Ajker Patrika

মানুষের ছেড়ে যাওয়া যেসব জায়গার দখল নিল প্রকৃতি

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৩, ২০: ১১
মানুষের ছেড়ে যাওয়া যেসব জায়গার দখল নিল প্রকৃতি

মানুষের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে অরণ্য ও বন্য প্রাণীরা আছে হুমকিতে। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, জায়গা এবং সময় দেওয়া গেলে বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা বন্য প্রাণী এবং গাছপালাও হারানো অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন অবলম্বনে মানুষের ছেড়ে যাওয়া এমন ১০টি জায়গার গল্প বলব আজ; যেগুলোর দখল নিয়ে নিয়েছে বুনো প্রকৃতি। 

রিওয়াইল্ডিং ইউরোপ নামের একটি সংগঠনের ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইউরোপের অনেক জাতের পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীর এভাবে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন জায়গায়।

তা প্রোম, কম্বোডিয়া
খেমার রাজ্যের প্রাচীন রাজধানী অ্যাংকরের পূর্বে তা প্রোম মন্দিরের অবস্থান। ১২ শতকের শেষের দিকে একটি বৌদ্ধমন্দির এবং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নির্মিত হয় এটি। এ সময় ১২ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ মন্দিরের চৌহদ্দিতে বাস করতেন। আশপাশের গ্রামগুলোতে বাস করতেন আরও ৮০ হাজার মানুষ। মোটামুটি ৩০০ বছর পরে রাজধানী অ্যাংকর থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে মন্দির এবং আশপাশের অরণ্য এলাকা পরিত্যক্ত হয়। 

তারপর থেকে মন্দিরটিতে মানুষের আনাগোনা ছিল না বললেই চলে। ফলে ভবনটিতে নানা ধরনের গাছ বেড়ে ওঠে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত বিশাল ডুমুর, বট আর কাপক (তুলাজাতীয় গাছ) গাছ। যেগুলোর শিকড় ঢেকে দিয়েছে মন্দিরের বিভিন্ন দেয়াল। সেই সঙ্গে আশপাশের এলাকার দখল নিয়েছে গাছপালা, হাজির হয়েছে নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী।
 
এখানকার অরণ্যে এখন মায়া হরিণ এবং বুনো শূকরের পাশাপাশি দেখা মেলে ভোঁদড়, ধনেশ পাখি এবং সবুজ ময়ূর বা ইন্দোনেশীয় ময়ূরের মতো প্রাণীদেরও।

হতোয়ানের মোটামুটি যা কিছু আছে সবকিছুকেই ঢেকে দিয়েছে সবুজ লতাজাতীয় গাছ। ছবি: এএফপিহতোয়ান, চীন
শেংশান দ্বীপের হতোয়ানে একসময় ছিল তিন হাজারের বেশি অধিবাসী। তবে মূলভূমির সঙ্গে দূরত্বের কারণে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হতো গ্রামবাসীকে। একজন-দুজন করে গ্রাম ছাড়তে ছাড়তে ২০০২ সালে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয় জায়গাটি। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে প্রকৃতি নিজের মতো করে একে সাজাতে থাকে। 

এখানে মোটামুটি যা কিছু আছে, সবকিছুকেই ঢেকে দিয়েছে সবুজ লতাগাছ। স্বাভাবিকভাবেই বন্য প্রাণীদের বিচরণের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে এটি। এখন গ্রামটি দেখতে পর্যটকেরা যাচ্ছেন। স্থানীয় সংবাদপত্রের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে সেখানে পদধূলি দিয়েছেন ৯০ হাজার পর্যটক।

মানগাপুরুয়া উপত্যকায় আছে দি ব্রিজ অব নাওহোয়্যার। ছবি: উইকিপিডিয়ামানগাপুরুয়া উপত্যকা, নিউজিল্যান্ড
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধফেরত সৈনিকদের মানগাপুরুয়া ভ্যালিতে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ১৯১৯ সালে গোড়াপত্তনের পর কোনো এক সময় ৪০ জন সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারের বসবাস ছিল জায়গাটিতে। কিন্তু দুর্গমতা এবং জমি চাষাবাদের উপযোগী না হওয়ায় ১৯৪০-র দশকের মাঝামাঝিতে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয় এটি। আর এটাই জায়গাটিতে অরণ্যের পুনর্দখল দেওয়ার এবং বন্য প্রাণীদের ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়। 

এখন এটি হুয়ানগানুই জাতীয় উদ্যানের অংশ। এই উদ্যান কিউই পাখিসহ নানা জাতের পাখির জন্য বিখ্যাত। 

এস এস ইয়নগালা জাহাজের ধ্বংসাবশেষে ঘুরে বেড়ায় সাগরের নানা প্রাণী। ছবি: ট্যুরিজমস অ্যান্ড ইভেন্টস কুইন্সল্যান্ডএস এস ইয়নগালা, অস্ট্রেলিয়া
টাইটানিক ডুবির ঘটনার ঠিক এক বছর আগে ১৯১১ সালে সাগরে আরেক বড় ট্র্যাজেডির জন্ম হয়। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ডুবে যায় এস এস ইয়ানগালা নামের একটি জাহাজ। এর ১২২ জন যাত্রী এবং নাবিক নিখোঁজ হন এর সঙ্গে। ১৯৫৮ সালে সাগরতলে খোঁজ মেলে সাগরটির।

বর্তমানে ১০৯ মিটার ৩৫৭ ফুট দৈর্ঘ্যের জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের দখল নিয়েছে উজ্জ্বল রঙের প্রবাল। এখানে বাস বুল শার্ক, মার্বল রেসহ কয়েক শ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর।

ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে বা স্নেক আইল্যান্ড। ছবি: টুইটারইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে, ব্রাজিল
সাও পাওলোর উপকূল থেকে ৯০ মাইল দূরে অবস্থিত ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে দ্বীপটিকে প্রথম দেখায় অসাধারণ সুন্দর একটি জায়গা বলেই মনে হবে আপনার। তবে বেশির ভাগ ব্রাজিলিয়ান এ দ্বীপের কথা জানলেও সেখানে যাওয়ার কথা কল্পনাও করতে পারেন না। কারণ, জঙ্গলে ঢাকা দ্বীপে ২০০০-৪০০০টি সোনালি ল্যাঞ্চহেড ভাইপার সাপের আস্তানা। গোটা পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে। আর এই সাপগুলোকে পাবেন কেবল এ দ্বীপেই। এই দ্বীপের পরিচিতিই হয়ে গেছে স্নেক আইল্যান্ড বা সাপের দ্বীপ নামে। এর পাশাপাশি দ্বীপে আছে বাদুড়, নানা ধরনের সরীসৃপ এবং সামুদ্রিক পাখি।

ইউনিভার্সিটি অব সাও পাওলোর অধ্যাপক মার্সিয়ো মার্তিনস সিএনএনকে বলেন, দ্বীপটি একসময় মূল ভূমির অংশ ছিল। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ওঠানামার কারণে ইলহা দ্য কুয়েইমাদা গ্র্যান্ডে আনুমানিক ১১ হাজার বছর আগে পুরোপুরি সাগরের পানিবেষ্টিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে মূলভুমি থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এখান থেকে অন্য কোথাও যেতে না পারা সোনালি ল্যাঞ্চহেড ভাইপাররা এই পরিবেশে মানিয়ে নেয়। 

বিশ শতকের গোড়ার দিকে দ্বীপটিতে ৩-৪ জন বাতিঘর রক্ষক এবং নাবিক বাস করতেন। ১৯২০-র দশক থেকে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়। এখানকার বিষধর সাপের উপস্থিতি এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য জায়গাটিতে অনুমতি ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে।

ডিমিলিটারাইজড জোন। ছবি: গুগল আর্ট অ্যান্ড কালচারডিমিলিটারাইজড জোন, কোরিয়া
কোরীয় যুদ্ধের সমাপ্তির পর সত্তর বছর ধরে, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভক্তকারী ১৬০ মাইলের ডিমিলিটারাইজড জোন (ডিএমজি) নো-ম্যানস ল্যান্ড হিসেবেই আছে। আর তাই ৬ হাজারের বেশি উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজাতির বাস এখন সেখানে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোলজির দেওয়া তথ্য অনুসারে কোরিয়ার বিপন্ন বন্য প্রাণীদের মধ্যে শতকরা ৩৮ শতাংশ পাওয়া যায় এই এলাকায়।  

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল মাদাম গ্রাম। ছবি: এএফপিআল মাদাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত
যখন প্রকৃতি কর্তৃত্ব ফলাচ্ছে, এমন কোনো জায়গার চিন্তা মাথায় আসবে সবুজের আধিপত্যের কথাই ভাববেন। তবে আল মাদাম গ্রামে প্রকৃতি সেজেছে ভিন্নভাবে। 

দুবাই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গ্রামটির গোড়াপত্তন হয় ১৯৭০-র দশকে, বেদুইনদের আবাস হিসেবে। দুই দশক পরেই এটি পরিত্যক্ত হয়। আর এখন সেখানকার দালানকোঠা থেকে শুরু করে সবকিছুর দখল নিচ্ছে মরুভূমি আর তার বালু। এখানে এখন ঘুরে বেড়ায় মরুভূমিতে বিচরণ করা বিভিন্ন বন্য প্রাণী।

জাপানের ফুকুশিমা। ছবি: এএফপিফুকুশিমা, জাপান
২০১১ সালের ভূমিকম্প এবং সুনামিতে উত্তর জাপানের ফুকুশিমা পাওয়ার প্ল্যান্টে বড় ধরনের পারমাণবিক বিপর্যয় হয়। তারপর জাপান সরকার গড়ে তোলে ১২.৫ মাইলের ফুকুশিমা এক্সক্লুসন জোন। এখানকার দেড় লাখের বেশি মানুষকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। তবে পরে ধীরে ধীরে এখানকার কোনো কোনো শহর বা গ্রামে মানুষকে ফিরে আসতে উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু কিছু এলাকায় মানুষের বসবাসের নিষেধাজ্ঞা রয়েই গেছে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক জেমস বিসলে ২০১৬ সালে এই এলাকার বিপুল প্রাণবৈচিত্র্যের কথা বলেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি মন্তব্য করেন, বন্য শূকরের সংখ্যা এত বেশি যে কিছু এলাকায় এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলে বসত গাড়া অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বন ছাগল, লাল শিয়াল প্রভৃতি।

. স্কটল্যান্ডের সেন্ট কিলডা দ্বীপপুঞ্জ। ছবি: সংগৃহীতসেন্ট কিলডা, স্কটল্যান্ড
উঁচু সব পাথুরে পাহাড়, পরিষ্কার জল এবং পানির তলের গুহা—সবকিছু মিলিয়ে সেন্ট কিল্ডা দ্বীপ দেখার মতো এক জায়গা। ১৯৩০ সালে খাদ্যঘাটতি, চিকিৎসাসেবা পৌঁছানো কঠিন হওয়া এবং জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে, অবশিষ্ট ৩৬ জন দ্বীপবাসীকে মূল ভূখণ্ডে পুনর্বাসনের জন্য অনুরোধ করা হয়। তারপর থেকে মানুষের বসতি না থাকায় সেন্ট কিলডা দ্বীপ নানা ধরনের বন্য প্রাণীর চমৎকার আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। এই এলাকা প্রায় ১০ লাখ সামুদ্রিক পাখির আবাসস্থল। এদের মধ্যে আছে যুক্তরাজ্যের আটলান্টিক পাফিনদের সবচেয়ে বড় কলোনিও। জায়গাটি ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।

স্টেক রক ফোর্ট। ছবি: ফেসবুকস্টেক রক ফোর্ট, ওয়েলশ
পশ্চিম ওয়েলসের পেমব্রোকেশায়ার উপকূলে অবস্থিত স্টেক রক ফোর্ট দুর্গটি সমুদ্রপথে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য ১৮৫০-র দশকে নির্মিত হয়। তখন এখানে বেশ কিছু সৈনিকের পাশাপাশি যথেষ্ট গোলাবারুদ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এর প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অল্প কিছু সৈন্য দ্বারা এটি পরিচালিত হয়। অবশেষে ১৯২৯ সালে এখান থেকে সব সৈনিক ও অস্ত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

প্রায় ১০০ বছর ধরে মানুষের স্পর্শ না থাকায় দুর্গটির দখল ধীরে ধীরে নিয়ে নেয় নানা প্রজাতির উদ্ভিদ ও বন্য প্রাণীরা। দুর্গের বর্তমান রক্ষক নিকোলাস মুয়েলার সিএনএনকে জানান, বাদামগাছ জন্মায় এখানে, নানা ধরনের সামুদ্রিক পাখিরও বাস জায়গাটিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে কাঁপছে সারা দেশ ভোগাচ্ছে ঘন কুয়াশা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ১৮
কুয়াশা ও কনকনে শীতে কাবু উত্তরাঞ্চল। গতকাল গাইবান্ধায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় অনেককে। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়াশা ও কনকনে শীতে কাবু উত্তরাঞ্চল। গতকাল গাইবান্ধায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় অনেককে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।

নাছিমা বলেন, ‘শীতটা খুব কষ্ট দিতাছে। কাল থেইকা রাতে ঠিকমতো ঘুমাইতে পারি না। বাচ্চাডারে নিয়া বেশি ভয় লাগতাছে। ঠান্ডা লাগলে কী করুম, সেই চিন্তাই মাথায় ঘোরে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের সুযোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে অসুস্থতার ঝুঁকি। অনেকে বলছেন, জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁরা।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার (৫ দিন) পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা; পাশাপাশি থাকবে কুয়াশার প্রকোপ।

ফেরি চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা বাড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদী পথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।’

জনজীবন বিপর্যস্ত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

গতকাল সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, উত্তরের জেলা গাইবান্ধা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শিশুচিকিৎসক সোহেল বলেন, ‘শীতের মধ্যে বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। টানা কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে; যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।

জেলার বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডায় দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।

যশোর প্রতিনিধি জানান, জেলায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এদিনের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও উত্তরের বাতাসে বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের অনুভূতি।

যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক জোহর আলী বলেন, ‘শীতে রিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা জমে যাচ্ছে। ব্রেকও ঠিকমতো ধরা যাচ্ছে না। বাসায় মনে হচ্ছে, গায়ে সুই ফোটাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের প্রকোপ বাড়ছে: ৭ জেলায় ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে কত দিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৪
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।

ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, সতর্ক থাকতে পারেন যেভাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেঘলা ঢাকার আকাশ, কুয়াশার দেখা মিলতে পারে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।

অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।

এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত