Ajker Patrika

কপ–২৯: জলবায়ু সম্মেলন হয়ে উঠেছে জীবাশ্ম জ্বালানির লবিস্টদের মিলনমেলা

আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫: ২৩
জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টদের জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ জলবায়ু কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া
জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টদের জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ জলবায়ু কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া

জলবায়ু সংকটের প্রধান কারণ কয়লা, তেল ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। বৈশ্বিক উষ্ণতার সবচেয়ে খারাপ পরিণতি এড়ানোর জন্য বহুদিন ধরেই জলবায়ু বিজ্ঞানীরা পৃথিবীকে শিগগিরই জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে মুক্তি দিতে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।

কিন্তু জলবায়ু নিয়ে আজারবাইজানের বাকুতে জাতিসংঘের আয়োজিত কপ-২৯ সম্মেলনে রাজত্ব করছেন কয়লা, তেল ও গ্যাসশিল্পের প্রতিনিধিরা। এ বছর ১ হাজার ৭৭৩ জন জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টকে সম্মেলনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী এই শিল্পের এত প্রতিনিধির জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণ জলবায়ুকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে বলে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়।

দূষণের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া জোট ‘কিক বিগ পলিউটার্স আউট’–এর এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই বছরের আয়োজক দেশ আজারবাইজান, আগামী বছরের আয়োজক ব্রাজিল এবং তুরস্ক ছাড়া প্রতিটি দেশ থেকে কপ সম্মেলনের প্রতিনিধির চেয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্টদের (তদবিরের লোকজন) সংখ্যা বেশি।

কেবিপিও জোটের সদস্য ইউকে ইয়ুথ ক্লাইমেট কোয়ালিশনের পরিবেশবাদী কর্মী সারাহ ম্যাকআর্থার বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের উপস্থিতি বছরের পর বছর অগ্রগতি থামিয়ে এবং দুর্বল করে দিয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের উদ্দেশ্য হলো তাদের আর্থিক লাভ, যা জলবায়ু সংকট থামানোর প্রচেষ্টার বিপরীত।

সম্মেলনে জলবায়ু সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি দেশের মাত্র ১ হাজার ৩৩ জন প্রতিনিধি। অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানির লবিস্ট ১ হাজার ৭৩ জন। এসব শিল্পের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি জলবায়ু সংকটের মুখোমুখি থাকা দেশের প্রতিনিধিদের সংখ্যাকে পেছনে ফেলছে।

প্রতিবেদনে জানা যায়, অনেক জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্ট বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে কপ ২৯-এ প্রবেশাধিকার পেয়েছেন।

আন্তর্জাতিক এমিশনস ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশন সবচেয়ে বেশি লবিস্ট নিয়ে এসেছে। তাদের ৪৩ জন প্রতিনিধির মধ্যে তেল কোম্পানি টোটাল এনার্জি ও গ্লেনকোরের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন।

অন্য লবিস্টরা দেশের প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে এসেছেন। যুক্তরাজ্য একা ২০ জন লবিস্ট পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, জাপান তাদের কয়লা প্রতিষ্ঠান সুমিতোমোর একজন প্রতিনিধি, কানাডা সানকো ও ট্যুরমালিনের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে এবং ইতালি এনার্জি কোম্পানি এনি ও এনেলের কর্মীদের নিয়ে এসেছে।

প্রধান তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি শেভরন, এক্সন–মোবিল, বিপি, শেল ও এনি কপ–২৯ সম্মেলনে মোট ৩৯ জন লবিস্ট পাঠিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার সহযোগী। কেন না তারা ইসরায়েলে তেল সরবরাহ করে।

হেল্প গাম্বিয়া তৃণমূল সংগঠন ও আফ্রিকা মেক বিগ পোলিউটার্স পে জোট এবং কেবিপিও জোটের সদস্য দাওদা শ্যাম বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্প বহু বছর ধরে নিজেদের স্বার্থে জলবায়ু আলোচনাকে প্রভাবিত করেছে। অন্যদিকে বেড়েছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা।

তবে কেবল জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, কৃষি ব্যবসা ও পরিবহন খাতে দূষণের কারণ হয় এমন শিল্পের প্রতিনিধিরাও এসেছেন সম্মেলনে।

দূষণকারী শিল্পগুলোর প্রতিনিধিদের জলবায়ু আলোচনায় অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করতে বছরের পর বছর জাতিসংঘকে অনুরোধ করে আসছেন পরিবেশবাদীরা। গত বছর নিবন্ধনকারীদের তাঁদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম উল্লেখ করতে বলা হয়। এর আগে সম্পর্কগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করেও তারা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারত।

যুক্তরাষ্ট্র এবারের সম্মেলনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেলক্ষেত্র সেবাদানকারী কোম্পানি বেকার হিউজের একজন ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিকে নিয়ে এসেছিল।

‘বৈশ্বিক অংশীদারদের জন্য শিল্পের জলবায়ু সমাধান’ শীর্ষক এক আলোচনায় বেকার হিউজের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনতে আগ্রহী হয়ে আমরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছি।’

বেকার হিউজ ভূতাপীয় শক্তি এবং কার্বন ধারণ ও সংরক্ষণের জন্য সেবা ও পণ্য সরবরাহ করে। তবে স্থল ও সমুদ্রের তেলক্ষেত্রগুলোর জন্য পণ্য ও সেবা দেওয়া এর প্রধান ব্যবসা।

গত বছর দুবাইয়ের কপ-২৮ সম্মেলনে ২ হাজার ৪৫৬ জন জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্ট উপস্থিত ছিলেন। সে সম্মেলনেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে আসার সিদ্ধান্তে একমত হতে পারেননি বিশ্ব প্রতিনিধিরা। এ বছর সংখ্যা কমলেও ৭০ হাজার অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ১ দশমিক ৫ শতাংশই জীবাশ্ম জ্বালানি লবিস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের দাপট আজও থাকবে, পড়বে ঘন কুয়াশা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
তাপমাত্রা খুব বেশি কমলেও আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। ছবি: আজকের পত্রিকা
তাপমাত্রা খুব বেশি কমলেও আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। ছবি: আজকের পত্রিকা

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজ শীত আরও বাড়বে, কাটছে না কুয়াশার চাদর

  • তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না ঢাকাসহ প্রায় সারা দেশে।
  • কুয়াশায় ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ।
  • ঠান্ডা-কুয়াশায় বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় কৃষক।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪১
দেশজুড়ে বইছে তীব্র শীত। কনকনে ঠান্ডায় কাবু সাধারণ মানুষ। একটু উষ্ণতার জন্য রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় আগুন পোহাচ্ছেন মাঝিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দেশজুড়ে বইছে তীব্র শীত। কনকনে ঠান্ডায় কাবু সাধারণ মানুষ। একটু উষ্ণতার জন্য রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় আগুন পোহাচ্ছেন মাঝিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।

এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।

টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।

গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।

ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।

সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।

ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।

মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’

মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে কাঁপছে সারা দেশ, রাতে তাপমাত্রা আরও কমবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
যশোরে টানা দুইদিন সূর্যের দেখা নেই। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরে টানা দুইদিন সূর্যের দেখা নেই। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় শীত আরও বেড়েছে, পড়বে ঘন কুয়াশা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত