
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান। তবু তিনি ভাবছেন, সংগীতসাগরের পাড় ধরে এত দিন হেঁটেছেন কেবল, কুড়িয়েছেন কিছু নুড়ি। ছোট্ট এই জীবনে আরও অনেক কিছুই করার বাকি। নকীব খানের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।
সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।

‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
২ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৪ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৪ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
২ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
২ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৪ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
২ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৪ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৪ ঘণ্টা আগে