Ajker Patrika

বছরজুড়ে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগ

বছরজুড়ে বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগ

প্রাকৃতিক নানা বিপর্যয়ে কেটেছে বিদায়ী ২০২২ সাল। দাবদাহ, দাবানল, বন্যা, খরা, অতি বৃষ্টি, বায়ুদূষণ, তুষারপাতসহ প্রাকৃতিক নানা দুর্যোগের ভেতর দিয়ে গেল পুরো বছর। এসবের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদেরা।

এ বছর স্মরণকালের ভয়াবহ দাবদাহ ও দাবানল দেখেছে বিশ্ব। দাবানলের শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগাল, গ্রিস, তুরস্ক, আলজেরিয়াসহ আরও অনেক দেশ। এসব দুর্যোগে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, পুড়েছে লাখ লাখ হেক্টর জমি।

এ বছরই যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তাপমাত্রা রেকর্ড ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। গত ১৯ জুলাই যুক্তরাজ্যের লিংকনশায়ারের কনিংসবিতে দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তাপমাত্রা রেকর্ড ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে।কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল অবধি বয়ে গেছে দাবদাহ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে কানাডায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই এলাকাগুলোতে রেকর্ডভাঙা গরম দেখা যাচ্ছে। কর্মকর্তারা জানান, গত ২৯ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লেটন এলাকায় সর্বোচ্চ ৪৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এটি কানাডার ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

রেকর্ড তাপমাত্রায় নাকাল হয়েছে জাপানও। রাজধানী টোকিওতে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যা টোকিওতে ১৮৭৫ সালের পর সর্বোচ্চ। রাজধানীর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইসেসাকি শহরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জুন মাসে রেকর্ড করা এটাই জাপানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় অনেক মানুষ।

পাকিস্তানে বন্যায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, উনিশ শতকের শিল্পবিপ্লবের পর ভারী কলকারখানা হু হু করে বেড়েছে। এরপর থেকে বৈশ্বিক উষ্ণতা এরই মধ্যে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। চলতি শতাব্দীতে তা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে ধরে রাখা না গেলে পৃথিবীর অনেক নিচু দেশ বা অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন অংশে সম্প্রতি তাপপ্রবাহ, দাবদাহ, বন্যা, অতিবৃষ্টি, খরার মতো যেসব দুর্যোগ চলছে, তার জন্য অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ মোটাদাগে দায়ী।

দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন বা ‘কপ ২৬’-এর সমন্বয়ক ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ অলোক শর্মা বলেন, ‘বিশ্ব বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বুঝিয়ে বলার কিছু বাকি আছে বলে আমার মনে হয় না। বিশ্বে যা ঘটছে, তা তো প্রতিনিয়ত আমরা দেখছি।’ 

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের জলবায়ু বিজ্ঞানী জোয়েরি রোজেলজ জানান, আগামী দশকেই বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি বাড়তে পারে। ফলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ প্রতি পাঁচ বছরে একবার তীব্র দাবদাহের শিকার হবে। আর তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বাড়লে এর ভুক্তভোগী হবে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হতে পারে অন্তত ৫০ লাখ মানুষের। এ ছাড়া হারিয়ে যেতে পারে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ প্রবাল, বিলীন হতে পারে ১০টি মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে একটি।

পূর্ব আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষেরা যখন তীব্র গরমে ভুগছিল আরেক প্রান্তে ছিল অতি বৃষ্টি ও বন্যা। এশিয়ার দেশ পাকিস্তান ও চীন অতি বৃষ্টি ও বন্যার সম্মুখীন হয়েছিল। পাকিস্তানে প্রায় দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয় বন্যায়। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্যায় ১ হাজার ৪৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৫৩০টি শিশু। গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

বাংলাদেশেও চলতি বছর বিশেষ করে উত্তর–পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। অক্টোবরে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ৫০০ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে ১৪ লাখের বেশি মানুষ।

বছরের শেষ সময়ে এসে যুক্তরাষ্ট্র ভুগছে তুষারঝড়ে। তুষারঝড়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তুষারঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউইয়র্কের বাফেলো শহর। সেখানে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে শহরটির এরি কাউন্টিতে।

ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধস।যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানার এলক পার্কের তাপমাত্রা মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। 

আফগানিস্তানে বন্যায় নিহত অন্তত ১৮২ 
আফগানিস্তান আগস্টজুড়ে সময়ের ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৮২ জন আফগান প্রাণ হারিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই মাসেরও কম সময় আগে ভূমিকম্পের কারণে দেশটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই দুর্যোগ সামলে ওঠার আগেই বন্যার আঘাত আসে। 

ভারতে বন্যায় নিহত ১৯২ 
সিএনএনের তথ্য অনুসারে, ভারতে জুন থেকে সেপ্টেম্বর বর্ষাকাল থাকে। আগের বছরের মতো এবারও গড় বৃষ্টিপাতের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে ছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম। সেখানে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৯২ জন মারা গেছে। 

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি হয়।খরায় পূর্ব আফ্রিকায় ২০০ জনেরও বেশি প্রাণহানি
পূর্ব আফ্রিকার বেশির ভাগ অংশই এই ভয়ানক অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গেছে। এবারের বিপর্যয়কে জাতিসংঘ ‘চল্লিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ খরা’ বলে অভিহিত করেছে। এই খরা লাখ লাখ মানুষকে অনাহারের ঝুঁকিতে ফেলেছে। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, পরিসংখ্যান বলছে, শুধু উত্তর-পূর্ব উগান্ডায় ক্ষুধায় মৃত্যুর সংখ্যা ২০০-এর বেশি। অনেকের ধারণা, খরার কারণে প্রতি ৩৬ সেকেন্ডে একজনের প্রাণহানি ঘটেছে। ইউরোপীয় কমিশন বলছে, নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ফসলের উৎপাদন অর্ধেক হয়ে গেছে। ভয়াবহ অপুষ্টি সমস্যা ২০২৩ সাল পর্যন্ত বজায় থাকবে। 

ব্রাজিলে বন্যায় মৃত্যু অন্তত ২৩৩ 
নতুন বছরের মাত্র দুই মাস পেরোতেই ব্রাজিলের পেট্রোপলিস শহরে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। বিবিসির তথ্য অনুসারে, বন্যার পানি এবং কাদা পাহাড়ি শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ২৩৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। এককালে ব্রাজিলের সম্রাটদের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কেন্দ্র ছিল এই পেট্রোপলিস। সেটি এখন ধ্বংসস্তূপ। উদ্ধারকাজ শেষ করতে কর্তৃপক্ষের গত কয়েক মাস লেগে গিয়েছিল। 

ক্রান্তীয় ঝড় মেগি আঘাতে ফিলিপাইনে মৃত্যু ২১৪ 
গত ১০ এপ্রিল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় মেগি আঘাত হানে ফিলিপাইনে। অবশ্য চলতি বছর দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে আঘাত হানা একমাত্র বড় ঝড় নয় এটি। বছরে গড়ে ২০টি ঝড় মোকাবিলা করতে হয় দেশটিকে। তবে মেগি এ বছরের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঝড় ছিল। দেশটির প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের হিসাবে, এ ঝড়ে কমপক্ষে ২১৪ জন প্রাণ হারান। 

নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ৫০০ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ৩৩৪ 
গত ২১ নভেম্বর পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ার সিয়ানজুর শহর ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল। এতে প্রাণ হারান কমপক্ষে ৩৩৪ জন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ এর মধ্যে অবস্থানের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ঘন ঘন ভূমিকম্প আঘাত হানে হয়। এই অঞ্চলে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ খুবই সাধারণ ঘটনা। 

দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যায় নিহত ৪৬১ 
এপ্রিলের শুরুতে ভারী বর্ষণের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানের কিছু অংশসহ ইস্টার্ন কেপে ভয়ানক বিপর্যয় নেমে আসে। দেশের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর এটি। বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আনুমানিক ৪৬১ জনের মৃত্যু। দুর্যোগের মাস পেরিয়ে গেলেও ৭০ জনেরও বেশি এখনো নিখোঁজ। হাজার হাজার মানুষ স্থায়ী আবাস ফিরে পাননি। 

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেখা দিয়েছে খরা।নাইজেরিয়ায় বন্যায় অন্তত ৬১২ জন নিহত
নাইজেরিয়ার এবার বর্ষাকাল ছিল জুন থেকে নভেম্বর। দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ছিল এ বছর। বন্যার কারণে সারা দেশে কমপক্ষে ৬১২ জন মারা গেছেন। ১৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত। ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশনের প্রতিবেদন অনুসারে, নাইজেরিয়া এবং পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলে বন্যার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা অন্য অঞ্চলগুলোর চেয়ে ৮০ গুণ বেশি। 

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত ১০৩৬ 
গত ২১ জুন পূর্ব আফগানিস্তানে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ভয়ানক ভূমিধস দেখা দেয়। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। জাতিসংঘের হিসাবে, প্রাণ হারান আনুমানিক ১ হাজার ৩৬ জন। কয়েক দশকের মধ্যে আফগানিস্তানে এটিই ছিল সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প। তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর সামাজিক অস্থিরতা ও ক্ষুধা মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে আফগানিস্তানের মানুষ। এর মধ্যে এমন ভূমিকম্প দেশটির অর্থনীতি পাঁজর ভেঙে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় আজ ছুটির দিনে আবহাওয়া কেমন থাকবে জানা গেল পূর্বাভাসে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২১ নভেম্বরের পর ভূমিকম্পে কতবার কাঁপল বাংলাদেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৬
নরসিংদীতে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের মাটিতে গতকাল ফাটলের নমুনা সংগ্রহ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নরসিংদীতে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের মাটিতে গতকাল ফাটলের নমুনা সংগ্রহ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।

আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।

এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।

কতবার ভূকম্পন হলো

তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।

গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।

বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

রাজধানীর পুরান ঢাকায় বংশাল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অনেক ভবনের ক্ষতির আশঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর পুরান ঢাকায় বংশাল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অনেক ভবনের ক্ষতির আশঙ্কা। ছবি: সংগৃহীত

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।

হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’

আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।

২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।

ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণে দিল্লিকে হারিয়ে শীর্ষে ঢাকা, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসে যা করতে হবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার তাপমাত্রা আজও ১৭ ডিগ্রির ঘরে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৫
আজ সোমবার ভোরবেলা ঢাকায় পড়েছিল হালকা কুয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সোমবার ভোরবেলা ঢাকায় পড়েছিল হালকা কুয়াশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।

পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।

এ ছাড়া আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত