Ajker Patrika

যেসব ছবির উপজীব্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড

মীর রাকিব হাসান
আপডেট : ১১ জুলাই ২০২২, ১২: ০১
যেসব ছবির উপজীব্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড

গুলিবিদ্ধ জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন। এই খবর এখন পৌঁছে গেছে বিশ্বের আনাচে–কানাচে। শুক্রবার জাপানের নারা শহরে বক্তব্য দেওয়ার সময় পেছন থেকে গুলি করা হয় ৬৭ বছর বয়সি শিনজো আবেকে। তিনি তখন একটি রেলস্টেশনের বাইরে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটকও করেছে।

দেশের ক্ষমতাসীন বা একদা ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের হত্যার ঘটনা এমন আরও আছে। সেসব হত্যাকাণ্ড নিয়ে একাধিক চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। আসুন, এমনই কিছু আলোচিত সিনেমা সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক—

মাদ্রাজ ক্যাফে (২০১৩)
পরিচালক: সুজিত সরকার
অভিনয়: জন আব্রাহাম, নারগিস ফাখরি, সিদ্ধার্থ বসু, প্রকাশ বেলাওয়াদি

‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ সিনেমায় জন আব্রাহাম। ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ১৯৯১ সালের ২১ মে এক আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন। চেন্নাই (তদনীন্তন মাদ্রাজ) শহর থেকে ৩০ মাইল দূরে শ্রীপেরামবুদুর শহরে রাজীব গান্ধীর শেষ জনসভাটির আয়োজন করা হয়েছিল। এই জনসভায় তিনি তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী শ্রীমতী মারাগতাম চন্দ্রশেখরের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানেই আত্মঘাতী বোমার হামলায় নিহত হন রাজীব।

এই হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পর বলিউডের ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ সিনেমাতে উঠে আসে অন্তরালের নানা কাহিনী। ভারতের একজন প্রধানমন্ত্রীকে আত্মঘাতী হামলার মাধ্যমে মেরে ফেলার মতো এত বিধ্বংসী পরিকল্পনা ঠিক কীভাবে সম্পন্ন হয়েছিল, তা এই ছবিতে উঠে আসে কিছুটা। এই পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিল গত শতকের নব্বইয়ের দশকে দাপুটে শ্রীলংকান বিদ্রোহী গোষ্ঠী এলটিটিই (লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল এলম) বা তামিল টাইগার্স। লন্ডনের মাদ্রাজ ক্যাফেতে কিছু ব্যবসায়ী হাত মেলায় তামিল টাইগারের সাথে এবং অস্ত্র দিতে থাকে তামিলদের। ভারতীয় সেনাবাহিনী ওই সময় লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছিল তামিল টাইগারদের বিরুদ্ধে। তার প্রতিশোধ হিসেবে নেওয়া হয় শ্রীলংকার জাফনা থেকে ভারতে সুইসাইড স্কোয়াড পাঠানোর পরিকল্পনা।

‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ সিনেমায় নারগিস ফাখরি। একজন গুপ্তচরের ব্যক্তিগত জীবনকে অবলম্বন করে এগিয়ে চলে ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’ ছবির কাহিনী। এই গুপ্তচরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জন আব্রাহাম। সিনেমাটি জন আব্রাহামের ক্যারিয়ারের সেরা কাজ। সাংবাদিক চরিত্রে আছেন নারগিস ফাখরি।  সিনেমাটোগ্রাফি, ন্যারেটিভ স্টোরি টেলিং, ভিজুয়াল, এ্যাওয়ার্ড উইনিং অডিওগ্রাফী, চোখের পলক ফেলার সুযোগ নেই। সিনেমায় অনেকগুলো চরিত্র থাকলেও প্রত্যেকে সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। প্রত্যেকেই সূক্ষ্ম অভিনয়দক্ষতা দেখিয়েছেন। বলিউডের নাচ-গান-প্রেম এসব থেকে ভিন্ন এই সিনেমা। কাহিনীর সেন্সিটিভিটির কারণে অনেকেই এই সিনেমা প্রযোজনা করতে রাজি হননি, পরে জন আব্রাহাম নিজেই সিনেমাটি প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নেন। সুজিত সরকার পরিচালনায় মুন্সিয়ানার ছাপ দেখিয়েছেন। যুদ্ধের ভয়াবহতার দৃশ্যগুলো ক‍্যামেরার লেন্সের পর্দায় বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কালার গ্রেডিং এবং অ্যাকশন দৃশ্যগুলো বেশ বাস্তবসম্মত ছিলো। ১৩০ মিনিটের এই সিনেমায় একঘেয়েমিতা আসার কোনো সুযোগ নেই। যত সময় এগিয়ে যাবে টানটান উত্তেজনা অনুভব করবেন। সিনেমাটি দেখলে নতুন করে জানার আগ্রহ হবে রাজীব গান্ধি হত্যার কৌশল, তামিল টাইগারদের লড়াই, ভারতের জড়িয়ে যাওয়া এই যুদ্ধ এবং যুদ্ধ ছেড়ে চলে আসার কারন, ইন্টেলিজেন্স দের কোড/ডিকোড আর স্পাইদের খবর সংগ্রহের কৌশল, তামিল টাইগার প্রভাকরণের নেতৃত্বগুণ।

জেএফকে (১৯৯১)
পরিচালক: অলিভার স্টোন
অভিনয়: কেভিন কস্টনার, কেভিন বেকন

জেএফকে সিনেমায় কেভিন কস্টনার।ড্রামা, থ্রিলার কিংবা ইতিহাস- তিন জনরা নিয়েই এই সিনেমা। আমেরিকার ইতিহাসের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন এফ কেনেডি। ধনী পরিবারে বড় হওয়া হার্ভার্ড গ্রাজুয়েট কেনেডি হয়ে ওঠেন একজন সেলিব্রিটি। ১৯৬০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমবারের মত টিভিতে প্রচারিত হয় প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থীদের ডিবেট। সেই নির্বাচনেই সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে হারিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট হন। নানা কারণে তিনি বেশ আলোচিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট কেনেডি খুব বেশি দিন কিন্তু প্রেসিডেন্ট ছিলেন না। প্রেসিডেন্সির ৩ বছর পূর্তির আগেই তাকে হত্যা করা হয়। তাঁর ছোট ভাই ববিও একই পরিণতির শিকার হন ১৯৬৮ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল ডেমোক্রেটিক প্রার্থী নির্বাচনের ক্যাম্পেইনে।

‘কেনেডি কার্স’ বলে একটা কথা প্রচলিত ছিল সেসময়। কারণ ওই পরিবারের অনেকেই অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরন করেছেন। কেনেডির হত্যা নিয়ে রয়েছে বেশ ধোঁয়াশা এবং তদন্তেও ছিল অনেক অসচ্ছ্বতা। আর সেই রহস্যই উদ্ঘাটনে নামেন নিউ অরলিন্সের ডিস্ট্রিক অ্যাটর্নি জিম গ্যারিসন।

প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যকাণ্ডের আগ মুহুর্ত। ‘জেএফকে’ ছবিটির প্লট শুরু হয় ১৯৬৬ সালের প্রেক্ষাপটে। তখন লুইজিয়ানা রাজ্যের নিউ অরলিনসের অ্যাটর্নি জিম গ্যরিসন এই হত্যার পেছনে সরকারি, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনীর জড়িত থাকার বেশ কিছু তথ্য পেতে শুরু করেছিলেন। জিম টিভিতে লাইভ এই হত্যাকাণ্ড দেখছিলেন। একটা সময় এই হত্যাকাণ্ডের রায়ের আর কোন অগ্রগতিই হয় না কারণ যে হত্যাকারি তাকেই মেরে ফেলা হয়েছে। তিন বছর পরের কথা। আমেরিকা আক্রমণ করেছে ভিয়েতনামকে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ তুঙ্গে। জিম আবারো কেনেডির হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত পড়ালেখা করতে থাকে। হত্যাকারী অসওয়াল্ড এর স্বীকারোক্তির ডকুমেন্ট খুঁজে পাচ্ছিলো না কারণ তাঁর কোন রেকর্ডই নেই। এরপর আরো জানতে গিয়ে সে আবিষ্কার করলো কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমেরিকার জনগণকে অন্ধকারেই রেখেছে সরকার। সে আবারো সেই কেসকে নিয়ে উঠে পড়ে। সিনেমায় সেই গল্পটিই অসাধারণভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সেরা অভিনেতাদের নাম জিজ্ঞেস করলে কেউ হয়ত কেভিন কস্টনারের নাম উল্লেখ করবেন না। কিন্তু এই সিনেমায় তিনি ইতিহাস সৃষ্টিকারী অভিনয়শৈলী দেখিয়েছেন। পরিচালক অলিভার স্টোনের মাস্টারপিস বলা হয় এই সিনেমাকে। তিনবার অস্কার বিজয়ী পরিচালক অলিভার স্টোন। মুক্তির আগে ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সকল শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস সদস্যদের দেখানো হয়। মুক্তির পর ঝড় তুলে। ২ অস্কার ঘরে তুলে নেয় এই সিনেমা। আর পরিচালক অলিভার যখন জিমের বই পড়ে (সেই এটর্নি জেনারেলের এই কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখা বই), সাথে সাথেই সিনেমা বানানোর রাইট কিনে নেয় নিজের টাকায়! যথারীতি পরিচালনায় কারিশমা দেখিয়েছেন এই লিজেন্ডারি পরিচালক। আর জিমের ভুমিকায় কেভিন কস্টনার অসাধারণ অভিনয় করেছেন। 

সাধারনত ইতিহাস নিয়ে তৈরি চলচ্চিত্র কিছুটা ধীরগতির হয়। এই পলিটিক্যাল থ্রিলারটি সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। একই সঙ্গে ইতিহাস জানার এবং থ্রিলার দেখার এক অনন্য অভিজ্ঞতা হবে ‘জেএফকে’–তে।

দ্য ম্যান স্ট্যান্ডিং নেক্সট (২০২০)
পরিচালনা: উ মিন-হো
অভিনয়: লি বাইং-হুন, লি সুং-মিন, কোয়াক ডো-জয়, লি হি-জুন

দ্য ম্যান স্ট্যান্ডিং নেক্সট সিনেমার কলাকুশলীরা। দক্ষিণ কোরিয়ার স্বৈরশাসক ছিলেন পার্ক চং হে। দেশটিতে টানা ১৮ বছর ধরে একনায়ক থাকা প্রেসিডেন্ট পার্ক খুন হন ১৯৭৯ সালে। আর খুনটা করেছিলেন কোরিয়ান সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (কেসিআইএ) পরিচালক কিম গিউ পায়োং। অথচ কোরীয় বিপ্লবে দুজনে একসাথে লড়েছিলেন!

১৯৭০ সালের ২৬ অক্টোবর রাতে কেসিআইএ প্রধান ও তার দুই সহযোগী মিলে প্রেসিডেন্ট পার্ককে খুন করার ৪০ দিন আগে কি কি ঘটেছিল তা তুলে ধরা হয়েছে ‘দ্য ম্যান স্টান্ডিং নেক্সট’ নামক ছবিতে। দু বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার বক্স অফিস কাঁপিয়েছিল সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমা। 

‘দ্য ম্যান স্ট্যান্ডিং নেক্সট’ সিনেমায় লি বাইং-হুন।কোরিয়ান সিনেমায় মারামারি, গোলাগুলি দেখে যারা অভ্যস্থ, তারা নতুন স্বাদ পাবেন এই ছবিটিতে। কেন ওই ঘটনা ঘটেছিল? ঘটনার পেছনে ব্যক্তি স্বার্থ ছিল নাকি দেশের স্বার্থ? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর উত্তর সম্পর্কে কিছুটা হলে ধারণা মেলে এই ছবিটিতে। 

এ চলচ্চিত্রে অভিনয়ে ছিলেন কোরিয়ার বাঘা বাঘা অভিনেতারা। কেসিআইএ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন লি বয়ং হুন। লিয়ের বয়স ৫০ কেউ বলবেনা, অভিনয় কিংবা ফিটনেসে বুঝার উপায় নেই। লি সাং মিন করেছেন প্রেসিডেন্টের চরিত্র। সিনেমার শুরুটা এভাবে, কেসিআইএ এর সাবেক ডিরেক্টর আমেরিকায় নিজের জীবনের উপর একটি বই লিখেন যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে পার্ক ১৮ বছর ধরে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। আর এদিকে প্রেসিডেন্ট পার্কের সাথে কাজ করা কিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমেরিকা গিয়ে আত্নজীবনীটি ফিরিয়ে আনার জন্য। বইয়ের লেখক আর কিম দুইজনই কোরিয়ার বিপ্লবের জন্য একসাথে লড়েছিলো। এখন প্রশ্ন হচ্ছে রাজনৈতিক এই বেড়াজালে কে কার সাথে থাকবে কে কাকে ধোকা দিবে, কার পরিণতি কি হবে,  স্বৈরশাসকের আদো পতন হবে নাকি। তা এই সিনেমায় ফুটে উঠেছে।

কীভাবে হত্যকাণ্ড ঘটিয়েছেন বর্ণনা দিচ্ছে কিম গিউ পায়োং। সিনেমার সবচেয়ে ভালো দিক এর অসাধারন বিজিএম। যেটা সবসময় বুঝাচ্ছিলো চরিত্রগুলোর মধ্যে কি যেন এক ক্ষুধা। সামনে কি যেন ঘটতে যাচ্ছে। সাথে আছে কালার গ্রেডিংয়ের অসাধারণ সমন্বয়। সিনেমাটোগ্রাফি দেখে মনে হবে আপনি ১৯৮০ সালে বসে সিনেমাটি দেখছেন। একটা দৃশ্যে লি বয়ং হুন স্টেইজের দিকে তাকিয়ে ছিল। স্টেজের লাইটগুলো আস্তে আস্তে নিভিয়ে দেয়া হচ্ছিল। সে যখন স্টেজে বসেছিল, তার নির্দেশে নিজের বন্ধুকে হত্যা করছিল স্পাইরা। সে আর ভাল মানুষ নেই। অন্ধকার দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হল। এরপর দুজন ব্যক্তির জুতা নেই দেখানো হয়েছে। অসহায়ত্ব ফুটিয়ে তোলার জন্য এই ব্যাপারটা দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছয় বছর পর অংশুর পরিচালনায় সুনেরাহ, আরশের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে গুঞ্জন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছয় বছর পর অংশুর পরিচালনায় সুনেরাহ, আরশের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে গুঞ্জন
সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালে তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় ‘ন’ডরাই’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সুনেরাহ বিনতে কামালের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জেতেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ওটিটি, সিনেমা ও টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করলেও তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় আর দেখা যায়নি সুনেরাহকে। ছয় বছর পর আবার এই পরিচালকের নির্দেশনায় কাজ করছেন তিনি।

নতুন এই কাজের শুটিং করতে ১৮ ডিসেম্বর নেপালে যান সুনেরাহ। গতকাল শেষ হয়েছে শুটিং। গতকাল তানিম রহমান অংশুর সঙ্গে তোলা শুটিংয়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘কিছু একটা হচ্ছে। ছয় বছর পর একসঙ্গে আমরা কাজ করছি। সবাইকে দেখানোর অপেক্ষায়।’

নতুন এই কাজ নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় সুনেরাহর সঙ্গে। নেপাল থেকে খুদেবার্তায় সুনেরাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারুণ ইন্টারেস্টিং একটা কাজ করছি। এখানে আমাকে এমন চরিত্রে দেখা যাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখা যায়নি।’

এটি ওটিটি কনটেন্ট নাকি সিনেমা, সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে রাজি নন সুনেরাহ। বললেন, ‘কাজটি কোথায় দেখা যাবে এ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না। আশা করছি শিগগির দর্শক কাজটি দেখতে পারবে।’

আরশের সঙ্গে সুনেরাহ বিনতে কামাল
আরশের সঙ্গে সুনেরাহ বিনতে কামাল

শুটিং অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুনেরাহ বলেন, ‘খুব ঠান্ডার মধ্যে শুটিং করতে হচ্ছে। আমরা যেখানে শুটিং করছি, সেখানে মাইনাস ডিগ্রি। প্রথমবার এ রকম আবহাওয়াতে শুটিং করলাম। সব মিলিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু কাজটি খুব ভালো হয়েছে।’

অন্যদিকে, ২২ ডিসেম্বর ভিন্ন একটি ছবি পোস্ট করেন সুনেরাহ। অভিনেতা আরশ খানের সঙ্গে তোলা ছবিটিতে দেখা যায়, সমুদ্রপারে আরশ ও সুনেরাহ দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে হাসছেন। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ছবিটি। অনেকেই দাবি করেন, এই ছবি দিয়ে আরশের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন স্বীকার করলেন সুনেরাহ। অনেকে তাঁদের শুভকামনা জানান।

বরাবরের মতো এবারও প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সুনেরাহ। জানালেন এই ছবিতে নেটিজেনদের শুভেচ্ছাবার্তা তাঁকে বিস্মিত করেছে। আরও জানালেন থাইল্যান্ডে শুটিংয়ের সময় তোলা হয়েছিল ভাইরাল হওয়া ছবিটি। থাইল্যান্ডে ওই সময় একসঙ্গে ছয়টি নাটকের শুটিংয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই ছবিটি ভালো লাগায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সুনেরাহ। এর বাইরে কিছু না।

নাটক, ওটিটি ও সিনেমা—সব মাধ্যমেই ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনেরাহ। টিভি ও ইউটিউবে নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে তাঁর অভিনীত নাটক। গত মাস থেকে প্রচার শুরু হয়েছে সুনেরাহর প্রথম ধারাবাহিক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। সম্প্রতি শেষ করেছেন আরাফাত মহসিন নিধি পরিচালিত একটি সিরিজের শুটিং। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে রুবাইয়াত হোসেনের সিনেমা ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’। এতে সুনেরাহর সহশিল্পী আজমেরী হক বাঁধন, রিকিতা নন্দিনী শিমু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিন উপলক্ষে শিল্পকলায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
এফ মাইনর ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
এফ মাইনর ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় ঈদ, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবার বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামীকাল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আজ ২৪ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। বড়দিনকে ঘিরে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধে মানুষের জীবনকে আলোকিত করার প্রয়াসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় থাকছে সংগীত, ক্যারল সং ও কীর্তন পরিবেশনা।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন তেজগাঁও চার্চ কয়‌্যার শিল্পীরা। পরিবেশনায় অংশ নেবেন ক্রিস্টোফার গ‌োমেজ, দিলীপ মন্ডল, বিজয় গোমেজ, রে‌ক্সোনা মন্ডল, জয়া গ‌োমেজ, বিভা গ‌োমেজ, সুভাষ পি‌রিচ প্রমুখ। সংগীত পরিবেশন করবেন জুলিয়েট সুস্মিতা বাড়ৈ। ব্যান্ডসংগীত নিয়ে মঞ্চে আসবে ব্যান্ড গেৎশিমানী ওরশিপ ও এফ মাইনর। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

উল্লেখ্য, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৩০ মার্চ একাডেমির নন্দনমঞ্চে চাঁদরাতের আনন্দ অনুষ্ঠান, বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ১০ মে একাডেমির নন্দনমঞ্চসহ ৬টি জেলায় সাংস্কৃতিক উৎসব, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ জুন নন্দনমঞ্চে আনন্দ উৎসব, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩০ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ১ অক্টোবর একাডেমির নন্দনমঞ্চে দুই দিনব্যাপী শারদীয় সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রেলারেই ঝড় তুলল নোলানের ‘দ্য ওডিসি’

বিনোদন ডেস্ক
ওডিসিয়াস চরিত্রে ম্যাট ডেমন। ছবি: সংগৃহীত
ওডিসিয়াস চরিত্রে ম্যাট ডেমন। ছবি: সংগৃহীত

‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার সাফল্যের পর ক্রিস্টোফার নোলান নজর দিয়েছেন গ্রিক মহাকাব্যে। গ্রিক কবি হোমারের ‘দ্য ওডিসি’ মহাকাব্য তুলে আনছেন পর্দায়। হাজার হাজার বছর ধরে যে গল্প মানুষ মনে রেখেছে, যেসব চরিত্র রহস্য-রোমান্সের অনুভূতি জাগিয়েছে; সেই গল্প ও চরিত্ররা কতটা জীবন্ত হয়ে ধরা পড়বে ক্যামেরায়, তা নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল ছিল। অবশেষে দ্য ওডিসির ট্রেলার প্রকাশ করল ইউনিভার্সাল পিকচার্স। প্রায় দুই মিনিটের এ ট্রেলার রীতিমতো ঝড় তুলেছে বিশ্বজুড়ে। এ যেন সত্যিই এক মহাকাব্যিক নির্মাণ!

দ্য ওডিসি তৈরি হয়েছে ওডিসিয়াসের নিজ ভূমিতে ফেরার রোমহর্ষক সংগ্রাম নিয়ে। গ্রিসের এক ছোট দ্বীপ ইথাকার রাজা ছিলেন ওডিসিয়াস। ট্রোজান যুদ্ধ শুরু হলে ওডিসিয়াসকে সেই যুদ্ধে অংশ নিতে হয়। একটানা ১০ বছর চলে সেই যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পথে ঝড়ের মুখে পড়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ওডিসিয়াস। পথভ্রষ্ট হয়ে সে সাগরের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের মানুষ, জন্তু-জানোয়ার এবং দেব-দেবীর মুখোমুখি হয়। ভয়ংকর সব বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু নিজের বুদ্ধি, সাহস এবং শক্তি দিয়ে সকল বিপদ পেরিয়ে প্রায় ২০ বছর পর বিজয়ী হিসেবে নিজ দেশে ফেরে ওডিসিয়াস।

দ্য ওডিসির ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যায় ট্রয় যুদ্ধের ময়দানে পড়ে থাকা শত শত সমাধির দৃশ্য। বাড়ি ফেরার জন্য সৈন্য বাহিনী নিয়ে রওনা দেয় ওডিসিয়াস। বিপৎসংকুল সমুদ্রযাত্রা, পথে শত্রুদের হানা, কখনো তীব্র ঝড়, ভুল দ্বীপে গিয়ে ওঠা, নতুন নতুন বিপদ—সবকিছুই ক্যামেরায় নিখুঁতভাবে তুলে এনেছেন ক্রিস্টোফার নোলান!

সিনেমার মুখ্য চরিত্র ওডিসিয়াসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন। ট্রেলারের প্রায় পুরোটা জুড়ে তাঁর উপস্থিতি। কয়েক ঝলক দেখা গেল ওডিসিয়াসের ছেলে টেলিমাকাস চরিত্রে টম হল্যান্ড এবং ওডিসিয়াসের স্ত্রী পেনেলোপের চরিত্রে অ্যান হ্যাথাওয়েকে। আরও অভিনয় করেছেন রবার্ট প্যাটিনসন, জেন্ডায়া, শার্লিজ থেরন, মিয়া গোথ, বেনি সাফডি, জন বার্নথাল প্রমুখ। তবে ট্রেলারে তাঁদের দেখা যায়নি।

দ্য ওডিসি সিনেমায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন আইম্যাক্স ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন ক্রিস্টোফার নোলান। ২০ লাখ ফুট ফিল্ম খরচ করেছেন গল্পটি তুলে আনতে।

বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৭ জুলাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শত পর্বে ধারাবাহিক ‘তেল ছাড়া পরোটা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শত পর্বে ধারাবাহিক ‘তেল ছাড়া পরোটা’

গত আগস্টে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয় ধারাবাহিক নাটক ‘তেল ছাড়া পরোটা’। সমাজের নীতিবান ও নীতিহীন মানুষের গল্পে ধারাবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার। দেখতে দেখতে শত পর্বের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নাটকটি। আজ রাত ৮টায় প্রচার হবে তেল ছাড়া পরোটা ধারাবাহিকের ১০০তম পর্ব।

তেল ছাড়া পরোটা নাটকের গল্পে দেখা যায় একটি পরিবার একসময় তিলের খাজার ব্যবসা করত। এখন তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতাবানদের তোষামোদ করে বিশাল ব্যবসা গড়ে তুলেছে। তাদের ব্যবসা সরিষার তেল, নারকেল তেলের। এমনকি জ্বালানি তেল পেট্রলের ব্যবসাও আছে। তাদের কোম্পানির নাম তিলের খাজা অয়েল মিল কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে, রয়েছে আরেক পরিবার, যারা সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তোষামোদ নয়, তারা নিজেদের নীতিতেই বিশ্বাসী। এই দুই পরিবারের মধ্যকার সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও সামাজিক সংঘাত নিয়েই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।

নির্মাতা বলেন, ‘সমাজে একদল মানুষ আছে, যারা বিশ্বাস করে, উন্নতি করতে হলে সমাজে যারা ক্ষমতাবান, তাদের তেল দিয়ে চলতে হয়। অন্যদিকে আরেক দল মানুষ আছে, যারা কাউকে তোষামোদ করতে পছন্দ করে না। এসব কারণে অনেক প্রতিভাবান হারিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি মানুষ হিসেবে আমাকে যন্ত্রণা দেয়। সেই যন্ত্রণা থেকে গল্পের শুরু। এরপর নানাভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী গল্প এগিয়ে গেছে।’

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, কচি খন্দকার, রোবেনা রেজা জুঁই, সুজাত শিমুল, অনিক, আব্দুল্লাহ রানা, মিলি বাসার প্রমুখ।

গত মাসে নির্মাতা কচি খন্দকার জানিয়েছিলেন, ১০০ পর্ব থেকে ধারাবাহিকের গল্পে আসবে নতুন চমক। সেই চমকের অংশ হিসেবে ধারাবাহিকে যুক্ত হবেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। এতে মোশাররফ করিমকে দেখা যাবে তেল কোম্পানির মালিকানা হারিয়ে সংগ্রাম করা এক চরিত্রে। মূলত তেল কোম্পানি থেকে তাঁর অংশ দখল হয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত