
বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান। তবু তিনি ভাবছেন, সংগীতসাগরের পাড় ধরে এত দিন হেঁটেছেন কেবল, কুড়িয়েছেন কিছু নুড়ি। ছোট্ট এই জীবনে আরও অনেক কিছুই করার বাকি। নকীব খানের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।
সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান। তবু তিনি ভাবছেন, সংগীতসাগরের পাড় ধরে এত দিন হেঁটেছেন কেবল, কুড়িয়েছেন কিছু নুড়ি। ছোট্ট এই জীবনে আরও অনেক কিছুই করার বাকি। নকীব খানের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।
সংগীতে আপনার ৫০ বছর পূর্তি হলো। এই সময়ে এসে আপনার প্রাপ্তি কতখানি মনে হয়?
সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, শ্রদ্ধা পেয়েছি। ৫০ বছর টিকে থাকা এবং মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। আমার গান দিয়ে সেই জায়গাটা পেয়েছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছু নেই।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে যদি বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের সংগীতের অবস্থা আসলে কেমন?
সংগীতে তো চড়াই-উতরাই আছেই। অনেকগুলো বিষয় আছে। প্রথমত, প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি বদলে যাচ্ছে, আগে ক্যাসেট ছিল, সেখান থেকে সিডি হলো, এখন ডিজিটাল মাধ্যম এসেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেক ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেমন ইন্টারন্যাশনালি ফোকাস হওয়ার মতো সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার কিছু সীমাবদ্ধতাও তৈরি হয়েছে। আগে যেমন ক্যাসেট বা সিডি বের হতো, সেই ফিজিক্যাল বিষয়টা এখন নেই। কনট্রোলিং মেথড যদি ঠিক না থাকে, তাহলে পাইরেসি হয়ে যায়, গান ফ্রি ডাউনলোড হয়ে যায়, অনেকগুলো ইস্যু আছে। ফলে, যাঁরা টাকা লগ্নি করেন, তাঁদের টাকা উঠে আসে না এবং লেবেল কোম্পানিগুলো গানে ইনভেস্ট করতে চায় না। তাই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিটা স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন গান আসতে হবে মানুষের কাছে, সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রপার ওয়েতে। আমরা গান তৈরি করে বসে থাকি। গান নিয়ে যে আমরা কোনো মাধ্যমের কাছে যাব, সেটা পাচ্ছি না। গান অনেক এক্সপেনসিভ হয়ে গেছে, এখন কেবল গানের অডিও হলেই হয় না, একটা ভালো ভিডিও লাগে। ভিডিওটাই মুখ্য হয়ে গেছে। ভিউর দিকেই এখন নজর বেশি। অথচ, গান আসলে অডিও, এই ভিউয়ের দিকে, ভিডিওর দিকে যখন নজর বেশি থাকে, তখন গানের মানটা নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই, সামগ্রিকভাবে যদি চিন্তা করি, তাহলে বাংলাদেশের সংগীতের বর্তমান অবস্থা খুব সুখকর নয়। কারণ, আমরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেশি এগোতে পারিনি। যে কারণে মনিটরিং হতে পারে না, কনট্রোলিং হতে পারে না। শিল্পীরা রয়্যালটি যে পাবেন, সেটা এনশিওর করতে পারছি না।
আমাদের তো কপিরাইট আইন আছে, অনেকে রয়্যালিটি পাচ্ছেন...
আইন আছে, কিন্তু সেটার প্রয়োগ পুরোপুরি করা যাচ্ছে না; কারণ, মনিটরিং বা কনট্রোলিংটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফলে যেটা হয়েছে, মানুষ বলছে, এখন ভালো গান হয় না। আসলে ভালো গান হয়, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
এখান থেকে উত্তরণের উপায় কী হতে পারে?
আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের কথা যদি চিন্তা করি, ওরা কিন্তু উত্তরণ করে গেছে; কারণ, আইনগুলো শক্তভাবে প্রয়োগ করতে পারছে। যাঁরা গান লিখছেন বা কম্পোজ করছেন, তাঁরা ঠিকই রয়্যালটি পাচ্ছেন। এটা আমাদের দেশে এখনো আমরা পারিনি। ওখানেই আমাদের নজর দিতে হবে, মেকানিজমগুলো ঠিক করতে হবে, আইন প্রয়োগের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্যারিয়ারের ৫০ বছর পার করলেন। এই সময়ে নতুন কী পরিকল্পনা করছেন?
৫০ বছর তো পার করে ফেলেছি। এখন যেটা মনে হচ্ছে, আসলে কিছুই করতে পারিনি। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন শুরু করেছি। যে ইচ্ছাগুলো ছিল, যে স্বপ্ন ছিল, সেগুলোর কিছুই পূরণ করতে পারিনি। সংগীত এক মহাসমুদ্র, সেখানে আমরা কেবল সমুদ্রতীরে নুড়ি কুড়াচ্ছি বলে মনে হচ্ছে। শ্রেষ্ঠ কাজগুলো কখন করব জানি না। সেই জায়গা থেকে মাঝেমধ্যে কষ্ট লাগে। কারণ, সময়টা পার করেছি, কিন্তু যে স্বপ্ন দেখেছি, যে আশা নিয়ে বেঁচেছি, তার কিছুই হয়তো করতে পারিনি। যত দিন বেঁচে থাকব, সেই স্বপ্ন আর আশা পূরণের চেষ্টাটাই করে যাব।
আপনার তৈরি করা নিজের গাওয়া এবং অন্যের গাওয়া জনপ্রিয় অনেক গান আছে। এগুলোর মধ্যে কোন কোন গান আপনার প্রিয় হয়ে উঠতে পেরেছে?
এটা বলা খুব কঠিন। কারণ, প্রতিটি গানই তো আমার সন্তানের মতো। এটা শ্রোতারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন গানগুলো তাঁদের কাছে প্রিয়। আবার সব গান যে ঠিকমতো প্রচার পেয়েছে, তা-ও নয়। অনেক গান আছে, তৈরি করে রেখেছি, রিলিজই করতে পারিনি। যেগুলো প্রকাশ করেছি, সেগুলোর মধ্যে অনেক গান জনপ্রিয় হয়েছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গানগুলো জনপ্রিয় হয়েছে, মানুষের মনে গেঁথে আছে। যেমন আমার সুর করা ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘এই মুখরিত জীবনের চলার বাঁকে’, ‘ভালো লাগে জ্যোৎস্না রাতে’, ‘ও নদী রে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’—এমন অনেক গান আছে, যেগুলো শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে, আমারও ভালো লাগে।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘এখন অনেক রাত’ গানটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি রয়েছে। এটা পরিষ্কার করবেন?
আইয়ুব বাচ্চুর এখন অনেক রাত গানটি আমার গান নয়; ওটা বাচ্চুরই সুর করা। এখন অনেক রাত শিরোনামে আমার গাওয়া একটা গান আছে। তাই অনেকে গান দুটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান।
আপনাদের রেনেসাঁ ব্যান্ডের কী অবস্থা এখন?
এ বছর রেনেসাঁর ৪০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনুষ্ঠান করব, নতুন গান প্রকাশ করব। সার্বিকভাবে রেনেসাঁর অবস্থা ভালো। রেনেসাঁ তো আমাদের অর্থ উপার্জনের জায়গা নয়, আমরা মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে ব্যান্ড করি এবং ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। রেনেসাঁ যে লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল, সেটা হলো গানগুলোর লিরিক্যাল ভ্যালুজ থাকবে, মেলোডি থাকবে। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রেখেছি। প্রতিটি গান করার সময় চিন্তা করি, গানটা কী মেসেজ দেবে মানুষের কাছে, সমাজের কাছে। সুরটা যেন মেলোডিয়াস হয়, বাংলা গান যেন বাংলা গানের মতো হয়।
রেনেসাঁর নতুন গান কবে প্রকাশ করবেন?
আমরা একটা অ্যালবামের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কিছু গান প্রকাশ করতে পারব।
রেনেসাঁর শুরু হয়েছিল ঠিক কত তারিখে?
তারিখটা মনে নেই এ মুহূর্তে। তবে শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে।
আপনার ক্যারিয়ার গণনা শুরু করছেন কি সোলসে যোগ দেওয়ার পর থেকে? তারিখটা মনে আছে?
সোলসে যোগ দেওয়া থেকে নয়, আমি ক্যারিয়ার কাউন্ট করছি আমার জীবনের প্রথম সুর করা গান থেকে, ওটাও ১৯৭৪ সালে করেছি, আবার সোলসেও জয়েন করেছি ১৯৭৪ সালে। তাই দুটোর হিসাবই প্রায় সমান।
প্রথম সুর করা সেই গান তো রিলিজ হয়নি। গানটি সম্পর্ক কিছু বলুন।
গানটির শিরোনাম ‘একাকী যখন নির্জনে আমি’। এটা লিখেছেন প্রয়াত হেনা ইসলাম। আমার সুর করা। গানটি তখন রিলিজ দেওয়া হয়নি। এখন ভাবছি, গানটা রিলিজ করব।
আপনার পরিবারের আর কে কে গান করেন?
আমার ছোট ভাই পিলু গান করেন। সে রেনেসাঁতেই আছে। আমার মেয়ে একসময় গান করত, বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর থেকে কন্টিনিউ করতে পারেনি। পিলুর ছেলে গান করে। আপনি হয়তো জানেন, সে ইন্টারন্যাশনালি মিউজিক করছে। আমার বড় ভাই জিলু খান। তাঁর একটা ব্যান্ড ছিল, নাম বালার্ক। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ব্যান্ডটি গড়ে তোলেন। তাঁর হাত ধরেই ব্যান্ডে আমার পথচলা শুরু।
আপনার শুরুটা সংক্ষেপে জানতে চাই।
১৯৭২ সালে বালার্ক ব্যান্ড দিয়ে আমার শুরু। ১৯৭৩ সালে ব্যান্ডটি ভেঙে যায়। তখন সোলস থেকে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সোলসের নাম তখন ছিল সুরেলা। ওরা তখনো মৌলিক গান করত না। ১৯৭৪ সালে সোলসে যোগ দিই এবং আমার সুর করা গান দিয়ে সোলসে মৌলিক গান শুরু করি। সেখানে ১০ বছর গান করেছি। এরপর ঢাকায় চলে আসি। ১৯৮৫ সালে রেনেসাঁ ব্যান্ড গড়ে তুলি।
আপনি নেসলে বাংলাদেশে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসরে গেছেন। এখন কী করছেন?
এখন আমি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড ও অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছি। এ ছাড়া ন্যামকন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কনসালট্যান্সি করছি।

নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবস বা আয়োজনের নাটকে দেখা যায় সাদিয়া ইসলাম মৌকে। এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করলেন মৌ। নাটকের নাম ‘ডাক্তার বাড়ি’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রাজু আলীম। পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী।
১৯ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাম্ফিথিয়েটারে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা। ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নাটকের জন্য এই আয়োজনের শিরোপা জিতেছে আইইউবি থিয়েটার ক্লাব। বাংলাদেশে নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী ছোটগল্প...
১৯ ঘণ্টা আগে
ভারতের তেলেঙ্গানায় বড় ধরনের উদ্যোগ শুরু করতে চলেছেন সালমান খান। সে রাজ্যের সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মেগা টাউনশিপ গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে সালমান খান ভেঞ্চার্স। যেখানে লাইফস্টাইল, বিনোদন, পর্যটন, সিনেমা, আবাসন, খেলাধুলা—সব ক্ষেত্রকে এক জায়গায় এনে তৈরি করা হবে বিশ্বমানের এক আধুনিক শহর।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবস বা আয়োজনের নাটকে দেখা যায় সাদিয়া ইসলাম মৌকে। এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করলেন মৌ। নাটকের নাম ‘ডাক্তার বাড়ি’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রাজু আলীম। পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হবে নাটকটি।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে নাটক নির্মাণ করছেন অরুণ চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নির্মাণ করেছেন নাটক ডাক্তার বাড়ি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা একটি বাড়ি থেকে কীভাবে সহায়তা পেয়েছিলেন, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের এক ডাক্তারের মেয়ে মল্লিকা তার বাবাকে না জানিয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধাকে আশ্রয় দেয়। একসময় দুষ্কৃতকারীরা ডাক্তারকে হুমকি দেয় বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বের করে দিতে হবে। ভয় পেয়ে যায় সে। কিন্তু মল্লিকা তার বাবাকে বোঝায় একটা দিন অপেক্ষা করার জন্য। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নবাবগঞ্জে হয়েছে নাটকটির শুটিং।
ডাক্তার বাড়ি নাটকে মল্লিকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌ। তাঁর বাবার চরিত্রে আছেন নরেশ ভুঁইয়া। মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে দেখা যাবে আহসান হাবিব নাসিমকে। নতুন এই নাটক নিয়ে মৌ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের কাজ অনেক কম করা হয়েছে আমার। খুব ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটি গল্পে অভিনয় করতে পেরে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ধারণ করতে।’
নির্মাতা অরুণ চৌধুরী বলেন, ‘এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের একটি বাড়ির গল্প। গল্প অনুযায়ী পর্দায় সেই সময়ের আবহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শুটিং করেছি নবাবগঞ্জের একটি পুরোনো বাড়িতে। দর্শকের ভালো লাগলেই আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে।’
এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে মৌ অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম। কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘আর্তনাদ’ উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন আকা রেজা গালিব। প্রাথমিকভাবে নাম রাখা হয়েছে ‘গহীন অতল’। এই ওয়েব ফিল্মে মৌ অভিনয় করেছেন এক মায়ের চরিত্রে। পুরো গল্প গড়ে উঠেছে তাঁকে ঘিরে। ফিল্মটির গল্পে দেখা যাবে, ঘটনাক্রমে এক রাতে মৌ অভিনীত চরিত্রটি খুন করে ফেলে তার মেয়ের গোপন প্রেমিককে। এই ঘটনা গোপন করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সে।

নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবস বা আয়োজনের নাটকে দেখা যায় সাদিয়া ইসলাম মৌকে। এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করলেন মৌ। নাটকের নাম ‘ডাক্তার বাড়ি’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রাজু আলীম। পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হবে নাটকটি।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে নাটক নির্মাণ করছেন অরুণ চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি নির্মাণ করেছেন নাটক ডাক্তার বাড়ি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা একটি বাড়ি থেকে কীভাবে সহায়তা পেয়েছিলেন, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। গল্পে দেখা যাবে, গ্রামের এক ডাক্তারের মেয়ে মল্লিকা তার বাবাকে না জানিয়ে দুই মুক্তিযোদ্ধাকে আশ্রয় দেয়। একসময় দুষ্কৃতকারীরা ডাক্তারকে হুমকি দেয় বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বের করে দিতে হবে। ভয় পেয়ে যায় সে। কিন্তু মল্লিকা তার বাবাকে বোঝায় একটা দিন অপেক্ষা করার জন্য। এরপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নবাবগঞ্জে হয়েছে নাটকটির শুটিং।
ডাক্তার বাড়ি নাটকে মল্লিকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌ। তাঁর বাবার চরিত্রে আছেন নরেশ ভুঁইয়া। মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে দেখা যাবে আহসান হাবিব নাসিমকে। নতুন এই নাটক নিয়ে মৌ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের কাজ অনেক কম করা হয়েছে আমার। খুব ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটি গল্পে অভিনয় করতে পেরে। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ধারণ করতে।’
নির্মাতা অরুণ চৌধুরী বলেন, ‘এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের একটি বাড়ির গল্প। গল্প অনুযায়ী পর্দায় সেই সময়ের আবহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। শুটিং করেছি নবাবগঞ্জের একটি পুরোনো বাড়িতে। দর্শকের ভালো লাগলেই আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে।’
এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে মৌ অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম। কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘আর্তনাদ’ উপন্যাস অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন আকা রেজা গালিব। প্রাথমিকভাবে নাম রাখা হয়েছে ‘গহীন অতল’। এই ওয়েব ফিল্মে মৌ অভিনয় করেছেন এক মায়ের চরিত্রে। পুরো গল্প গড়ে উঠেছে তাঁকে ঘিরে। ফিল্মটির গল্পে দেখা যাবে, ঘটনাক্রমে এক রাতে মৌ অভিনীত চরিত্রটি খুন করে ফেলে তার মেয়ের গোপন প্রেমিককে। এই ঘটনা গোপন করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাম্ফিথিয়েটারে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা। ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নাটকের জন্য এই আয়োজনের শিরোপা জিতেছে আইইউবি থিয়েটার ক্লাব। বাংলাদেশে নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী ছোটগল্প...
১৯ ঘণ্টা আগে
ভারতের তেলেঙ্গানায় বড় ধরনের উদ্যোগ শুরু করতে চলেছেন সালমান খান। সে রাজ্যের সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মেগা টাউনশিপ গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে সালমান খান ভেঞ্চার্স। যেখানে লাইফস্টাইল, বিনোদন, পর্যটন, সিনেমা, আবাসন, খেলাধুলা—সব ক্ষেত্রকে এক জায়গায় এনে তৈরি করা হবে বিশ্বমানের এক আধুনিক শহর।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাম্ফিথিয়েটারে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা। ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নাটকের জন্য এই আয়োজনের শিরোপা জিতেছে আইইউবি থিয়েটার ক্লাব।
বাংলাদেশে নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী ছোটগল্প ‘সুলতানাস ড্রিম’-এর বাংলা নাট্যরূপ ‘সুলতানার স্বপ্ন’। বেগম রোকেয়া এতে লেডিল্যান্ড নামে এক কল্পিত সমাজের মাধ্যমে নারী-সমতার ভাবনা তুলে ধরেছেন। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বপ্লীল সোহেল।
আইইউবি থিয়েটার ছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নাট্যদল। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (প্রথম রানার্সআপ), সরকারি তিতুমীর কলেজ (দ্বিতীয় রানার্সআপ), স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। এ প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব ছিলেন অভিনেতা ও নির্দেশক তারিক আনাম খান, কথাসাহিত্যিক মোজাফফর হোসেন এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ নিয়াজ মজুমদার।
গত ১৯ নভেম্বর আইইউবি অডিটরিয়ামে সুলতানার স্বপ্ন নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। এরপর ৬ ডিসেম্বর নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে। ৯ ডিসেম্বর এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তায় মঞ্চস্থ হয় তৃতীয় প্রদর্শনী।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাম্ফিথিয়েটারে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা। ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নাটকের জন্য এই আয়োজনের শিরোপা জিতেছে আইইউবি থিয়েটার ক্লাব।
বাংলাদেশে নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী ছোটগল্প ‘সুলতানাস ড্রিম’-এর বাংলা নাট্যরূপ ‘সুলতানার স্বপ্ন’। বেগম রোকেয়া এতে লেডিল্যান্ড নামে এক কল্পিত সমাজের মাধ্যমে নারী-সমতার ভাবনা তুলে ধরেছেন। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন স্বপ্লীল সোহেল।
আইইউবি থিয়েটার ছাড়াও প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক নাট্যদল। এর মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (প্রথম রানার্সআপ), সরকারি তিতুমীর কলেজ (দ্বিতীয় রানার্সআপ), স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি। এ প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব ছিলেন অভিনেতা ও নির্দেশক তারিক আনাম খান, কথাসাহিত্যিক মোজাফফর হোসেন এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ নিয়াজ মজুমদার।
গত ১৯ নভেম্বর আইইউবি অডিটরিয়ামে সুলতানার স্বপ্ন নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। এরপর ৬ ডিসেম্বর নাটকটির দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে। ৯ ডিসেম্বর এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তায় মঞ্চস্থ হয় তৃতীয় প্রদর্শনী।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবস বা আয়োজনের নাটকে দেখা যায় সাদিয়া ইসলাম মৌকে। এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করলেন মৌ। নাটকের নাম ‘ডাক্তার বাড়ি’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রাজু আলীম। পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী।
১৯ ঘণ্টা আগে
ভারতের তেলেঙ্গানায় বড় ধরনের উদ্যোগ শুরু করতে চলেছেন সালমান খান। সে রাজ্যের সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মেগা টাউনশিপ গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে সালমান খান ভেঞ্চার্স। যেখানে লাইফস্টাইল, বিনোদন, পর্যটন, সিনেমা, আবাসন, খেলাধুলা—সব ক্ষেত্রকে এক জায়গায় এনে তৈরি করা হবে বিশ্বমানের এক আধুনিক শহর।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

ভারতের তেলেঙ্গানায় বড় ধরনের উদ্যোগ শুরু করতে চলেছেন সালমান খান। সে রাজ্যের সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মেগা টাউনশিপ গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে সালমান খান ভেঞ্চার্স। যেখানে লাইফস্টাইল, বিনোদন, পর্যটন, সিনেমা, আবাসন, খেলাধুলা—সব ক্ষেত্রকে এক জায়গায় এনে তৈরি করা হবে বিশ্বমানের এক আধুনিক শহর।
প্রস্তাবিত এই টাউনশিপ শুধু আবাসিক এলাকা নয়, এটি হবে এমন এক গ্লোবাল এন্টারটেইনমেন্ট সিটি, যেখানে সবাই উপভোগ করতে পারবে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা। প্রকল্পের লক্ষ্য অনুযায়ী, এখানে ৫০০ একর জায়গাজুড়ে থাকবে অত্যাধুনিক ফিল্ম সিটি ও সিনেমা স্টুডিও, থিমভিত্তিক আন্তর্জাতিক পর্যটন জোন, ওয়েলনেস ভিলেজ ও ন্যাচারাল হিলিং স্পেস, বিলাসবহুল হোটেল, রিসোর্ট, শপিং কমপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, লাইভ ইভেন্ট এরেনা, বিনোদনকেন্দ্র, উন্নত আবাসিক এলাকা, শিক্ষাকেন্দ্র ও স্মার্ট-সিটি সুবিধা।
এই টাউনশিপই হতে পারে ভারতের প্রথম এমন এক প্রকল্প, যেখানে সিনেমা, পর্যটন ও লাইফস্টাইল একসঙ্গে মিলিত হয়ে গড়ে তুলবে পূর্ণাঙ্গ বিনোদন-নগরী। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি কয়েক সপ্তাহ আগে মুম্বাইয়ে সালমান খানের সঙ্গে দেখা করে প্রকল্পটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ইতিমধ্যেই জমি, নীতিছাড়, বিনিয়োগ কাঠামো ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্প রাজ্যের পর্যটনশিল্পকে বিপুলভাবে বাড়াবে এবং হাজার হাজার মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তেলেঙ্গানা দক্ষিণ ভারতের বিনোদন রাজধানী হিসেবে উঠে আসতে পারে। দক্ষিণ ভারতের সিনেমাশিল্প ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সেখানে বলিউড সুপারস্টারের উদ্যোগে এমন এক আন্তর্জাতিক মানের টাউনশিপ গড়ে উঠলে ভারতের চলচ্চিত্রশিল্প আরও বৃহৎ বাজার তৈরি করবে। তেলেঙ্গানা সরকারও মনে করছে, এই প্রকল্প আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে দেবে।

ভারতের তেলেঙ্গানায় বড় ধরনের উদ্যোগ শুরু করতে চলেছেন সালমান খান। সে রাজ্যের সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মেগা টাউনশিপ গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে সালমান খান ভেঞ্চার্স। যেখানে লাইফস্টাইল, বিনোদন, পর্যটন, সিনেমা, আবাসন, খেলাধুলা—সব ক্ষেত্রকে এক জায়গায় এনে তৈরি করা হবে বিশ্বমানের এক আধুনিক শহর।
প্রস্তাবিত এই টাউনশিপ শুধু আবাসিক এলাকা নয়, এটি হবে এমন এক গ্লোবাল এন্টারটেইনমেন্ট সিটি, যেখানে সবাই উপভোগ করতে পারবে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা। প্রকল্পের লক্ষ্য অনুযায়ী, এখানে ৫০০ একর জায়গাজুড়ে থাকবে অত্যাধুনিক ফিল্ম সিটি ও সিনেমা স্টুডিও, থিমভিত্তিক আন্তর্জাতিক পর্যটন জোন, ওয়েলনেস ভিলেজ ও ন্যাচারাল হিলিং স্পেস, বিলাসবহুল হোটেল, রিসোর্ট, শপিং কমপ্লেক্স, কনভেনশন সেন্টার, লাইভ ইভেন্ট এরেনা, বিনোদনকেন্দ্র, উন্নত আবাসিক এলাকা, শিক্ষাকেন্দ্র ও স্মার্ট-সিটি সুবিধা।
এই টাউনশিপই হতে পারে ভারতের প্রথম এমন এক প্রকল্প, যেখানে সিনেমা, পর্যটন ও লাইফস্টাইল একসঙ্গে মিলিত হয়ে গড়ে তুলবে পূর্ণাঙ্গ বিনোদন-নগরী। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি কয়েক সপ্তাহ আগে মুম্বাইয়ে সালমান খানের সঙ্গে দেখা করে প্রকল্পটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ইতিমধ্যেই জমি, নীতিছাড়, বিনিয়োগ কাঠামো ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্প রাজ্যের পর্যটনশিল্পকে বিপুলভাবে বাড়াবে এবং হাজার হাজার মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তেলেঙ্গানা দক্ষিণ ভারতের বিনোদন রাজধানী হিসেবে উঠে আসতে পারে। দক্ষিণ ভারতের সিনেমাশিল্প ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সেখানে বলিউড সুপারস্টারের উদ্যোগে এমন এক আন্তর্জাতিক মানের টাউনশিপ গড়ে উঠলে ভারতের চলচ্চিত্রশিল্প আরও বৃহৎ বাজার তৈরি করবে। তেলেঙ্গানা সরকারও মনে করছে, এই প্রকল্প আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যকে আন্তর্জাতিক পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে দেবে।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবস বা আয়োজনের নাটকে দেখা যায় সাদিয়া ইসলাম মৌকে। এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করলেন মৌ। নাটকের নাম ‘ডাক্তার বাড়ি’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রাজু আলীম। পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী।
১৯ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাম্ফিথিয়েটারে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা। ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নাটকের জন্য এই আয়োজনের শিরোপা জিতেছে আইইউবি থিয়েটার ক্লাব। বাংলাদেশে নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী ছোটগল্প...
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২০ ঘণ্টা আগেএ সপ্তাহের ওটিটি
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক

নূর (বাংলা সিনেমা)
ডিমলাইট (বাংলা ওয়েব সিনেমা)
কারমা কোর্মা (বাংলা সিরিজ)
ম্যান ভার্সেস বেবি (ইংরেজি সিরিজ)
সুপারম্যান (ইংরেজি সিনেমা)

নূর (বাংলা সিনেমা)
ডিমলাইট (বাংলা ওয়েব সিনেমা)
কারমা কোর্মা (বাংলা সিরিজ)
ম্যান ভার্সেস বেবি (ইংরেজি সিরিজ)
সুপারম্যান (ইংরেজি সিনেমা)

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীত ব্যক্তিত্ব নকীব খান। গত বছর সংগীতে ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে তাঁর। এ উপলক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন নকীব খান।
২১ জানুয়ারি ২০২৫
নিয়মিত অভিনয় না করলেও বিশেষ দিবস বা আয়োজনের নাটকে দেখা যায় সাদিয়া ইসলাম মৌকে। এবারের বিজয় দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি নাটকে অভিনয় করলেন মৌ। নাটকের নাম ‘ডাক্তার বাড়ি’। ফরিদুর রেজা সাগরের গল্প অবলম্বনে চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রাজু আলীম। পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী।
১৯ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাম্ফিথিয়েটারে ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এডিসি ন্যাশনাল ড্রামা ফিয়েস্তা। ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নাটকের জন্য এই আয়োজনের শিরোপা জিতেছে আইইউবি থিয়েটার ক্লাব। বাংলাদেশে নারী অধিকার আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী ছোটগল্প...
১৯ ঘণ্টা আগে
ভারতের তেলেঙ্গানায় বড় ধরনের উদ্যোগ শুরু করতে চলেছেন সালমান খান। সে রাজ্যের সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার মেগা টাউনশিপ গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে সালমান খান ভেঞ্চার্স। যেখানে লাইফস্টাইল, বিনোদন, পর্যটন, সিনেমা, আবাসন, খেলাধুলা—সব ক্ষেত্রকে এক জায়গায় এনে তৈরি করা হবে বিশ্বমানের এক আধুনিক শহর।
১৯ ঘণ্টা আগে