Ajker Patrika

তীব্র গরম থেকে বাঁচার প্রাচীন ও আধুনিক পদ্ধতি

তীব্র গরম থেকে বাঁচার প্রাচীন ও আধুনিক পদ্ধতি

পৃথিবী গ্রহে নতুন প্রাকৃতিক বিপর্যয় হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনকেই শুধু অস্বস্তিকর করে তোলে না, মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্যও মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে।

ফসলের ব্যাপক ক্ষতি এবং দাবানলের ঝুঁকি বাড়াতে ক্রমবর্ধমান তাপপ্রবাহ যে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে সেটি তো এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। ২০১৯ সালে চরম তাপ বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ ছিল বলে ধারণা করা হয়। অর্থাৎ সবচেয়ে বিপজ্জনক অথচ উপেক্ষিত প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্য একটি হয়ে উঠেছে তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে এখনও সঠিক কোনো হিসাব-নিকাশ না থাকলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা অনুযায়ী, ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ তাপপ্রবাহের কারণে মারা গেছে। অভিজ্ঞতা বলছে, সারা বিশ্বেই তাপপ্রবাহের বিপর্যয়ের মুখে পড়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যতে তাপপ্রবাহকে আরও ঘন ঘন এবং তীব্র করে তুলবে। তার মানে, এই বিপর্যয় এড়ানোর আর সুযোগ নেই। তাহলে এই দুর্যোগ থেকে বাঁচার উপায় হলো অভিযোজন। 

এখন কথা হলো, তাপপ্রবাহে আপনি কীভাবে ঠান্ডা থাকবেন? এর জন্য প্রাচীন ও আধুনিক অনেক কৌশল আছে। 

প্রথমত সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে সরাসরি সূর্যের আলোতে না থাকা। কারণ এই সময়টাতেই সূর্যের তেজ বেশি থাকে। দিনের উষ্ণতম সময়ে বাড়ির ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা উচিত। গরম এবং ঠান্ডা পানীয়সহ প্রচুর পরিমাণে তরল পান করাও জরুরি। স্ট্রবেরি, শসা, লেটুস এবং তরমুজের মতো উচ্চ পানিযুক্ত খাবার খেলে পানিশূন্যতা থেকে বাঁচা যাবে। মশলাদার এবং গরম খাবারও কিন্তু কাজে দেয়। কারণ এতে বেশি ঘাম হয়। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে। 

গরমের সময় রঙিন বা কালো পোশাক না পরা ভালো এমনটা অনেকে বলেন। তবে গরমে পোশাকের রঙের কোনো প্রভাব আছে কি না তা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত নয়। যদিও ১৯৮০-এর দশকে বেদুইনদের ওপর পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গরম থেকে বাঁচতে হালকা বা গাঢ় রঙের পোশাক পরার মধ্যে পার্থক্য সামান্যই। বরং ঢিলেঢালা পোশাক ত্বকে বাতাস লাগতে সহায়তা করে। 

ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য সব জানালা দরজা খোলা রাখা কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সব খোলা রাখলে যদি ঘরের বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের চেয়ে বেশি হয় তবে একটি সম্ভাব্য শীতল আশ্রয় হারাবেন। বরং সূর্যের দিকের অংশের পর্দা নামিয়ে রাখুন। 

বাড়ি শীতল রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো পানি বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সুবিধাটা নেওয়া। ঠান্ডা ঝরনা বা সাঁতার কাটা শরীর দ্রুত ঠান্ডা হতে সাহায্য করবে। প্রাচীন সমাজে মানুষ জানালার সামনে মাটির পাত্র বা ভেজা চাদর রাখত, যা বাতাস ঠান্ডা করতে সাহায্য করত। আপনি যদি বরফের বাটি বা শীতল ভেজা চাদরের ওপর তাক করে ফ্যান রাখেন তাহলেও এই কাজটা হবে। 

তবে ফ্যানের কার্যকারিতা কতোখানি তার সপক্ষের প্রমাণগুলো বেশ মিশ্র। সাধারণত, ফ্যানের বাতাস ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা হ্রাসে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। এর বেশি হলে কিন্তু শরীরে উল্টো গরম বাতাস লাগবে, তাতে আরও ক্ষতি হবে। পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দেবে। আবার মনে রাখতে হবে, ফ্যান চলে মোটরে। মোটরও গরম হয়। তাই ফ্যান চালানোর সময় বাতাস চলাচল ঠিক রাখতে জানালা হালকা খোলা রাখা ভালো। 

দীর্ঘমেয়াদে বাড়ি এবং বড় ভবনগুলো শীতল রাখতে উইন্ড ক্যাচার টাওয়ার রাখা ভালো। এতে বায়ুচলাচলের একটা ব্যবস্থা হয়। বাড়ি শীতল রাখতে সহস্রাব্দ ধরে মানুষ সবুজ ছাদ এবং সবুজ করিডোর ব্যবহার করছে। শহর শীতল রাখার জন্য গাছ লাগানো সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এমনকি একটি রাস্তা বা বাগানের একটি গাছও উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবেশ শীতল রাখে। টোকিওর মতো কিছু বড় শহরে শীতল রাখার নতুন উপায় নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। সোলার-ব্লকিং পেইন্ট থেকে শুরু করে নতুন ধরনের কম-শক্তির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে। 

তাপপ্রবাহের মধ্যে ঘুম
মানুষের ঘুমের চক্রে তাপমাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঘুমানোর সময় যতো কাছে আসে শরীরের তাপমাত্রা হৃদস্পন্দনের সঙ্গে কমে যায়। হাত এবং পায়ের শিরাগুলোতে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, এতে ত্বকের তাপমাত্রা বাড়ে ফলত শরীরের তাপামাত্রা কমে যায়। 

কিন্তু গরম, আর্দ্র ও ঘর্মাক্ত রাতে শরীরের তাপ হারানো কঠিন হয়ে পড়ে। গরম রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ফলে পরের দিনটি যায় ক্লান্তির মধ্যে। 

বিছানার চাদর, ডুভেট এবং রাতের পোশাক যেমন পাতলা পায়জামা ত্বকের চারপাশে একটি মাইক্রোক্লিমেট তৈরি করতে সাহায্য করে, যা শরীরের সর্বোত্তম তাপমাত্রা বজায় রাখে। অনেকে অত্যধিক গরমের সময় বিছানার চাদর সরিয়ে ফেলেন। গবেষণা বলছে, এটা সহায়ক নয়। কারণ চাদর ছাড়া থাকলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা ব্যাহত হয়। তাই একটি পাতলা চাদর রাখা উচিত। এতে ঘুমও ভালো হবে। সেই সঙ্গে সিলিং ফ্যান হালকা করে চালিয়ে রাখুন। গভীর রাতের খাবার এড়িয়ে চলাও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করতে পারে। 

তাপপ্রবাহ মাথাব্যথা এবং পানিশূন্যতা থেকে হার্ট অ্যাটাক এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রকট করতে পারে। এতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা তো বটেই এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। 

ধারণা করা হয়, বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক এবং প্রায় ১০০ কোটি শ্রমিক ক্ষতিকারক উচ্চ তাপমাত্রার সময় ঘরের বাইরে থাকে। গরম আবহাওয়া গর্ভাবস্থা এবং সন্তান প্রসবে জটিলতা তৈরি করতে পারে। এছাড়া উচ্চ আত্মহত্যার হার, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো জটিলতার হারও বাড়িয়ে দিতে পারে। 

কিছু ওষুধ গরম আবহাওয়ার সময় ঝুঁকি বাড়াতে পারে। মৃগী রোগ এবং পারকিনসনের জন্য কিছু ওষুধ ঘাম কমাতে এবং ঠান্ডা থাকা কঠিন করে তোলে। মূত্রবর্ধক ওষুধ প্রস্রাব হিসেবে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিতে পারে এবং খনিজের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে। 

তাপপ্রবাহ বৈষম্য তীব্র করে? 
জলবায়ু পরিবর্তন সবাইকে সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে না। প্রভাবগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে দরিদ্রদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেমন, জলবায়ু পরিবর্তনে খুব সামান্যই অবদান রাখা আফ্রিকার দেশগুলো খরা এবং দাবদাহ প্রবলভাবে অনুভব করে। কিন্তু আফ্রিকার এই বিপর্যয় সেভাবে গণমাধ্যমে গুরুত্ব পায় না যতোটা গুরুত্ব পায় ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলোর খবর। জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনেও আফ্রিকার ক্ষীণ কণ্ঠস্বর তেমন একটা বাজে না। 

মস্তিষ্কে তাপপ্রবাহের প্রভাব
উষ্ণ আবহাওয়ায় মানুষের মনমেজাজও একটু চড়া থাকে। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই একটু বেশি খিটখিটে, রাগান্বিত থাকে। মানসিক চাপ বাড়ে এবং মানুষকে কম খুশি মনে হয়। গরমের মধ্যে গাড়িচালকেরা যখন যানজটে আটকে থাকেন তখন তাঁদের বারবার হর্ন বাজানোর প্রবণতা বাড়ে এবং তাদের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ লক্ষ্য করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে কাঁপছে সারা দেশ ভোগাচ্ছে ঘন কুয়াশা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ১৮
কুয়াশা ও কনকনে শীতে কাবু উত্তরাঞ্চল। গতকাল গাইবান্ধায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় অনেককে। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়াশা ও কনকনে শীতে কাবু উত্তরাঞ্চল। গতকাল গাইবান্ধায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় অনেককে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।

নাছিমা বলেন, ‘শীতটা খুব কষ্ট দিতাছে। কাল থেইকা রাতে ঠিকমতো ঘুমাইতে পারি না। বাচ্চাডারে নিয়া বেশি ভয় লাগতাছে। ঠান্ডা লাগলে কী করুম, সেই চিন্তাই মাথায় ঘোরে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের সুযোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে অসুস্থতার ঝুঁকি। অনেকে বলছেন, জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁরা।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার (৫ দিন) পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা; পাশাপাশি থাকবে কুয়াশার প্রকোপ।

ফেরি চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা বাড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদী পথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।’

জনজীবন বিপর্যস্ত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

গতকাল সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, উত্তরের জেলা গাইবান্ধা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শিশুচিকিৎসক সোহেল বলেন, ‘শীতের মধ্যে বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। টানা কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে; যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।

জেলার বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডায় দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।

যশোর প্রতিনিধি জানান, জেলায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এদিনের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও উত্তরের বাতাসে বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের অনুভূতি।

যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক জোহর আলী বলেন, ‘শীতে রিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা জমে যাচ্ছে। ব্রেকও ঠিকমতো ধরা যাচ্ছে না। বাসায় মনে হচ্ছে, গায়ে সুই ফোটাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের প্রকোপ বাড়ছে: ৭ জেলায় ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে কত দিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৪
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।

ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, সতর্ক থাকতে পারেন যেভাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেঘলা ঢাকার আকাশ, কুয়াশার দেখা মিলতে পারে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।

অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।

এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

তাসনিম জারার পদত্যাগের পর সামান্তা শারমিনের রহস্যময় পোস্ট

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত