আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি এর কারণ কী। তবে বায়ুদূষণ ও সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে একবার যদি দূষণ কমে যায় ও সেচ সম্প্রসারণের গতি থেমে যায়, তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাবে।
দক্ষিণ এশিয়া এমনিতেই তাপমাত্রার দিক থেকে একটি উত্তপ্ত অঞ্চল। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত (বর্ষা আসার আগে)—এই সময়টিই সবচেয়ে গরম থাকে। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু করে ভারতের উত্তরাঞ্চল ও বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে নিয়মিতভাবেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর যারা সবচেয়ে তীব্র বা চরম তাপমাত্রার সঙ্গে লড়ছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায়। এই ধরনের তাপমাত্রা বিশেষ করে বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
এই বিপজ্জনক গরম দিনগুলো আরও ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। ২০২৫ সালেই ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ছে ঠিকই, তবে দক্ষিণ এশিয়া এখনো বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্ণ প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর এক বড় কারণ এই অঞ্চলের চরম মাত্রার দূষণ।
কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দীর্ঘমেয়াদি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো বিশ্বব্যাপী সমভাবে ছড়িয়ে পড়লেও অন্য দূষণ অনেক বেশি স্থানীয়। এই স্থানীয় দূষণের একটি বড় অংশ আবার পৃথিবীর তলদেশ ঠান্ডা রাখে। সালফেট কণা, ধোঁয়া ও অন্যান্য অ্যারোসল (ছোট ছোট বায়ু কণা) সূর্যালোককে মাটিতে পৌঁছাতে বাধা দেয়—কখনো তা প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে ফিরে যায়, আবার কখনো তা বাতাসে শোষিত হয়। অ্যারোসল মেঘের গঠনে প্রভাব ফেলে, যা আরও সূর্যালোক আটকে রাখে।
আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) মতে, শিল্পযুগের আগের সময়ের তুলনায় এখন পর্যন্ত অ্যারোসল দূষণের গড় প্রভাব পৃথিবীকে দশমিক ৪ ডিগ্রি ঠান্ডা করেছে, যা গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুষিয়ে দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ চলাচলে জ্বালানি পরিবর্তনের কারণে অ্যারোসল কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণতা আবার দ্রুত বাড়ছে।
ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি পৃথিবীর অন্যতম দূষিত এলাকা। ভারী শিল্প, যানবাহনের ধোঁয়া, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো ও রান্নার কাজে কঠিন জ্বালানির ব্যবহার অ্যারোসল বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এই দূষণ দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বৃদ্ধিকে কিছুটা ঠেকিয়ে রেখেছে। তবে কালো ধোঁয়া সূর্যালোক শোষণ করে মাটিকে ঠান্ডা রাখলেও বাতাসকে গরম করে তোলে—এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এক গবেষণা দেখা যায়, ২০২০ সালের বসন্তে করোনা মহামারির লকডাউনের সময় দূষণ হঠাৎ কমে গেলে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, তবে উল্টো অনেক শহরে তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। গবেষণায় মাত্র কয়েক মাসের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই এই পরিবর্তনগুলো কাকতালীয়ভাবেও ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো কিছুটা রহস্যজনক বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ুবিদ লরেটা মিকলি।
দক্ষিণ এশিয়ায় ধীর গতির উষ্ণতার আরেকটি কারণ হলো ব্যাপক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ। বাষ্পীভবনের সময় পানি তাপ শোষণ করে চারপাশ ঠান্ডা রাখে। ১৯৮০ সাল থেকে ভারতে সেচকৃত জমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই বাড়তি সেচ ব্যবস্থা বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবকে ঢেকে রেখেছে। ২০২০ সালে ‘নেচার কমিউনিকেশনসে’ প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, যদি সেচ না থাকত, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এখনকার তুলনায় ২ থেকে ৮ গুণ বেশি ‘চরম’ গরমের দিন থাকত।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—দূষণ ও সেচ ঠিক কতটা ভূমিকা রেখেছে। এর প্রভাবে শুধু তাপমাত্রা নয়, বর্ষা ও বৃষ্টিপাতের ধরনও বদলাচ্ছে। তবে একটি বিষয়ে সব বিশেষজ্ঞ একমত: আগামী ২০ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার উষ্ণতা বিগত ২০ বছরের দ্বিগুণ হারে বাড়বে। ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ডেভিড ব্যাটিস্টি বলেন, ‘ভারতের জন্য এটা একপ্রকার নিশ্চিত।’
হার্ভার্ডের ডেনিয়েল শ্রাগ বলেন, ভারতের উষ্ণতা বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও দ্রুত বাড়বে।
আগামী দিনে দূষণ ও সেচ—দুটিই আগের মতো বাড়বে না। কারণ, এগুলোর তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখার ভূমিকা কেবল তখনই থাকে যখন এগুলোর পরিমাণ বাড়ে। একবার যদি এগুলো স্থির হয়ে যায় বা কমে যায়, তখন দক্ষিণ এশিয়া বিগত দশকের লুকানো উষ্ণতার পুরো চাপ একসঙ্গে অনুভব করবে।
ড. শ্রাগ বলেন, ‘ভারত এভাবে সেচ দিতে পারবে না। কারণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। আর এ রকম দূষণও দেশটি ধরে রাখতে পারবে না।’
ভারত সরকার ইতিমধ্যে বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ২০১৭ সালের তুলনায় কণিকা দূষণ ২০-৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। ২০২৬ সালের লক্ষ্য ৪০ শতাংশ। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো নতুন অ্যারোসল মনিটরিং স্টেশন স্থাপন। অনেক শহর ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, গত এক দশকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
১৯৬০-এর দশকে ছিল বিশ্বের অন্যতম দূষিত দেশ জাপান। পরবর্তী দুই দশকে কঠোর আইন ও পরিবেশ কর আরোপ করে পরিস্থিতির উন্নতি আনে। ১৯৮০ সাল নাগাদ সেখানে অ্যারোসল দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। চীনও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপকভাবে দূষণ কমাতে সক্ষম হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত, দক্ষিণ এশিয়ায় দূষণ চরম গরমের চেয়েও অনেক বড় হুমকি। ২০২১ সালে ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ’ গবেষণা বলছে, কণিকা দূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ২০-৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে চরম গরমে মৃত্যু হয়েছে ১ থেকে ৬ লাখ মানুষের। দিল্লির সাসটেইনেবল ফিউচারস কল্যাবোরেটিভের গবেষক ভাগরব কৃষ্ণ বলেন, ‘বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহ। কারণ, মানুষ বছরে ৩৬৫ দিন দূষণের সংস্পর্শে থাকে।’
এমনকি অল্প একটু উষ্ণতা বাড়লেও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এরই মধ্যে কিছু এলাকায় এমন গরম ও আর্দ্রতা অনুভূত হয় যা মানুষের সহ্যসীমার কাছাকাছি (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৫০ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা)। আগামী দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি আরও বেশি ঘন ঘন হবে।
ড. ব্যাটিস্টি বলেন, যদি দূষণ ও সেচ একই রকম থাকে, তাহলেও ২০৪৭ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় বছরে যত দিন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে তীব্র চাপ সহ্য করেন, তা চারগুণ বেড়ে যাবে। আর এই দুই উপাদান যদি কমে যায়, তবে চাপ হবে আরও বেশি।
ভারতের প্রায় অর্ধেক মানুষ বাইরে কাজ করেন এবং মাত্র ১০ শতাংশ পরিবারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে। কিছু শহর ইতিমধ্যে গরম মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে—কোথায় ঠান্ডা জায়গা তৈরি করা হবে বা পানি বিতরণ হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে। তবে এখনো অধিকাংশ শহরেই তাপ-সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি এর কারণ কী। তবে বায়ুদূষণ ও সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে একবার যদি দূষণ কমে যায় ও সেচ সম্প্রসারণের গতি থেমে যায়, তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাবে।
দক্ষিণ এশিয়া এমনিতেই তাপমাত্রার দিক থেকে একটি উত্তপ্ত অঞ্চল। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত (বর্ষা আসার আগে)—এই সময়টিই সবচেয়ে গরম থাকে। পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল থেকে শুরু করে ভারতের উত্তরাঞ্চল ও বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে নিয়মিতভাবেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর যারা সবচেয়ে তীব্র বা চরম তাপমাত্রার সঙ্গে লড়ছে, তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই বাস করে দক্ষিণ এশিয়ায়। এই ধরনের তাপমাত্রা বিশেষ করে বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
এই বিপজ্জনক গরম দিনগুলো আরও ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। ২০২৫ সালেই ভারতের কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। তাপমাত্রা বাড়ছে ঠিকই, তবে দক্ষিণ এশিয়া এখনো বৈশ্বিক উষ্ণতার পূর্ণ প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছে। এর এক বড় কারণ এই অঞ্চলের চরম মাত্রার দূষণ।
কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দীর্ঘমেয়াদি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো বিশ্বব্যাপী সমভাবে ছড়িয়ে পড়লেও অন্য দূষণ অনেক বেশি স্থানীয়। এই স্থানীয় দূষণের একটি বড় অংশ আবার পৃথিবীর তলদেশ ঠান্ডা রাখে। সালফেট কণা, ধোঁয়া ও অন্যান্য অ্যারোসল (ছোট ছোট বায়ু কণা) সূর্যালোককে মাটিতে পৌঁছাতে বাধা দেয়—কখনো তা প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে ফিরে যায়, আবার কখনো তা বাতাসে শোষিত হয়। অ্যারোসল মেঘের গঠনে প্রভাব ফেলে, যা আরও সূর্যালোক আটকে রাখে।
আন্তসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) মতে, শিল্পযুগের আগের সময়ের তুলনায় এখন পর্যন্ত অ্যারোসল দূষণের গড় প্রভাব পৃথিবীকে দশমিক ৪ ডিগ্রি ঠান্ডা করেছে, যা গ্রিনহাউস গ্যাসের উষ্ণতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পুষিয়ে দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জাহাজ চলাচলে জ্বালানি পরিবর্তনের কারণে অ্যারোসল কমে যাওয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণতা আবার দ্রুত বাড়ছে।
ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি পৃথিবীর অন্যতম দূষিত এলাকা। ভারী শিল্প, যানবাহনের ধোঁয়া, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো ও রান্নার কাজে কঠিন জ্বালানির ব্যবহার অ্যারোসল বাড়াচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, এই দূষণ দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বৃদ্ধিকে কিছুটা ঠেকিয়ে রেখেছে। তবে কালো ধোঁয়া সূর্যালোক শোষণ করে মাটিকে ঠান্ডা রাখলেও বাতাসকে গরম করে তোলে—এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এক গবেষণা দেখা যায়, ২০২০ সালের বসন্তে করোনা মহামারির লকডাউনের সময় দূষণ হঠাৎ কমে গেলে বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, তবে উল্টো অনেক শহরে তাপমাত্রা কমে গিয়েছিল। গবেষণায় মাত্র কয়েক মাসের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাই এই পরিবর্তনগুলো কাকতালীয়ভাবেও ঘটতে পারে। তবে বিষয়টি এখনো কিছুটা রহস্যজনক বলে মনে করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ুবিদ লরেটা মিকলি।
দক্ষিণ এশিয়ায় ধীর গতির উষ্ণতার আরেকটি কারণ হলো ব্যাপক সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ। বাষ্পীভবনের সময় পানি তাপ শোষণ করে চারপাশ ঠান্ডা রাখে। ১৯৮০ সাল থেকে ভারতে সেচকৃত জমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই বাড়তি সেচ ব্যবস্থা বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবকে ঢেকে রেখেছে। ২০২০ সালে ‘নেচার কমিউনিকেশনসে’ প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, যদি সেচ না থাকত, তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এখনকার তুলনায় ২ থেকে ৮ গুণ বেশি ‘চরম’ গরমের দিন থাকত।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—দূষণ ও সেচ ঠিক কতটা ভূমিকা রেখেছে। এর প্রভাবে শুধু তাপমাত্রা নয়, বর্ষা ও বৃষ্টিপাতের ধরনও বদলাচ্ছে। তবে একটি বিষয়ে সব বিশেষজ্ঞ একমত: আগামী ২০ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার উষ্ণতা বিগত ২০ বছরের দ্বিগুণ হারে বাড়বে। ভারতের দিল্লিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ ডেভিড ব্যাটিস্টি বলেন, ‘ভারতের জন্য এটা একপ্রকার নিশ্চিত।’
হার্ভার্ডের ডেনিয়েল শ্রাগ বলেন, ভারতের উষ্ণতা বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও দ্রুত বাড়বে।
আগামী দিনে দূষণ ও সেচ—দুটিই আগের মতো বাড়বে না। কারণ, এগুলোর তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখার ভূমিকা কেবল তখনই থাকে যখন এগুলোর পরিমাণ বাড়ে। একবার যদি এগুলো স্থির হয়ে যায় বা কমে যায়, তখন দক্ষিণ এশিয়া বিগত দশকের লুকানো উষ্ণতার পুরো চাপ একসঙ্গে অনুভব করবে।
ড. শ্রাগ বলেন, ‘ভারত এভাবে সেচ দিতে পারবে না। কারণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। আর এ রকম দূষণও দেশটি ধরে রাখতে পারবে না।’
ভারত সরকার ইতিমধ্যে বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে ২০১৭ সালের তুলনায় কণিকা দূষণ ২০-৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। ২০২৬ সালের লক্ষ্য ৪০ শতাংশ। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো নতুন অ্যারোসল মনিটরিং স্টেশন স্থাপন। অনেক শহর ২০২৪ সালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, গত এক দশকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
১৯৬০-এর দশকে ছিল বিশ্বের অন্যতম দূষিত দেশ জাপান। পরবর্তী দুই দশকে কঠোর আইন ও পরিবেশ কর আরোপ করে পরিস্থিতির উন্নতি আনে। ১৯৮০ সাল নাগাদ সেখানে অ্যারোসল দূষণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। চীনও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপকভাবে দূষণ কমাতে সক্ষম হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত, দক্ষিণ এশিয়ায় দূষণ চরম গরমের চেয়েও অনেক বড় হুমকি। ২০২১ সালে ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ’ গবেষণা বলছে, কণিকা দূষণের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় ২০-৩০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে চরম গরমে মৃত্যু হয়েছে ১ থেকে ৬ লাখ মানুষের। দিল্লির সাসটেইনেবল ফিউচারস কল্যাবোরেটিভের গবেষক ভাগরব কৃষ্ণ বলেন, ‘বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ভয়াবহ। কারণ, মানুষ বছরে ৩৬৫ দিন দূষণের সংস্পর্শে থাকে।’
এমনকি অল্প একটু উষ্ণতা বাড়লেও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। এরই মধ্যে কিছু এলাকায় এমন গরম ও আর্দ্রতা অনুভূত হয় যা মানুষের সহ্যসীমার কাছাকাছি (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৫০ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা)। আগামী দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি আরও বেশি ঘন ঘন হবে।
ড. ব্যাটিস্টি বলেন, যদি দূষণ ও সেচ একই রকম থাকে, তাহলেও ২০৪৭ সালের মধ্যে একজন ভারতীয় বছরে যত দিন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে তীব্র চাপ সহ্য করেন, তা চারগুণ বেড়ে যাবে। আর এই দুই উপাদান যদি কমে যায়, তবে চাপ হবে আরও বেশি।
ভারতের প্রায় অর্ধেক মানুষ বাইরে কাজ করেন এবং মাত্র ১০ শতাংশ পরিবারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আছে। কিছু শহর ইতিমধ্যে গরম মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে—কোথায় ঠান্ডা জায়গা তৈরি করা হবে বা পানি বিতরণ হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছে। তবে এখনো অধিকাংশ শহরেই তাপ-সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
তথ্যসূত্র: দ্য ইকোনমিস্ট

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১১ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১১ মিনিট আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১১ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

গত ৪০ বছরে বিশ্বের অন্য যেকোনো অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় উষ্ণতা বেড়েছে অনেক ধীরে। যেখানে বৈশ্বিকভাবে স্থলভাগে প্রতি দশকে গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে দশমিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং একই অক্ষাংশে অবস্থিত অঞ্চলে তা বেড়েছে দশমিক ২৩ ডিগ্রি, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এই হার ছিল মাত্র দশমিক শূন্য ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস...
০২ জুন ২০২৫
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১১ মিনিট আগে
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৭ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে