
পৃথিবী গ্রহে নতুন প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনকেই শুধু অস্বস্তিকর করে তোলে না, মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে।
ফসলের ব্যাপক ক্ষতি এবং দাবানলের ঝুঁকি বাড়াতে ক্রমবর্ধমান তাপপ্রবাহ যে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে সেটি তো এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। ২০১৯ সালে চরম তাপ বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ ছিল বলে ধারণা করা হয়। অর্থাৎ সবচেয়ে বিপজ্জনক অথচ উপেক্ষিত প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্য একটি হয়ে উঠেছে তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনও সঠিক কোনো হিসাব-নিকাশ না থাকলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা অনুযায়ী, ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ তাপপ্রবাহের কারণে মারা গেছে। অভিজ্ঞতা বলছে, সারা বিশ্বেই তাপপ্রবাহের বিপর্যয়ের মুখে পড়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যতে তাপপ্রবাহকে আরও ঘন ঘন এবং তীব্র করে তুলবে। তার মানে, এই বিপর্যয় এড়ানোর আর সুযোগ নেই। তাহলে এই দুর্যোগ থেকে বাঁচার উপায় হলো অভিযোজন।
এখন কথা হলো, তাপপ্রবাহে আপনি কীভাবে ঠান্ডা থাকবেন? এর জন্য প্রাচীন ও আধুনিক অনেক কৌশল আছে।
প্রথমত সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে সরাসরি সূর্যের আলোতে না থাকা। কারণ এই সময়টাতেই সূর্যের তেজ বেশি থাকে। দিনের উষ্ণতম সময়ে বাড়ির ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা উচিত। গরম এবং ঠান্ডা পানীয়সহ প্রচুর পরিমাণে তরল পান করাও জরুরি। স্ট্রবেরি, শসা, লেটুস এবং তরমুজের মতো উচ্চ পানিযুক্ত খাবার খেলে পানিশূন্যতা থেকে বাঁচা যাবে। মশলাদার এবং গরম খাবারও কিন্তু কাজে দেয়। কারণ এতে বেশি ঘাম হয়। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে।
গরমের সময় রঙিন বা কালো পোশাক না পরা ভালো এমনটা অনেকে বলেন। তবে গরমে পোশাকের রঙের কোনো প্রভাব আছে কি না তা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত নয়। যদিও ১৯৮০-এর দশকে বেদুইনদের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গরম থেকে বাঁচতে হালকা বা গাঢ় রঙের পোশাক পরার মধ্যে পার্থক্য সামান্যই। বরং ঢিলেঢালা পোশাক ত্বকে বাতাস লাগতে সহায়তা করে।
ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য সব জানালা দরজা খোলা রাখা কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সব খোলা রাখলে যদি ঘরের বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের চেয়ে বেশি হয় তবে একটি সম্ভাব্য শীতল আশ্রয় হারাবেন। বরং সূর্যের দিকের অংশের পর্দা নামিয়ে রাখুন।
বাড়ি শীতল রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো পানি বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সুবিধাটা নেওয়া। ঠান্ডা ঝরনা বা সাঁতার কাটা শরীর দ্রুত ঠান্ডা হতে সাহায্য করবে। প্রাচীন সমাজে মানুষ জানালার সামনে মাটির পাত্র বা ভেজা চাদর রাখত, যা বাতাস ঠান্ডা করতে সাহায্য করত। আপনি যদি বরফের বাটি বা শীতল ভেজা চাদরের ওপর তাক করে ফ্যান রাখেন তাহলেও এই কাজটা হবে।
তবে ফ্যানের কার্যকারিতা কতোখানি তার সপক্ষের প্রমাণগুলো বেশ মিশ্র। সাধারণত, ফ্যানের বাতাস ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা হ্রাসে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। এর বেশি হলে কিন্তু শরীরে উল্টো গরম বাতাস লাগবে, তাতে আরও ক্ষতি হবে। পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দেবে। আবার মনে রাখতে হবে, ফ্যান চলে মোটরে। মোটরও গরম হয়। তাই ফ্যান চালানোর সময় বাতাস চলাচল ঠিক রাখতে জানালা হালকা খোলা রাখা ভালো।
দীর্ঘমেয়াদে বাড়ি এবং বড় ভবনগুলো শীতল রাখতে উইন্ড ক্যাচার টাওয়ার রাখা ভালো। এতে বায়ুচলাচলের একটা ব্যবস্থা হয়। বাড়ি শীতল রাখতে সহস্রাব্দ ধরে মানুষ সবুজ ছাদ এবং সবুজ করিডোর ব্যবহার করছে। শহর শীতল রাখার জন্য গাছ লাগানো সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এমনকি একটি রাস্তা বা বাগানের একটি গাছও উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবেশ শীতল রাখে। টোকিওর মতো কিছু বড় শহরে শীতল রাখার নতুন উপায় নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। সোলার-ব্লকিং পেইন্ট থেকে শুরু করে নতুন ধরনের কম-শক্তির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে।
তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘুম
মানুষের ঘুমের চক্রে তাপমাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঘুমানোর সময় যতো কাছে আসে শরীরের তাপমাত্রা হৃদস্পন্দনের সঙ্গে কমে যায়। হাত এবং পায়ের শিরাগুলোতে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, এতে ত্বকের তাপমাত্রা বাড়ে ফলত শরীরের তাপামাত্রা কমে যায়।
কিন্তু গরম, আর্দ্র ও ঘর্মাক্ত রাতে শরীরের তাপ হারানো কঠিন হয়ে পড়ে। গরম রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ফলে পরের দিনটি যায় ক্লান্তির মধ্যে।
বিছানার চাদর, ডুভেট এবং রাতের পোশাক যেমন পাতলা পায়জামা ত্বকের চারপাশে একটি মাইক্রোক্লিমেট তৈরি করতে সাহায্য করে, যা শরীরের সর্বোত্তম তাপমাত্রা বজায় রাখে। অনেকে অত্যধিক গরমের সময় বিছানার চাদর সরিয়ে ফেলেন। গবেষণা বলছে, এটা সহায়ক নয়। কারণ চাদর ছাড়া থাকলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ব্যাহত হয়। তাই একটি পাতলা চাদর রাখা উচিত। এতে ঘুমও ভালো হবে। সেই সঙ্গে সিলিং ফ্যান হালকা করে চালিয়ে রাখুন। গভীর রাতের খাবার এড়িয়ে চলাও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতে পারে।
তাপপ্রবাহ মাথাব্যথা এবং পানিশূন্যতা থেকে হার্ট অ্যাটাক এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রকট করতে পারে। এতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা তো বটেই এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
ধারণা করা হয়, বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক এবং প্রায় ১০০ কোটি শ্রমিক ক্ষতিকারক উচ্চ তাপমাত্রার সময় ঘরের বাইরে থাকে। গরম আবহাওয়া গর্ভাবস্থা এবং সন্তান প্রসবে জটিলতা তৈরি করতে পারে। এছাড়া উচ্চ আত্মহত্যার হার, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো জটিলতার হারও বাড়িয়ে দিতে পারে।
কিছু ওষুধ গরম আবহাওয়ার সময় ঝুঁকি বাড়াতে পারে। মৃগী রোগ এবং পারকিনসনের জন্য কিছু ওষুধ ঘাম কমাতে এবং ঠান্ডা থাকা কঠিন করে তোলে। মূত্রবর্ধক ওষুধ প্রস্রাব হিসেবে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে পারে এবং খনিজের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে।
তাপপ্রবাহ বৈষম্য তীব্র করে?
জলবায়ু পরিবর্তন সবাইকে সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। প্রভাবগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে দরিদ্রদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেমন, জলবায়ু পরিবর্তনে খুব সামান্যই অবদান রাখা আফ্রিকার দেশগুলো খরা এবং দাবদাহ প্রবলভাবে অনুভব করে। কিন্তু আফ্রিকার এই বিপর্যয় সেভাবে গণমাধ্যমে গুরুত্ব পায় না যতোটা গুরুত্ব পায় ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলোর খবর। জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনেও আফ্রিকার ক্ষীণ কণ্ঠস্বর তেমন একটা বাজে না।
মস্তিষ্কে তাপপ্রবাহের প্রভাব
উষ্ণ আবহাওয়ায় মানুষের মনমেজাজও একটু চড়া থাকে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই একটু বেশি খিটখিটে, রাগান্বিত থাকে। মানসিক চাপ বাড়ে এবং মানুষকে কম খুশি মনে হয়। গরমের মধ্যে গাড়িচালকেরা যখন যানজটে আটকে থাকেন তখন তাঁদের বারবার হর্ন বাজানোর প্রবণতা বাড়ে এবং তাদের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ লক্ষ্য করা যায়।

পৃথিবী গ্রহে নতুন প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনকেই শুধু অস্বস্তিকর করে তোলে না, মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে।
ফসলের ব্যাপক ক্ষতি এবং দাবানলের ঝুঁকি বাড়াতে ক্রমবর্ধমান তাপপ্রবাহ যে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে সেটি তো এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। ২০১৯ সালে চরম তাপ বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ ছিল বলে ধারণা করা হয়। অর্থাৎ সবচেয়ে বিপজ্জনক অথচ উপেক্ষিত প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্য একটি হয়ে উঠেছে তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনও সঠিক কোনো হিসাব-নিকাশ না থাকলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা অনুযায়ী, ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ তাপপ্রবাহের কারণে মারা গেছে। অভিজ্ঞতা বলছে, সারা বিশ্বেই তাপপ্রবাহের বিপর্যয়ের মুখে পড়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যতে তাপপ্রবাহকে আরও ঘন ঘন এবং তীব্র করে তুলবে। তার মানে, এই বিপর্যয় এড়ানোর আর সুযোগ নেই। তাহলে এই দুর্যোগ থেকে বাঁচার উপায় হলো অভিযোজন।
এখন কথা হলো, তাপপ্রবাহে আপনি কীভাবে ঠান্ডা থাকবেন? এর জন্য প্রাচীন ও আধুনিক অনেক কৌশল আছে।
প্রথমত সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে সরাসরি সূর্যের আলোতে না থাকা। কারণ এই সময়টাতেই সূর্যের তেজ বেশি থাকে। দিনের উষ্ণতম সময়ে বাড়ির ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা উচিত। গরম এবং ঠান্ডা পানীয়সহ প্রচুর পরিমাণে তরল পান করাও জরুরি। স্ট্রবেরি, শসা, লেটুস এবং তরমুজের মতো উচ্চ পানিযুক্ত খাবার খেলে পানিশূন্যতা থেকে বাঁচা যাবে। মশলাদার এবং গরম খাবারও কিন্তু কাজে দেয়। কারণ এতে বেশি ঘাম হয়। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে।
গরমের সময় রঙিন বা কালো পোশাক না পরা ভালো এমনটা অনেকে বলেন। তবে গরমে পোশাকের রঙের কোনো প্রভাব আছে কি না তা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত নয়। যদিও ১৯৮০-এর দশকে বেদুইনদের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গরম থেকে বাঁচতে হালকা বা গাঢ় রঙের পোশাক পরার মধ্যে পার্থক্য সামান্যই। বরং ঢিলেঢালা পোশাক ত্বকে বাতাস লাগতে সহায়তা করে।
ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য সব জানালা দরজা খোলা রাখা কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সব খোলা রাখলে যদি ঘরের বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের চেয়ে বেশি হয় তবে একটি সম্ভাব্য শীতল আশ্রয় হারাবেন। বরং সূর্যের দিকের অংশের পর্দা নামিয়ে রাখুন।
বাড়ি শীতল রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো পানি বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সুবিধাটা নেওয়া। ঠান্ডা ঝরনা বা সাঁতার কাটা শরীর দ্রুত ঠান্ডা হতে সাহায্য করবে। প্রাচীন সমাজে মানুষ জানালার সামনে মাটির পাত্র বা ভেজা চাদর রাখত, যা বাতাস ঠান্ডা করতে সাহায্য করত। আপনি যদি বরফের বাটি বা শীতল ভেজা চাদরের ওপর তাক করে ফ্যান রাখেন তাহলেও এই কাজটা হবে।
তবে ফ্যানের কার্যকারিতা কতোখানি তার সপক্ষের প্রমাণগুলো বেশ মিশ্র। সাধারণত, ফ্যানের বাতাস ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা হ্রাসে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। এর বেশি হলে কিন্তু শরীরে উল্টো গরম বাতাস লাগবে, তাতে আরও ক্ষতি হবে। পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দেবে। আবার মনে রাখতে হবে, ফ্যান চলে মোটরে। মোটরও গরম হয়। তাই ফ্যান চালানোর সময় বাতাস চলাচল ঠিক রাখতে জানালা হালকা খোলা রাখা ভালো।
দীর্ঘমেয়াদে বাড়ি এবং বড় ভবনগুলো শীতল রাখতে উইন্ড ক্যাচার টাওয়ার রাখা ভালো। এতে বায়ুচলাচলের একটা ব্যবস্থা হয়। বাড়ি শীতল রাখতে সহস্রাব্দ ধরে মানুষ সবুজ ছাদ এবং সবুজ করিডোর ব্যবহার করছে। শহর শীতল রাখার জন্য গাছ লাগানো সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এমনকি একটি রাস্তা বা বাগানের একটি গাছও উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবেশ শীতল রাখে। টোকিওর মতো কিছু বড় শহরে শীতল রাখার নতুন উপায় নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। সোলার-ব্লকিং পেইন্ট থেকে শুরু করে নতুন ধরনের কম-শক্তির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে।
তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘুম
মানুষের ঘুমের চক্রে তাপমাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঘুমানোর সময় যতো কাছে আসে শরীরের তাপমাত্রা হৃদস্পন্দনের সঙ্গে কমে যায়। হাত এবং পায়ের শিরাগুলোতে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, এতে ত্বকের তাপমাত্রা বাড়ে ফলত শরীরের তাপামাত্রা কমে যায়।
কিন্তু গরম, আর্দ্র ও ঘর্মাক্ত রাতে শরীরের তাপ হারানো কঠিন হয়ে পড়ে। গরম রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ফলে পরের দিনটি যায় ক্লান্তির মধ্যে।
বিছানার চাদর, ডুভেট এবং রাতের পোশাক যেমন পাতলা পায়জামা ত্বকের চারপাশে একটি মাইক্রোক্লিমেট তৈরি করতে সাহায্য করে, যা শরীরের সর্বোত্তম তাপমাত্রা বজায় রাখে। অনেকে অত্যধিক গরমের সময় বিছানার চাদর সরিয়ে ফেলেন। গবেষণা বলছে, এটা সহায়ক নয়। কারণ চাদর ছাড়া থাকলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ব্যাহত হয়। তাই একটি পাতলা চাদর রাখা উচিত। এতে ঘুমও ভালো হবে। সেই সঙ্গে সিলিং ফ্যান হালকা করে চালিয়ে রাখুন। গভীর রাতের খাবার এড়িয়ে চলাও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতে পারে।
তাপপ্রবাহ মাথাব্যথা এবং পানিশূন্যতা থেকে হার্ট অ্যাটাক এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রকট করতে পারে। এতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা তো বটেই এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
ধারণা করা হয়, বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক এবং প্রায় ১০০ কোটি শ্রমিক ক্ষতিকারক উচ্চ তাপমাত্রার সময় ঘরের বাইরে থাকে। গরম আবহাওয়া গর্ভাবস্থা এবং সন্তান প্রসবে জটিলতা তৈরি করতে পারে। এছাড়া উচ্চ আত্মহত্যার হার, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো জটিলতার হারও বাড়িয়ে দিতে পারে।
কিছু ওষুধ গরম আবহাওয়ার সময় ঝুঁকি বাড়াতে পারে। মৃগী রোগ এবং পারকিনসনের জন্য কিছু ওষুধ ঘাম কমাতে এবং ঠান্ডা থাকা কঠিন করে তোলে। মূত্রবর্ধক ওষুধ প্রস্রাব হিসেবে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে পারে এবং খনিজের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে।
তাপপ্রবাহ বৈষম্য তীব্র করে?
জলবায়ু পরিবর্তন সবাইকে সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। প্রভাবগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে দরিদ্রদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেমন, জলবায়ু পরিবর্তনে খুব সামান্যই অবদান রাখা আফ্রিকার দেশগুলো খরা এবং দাবদাহ প্রবলভাবে অনুভব করে। কিন্তু আফ্রিকার এই বিপর্যয় সেভাবে গণমাধ্যমে গুরুত্ব পায় না যতোটা গুরুত্ব পায় ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলোর খবর। জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনেও আফ্রিকার ক্ষীণ কণ্ঠস্বর তেমন একটা বাজে না।
মস্তিষ্কে তাপপ্রবাহের প্রভাব
উষ্ণ আবহাওয়ায় মানুষের মনমেজাজও একটু চড়া থাকে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই একটু বেশি খিটখিটে, রাগান্বিত থাকে। মানসিক চাপ বাড়ে এবং মানুষকে কম খুশি মনে হয়। গরমের মধ্যে গাড়িচালকেরা যখন যানজটে আটকে থাকেন তখন তাঁদের বারবার হর্ন বাজানোর প্রবণতা বাড়ে এবং তাদের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ লক্ষ্য করা যায়।

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

গরমের সময় রঙিন বা কালো পোশাক না পরা ভালো এমনটা অনেকে বলেন। তবে গরমে পোশাকের রঙের কোনো প্রভাব আছে কি না তা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত নয়। যদিও ১৯৮০-এর দশকে বেদুইনদের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে,
১৯ জুলাই ২০২২
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

গরমের সময় রঙিন বা কালো পোশাক না পরা ভালো এমনটা অনেকে বলেন। তবে গরমে পোশাকের রঙের কোনো প্রভাব আছে কি না তা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত নয়। যদিও ১৯৮০-এর দশকে বেদুইনদের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে,
১৯ জুলাই ২০২২
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গরমের সময় রঙিন বা কালো পোশাক না পরা ভালো এমনটা অনেকে বলেন। তবে গরমে পোশাকের রঙের কোনো প্রভাব আছে কি না তা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত নয়। যদিও ১৯৮০-এর দশকে বেদুইনদের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে,
১৯ জুলাই ২০২২
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

গরমের সময় রঙিন বা কালো পোশাক না পরা ভালো এমনটা অনেকে বলেন। তবে গরমে পোশাকের রঙের কোনো প্রভাব আছে কি না তা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত নয়। যদিও ১৯৮০-এর দশকে বেদুইনদের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে,
১৯ জুলাই ২০২২
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে