মোহাম্মদ আরীফুল ইসলাম, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ)

কুপি বাতি জ্বলছে। সেই কুপিবাতি ঘিরেই বেশ কিছু মানুষ গোল হয়ে বসে আছে। তাদের চোখ-মুখে ঔৎসুক্য। দূর থেকে মনে হতে পারে আলো দেখতেই বুঝি তাঁরা জড়ো হয়েছেন। কিন্তু একটু দূরত্ব কমলেই কানে এসে লাগবে সুন্দর সুরেলা একটি কণ্ঠ—
‘বলি গাছের কি বাহার
শুনলে হবেন চমৎকার
বলি গাছের কি বাহার
মেন্দিয়ে কয় আমি মেন্দি
আমি হইলাম সবার বান্দি
আমায় নিয়ে দেয় কত
নতুন বউয়ের উপহার।’
আবদুল মালেক পড়ে চলেছেন। তাঁর কণ্ঠ কখনো উঠছে, কখনো নামছে। একটা আত্মগত সুরের ওঠানামা চলছে। আবদুল মালেকের কণ্ঠের কাঁপনের সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন কাঁপছে কুপিবাতির আলো। আর তার সঙ্গে সংগত দিতে এই বাতিকে ঘিরে থাকা মানুষের ছায়া পুরো মাঠজুড়ে, পুরো দুনিয়াজুড়ে যেন কেঁপে উঠছে, দুলে উঠছে। যার বাহার বর্ণনা করছেন আবদুল মালেক, সেই গাছও কি একটু দুলে উঠছে না? উঠছে হয়তো।
এমন দৃশ্য আগে গ্রামবাংলায় হামেশাই দেখা গেলেও এখন অনেকটাই বিরল। সেই কুপিবাতিও নেই, নেই আবদুল মালেকেরাও।
পুঁথিগান বাংলার লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির একটি গুরুপূর্ণ সম্পদ। কিশোরগঞ্জের পুঁথি নিয়ে ভাবতে গেলে যে নামটি প্রথমেই সামনে আসে, তা আবদুল মালেকের। ২০১২ সালের শেষ দিন, অর্থাৎ, ৩১ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। কিন্তু তাঁর গল্প, তাঁর পুথি পাঠের শৈলীর কথা এখনো ঘোরেফেরে মানুষের মুখে মুখে। হ্যাঁ, অবশ্যই তরুণদের নয়। মূলত পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী মানুষের মুখের কথায় এবং অতি অবশ্যই মনে আবদুল মালেক এখনো জীবিত।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে প্রাচীনকাল থেকেই পুঁথি ও কবি গানের আসর বসত। বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান, এমনকি শখ করে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি সন্ধ্যা নামলেই পুথি গান ও কবি গানের আসর বসত। মুখরিত হয়ে উঠত চারপাশ। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সী লোকজন উঠান কিংবা বাড়ির বারান্দায় জড়ো হতো পুথি ও কবিগান শোনার জন্য।
আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতির ছোঁয়ায় আজ অনেকটাই হারিয়ে গেছে পুথি ও কবি গান। মূল্যায়নের অভাবে এবং জীবিকার তাগিদে অনেক পুথি সাহিত্যিক ও গীতিকার অভিমান করে ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের এই সাহিত্যকর্ম। অবমূল্যায়নের শঙ্কায় তাঁদের সন্তানদেরও তাঁরা শিখিয়ে যাননি এ শিল্পের কলাকৌশল। ফলে গ্রামবাংলার পুথি পাঠ ও কবি গানের আসর এখন বিলীনপ্রায়।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের অন্যতম পুথি সাহিত্যিক ছিলেন আবদুল মালেক। কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর বাগপাড়া গ্রামে ১৯৩৮ সালের ২ জানুয়ারি জন্ম হয় আবদুল মালেকের। তাঁর বাবার নাম জহুর আলী।
আরিজ মিয়া আবদুল মালেকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদেই ফেললেন। তিনি বলেন, ‘মালেক ভাই কাজে-কর্মে খুব সুন্দর একজন মানুষ আছিল। আমরা কত দিন কত জায়গায় গিয়া পুথি গান শুনছি, তার কোনো হিসাব নাই। অহন মানুষও নাই, আর আগের পুথি গানও নাই!’ বললেন, তাঁর মতো আরও ছিলেন হারিয়াকান্দি গ্রামের ওয়াছ মিয়া, আলিম উদ্দিন ইত্যাদি।
কবি আবদুল মালেক ছোট সময় থেকেই নিজে নিজে গান তৈরি করে তা সুর করে পাঠ করে শোনাতেন লোকজনকে। গান সৃষ্টিতে অসামান্য দক্ষতা ও নিপুণ পাঠের কারণে খুব অল্প সময়ে কুলিয়ারচরবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। শুধু কুলিয়ারচর নয় দেশের বিভিন্ন স্থানে পুথি পাঠ করে তিনি সুনাম অর্জন করেন। তাঁর কবিতায়, গানে অমরত্ব পেয়েছেন স্থানীয় অনেকেই। এমনই একজন রুছতম আলী। একজন সফল কৃষক হিসেবেই আবদুল মালেকের কবিতায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন রুছতম আলী। তিনিও বেঁচে নেই আর। তবে আবদুল মালেকের কবিতায়-গানে তিনি যে জায়গা পেয়েছেন, তা তো মুছে যাওয়ার নয়—
‘কামালপুরের রুছমত আলী
সবার তিনি চেনা
সাদা-কালা হালের বলদ
গোলা ভরা দানা
মানুষের উপকারী
রুছমত আলী নাম
এই গেরামের সবাই জানে
কেমন যে তার দাম’
মানুষ রুছতম আলীর দাম যেমন জেনেছে, তেমনি জেনেছে তাদের প্রিয় আবদুল মালেকের দামও। তিনি নানা বিষয় নিয়ে পুথি গান রচনা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ভৈরবকে জেলা করাসহ অসংখ্য পুথি গান তৈরি করে গেয়েছেন তিনি। বিচিত্র তাঁর ভান্ডার। এসব সৃষ্টির অনেক কিছুই সেভাবে সংরক্ষিত নয়। কিন্তু মানুষের মুখে মুখে, মগজে ও মনে তাঁর কবিতা ও গান রয়ে গেছে। শুরুতে আবদুল মালেকের যে পুথির কথা উল্লেখ করা হলো, তার নাম কেউ না জানলেও এই পুথির বাণী মানুষের মুখে এখনো শোনা যায়।
আবদুল মালেকের বড় ছেলে খালখাড়া কোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু মুছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা তাৎক্ষণিকভাবে পুথি গান তৈরি করতে পারতেন। সব সময় তিনি হাসি-খুশি ছিলেন। মানুষকেও হাসি-খুশি রাখার চেষ্টা করতেন। আব্বা ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেও শত শত গান তৈরি করে গেছেন। কটিয়াদী মুতি মিয়ার দোকানে এই পুথি গানগুলো রেকর্ড করা হতো। আধুনিক যুগে এসে মনে হচ্ছে—আব্বাকে, আব্বার কাজকে বাঁচিয়ে রাখাটা এখন খুব জরুরি।’
কোনাপাড়া গ্রামের শিক্ষক রাকিবুল হান্নান মিজান বলেন, ‘আমরা খুব কাছ থেকে দেখেছি তাঁকে। অনেক পুথি গান শুনেছি তাঁর মুখ থেকে। কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জেলার, বিশেষ করে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা খুব ভালোভাবে জানেন, পুথি সাহিত্যিক আবদুল মালেক কে ছিলেন। তাঁর পুথি গানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখাটা কুলিয়ারচরের মানুষের জন্য খুব জরুরি।’
কুলিয়ারচরে এখন কুপিবাতি বিরল। বিরল আবদুল মালেকের মতো মানুষও। তাঁদের কীর্তিও এমনকি সেভাবে রক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশের অন্য কোথাও কুলিয়ারচরের আবদুল মালেকের মতো কবি ও সাহিত্যিক আছেন কিনা, কে জানে। তাঁদের খোঁজই বা কে রাখে। তবে এই সময়ে এসে দেরিতে হলেও তাঁদের কাজ সংরক্ষণে যথাযথ মনযোগ দেওয়া দরকার।

কুপি বাতি জ্বলছে। সেই কুপিবাতি ঘিরেই বেশ কিছু মানুষ গোল হয়ে বসে আছে। তাদের চোখ-মুখে ঔৎসুক্য। দূর থেকে মনে হতে পারে আলো দেখতেই বুঝি তাঁরা জড়ো হয়েছেন। কিন্তু একটু দূরত্ব কমলেই কানে এসে লাগবে সুন্দর সুরেলা একটি কণ্ঠ—
‘বলি গাছের কি বাহার
শুনলে হবেন চমৎকার
বলি গাছের কি বাহার
মেন্দিয়ে কয় আমি মেন্দি
আমি হইলাম সবার বান্দি
আমায় নিয়ে দেয় কত
নতুন বউয়ের উপহার।’
আবদুল মালেক পড়ে চলেছেন। তাঁর কণ্ঠ কখনো উঠছে, কখনো নামছে। একটা আত্মগত সুরের ওঠানামা চলছে। আবদুল মালেকের কণ্ঠের কাঁপনের সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন কাঁপছে কুপিবাতির আলো। আর তার সঙ্গে সংগত দিতে এই বাতিকে ঘিরে থাকা মানুষের ছায়া পুরো মাঠজুড়ে, পুরো দুনিয়াজুড়ে যেন কেঁপে উঠছে, দুলে উঠছে। যার বাহার বর্ণনা করছেন আবদুল মালেক, সেই গাছও কি একটু দুলে উঠছে না? উঠছে হয়তো।
এমন দৃশ্য আগে গ্রামবাংলায় হামেশাই দেখা গেলেও এখন অনেকটাই বিরল। সেই কুপিবাতিও নেই, নেই আবদুল মালেকেরাও।
পুঁথিগান বাংলার লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির একটি গুরুপূর্ণ সম্পদ। কিশোরগঞ্জের পুঁথি নিয়ে ভাবতে গেলে যে নামটি প্রথমেই সামনে আসে, তা আবদুল মালেকের। ২০১২ সালের শেষ দিন, অর্থাৎ, ৩১ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। কিন্তু তাঁর গল্প, তাঁর পুথি পাঠের শৈলীর কথা এখনো ঘোরেফেরে মানুষের মুখে মুখে। হ্যাঁ, অবশ্যই তরুণদের নয়। মূলত পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সী মানুষের মুখের কথায় এবং অতি অবশ্যই মনে আবদুল মালেক এখনো জীবিত।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে প্রাচীনকাল থেকেই পুঁথি ও কবি গানের আসর বসত। বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান, এমনকি শখ করে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি সন্ধ্যা নামলেই পুথি গান ও কবি গানের আসর বসত। মুখরিত হয়ে উঠত চারপাশ। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সী লোকজন উঠান কিংবা বাড়ির বারান্দায় জড়ো হতো পুথি ও কবিগান শোনার জন্য।
আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতির ছোঁয়ায় আজ অনেকটাই হারিয়ে গেছে পুথি ও কবি গান। মূল্যায়নের অভাবে এবং জীবিকার তাগিদে অনেক পুথি সাহিত্যিক ও গীতিকার অভিমান করে ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের এই সাহিত্যকর্ম। অবমূল্যায়নের শঙ্কায় তাঁদের সন্তানদেরও তাঁরা শিখিয়ে যাননি এ শিল্পের কলাকৌশল। ফলে গ্রামবাংলার পুথি পাঠ ও কবি গানের আসর এখন বিলীনপ্রায়।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের অন্যতম পুথি সাহিত্যিক ছিলেন আবদুল মালেক। কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর বাগপাড়া গ্রামে ১৯৩৮ সালের ২ জানুয়ারি জন্ম হয় আবদুল মালেকের। তাঁর বাবার নাম জহুর আলী।
আরিজ মিয়া আবদুল মালেকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদেই ফেললেন। তিনি বলেন, ‘মালেক ভাই কাজে-কর্মে খুব সুন্দর একজন মানুষ আছিল। আমরা কত দিন কত জায়গায় গিয়া পুথি গান শুনছি, তার কোনো হিসাব নাই। অহন মানুষও নাই, আর আগের পুথি গানও নাই!’ বললেন, তাঁর মতো আরও ছিলেন হারিয়াকান্দি গ্রামের ওয়াছ মিয়া, আলিম উদ্দিন ইত্যাদি।
কবি আবদুল মালেক ছোট সময় থেকেই নিজে নিজে গান তৈরি করে তা সুর করে পাঠ করে শোনাতেন লোকজনকে। গান সৃষ্টিতে অসামান্য দক্ষতা ও নিপুণ পাঠের কারণে খুব অল্প সময়ে কুলিয়ারচরবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। শুধু কুলিয়ারচর নয় দেশের বিভিন্ন স্থানে পুথি পাঠ করে তিনি সুনাম অর্জন করেন। তাঁর কবিতায়, গানে অমরত্ব পেয়েছেন স্থানীয় অনেকেই। এমনই একজন রুছতম আলী। একজন সফল কৃষক হিসেবেই আবদুল মালেকের কবিতায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন রুছতম আলী। তিনিও বেঁচে নেই আর। তবে আবদুল মালেকের কবিতায়-গানে তিনি যে জায়গা পেয়েছেন, তা তো মুছে যাওয়ার নয়—
‘কামালপুরের রুছমত আলী
সবার তিনি চেনা
সাদা-কালা হালের বলদ
গোলা ভরা দানা
মানুষের উপকারী
রুছমত আলী নাম
এই গেরামের সবাই জানে
কেমন যে তার দাম’
মানুষ রুছতম আলীর দাম যেমন জেনেছে, তেমনি জেনেছে তাদের প্রিয় আবদুল মালেকের দামও। তিনি নানা বিষয় নিয়ে পুথি গান রচনা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও ভৈরবকে জেলা করাসহ অসংখ্য পুথি গান তৈরি করে গেয়েছেন তিনি। বিচিত্র তাঁর ভান্ডার। এসব সৃষ্টির অনেক কিছুই সেভাবে সংরক্ষিত নয়। কিন্তু মানুষের মুখে মুখে, মগজে ও মনে তাঁর কবিতা ও গান রয়ে গেছে। শুরুতে আবদুল মালেকের যে পুথির কথা উল্লেখ করা হলো, তার নাম কেউ না জানলেও এই পুথির বাণী মানুষের মুখে এখনো শোনা যায়।
আবদুল মালেকের বড় ছেলে খালখাড়া কোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু মুছা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা তাৎক্ষণিকভাবে পুথি গান তৈরি করতে পারতেন। সব সময় তিনি হাসি-খুশি ছিলেন। মানুষকেও হাসি-খুশি রাখার চেষ্টা করতেন। আব্বা ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেও শত শত গান তৈরি করে গেছেন। কটিয়াদী মুতি মিয়ার দোকানে এই পুথি গানগুলো রেকর্ড করা হতো। আধুনিক যুগে এসে মনে হচ্ছে—আব্বাকে, আব্বার কাজকে বাঁচিয়ে রাখাটা এখন খুব জরুরি।’
কোনাপাড়া গ্রামের শিক্ষক রাকিবুল হান্নান মিজান বলেন, ‘আমরা খুব কাছ থেকে দেখেছি তাঁকে। অনেক পুথি গান শুনেছি তাঁর মুখ থেকে। কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জেলার, বিশেষ করে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা খুব ভালোভাবে জানেন, পুথি সাহিত্যিক আবদুল মালেক কে ছিলেন। তাঁর পুথি গানগুলোকে বাঁচিয়ে রাখাটা কুলিয়ারচরের মানুষের জন্য খুব জরুরি।’
কুলিয়ারচরে এখন কুপিবাতি বিরল। বিরল আবদুল মালেকের মতো মানুষও। তাঁদের কীর্তিও এমনকি সেভাবে রক্ষিত হয়নি। বাংলাদেশের অন্য কোথাও কুলিয়ারচরের আবদুল মালেকের মতো কবি ও সাহিত্যিক আছেন কিনা, কে জানে। তাঁদের খোঁজই বা কে রাখে। তবে এই সময়ে এসে দেরিতে হলেও তাঁদের কাজ সংরক্ষণে যথাযথ মনযোগ দেওয়া দরকার।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৮ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৯ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১০ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’
বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’
বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

আবদুল মালেক পড়ে চলেছেন। তাঁর কণ্ঠ কখনো উঠছে, কখনো নামছে। একটা আত্মগত সুরের ওঠানামা চলছে। আবদুল মালেকের কণ্ঠের কাঁপনের সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন কাঁপছে কুপিবাতির আলো। আর তার সঙ্গে সংগত দিতে এই বাতিকে ঘিরে থাকা মানুষের ছায়া পুরো মাঠজুড়ে, পুরো দুনিয়াজুড়ে যেন কেঁপে উঠছে, দুলে উঠছে। যার বাহার...
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৯ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১০ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।
ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’
জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।
ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’
জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

আবদুল মালেক পড়ে চলেছেন। তাঁর কণ্ঠ কখনো উঠছে, কখনো নামছে। একটা আত্মগত সুরের ওঠানামা চলছে। আবদুল মালেকের কণ্ঠের কাঁপনের সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন কাঁপছে কুপিবাতির আলো। আর তার সঙ্গে সংগত দিতে এই বাতিকে ঘিরে থাকা মানুষের ছায়া পুরো মাঠজুড়ে, পুরো দুনিয়াজুড়ে যেন কেঁপে উঠছে, দুলে উঠছে। যার বাহার...
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৮ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১০ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’
শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’
সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’
অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’
শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’
সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’
অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

আবদুল মালেক পড়ে চলেছেন। তাঁর কণ্ঠ কখনো উঠছে, কখনো নামছে। একটা আত্মগত সুরের ওঠানামা চলছে। আবদুল মালেকের কণ্ঠের কাঁপনের সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন কাঁপছে কুপিবাতির আলো। আর তার সঙ্গে সংগত দিতে এই বাতিকে ঘিরে থাকা মানুষের ছায়া পুরো মাঠজুড়ে, পুরো দুনিয়াজুড়ে যেন কেঁপে উঠছে, দুলে উঠছে। যার বাহার...
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৮ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৯ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।
আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।
এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।
আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।
এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

আবদুল মালেক পড়ে চলেছেন। তাঁর কণ্ঠ কখনো উঠছে, কখনো নামছে। একটা আত্মগত সুরের ওঠানামা চলছে। আবদুল মালেকের কণ্ঠের কাঁপনের সঙ্গে তাল মিলিয়েই যেন কাঁপছে কুপিবাতির আলো। আর তার সঙ্গে সংগত দিতে এই বাতিকে ঘিরে থাকা মানুষের ছায়া পুরো মাঠজুড়ে, পুরো দুনিয়াজুড়ে যেন কেঁপে উঠছে, দুলে উঠছে। যার বাহার...
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৮ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৯ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১০ ঘণ্টা আগে