গুঞ্জন রহমান

ডিজিটাল খাতা খুলে বসে আছি, প্রতি শুক্রবারের মতো নিজের কলাম লিখব বলে। লিখতে পারছি না। একটা শব্দও টাইপ করতে পারিনি। ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে একটা সুইসাইড নোট। খানিক পরে ছেড়ে যাবেন যে দেহটাকে, তাকে কাটাছেঁড়া না করতে অনুরোধ করেছেন একজন গীতিকবি। এক জীবনের শেষ অনুরোধ। কবি কি আসলে দেহে থাকেন? রক্তমাংসের দেহকে কেটে-ছিঁড়ে জানা যায় কি কবিকে? জানা যায় মৃত্যুর কারণ? কবির কি মৃত্যু হয়? কবি বরাবর সত্য বলেন। কিন্তু কবি রাসেল ও’নীল শেষ কথাটা মিথ্যা লিখে গেলেন। লিখে গেলেন, ‘কেউ দায়ী নয়’।
বললেই হলো কেউ দায়ী নয়? মৃত্যু কোনো আনন্দভ্রমণ নয় যে স্বপ্রণোদিত হয়ে কেউ খুশিমনে টিকিট কেটে হাসতে হাসতে চেপে বসবে মৃত্যু-শকটে। অনন্যোপায় শেষযাত্রায় পা বাড়ানোর কঠোরতম সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পেছনে কেউ তো নিশ্চয়ই দায়ী। কে সেটা? কিংবা, কে কে? জানা যাবে না। কোনো দিন আর জানা যাবে না। কারণ, কবি নিজেই চাননি জানাতে। আমরা তাঁর কে, যাকে উজাড় করে জানাবেন অন্তর-বাহির? আমরা কতটাই-বা জানতে চেয়েছি? জানতে চাই? একজন কবিকে? বিশেষ করে, গীতিকবিকে? তিনি যা জানান, তাও তো আমরা ‘তাঁর কথা’ বলে জানি না। জেনে নিই, কিংবা ধরে নিই এবং মেনে নিই অন্য কারও কথা বলে। যাঁর কণ্ঠে শুনি সেই গীতিকাব্য, তাঁর কথাই ভাবি সবচেয়ে বেশি। আর তারপর, নিজের কথা। আমার জন্যই গেয়েছেন আমার প্রিয় শিল্পী। কে লিখে দিলেন সেই গান–তিনি তখন অনেক তফাতে। তাই রাসেল ও’নীলের গান শোনেননি এমন শ্রোতা এই প্রজন্মে বিরল হলেও রাসেলেরই যে গান এগুলো—এই কথা তাদের কজন জানতেন? কজন জানেন!
মৃত্যু অনেক কারণেই হতে পারে। তার মধ্যে সবচেয়ে তুচ্ছ কারণ আত্মহত্যা। যার কোনো মানে নেই। যার কোনো ব্যাখ্যা নেই, যার কোনো কারণও নেই বলে দাবি করি আমরা সবাই। আমিও করি। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে—যখন এটা ঘটে, মানে এই হৃদয়বিদারক, প্রায় অসম্ভব অঘটনটা...ঠিক ওই মুহূর্তে, ওই ব্যক্তিটির স্থানে নিজেকে স্থাপন করতে চেষ্টা করে দেখুন না! দেখবেন, তখন পৃথিবীতে আর কোনো কারণ নেই, নেই কোনো আশা, কোনো সম্ভাবনা, কোনো একটা হেল্পলাইন। নচেত তিনি সফল হন কী করে আত্মহননে? আমি নিজে একাধিকবার চেষ্টা করে দেখেছি, পারিনি এবং মেনে নিয়েছি—এই পৃথিবীতে আত্মহননের চেয়ে কঠিন কাজ আর নেই, আমার পক্ষে যা করা হয়তো সম্ভব হবে না কোনো দিন।
তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল একবারই। সেটা সম্ভবত ২০০৫ কিংবা ২০০৬ সালে। খুবই সাধারণ একটা সাক্ষাৎ। পুরানা পল্টনে সংবাদ পত্রিকার অফিসে। তিনি তখন চাকরি করতেন সেখানে। সম্ভবত বিনোদন বিভাগে। আমাকে তাঁর অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন আমার বন্ধু সুজন আরিফ। মাত্র কিছুদিন আগে আরিফের একটা নতুন গান তৈরি হয়েছিল আমার লিরিকে। সেই গান শুনে প্রশংসা করেছিলেন রাসেল ভাই। ‘ভালোবাসিরে’ শিরোনামের সেই গানটা আসলে পুরোটা আমার লেখা নয়। আরিফ নিজেই গানের মুখটুকু তৈরি করেছিল নিজের কথা ও সুরে। পরে অন্তরার সুর করে হৃদয় খান, আমি সেই সুরের ওপরে কথা সাজাই। রাসেল ভাই তখন পর্যন্ত মানতেন যে, সুর অনুসরণ করে ভালো লিরিক লেখা যায় না। আমি সুরের ওপরে লিরিক লিখি শুনে বকা দিয়েছিলেন। কিন্তু আরিফের সেই গানটা শুনে, সেটা ওভাবেই লেখা জেনে তিনি নিজের কথা ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘এইটা আমার ভালো লেগেছে। মেনে নিচ্ছি, পরে লিরিক লিখেও, মানে বাঁধা মিটারে কথা সাজিয়েও ভালো লিরিক লেখা যায়।’ কিন্তু আবার এটাও বলেছিলেন, ‘আপনাকে কবিতার মতো করে, অর্থাৎ সুরের আগে লিরিক লিখার প্র্যাকটিস ছেড়ে দিলে হবে না। কারণ, আপনি লিরিকে যা বলতে চান, তা পুরোপুরি বলতে পারবেন তখনই, যখন আপনার সামনে কোনো প্যারামিটার থাকবে না।’
রাসেল ভাই, আপনি লিরিকে যা বলতে চেয়েছিলেন, তা কি পুরোপুরি বলতে পেরেছিলেন? অন্তত যে লিরিকে লিখেছিলেন সেই কথাগুলো, একদম ভেতরের কথা, গহিনের কথা, সেই লিরিকগুলো কি শোনাতে পেরেছেন কোনো শ্রোতাকে? কোনো সুরকার কি সুর দিয়েছেন তাতে? গেয়েছেন কোনো গায়ক? ‘রাসেলের গান’ বা ‘রাসেল ও’নীলের গান হয়ে উঠতে পেরেছিল কি কোনো গান? এখনকার বাংলাদেশে কোনো গীতিকারই কি শেষ পর্যন্ত লিখতে পারে সেই কথাগুলো? প্যারামিটার ছাড়া একটা ধবধবে শাদা-শুভ্র গানের খাতা কেউ কি দিয়েছে কোনো গীতিকারকে? দেয় কেউ!
আপনার মৃত্যু অন্য কোনো রোগে হলে বা কোনো রোগ ছাড়াই...হয়তো দুর্ঘটনায়, কিংবা ঘুমের মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু, অথবা...ওই যে ডাক্তারেরা বলেন না, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে...দেখুন, মানুষের শরীরে কতই না অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। আমরা বলি না মস্তিষ্কযন্ত্র, বলি না ফুসফুসযন্ত্র, বলি না বৃক্কযন্ত্র বা যকৃৎযন্ত্র; কিন্তু আমরা বলি হৃদ্যন্ত্র! হৃদয় ব্যাপারটা জড়িত যার সঙ্গে, তাকেই আমরা যন্ত্র বানিয়ে দিলাম! যন্ত্রের মতো চলতে থাকাই যার কাজ। কোনো মানবিক আবেগ স্পর্শ করবে না, কোনো ভাবালুতায় আক্রান্ত হওয়া যাবে না, সিঁড়ির নিচের কোনায় লুকানো পানির পাম্পের মতো একঘেয়ে চলতে থাকতে হবে আর রক্ত পাম্প করতে থাকতে হবে সারা শরীরে—এই হলো কাজ আমাদের হৃদয়ের। সেই যন্ত্র—কঠিন হৃদয়টা যদি সেইভাবে চালিয়ে যেতে দিতে পারতেন, যদি তাকে থামতে দিতেন নিজের নিয়মে, নিজের নির্ধারিত সময়ে, তার আগে আপনিই তাকে আগবাড়িয়ে থামিয়ে না দিতেন; এত কথা হয়তো উঠত না। মানুষ তো কতভাবেই নিজেকে ধ্বংস করে। নিজের অমিত সম্ভাবনা নষ্ট করে, প্রতিভার প্রতি অন্যায় করে, সৃজনশীলতা নষ্ট করে, নিজের স্বাধীনতা ধ্বংস করে, নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার গলা টিপে মারে, নিজের কণ্ঠস্বরকে বাজেয়াপ্ত হতে দেয়...আপনি নিজের জীবনটাকেই শেষ করে দিলেন।...আপনার সাথে আমার ওই একটা দিনের পরিচয়, একদিনের আলাপ। তারপর আর কোনো দিন দেখা হয়নি, কথাও হয়নি। আমরা ফেসবুকেও ছিলাম না পরস্পরের ফ্রেন্ড লিস্টে। কিন্তু আপনার লেখা গান আমি শুনতাম। জানি না, আপনিও শুনতেন কিনা আমার লেখা গান। আমার শোনার উপযোগী গান আপনি লিখতেন নিয়মিত, আপনার শোনার উপযোগী গান আমি লিখতে পেরেছি কিনা জানি না, ওই একটা ছাড়া। একটা গোটাও নয়, অর্ধেকের একটু বেশি। সেই গানটা আপনার ভালো লেগেছিল। আর আমার ভালো লেগেছিল আপনার আন্তরিক ব্যবহার। অন্য অনেকের মতো কপট গাম্ভীর্য ধরে রেখে, কিংবা ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ ভদ্রতা দেখিয়ে ‘জি ভাই, ভালো আছেন’—টাইপ ফর্মালিটির ধার না ধেরে আপনি সরাসরি বলেছিলেন আপনার পছন্দ-অপছন্দের কথা। বয়সে এবং কাজের অভিজ্ঞতায় অল্প কয়েক বছরের অগ্রজ হলেও সুপরামর্শ দিতে আপনি কার্পণ্য করেননি, এবং তা করেছেন আন্তরিকতা নিয়েই। ভান-ভণিতা আমি দেখিনি আপনার আচরণে।
আর ‘যদি না হয় কথা/জমে নীরবতা’, তাহলে কী হবে? আপনি বলেছিলেন, ‘ফের দেখা হবে।’ বলেছিলেন ‘চোখে রাখতে চোখ’, বলেছিলেন, ‘চোখে চোখে কথা হোক’। হায়, চোখই বুঁজে ফেললেন এত তাড়াতাড়ি? এই অবেলায়! বলে গেলেন, ‘যত দূরেই যাই/জানি না তো কবে/জেনে রেখো শুধু/ফের দেখা হবে।’ অথচ, এত দূরে চলে গেলেন, আর কবে দেখা হবে?...কিংবা, কে জানে, হতো বেশি দূরেও নয়, খুব দেরিও নেই! আমিই কি জানি, আমি কতটা দূরে আছি সেই শেষ গন্তব্যের?

ডিজিটাল খাতা খুলে বসে আছি, প্রতি শুক্রবারের মতো নিজের কলাম লিখব বলে। লিখতে পারছি না। একটা শব্দও টাইপ করতে পারিনি। ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে একটা সুইসাইড নোট। খানিক পরে ছেড়ে যাবেন যে দেহটাকে, তাকে কাটাছেঁড়া না করতে অনুরোধ করেছেন একজন গীতিকবি। এক জীবনের শেষ অনুরোধ। কবি কি আসলে দেহে থাকেন? রক্তমাংসের দেহকে কেটে-ছিঁড়ে জানা যায় কি কবিকে? জানা যায় মৃত্যুর কারণ? কবির কি মৃত্যু হয়? কবি বরাবর সত্য বলেন। কিন্তু কবি রাসেল ও’নীল শেষ কথাটা মিথ্যা লিখে গেলেন। লিখে গেলেন, ‘কেউ দায়ী নয়’।
বললেই হলো কেউ দায়ী নয়? মৃত্যু কোনো আনন্দভ্রমণ নয় যে স্বপ্রণোদিত হয়ে কেউ খুশিমনে টিকিট কেটে হাসতে হাসতে চেপে বসবে মৃত্যু-শকটে। অনন্যোপায় শেষযাত্রায় পা বাড়ানোর কঠোরতম সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পেছনে কেউ তো নিশ্চয়ই দায়ী। কে সেটা? কিংবা, কে কে? জানা যাবে না। কোনো দিন আর জানা যাবে না। কারণ, কবি নিজেই চাননি জানাতে। আমরা তাঁর কে, যাকে উজাড় করে জানাবেন অন্তর-বাহির? আমরা কতটাই-বা জানতে চেয়েছি? জানতে চাই? একজন কবিকে? বিশেষ করে, গীতিকবিকে? তিনি যা জানান, তাও তো আমরা ‘তাঁর কথা’ বলে জানি না। জেনে নিই, কিংবা ধরে নিই এবং মেনে নিই অন্য কারও কথা বলে। যাঁর কণ্ঠে শুনি সেই গীতিকাব্য, তাঁর কথাই ভাবি সবচেয়ে বেশি। আর তারপর, নিজের কথা। আমার জন্যই গেয়েছেন আমার প্রিয় শিল্পী। কে লিখে দিলেন সেই গান–তিনি তখন অনেক তফাতে। তাই রাসেল ও’নীলের গান শোনেননি এমন শ্রোতা এই প্রজন্মে বিরল হলেও রাসেলেরই যে গান এগুলো—এই কথা তাদের কজন জানতেন? কজন জানেন!
মৃত্যু অনেক কারণেই হতে পারে। তার মধ্যে সবচেয়ে তুচ্ছ কারণ আত্মহত্যা। যার কোনো মানে নেই। যার কোনো ব্যাখ্যা নেই, যার কোনো কারণও নেই বলে দাবি করি আমরা সবাই। আমিও করি। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে—যখন এটা ঘটে, মানে এই হৃদয়বিদারক, প্রায় অসম্ভব অঘটনটা...ঠিক ওই মুহূর্তে, ওই ব্যক্তিটির স্থানে নিজেকে স্থাপন করতে চেষ্টা করে দেখুন না! দেখবেন, তখন পৃথিবীতে আর কোনো কারণ নেই, নেই কোনো আশা, কোনো সম্ভাবনা, কোনো একটা হেল্পলাইন। নচেত তিনি সফল হন কী করে আত্মহননে? আমি নিজে একাধিকবার চেষ্টা করে দেখেছি, পারিনি এবং মেনে নিয়েছি—এই পৃথিবীতে আত্মহননের চেয়ে কঠিন কাজ আর নেই, আমার পক্ষে যা করা হয়তো সম্ভব হবে না কোনো দিন।
তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল একবারই। সেটা সম্ভবত ২০০৫ কিংবা ২০০৬ সালে। খুবই সাধারণ একটা সাক্ষাৎ। পুরানা পল্টনে সংবাদ পত্রিকার অফিসে। তিনি তখন চাকরি করতেন সেখানে। সম্ভবত বিনোদন বিভাগে। আমাকে তাঁর অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন আমার বন্ধু সুজন আরিফ। মাত্র কিছুদিন আগে আরিফের একটা নতুন গান তৈরি হয়েছিল আমার লিরিকে। সেই গান শুনে প্রশংসা করেছিলেন রাসেল ভাই। ‘ভালোবাসিরে’ শিরোনামের সেই গানটা আসলে পুরোটা আমার লেখা নয়। আরিফ নিজেই গানের মুখটুকু তৈরি করেছিল নিজের কথা ও সুরে। পরে অন্তরার সুর করে হৃদয় খান, আমি সেই সুরের ওপরে কথা সাজাই। রাসেল ভাই তখন পর্যন্ত মানতেন যে, সুর অনুসরণ করে ভালো লিরিক লেখা যায় না। আমি সুরের ওপরে লিরিক লিখি শুনে বকা দিয়েছিলেন। কিন্তু আরিফের সেই গানটা শুনে, সেটা ওভাবেই লেখা জেনে তিনি নিজের কথা ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘এইটা আমার ভালো লেগেছে। মেনে নিচ্ছি, পরে লিরিক লিখেও, মানে বাঁধা মিটারে কথা সাজিয়েও ভালো লিরিক লেখা যায়।’ কিন্তু আবার এটাও বলেছিলেন, ‘আপনাকে কবিতার মতো করে, অর্থাৎ সুরের আগে লিরিক লিখার প্র্যাকটিস ছেড়ে দিলে হবে না। কারণ, আপনি লিরিকে যা বলতে চান, তা পুরোপুরি বলতে পারবেন তখনই, যখন আপনার সামনে কোনো প্যারামিটার থাকবে না।’
রাসেল ভাই, আপনি লিরিকে যা বলতে চেয়েছিলেন, তা কি পুরোপুরি বলতে পেরেছিলেন? অন্তত যে লিরিকে লিখেছিলেন সেই কথাগুলো, একদম ভেতরের কথা, গহিনের কথা, সেই লিরিকগুলো কি শোনাতে পেরেছেন কোনো শ্রোতাকে? কোনো সুরকার কি সুর দিয়েছেন তাতে? গেয়েছেন কোনো গায়ক? ‘রাসেলের গান’ বা ‘রাসেল ও’নীলের গান হয়ে উঠতে পেরেছিল কি কোনো গান? এখনকার বাংলাদেশে কোনো গীতিকারই কি শেষ পর্যন্ত লিখতে পারে সেই কথাগুলো? প্যারামিটার ছাড়া একটা ধবধবে শাদা-শুভ্র গানের খাতা কেউ কি দিয়েছে কোনো গীতিকারকে? দেয় কেউ!
আপনার মৃত্যু অন্য কোনো রোগে হলে বা কোনো রোগ ছাড়াই...হয়তো দুর্ঘটনায়, কিংবা ঘুমের মধ্যে স্বাভাবিক মৃত্যু, অথবা...ওই যে ডাক্তারেরা বলেন না, হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে...দেখুন, মানুষের শরীরে কতই না অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। আমরা বলি না মস্তিষ্কযন্ত্র, বলি না ফুসফুসযন্ত্র, বলি না বৃক্কযন্ত্র বা যকৃৎযন্ত্র; কিন্তু আমরা বলি হৃদ্যন্ত্র! হৃদয় ব্যাপারটা জড়িত যার সঙ্গে, তাকেই আমরা যন্ত্র বানিয়ে দিলাম! যন্ত্রের মতো চলতে থাকাই যার কাজ। কোনো মানবিক আবেগ স্পর্শ করবে না, কোনো ভাবালুতায় আক্রান্ত হওয়া যাবে না, সিঁড়ির নিচের কোনায় লুকানো পানির পাম্পের মতো একঘেয়ে চলতে থাকতে হবে আর রক্ত পাম্প করতে থাকতে হবে সারা শরীরে—এই হলো কাজ আমাদের হৃদয়ের। সেই যন্ত্র—কঠিন হৃদয়টা যদি সেইভাবে চালিয়ে যেতে দিতে পারতেন, যদি তাকে থামতে দিতেন নিজের নিয়মে, নিজের নির্ধারিত সময়ে, তার আগে আপনিই তাকে আগবাড়িয়ে থামিয়ে না দিতেন; এত কথা হয়তো উঠত না। মানুষ তো কতভাবেই নিজেকে ধ্বংস করে। নিজের অমিত সম্ভাবনা নষ্ট করে, প্রতিভার প্রতি অন্যায় করে, সৃজনশীলতা নষ্ট করে, নিজের স্বাধীনতা ধ্বংস করে, নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার গলা টিপে মারে, নিজের কণ্ঠস্বরকে বাজেয়াপ্ত হতে দেয়...আপনি নিজের জীবনটাকেই শেষ করে দিলেন।...আপনার সাথে আমার ওই একটা দিনের পরিচয়, একদিনের আলাপ। তারপর আর কোনো দিন দেখা হয়নি, কথাও হয়নি। আমরা ফেসবুকেও ছিলাম না পরস্পরের ফ্রেন্ড লিস্টে। কিন্তু আপনার লেখা গান আমি শুনতাম। জানি না, আপনিও শুনতেন কিনা আমার লেখা গান। আমার শোনার উপযোগী গান আপনি লিখতেন নিয়মিত, আপনার শোনার উপযোগী গান আমি লিখতে পেরেছি কিনা জানি না, ওই একটা ছাড়া। একটা গোটাও নয়, অর্ধেকের একটু বেশি। সেই গানটা আপনার ভালো লেগেছিল। আর আমার ভালো লেগেছিল আপনার আন্তরিক ব্যবহার। অন্য অনেকের মতো কপট গাম্ভীর্য ধরে রেখে, কিংবা ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ ভদ্রতা দেখিয়ে ‘জি ভাই, ভালো আছেন’—টাইপ ফর্মালিটির ধার না ধেরে আপনি সরাসরি বলেছিলেন আপনার পছন্দ-অপছন্দের কথা। বয়সে এবং কাজের অভিজ্ঞতায় অল্প কয়েক বছরের অগ্রজ হলেও সুপরামর্শ দিতে আপনি কার্পণ্য করেননি, এবং তা করেছেন আন্তরিকতা নিয়েই। ভান-ভণিতা আমি দেখিনি আপনার আচরণে।
আর ‘যদি না হয় কথা/জমে নীরবতা’, তাহলে কী হবে? আপনি বলেছিলেন, ‘ফের দেখা হবে।’ বলেছিলেন ‘চোখে রাখতে চোখ’, বলেছিলেন, ‘চোখে চোখে কথা হোক’। হায়, চোখই বুঁজে ফেললেন এত তাড়াতাড়ি? এই অবেলায়! বলে গেলেন, ‘যত দূরেই যাই/জানি না তো কবে/জেনে রেখো শুধু/ফের দেখা হবে।’ অথচ, এত দূরে চলে গেলেন, আর কবে দেখা হবে?...কিংবা, কে জানে, হতো বেশি দূরেও নয়, খুব দেরিও নেই! আমিই কি জানি, আমি কতটা দূরে আছি সেই শেষ গন্তব্যের?

হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
২৮ মিনিট আগে
চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৫ ঘণ্টা আগে
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাঁদের ছেলে নিক রেইনারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কারাগারের নথির বরাতে জানিয়েছে, ৩২ বছর বয়সী নিক রেইনারকে গতকাল রাতে হেফাজতে নেওয়া হয়। নথিতে তাঁর বিরুদ্ধে ‘গ্যাং কার্যকলাপ’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযোগের বিস্তারিত জানানো হয়নি। তাঁর জামিনের জন্য ৪০ লাখ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসা সহায়তার জন্য ব্রেন্টউডের ওই বাড়িতে পৌঁছায় লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্ট। সেখানে ৭৮ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ৬৮ বছর বয়সী এক নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাঁদের রব ও মিশেল রেইনার হিসেবে শনাক্ত করা হয়। জানা গেছে, পাশের বাড়িতে থাকা একটি মেয়ে প্রথম তাঁদের মরদেহ দেখতে পান।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ (এলএপিডি) পরে জানায়, গোয়েন্দারা ঘটনাটি ‘সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে তদন্ত করছে। টিএমজেড ও পিপল ম্যাগাজিন জানিয়েছে, দুজনের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, পরিবারের একজন সদস্যকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে গতকাল রাতে সংবাদ সম্মেলনে এলএপিডির প্রধান গোয়েন্দা অ্যালান হ্যামিলটন বলেন, তদন্ত চলমান। এখনো কাউকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি।
রেইনার পরিবারের এক মুখপাত্র গতকাল সন্ধ্যায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রব রেইনার হলিউডের অন্যতম সফল ও প্রভাবশালী পরিচালক। When Harry Met Sally, This Is Spinal Tap, Stand By Me, Misery, A Few Good Men–সহ বিভিন্ন অনেক জনপ্রিয় সিনেমা তিনি নির্মাণ করেছেন। তিনি উদারপন্থী রাজনীতি ও ডেমোক্রেটিক দলের একজন প্রকাশ্য সমর্থক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাঁদের ছেলে নিক রেইনারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কারাগারের নথির বরাতে জানিয়েছে, ৩২ বছর বয়সী নিক রেইনারকে গতকাল রাতে হেফাজতে নেওয়া হয়। নথিতে তাঁর বিরুদ্ধে ‘গ্যাং কার্যকলাপ’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযোগের বিস্তারিত জানানো হয়নি। তাঁর জামিনের জন্য ৪০ লাখ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসা সহায়তার জন্য ব্রেন্টউডের ওই বাড়িতে পৌঁছায় লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্ট। সেখানে ৭৮ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ৬৮ বছর বয়সী এক নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাঁদের রব ও মিশেল রেইনার হিসেবে শনাক্ত করা হয়। জানা গেছে, পাশের বাড়িতে থাকা একটি মেয়ে প্রথম তাঁদের মরদেহ দেখতে পান।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ (এলএপিডি) পরে জানায়, গোয়েন্দারা ঘটনাটি ‘সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে তদন্ত করছে। টিএমজেড ও পিপল ম্যাগাজিন জানিয়েছে, দুজনের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, পরিবারের একজন সদস্যকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে গতকাল রাতে সংবাদ সম্মেলনে এলএপিডির প্রধান গোয়েন্দা অ্যালান হ্যামিলটন বলেন, তদন্ত চলমান। এখনো কাউকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি।
রেইনার পরিবারের এক মুখপাত্র গতকাল সন্ধ্যায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রব রেইনার হলিউডের অন্যতম সফল ও প্রভাবশালী পরিচালক। When Harry Met Sally, This Is Spinal Tap, Stand By Me, Misery, A Few Good Men–সহ বিভিন্ন অনেক জনপ্রিয় সিনেমা তিনি নির্মাণ করেছেন। তিনি উদারপন্থী রাজনীতি ও ডেমোক্রেটিক দলের একজন প্রকাশ্য সমর্থক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

ডিজিটাল খাতা খুলে বসে আছি, প্রতি শুক্রবারের মতো নিজের কলাম লিখব বলে। লিখতে পারছি না। একটা শব্দও টাইপ করতে পারিনি। ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে একটা সুইসাইড নোট। খানিক পরে ছেড়ে যাবেন যে দেহটাকে, তাকে কাটাছেঁড়া না করতে অনুরোধ করেছেন একজন গীতিকবি। এক জীবনের শেষ অনুরোধ। কবি কি আসলে দেহে থাকেন? রক্তমাংসের দেহকে
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৫ ঘণ্টা আগে
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। এবার তানিম নূরের ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমায় সুরমা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৮ কেজি ওজন কমালেন বাঁধন। আজ থেকে শুরু হবে এই সিনেমার শুটিং। এ ছাড়া ইতিমধ্যে তিনি শেষ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’ ও রুবাইয়াত হোসেনের ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমার শুটিং।
গত শুক্রবার বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানানো হয়, এতে অভিনয় করছেন বাঁধন। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁধন জানালেন, নতুন এই সিনেমার জন্য প্রস্তুত হতে তাঁকে কমাতে হয়েছে ১৮ কেজি ওজন। বাঁধন জানালেন, ওজন কমানোর এই পথ সহজ ছিল না তাঁর জন্য। ফেসবুকে বাঁধন লেখেন, ‘৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি—এই যাত্রা সহজ ছিল না। মানসিক স্বাস্থ্য সংগ্রাম, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও জেনেটিক কারণে ওজন বেড়েই যাচ্ছিল। কিন্তু সঠিক চিকিৎসকের নির্দেশনা, ডিসিপ্লিন এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে আমি মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি। এটি শুধু ওজন কমানো নয়—এটি নিরাময়, শক্তি এবং আত্মসম্মানেরও প্রতীক; এখনো এগিয়ে চলছি।’
বাঁধন জানান, এই যাত্রায় সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তাঁর মেয়ে। মেয়েই তাঁকে শরীরচর্চা করতে, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে এবং প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এর আগে বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে বাঁধন জানান, এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম প্রেরণা ছিল তাঁর মেয়ে। বাঁধন বলেন, ‘তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে সবার আগে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। ও চায় উৎসব-এর মতো সিনেমায় আমি কাজ করি। তাই এই চিত্রনাট্য আমার কাছে এগিয়ে ছিল।’
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে বনলতা এক্সপ্রেস। এতে বাঁধনের বিপরীতে আছেন চঞ্চল চৌধুরী। আরও দেখা যাবে মোশাররফ করিম, ইন্তেখাব দিনার, জাকিয়া বারী মম, শরিফুল রাজ, সাবিলা নূর ও শ্যামল মাওলাকে। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে এই সিনেমা।

এদিকে শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত জানালেন, সম্পূর্ণ কাজ শেষে মাস্টার সিনেমাটি এখন সবাইকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানার মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। এতে বাঁধনকে দেখা যাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) চরিত্রে। আরও অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, জাকিয়া বারী মম প্রমুখ। নির্মাতা জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে মাস্টার।

এ বছরের মাঝামঝি সময়ে বাঁধন শেষ করেছেন দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমার কাজ। ১৩ ডিসেম্বর ফ্রান্সে শুরু হওয়া লেস আর্কস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওয়ার্ক-ইন-প্রোগ্রেস প্রোগ্রামে এই সিনেমার প্রকল্পটি প্রদর্শিত হবে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ শেষ হবে সম্পূর্ণ কাজ। রুবাইয়াত হোসেনের পরিচালনায় এতে বাঁধনের সহশিল্পী রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুনেরাহ বিনতে কামাল, জাইনিন করিম চৌধুরী প্রমুখ।

চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। এবার তানিম নূরের ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমায় সুরমা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৮ কেজি ওজন কমালেন বাঁধন। আজ থেকে শুরু হবে এই সিনেমার শুটিং। এ ছাড়া ইতিমধ্যে তিনি শেষ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’ ও রুবাইয়াত হোসেনের ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমার শুটিং।
গত শুক্রবার বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানানো হয়, এতে অভিনয় করছেন বাঁধন। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁধন জানালেন, নতুন এই সিনেমার জন্য প্রস্তুত হতে তাঁকে কমাতে হয়েছে ১৮ কেজি ওজন। বাঁধন জানালেন, ওজন কমানোর এই পথ সহজ ছিল না তাঁর জন্য। ফেসবুকে বাঁধন লেখেন, ‘৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি—এই যাত্রা সহজ ছিল না। মানসিক স্বাস্থ্য সংগ্রাম, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও জেনেটিক কারণে ওজন বেড়েই যাচ্ছিল। কিন্তু সঠিক চিকিৎসকের নির্দেশনা, ডিসিপ্লিন এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে আমি মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি। এটি শুধু ওজন কমানো নয়—এটি নিরাময়, শক্তি এবং আত্মসম্মানেরও প্রতীক; এখনো এগিয়ে চলছি।’
বাঁধন জানান, এই যাত্রায় সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তাঁর মেয়ে। মেয়েই তাঁকে শরীরচর্চা করতে, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে এবং প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এর আগে বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে বাঁধন জানান, এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম প্রেরণা ছিল তাঁর মেয়ে। বাঁধন বলেন, ‘তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে সবার আগে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। ও চায় উৎসব-এর মতো সিনেমায় আমি কাজ করি। তাই এই চিত্রনাট্য আমার কাছে এগিয়ে ছিল।’
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে বনলতা এক্সপ্রেস। এতে বাঁধনের বিপরীতে আছেন চঞ্চল চৌধুরী। আরও দেখা যাবে মোশাররফ করিম, ইন্তেখাব দিনার, জাকিয়া বারী মম, শরিফুল রাজ, সাবিলা নূর ও শ্যামল মাওলাকে। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে এই সিনেমা।

এদিকে শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত জানালেন, সম্পূর্ণ কাজ শেষে মাস্টার সিনেমাটি এখন সবাইকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানার মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। এতে বাঁধনকে দেখা যাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) চরিত্রে। আরও অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, জাকিয়া বারী মম প্রমুখ। নির্মাতা জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে মাস্টার।

এ বছরের মাঝামঝি সময়ে বাঁধন শেষ করেছেন দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমার কাজ। ১৩ ডিসেম্বর ফ্রান্সে শুরু হওয়া লেস আর্কস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওয়ার্ক-ইন-প্রোগ্রেস প্রোগ্রামে এই সিনেমার প্রকল্পটি প্রদর্শিত হবে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ শেষ হবে সম্পূর্ণ কাজ। রুবাইয়াত হোসেনের পরিচালনায় এতে বাঁধনের সহশিল্পী রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুনেরাহ বিনতে কামাল, জাইনিন করিম চৌধুরী প্রমুখ।

ডিজিটাল খাতা খুলে বসে আছি, প্রতি শুক্রবারের মতো নিজের কলাম লিখব বলে। লিখতে পারছি না। একটা শব্দও টাইপ করতে পারিনি। ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে একটা সুইসাইড নোট। খানিক পরে ছেড়ে যাবেন যে দেহটাকে, তাকে কাটাছেঁড়া না করতে অনুরোধ করেছেন একজন গীতিকবি। এক জীবনের শেষ অনুরোধ। কবি কি আসলে দেহে থাকেন? রক্তমাংসের দেহকে
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
২৮ মিনিট আগে
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে। পরিচালনা করবেন কাজী আসাদ। প্রাথমিকভাবে সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ‘লাইফ লাইন’। নতুন বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে এটি।
১৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ওয়েব ফিল্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন মিম। মিম জানান, গল্পটা তাঁর ভালো লেগেছে। আরও জানান, গল্প ভালো না লাগায় এত দিন কাজ করা হয়নি তাঁর। মিম বলেন, ‘অনেকেই জানতে চান, কাজ কম করছি কেন? কারণ গল্পটাই মিলছিল না ঠিকভাবে। গল্প বা কাজের প্রস্তাব তো অনেক আসে, কিন্তু গল্প বা আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো ভালো লাগছিল না। কাজী আসাদ যখন এই গল্পটা শোনালেন এবং আমি চরকিতে তাঁর আগের কাজ দেখলাম, আমার মনে হলো কাজটা করা দরকার।’
এই ওয়েব ফিল্মে একদম নতুনভাবে উপস্থাপন করা হবে মিমকে। কাজী আসাদ বলেন, ‘বিদ্যা সিনহা মিম আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন পরীক্ষিত, মেধাবী এবং গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী। সচরাচর তাঁকে গ্ল্যামার লুকেই দেখি। কিন্তু মজাটাই ওখানে যে তাঁকে কীভাবে ভেঙে নতুন ধরনের চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির করা যায়। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। আশা করছি দর্শকেরা আমার কথা মিলিয়ে নিতে পারবেন।’
এখনই গল্প নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না নির্মাতা। শুধু জানালেন, এটি নির্মিত হবে ইমোশনাল ড্রামা ঘরানায়। গল্প লিখেছেন মাহমুদুল হাসান টিপু ও কাজী আসাদ। নির্মাতার সঙ্গে চিত্রনাট্য করেছেন আসাদুজ্জামান আবীর। এ মাসের শেষ দিকে শুরু হবে শুটিং। এই সিনেমায় মিমের সহশিল্পীদের নাম শিগগির ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে চরকি।

গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে। পরিচালনা করবেন কাজী আসাদ। প্রাথমিকভাবে সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ‘লাইফ লাইন’। নতুন বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে এটি।
১৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ওয়েব ফিল্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন মিম। মিম জানান, গল্পটা তাঁর ভালো লেগেছে। আরও জানান, গল্প ভালো না লাগায় এত দিন কাজ করা হয়নি তাঁর। মিম বলেন, ‘অনেকেই জানতে চান, কাজ কম করছি কেন? কারণ গল্পটাই মিলছিল না ঠিকভাবে। গল্প বা কাজের প্রস্তাব তো অনেক আসে, কিন্তু গল্প বা আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো ভালো লাগছিল না। কাজী আসাদ যখন এই গল্পটা শোনালেন এবং আমি চরকিতে তাঁর আগের কাজ দেখলাম, আমার মনে হলো কাজটা করা দরকার।’
এই ওয়েব ফিল্মে একদম নতুনভাবে উপস্থাপন করা হবে মিমকে। কাজী আসাদ বলেন, ‘বিদ্যা সিনহা মিম আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন পরীক্ষিত, মেধাবী এবং গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী। সচরাচর তাঁকে গ্ল্যামার লুকেই দেখি। কিন্তু মজাটাই ওখানে যে তাঁকে কীভাবে ভেঙে নতুন ধরনের চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির করা যায়। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। আশা করছি দর্শকেরা আমার কথা মিলিয়ে নিতে পারবেন।’
এখনই গল্প নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না নির্মাতা। শুধু জানালেন, এটি নির্মিত হবে ইমোশনাল ড্রামা ঘরানায়। গল্প লিখেছেন মাহমুদুল হাসান টিপু ও কাজী আসাদ। নির্মাতার সঙ্গে চিত্রনাট্য করেছেন আসাদুজ্জামান আবীর। এ মাসের শেষ দিকে শুরু হবে শুটিং। এই সিনেমায় মিমের সহশিল্পীদের নাম শিগগির ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে চরকি।

ডিজিটাল খাতা খুলে বসে আছি, প্রতি শুক্রবারের মতো নিজের কলাম লিখব বলে। লিখতে পারছি না। একটা শব্দও টাইপ করতে পারিনি। ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে একটা সুইসাইড নোট। খানিক পরে ছেড়ে যাবেন যে দেহটাকে, তাকে কাটাছেঁড়া না করতে অনুরোধ করেছেন একজন গীতিকবি। এক জীবনের শেষ অনুরোধ। কবি কি আসলে দেহে থাকেন? রক্তমাংসের দেহকে
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
২৮ মিনিট আগে
চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা। গত শুক্রবার মুক্তির ঘোষণা এল আরও এক সিনেমার। ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে আহমেদ হাসান সানি পরিচালিত ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’। এই সিনেমা দিয়ে শেষ হচ্ছে বছর।
এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি সিনেমার গল্পে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিরতার নানা প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন নির্মাতা। গত মাস থেকে সিনেমার প্রচার শুরু হয়েছে। গানের পর ট্রেলার প্রকাশের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হলো সিনেমার মুক্তির তারিখ।
আহমেদ হাসান সানি একজন সংগীতশিল্পী। বিজ্ঞাপনচিত্র বানিয়ে নির্মাতা হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’ তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক আলাপের অভ্যাসটা জরুরি। মানুষ যত রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবে, তত দেশকে নিয়ে ভাবতে শিখবে। আমরা সারা জীবন দেখে এসেছি হোটেলে, বাসে, রেস্টুরেন্টে বড় করে লেখা থাকে, এখানে রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ। রাজনৈতিক আলাপ করাকে ট্যাবু হিসেবে দেখেছি আমরা। এই ট্যাবুকে ভাঙার লক্ষ্যে সিনেমাটি করা।’
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, তানভীর অপূর্ব, এ কে আজাদ সেতু, কেয়া আলমসহ অনেকে। প্রযোজনা করেছেন খালিদ মাহমুদ তূর্য।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা। গত শুক্রবার মুক্তির ঘোষণা এল আরও এক সিনেমার। ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে আহমেদ হাসান সানি পরিচালিত ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’। এই সিনেমা দিয়ে শেষ হচ্ছে বছর।
এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি সিনেমার গল্পে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিরতার নানা প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন নির্মাতা। গত মাস থেকে সিনেমার প্রচার শুরু হয়েছে। গানের পর ট্রেলার প্রকাশের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হলো সিনেমার মুক্তির তারিখ।
আহমেদ হাসান সানি একজন সংগীতশিল্পী। বিজ্ঞাপনচিত্র বানিয়ে নির্মাতা হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’ তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক আলাপের অভ্যাসটা জরুরি। মানুষ যত রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবে, তত দেশকে নিয়ে ভাবতে শিখবে। আমরা সারা জীবন দেখে এসেছি হোটেলে, বাসে, রেস্টুরেন্টে বড় করে লেখা থাকে, এখানে রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ। রাজনৈতিক আলাপ করাকে ট্যাবু হিসেবে দেখেছি আমরা। এই ট্যাবুকে ভাঙার লক্ষ্যে সিনেমাটি করা।’
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, তানভীর অপূর্ব, এ কে আজাদ সেতু, কেয়া আলমসহ অনেকে। প্রযোজনা করেছেন খালিদ মাহমুদ তূর্য।

ডিজিটাল খাতা খুলে বসে আছি, প্রতি শুক্রবারের মতো নিজের কলাম লিখব বলে। লিখতে পারছি না। একটা শব্দও টাইপ করতে পারিনি। ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে একটা সুইসাইড নোট। খানিক পরে ছেড়ে যাবেন যে দেহটাকে, তাকে কাটাছেঁড়া না করতে অনুরোধ করেছেন একজন গীতিকবি। এক জীবনের শেষ অনুরোধ। কবি কি আসলে দেহে থাকেন? রক্তমাংসের দেহকে
৩১ ডিসেম্বর ২০২১
হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
২৮ মিনিট আগে
চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৫ ঘণ্টা আগে
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৫ ঘণ্টা আগে