Ajker Patrika

হ্যাপী আখান্দ্‌: বাংলা গানের খসে পড়া নক্ষত্র

গুঞ্জন রহমান
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ২৮
হ্যাপী আখান্দ্‌: বাংলা গানের খসে পড়া নক্ষত্র

হ্যাপী আখান্দ্‌ (জিয়া হাসান আখন্দ্‌ হ্যাপী, ১২ অক্টোবর ১৯৬০-২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৭) নামটা আমি প্রথম শুনি ফিডব্যাকের ‘মেলা’ অ্যালবামে। সেই অ্যালবামে পালকি শিরোনামে একটা গান আছে, যেটা আসলে হ্যাপী আখান্দ্‌কে নিয়ে লেখা। গানের শুরুতে ছোট্ট একটি সংলাপ আছে, যা থেকে জানা যায়, হ্যাপী আখান্দের অকালপ্রয়াণের কষ্ট থেকেই তাঁর সহকর্মী, গুণমুগ্ধ বন্ধুরা এই গান করছেন তাঁকে উৎসর্গ করে। ‘...শিল্পীর মৃত্যু নেই। আমাদের বিশ্বাস হ্যাপী আখান্দের মৃত্যু নেই। অন্য সুরের ভুবনে বর বেশে এ যেন হ্যাপীর পালকি চড়ে মহাপ্রস্থান! কানে এখনো বাজে, তার শেষ যাওয়ার সুর...’—এভাবে হ্যাপীর কথা বলেছিলেন ফিডব্যাক ব্যান্ডে তাঁর সহকর্মী বন্ধুরা। 

নামটা দেরিতে শুনলেও তাঁর গান অনেক আগেই শোনা হয়ে গিয়েছিল সিনেমার বদৌলতে। আমার আব্বু-আম্মু সিনেমাপাগল মানুষ ছিলেন। নতুন সিনেমা এলেই সিনেমা হলে গিয়ে দেখতেন তাঁরা। ছোটকালে বাবা-মায়ের সঙ্গে আমিও সাথ ধরতাম। তখনই প্রথম ‘ঘুড্ডি’ ছবিতে শুনি ‘কে বাঁশি বাজায় রে’। কিন্তু, সেই সময়ের যা রীতি, নায়ক-নায়িকা আর প্রধান চরিত্রগুলো ছাড়া বাকি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের খোঁজ কে রাখে? তাই নায়িকার ভাইয়ের চরিত্র রূপায়ণকারী, যে গিটার বাজিয়ে বোনকে গান শোনাতে শোনাতে গেয়ে ফেলে এক কালজয়ী গানের মুখটুকু, ওই শিল্পীই যে তুমুল আলোচিত হ্যাপী আখান্দ্‌, তা তখন কীভাবে জানব? খুব সম্ভবত তখনো আমি সেভাবে পড়তে শিখিনি। তাই সিনেমার স্ক্রিনে হ্যাপী আখান্দের নাম পড়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। আর সিনেমায় দেখারও আগে, ওই সিনেমারই আরেক সুপার হিট গান ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ পিকনিক সং হিসেবে সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছিল। তখন ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ ছাড়া বন্ধুদের আড্ডা অকল্পনীয়। ‘কে বাঁশি বাজায় রে’ হ্যাপীর নিজেরই লেখা ও সুর করা। ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ অবশ্য তাঁর লেখা বা সুর করা নয়, এর গীতিকার এস এম হেদায়েত এবং সুরকার লাকী আখান্দ। কিন্তু গানটা নির্মিত হয় হ্যাপী আখান্দের সংগীতায়োজনে। গাওয়ার সময় হ্যাপী ও লাকী দুই ভাই-ই গেয়েছেন একসঙ্গে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালে এই গান তাঁর সংগীত পরিচালনায় পরিবেশিত হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে। বিটিভির তৎকালীন প্রযোজক ও পরবর্তীতে পরিচালক সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি সেই পরিবেশনা শুনে মুগ্ধ হন। তাই যখন তিনি ‘ঘুড্ডি’ ছবিটি তৈরি করতে শুরু করেন, ছবির সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব দেন লাকী আখান্দকে; অবশ্যই ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটিসহ। 

হ্যাপীর রেকর্ড করা গানের সংখ্যা কিন্তু খুব বেশি নয়। মাত্র ২৭ বছরের ক্যারিয়ারে পাঁচ-ছয়টি গানের বেশি রেকর্ড তিনি করতে পারেননি। পারার কথাও নয়। এখনকার মতো তখন গান প্রকাশের এত মাধ্যম যেমন ছিল না, তেমনি ছিল না রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থাও। হাতে গোনা অল্প কয়েকটি স্টুডিও, যেখানে সিনেমা, টিভি, রেডিও, রেকর্ড—সব মাধ্যমের জন্য রেকর্ডিং চলছে অবিরাম। এত এত গুণী মিউজিশিয়ানের মাঝে সময় বের করে নিজেদের একটা শিফট নিতে পারা চাট্টিখানি কথা নয়। এই ভিড় ঠেলে কোনো শিল্পীরই পর্যাপ্ত গান তখন রেকর্ড করা যেত না। 

লাকী আখান্দবড় ভাই লাকী তখন পুরোদস্তুর সংগীত পরিচালক। তিনি বিটিভির নিয়মিত তালিকাভুক্ত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক, সিনেমাতেও ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, রেডিও তো আছেই। নিজের গান করার চেয়ে লাকী বরং অন্য শিল্পীদের জন্যই গান করেন বেশি। বড় ভাইকে দেখে সেই চর্চাতেই অভ্যস্ত হয়ে গেলেন হ্যাপী। তিনিও নিজে গাওয়ার চেয়ে অন্যদের গান কম্পোজ করতেই বেশি মনোযোগী হলেন। তাঁর সংগীতায়োজনে সবচেয়ে বেশি গান করেছেন ফিরোজ সাঁই। সাঁইজির বিখ্যাত মাইজভান্ডারি ক্ল্যাসিক গান—‘ইশকুল খুইলাছে রে মওলা’র সংগীতায়োজন হ্যাপীর করা। ফেরদৌস ওয়াহিদের বিখ্যাত ‘এমন একটা মা দে না’ গানেরও সংগীত পরিচালক হ্যাপী আখান্দ। এভাবে অনেক শিল্পীর অনেক বিখ্যাত গান তিনি করেছেন। আরেকটি গানের কথা মনে পড়ছে, সোলস ব্যান্ডের তৎকালীন লিড ভোকালিস্ট কুমার বিশ্বজিতের জন্য তিনি কম্পোজ করেছিলেন ‘তোকে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গানটি। পরে অবশ্য বিশ্বজিৎ সেই গানটি তাঁর নিজের সলো অ্যালবামে প্রকাশ করেন। সোলসও বহুদিন গানটি স্টেজে পারফর্ম করেছে। 

হ্যাপীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছিলেন তাঁর সমবয়সী ব্যান্ড তারকা মাকসুদুল হক, যিনি শুরুতে বলা পালকি গানটি সৃষ্টি করেছিলেন হ্যাপীর স্মৃতির উদ্দেশে। ইউটিউব আবিষ্কারেরও অনেক আগে একটি ভিডিও দেখেছিলাম এক সাইটে, এখন সেটি আর খুঁজে পেলাম না কোথাও। সেই ভিডিওতে মাকসুদ হ্যাপীর ইন্টারকনে পিয়ানো বাজানোর ঘটনা স্মরণ করেন। হোটেল ইন্টারকনের অধুনালুপ্ত চাম্বেলি হাউসে একটি গ্র্যান্ড পিয়ানো ছিল, যা সাধারণত ইন্টারকনের কমিশন্ড মিউজিশিয়ান এবং বিদেশি অতিথিদের কেউ বাজাতে পারতেন, সর্বসাধারণের সেই পিয়ানো বাজানোর অনুমতি নেই। 

ফিডব্যাক তখন ইন্টারকনের রেসিডেন্ট ব্যান্ড হিসেবে নিয়মিত বাজায়। হ্যাপীর প্রতিষ্ঠা করা মাইলস ব্যান্ডও এনলিস্ট হয়েছে। তাই বলে সেই হাইলি ডিস্টিংগুইশড গ্র্যান্ড পিয়ানোতে হাত দেওয়ার অনুমতি এঁদের কারও নেই। কিন্তু সেটা মানতে পারতেন না সদ্য কৈশোর পেরোনো হ্যাপী। প্রায়ই তিনি বলতেন, একদিন আমি ওই পিয়ানো বাজাবই। এবং সত্যিই তিনি একদিন বসে গেলেন কাছেপিঠে কেউ নেই দেখে। মাকসুদ বলছেন, ‘আমি তাকে বাধা দেওয়ার আগেই সে এগিয়ে গেল এবং বসে পড়ল পিয়ানোর সামনে। স্ট্যান্ডে একটা খাতা ছিল, স্টাফ নোটেশন লেখা। সেটা খুলেই হ্যাপী বাজাতে শুরু করল।’ এর পর যা হলো, তা অভাবনীয়। প্রথম কিছুক্ষণ কেউ খেয়াল করল না, কে বাজাচ্ছে, কারণ এতটাই নিখুঁত ছিল সে বাজনা যে, কারও সন্দেহ হয়নি যে, নিয়মিত পিয়ানো বাদকের বাইরে অন্য কেউ বাজাচ্ছে। কিন্তু একটু পরই যখন বাজনা শুনে লোকজন জড়ো হতে শুরু করল, তখন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ল। কিন্তু তারা কেউ হ্যাপীকে থামাতে গেলেন না। কারণ, ততক্ষণে সমঝদার শ্রোতারা তন্ময় হয়ে গেছেন হ্যাপির বাদনে। বয়স্ক এক বিদেশি ভদ্রলোক মাকসুদের কাছে জানতে চাইলেন, ‘যে ছেলেটি বাজাচ্ছে, তুমি কি তাকে চেনো?’ মাকসুদ ‘হ্যাঁ’ বলতেই, তিনি বললেন, ‘অনেক বছরের সাধনা ছাড়া গ্র্যান্ড পিয়ানোর রিডে এভাবে আঙুল চালানো যায় না।’ মাকসুদ তাঁকে বললেন যে, ‘ওর নাম হ্যাপী এবং ও আজই প্রথম গ্র্যান্ড পিয়ানোতে হাত দিল। এর আগে সে কিবোর্ড বাজিয়েছে। কিন্তু অরিজিনাল পিয়ানো বলতে যা বোঝায়, মানে এখন যেটা বাজাচ্ছে, সেটাতে হাত দেওয়ার সুযোগ তার কোনো দিন হয়নি!’ বলাই বাহুল্য, সেই বিদেশি বিশ্বাস করলেন না। কারণ, স্টাফ নোটেশন দেখে দেখে হ্যাপী তাঁর সুনিপুণ হাতে বাজাচ্ছিলেন কোনো কালজয়ী শিল্পীর অমর সৃষ্টি (মাকসুদ বলেছিলেন সেটি কোনো বিখ্যাত সুরস্রষ্টার সৃষ্টিকর্ম, এত দিন পর আমার এখন তা মনে পড়ছে না)। 

বাংলা গানের অসামান্য এই আখান্দ ভ্রাতৃদ্বয়ের কাছ থেকে পাওয়ার কথা ছিল আরও অনেক কিছুহ্যাপী মাত্র ১২ বছর বয়সে যোগ দেন ‘উইন্ডি সাইড অব কেয়ার’ নামক বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ডে। এই ব্যান্ড সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তান আমলে, পাকিস্তানিদেরই হাতে। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে সেই ব্যান্ডের বাংলাদেশি সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিয়ে তাকে আবারও গড়ে তোলেন হ্যাপী। সেই সময়ে বড় ভাই লাকীর সঙ্গে কলকাতার এইচএমভি স্টুডিওতে রেকর্ডিংয়ে অংশ নেন হ্যাপী। মাত্র ১২ বছর বয়সে। তিনি সেখানে তবলা বাজিয়েছিলেন। তবলার শুধু বাঁয়া বা ডুগি ব্যবহার করে তিনি ড্রামবিট দিচ্ছিলেন, যার অভিনব কায়দায় অবাক হয়ে রেকর্ডিং চলার সময়েই রেকর্ডিং রুমে ঢুকে পড়েছিলেন বিখ্যাত সংগীত পরিচালক কলিম শরাফিও। রেকর্ডিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঠায় দাঁড়িয়ে শুনেছিলেন তাঁর বাজানো। এর কিছুদিন পর লাকী আবারও কলকাতা গেলে হ্যাপীর কণ্ঠে রেকর্ড করা এবং তাঁর সংগীতায়োজনে ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ গানটির রেকর্ড নিয়ে যান। সেই রেকর্ড বাজানো হয় বিখ্যাত শিল্পী বনশ্রী সেনগুপ্তার বাসায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত শিল্পী মান্না দে এবং সংগীত পরিচালক আর ডি বর্মণ। তাঁরা মুগ্ধ হন এইটুকু ছেলের এত পরিণত সৃষ্টিকর্ম শুনে। তাঁরা আমন্ত্রণ জানান হ্যাপীকে কলকাতায় বাজানোর জন্য। হ্যাপী কলকাতা যান ১৯৭৫ সালে, বীরভূমের দুর্গাপুরে কনসার্টে অংশ নেন, যে কনসার্টের মূল আকর্ষণ ছিলেন আশা ভোসলে এবং আর ডি বর্মণ। তাঁদের উপস্থিতিতে মঞ্চে উঠে হ্যাপী গেয়ে শোনান টানা ১১টি গান। আশা ভোসলের গান শুনতে আসা দর্শক বিমোহিত হয়ে শোনেন হ্যাপীর গান। পরে স্টেজে উঠে আশা ও আর ডি বর্মণ আশীর্বাদ করেন ছোট্ট হ্যাপীকে। আর হ্যাপী পেয়ে যান তাঁর এক অন্ধ ভক্তকে, যিনি পরে বিখ্যাত হন অনেক সাড়া জাগানো সব অ্যালবামের সংগীতায়োজন করে; নাম মধু মুখোপাধ্যায়। হ্যাপী আখন্দের এই ছাত্রের কম্পোজিশনেই প্রকাশ পায় সুমন চট্টোপাধ্যায় ও নচিকেতার প্রথম দিককার সব অ্যালবাম। 

বাংলাদেশের পপ-রক ঘরানার পাশ্চাত্য সংগীতের সবচেয়ে প্রতিভাবান শিল্পী ছিলেন হ্যাপী আখান্দ্‌। তাঁর বড় ভাই লাকী আখান্দ শুধু নয়, সমসাময়িক সব শিল্পীই দাবি করেন, তিনি আসলে সংগীতের একজন প্রডিজি ছিলেন। সময়ের অনেক আগে জন্মে যাওয়া অসামান্য এক প্রতিভা, যার বিকাশের উপযুক্ত সময়টা আসার আগেই তাঁকে চলে যেতে হয় অন্য সুরের ভুবনে। হ্যাপীর অকালমৃত্যু মেনে নিতে পারেননি লাকী। দিনের পর দিন তিনি সেই শোকে মুহ্যমান থেকেছেন, দূরে থেকেছেন সংগীত থেকে। এও আমাদের বাংলা গানের আরেক ক্ষতি। হ্যাপীর চলে যাওয়ায় আমরা হ্যাপীর সৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছি যেমন, তেমনি বঞ্চিত হয়েছি লাকীর সৃষ্টি থেকেও। বাংলা গানের অসামান্য এই আখান্দ ভ্রাতৃদ্বয় যদি পূর্ণ আয়ুষ্কালের শেষ পর্যন্ত একসঙ্গে কাজ করে যেতে পারতেন, নিঃসন্দেহে আমাদের গান আরও অনেক অনেক সমৃদ্ধ হতো। 

আজ ২৮ ডিসেম্বর হ্যাপী আখান্দের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। যেখানেই থাকুন তিনি, ভালো থাকুন, শান্তিতে থাকুন। তাঁর সুরেলা স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মঞ্চায়িত হলো ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ কাব্যনাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ কাব্যনাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।

সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।

প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।

বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’

নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’

যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘ময়না’র পর কোনাল-নিলয়ের নতুন গান ‘ও জান’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
কোনাল ও	নিলয়। ছবি: সংগৃহীত
কোনাল ও নিলয়। ছবি: সংগৃহীত

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।

ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’

কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’

নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’

সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।

ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিরে দেখা /বেড়েছে পারিবারিক গল্পের জনপ্রিয়তা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দেনা পাওনা’ সিরিয়ালের দৃশ্য
‘দেনা পাওনা’ সিরিয়ালের দৃশ্য

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।

মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।

বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।

চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।

তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিরে দেখা /ছোটপর্দার আলোচিত ঘটনা

বিনোদন ডেস্ক
তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীত
তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীত
  • অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
  • প্রায় দুই দশক পর এ বছর বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) শুরু হয়েছে সৃজনশীল ও মেধাবী শিশু-কিশোরদের সন্ধানে আয়োজিত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে ‘ক’ ও ‘খ’ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যথাক্রমে টাঙ্গাইলের প্রেয়সী চক্রবর্তী ও সুনামগঞ্জের শুভমিতা তালুকদার।
  • নাট্যনির্মাতা নাসির উদ্দিন আহমেদ মাসুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত সেপ্টেম্বরে মামলা করেন তাছলিমা খাতুন আয়েশা নামের এক অভিনয়শিল্পী। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় নির্মাতাকে।
  • গত জানুয়ারিতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের রাজবাড়িতে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র শুটিং চলাকালে অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আবার শুরু হয় শুটিং।
  • ২০১৮ সালে গুঞ্জন রটেছিল, সংসার ভেঙেছে অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে এ বছর ডিসেম্বরে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিনেত্রী জানান, ২০১৭ সাল থেকেই স্বামী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিকের সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের।
  • গত বছর থেকে নাটকে নিয়মিত হয়েছেন সুনেরাহ। বেশির ভাগ নাটকে তাঁর বিপরীতে দেখা গেছে আরশ খানকে। পর্দার বাইরে তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। তবে আরশ ও সুনেরাহ দুজনেই বিষয়টি গুজব বলে জানিয়েছেন।
  • পাঁচ বছর কাজল আরেফিন অমির ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ থেকে দূরে থাকার পর গত সেপ্টেম্বরে আবার সিরিয়ালের নেহাল চরিত্রে ফিরেছেন তৌসিফ মাহবুব।
  • গত মার্চে ছোট পর্দার নায়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। তাঁর অভিযোগ, বেশির ভাগ নাটক তৈরি হচ্ছে নায়কদের সিদ্ধান্তে। এমনকি তিনিও শিডিউলের জন্য পরিচালক নয়, নায়কদের কাছ থেকে ফোন পান বলে জানিয়েছেন।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন তাসনিম জারা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত