নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনায় থমকে গেছে জীবন। সেই সঙ্গে থমকে গেছে মঞ্চে জীবনের রূপায়নও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিতভাবে নাট্যচর্চা শুরু হলেও সরকারি বিধিনিষেধে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে নাট্যচর্চা। দেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের হার। এর সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। কোনোভাবে বেঁচে থাকার তাগিদে শহরজুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছে মানুষজন। আতঙ্ক ও অস্থিরতা সর্বত্র। একটু মানসিক স্বস্তির আশায় নানা মাধ্যমে জড়ো হচ্ছেন নাট্যকর্মীরা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষের করুণ অথবা আলৌকিক জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
অভিনেতা ও দর্শকের সম্মিলনের মধ্য দিয়েই থিয়েটার তৈরি হয়। কিন্তু করোনা এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে কাছাকাছি আসাটাই নিষিদ্ধ। তবু নানা বিধিনিষেধ ডিঙিয়ে নাট্যকর্মীরা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের প্রশিক্ষণ ও মহড়া। করোনার কারণে অনেক দল সরাসরি মহড়ার আয়োজন করতে না পারলেও অনলাইনে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ, নাটকপাঠের মতো কার্যক্রম চলছে। নাট্যকর্মীদের আশা, খুব দ্রুতই দর্শকদের সঙ্গে নিয়ে আবারও মঞ্চে আলো জ্বালাতে পারবেন তাঁরা। আবারও কোনো এক অভিনয় শিল্পীর দৃপ্ত কণ্ঠে কেঁপে উঠবে শিল্পকলা বা মহিলা সমিতির মঞ্চ।
করোনাকালে নাট্যচর্চা, নাট্যকর্মীদের সম্পৃক্ততা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন সংগঠকেরা। করোনায় অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, পারিবারিক টানাপোড়েন ও ব্যক্তিগত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে অনেক নাট্যকর্মীই স্বপ্নের মঞ্চ চিরতরে ছেড়ে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। রেপার্টরি নাট্যদল তাড়ুয়ার সংগঠক শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মাসের ১০ তারিখ আমাদের “লেট মি আউট” নাটকের শো করার কথা ছিল। আমরা অনলাইনে মহড়াও শুরু করেছিলাম। কিন্তু লকডাউনের কারণে আমাদের শো বাতিল করা হলো। এটা হলে আমাদের অভিনেতাদের হাতে কিছু টাকা তুলে দিতে পারতাম।’
লকডাউনে নাট্যকর্মীদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় সবাই তাঁদের জীবন নির্বাহের জন্যে নানাবিধ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। একজন অভিনেতা শুধু অভিনয় করতে চান। কিন্তু অভিনয়ের সুযোগ কোথায়? বাধ্য হয়ে অন্য কাজ করতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই আমাদের অনলাইন প্রশিক্ষণ ক্লাসগুলোতে যুক্ত হতে পারছে না। বর্তমানে যে অবস্থা—টাকা নেই, খাবার নেই; থিয়েটার করবে কিভাবে?’
করোনার আগের সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বদলে গেছে করোনা পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট। যেখানে সরাসরি দর্শকের সামনে অভিনয় শিল্পীরা এক হয়ে ঘটনাকে রূপ দিতে মঞ্চে, এখন সেখানে একসঙ্গে মহড়া করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেকেই যুক্ত হতে পারছেন না মহড়ায়। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে যুক্ত হতে পারছেন না অনলাইন আড্ডা বা প্রশিক্ষণেও।
এম্পটি স্পেস থিয়েটার গত বছর করোনার পরপর জুলাই মাসে ‘নিউ টেস্টামেন্ট অব রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ নাটকের মহড়া শুরু করেছিল। এর আগে করোনাকালে অনলাইনে নাটকটি নিয়ে কাজ করেন দলটির কর্মীরা। ডিসেম্বর মাসে নাটকটির প্রদর্শনী হয়। নাটকটি নিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছিল দলটি। একইসঙ্গে হাইনার মুলারের ‘হ্যামলেট মেশিন’–এর কাজও শুরু করেছিল দলটি। জানুয়ারিতে প্রদর্শনীর কথা থাকলেও আবারও করোনার প্রকোপে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে দলটির।
দলটির সংগঠক গোলাম শাহরিয়ার সিক্ত বলেন, ‘নতুন নাটকের কাজ শুরু করতে পারছি না। একটি নতুন নাটকের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। করোনার কারণে কোনো স্পনসর পাচ্ছি না। নিজেদের অবস্থাও খারাপ। দর্শকের আশায়ও নেমে পড়া যাচ্ছে না। নতুন নাটক নামিয়ে দর্শকের সামনেই যদি না আসতে পারি, তবে আর লাভ কী?’ এখন আবার করোনা মোকাবিলায় সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন দলটির সংগঠক ও কলা-কুশলীরা। দলের সবাইকে মানসিকভাবে চাঙা রাখতে অনলাইনে লাইট, সেট, কস্টিউম, প্রপসের ডিজাইন ইত্যাদি নিয়ে আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
বিভিন্ন নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ নাট্যকর্মীই মনে করছেন আপাতত মানুষের জীবন বাঁচানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে অভিনেতাদের সুস্থ থেকে ব্যক্তিক চর্চার মাধ্যমে আত্মোন্নয়নই করণীয় বলে মনে করেন অভিজ্ঞ নাট্যকর্মী ও সংগঠকেরা।
এ বিষয়ে সুবচন নাট্য সংসদের সংগঠক আহমেদ গিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত এক বছর ধরে দলের কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ। আমি মনে করি, আগে জীবনটা বাঁচুক, তারপর থিয়েটার। আমরা গত ফেব্রুয়ারি ‘মহাজনের নাও’–এর সর্বশেষ প্রদর্শনী করেছি। আর গত ফেব্রুয়ারিতে একটি পথনাটক। এ ছাড়া আর কিছু করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে একেবারেই কিছু করা সম্ভব না। করোনায় সবার অবস্থাই খারাপ। এটা কাটাতে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে প্রতিনিয়ত অনলাইন আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছি।’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরাসরি নাটকের মহড়ায় যুক্ত হওয়া সবার জন্যই বিপজ্জনক বলে মনে করেন আরণ্যক নাট্যদলের সংগঠক রিয়া চৌধুরী। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দলের কার্যক্রম অনেকটা স্থগিত বলে জানান তিনি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাট্যকর্মীরা মঞ্চে ফিরবেন বলে তিনি আশাবাদী। আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ‘গত বছর আমাদের “ফেসবুক” নাটকটির প্রদর্শনী হয়েছে। এর পর করোনার কারণে আর কোনো নতুন নাটকের কাজ করা সম্ভব হয়নি। এই মাসে প্রদর্শনীর কথা ছিল। মার্চে আমরা মহড়াও শুরু করেছিলাম। কিন্তু আবার সব বন্ধ হয়ে গেল।’
মঞ্চ থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকার ফলে অনেক নাট্যকর্মীই হতাশায় ভুগছেন। নাট্যদলগুলোতে বেশির ভাগ সদস্যই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুা তরুণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁরা ঢাকা বাইরে অবস্থান করছেন। ফলে অনলাইন বা সরাসরি কোনো মহড়াতেই তাঁদের যুক্ত করা যাচ্ছে না। নেটওয়ার্ক সমস্যা ও অর্থনৈতিক সংকটও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তরুণ নাট্যকর্মীদের সামনে। তবুও সব বাধা উপেক্ষা করে শিগগিরই মঞ্চে ফিরবেন বলে আশা করছেন বিভিন্ন নাট্যদলের সংগঠকেরা। তাঁরা মনে করেন, একজন নাট্যকর্মী তখনই জীবন্ত হয়ে ওঠেন, যখন তিনি মঞ্চের আলোয় আলোকিত হন। সংকটময় পরিস্থিতির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সরাসরি কাছাকাছি না থাকতে পারলেও বিকল্প মাধ্যমে দলবদ্ধ থাকার চেষ্টা করছেন নাট্যকর্মীরা।

করোনায় থমকে গেছে জীবন। সেই সঙ্গে থমকে গেছে মঞ্চে জীবনের রূপায়নও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিতভাবে নাট্যচর্চা শুরু হলেও সরকারি বিধিনিষেধে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে নাট্যচর্চা। দেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের হার। এর সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। কোনোভাবে বেঁচে থাকার তাগিদে শহরজুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছে মানুষজন। আতঙ্ক ও অস্থিরতা সর্বত্র। একটু মানসিক স্বস্তির আশায় নানা মাধ্যমে জড়ো হচ্ছেন নাট্যকর্মীরা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানুষের করুণ অথবা আলৌকিক জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
অভিনেতা ও দর্শকের সম্মিলনের মধ্য দিয়েই থিয়েটার তৈরি হয়। কিন্তু করোনা এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে কাছাকাছি আসাটাই নিষিদ্ধ। তবু নানা বিধিনিষেধ ডিঙিয়ে নাট্যকর্মীরা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের প্রশিক্ষণ ও মহড়া। করোনার কারণে অনেক দল সরাসরি মহড়ার আয়োজন করতে না পারলেও অনলাইনে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষণ, নাটকপাঠের মতো কার্যক্রম চলছে। নাট্যকর্মীদের আশা, খুব দ্রুতই দর্শকদের সঙ্গে নিয়ে আবারও মঞ্চে আলো জ্বালাতে পারবেন তাঁরা। আবারও কোনো এক অভিনয় শিল্পীর দৃপ্ত কণ্ঠে কেঁপে উঠবে শিল্পকলা বা মহিলা সমিতির মঞ্চ।
করোনাকালে নাট্যচর্চা, নাট্যকর্মীদের সম্পৃক্ততা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন সংগঠকেরা। করোনায় অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, পারিবারিক টানাপোড়েন ও ব্যক্তিগত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে অনেক নাট্যকর্মীই স্বপ্নের মঞ্চ চিরতরে ছেড়ে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। রেপার্টরি নাট্যদল তাড়ুয়ার সংগঠক শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই মাসের ১০ তারিখ আমাদের “লেট মি আউট” নাটকের শো করার কথা ছিল। আমরা অনলাইনে মহড়াও শুরু করেছিলাম। কিন্তু লকডাউনের কারণে আমাদের শো বাতিল করা হলো। এটা হলে আমাদের অভিনেতাদের হাতে কিছু টাকা তুলে দিতে পারতাম।’
লকডাউনে নাট্যকর্মীদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় সবাই তাঁদের জীবন নির্বাহের জন্যে নানাবিধ কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। একজন অভিনেতা শুধু অভিনয় করতে চান। কিন্তু অভিনয়ের সুযোগ কোথায়? বাধ্য হয়ে অন্য কাজ করতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই আমাদের অনলাইন প্রশিক্ষণ ক্লাসগুলোতে যুক্ত হতে পারছে না। বর্তমানে যে অবস্থা—টাকা নেই, খাবার নেই; থিয়েটার করবে কিভাবে?’
করোনার আগের সময়ের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বদলে গেছে করোনা পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপট। যেখানে সরাসরি দর্শকের সামনে অভিনয় শিল্পীরা এক হয়ে ঘটনাকে রূপ দিতে মঞ্চে, এখন সেখানে একসঙ্গে মহড়া করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেকেই যুক্ত হতে পারছেন না মহড়ায়। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে যুক্ত হতে পারছেন না অনলাইন আড্ডা বা প্রশিক্ষণেও।
এম্পটি স্পেস থিয়েটার গত বছর করোনার পরপর জুলাই মাসে ‘নিউ টেস্টামেন্ট অব রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ নাটকের মহড়া শুরু করেছিল। এর আগে করোনাকালে অনলাইনে নাটকটি নিয়ে কাজ করেন দলটির কর্মীরা। ডিসেম্বর মাসে নাটকটির প্রদর্শনী হয়। নাটকটি নিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছিল দলটি। একইসঙ্গে হাইনার মুলারের ‘হ্যামলেট মেশিন’–এর কাজও শুরু করেছিল দলটি। জানুয়ারিতে প্রদর্শনীর কথা থাকলেও আবারও করোনার প্রকোপে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে দলটির।
দলটির সংগঠক গোলাম শাহরিয়ার সিক্ত বলেন, ‘নতুন নাটকের কাজ শুরু করতে পারছি না। একটি নতুন নাটকের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। করোনার কারণে কোনো স্পনসর পাচ্ছি না। নিজেদের অবস্থাও খারাপ। দর্শকের আশায়ও নেমে পড়া যাচ্ছে না। নতুন নাটক নামিয়ে দর্শকের সামনেই যদি না আসতে পারি, তবে আর লাভ কী?’ এখন আবার করোনা মোকাবিলায় সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন দলটির সংগঠক ও কলা-কুশলীরা। দলের সবাইকে মানসিকভাবে চাঙা রাখতে অনলাইনে লাইট, সেট, কস্টিউম, প্রপসের ডিজাইন ইত্যাদি নিয়ে আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
বিভিন্ন নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ নাট্যকর্মীই মনে করছেন আপাতত মানুষের জীবন বাঁচানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে অভিনেতাদের সুস্থ থেকে ব্যক্তিক চর্চার মাধ্যমে আত্মোন্নয়নই করণীয় বলে মনে করেন অভিজ্ঞ নাট্যকর্মী ও সংগঠকেরা।
এ বিষয়ে সুবচন নাট্য সংসদের সংগঠক আহমেদ গিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত এক বছর ধরে দলের কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ। আমি মনে করি, আগে জীবনটা বাঁচুক, তারপর থিয়েটার। আমরা গত ফেব্রুয়ারি ‘মহাজনের নাও’–এর সর্বশেষ প্রদর্শনী করেছি। আর গত ফেব্রুয়ারিতে একটি পথনাটক। এ ছাড়া আর কিছু করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে একেবারেই কিছু করা সম্ভব না। করোনায় সবার অবস্থাই খারাপ। এটা কাটাতে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে প্রতিনিয়ত অনলাইন আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছি।’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরাসরি নাটকের মহড়ায় যুক্ত হওয়া সবার জন্যই বিপজ্জনক বলে মনে করেন আরণ্যক নাট্যদলের সংগঠক রিয়া চৌধুরী। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে দলের কার্যক্রম অনেকটা স্থগিত বলে জানান তিনি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাট্যকর্মীরা মঞ্চে ফিরবেন বলে তিনি আশাবাদী। আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ‘গত বছর আমাদের “ফেসবুক” নাটকটির প্রদর্শনী হয়েছে। এর পর করোনার কারণে আর কোনো নতুন নাটকের কাজ করা সম্ভব হয়নি। এই মাসে প্রদর্শনীর কথা ছিল। মার্চে আমরা মহড়াও শুরু করেছিলাম। কিন্তু আবার সব বন্ধ হয়ে গেল।’
মঞ্চ থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকার ফলে অনেক নাট্যকর্মীই হতাশায় ভুগছেন। নাট্যদলগুলোতে বেশির ভাগ সদস্যই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুা তরুণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাঁরা ঢাকা বাইরে অবস্থান করছেন। ফলে অনলাইন বা সরাসরি কোনো মহড়াতেই তাঁদের যুক্ত করা যাচ্ছে না। নেটওয়ার্ক সমস্যা ও অর্থনৈতিক সংকটও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তরুণ নাট্যকর্মীদের সামনে। তবুও সব বাধা উপেক্ষা করে শিগগিরই মঞ্চে ফিরবেন বলে আশা করছেন বিভিন্ন নাট্যদলের সংগঠকেরা। তাঁরা মনে করেন, একজন নাট্যকর্মী তখনই জীবন্ত হয়ে ওঠেন, যখন তিনি মঞ্চের আলোয় আলোকিত হন। সংকটময় পরিস্থিতির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সরাসরি কাছাকাছি না থাকতে পারলেও বিকল্প মাধ্যমে দলবদ্ধ থাকার চেষ্টা করছেন নাট্যকর্মীরা।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই।
১৫ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।
১৫ ঘণ্টা আগে
নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে।
১৫ ঘণ্টা আগে
১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই। তাঁর এবারের গানের শিরোনাম ‘আবার তোরা মানুষ হ’।
এই সময়ের অস্থিরতা ও হতাশা ফুটে উঠেছে পান্থর নতুন এই গানে। মানুষ যেন তাদের বিবেককে কাজে লাগিয়ে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে, সে প্রত্যাশা ফুটে উঠেছে গানের কথায়। ফারুক আনোয়ারের লেখা গানটিতে সুর দিয়েছেন কামাল আহমেদ, সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ বাশার পংকজ। গানের ভিডিও বানিয়েছেন সম্রাট আহমেদ। জানা গেছে, এফ এ মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে শিগগির প্রকাশ পাবে গানটি।
আবার তোরা মানুষ হ গানটি নিয়ে গীতিকার ফারুক আনোয়ার বলেন, ‘সময়টা অস্বস্তিকর। চারপাশে এত শব্দ, অথচ সত্যি কথাগুলো যেন আরও একা হয়ে পড়ছে। ভাঙচুর শুধু রাস্তায় নয়, মানুষের ভেতরেও চলছে। এই গান কাউকে দোষারোপ করতে নয়, নিজেদের আয়নার সামনে দাঁড় করাতে। সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর মধ্যে কোনো সফলতা নেই। বরং ভেদাভেদ ভুলে মানুষের মঙ্গলে পাশে দাঁড়ানোটাই মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয় বহন করে।’
আবার তোরা মানুষ হ ছাড়াও পান্থ কানাইয়ের আরও কিছু নতুন গান রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, ‘আমার কম্পিউটারে ৩০টির বেশি গান আছে, সব আমার নিজের সুর ও সংগীতে। সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি, কোন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করব। তবে তিনটি গানের রেকর্ডিং আর ভিডিওর শুটিং পুরোপুরি শেষ।’ গানগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া ২৬ ডিসেম্বর বিটিভিতে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র যে নতুন পর্বটি প্রচারিত হবে, তাতেও রয়েছে পান্থ কানাইয়ের গান। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ওই গানে তাঁর সহশিল্পী হিসেবে আছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি।
ছোটদের মধ্যে সংগীতকে ছড়িয়ে দিতে ২০১৮ সালে পান্থ কানাই শুরু করেছিলেন সংগীত শেখানোর স্কুল ‘ড্রামবাজ’। তবে করোনার সময় থেমে যায় এ উদ্যোগ। এখন আবার প্রতিষ্ঠানটি শুরুর স্বপ্ন দেখছেন পান্থ কানাই। তিনি বলেন, ‘স্বপ্নটা এখনো মরেনি। মনমতো জায়গা পেলে আবার শুরু করব। আবার ড্রামস, গিটার, গান শেখানো হবে।’

দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই। তাঁর এবারের গানের শিরোনাম ‘আবার তোরা মানুষ হ’।
এই সময়ের অস্থিরতা ও হতাশা ফুটে উঠেছে পান্থর নতুন এই গানে। মানুষ যেন তাদের বিবেককে কাজে লাগিয়ে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে, সে প্রত্যাশা ফুটে উঠেছে গানের কথায়। ফারুক আনোয়ারের লেখা গানটিতে সুর দিয়েছেন কামাল আহমেদ, সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ বাশার পংকজ। গানের ভিডিও বানিয়েছেন সম্রাট আহমেদ। জানা গেছে, এফ এ মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে শিগগির প্রকাশ পাবে গানটি।
আবার তোরা মানুষ হ গানটি নিয়ে গীতিকার ফারুক আনোয়ার বলেন, ‘সময়টা অস্বস্তিকর। চারপাশে এত শব্দ, অথচ সত্যি কথাগুলো যেন আরও একা হয়ে পড়ছে। ভাঙচুর শুধু রাস্তায় নয়, মানুষের ভেতরেও চলছে। এই গান কাউকে দোষারোপ করতে নয়, নিজেদের আয়নার সামনে দাঁড় করাতে। সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর মধ্যে কোনো সফলতা নেই। বরং ভেদাভেদ ভুলে মানুষের মঙ্গলে পাশে দাঁড়ানোটাই মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয় বহন করে।’
আবার তোরা মানুষ হ ছাড়াও পান্থ কানাইয়ের আরও কিছু নতুন গান রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, ‘আমার কম্পিউটারে ৩০টির বেশি গান আছে, সব আমার নিজের সুর ও সংগীতে। সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি, কোন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করব। তবে তিনটি গানের রেকর্ডিং আর ভিডিওর শুটিং পুরোপুরি শেষ।’ গানগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া ২৬ ডিসেম্বর বিটিভিতে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র যে নতুন পর্বটি প্রচারিত হবে, তাতেও রয়েছে পান্থ কানাইয়ের গান। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ওই গানে তাঁর সহশিল্পী হিসেবে আছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি।
ছোটদের মধ্যে সংগীতকে ছড়িয়ে দিতে ২০১৮ সালে পান্থ কানাই শুরু করেছিলেন সংগীত শেখানোর স্কুল ‘ড্রামবাজ’। তবে করোনার সময় থেমে যায় এ উদ্যোগ। এখন আবার প্রতিষ্ঠানটি শুরুর স্বপ্ন দেখছেন পান্থ কানাই। তিনি বলেন, ‘স্বপ্নটা এখনো মরেনি। মনমতো জায়গা পেলে আবার শুরু করব। আবার ড্রামস, গিটার, গান শেখানো হবে।’

করোনায় থমকে গেছে জীবন। সেই সঙ্গে থমকে গেছে মঞ্চে জীবনের রূপায়নও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিতভাবে নাট্যচর্চা শুরু হলেও সরকারি বিধিনিষেধে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে নাট্যচর্চা। দেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের হার। এর সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
০৭ এপ্রিল ২০২১
অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।
১৫ ঘণ্টা আগে
নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে।
১৫ ঘণ্টা আগে
১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। নাটকটি রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু। পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। টানা তিন দিনের শুটিং শেষে এখন চলছে সম্পাদনার কাজ। নতুন বছর উপলক্ষে নাটকটি প্রকাশ করা হবে রঙ্গন মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে।
লাইফ ইজ বিউটিফুল নিয়ে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘কমেডি আর থ্রিলার গল্পের ভিড়ে দর্শক এখন পারিবারিক গল্পের নাটকে স্বস্তি খোঁজেন। প্রযোজক আর চ্যানেল কর্তৃপক্ষও নতুন করে ঝুঁকছে পারিবারিক সম্পর্কের গল্পে। ২৪ বছর ধরে আমি সম্পর্ক, ভালোবাসা আর জীবনের নানা টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক, টেলিফিল্ম বানিয়েছি। সে কারণেই প্রযোজক জামাল ভাই আমাকে নব্বইয়ের দশকের আবেগ নিয়ে একটি নাটক নির্মাণের জন্য বললেন। গল্পটা তিনি খুব পছন্দ করেছেন। শান্তনু ভালো লেখে। আমি কী চাই তা ভালো বোঝে সে। চমৎকার একটি চিত্রনাট্য লিখেছে সে। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই বেছে নিয়েছি আবুল হায়াত আর ডলি জহুরের মতো গুণী দুই শিল্পীকে। দারুণ একটি নাটক হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, দর্শকের মন জয় করতে পারব।’
অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে চয়নিকা সব সময়ই ভীষণ সচেতন, বিচক্ষণ। তাঁর নাটকে গল্পই হচ্ছে প্রাণ। আর যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সবাই ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে নিজের মতো করে অভিনয়টা করার সুযোগ পান। লাইফ ইজ বিউটিফুল নাটকটি নিয়ে আমি আশাবাদী। অনেক দিন পর ডলির সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগল।’
ডলি জহুর বলেন, ‘হায়াত ভাই বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে বহু নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছি। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে। হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করলে গল্পের ফাঁকে ফাঁকে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ হয়ে যায়। ধন্যবাদ চয়নকে এত সুন্দর একটি গল্প নির্বাচনের জন্য। নাটকটি প্রচারে এলে আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের।’

অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। নাটকটি রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু। পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। টানা তিন দিনের শুটিং শেষে এখন চলছে সম্পাদনার কাজ। নতুন বছর উপলক্ষে নাটকটি প্রকাশ করা হবে রঙ্গন মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে।
লাইফ ইজ বিউটিফুল নিয়ে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘কমেডি আর থ্রিলার গল্পের ভিড়ে দর্শক এখন পারিবারিক গল্পের নাটকে স্বস্তি খোঁজেন। প্রযোজক আর চ্যানেল কর্তৃপক্ষও নতুন করে ঝুঁকছে পারিবারিক সম্পর্কের গল্পে। ২৪ বছর ধরে আমি সম্পর্ক, ভালোবাসা আর জীবনের নানা টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক, টেলিফিল্ম বানিয়েছি। সে কারণেই প্রযোজক জামাল ভাই আমাকে নব্বইয়ের দশকের আবেগ নিয়ে একটি নাটক নির্মাণের জন্য বললেন। গল্পটা তিনি খুব পছন্দ করেছেন। শান্তনু ভালো লেখে। আমি কী চাই তা ভালো বোঝে সে। চমৎকার একটি চিত্রনাট্য লিখেছে সে। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই বেছে নিয়েছি আবুল হায়াত আর ডলি জহুরের মতো গুণী দুই শিল্পীকে। দারুণ একটি নাটক হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, দর্শকের মন জয় করতে পারব।’
অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে চয়নিকা সব সময়ই ভীষণ সচেতন, বিচক্ষণ। তাঁর নাটকে গল্পই হচ্ছে প্রাণ। আর যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সবাই ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে নিজের মতো করে অভিনয়টা করার সুযোগ পান। লাইফ ইজ বিউটিফুল নাটকটি নিয়ে আমি আশাবাদী। অনেক দিন পর ডলির সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগল।’
ডলি জহুর বলেন, ‘হায়াত ভাই বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে বহু নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছি। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে। হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করলে গল্পের ফাঁকে ফাঁকে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ হয়ে যায়। ধন্যবাদ চয়নকে এত সুন্দর একটি গল্প নির্বাচনের জন্য। নাটকটি প্রচারে এলে আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের।’

করোনায় থমকে গেছে জীবন। সেই সঙ্গে থমকে গেছে মঞ্চে জীবনের রূপায়নও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিতভাবে নাট্যচর্চা শুরু হলেও সরকারি বিধিনিষেধে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে নাট্যচর্চা। দেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের হার। এর সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
০৭ এপ্রিল ২০২১
দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই।
১৫ ঘণ্টা আগে
নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে।
১৫ ঘণ্টা আগে
১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে। বড়দিনের ছুটিতে রাইজ অ্যান্ড শাইন নাটকের দুটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বটতলা নাট্যদল।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে রাইজ অ্যান্ড শাইন। ইতালীয় নাট্যকার যুগল দারিও ফো ও ফ্র্যাঙ্কা রামের লেখা নাটকটি ইংরেজি থেকে রূপান্তর করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম, নির্দেশনা দিয়েছেন ম. সাঈদ।
বটতলা নাট্যদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাইজ অ্যান্ড শাইন মূলত একজন শ্রমজীবী নারীর দৈনন্দিন জীবনসংগ্রামের মোড়কে শোষিত, নিপীড়িত মানুষের গল্প। ক্ষমতাচর্চার বিবিধ সমীকরণে পিষ্ট মানুষ কীভাবে বাঁচে, তারই শিল্পিত উপস্থাপন এই নাটক। মঞ্চে একজন মরিয়মের মা প্রতিনিধিত্ব করেন দীপু চন্দ্র দাসের মতো যেকোনো শ্রমজীবী, প্রান্তিক, ভাগ্যাহত মানুষের।
নির্দেশক বলেন, ‘এটি আমাদের সবার গল্প। প্রায় সব নারীর, সব মায়ের, সব কর্মজীবী নারীর গাথা। মঞ্চে হয়তো শুধুই একজন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি আপনার চেনা যেকোনো নারীর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবেন তার জীবন। এক নারীর সকাল থেকে শুরু হওয়া জীবনাচার, তার রোজনামচা, সংসারের যন্ত্রণা চুপচাপ সয়ে যাওয়া জীবন, মাল্টিন্যাশনাল ক্রেতার জন্য তৈরি পোশাকের কারখানায় ওভারটাইম, স্বামীর বদমেজাজ এবং একদিন সব ছেড়ে জ্বলে ওঠার চেষ্টার নাম রাইজ অ্যান্ড শাইন।’
এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী রোকসানা রুমা, তৌফিক হাসান ভুঁইয়া, হাফিজা আক্তার ঝুমা, শাহ নেওয়াজ ইফতিসহ অনেকে।

নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে। বড়দিনের ছুটিতে রাইজ অ্যান্ড শাইন নাটকের দুটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বটতলা নাট্যদল।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে রাইজ অ্যান্ড শাইন। ইতালীয় নাট্যকার যুগল দারিও ফো ও ফ্র্যাঙ্কা রামের লেখা নাটকটি ইংরেজি থেকে রূপান্তর করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম, নির্দেশনা দিয়েছেন ম. সাঈদ।
বটতলা নাট্যদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাইজ অ্যান্ড শাইন মূলত একজন শ্রমজীবী নারীর দৈনন্দিন জীবনসংগ্রামের মোড়কে শোষিত, নিপীড়িত মানুষের গল্প। ক্ষমতাচর্চার বিবিধ সমীকরণে পিষ্ট মানুষ কীভাবে বাঁচে, তারই শিল্পিত উপস্থাপন এই নাটক। মঞ্চে একজন মরিয়মের মা প্রতিনিধিত্ব করেন দীপু চন্দ্র দাসের মতো যেকোনো শ্রমজীবী, প্রান্তিক, ভাগ্যাহত মানুষের।
নির্দেশক বলেন, ‘এটি আমাদের সবার গল্প। প্রায় সব নারীর, সব মায়ের, সব কর্মজীবী নারীর গাথা। মঞ্চে হয়তো শুধুই একজন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি আপনার চেনা যেকোনো নারীর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবেন তার জীবন। এক নারীর সকাল থেকে শুরু হওয়া জীবনাচার, তার রোজনামচা, সংসারের যন্ত্রণা চুপচাপ সয়ে যাওয়া জীবন, মাল্টিন্যাশনাল ক্রেতার জন্য তৈরি পোশাকের কারখানায় ওভারটাইম, স্বামীর বদমেজাজ এবং একদিন সব ছেড়ে জ্বলে ওঠার চেষ্টার নাম রাইজ অ্যান্ড শাইন।’
এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী রোকসানা রুমা, তৌফিক হাসান ভুঁইয়া, হাফিজা আক্তার ঝুমা, শাহ নেওয়াজ ইফতিসহ অনেকে।

করোনায় থমকে গেছে জীবন। সেই সঙ্গে থমকে গেছে মঞ্চে জীবনের রূপায়নও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিতভাবে নাট্যচর্চা শুরু হলেও সরকারি বিধিনিষেধে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে নাট্যচর্চা। দেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের হার। এর সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
০৭ এপ্রিল ২০২১
দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই।
১৫ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।
১৫ ঘণ্টা আগে
১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় জিয়ার লেখা আরও এক গান ‘এই হাদি একা নয়, হাদি কোটি লক্ষ’। ১৮ ডিসেম্বর মারা গেছেন হাদি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মৃতি ও বিপ্লবী চেতনাকে সংগীতে ধারণ করে এবার নতুন গান লিখেছেন জিয়া হক। মুনাইম বিল্লাহর কণ্ঠে গতকাল ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘কোটি হাদির ডাক’ শিরোনামের গানটি। সুর করেছেন আবু উবায়দা।
নতুন গানটি প্রসঙ্গে মুনাইম বিল্লাহ বলেন, ‘কোটি হাদির ডাক শুধু একটি গান নয়, এটি একটি ইতিহাস, একটি বিপ্লবের প্রতিধ্বনি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের যে চেতনা, যে সাহস, এই গান তারই স্বীকৃতি। এই গান শুধু বিপ্লবী মানুষের নয়, সাধারণ মানুষের মনেও গভীর প্রভাব ফেলবে এবং হাদি ভাইকে চিরকাল স্মরণীয় করে রাখবে।’
অন্যদিকে ব্যান্ড বাংলাদেশ রেবেলস তাদের দুটি গান উৎসর্গ করেছে শরিফ ওসমান হাদিকে। গান দুটি হলো ‘এ কোন লাশ যায় না চেনা’ ও ‘আমি হুংকার দিয়ে আসব’। এখন থেকে প্রতিটি শোতে তারা হাদির স্মরণে গান দুটি গাইবে বলে জানিয়েছে। ব্যান্ডের ভোকাল মালিহা তাবাসসুম খেয়া বলেন, ‘হাদি ছিলেন নিখুঁত দেশপ্রেমিক। আমাদের গান তিনি খুব পছন্দ করতেন। ঢাকায় আমাদের শো মানেই হাদি ভাই উপস্থিত! এই দুটি গান তিনি সব সময় গাইবার জন্য বলতেন। তাই গান দুটি তাঁকে উৎসর্গ করলাম। এখন থেকে আমাদের ব্যান্ড প্রতিটি শোতে গান দুটি পরিবেশন করবে এবং হাদি ভাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’

১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় জিয়ার লেখা আরও এক গান ‘এই হাদি একা নয়, হাদি কোটি লক্ষ’। ১৮ ডিসেম্বর মারা গেছেন হাদি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মৃতি ও বিপ্লবী চেতনাকে সংগীতে ধারণ করে এবার নতুন গান লিখেছেন জিয়া হক। মুনাইম বিল্লাহর কণ্ঠে গতকাল ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘কোটি হাদির ডাক’ শিরোনামের গানটি। সুর করেছেন আবু উবায়দা।
নতুন গানটি প্রসঙ্গে মুনাইম বিল্লাহ বলেন, ‘কোটি হাদির ডাক শুধু একটি গান নয়, এটি একটি ইতিহাস, একটি বিপ্লবের প্রতিধ্বনি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের যে চেতনা, যে সাহস, এই গান তারই স্বীকৃতি। এই গান শুধু বিপ্লবী মানুষের নয়, সাধারণ মানুষের মনেও গভীর প্রভাব ফেলবে এবং হাদি ভাইকে চিরকাল স্মরণীয় করে রাখবে।’
অন্যদিকে ব্যান্ড বাংলাদেশ রেবেলস তাদের দুটি গান উৎসর্গ করেছে শরিফ ওসমান হাদিকে। গান দুটি হলো ‘এ কোন লাশ যায় না চেনা’ ও ‘আমি হুংকার দিয়ে আসব’। এখন থেকে প্রতিটি শোতে তারা হাদির স্মরণে গান দুটি গাইবে বলে জানিয়েছে। ব্যান্ডের ভোকাল মালিহা তাবাসসুম খেয়া বলেন, ‘হাদি ছিলেন নিখুঁত দেশপ্রেমিক। আমাদের গান তিনি খুব পছন্দ করতেন। ঢাকায় আমাদের শো মানেই হাদি ভাই উপস্থিত! এই দুটি গান তিনি সব সময় গাইবার জন্য বলতেন। তাই গান দুটি তাঁকে উৎসর্গ করলাম। এখন থেকে আমাদের ব্যান্ড প্রতিটি শোতে গান দুটি পরিবেশন করবে এবং হাদি ভাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’

করোনায় থমকে গেছে জীবন। সেই সঙ্গে থমকে গেছে মঞ্চে জীবনের রূপায়নও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিতভাবে নাট্যচর্চা শুরু হলেও সরকারি বিধিনিষেধে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে নাট্যচর্চা। দেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের হার। এর সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
০৭ এপ্রিল ২০২১
দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই।
১৫ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।
১৫ ঘণ্টা আগে
নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে।
১৫ ঘণ্টা আগে