জাহাঙ্গীর আলম

যদি আকাশে সহস্র সূর্যের প্রভা যুগপৎ উদিত হয়, তাহলে সেই মহাত্মা বিশ্বরূপের প্রভার কিঞ্চিৎ তুল্য হতে পারে—গীতার এই শ্লোক আউরে নিজ হাতে গড়া মারণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা উদ্যাপন করেছিলেন ওপেনহাইমার। তাঁর মতো মৃদুভাষি চাপা স্বভাবের জ্ঞানী মানুষ আনন্দিত হলেও নিজের সৃষ্ট তেজস্ক্রিয় বোমার মতো ফেটে পড়েননি। পরক্ষণেই অবশ্য তাঁকে ঘিরে ফেলে অবসাদ, অপরাধবোধে বিদ্ধ বিষণ্ন একা মানুষ হিসেবে বাকি জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘটনার কয়েক বছর পর তিনি বলেছিলেন, ওই সময় গীতার আরেকটি শ্লোক তাঁর মনে পড়েছিল—আমিই মৃত্যু, পৃথিবী ধ্বংসের কারণ! এটি হয়তো তাঁর পরবর্তী উপলব্ধির প্রকাশ।
সে অর্থে ওপেনহাইমার তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা মেধাবী এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল মানুষ ছিলেন। যদিও তাঁর হাতে গড়া মারণাস্ত্রেই বিশ্ববাসী প্রথম পারমাণবিক বোমার অভূতপূর্ব বিধ্বংসী রূপ দেখেছে। এ নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমাটির উপস্থাপন কৌশলের গুণে ওপেনহাইমারকে চাইলে দুভাবেই বিচার করা যেতে পারে। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ওপেনহাইমার তাঁর অবদানের কারণে প্রশংসিত, পরবর্তীতে মার্কিন রাজনীতিকদের সন্দেহবাতিকতার কারণে অপমানিত একজন হিরো। আবার হলিউডের ‘দায়মুক্তি প্রকল্পের’ অংশ হিসেবেও দেখা যেতে পারে এই সিনেমাকে।
নৈতিক বিচারের আগে ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার একটি সাধারণ পর্যালোচনা করা যাক:
ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ হলো একটি বিখ্যাত চরিত্রের বিশ্লেষণ এবং এবং ইতিহাসের একটি সুস্পষ্ট বিবরণ। ওপেনহাইমার হলেন সেই অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি যিনি ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেটি ছিল পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রকল্প। যেই বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল।
কিন্তু নোলানের এই দুঃসাহসী মহাকাব্যের সম্ভবত সবচেয়ে বিস্ময়কর উপাদানটি হলো—রাজনৈতিক খেলার যে উত্তেজনাকর দৃশ্যায়ন, শেষ পর্যন্ত সেটি পারমাণবিক অস্ত্রের বিধ্বংসী প্রকৃতিকে আড়াল করে ফেলেছে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম উজ্জ্বল বৈজ্ঞানিক মানস বলা হয় যাকে সেই ওপেনহাইমার শেষ জীবনে আমেরিকার সমর আকাঙ্ক্ষী চিন্তাধারার বিরুদ্ধে নিজের উচ্চকিত কণ্ঠের কারণে সেই সময়ই রাজনীতিকদের দ্বারা নিন্দিত হয়েছেন।
চিসেলিং কাই বার্ড এবং মার্টিন জে শেরম্যান রচিত ওপেনহাইমারের জীবনী ‘আমেরিকান প্রমিথিউস: দ্য ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি অব জে. রবার্ট ওপেনহাইমার’ অবলম্বনেই এই সিনেমা বানিয়েছেন নোলান। অবশ্য ৭০০–এর বেশি পৃষ্ঠার বইটি থেকে ৩ ঘণ্টার চিত্রনাট্য বানাতে গিয়ে নোলান পুরো প্লটটিকে দর্শকদের সামনে হাজির করতে পারেননি।
সিনেমাটি প্রথমে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার মতো জটিল বিষয় নিয়ে গভীর কথাবার্তায় ঠাসা বলে মনে হতে পারে। যেখানে দেখা যায়, বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের ব্যবসায়িক লেবাসের কিছু পুরুষ অফিস এবং ল্যাবে দাঁড়িয়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে আলোচনা করছেন। পদার্থবিদ্যায় যাদের ধারণা নেই তাদের জন্য সেটি দুর্বোধ্যই। তবে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে দর্শকদের স্বস্তি দেওয়ার মতো দৃশ্য দেখানো হয়েছে— যখন ফিউশন বোমার উপাদান হিসেবে ইউরেনিয়াম এবং প্লুটোনিয়ামের মধ্যে পার্থক্য দেখানোর জন্য কাচের পাত্রে মার্বেল রেখে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়।
নোলানের অবশ্য ঘটনা বর্ণনার নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে—তাঁর সিনেমার জটিল উপাদানগুলো ক্রমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ সিনেমাতেও তাই হয়েছে। ওয়াশিংটনে ওপেনহাইমারের বিরুদ্ধে শুনানিও এখানে মূল উপজীব্য। পুরো আখ্যানে ছেদ ঘটনায় শুরুর দৃশ্য। অবশ্য শেষ ঘণ্টার পুরোটাই দখল করে আছে সেই শুনানিগুলো।
জে. রবার্ট ওপেনহাইমার হিসেবে কিলিয়ান মারফি এবং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের ভূমিকায় টম কন্টির মধ্যে একটি ব্যক্তিগত কথোপকথন দুর্দান্তভাবে এই দুই মহান বিজ্ঞানীর দৃষ্টিভঙ্গিকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। এই দৃশ্যে দেখানো হয়েছে, দুই মেধাবী মানুষের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি তাঁদের নিজ নিজ শাখার বিজ্ঞানের ব্যাপারে কতটা আলাদা ছিল—সেটিরই এক আবেগঘন দৃশ্যায়ন সেটি।
ফোর–অ্যাক্ট কাঠামোর সিনেমা দেখে যারা অভ্যস্ত তাঁদের জন্য নোলানের ওপেনহাইমার শুরুতে কিছুটা হতাশ করতে পারে। অবশ্য ধৈর্যশীল ও একাগ্র দর্শকদের জন্য পুরস্কার হিসেবে একটি টানটান উত্তেজনার দৃশ্য রাখা হয়েছে— নিউ মেক্সিকোর মরুভূমিতে ১৯৪৫ সালের পরমাণু বোমার প্রথম পরীক্ষা। ওপেনহাইমার যেটির নাম দিয়েছিলেন ‘ট্রিনিটি’। এই বোমায় জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ঐতিহ্যগতভাবে সিনেমার থ্রি-অ্যাক্ট কাঠামোই বেশি অনুসরণ করা হয়। তবে ১. সেটআপ, ২. দ্বন্দ্ব, ৩. রেজুলেশন বা সমাধান –এর পাশাপাশি ফোর–অ্যাক্ট কাঠামোতে তৃতীয় পর্বে থাকে ‘সংকট’।
১৯৪৫ সালের সেই ঘটনা আধুনিক মানব ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত। আমেরিকান নায়ক হিসেবে ওপেনহাইমারকে সেই সাফল্যের মুকুট দেওয়া হয়। কিন্তু একই সঙ্গে সিনেমায় কিলিয়ান মারফির অভিব্যক্তিপূর্ণ মুখমণ্ডলজুড়ে নৈতিক পরাজয়ের ক্ষোভ ও বিব্রতবোধ ফুটে উঠেছে অসাধারণ মহিমায়। এরপরেই দর্শকদের সামনে হাজির হয় গা হিম করা উইচ হান্ট—কমিউনিস্ট ধরার অভিযান। যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাকার্থি যুগের সবচেয়ে জঘন্য কলাকৌশলগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে এই ঘটনা।
ক্রিস্টোফার নোলান স্বভাবসুলভ দক্ষতায় ওপেনহাইমার এবং তাঁর সপ্রতিভ স্ত্রী কিটির (অভিনয়ে এমিলি ব্লান্ট) সেই সময়ের বেদনা এবং অপমানকে দৃশ্যায়িত করেছেন। পাঁচ বছর পর আইজেনহাওয়ার প্রশাসনের বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে লুইস স্ট্রসকে (অভিনয়ে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র) নিয়োগের সিনেট শুনানিতে আবার উঠে আসে ওপেনহাইমারের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ। আবার শুরু হয় শুনানি।
লুইস স্ট্রসের চরিত্রে রাবর্ট ডাউনি অসাধারণ অভিনয় করেছেন। পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পরে চেয়ারম্যান হন স্ট্রস। তাঁর চরিত্রকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন রবার্ট ডাউনি। স্ট্রসের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা অহংকারী ওপেনহাইমারের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ করে তুলেছিল। এমন একটি চরিত্রে আয়রন ম্যানের টনি স্টার্ক তাঁর মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন।
একজন জুতার বিক্রয়কর্মী হিসেবে স্ট্রসের উত্থানকে রবার্ট ডাউনি নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই চরিত্র চিত্রায়ণের যে উদ্দেশ্য ছিল নির্মাতার তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সিনেমার শেষের দিকে। সম্পর্কের ক্ষত এবং ক্রোধের তিক্ত স্রোতে ভেসে যাওয়া একটি চরিত্রকে ডাউনি যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তা আজকালকার বড় বাজেটের চোখ ধাঁধানো সুপারহিরোদের কসরত দেখে উল্লাস করা দর্শকেরা বুঝবেন না!
এই সিনেমা আপনাকে ধীরে ধীরে উত্তেজিত করবে। তত্ত্বীয় পদার্থবিদ্যার দুর্বোধ্য আলাপে ধৈর্যচ্যুতি না ঘটলে ক্রমেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে—আধো আলোর ক্যাপিটল হিল কনফারেন্স রুম এবং সিনেট চেম্বারের শীতল বৈঠক থেকে শুরু করে প্রতিটি নতুন মোড়, বিশ্বাসঘাতকতা, আনুগত্য, ঘৃণা, ঈর্ষা আপনাকে বাকিটা সময় শ্বাসরুদ্ধ করে রাখবে।
মানুষ এবং বিজ্ঞান, যুদ্ধ এবং ওয়াশিংটনের সুবিধাবাদী চরিত্র—এসবের একটি বুদ্ধিদীপ্ত গল্পের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে কিলিয়ান মারফি নিখুঁতভাবে চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। মৃদুভাষী ওপেনহাইমারের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জটিলতাগুলো দৃশ্যত চাপা স্বভাবের সংযমী একজন মানুষ হয়ে শুধু মুখভঙ্গিতে ফুটিয়ে তোলা সহজ কথা নয়!
মারফির তীক্ষ্ণ ফ্যাকাশে নীল চোখ পদার্থবিজ্ঞানীর বুদ্ধির দীপ্তি, দৃঢ় সংকল্প এবং যন্ত্রণার একটি জানালা হয়ে উঠেছে। সেটি স্পষ্ট হয়েছে যখন (পৃথিবী ধ্বংসের অস্ত্র বানিয়ে) নিজের নির্বুদ্ধিতা স্বীকার করেন এবং দ্রুতই এর প্রভাব চাক্ষুষ করতে থাকেন। এত বড় একটি কাজ করে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার পরিবর্তে তাঁকে ভয়ানক রকম উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। তিনি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তখনই যেমনটি কল্পনা করেছিলেন—জাপানে বোমা বিস্ফোরণ কেবল স্নায়ুযুদ্ধের দরজাই খুলে দেয়নি, আরও শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার ক্রমবর্ধমান হুমকির দিকে পৃথিবীকে ঠেলে দিয়েছে—আজকের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি তাঁকে আলোড়িত করেছিল।
মেজর লেসলি গ্রোভস (অভিনয়ে ম্যাট ডেমন) যিনি ওপেনহাইমারকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। একটি অত্যন্ত গোপন গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকা এবং সরকার ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে যোগাযোগের ব্যবস্থা করার মতো গুরুদায়িত্ব কাঁধে বহন করা একজন সামরিক কর্মকর্তাকে রাশভারী হিসেবেই দেখে অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু লেসলি গ্রোভসের চরিত্রটিও দর্শকদের আনন্দ দিতে পেরেছে। সরকারের হয়ে যুদ্ধের পক্ষে কাজ নিঃসন্দেহে একটি ঘৃণ্য পেশা। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁকে অনেক সময় কঠোর হতে হয়েছে। কিন্তু ওপেনহাইমারের প্রতিভাকে মনে মনে শ্রদ্ধা করতেন। সেটি ১৯৫৪ সালের শুনানিতে এসে স্পষ্ট হয়। এমন একটি চরিত্রে ম্যাট ডেমন দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন।
স্ত্রীর চরিত্রে এমিলি ব্লান্ট, পরীক্ষামূলক পদার্থবিদ চরিত্রে রামি মালেকসহ ছোটখাটো আরও কিছু চরিত্রকে কখনোই অপ্রয়োজনীয় মনে হবে না। আইনস্টাইন, নিলস বোরের মতো বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিও চোখে লেগে থাকার মতো।
সেই সঙ্গে নোলানের অসাধারণ পরিমিতিবোধ, জেনিফার লেমের চতুর সম্পাদনা এবং লুডভিগ গোরানসনের সংগীতায়োজন—ওপেনহাইমারের উপাখ্যানটি অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
এবার এই সিনেমার আরেকটি দিক বিবেচনা করা যাক:
সাধারণত ভূরাজনীতির খেলায় যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অপরাধ সম্পর্কে জনপরিসরের ধারণা পরিবর্তনের কৌশল হিসেবে হলিউডে এ ধরনের সিনেমা বানানো হয়। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ‘র্যাম্বো’ সিরিজ। এ ধরনের সিনেমা কখনোই ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ কিংবা বিশুদ্ধ হত্যার বিরুদ্ধে সচেতন আপত্তি বা বিরোধিতা নয়’। যুদ্ধফেরত ‘কিলিং মেশিনদের’ প্রতি মানুষের সমবেদনা তৈরির প্রকল্প এগুলো।
এ ধরনের সিনেমায় প্রত্যক্ষ খুনিদেরই যুদ্ধের ভিকটিম হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। যেন তাঁদের নিজস্ব সত্তা বলতে কিছু নেই। খুবই সুকৌশলে এসব সিনেমায় কখনোই আমেরিকার মারণাস্ত্রের শিকার মানুষদের ভোগান্তির দৃশ্য দেখানো হয় না। যেমনটি হয়নি ওপেনহাইমারেও। যুদ্ধ–বিরোধী কোনো বার্তা দেয় না এসব সিনেমা। বরং যুদ্ধে পরাজয়ের দায় নীতিনির্ধারক বা রাজনীতিকদের ঘাড়ে চাপিয়ে হত্যাকারীদের অপরাধ লঘূকরণের দায়িত্ব নেয় হলিউড। নতুন যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি করতে খুনিদের প্রতি সহানুভূতি উৎপাদন করা হয়। শেষ পর্যন্ত দেশের সার্বভৌমত্বের বিপরীতে তুচ্ছ ক্ষমতাহীন নাগরিককে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে যুদ্ধের আসল ভুক্তভোগীদের থেকে দৃষ্টি ফেরানো হয়।
ওপেনহাইমারের গল্প বলার যে কৌশল সেখানেও ক্রিস্টোফার নোলান যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধ স্বাভাবিকীকরণ ফরমুলাতেই হেঁটেছেন। অবশ্য একজন গল্পকার, নির্মাতা হিসেবে তিনি তাঁর মুনশিয়ানার পুরোটাই যে আবারও দেখিয়েছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

যদি আকাশে সহস্র সূর্যের প্রভা যুগপৎ উদিত হয়, তাহলে সেই মহাত্মা বিশ্বরূপের প্রভার কিঞ্চিৎ তুল্য হতে পারে—গীতার এই শ্লোক আউরে নিজ হাতে গড়া মারণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা উদ্যাপন করেছিলেন ওপেনহাইমার। তাঁর মতো মৃদুভাষি চাপা স্বভাবের জ্ঞানী মানুষ আনন্দিত হলেও নিজের সৃষ্ট তেজস্ক্রিয় বোমার মতো ফেটে পড়েননি। পরক্ষণেই অবশ্য তাঁকে ঘিরে ফেলে অবসাদ, অপরাধবোধে বিদ্ধ বিষণ্ন একা মানুষ হিসেবে বাকি জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘটনার কয়েক বছর পর তিনি বলেছিলেন, ওই সময় গীতার আরেকটি শ্লোক তাঁর মনে পড়েছিল—আমিই মৃত্যু, পৃথিবী ধ্বংসের কারণ! এটি হয়তো তাঁর পরবর্তী উপলব্ধির প্রকাশ।
সে অর্থে ওপেনহাইমার তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা মেধাবী এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল মানুষ ছিলেন। যদিও তাঁর হাতে গড়া মারণাস্ত্রেই বিশ্ববাসী প্রথম পারমাণবিক বোমার অভূতপূর্ব বিধ্বংসী রূপ দেখেছে। এ নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমাটির উপস্থাপন কৌশলের গুণে ওপেনহাইমারকে চাইলে দুভাবেই বিচার করা যেতে পারে। একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ওপেনহাইমার তাঁর অবদানের কারণে প্রশংসিত, পরবর্তীতে মার্কিন রাজনীতিকদের সন্দেহবাতিকতার কারণে অপমানিত একজন হিরো। আবার হলিউডের ‘দায়মুক্তি প্রকল্পের’ অংশ হিসেবেও দেখা যেতে পারে এই সিনেমাকে।
নৈতিক বিচারের আগে ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার একটি সাধারণ পর্যালোচনা করা যাক:
ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ হলো একটি বিখ্যাত চরিত্রের বিশ্লেষণ এবং এবং ইতিহাসের একটি সুস্পষ্ট বিবরণ। ওপেনহাইমার হলেন সেই অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি যিনি ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেটি ছিল পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রকল্প। যেই বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল।
কিন্তু নোলানের এই দুঃসাহসী মহাকাব্যের সম্ভবত সবচেয়ে বিস্ময়কর উপাদানটি হলো—রাজনৈতিক খেলার যে উত্তেজনাকর দৃশ্যায়ন, শেষ পর্যন্ত সেটি পারমাণবিক অস্ত্রের বিধ্বংসী প্রকৃতিকে আড়াল করে ফেলেছে। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম উজ্জ্বল বৈজ্ঞানিক মানস বলা হয় যাকে সেই ওপেনহাইমার শেষ জীবনে আমেরিকার সমর আকাঙ্ক্ষী চিন্তাধারার বিরুদ্ধে নিজের উচ্চকিত কণ্ঠের কারণে সেই সময়ই রাজনীতিকদের দ্বারা নিন্দিত হয়েছেন।
চিসেলিং কাই বার্ড এবং মার্টিন জে শেরম্যান রচিত ওপেনহাইমারের জীবনী ‘আমেরিকান প্রমিথিউস: দ্য ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি অব জে. রবার্ট ওপেনহাইমার’ অবলম্বনেই এই সিনেমা বানিয়েছেন নোলান। অবশ্য ৭০০–এর বেশি পৃষ্ঠার বইটি থেকে ৩ ঘণ্টার চিত্রনাট্য বানাতে গিয়ে নোলান পুরো প্লটটিকে দর্শকদের সামনে হাজির করতে পারেননি।
সিনেমাটি প্রথমে কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যার মতো জটিল বিষয় নিয়ে গভীর কথাবার্তায় ঠাসা বলে মনে হতে পারে। যেখানে দেখা যায়, বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের ব্যবসায়িক লেবাসের কিছু পুরুষ অফিস এবং ল্যাবে দাঁড়িয়ে কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে আলোচনা করছেন। পদার্থবিদ্যায় যাদের ধারণা নেই তাদের জন্য সেটি দুর্বোধ্যই। তবে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে দর্শকদের স্বস্তি দেওয়ার মতো দৃশ্য দেখানো হয়েছে— যখন ফিউশন বোমার উপাদান হিসেবে ইউরেনিয়াম এবং প্লুটোনিয়ামের মধ্যে পার্থক্য দেখানোর জন্য কাচের পাত্রে মার্বেল রেখে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়।
নোলানের অবশ্য ঘটনা বর্ণনার নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে—তাঁর সিনেমার জটিল উপাদানগুলো ক্রমে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ সিনেমাতেও তাই হয়েছে। ওয়াশিংটনে ওপেনহাইমারের বিরুদ্ধে শুনানিও এখানে মূল উপজীব্য। পুরো আখ্যানে ছেদ ঘটনায় শুরুর দৃশ্য। অবশ্য শেষ ঘণ্টার পুরোটাই দখল করে আছে সেই শুনানিগুলো।
জে. রবার্ট ওপেনহাইমার হিসেবে কিলিয়ান মারফি এবং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের ভূমিকায় টম কন্টির মধ্যে একটি ব্যক্তিগত কথোপকথন দুর্দান্তভাবে এই দুই মহান বিজ্ঞানীর দৃষ্টিভঙ্গিকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। এই দৃশ্যে দেখানো হয়েছে, দুই মেধাবী মানুষের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি তাঁদের নিজ নিজ শাখার বিজ্ঞানের ব্যাপারে কতটা আলাদা ছিল—সেটিরই এক আবেগঘন দৃশ্যায়ন সেটি।
ফোর–অ্যাক্ট কাঠামোর সিনেমা দেখে যারা অভ্যস্ত তাঁদের জন্য নোলানের ওপেনহাইমার শুরুতে কিছুটা হতাশ করতে পারে। অবশ্য ধৈর্যশীল ও একাগ্র দর্শকদের জন্য পুরস্কার হিসেবে একটি টানটান উত্তেজনার দৃশ্য রাখা হয়েছে— নিউ মেক্সিকোর মরুভূমিতে ১৯৪৫ সালের পরমাণু বোমার প্রথম পরীক্ষা। ওপেনহাইমার যেটির নাম দিয়েছিলেন ‘ট্রিনিটি’। এই বোমায় জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকি শহরকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ঐতিহ্যগতভাবে সিনেমার থ্রি-অ্যাক্ট কাঠামোই বেশি অনুসরণ করা হয়। তবে ১. সেটআপ, ২. দ্বন্দ্ব, ৩. রেজুলেশন বা সমাধান –এর পাশাপাশি ফোর–অ্যাক্ট কাঠামোতে তৃতীয় পর্বে থাকে ‘সংকট’।
১৯৪৫ সালের সেই ঘটনা আধুনিক মানব ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত। আমেরিকান নায়ক হিসেবে ওপেনহাইমারকে সেই সাফল্যের মুকুট দেওয়া হয়। কিন্তু একই সঙ্গে সিনেমায় কিলিয়ান মারফির অভিব্যক্তিপূর্ণ মুখমণ্ডলজুড়ে নৈতিক পরাজয়ের ক্ষোভ ও বিব্রতবোধ ফুটে উঠেছে অসাধারণ মহিমায়। এরপরেই দর্শকদের সামনে হাজির হয় গা হিম করা উইচ হান্ট—কমিউনিস্ট ধরার অভিযান। যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাকার্থি যুগের সবচেয়ে জঘন্য কলাকৌশলগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে এই ঘটনা।
ক্রিস্টোফার নোলান স্বভাবসুলভ দক্ষতায় ওপেনহাইমার এবং তাঁর সপ্রতিভ স্ত্রী কিটির (অভিনয়ে এমিলি ব্লান্ট) সেই সময়ের বেদনা এবং অপমানকে দৃশ্যায়িত করেছেন। পাঁচ বছর পর আইজেনহাওয়ার প্রশাসনের বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে লুইস স্ট্রসকে (অভিনয়ে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র) নিয়োগের সিনেট শুনানিতে আবার উঠে আসে ওপেনহাইমারের বিরুদ্ধে তথ্য পাচারের অভিযোগ। আবার শুরু হয় শুনানি।
লুইস স্ট্রসের চরিত্রে রাবর্ট ডাউনি অসাধারণ অভিনয় করেছেন। পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং পরে চেয়ারম্যান হন স্ট্রস। তাঁর চরিত্রকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন রবার্ট ডাউনি। স্ট্রসের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা অহংকারী ওপেনহাইমারের প্রতি প্রতিশোধপরায়ণ করে তুলেছিল। এমন একটি চরিত্রে আয়রন ম্যানের টনি স্টার্ক তাঁর মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন।
একজন জুতার বিক্রয়কর্মী হিসেবে স্ট্রসের উত্থানকে রবার্ট ডাউনি নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই চরিত্র চিত্রায়ণের যে উদ্দেশ্য ছিল নির্মাতার তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সিনেমার শেষের দিকে। সম্পর্কের ক্ষত এবং ক্রোধের তিক্ত স্রোতে ভেসে যাওয়া একটি চরিত্রকে ডাউনি যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তা আজকালকার বড় বাজেটের চোখ ধাঁধানো সুপারহিরোদের কসরত দেখে উল্লাস করা দর্শকেরা বুঝবেন না!
এই সিনেমা আপনাকে ধীরে ধীরে উত্তেজিত করবে। তত্ত্বীয় পদার্থবিদ্যার দুর্বোধ্য আলাপে ধৈর্যচ্যুতি না ঘটলে ক্রমেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে—আধো আলোর ক্যাপিটল হিল কনফারেন্স রুম এবং সিনেট চেম্বারের শীতল বৈঠক থেকে শুরু করে প্রতিটি নতুন মোড়, বিশ্বাসঘাতকতা, আনুগত্য, ঘৃণা, ঈর্ষা আপনাকে বাকিটা সময় শ্বাসরুদ্ধ করে রাখবে।
মানুষ এবং বিজ্ঞান, যুদ্ধ এবং ওয়াশিংটনের সুবিধাবাদী চরিত্র—এসবের একটি বুদ্ধিদীপ্ত গল্পের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে কিলিয়ান মারফি নিখুঁতভাবে চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। মৃদুভাষী ওপেনহাইমারের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জটিলতাগুলো দৃশ্যত চাপা স্বভাবের সংযমী একজন মানুষ হয়ে শুধু মুখভঙ্গিতে ফুটিয়ে তোলা সহজ কথা নয়!
মারফির তীক্ষ্ণ ফ্যাকাশে নীল চোখ পদার্থবিজ্ঞানীর বুদ্ধির দীপ্তি, দৃঢ় সংকল্প এবং যন্ত্রণার একটি জানালা হয়ে উঠেছে। সেটি স্পষ্ট হয়েছে যখন (পৃথিবী ধ্বংসের অস্ত্র বানিয়ে) নিজের নির্বুদ্ধিতা স্বীকার করেন এবং দ্রুতই এর প্রভাব চাক্ষুষ করতে থাকেন। এত বড় একটি কাজ করে বিশ্বকে চমকে দেওয়ার পরিবর্তে তাঁকে ভয়ানক রকম উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল। তিনি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তখনই যেমনটি কল্পনা করেছিলেন—জাপানে বোমা বিস্ফোরণ কেবল স্নায়ুযুদ্ধের দরজাই খুলে দেয়নি, আরও শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার ক্রমবর্ধমান হুমকির দিকে পৃথিবীকে ঠেলে দিয়েছে—আজকের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি তাঁকে আলোড়িত করেছিল।
মেজর লেসলি গ্রোভস (অভিনয়ে ম্যাট ডেমন) যিনি ওপেনহাইমারকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। একটি অত্যন্ত গোপন গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকা এবং সরকার ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে যোগাযোগের ব্যবস্থা করার মতো গুরুদায়িত্ব কাঁধে বহন করা একজন সামরিক কর্মকর্তাকে রাশভারী হিসেবেই দেখে অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু লেসলি গ্রোভসের চরিত্রটিও দর্শকদের আনন্দ দিতে পেরেছে। সরকারের হয়ে যুদ্ধের পক্ষে কাজ নিঃসন্দেহে একটি ঘৃণ্য পেশা। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁকে অনেক সময় কঠোর হতে হয়েছে। কিন্তু ওপেনহাইমারের প্রতিভাকে মনে মনে শ্রদ্ধা করতেন। সেটি ১৯৫৪ সালের শুনানিতে এসে স্পষ্ট হয়। এমন একটি চরিত্রে ম্যাট ডেমন দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন।
স্ত্রীর চরিত্রে এমিলি ব্লান্ট, পরীক্ষামূলক পদার্থবিদ চরিত্রে রামি মালেকসহ ছোটখাটো আরও কিছু চরিত্রকে কখনোই অপ্রয়োজনীয় মনে হবে না। আইনস্টাইন, নিলস বোরের মতো বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিও চোখে লেগে থাকার মতো।
সেই সঙ্গে নোলানের অসাধারণ পরিমিতিবোধ, জেনিফার লেমের চতুর সম্পাদনা এবং লুডভিগ গোরানসনের সংগীতায়োজন—ওপেনহাইমারের উপাখ্যানটি অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
এবার এই সিনেমার আরেকটি দিক বিবেচনা করা যাক:
সাধারণত ভূরাজনীতির খেলায় যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অপরাধ সম্পর্কে জনপরিসরের ধারণা পরিবর্তনের কৌশল হিসেবে হলিউডে এ ধরনের সিনেমা বানানো হয়। এর একটি উদাহরণ হতে পারে ‘র্যাম্বো’ সিরিজ। এ ধরনের সিনেমা কখনোই ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ কিংবা বিশুদ্ধ হত্যার বিরুদ্ধে সচেতন আপত্তি বা বিরোধিতা নয়’। যুদ্ধফেরত ‘কিলিং মেশিনদের’ প্রতি মানুষের সমবেদনা তৈরির প্রকল্প এগুলো।
এ ধরনের সিনেমায় প্রত্যক্ষ খুনিদেরই যুদ্ধের ভিকটিম হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। যেন তাঁদের নিজস্ব সত্তা বলতে কিছু নেই। খুবই সুকৌশলে এসব সিনেমায় কখনোই আমেরিকার মারণাস্ত্রের শিকার মানুষদের ভোগান্তির দৃশ্য দেখানো হয় না। যেমনটি হয়নি ওপেনহাইমারেও। যুদ্ধ–বিরোধী কোনো বার্তা দেয় না এসব সিনেমা। বরং যুদ্ধে পরাজয়ের দায় নীতিনির্ধারক বা রাজনীতিকদের ঘাড়ে চাপিয়ে হত্যাকারীদের অপরাধ লঘূকরণের দায়িত্ব নেয় হলিউড। নতুন যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি করতে খুনিদের প্রতি সহানুভূতি উৎপাদন করা হয়। শেষ পর্যন্ত দেশের সার্বভৌমত্বের বিপরীতে তুচ্ছ ক্ষমতাহীন নাগরিককে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে যুদ্ধের আসল ভুক্তভোগীদের থেকে দৃষ্টি ফেরানো হয়।
ওপেনহাইমারের গল্প বলার যে কৌশল সেখানেও ক্রিস্টোফার নোলান যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধ স্বাভাবিকীকরণ ফরমুলাতেই হেঁটেছেন। অবশ্য একজন গল্পকার, নির্মাতা হিসেবে তিনি তাঁর মুনশিয়ানার পুরোটাই যে আবারও দেখিয়েছেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১৪ ঘণ্টা আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ হলো একটি বিখ্যাত চরিত্রের বিশ্লেষণ এবং এবং ইতিহাসের একটি সুস্পষ্ট বিবরণ। ওপেনহাইমার হলেন সেই অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি যিনি ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেটি ছিল পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রকল্প। যেই বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল।
২৫ জুলাই ২০২৩
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১৪ ঘণ্টা আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’। পিকাসো খুদার রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন মারুফের রহমান। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও আইশা খান। গল্পে দেখা যাবে, অনেক চেষ্টার পর চাকরি পেয়ে রাহাত গ্রামে যায় মাকে সারপ্রাইজ দিতে। মাকে তার প্রেমিকা মিতুর কথা জানায়। মিতু একই গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। মিতুর বাবা বিয়েতে আপত্তি করে না। তবে কঠিন এক শর্ত দেয়।
এনটিভিতে রাত সাড়ে ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘ফেরা’। রচনা ও পরিচালনায় পাভেল ইসলাম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রান্তর দস্তিদার, অনিন্দিতা মিমি, সুষমা সরকার, পাভেল ইসলাম, ফাহমিদা শারমিন ফাহমি প্রমুখ।
আরটিভিতে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘এই রাত তোমার আমার’-এর বিশেষ পর্ব। গান শোনাবেন সাব্বির জামান ও রাকিবা ঐশী। রাত ৮টায় দেখা যাবে নাটক ‘চলো বদলে যাই’। রচনা ও পরিচালনা ইসতিয়াক আহমেদ রুমেল। অভিনয়ে ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া পায়েল প্রমুখ।
বড়দিন উপলক্ষে শিশুতোষ টিভি চ্যানেল দুরন্ত টিভি প্রচার করবে একাধিক অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টায় থাকছে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘আজি শুভদিনে’। বেলা ১টা ও রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘হৈ হৈ হল্লা সিজন ৩’-এর বিশেষ পর্ব। গল্পে দেখা যাবে, ডাক্তার সফদার চৌধুরী এবং তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটের শিশুদের মধ্যে চলে বড়দিন উদ্যাপনের বিশেষ আয়োজন। ঘটনাক্রমে সান্তা ক্লজের পোশাকসহ বড়দিনের কেনা সব গিফট ছিনতাই হয়ে যায়। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শাহনাজ খুশী, শিশুশিল্পী কাজী আফরা ইভিলিনা, ইশরাক, সমাদৃতা প্রহর, আয়াজ মাহমুদ প্রমুখ। পরিচালনা করেছেন পার্থ প্রতিম হালদার।
বেলা ২টায় প্রচারিত হবে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বানাই মজার খাবার মা-বাবা আর আমি’। এ পর্বের অতিথি হ্যানশেন লুকাস অধিকারী তমন ও তার মা। তারা আনন্দ করে, গল্প-আড্ডায় মেতে বড়দিনের স্পেশাল খাবার রান্না করে। পরিচালনা করেছেন আমিনা নওশিন রাইসা, সঞ্চালনায় রন্ধনশিল্পী আফিফা আখতার লিটা।

আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’। পিকাসো খুদার রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন মারুফের রহমান। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও আইশা খান। গল্পে দেখা যাবে, অনেক চেষ্টার পর চাকরি পেয়ে রাহাত গ্রামে যায় মাকে সারপ্রাইজ দিতে। মাকে তার প্রেমিকা মিতুর কথা জানায়। মিতু একই গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। মিতুর বাবা বিয়েতে আপত্তি করে না। তবে কঠিন এক শর্ত দেয়।
এনটিভিতে রাত সাড়ে ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘ফেরা’। রচনা ও পরিচালনায় পাভেল ইসলাম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রান্তর দস্তিদার, অনিন্দিতা মিমি, সুষমা সরকার, পাভেল ইসলাম, ফাহমিদা শারমিন ফাহমি প্রমুখ।
আরটিভিতে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘এই রাত তোমার আমার’-এর বিশেষ পর্ব। গান শোনাবেন সাব্বির জামান ও রাকিবা ঐশী। রাত ৮টায় দেখা যাবে নাটক ‘চলো বদলে যাই’। রচনা ও পরিচালনা ইসতিয়াক আহমেদ রুমেল। অভিনয়ে ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া পায়েল প্রমুখ।
বড়দিন উপলক্ষে শিশুতোষ টিভি চ্যানেল দুরন্ত টিভি প্রচার করবে একাধিক অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টায় থাকছে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘আজি শুভদিনে’। বেলা ১টা ও রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘হৈ হৈ হল্লা সিজন ৩’-এর বিশেষ পর্ব। গল্পে দেখা যাবে, ডাক্তার সফদার চৌধুরী এবং তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটের শিশুদের মধ্যে চলে বড়দিন উদ্যাপনের বিশেষ আয়োজন। ঘটনাক্রমে সান্তা ক্লজের পোশাকসহ বড়দিনের কেনা সব গিফট ছিনতাই হয়ে যায়। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শাহনাজ খুশী, শিশুশিল্পী কাজী আফরা ইভিলিনা, ইশরাক, সমাদৃতা প্রহর, আয়াজ মাহমুদ প্রমুখ। পরিচালনা করেছেন পার্থ প্রতিম হালদার।
বেলা ২টায় প্রচারিত হবে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বানাই মজার খাবার মা-বাবা আর আমি’। এ পর্বের অতিথি হ্যানশেন লুকাস অধিকারী তমন ও তার মা। তারা আনন্দ করে, গল্প-আড্ডায় মেতে বড়দিনের স্পেশাল খাবার রান্না করে। পরিচালনা করেছেন আমিনা নওশিন রাইসা, সঞ্চালনায় রন্ধনশিল্পী আফিফা আখতার লিটা।

ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ হলো একটি বিখ্যাত চরিত্রের বিশ্লেষণ এবং এবং ইতিহাসের একটি সুস্পষ্ট বিবরণ। ওপেনহাইমার হলেন সেই অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি যিনি ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেটি ছিল পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রকল্প। যেই বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল।
২৫ জুলাই ২০২৩
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১৪ ঘণ্টা আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান। গানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়। সিনেমা মুক্তির আট বছর পর সম্প্রতি মতিন চৌধুরী জানালেন, ঢাকা অ্যাটাক-এ টিকাটুলীর মোড়ে গানটি করার জন্য তিনি কোনো অর্থ পাননি। পরিচালক দীপংকর দীপন তাঁকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ মতিন চৌধুরীর।
মতিন চৌধুরী জানান, টিকাটুলীর মোড়ে গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহারের শর্ত হিসেবে ইউটিউব থেকে আয়ের অর্ধেক দাবি করেছিলেন তিনি। নির্মাতা তখন রাজি হলেও সে অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয়নি তাঁকে। মতিন চৌধুরী বলেন, ‘দীপংকর দীপন সাহেব সিনেমায় গানটি ব্যবহারের জন্য তিন মাস আমাকে খুঁজেছেন। একসময় টঙ্গীতে আমার এক বন্ধুর স্টুডিওতে গিয়ে আমার নম্বর পান। এরপর সংগীত পরিচালক শাহীন কামাল ও মামুন আকন্দকে নিয়ে দীপংকর দীপনের অফিসে যাই। তিনি বলেন, গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহার করবেন। ভিডিওতে আমি থাকব। বিনিময়ে আমার কী চাহিদা জানতে চাইলে বলেছিলাম, আমার বেশি চাহিদা নেই। ইউটিউবে এই গানের ব্যবসা থেকে আমাকে অর্ধেকটা দিতে হবে। এটা স্ট্যাম্পে ডিড করতে হবে বলে জানাই। তিনিও রাজি হন।’
মতিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘এক মাস পর উনি ফোন করে বলেন, গানের শুটিং আছে, আমি যেন গ্রুপ নিয়ে এফডিসিতে যাই। সে সময়ও তাঁকে ডিডের কথা মনে করিয়ে দিই। উনি জবাব দেন, অবশ্যই ডিড করব, আপনি চলে আসেন। কথা অনুযায়ী এফডিসিতে দুই রাত শুটিং করলাম। কিন্তু ডিড আর করা হলো না। আমার সঙ্গে তাঁরা বেইমানি করেছেন। এই গান থেকে আমি কিছু পাইনি। অথচ, তাঁরা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। শুধু তা-ই নয়, দীপংকর সাহেব বলেছিলেন, আমাকে বিভিন্ন চ্যানেলে লাইভ গান করার সুযোগ করে দেবেন। সেটাও করেননি। আজ আমি লাখ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও সেখান থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন দীপংকর সাহেব।’
ঢাকা অ্যাটাক সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেন সানী সানোয়ার। ২০২১ সালে সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় মতিন চৌধুরী গেয়েছিলেন টিকাটুলীর মোড়ে গানের নতুন ভার্সন ‘পান্থপথের মোড়ে’। সে সময় ঢাকা অ্যাটাকের চুক্তির বিষয়টি প্রযোজককে জানিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে মতিন চৌধুরী বলেন, ‘তখন আমাকে বলেছিল দীপংকর দীপনের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন। নতুন গানের জন্য আমাকে কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর কোনো সমাধান হয়নি।’
মতিন চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক দীপংকর দীপনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই নির্মাতা। দীপংকর দীপন বলেন, ‘বিষয়টি মোটেও সত্য নয়। গানের জন্য সে সময় তাঁর পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। আর ইউটিউবের বিষয়টি তিনি এখন কেন বলছেন, তা আমার জানা নেই। যখন ঢাকা অ্যাটাক তৈরি হয় তখন আমাদের দেশে ইউটিউবের এত প্রচলন ছিল না। এ নিয়ে আলোচনা হবে কীভাবে? আমি যখন তাঁকে টিকাটুলীর মোড়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহারের প্রস্তাব দিই, তখন তিনি খুশি ছিলেন। তাঁর শুধু চাহিদা ছিল পর্দায় যেন তাঁকে দেখা যায়।’
দীপন আরও বলেন, ‘পারিশ্রমিকের বিষয়টি দেখভাল করেন প্রযোজক। ঢাকা অ্যাটাকের অন্য কুশলীদের মতো আমিও পারিশ্রমিক নিয়েছি। পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো ঝামেলা হলে তিনি প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলবেন। আর যদি কোনো ঝামেলা থাকত তাহলে তো ঢাকা অ্যাটাকের পর মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় মতিন চৌধুরী গাইতেন না। ওটা তো একই প্রযোজক নির্মাণ করেছিলেন।’

প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান। গানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়। সিনেমা মুক্তির আট বছর পর সম্প্রতি মতিন চৌধুরী জানালেন, ঢাকা অ্যাটাক-এ টিকাটুলীর মোড়ে গানটি করার জন্য তিনি কোনো অর্থ পাননি। পরিচালক দীপংকর দীপন তাঁকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ মতিন চৌধুরীর।
মতিন চৌধুরী জানান, টিকাটুলীর মোড়ে গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহারের শর্ত হিসেবে ইউটিউব থেকে আয়ের অর্ধেক দাবি করেছিলেন তিনি। নির্মাতা তখন রাজি হলেও সে অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয়নি তাঁকে। মতিন চৌধুরী বলেন, ‘দীপংকর দীপন সাহেব সিনেমায় গানটি ব্যবহারের জন্য তিন মাস আমাকে খুঁজেছেন। একসময় টঙ্গীতে আমার এক বন্ধুর স্টুডিওতে গিয়ে আমার নম্বর পান। এরপর সংগীত পরিচালক শাহীন কামাল ও মামুন আকন্দকে নিয়ে দীপংকর দীপনের অফিসে যাই। তিনি বলেন, গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহার করবেন। ভিডিওতে আমি থাকব। বিনিময়ে আমার কী চাহিদা জানতে চাইলে বলেছিলাম, আমার বেশি চাহিদা নেই। ইউটিউবে এই গানের ব্যবসা থেকে আমাকে অর্ধেকটা দিতে হবে। এটা স্ট্যাম্পে ডিড করতে হবে বলে জানাই। তিনিও রাজি হন।’
মতিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘এক মাস পর উনি ফোন করে বলেন, গানের শুটিং আছে, আমি যেন গ্রুপ নিয়ে এফডিসিতে যাই। সে সময়ও তাঁকে ডিডের কথা মনে করিয়ে দিই। উনি জবাব দেন, অবশ্যই ডিড করব, আপনি চলে আসেন। কথা অনুযায়ী এফডিসিতে দুই রাত শুটিং করলাম। কিন্তু ডিড আর করা হলো না। আমার সঙ্গে তাঁরা বেইমানি করেছেন। এই গান থেকে আমি কিছু পাইনি। অথচ, তাঁরা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। শুধু তা-ই নয়, দীপংকর সাহেব বলেছিলেন, আমাকে বিভিন্ন চ্যানেলে লাইভ গান করার সুযোগ করে দেবেন। সেটাও করেননি। আজ আমি লাখ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও সেখান থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন দীপংকর সাহেব।’
ঢাকা অ্যাটাক সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেন সানী সানোয়ার। ২০২১ সালে সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় মতিন চৌধুরী গেয়েছিলেন টিকাটুলীর মোড়ে গানের নতুন ভার্সন ‘পান্থপথের মোড়ে’। সে সময় ঢাকা অ্যাটাকের চুক্তির বিষয়টি প্রযোজককে জানিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে মতিন চৌধুরী বলেন, ‘তখন আমাকে বলেছিল দীপংকর দীপনের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন। নতুন গানের জন্য আমাকে কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর কোনো সমাধান হয়নি।’
মতিন চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক দীপংকর দীপনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই নির্মাতা। দীপংকর দীপন বলেন, ‘বিষয়টি মোটেও সত্য নয়। গানের জন্য সে সময় তাঁর পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। আর ইউটিউবের বিষয়টি তিনি এখন কেন বলছেন, তা আমার জানা নেই। যখন ঢাকা অ্যাটাক তৈরি হয় তখন আমাদের দেশে ইউটিউবের এত প্রচলন ছিল না। এ নিয়ে আলোচনা হবে কীভাবে? আমি যখন তাঁকে টিকাটুলীর মোড়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহারের প্রস্তাব দিই, তখন তিনি খুশি ছিলেন। তাঁর শুধু চাহিদা ছিল পর্দায় যেন তাঁকে দেখা যায়।’
দীপন আরও বলেন, ‘পারিশ্রমিকের বিষয়টি দেখভাল করেন প্রযোজক। ঢাকা অ্যাটাকের অন্য কুশলীদের মতো আমিও পারিশ্রমিক নিয়েছি। পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো ঝামেলা হলে তিনি প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলবেন। আর যদি কোনো ঝামেলা থাকত তাহলে তো ঢাকা অ্যাটাকের পর মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় মতিন চৌধুরী গাইতেন না। ওটা তো একই প্রযোজক নির্মাণ করেছিলেন।’

ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ হলো একটি বিখ্যাত চরিত্রের বিশ্লেষণ এবং এবং ইতিহাসের একটি সুস্পষ্ট বিবরণ। ওপেনহাইমার হলেন সেই অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি যিনি ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেটি ছিল পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রকল্প। যেই বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল।
২৫ জুলাই ২০২৩
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১৪ ঘণ্টা আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। সন্ধ্যা ৭টায় হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী। নাটকটি লিখেছেন আনজীর লিটন, নির্দেশনায় মনামী ইসলাম কনক, সহযোগী নির্দেশনায় আছেন মনিরুজ্জামান রিপন।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের একটি বাগানের আনারসের ঢাকায় আসার গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে নাটকটি। মধুপুরের বাগানে শিয়াল, কোকিল, কাক, ইঁদুর আর বিড়ালের খুনসুটি, দুষ্টুমির সঙ্গে এই বাগান ছেড়ে মানুষের কল্যাণে আনারসের বৃহত্তর আত্মত্যাগের গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে আনারসের ঢাকা সফর।
কাওরানবাজারে বিক্রির পরে মানুষের পুষ্টি জোগাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় আনারসগুলো। মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়াই আনারসের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। আনারসগুলো বিক্রির মাধ্যমে একজন সাধারণ কৃষকের শ্রম, সংগ্রাম ও আশা-ভরসার গল্পকে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব আনারস বিক্রি হয়ে গেলেও দুটি আনারস আবার ফিরে আসে মধুপুরে। আনারস দুটির এই ফিরে আসা যেন শিকড়ের কাছেই ফিরে আসা। ওই আনারসের মাথার মুকুট থেকে আবারও নতুন বাগান গড়ে তোলে কৃষক ফুলগাজি।
ঢাকা লিটল অপেরার ডিরেক্টর মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আনারসের ঢাকা সফর একটি বর্ণিল ও কল্পনাপ্রবণ নাট্য প্রযোজনা, যা গ্রামের জীবন ও শহরের সঙ্গে তার সংযোগকে তুলে ধরেছে। এই প্রযোজনার মধ্য দিয়ে শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে গল্প বলার একটি নতুন যাত্রা শুরু করল ঢাকা লিটল অপেরা।’
মনিরুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘ঢাকা লিটল অপেরা শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার আদর্শ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত আয়োজন করবে নাটক, কবিতা আবৃত্তি, পাঠাভিনয়, নৃত্য ও বাচিকসহ নানা সৃজনশীল কার্যক্রম।’

শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। সন্ধ্যা ৭টায় হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী। নাটকটি লিখেছেন আনজীর লিটন, নির্দেশনায় মনামী ইসলাম কনক, সহযোগী নির্দেশনায় আছেন মনিরুজ্জামান রিপন।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের একটি বাগানের আনারসের ঢাকায় আসার গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে নাটকটি। মধুপুরের বাগানে শিয়াল, কোকিল, কাক, ইঁদুর আর বিড়ালের খুনসুটি, দুষ্টুমির সঙ্গে এই বাগান ছেড়ে মানুষের কল্যাণে আনারসের বৃহত্তর আত্মত্যাগের গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে আনারসের ঢাকা সফর।
কাওরানবাজারে বিক্রির পরে মানুষের পুষ্টি জোগাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় আনারসগুলো। মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়াই আনারসের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। আনারসগুলো বিক্রির মাধ্যমে একজন সাধারণ কৃষকের শ্রম, সংগ্রাম ও আশা-ভরসার গল্পকে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব আনারস বিক্রি হয়ে গেলেও দুটি আনারস আবার ফিরে আসে মধুপুরে। আনারস দুটির এই ফিরে আসা যেন শিকড়ের কাছেই ফিরে আসা। ওই আনারসের মাথার মুকুট থেকে আবারও নতুন বাগান গড়ে তোলে কৃষক ফুলগাজি।
ঢাকা লিটল অপেরার ডিরেক্টর মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আনারসের ঢাকা সফর একটি বর্ণিল ও কল্পনাপ্রবণ নাট্য প্রযোজনা, যা গ্রামের জীবন ও শহরের সঙ্গে তার সংযোগকে তুলে ধরেছে। এই প্রযোজনার মধ্য দিয়ে শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে গল্প বলার একটি নতুন যাত্রা শুরু করল ঢাকা লিটল অপেরা।’
মনিরুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘ঢাকা লিটল অপেরা শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার আদর্শ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত আয়োজন করবে নাটক, কবিতা আবৃত্তি, পাঠাভিনয়, নৃত্য ও বাচিকসহ নানা সৃজনশীল কার্যক্রম।’

ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’ হলো একটি বিখ্যাত চরিত্রের বিশ্লেষণ এবং এবং ইতিহাসের একটি সুস্পষ্ট বিবরণ। ওপেনহাইমার হলেন সেই অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তি যিনি ম্যানহাটন প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যেটি ছিল পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রকল্প। যেই বোমা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল।
২৫ জুলাই ২০২৩
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১৪ ঘণ্টা আগে