বিনোদন ডেস্ক

চলে গেলেন গানের পাখি পাপিয়া সারোয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রয়াত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর প্রয়াণে সংগীতাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, অদিতি মহসিন ও গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির।

পাপিয়া ছিলেন একজন গুণী রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী
—খুরশীদ আলম, সংগীতশিল্পী
পাপিয়া সারোয়ার ছিলেন একজন গুণী রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর গায়কি ছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা। দর্শক সহজে তাঁর কণ্ঠ চিনতে পারতেন। তিনি ভারতের শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রসংগীতের তালিম নিয়েছেন। বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীত ছড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর গান শুনে রবীন্দ্রসংগীতের অনেক শ্রোতা তৈরি হয়েছে। নতুনেরাও অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বেঁচে থাকাকালে একুশে পদক পেয়েছেন, বাংলা একাডেমি থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন পাপিয়া।
আধুনিক গানেও ছিল তাঁর সফল পদচারণ। তাঁর গাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন’ গানটি ছিল সবার মুখে মুখে। এখনো সেই গানের জনপ্রিয়তা টের পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাঁর নামে ‘পাপিয়ারে পাপিয়া দুজনে মিলিয়া’ গানটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। এই গুণী শিল্পীর প্রয়াণে দেশের সংগীতাঙ্গনের বড় ক্ষতি হলো।

পাপিয়া সারোয়ারের মৃত্যু দেশের সংগীতাঙ্গনের বড় ক্ষতি
—অদিতি মহসিন, রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী
পাপিয়া সারোয়ারের গান টিভিতে দেখেই আমরা বড় হয়েছি। আমি যখন ভারতের শান্তিনিকেতনে পড়তে গেলাম, তখন তাঁকে কাছ থেকে দেখা। সেই সময় তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পাস করে চলে আসার পর দেশে গান করা শুরু করি, তখন তো অনেক অনেক স্মৃতি। একসঙ্গে অনুষ্ঠানে যাওয়াসহ অনেক স্মৃতি।
পাপিয়া সারোয়ারের বাড়িতে আমি মাঝে মাঝেই যেতাম। তিনি খুব স্নেহ করে, আদর করে কথা বলতেন। সেই সঙ্গে গান নিয়ে নানা কথা শেয়ার করতেন। তাঁর সঙ্গে স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না।
শিক্ষা-মননে পাপিয়া সারোয়ার ছিলেন সমৃদ্ধ একজন শিল্পী। স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম প্রজন্মের শিল্পী ছিলেন তিনি। এ দেশের সংগীতে সেই প্রজন্মের শিল্পীদের অনেক অবদান। ওনাদের গান শুনেই শ্রোতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের অবদান চিরস্মরণীয়। পাপিয়া সারোয়ারের চলে যাওয়াটা দেশের সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

খুব ভয়ে ছিলাম, গানটি শুনে উনি কী মনে করেন
—মনিরুজ্জামান মনির, গীতিকার
‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন’ গানটি বিটিভির জন্য করা হয়েছিল। সুরকার ছিলেন মনসুর আলী। পাপিয়া সারোয়ার তখন সদ্য শান্তিনিকেতন থেকে এসেছেন। একদিন বিটিভির জিএম আমাকে ডেকে বললেন, মনসুর আলীর সুরে দুটি আধুনিক গান করেন। পাপিয়া সারোয়ার গাইবেন। এরপর ‘নাই টেলিফোন’ ও ‘পাপিয়ারে পাপিয়া’ গান দুটি লিখি।
একটি মেয়ে গ্রামে থাকে, যেখানে বিদ্যুৎ নেই, পিয়ন নেই। তার বন্ধু শহরে থাকে। কিন্তু বন্ধুকে মনের ভাব জানানোর কোনো রাস্তা নাই তার কাছে। এ রকম একটা চিন্তা থেকেই নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন গানটি লেখা। মনসুর আলী বললেন, রেকর্ডিংয়ের সময় তুমিও থেকো। আমার একটা ভয় ছিল, যিনি শান্তিনিকেতন থেকে সদ্য এসেছেন এত ভারী ভারী কথার রবীন্দ্রসংগীত শিখে। আমারটা তো হালকা গান। উনি শুনে কী মনে করেন!
রেকর্ডিংয়ের সময় পাপিয়া সারোয়ার তাঁর স্বামীকে নিয়ে এলেন। মনসুর আলী ভাই আমাকে পাপিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। মনসুর আলী ভাই তাঁকে বলেন, রবীন্দ্রসংগীত তো গাইবেই, একটু ব্যতিক্রমী দুটি গান করেছি। তুমি কি গাইবে? পাপিয়া সারোয়ার বললেন, শোনান। নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন শোনার পর উনি বললেন, অসুবিধা নাই। এই গানের দ্বিতীয় অন্তরায় ছিল ‘তার দেওয়া রাখি হইল অঙ্গেরও জ্বালা’। পাপিয়া সারোয়ার আমাকে বললেন, অঙ্গ শব্দটি পরিবর্তন করে দেন। তখন অঙ্গের পরিবর্তে ‘আমারও জ্বালা’ ব্যবহার হলো।
পাপিয়ারে পাপিয়া গানটি শুনে পাপিয়া সারোয়ার বুঝতে পারলেন উনাকে মিন করেই লিখেছি। রবিঠাকুরের ‘বনের পাখি, খাঁচার পাখি’ আর আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি আলপনা এঁকে যাই আলো থেকে’ গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পাপিয়ারে পাপিয়া গানটি লিখেছিলাম। আমি তাঁকে বললাম, আমার মনে হয়েছে, শিল্পীর নামে গান লিখলে শিল্পী যেমন অনুপ্রাণিত হন, তেমনি মানুষের কৌতূহল বাড়ে। শুনে তিনি কিছু বললেন না, শুধু হাসলেন। সে সময় টের পাইনি গান দুটি এত জনপ্রিয়তা পাবে।
এরপর ওনার সঙ্গে আর গান করা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমার সঙ্গে দেখা হলে প্রায়ই বলতেন, যেখানেই যাই, সেখানেই রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি এই দুটি গান সবাই শুনতে চায়।
শুধু এই দুটি গান নয়, তাঁর কণ্ঠে অনেক রবীন্দ্রসংগীত জনপ্রিয় হয়েছে। বিশেষ করে ‘না সজনী না’ রবীন্দ্রসংগীতটি। এই গানটি তাঁর কণ্ঠে খুব মানিয়েছে। অনেক গুণী শিল্পী ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুসংবাদ শুনে খুব কষ্ট পেয়েছি। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও তাঁর গান দিয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

চলে গেলেন গানের পাখি পাপিয়া সারোয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রয়াত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর প্রয়াণে সংগীতাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, অদিতি মহসিন ও গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির।

পাপিয়া ছিলেন একজন গুণী রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী
—খুরশীদ আলম, সংগীতশিল্পী
পাপিয়া সারোয়ার ছিলেন একজন গুণী রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর গায়কি ছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা। দর্শক সহজে তাঁর কণ্ঠ চিনতে পারতেন। তিনি ভারতের শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রসংগীতের তালিম নিয়েছেন। বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীত ছড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর গান শুনে রবীন্দ্রসংগীতের অনেক শ্রোতা তৈরি হয়েছে। নতুনেরাও অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বেঁচে থাকাকালে একুশে পদক পেয়েছেন, বাংলা একাডেমি থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন পাপিয়া।
আধুনিক গানেও ছিল তাঁর সফল পদচারণ। তাঁর গাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন’ গানটি ছিল সবার মুখে মুখে। এখনো সেই গানের জনপ্রিয়তা টের পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাঁর নামে ‘পাপিয়ারে পাপিয়া দুজনে মিলিয়া’ গানটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। এই গুণী শিল্পীর প্রয়াণে দেশের সংগীতাঙ্গনের বড় ক্ষতি হলো।

পাপিয়া সারোয়ারের মৃত্যু দেশের সংগীতাঙ্গনের বড় ক্ষতি
—অদিতি মহসিন, রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী
পাপিয়া সারোয়ারের গান টিভিতে দেখেই আমরা বড় হয়েছি। আমি যখন ভারতের শান্তিনিকেতনে পড়তে গেলাম, তখন তাঁকে কাছ থেকে দেখা। সেই সময় তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পাস করে চলে আসার পর দেশে গান করা শুরু করি, তখন তো অনেক অনেক স্মৃতি। একসঙ্গে অনুষ্ঠানে যাওয়াসহ অনেক স্মৃতি।
পাপিয়া সারোয়ারের বাড়িতে আমি মাঝে মাঝেই যেতাম। তিনি খুব স্নেহ করে, আদর করে কথা বলতেন। সেই সঙ্গে গান নিয়ে নানা কথা শেয়ার করতেন। তাঁর সঙ্গে স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না।
শিক্ষা-মননে পাপিয়া সারোয়ার ছিলেন সমৃদ্ধ একজন শিল্পী। স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম প্রজন্মের শিল্পী ছিলেন তিনি। এ দেশের সংগীতে সেই প্রজন্মের শিল্পীদের অনেক অবদান। ওনাদের গান শুনেই শ্রোতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের অবদান চিরস্মরণীয়। পাপিয়া সারোয়ারের চলে যাওয়াটা দেশের সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

খুব ভয়ে ছিলাম, গানটি শুনে উনি কী মনে করেন
—মনিরুজ্জামান মনির, গীতিকার
‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন’ গানটি বিটিভির জন্য করা হয়েছিল। সুরকার ছিলেন মনসুর আলী। পাপিয়া সারোয়ার তখন সদ্য শান্তিনিকেতন থেকে এসেছেন। একদিন বিটিভির জিএম আমাকে ডেকে বললেন, মনসুর আলীর সুরে দুটি আধুনিক গান করেন। পাপিয়া সারোয়ার গাইবেন। এরপর ‘নাই টেলিফোন’ ও ‘পাপিয়ারে পাপিয়া’ গান দুটি লিখি।
একটি মেয়ে গ্রামে থাকে, যেখানে বিদ্যুৎ নেই, পিয়ন নেই। তার বন্ধু শহরে থাকে। কিন্তু বন্ধুকে মনের ভাব জানানোর কোনো রাস্তা নাই তার কাছে। এ রকম একটা চিন্তা থেকেই নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন গানটি লেখা। মনসুর আলী বললেন, রেকর্ডিংয়ের সময় তুমিও থেকো। আমার একটা ভয় ছিল, যিনি শান্তিনিকেতন থেকে সদ্য এসেছেন এত ভারী ভারী কথার রবীন্দ্রসংগীত শিখে। আমারটা তো হালকা গান। উনি শুনে কী মনে করেন!
রেকর্ডিংয়ের সময় পাপিয়া সারোয়ার তাঁর স্বামীকে নিয়ে এলেন। মনসুর আলী ভাই আমাকে পাপিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। মনসুর আলী ভাই তাঁকে বলেন, রবীন্দ্রসংগীত তো গাইবেই, একটু ব্যতিক্রমী দুটি গান করেছি। তুমি কি গাইবে? পাপিয়া সারোয়ার বললেন, শোনান। নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন শোনার পর উনি বললেন, অসুবিধা নাই। এই গানের দ্বিতীয় অন্তরায় ছিল ‘তার দেওয়া রাখি হইল অঙ্গেরও জ্বালা’। পাপিয়া সারোয়ার আমাকে বললেন, অঙ্গ শব্দটি পরিবর্তন করে দেন। তখন অঙ্গের পরিবর্তে ‘আমারও জ্বালা’ ব্যবহার হলো।
পাপিয়ারে পাপিয়া গানটি শুনে পাপিয়া সারোয়ার বুঝতে পারলেন উনাকে মিন করেই লিখেছি। রবিঠাকুরের ‘বনের পাখি, খাঁচার পাখি’ আর আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি আলপনা এঁকে যাই আলো থেকে’ গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পাপিয়ারে পাপিয়া গানটি লিখেছিলাম। আমি তাঁকে বললাম, আমার মনে হয়েছে, শিল্পীর নামে গান লিখলে শিল্পী যেমন অনুপ্রাণিত হন, তেমনি মানুষের কৌতূহল বাড়ে। শুনে তিনি কিছু বললেন না, শুধু হাসলেন। সে সময় টের পাইনি গান দুটি এত জনপ্রিয়তা পাবে।
এরপর ওনার সঙ্গে আর গান করা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমার সঙ্গে দেখা হলে প্রায়ই বলতেন, যেখানেই যাই, সেখানেই রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি এই দুটি গান সবাই শুনতে চায়।
শুধু এই দুটি গান নয়, তাঁর কণ্ঠে অনেক রবীন্দ্রসংগীত জনপ্রিয় হয়েছে। বিশেষ করে ‘না সজনী না’ রবীন্দ্রসংগীতটি। এই গানটি তাঁর কণ্ঠে খুব মানিয়েছে। অনেক গুণী শিল্পী ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুসংবাদ শুনে খুব কষ্ট পেয়েছি। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও তাঁর গান দিয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
বিনোদন ডেস্ক

চলে গেলেন গানের পাখি পাপিয়া সারোয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রয়াত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর প্রয়াণে সংগীতাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, অদিতি মহসিন ও গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির।

পাপিয়া ছিলেন একজন গুণী রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী
—খুরশীদ আলম, সংগীতশিল্পী
পাপিয়া সারোয়ার ছিলেন একজন গুণী রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর গায়কি ছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা। দর্শক সহজে তাঁর কণ্ঠ চিনতে পারতেন। তিনি ভারতের শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রসংগীতের তালিম নিয়েছেন। বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীত ছড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর গান শুনে রবীন্দ্রসংগীতের অনেক শ্রোতা তৈরি হয়েছে। নতুনেরাও অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বেঁচে থাকাকালে একুশে পদক পেয়েছেন, বাংলা একাডেমি থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন পাপিয়া।
আধুনিক গানেও ছিল তাঁর সফল পদচারণ। তাঁর গাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন’ গানটি ছিল সবার মুখে মুখে। এখনো সেই গানের জনপ্রিয়তা টের পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাঁর নামে ‘পাপিয়ারে পাপিয়া দুজনে মিলিয়া’ গানটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। এই গুণী শিল্পীর প্রয়াণে দেশের সংগীতাঙ্গনের বড় ক্ষতি হলো।

পাপিয়া সারোয়ারের মৃত্যু দেশের সংগীতাঙ্গনের বড় ক্ষতি
—অদিতি মহসিন, রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী
পাপিয়া সারোয়ারের গান টিভিতে দেখেই আমরা বড় হয়েছি। আমি যখন ভারতের শান্তিনিকেতনে পড়তে গেলাম, তখন তাঁকে কাছ থেকে দেখা। সেই সময় তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পাস করে চলে আসার পর দেশে গান করা শুরু করি, তখন তো অনেক অনেক স্মৃতি। একসঙ্গে অনুষ্ঠানে যাওয়াসহ অনেক স্মৃতি।
পাপিয়া সারোয়ারের বাড়িতে আমি মাঝে মাঝেই যেতাম। তিনি খুব স্নেহ করে, আদর করে কথা বলতেন। সেই সঙ্গে গান নিয়ে নানা কথা শেয়ার করতেন। তাঁর সঙ্গে স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না।
শিক্ষা-মননে পাপিয়া সারোয়ার ছিলেন সমৃদ্ধ একজন শিল্পী। স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম প্রজন্মের শিল্পী ছিলেন তিনি। এ দেশের সংগীতে সেই প্রজন্মের শিল্পীদের অনেক অবদান। ওনাদের গান শুনেই শ্রোতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের অবদান চিরস্মরণীয়। পাপিয়া সারোয়ারের চলে যাওয়াটা দেশের সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

খুব ভয়ে ছিলাম, গানটি শুনে উনি কী মনে করেন
—মনিরুজ্জামান মনির, গীতিকার
‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন’ গানটি বিটিভির জন্য করা হয়েছিল। সুরকার ছিলেন মনসুর আলী। পাপিয়া সারোয়ার তখন সদ্য শান্তিনিকেতন থেকে এসেছেন। একদিন বিটিভির জিএম আমাকে ডেকে বললেন, মনসুর আলীর সুরে দুটি আধুনিক গান করেন। পাপিয়া সারোয়ার গাইবেন। এরপর ‘নাই টেলিফোন’ ও ‘পাপিয়ারে পাপিয়া’ গান দুটি লিখি।
একটি মেয়ে গ্রামে থাকে, যেখানে বিদ্যুৎ নেই, পিয়ন নেই। তার বন্ধু শহরে থাকে। কিন্তু বন্ধুকে মনের ভাব জানানোর কোনো রাস্তা নাই তার কাছে। এ রকম একটা চিন্তা থেকেই নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন গানটি লেখা। মনসুর আলী বললেন, রেকর্ডিংয়ের সময় তুমিও থেকো। আমার একটা ভয় ছিল, যিনি শান্তিনিকেতন থেকে সদ্য এসেছেন এত ভারী ভারী কথার রবীন্দ্রসংগীত শিখে। আমারটা তো হালকা গান। উনি শুনে কী মনে করেন!
রেকর্ডিংয়ের সময় পাপিয়া সারোয়ার তাঁর স্বামীকে নিয়ে এলেন। মনসুর আলী ভাই আমাকে পাপিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। মনসুর আলী ভাই তাঁকে বলেন, রবীন্দ্রসংগীত তো গাইবেই, একটু ব্যতিক্রমী দুটি গান করেছি। তুমি কি গাইবে? পাপিয়া সারোয়ার বললেন, শোনান। নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন শোনার পর উনি বললেন, অসুবিধা নাই। এই গানের দ্বিতীয় অন্তরায় ছিল ‘তার দেওয়া রাখি হইল অঙ্গেরও জ্বালা’। পাপিয়া সারোয়ার আমাকে বললেন, অঙ্গ শব্দটি পরিবর্তন করে দেন। তখন অঙ্গের পরিবর্তে ‘আমারও জ্বালা’ ব্যবহার হলো।
পাপিয়ারে পাপিয়া গানটি শুনে পাপিয়া সারোয়ার বুঝতে পারলেন উনাকে মিন করেই লিখেছি। রবিঠাকুরের ‘বনের পাখি, খাঁচার পাখি’ আর আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি আলপনা এঁকে যাই আলো থেকে’ গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পাপিয়ারে পাপিয়া গানটি লিখেছিলাম। আমি তাঁকে বললাম, আমার মনে হয়েছে, শিল্পীর নামে গান লিখলে শিল্পী যেমন অনুপ্রাণিত হন, তেমনি মানুষের কৌতূহল বাড়ে। শুনে তিনি কিছু বললেন না, শুধু হাসলেন। সে সময় টের পাইনি গান দুটি এত জনপ্রিয়তা পাবে।
এরপর ওনার সঙ্গে আর গান করা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমার সঙ্গে দেখা হলে প্রায়ই বলতেন, যেখানেই যাই, সেখানেই রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি এই দুটি গান সবাই শুনতে চায়।
শুধু এই দুটি গান নয়, তাঁর কণ্ঠে অনেক রবীন্দ্রসংগীত জনপ্রিয় হয়েছে। বিশেষ করে ‘না সজনী না’ রবীন্দ্রসংগীতটি। এই গানটি তাঁর কণ্ঠে খুব মানিয়েছে। অনেক গুণী শিল্পী ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুসংবাদ শুনে খুব কষ্ট পেয়েছি। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও তাঁর গান দিয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

চলে গেলেন গানের পাখি পাপিয়া সারোয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রয়াত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর প্রয়াণে সংগীতাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী খুরশীদ আলম, অদিতি মহসিন ও গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির।

পাপিয়া ছিলেন একজন গুণী রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী
—খুরশীদ আলম, সংগীতশিল্পী
পাপিয়া সারোয়ার ছিলেন একজন গুণী রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর গায়কি ছিল অন্যদের চেয়ে আলাদা। দর্শক সহজে তাঁর কণ্ঠ চিনতে পারতেন। তিনি ভারতের শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রসংগীতের তালিম নিয়েছেন। বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীত ছড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর গান শুনে রবীন্দ্রসংগীতের অনেক শ্রোতা তৈরি হয়েছে। নতুনেরাও অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বেঁচে থাকাকালে একুশে পদক পেয়েছেন, বাংলা একাডেমি থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন পাপিয়া।
আধুনিক গানেও ছিল তাঁর সফল পদচারণ। তাঁর গাওয়া ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন’ গানটি ছিল সবার মুখে মুখে। এখনো সেই গানের জনপ্রিয়তা টের পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাঁর নামে ‘পাপিয়ারে পাপিয়া দুজনে মিলিয়া’ গানটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। এই গুণী শিল্পীর প্রয়াণে দেশের সংগীতাঙ্গনের বড় ক্ষতি হলো।

পাপিয়া সারোয়ারের মৃত্যু দেশের সংগীতাঙ্গনের বড় ক্ষতি
—অদিতি মহসিন, রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী
পাপিয়া সারোয়ারের গান টিভিতে দেখেই আমরা বড় হয়েছি। আমি যখন ভারতের শান্তিনিকেতনে পড়তে গেলাম, তখন তাঁকে কাছ থেকে দেখা। সেই সময় তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পাস করে চলে আসার পর দেশে গান করা শুরু করি, তখন তো অনেক অনেক স্মৃতি। একসঙ্গে অনুষ্ঠানে যাওয়াসহ অনেক স্মৃতি।
পাপিয়া সারোয়ারের বাড়িতে আমি মাঝে মাঝেই যেতাম। তিনি খুব স্নেহ করে, আদর করে কথা বলতেন। সেই সঙ্গে গান নিয়ে নানা কথা শেয়ার করতেন। তাঁর সঙ্গে স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না।
শিক্ষা-মননে পাপিয়া সারোয়ার ছিলেন সমৃদ্ধ একজন শিল্পী। স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম প্রজন্মের শিল্পী ছিলেন তিনি। এ দেশের সংগীতে সেই প্রজন্মের শিল্পীদের অনেক অবদান। ওনাদের গান শুনেই শ্রোতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের অবদান চিরস্মরণীয়। পাপিয়া সারোয়ারের চলে যাওয়াটা দেশের সংগীতাঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

খুব ভয়ে ছিলাম, গানটি শুনে উনি কী মনে করেন
—মনিরুজ্জামান মনির, গীতিকার
‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন’ গানটি বিটিভির জন্য করা হয়েছিল। সুরকার ছিলেন মনসুর আলী। পাপিয়া সারোয়ার তখন সদ্য শান্তিনিকেতন থেকে এসেছেন। একদিন বিটিভির জিএম আমাকে ডেকে বললেন, মনসুর আলীর সুরে দুটি আধুনিক গান করেন। পাপিয়া সারোয়ার গাইবেন। এরপর ‘নাই টেলিফোন’ ও ‘পাপিয়ারে পাপিয়া’ গান দুটি লিখি।
একটি মেয়ে গ্রামে থাকে, যেখানে বিদ্যুৎ নেই, পিয়ন নেই। তার বন্ধু শহরে থাকে। কিন্তু বন্ধুকে মনের ভাব জানানোর কোনো রাস্তা নাই তার কাছে। এ রকম একটা চিন্তা থেকেই নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন গানটি লেখা। মনসুর আলী বললেন, রেকর্ডিংয়ের সময় তুমিও থেকো। আমার একটা ভয় ছিল, যিনি শান্তিনিকেতন থেকে সদ্য এসেছেন এত ভারী ভারী কথার রবীন্দ্রসংগীত শিখে। আমারটা তো হালকা গান। উনি শুনে কী মনে করেন!
রেকর্ডিংয়ের সময় পাপিয়া সারোয়ার তাঁর স্বামীকে নিয়ে এলেন। মনসুর আলী ভাই আমাকে পাপিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। মনসুর আলী ভাই তাঁকে বলেন, রবীন্দ্রসংগীত তো গাইবেই, একটু ব্যতিক্রমী দুটি গান করেছি। তুমি কি গাইবে? পাপিয়া সারোয়ার বললেন, শোনান। নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন শোনার পর উনি বললেন, অসুবিধা নাই। এই গানের দ্বিতীয় অন্তরায় ছিল ‘তার দেওয়া রাখি হইল অঙ্গেরও জ্বালা’। পাপিয়া সারোয়ার আমাকে বললেন, অঙ্গ শব্দটি পরিবর্তন করে দেন। তখন অঙ্গের পরিবর্তে ‘আমারও জ্বালা’ ব্যবহার হলো।
পাপিয়ারে পাপিয়া গানটি শুনে পাপিয়া সারোয়ার বুঝতে পারলেন উনাকে মিন করেই লিখেছি। রবিঠাকুরের ‘বনের পাখি, খাঁচার পাখি’ আর আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আমি আলপনা এঁকে যাই আলো থেকে’ গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পাপিয়ারে পাপিয়া গানটি লিখেছিলাম। আমি তাঁকে বললাম, আমার মনে হয়েছে, শিল্পীর নামে গান লিখলে শিল্পী যেমন অনুপ্রাণিত হন, তেমনি মানুষের কৌতূহল বাড়ে। শুনে তিনি কিছু বললেন না, শুধু হাসলেন। সে সময় টের পাইনি গান দুটি এত জনপ্রিয়তা পাবে।
এরপর ওনার সঙ্গে আর গান করা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমার সঙ্গে দেখা হলে প্রায়ই বলতেন, যেখানেই যাই, সেখানেই রবীন্দ্রসংগীতের পাশাপাশি এই দুটি গান সবাই শুনতে চায়।
শুধু এই দুটি গান নয়, তাঁর কণ্ঠে অনেক রবীন্দ্রসংগীত জনপ্রিয় হয়েছে। বিশেষ করে ‘না সজনী না’ রবীন্দ্রসংগীতটি। এই গানটি তাঁর কণ্ঠে খুব মানিয়েছে। অনেক গুণী শিল্পী ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুসংবাদ শুনে খুব কষ্ট পেয়েছি। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও তাঁর গান দিয়ে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তবে সিনেমা বানানোর কথা ভাবেননি কখনো। গত ঈদে তানিম নূরের ‘উৎসব’ দেখে বড় পর্দার প্রতি আগ্রহী হন তিনি।
সিনেমা বানানোর ইচ্ছা নতুন হলেও ট্রাইব্যুনাল গল্পটি অনেক বছর ধরে লালন করছেন বলে জানালেন রায়হান খান। একবার ব্যক্তিগত কারণে আইনজীবীর শরণাপন্ন হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই আইনজীবীর কাছ থেকে শোনা একটি বাস্তব গল্প অবলম্বনে লেখা হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার চিত্রনাট্য। চট্টগ্রামে এক নারীকে তার স্বামী কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। ২৬ জন সাক্ষী এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিল সেই মামলায়। পরে আদালতে মামলাটির গতিপথ কীভাবে ঘুরতে থাকে নানা দিকে, সেসব নিয়েই ট্রাইব্যুনালের কাহিনি।
নির্মাতা রায়হান খান বলেন, ‘২০১৭ সালে একবার মোশাররফ করিমকে গল্পটি শুনিয়ে এ নিয়ে একটি ধারাবাহিক নাটক বানানোর কথা বলি। তিনি পরামর্শ দেন, নাটক নয়, গল্পটি নিয়ে সিনেমা বানানোর। পরে বছরের পর বছর কেটে যায়, সিনেমা আর বানানো হয় না। গত বছর উৎসব দেখার পর মনে হয়, আমি সিনেমা করব এবং সেটা ট্রাইব্যুনাল। তারপর চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করি। ট্রাইব্যুনাল হচ্ছে ফুলফর্ম কোর্ট স্টোরি। প্রতিটি সংলাপ আদালতের ভাষা অনুযায়ী এবং বাংলাদেশের আইনের মধ্যে থেকে লেখা হয়েছে। আইনগত কোনো অসংগতি নেই।’
ট্রাইব্যুনাল সিনেমায় অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ, তানিয়া বৃষ্টি, সায়রা আক্তার জাহান, তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, রাকিব হোসেন ইভন, সাবেরি আলম, মিলন ভট্টাচার্য, শাহেদ আলী প্রমুখ। একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে।
মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘আমার অভিনীত প্রথম সিরিয়াল রায়হান খানের সঙ্গে করা। এরপর একসঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে আমাদের। এই সিনেমার গল্প শুনেই রাজি হই। অসাধারণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। মূলত গল্পের কারণেই ট্রাইব্যুনাল সিনেমার প্রতি দর্শক উৎসাহী হবে আশা করি। চিত্রনাট্য এত চমৎকারভাবে লেখা যে প্রতি মুহূর্তে আগ্রহ সৃষ্টি করে।’

তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘আমি জেসমিন নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি, পুরো গল্প এই চরিত্রকে কেন্দ্র করে। মনে হয়েছিল, সিনেমায় আবার যদি ব্যাক করতে চাই, সে ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত গল্প। এতে অভিনয়ের জন্য তারিক আনাম খান স্যারের কাছে এক মাস রিহার্সাল করেছি। চরিত্রের কষ্ট বোঝার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়েছি। যতটা পেরেছি, পুরোপুরি এফোর্ট দিয়েছি চরিত্রটির জন্য।’
সম্প্রতি অপু বিশ্বাসের সঙ্গে দুই সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন আদর আজাদ। এই সিনেমায়ও তিনি থাকছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে।
থিয়েটার দিয়ে অভিনয় শুরু রাকিব হোসেন ইভনের। ‘ইতি চিত্রা’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর। এই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে ইভন বলেন, ‘আমি থিয়েটার করা ছেলে। অভিনয় আমাকে টানে। এই সিনেমার চরিত্রটিতে অভিনয়ের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমি সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। অন্যেরাও বেশ ভালো করেছেন। আশা করছি, সবার চেষ্টায় একটি সুন্দর সিনেমা উপহার দিতে পারব দর্শকদের।’
নির্মাতা রায়হান খান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ শুটিং শেষ হয়েছে। শিগগির আবার শুটিংয়ে যাবে ট্রাইব্যুনাল টিম। রোজার ঈদে ট্রাইব্যুনাল মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তাঁরা।

নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তবে সিনেমা বানানোর কথা ভাবেননি কখনো। গত ঈদে তানিম নূরের ‘উৎসব’ দেখে বড় পর্দার প্রতি আগ্রহী হন তিনি।
সিনেমা বানানোর ইচ্ছা নতুন হলেও ট্রাইব্যুনাল গল্পটি অনেক বছর ধরে লালন করছেন বলে জানালেন রায়হান খান। একবার ব্যক্তিগত কারণে আইনজীবীর শরণাপন্ন হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই আইনজীবীর কাছ থেকে শোনা একটি বাস্তব গল্প অবলম্বনে লেখা হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার চিত্রনাট্য। চট্টগ্রামে এক নারীকে তার স্বামী কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। ২৬ জন সাক্ষী এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিল সেই মামলায়। পরে আদালতে মামলাটির গতিপথ কীভাবে ঘুরতে থাকে নানা দিকে, সেসব নিয়েই ট্রাইব্যুনালের কাহিনি।
নির্মাতা রায়হান খান বলেন, ‘২০১৭ সালে একবার মোশাররফ করিমকে গল্পটি শুনিয়ে এ নিয়ে একটি ধারাবাহিক নাটক বানানোর কথা বলি। তিনি পরামর্শ দেন, নাটক নয়, গল্পটি নিয়ে সিনেমা বানানোর। পরে বছরের পর বছর কেটে যায়, সিনেমা আর বানানো হয় না। গত বছর উৎসব দেখার পর মনে হয়, আমি সিনেমা করব এবং সেটা ট্রাইব্যুনাল। তারপর চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করি। ট্রাইব্যুনাল হচ্ছে ফুলফর্ম কোর্ট স্টোরি। প্রতিটি সংলাপ আদালতের ভাষা অনুযায়ী এবং বাংলাদেশের আইনের মধ্যে থেকে লেখা হয়েছে। আইনগত কোনো অসংগতি নেই।’
ট্রাইব্যুনাল সিনেমায় অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ, তানিয়া বৃষ্টি, সায়রা আক্তার জাহান, তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, রাকিব হোসেন ইভন, সাবেরি আলম, মিলন ভট্টাচার্য, শাহেদ আলী প্রমুখ। একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে।
মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘আমার অভিনীত প্রথম সিরিয়াল রায়হান খানের সঙ্গে করা। এরপর একসঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে আমাদের। এই সিনেমার গল্প শুনেই রাজি হই। অসাধারণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। মূলত গল্পের কারণেই ট্রাইব্যুনাল সিনেমার প্রতি দর্শক উৎসাহী হবে আশা করি। চিত্রনাট্য এত চমৎকারভাবে লেখা যে প্রতি মুহূর্তে আগ্রহ সৃষ্টি করে।’

তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘আমি জেসমিন নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি, পুরো গল্প এই চরিত্রকে কেন্দ্র করে। মনে হয়েছিল, সিনেমায় আবার যদি ব্যাক করতে চাই, সে ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত গল্প। এতে অভিনয়ের জন্য তারিক আনাম খান স্যারের কাছে এক মাস রিহার্সাল করেছি। চরিত্রের কষ্ট বোঝার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়েছি। যতটা পেরেছি, পুরোপুরি এফোর্ট দিয়েছি চরিত্রটির জন্য।’
সম্প্রতি অপু বিশ্বাসের সঙ্গে দুই সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন আদর আজাদ। এই সিনেমায়ও তিনি থাকছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে।
থিয়েটার দিয়ে অভিনয় শুরু রাকিব হোসেন ইভনের। ‘ইতি চিত্রা’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর। এই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে ইভন বলেন, ‘আমি থিয়েটার করা ছেলে। অভিনয় আমাকে টানে। এই সিনেমার চরিত্রটিতে অভিনয়ের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমি সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। অন্যেরাও বেশ ভালো করেছেন। আশা করছি, সবার চেষ্টায় একটি সুন্দর সিনেমা উপহার দিতে পারব দর্শকদের।’
নির্মাতা রায়হান খান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ শুটিং শেষ হয়েছে। শিগগির আবার শুটিংয়ে যাবে ট্রাইব্যুনাল টিম। রোজার ঈদে ট্রাইব্যুনাল মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তাঁরা।

চলে গেলেন গানের পাখি পাপিয়া সারোয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রয়াত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর প্রয়াণে সংগীতাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
অহনা এখন আগের মতো নিয়মিত কাজ করছেন না। গল্প, চিত্রনাট্য আর চরিত্র পছন্দ হলে শুটিং করছেন। এই নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহিনের নির্দেশনায় আগেও বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি। এই নাটকের গল্প ভাবনা এবং চিত্রনাট্য দারুণ হয়েছে। আমার চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। বেশ উত্থানপতন আছে। চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। আশা করছি, প্রচারে এলে নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ মহিনকে আমাকে সুন্দর একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
নাটকের গল্প প্রসঙ্গে মহিন খান বলেন, ‘ফেসবুকের একটি পোস্ট থেকে গল্পের ভাবনাটা নিয়েছি। সেই থিম থেকে নিজের মতো করে চিত্রনাট্য লিখেছি। গল্পে দেখা যাবে, স্বামীর সঙ্গে অহনার বেশ সুখের সংসার। একসময় চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেয় অহনা। স্বামী তার আবদার মেনে নেয়। পাঁচ লাখ টাকা ম্যানেজ করে স্ত্রীকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর আচরণ বদলে যায় অহনার। স্বামীর সঙ্গেও সংসার করতে চায় না। গল্প যখন চরম নাটকীয়তায়, এমন সময় হুট করে চাকরি চলে যায় অহনার। দিশেহারা হয়ে পড়ে সে। জীবনের বাস্তবতা বুঝতে পারে সে। অহনা ও রাশেদ সীমান্ত—দুজনেই দারুণ অভিনয় করেছেন। তাঁদের অভিনয়গুণে গল্পটি আরও হৃদয়গ্রাহী হয়েছে।’
নির্মাতা জানিয়েছেন, পতন নাটকটি প্রকাশ করা হবে ইউটিউব চ্যানেলে। শিগগির এর প্রকাশের সময় এবং চ্যানেলের নাম জানানো হবে।

ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
অহনা এখন আগের মতো নিয়মিত কাজ করছেন না। গল্প, চিত্রনাট্য আর চরিত্র পছন্দ হলে শুটিং করছেন। এই নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহিনের নির্দেশনায় আগেও বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি। এই নাটকের গল্প ভাবনা এবং চিত্রনাট্য দারুণ হয়েছে। আমার চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। বেশ উত্থানপতন আছে। চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। আশা করছি, প্রচারে এলে নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ মহিনকে আমাকে সুন্দর একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
নাটকের গল্প প্রসঙ্গে মহিন খান বলেন, ‘ফেসবুকের একটি পোস্ট থেকে গল্পের ভাবনাটা নিয়েছি। সেই থিম থেকে নিজের মতো করে চিত্রনাট্য লিখেছি। গল্পে দেখা যাবে, স্বামীর সঙ্গে অহনার বেশ সুখের সংসার। একসময় চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেয় অহনা। স্বামী তার আবদার মেনে নেয়। পাঁচ লাখ টাকা ম্যানেজ করে স্ত্রীকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর আচরণ বদলে যায় অহনার। স্বামীর সঙ্গেও সংসার করতে চায় না। গল্প যখন চরম নাটকীয়তায়, এমন সময় হুট করে চাকরি চলে যায় অহনার। দিশেহারা হয়ে পড়ে সে। জীবনের বাস্তবতা বুঝতে পারে সে। অহনা ও রাশেদ সীমান্ত—দুজনেই দারুণ অভিনয় করেছেন। তাঁদের অভিনয়গুণে গল্পটি আরও হৃদয়গ্রাহী হয়েছে।’
নির্মাতা জানিয়েছেন, পতন নাটকটি প্রকাশ করা হবে ইউটিউব চ্যানেলে। শিগগির এর প্রকাশের সময় এবং চ্যানেলের নাম জানানো হবে।

চলে গেলেন গানের পাখি পাপিয়া সারোয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রয়াত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর প্রয়াণে সংগীতাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে মেয়ের সঙ্গে আছেন তিনি। গত জুলাই মাসে ইলিয়াস কাঞ্চন লন্ডন গেলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় চিত্রনায়িকা রোজিনার। ওই সময় রোজিনা ছিলেন কানাডায়। সেখান থেকে ফিরে গত সেপ্টেম্বর অভিনেতাকে দেখেতে যান তিনি। তখন রোজিনা জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার ধঁকলে কিছুটা বিধ্বস্ত দেখালেও কাঞ্চন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন নিয়মিত। ধীরে ধীরে কথা বলছেন। ব্রেনের সস্যার কারণে মাঝে মাঝে কথা ভুলে যান ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্রেনের স্পর্শকাতর জায়গায় টিউমার হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে সম্পূর্ণ টিউমার সরানো যায়নি। তবে কেমোথেরাপির মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা চলবে।
সম্প্রতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলা সিনেমার নব্বই দশকের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা সোনিয়া। অনেক বছর হলো স্বামী-সন্তান নিয়ে ইংল্যান্ডে স্থায়ী হয়েছেন সোনিয়া। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।

ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সোনিয়া। নায়কের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্যসহ জানিয়েছেন চিকিৎসার খবর।
স্ট্যাটাসে সোনিয়া লেখেন, ‘ইংল্যান্ডের কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে অনেকদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া হয়নি। যোগাযোগ সবসময় হয়, তবে আজ প্রথম সুযোগ পেলাম তাকে দেখতে যাওয়ার। ভাইয়ার চলমান চিকিৎসায় কিছুদিনের বিরতি ছিল। আগামী সপ্তাহে আবার চিকিৎসা শুরু হবে।’
সোনিয়া জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চন এখন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন। সময় কাটাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে। তবে শিগগির দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর। এ বিষয়ে সোনিয়া লেখেন, ‘ভাইয়া আমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। উনার পরিবারের সঙ্গে কাটালাম ভালো সময়। তবে আপাতত বাংলাদেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই তাঁর। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যাচ্ছে না।’
সোনিয়া আরও জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চনের চিকিৎসা বেশ ভালোভাবেই চলছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন নায়ক। পুরো চিকিৎসাপ্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন অভিনেতা। সোনিয়া অনুরোধ করেছেন, কোনো ধরনের গুজব না ছড়িয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দোয়া করতে।
উল্লেখ্য, ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে ‘ভয়ংকর ৭ দিন’, ‘বিদ্রোহী কন্যা’, ‘বডিগার্ড’, ‘শেষ রক্ষা’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোনিয়া। তবে তাঁর নায়িকা হয়ে কোনো সিনেমায় অভিনয় করা হয়নি তাঁর।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে মেয়ের সঙ্গে আছেন তিনি। গত জুলাই মাসে ইলিয়াস কাঞ্চন লন্ডন গেলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় চিত্রনায়িকা রোজিনার। ওই সময় রোজিনা ছিলেন কানাডায়। সেখান থেকে ফিরে গত সেপ্টেম্বর অভিনেতাকে দেখেতে যান তিনি। তখন রোজিনা জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার ধঁকলে কিছুটা বিধ্বস্ত দেখালেও কাঞ্চন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন নিয়মিত। ধীরে ধীরে কথা বলছেন। ব্রেনের সস্যার কারণে মাঝে মাঝে কথা ভুলে যান ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্রেনের স্পর্শকাতর জায়গায় টিউমার হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে সম্পূর্ণ টিউমার সরানো যায়নি। তবে কেমোথেরাপির মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা চলবে।
সম্প্রতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলা সিনেমার নব্বই দশকের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা সোনিয়া। অনেক বছর হলো স্বামী-সন্তান নিয়ে ইংল্যান্ডে স্থায়ী হয়েছেন সোনিয়া। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।

ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সোনিয়া। নায়কের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্যসহ জানিয়েছেন চিকিৎসার খবর।
স্ট্যাটাসে সোনিয়া লেখেন, ‘ইংল্যান্ডের কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে অনেকদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া হয়নি। যোগাযোগ সবসময় হয়, তবে আজ প্রথম সুযোগ পেলাম তাকে দেখতে যাওয়ার। ভাইয়ার চলমান চিকিৎসায় কিছুদিনের বিরতি ছিল। আগামী সপ্তাহে আবার চিকিৎসা শুরু হবে।’
সোনিয়া জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চন এখন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন। সময় কাটাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে। তবে শিগগির দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর। এ বিষয়ে সোনিয়া লেখেন, ‘ভাইয়া আমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। উনার পরিবারের সঙ্গে কাটালাম ভালো সময়। তবে আপাতত বাংলাদেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই তাঁর। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যাচ্ছে না।’
সোনিয়া আরও জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চনের চিকিৎসা বেশ ভালোভাবেই চলছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন নায়ক। পুরো চিকিৎসাপ্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন অভিনেতা। সোনিয়া অনুরোধ করেছেন, কোনো ধরনের গুজব না ছড়িয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দোয়া করতে।
উল্লেখ্য, ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে ‘ভয়ংকর ৭ দিন’, ‘বিদ্রোহী কন্যা’, ‘বডিগার্ড’, ‘শেষ রক্ষা’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোনিয়া। তবে তাঁর নায়িকা হয়ে কোনো সিনেমায় অভিনয় করা হয়নি তাঁর।

চলে গেলেন গানের পাখি পাপিয়া সারোয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রয়াত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর প্রয়াণে সংগীতাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

চলে গেলেন গানের পাখি পাপিয়া সারোয়ার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রয়াত হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী। তাঁর প্রয়াণে সংগীতাঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। শিল্পীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে