খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এত দিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
সেই কণ্ঠ, সেই সুর, সেই গান প্রতিধ্বনির পাখায় চেপে ছড়িয়ে গেল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের আকাশে-বাতাসে। কীভাবে সুমন উত্তাল করে দেন ভেতরের শান্ত নদী? কোন মন্ত্রে তাতে জাগে এমন ঢেউ? হাজারো প্রশ্ন আর বিস্ময় উসকে দিয়ে মঞ্চে বসে আছেন স্বয়ং সুমন! গাইছেন, কথা বলছেন, হাসছেন, হাসাচ্ছেন।
কবীর সুমনকে একনজর দেখার জন্য, তাঁর গান শোনার জন্য ১৫ অক্টোবর দিনভর ছিল অপেক্ষার উত্তেজনা। বিকেল ৪টায় গেট খোলা হবে জেনেও দুপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জড়ো হচ্ছিলেন সুমনভক্তরা। গুমোট আবহাওয়ার অস্বস্তি পাশ কাটিয়ে, এঁকেবেঁকে চলা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে, তাঁরা ধীর পায়ে প্রবেশ করছিলেন অডিটোরিয়ামে। অনেক অপেক্ষার শেষে বিকেল ৫টার খানিক পরে মঞ্চে এলেন কবীর সুমন। করজোড়ে প্রণাম করলেন উপস্থিত দর্শকদের। অডিটোরিয়ামের কোণে কোণে পৌঁছে দিলেন উড়ন্ত চুমুর আশীর্বাদ।
গোটা মিলনায়তন তখন উঠে দাঁড়িয়েছে। বিস্ফারিত চোখে দেখছে গানওয়ালাকে। শত করতালির শব্দে মুখর। সবুজাভ ফতুয়া আর ধুতি পরিহিত ৭৩ বছর বয়সী মানুষটা এত দর্শকের উপস্থিতি দেখে কৃতজ্ঞতায় নুয়ে পড়লেন। মাইক্রোফোনের সামনে ঈষৎ ঝুঁকে করলেন কৃতজ্ঞতার উচ্চারণ, ‘আমি ভারতের নাগরিক, আমার মাতৃভাষা বাংলা। সে ভাষাটি এ দেশের রাষ্ট্রভাষা। এর চেয়ে গর্বের আর কী হতে পারে!’
শনিবার সন্ধ্যায় কবীর সুমনের গান যাঁরা শুনতে এসেছিলেন, তাঁরা বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। যাঁদের জন্ম নব্বইয়ের দশকের আশপাশে। সুমনের ‘তোমাকে চাই’ ততদিনে বেরিয়ে গেছে, ধীর পায়ে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকে গ্রামে, পাড়া থেকে গলিতে। ততদিনে এসব দর্শকের অনেকের জন্মই হয়নি। তবুও দিনে দিনে সুমনের গানের সঙ্গে তাঁরা বেঁধে নিয়েছেন প্রাণ। তাঁর গানে খুঁজে পেয়েছেন বেঁচে থাকার প্রেরণা, স্বপ্ন দেখতে শিখেছেন নতুনভাবে। গানওয়ালাকে দেখার তৃষ্ণা তাই সবার চোখেই।
এর আগে সুমন যতবার ঢাকায় গাইতে এসেছেন, প্রতিবারই প্রতি অনুষ্ঠানে ছুটে গেছেন এমন অনেককেও পাওয়া গেল দর্শকের ভিড়ে। চোখেমুখে সবার গভীর বিস্ময়ের রেখা। কবীর সুমনের সঙ্গে আবার দেখা হবে, এই প্রচণ্ড প্রতিবাদী একইসঙ্গে বিনয়ে মোড়া মানুষটির কণ্ঠে শোনা যাবে ‘খিধের কিন্তু সীমান্ত নেই, নেই চিতা, নেই কবরটাও, যুদ্ধটাকেই চিতায় তোলো, যুদ্ধটাকেই কবর দাও’ কিংবা ‘আগুন দেখেছি আমি কত জানালায়’ কিংবা ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’ অথবা ‘ঘাটের কাছে গল্প বলে নদীর জল’; ভাবতেই পারেননি কেউ। তাই সুমনের এবারের ঢাকা সফর যেন না চাইতেই অনেক কিছু!
গান শুরুর আগে কিছুক্ষণ স্মৃতিচারণ করলেন কবীর সুমন। বললেন, ‘আমাকে প্রথম বাংলাদেশে গান গাইতে নিয়ে এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালকেরা। তখন আমার ৪৬-৪৭ বছর বয়স। আমার প্রথম স্বরচিত, স্বসুরারোপিত গানের অ্যালবাম “তোমাকে চাই” বেরিয়েছিল, যখন আমার ৪৩ বছর বয়স। আমার প্রথম রবীন্দ্রনাথের গানের গ্রামোফোন রেকর্ড যখন বেরিয়েছিল, তখন আমার ২৩ বছর বয়স। আর আমার যখন ১৭ বছর বয়স, তখন আমি আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে রবীন্দ্রসংগীত ও আধুনিক গানের একটু উঁচুর দিকের শ্রেণির একজন গায়ক হিসেবে যোগ দিই। আর নজরুল গীতিটা আমি অডিশনে ভালো গাইনি। প্রিয় হলেও ভালো গাইতে পারিনি। তাই বি গ্রেড পেয়েছিলাম। এই হচ্ছে মোটামুটি আমার গানের ক্যারিয়ার।’
এরপর সুমন ডেকে নিলেন তাঁর সফরসঙ্গীদের। একে একে মঞ্চে আসন নিলেন ধ্রুব বসু রায়, ইন্দ্রজিৎ প্রধান, রাকা ভট্টাচার্য। তাঁরা সুমনের সঙ্গে বাজাবেন। এর আগে যত জায়গায় যতবারই গাইতে গিয়েছেন সুমন, গিয়েছেন একাই। একাই গলায় ঝুলিয়ে গিটার ময়দানে ঝড় তুলেছেন। তবে এখন শরীরে পড়েছে বয়সের ছাপ। কারো সাহায্য ছাড়া নড়েচড়ে বসতেও পারেন না। চেপে বসেছে স্নায়ুর অসুখ। গিটারের বদলে তাই সঙ্গী হয়েছে কি-বোর্ড। তবুও এই তিয়াত্তরের সুমন, মস্তিষ্কে নিয়ে হাজারো গানের স্বরলিপি আর শত বছরের বাংলা গানের ইতিহাস, সেই পুরোনো মেজাজেই ধরা দিলেন। সেই বজ্রকণ্ঠ, সেই দ্বিধাহীন উচ্চারণ!
প্রথম গানটি ধরলেন সুমন ‘এক একটা দিন মসৃণ, ভোর থেকে শুরু করে রাতের শয্যায়।’ মিলনায়তন জুড়ে নেমে এল গভীর রাতের নিস্তব্ধতা। এই বিস্ময়, এই নীরবতা হাজির ছিল সুমনের শেষ পরিবেশনা ‘তোমাকে চাই’ পর্যন্ত। প্রায় তিন ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে ‘সবুজ দ্বীপের মতো মাঝখানে সুফিয়া কামাল’, ‘প্রতিদিন সূর্য ওঠে, ‘মন খারাপ করা বিকেল’, ‘বয়স আমার মুখের রেখায়’, ‘জাতিস্মর’, ‘ও গানওয়ালা’, ‘বিদায় পরিচিতা’, ‘কাঙালপনা’, ‘বিসমিল্লাহর পাগল সানাই’, ‘ঘাটের কাছে গল্প বলে নদীর জল’, ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’সহ ২১টি গান গেয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ করলেন কবীর সুমন। ১৮ ও ২১ অক্টোবর আবারো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মঞ্চে উঠবেন তিনি। সৃষ্টি করবেন আরও কতশত মুহূর্ত, যার সাক্ষী হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসবেন গানওয়ালার অনুরাগীরা।

কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এত দিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
সেই কণ্ঠ, সেই সুর, সেই গান প্রতিধ্বনির পাখায় চেপে ছড়িয়ে গেল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের আকাশে-বাতাসে। কীভাবে সুমন উত্তাল করে দেন ভেতরের শান্ত নদী? কোন মন্ত্রে তাতে জাগে এমন ঢেউ? হাজারো প্রশ্ন আর বিস্ময় উসকে দিয়ে মঞ্চে বসে আছেন স্বয়ং সুমন! গাইছেন, কথা বলছেন, হাসছেন, হাসাচ্ছেন।
কবীর সুমনকে একনজর দেখার জন্য, তাঁর গান শোনার জন্য ১৫ অক্টোবর দিনভর ছিল অপেক্ষার উত্তেজনা। বিকেল ৪টায় গেট খোলা হবে জেনেও দুপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জড়ো হচ্ছিলেন সুমনভক্তরা। গুমোট আবহাওয়ার অস্বস্তি পাশ কাটিয়ে, এঁকেবেঁকে চলা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে, তাঁরা ধীর পায়ে প্রবেশ করছিলেন অডিটোরিয়ামে। অনেক অপেক্ষার শেষে বিকেল ৫টার খানিক পরে মঞ্চে এলেন কবীর সুমন। করজোড়ে প্রণাম করলেন উপস্থিত দর্শকদের। অডিটোরিয়ামের কোণে কোণে পৌঁছে দিলেন উড়ন্ত চুমুর আশীর্বাদ।
গোটা মিলনায়তন তখন উঠে দাঁড়িয়েছে। বিস্ফারিত চোখে দেখছে গানওয়ালাকে। শত করতালির শব্দে মুখর। সবুজাভ ফতুয়া আর ধুতি পরিহিত ৭৩ বছর বয়সী মানুষটা এত দর্শকের উপস্থিতি দেখে কৃতজ্ঞতায় নুয়ে পড়লেন। মাইক্রোফোনের সামনে ঈষৎ ঝুঁকে করলেন কৃতজ্ঞতার উচ্চারণ, ‘আমি ভারতের নাগরিক, আমার মাতৃভাষা বাংলা। সে ভাষাটি এ দেশের রাষ্ট্রভাষা। এর চেয়ে গর্বের আর কী হতে পারে!’
শনিবার সন্ধ্যায় কবীর সুমনের গান যাঁরা শুনতে এসেছিলেন, তাঁরা বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। যাঁদের জন্ম নব্বইয়ের দশকের আশপাশে। সুমনের ‘তোমাকে চাই’ ততদিনে বেরিয়ে গেছে, ধীর পায়ে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকে গ্রামে, পাড়া থেকে গলিতে। ততদিনে এসব দর্শকের অনেকের জন্মই হয়নি। তবুও দিনে দিনে সুমনের গানের সঙ্গে তাঁরা বেঁধে নিয়েছেন প্রাণ। তাঁর গানে খুঁজে পেয়েছেন বেঁচে থাকার প্রেরণা, স্বপ্ন দেখতে শিখেছেন নতুনভাবে। গানওয়ালাকে দেখার তৃষ্ণা তাই সবার চোখেই।
এর আগে সুমন যতবার ঢাকায় গাইতে এসেছেন, প্রতিবারই প্রতি অনুষ্ঠানে ছুটে গেছেন এমন অনেককেও পাওয়া গেল দর্শকের ভিড়ে। চোখেমুখে সবার গভীর বিস্ময়ের রেখা। কবীর সুমনের সঙ্গে আবার দেখা হবে, এই প্রচণ্ড প্রতিবাদী একইসঙ্গে বিনয়ে মোড়া মানুষটির কণ্ঠে শোনা যাবে ‘খিধের কিন্তু সীমান্ত নেই, নেই চিতা, নেই কবরটাও, যুদ্ধটাকেই চিতায় তোলো, যুদ্ধটাকেই কবর দাও’ কিংবা ‘আগুন দেখেছি আমি কত জানালায়’ কিংবা ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’ অথবা ‘ঘাটের কাছে গল্প বলে নদীর জল’; ভাবতেই পারেননি কেউ। তাই সুমনের এবারের ঢাকা সফর যেন না চাইতেই অনেক কিছু!
গান শুরুর আগে কিছুক্ষণ স্মৃতিচারণ করলেন কবীর সুমন। বললেন, ‘আমাকে প্রথম বাংলাদেশে গান গাইতে নিয়ে এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালকেরা। তখন আমার ৪৬-৪৭ বছর বয়স। আমার প্রথম স্বরচিত, স্বসুরারোপিত গানের অ্যালবাম “তোমাকে চাই” বেরিয়েছিল, যখন আমার ৪৩ বছর বয়স। আমার প্রথম রবীন্দ্রনাথের গানের গ্রামোফোন রেকর্ড যখন বেরিয়েছিল, তখন আমার ২৩ বছর বয়স। আর আমার যখন ১৭ বছর বয়স, তখন আমি আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রে রবীন্দ্রসংগীত ও আধুনিক গানের একটু উঁচুর দিকের শ্রেণির একজন গায়ক হিসেবে যোগ দিই। আর নজরুল গীতিটা আমি অডিশনে ভালো গাইনি। প্রিয় হলেও ভালো গাইতে পারিনি। তাই বি গ্রেড পেয়েছিলাম। এই হচ্ছে মোটামুটি আমার গানের ক্যারিয়ার।’
এরপর সুমন ডেকে নিলেন তাঁর সফরসঙ্গীদের। একে একে মঞ্চে আসন নিলেন ধ্রুব বসু রায়, ইন্দ্রজিৎ প্রধান, রাকা ভট্টাচার্য। তাঁরা সুমনের সঙ্গে বাজাবেন। এর আগে যত জায়গায় যতবারই গাইতে গিয়েছেন সুমন, গিয়েছেন একাই। একাই গলায় ঝুলিয়ে গিটার ময়দানে ঝড় তুলেছেন। তবে এখন শরীরে পড়েছে বয়সের ছাপ। কারো সাহায্য ছাড়া নড়েচড়ে বসতেও পারেন না। চেপে বসেছে স্নায়ুর অসুখ। গিটারের বদলে তাই সঙ্গী হয়েছে কি-বোর্ড। তবুও এই তিয়াত্তরের সুমন, মস্তিষ্কে নিয়ে হাজারো গানের স্বরলিপি আর শত বছরের বাংলা গানের ইতিহাস, সেই পুরোনো মেজাজেই ধরা দিলেন। সেই বজ্রকণ্ঠ, সেই দ্বিধাহীন উচ্চারণ!
প্রথম গানটি ধরলেন সুমন ‘এক একটা দিন মসৃণ, ভোর থেকে শুরু করে রাতের শয্যায়।’ মিলনায়তন জুড়ে নেমে এল গভীর রাতের নিস্তব্ধতা। এই বিস্ময়, এই নীরবতা হাজির ছিল সুমনের শেষ পরিবেশনা ‘তোমাকে চাই’ পর্যন্ত। প্রায় তিন ঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে ‘সবুজ দ্বীপের মতো মাঝখানে সুফিয়া কামাল’, ‘প্রতিদিন সূর্য ওঠে, ‘মন খারাপ করা বিকেল’, ‘বয়স আমার মুখের রেখায়’, ‘জাতিস্মর’, ‘ও গানওয়ালা’, ‘বিদায় পরিচিতা’, ‘কাঙালপনা’, ‘বিসমিল্লাহর পাগল সানাই’, ‘ঘাটের কাছে গল্প বলে নদীর জল’, ‘সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়’সহ ২১টি গান গেয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ করলেন কবীর সুমন। ১৮ ও ২১ অক্টোবর আবারো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মঞ্চে উঠবেন তিনি। সৃষ্টি করবেন আরও কতশত মুহূর্ত, যার সাক্ষী হতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসবেন গানওয়ালার অনুরাগীরা।

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
৩ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এতদিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
১৫ অক্টোবর ২০২২
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
৩ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এতদিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
১৫ অক্টোবর ২০২২
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
৩ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এতদিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
১৫ অক্টোবর ২০২২
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



কবীর সুমনের কণ্ঠ যেন অডিটোরিয়াম ভর্তি দর্শকদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল আলতো করে। পরম নির্ভরতার ছোঁয়া পেয়ে উথলে উঠল শত অশান্ত মন। যেন এতদিন এত কোমলভাবে আদর করেনি কেউ, শুনতে চায়নি ভেতরের হাহাকার। সবার ভেতরের জমাট দুঃখ-শোক তাই পেল ছুটি। শত কণ্ঠ যোগ দিল কোরাসে।
১৫ অক্টোবর ২০২২
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
৩ ঘণ্টা আগে