
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান। তবু তিনি ভাবছেন, সংগীতসাগরের পাড় ধরে এত দিন হেঁটেছেন কেবল, কুড়িয়েছেন কিছু নুড়ি। ছোট্ট এই জীবনে আরও অনেক কিছুই করার বাকি। নকীব খানের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।
সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৮ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৮ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৮ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৮ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৮ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৮ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৮ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৮ ঘণ্টা আগে