বর্ষা ও বৃষ্টিপাতের ধরনও বদলাচ্ছে। তবে একটি বিষয়ে সব বিশেষজ্ঞ একমত: আগামী ২০ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার উষ্ণতা বিগত ২০ বছরের দ্বিগুণ হারে বাড়বে। ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ডেভিড ব্যাটিস্টি বলেন, ‘ভারতের জন্য এটা একপ্রকার নিশ্চিত।’
হার্ভার্ডের ডেনিয়েল শ্রাগ বলেন, ভারতের উষ্ণতা বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও দ্রুত বাড়বে।
আগামী দিনে দূষণ ও সেচ—দুটিই আগের মতো বাড়বে না। কারণ, এগুলোর তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখার ভূমিকা কেবল তখনই থাকে যখন এগুলোর পরিমাণ বাড়ে। একবার যদি এগুলো স্থির হয়ে যায় বা কমে যায়, তখন দক্ষিণ এশিয়া বিগত দশকের লুকানো উষ্ণতার পুরো চাপ একসঙ্গে অনুভব করবে।
ড. শ্রাগ বলেন, ‘ভারত এভাবে সেচ দিতে পারবে না। কারণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। আর এ রকম দূষণও দেশটি ধরে রাখতে পারবে না।’
ভারত সরকার ইতিমধ্যে বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ২০১৭ সালের তুলনায় কণিকা দূষণ ২০-৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। ২০২৬ সালের লক্ষ্য ৪০ শতাংশ। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো নতুন অ্যারোসল মনিটরিং স্টেশন স্থাপন। অনেক শহর ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, গত এক দশকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
১৯৬০-এর দশকে ছিল বিশ্বের অন্যতম দূষিত দেশ জাপান। পরবর্তী দুই দশকে কঠোর আইন ও পরিবেশ কর আরোপ করে পরিস্থিতির উন্নতি আনে। ১৯৮০ সাল নাগাদ সেখানে অ্যারোসল দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। চীনও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপকভাবে দূষণ কমাতে সক্ষম হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত, দক্ষিণ এশিয়ায় দূষণ চরম গরমের চেয়েও অনেক বড় হুমকি। ২০২১ সালে ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ’ গবেষণা বলছে, কণিকা দূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ২০-৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে চরম গরমে মৃত্যু হয়েছে ১ থেকে ৬ লাখ মানুষের। দিল্লির সাসটেইনেবল ফিউচারস কল্যাবোরেটিভের গবেষক ভাগরব কৃষ্ণ বলেন, ‘বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহ। কারণ, মানুষ বছরে ৩৬৫ দিন দূষণের সংস্পর্শে থাকে।’
এমনকি অল্প একটু উষ্ণতা বাড়লেও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এরই মধ্যে কিছু এলাকায় এমন গরম ও আর্দ্রতা অনুভূত হয় যা মানুষের সহ্যসীমার কাছাকাছি (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৫০ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা)। আগামী দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি আরও বেশি ঘন ঘন হবে।
ড. ব্যাটিস্টি বলেন, যদি দূষণ ও সেচ একই রকম থাকে, তাহলেও ২০৪৭ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় বছরে যত দিন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে তীব্র চাপ সহ্য করেন, তা চারগুণ বেড়ে যাবে। আর এই দুই উপাদান যদি কমে যায়, তবে চাপ হবে আরও বেশি।
ভারতের প্রায় অর্ধেক মানুষ বাইরে কাজ করেন এবং মাত্র ১০ শতাংশ পরিবারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে। কিছু শহর ইতিমধ্যে গরম মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে—কোথায় ঠান্ডা জায়গা তৈরি করা হবে বা পানি বিতরণ হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে। তবে এখনো অধিকাংশ শহরেই তাপ-সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে