মীর রাকিব হাসান, ঢাকা

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
প্রযোজনার উৎসাহ এল কীভাবে?
শৈশব-কৈশোরে প্রচুর দেশি-বিদেশি সিনেমা সিরিজ দেখা হতো। সেখান থেকেই মূলত স্বপ্নটা দেখা শুরু হয়। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলেছেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।' তার মানে, আমাদের স্বপ্ন যত বড় হবে, আমরাও তত বড় হব। পড়াশোনায় কখনোই সিরিয়াস ছিলাম না । আমার এখনো মনে আছে, এসএসসি ও এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষার আগের রাতেও ডিভিডিতে ইংরেজি ছবি দেখেছিলাম। আমাদের বংশেই কেউ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে কখনো মনে হয়নি সময় নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক কিংবা অভিনেতা হতে পারব। দ্বিতীয়ত, বাংলা ছবির যখন রমরমা যুগ ছিল, তখনো আমাদের পিকচারাইজেশন মন ছুঁত না। পাশাপাশি হলিউডের ছবি ঝকঝকে ছিল। পিকচারাইজেশন দেখে মনে হতো আমরা উন্নতমানের সিনেমাটিক কোয়ালিটিতে অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্নটা ছিল যে একদিন যখন অনেক টাকা আয় করব, তখন এমন হলিউড বা বলিউড কোয়ালিটির ছবি বানাব। পড়াশোনার গতিপথে চলতে চলতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসি। এখানে এসেও আমার মনে হয়েছে দেশের নাটক-সিনেমার জন্য কিছু করতে পারব। আস্তে আস্তে টাকা উপার্জন শুরু করলাম। প্রযোজনায়ও নামলাম। আমি মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী প্রযোজক। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাটক প্রযোজনা শুরু করি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিং খান শাকিব আমাকে দেখে তো অবাক হয়েছিলেন।
শাকিব খানের গল্পটা কী?
নাটক প্রযোজনার বছরখানেকের মধ্যেই আমি ছবি নির্মাণের প্ল্যান করি। শাকিব খান এখনো নাম্বার ওয়ান। বছর দশেক আগে এমনই জনপ্রিয় ছিলেন, ব্যস্ত শিডিউল ছিল। আমি এফডিসিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি আমার সঙ্গে খুবই আন্তরিকভাবে কথা বললেন। উনি শুনে অবাক যে আমি প্রযোজক, ইতিমধ্যেই এই বয়সে অনেকগুলো নাটক প্রযোজনা করেছি। তখন আমার বয়স ১৮ বছর। যদিও ছবি নির্মাণে পিছপা হতে হয়েছিল।
কেন পিছপা হতে হয়েছিল?
প্রযোজনার প্ল্যান থাকলেও কিছুদিন ঘুরে মনে হয়েছে আমার আরও সময় নেওয়া উচিত। কেননা, অভিজ্ঞতা অর্জন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি যে মানের ছবি বানাতে চাই, তার জন্য সময় নেওয়া উচিত। ছবি নির্মাণ না করলেও নিয়মিত নাটক ও বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছি। ইতিমধ্যে শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছি। আমার প্রযোজনায় বাংলাদেশে নাটকের সব বড় বড় স্টার অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায় আফজাল হোসেন, নোবেল, মৌ, জাহিদ হাসান, রিয়াজ, তৌকির আহমেদ, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপূর্ব, আফরান নিশো, মেহজাবিন, তানজিন তিশা, তাহসান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মীর সাব্বির, রিনা খান, সুব্রত, সাজু খাদেম, জন কবির, সিয়াম, তাসকিন রহমান, ইমন, শামিম হাসান সরকার, ফারহান আহমেদ জোভান, নাঈম, নাদিয়া, সালমান, পিয়া বিপাশা, শখ, সারিকা, মম, শারলিন, সোহানা সাবা, নিশা, নওশিন, জেনি, সানজিদা প্রীতিসহ সময়ের সব জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি বিশ্ব ক্রিকেটের সব ফরম্যাটের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করতে করতে আমি ছবির প্ল্যানও করে ফেলেছি।
তাহলে ছবি নির্মাণ করছেন?
গত বছরই হয়তো আমার ছবির শুটিং শুরু হয়ে যেত। করোনা এসে বাধা হয়ে দাঁড়াল। এই যে অস্ট্রেলিয়ায় এখনো লকডাউন চলছে। আমি বাসা থেকেই অফিস করছি। আমি আফরান নিশো-পরীমণিকে জুটি করে ছবি নির্মাণ করতে চাইছি। আমার নিশো ভাই ও পরীর সঙ্গে কথাও হয়েছিল। ওনারা দুজনেই ভালো কাজ করার ব্যাপারে সব সময়ই পজিটিভ। অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। বর্ডার খুললে বাংলাদেশে গিয়ে সামনাসামনি বসে ছবির ব্যাপারটি ফাইনাল করার প্ল্যান আছে। এর আগে তো অবশ্যই তাঁদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ হবে।
নিশো-পরীকে জুটি করতে চাইছেন কেন?
নিশো ভাইয়ের সঙ্গে নাটকে অনেক কাজ করেছি। সবগুলোই জনপ্রিয়। ব্যক্তিগতভাবেও উনি আমার প্রিয় অভিনেতা। একটা ঘটনা বলি। একবার আমি মালয়েশিয়া যাচ্ছি, আমার পাশে বসেছেন এক প্রবাসী ভাই। উনি আমাকে দেখে চিনেছেন। বলে, ভাই, আপনি না নাটকে অভিনয় করেন? তখন তাকে বোঝালাম যে আমি নাটকে অভিনয় করি না। দেশে এলে মাঝেমধ্যে অতিথি চরিত্র করা হয়। তখন উনি একটা নাটকের কথা বললেন। অবাক হলাম এটা জেনে যে উনি জানেন, আমি ওই নাটকের প্রযোজক এবং লেখকও। উনি তখন বললেন, ভাই, নিশো ভাইকে নিয়ে একটা সিনেমা বানান। আমরা প্রবাসে থাকি, পরিশ্রম করে রুমে ফিরে নাটক দেখি। ওনার আমি ভীষণ ফ্যান। নাটক দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। অনেক দুঃখ-কষ্ট ভুলে যাই। তখন আমার মনে হলো নিশো ভাইকে নিয়ে আমি সিনেমা নির্মাণ করবই। তাকে আমি যেকোনোভাবে রাজি করাব। আর আমি আশাবাদী যে তাঁর ভালোলাগার গল্প ও শুটিং প্ল্যান নিয়েই বসব। নিশো ভাই একটা এক ঘণ্টার নাটক করার জন্য যেই ডেডিকেশন দেন, যদি সিনেমায় ওনাকে ওভাবে সময় দিতে পারি, উনি অন্যরকম কিছু করতে পারবেন। অন্যদিকে পরীমণি বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা। উনি কতটা জনপ্রিয়, এই সময়ে এসে সবাই ভালোই টের পেয়েছেন। তাছাড়া উনি ভালো অভিনেত্রীও। ভালো পরিচালক ওনাকে গাইড করলে সেটা আমরা দেখতেও পাই। যেমন ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাই ওনার কাছ থেকে কী দুর্দান্তই না অভিনয় বের করেছেন।
শুটিং প্ল্যান কি কিছু হয়েছে?
প্রথমত রিয়েল লাইফ বেসড রোম্যান্টিক ছবি বানাব, যাতে করে মানুষ রিলেট করতে পারে কাজটা। দেখে মনে হয় যেন এটা তো আমারই দেখা একজনের জীবনের গল্প! ইচ্ছে আছে যৌথ প্রযোজনা করার। দুই বাংলা থেকে দুজন জনপ্রিয় পরিচালক এবং সমানভাবে অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজটা করার। এখনো সবকিছু ঠিক না হলেও কথাবার্তা চলছে। বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে ২৬ কোটিরও বেশি বাংলা ভাষাভাষীর বসবাস বাংলাদেশ ও ভারতে। বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী বাকি ৪ কোটিরও বেশি মানুষ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই বিশাল অডিয়েন্সটাকে যদি আমরা ধরতে পারি, তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না । আমার ছবিটা বিশ্বের অনেক দেশেই মুক্তি দিতে চাইছি। কেননা, বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় তো মুক্তি দেবই; এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। শুটিংটাও সেভাবে করতে চাইছি। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে এর শুটিং হবে। গল্পটাই এমন হবে। একটা-দুটো গান করার জন্য যে বিদেশে আনব টিম, সেটা না। গল্পের বাঁকে বাঁকে টুইস্ট রেখে এটা করার ইচ্ছে। এখন এসব প্ল্যান করে এই বছর আর সম্ভব নয়। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার খুললে আগে দেশে তো যেতে হবে।
প্রবাসে থেকে বাংলাদেশে প্রযোজনা। লাভ-ক্ষতির হিসেব কী?
আমি যে খুব একটা লাভের আশায় বিনিয়োগ করি এমনটা না। একটা ভালোবাসার জায়গা তো আছেই। আমার চাওয়া যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হোক। আবার এত দিন কাজ করতে করতে একটা শিক্ষাও হয়েছে। আমার মা সব সময় একটা কথা বলতেন যে তোমার ক্লাসে অনেক স্টুডেন্ট থাকবে। এর মধ্যে কেউ ভালো এবং কেউ খারাপ থাকবে। তবে তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা কোনো ভালো গুণ আছে। তোমার কাজটা হলো তাদের খারাপ গুণগুলো বর্জন করে ভালো গুণ বা দক্ষতাকে নিজের মধ্যে ক্রিমের মতো অ্যাডাপ্ট করে নেওয়া। এভাবেই আমি সারা জীবন সব সময় ভালো গুণগুলোই অ্যাডাপ্ট করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ করে সবার ভালো পরামর্শগুলোই সব সময় নিয়ে কাজ করেছি। তার পরও কিছু দুঃখবোধ তো আছে।
তা কী?
অনেক পরিচালক মনে করেন আজ পেয়েছি। প্রযোজকের টাকাটা যত্ন করে খরচ করেন না বা মনে করেন, যা পারি এই নাটক থেকেই আয় করে নিই। বাইরে থেকে সব সময় তো সবটা মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। কিন্তু কোনো না কোনো সময় তো বুঝি যে আমাকে কীভাবে ঠকিয়েছে। আমি কালো টাকা দিয়ে প্রযোজনা করি না। পড়াশোনা শেষে চাকরি করে সৎভাবে টাকা আয় করে ভালোবাসার জায়গা থেকে ইনভেস্ট করি। তা ছাড়া অনেক সময় চ্যানেলের ব্যবহারেও খুশি থাকতে পারি না। একটা নাটক কিনে নেওয়ার পর তারা যে কতবার প্রচার করে হিসাব নেই। এর থেকে ডিজিটালি আয় করে। এর ক্লিপস কেটে আয় করে। কিন্তু আমরা প্রযোজকেরা সেখান থেকে কী পাই? ছবির ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা না। আমাদের মহানায়ক সালমান শাহর ছবি থেকে আমার পরিচিত একজন প্রযোজক আংকেল এখনো উপার্জন করছেন। তাঁর প্রযোজনা করা চলচ্চিত্রটি যতবার টেলিভিশনের পর্দায় প্রদর্শিত হয়, ততবার তিনি টাকা পাচ্ছেন। এটা একধরনের সম্পত্তির মতো। নাটক প্রযোজনাটা বেশ কষ্টসাধ্য। কেননা, নাটকের বাজেট যেমন প্রতিনিয়ত বাড়ছে, ঠিক তেমনি নাটকের লাভের পরিমাণ সেভাবেই কমছে। এর থেকে খুব বেশি কিছু পাওয়ার আশাও করা যায় না।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
প্রযোজনার উৎসাহ এল কীভাবে?
শৈশব-কৈশোরে প্রচুর দেশি-বিদেশি সিনেমা সিরিজ দেখা হতো। সেখান থেকেই মূলত স্বপ্নটা দেখা শুরু হয়। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলেছেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।' তার মানে, আমাদের স্বপ্ন যত বড় হবে, আমরাও তত বড় হব। পড়াশোনায় কখনোই সিরিয়াস ছিলাম না । আমার এখনো মনে আছে, এসএসসি ও এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষার আগের রাতেও ডিভিডিতে ইংরেজি ছবি দেখেছিলাম। আমাদের বংশেই কেউ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে কখনো মনে হয়নি সময় নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক কিংবা অভিনেতা হতে পারব। দ্বিতীয়ত, বাংলা ছবির যখন রমরমা যুগ ছিল, তখনো আমাদের পিকচারাইজেশন মন ছুঁত না। পাশাপাশি হলিউডের ছবি ঝকঝকে ছিল। পিকচারাইজেশন দেখে মনে হতো আমরা উন্নতমানের সিনেমাটিক কোয়ালিটিতে অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্নটা ছিল যে একদিন যখন অনেক টাকা আয় করব, তখন এমন হলিউড বা বলিউড কোয়ালিটির ছবি বানাব। পড়াশোনার গতিপথে চলতে চলতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসি। এখানে এসেও আমার মনে হয়েছে দেশের নাটক-সিনেমার জন্য কিছু করতে পারব। আস্তে আস্তে টাকা উপার্জন শুরু করলাম। প্রযোজনায়ও নামলাম। আমি মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী প্রযোজক। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাটক প্রযোজনা শুরু করি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিং খান শাকিব আমাকে দেখে তো অবাক হয়েছিলেন।
শাকিব খানের গল্পটা কী?
নাটক প্রযোজনার বছরখানেকের মধ্যেই আমি ছবি নির্মাণের প্ল্যান করি। শাকিব খান এখনো নাম্বার ওয়ান। বছর দশেক আগে এমনই জনপ্রিয় ছিলেন, ব্যস্ত শিডিউল ছিল। আমি এফডিসিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি আমার সঙ্গে খুবই আন্তরিকভাবে কথা বললেন। উনি শুনে অবাক যে আমি প্রযোজক, ইতিমধ্যেই এই বয়সে অনেকগুলো নাটক প্রযোজনা করেছি। তখন আমার বয়স ১৮ বছর। যদিও ছবি নির্মাণে পিছপা হতে হয়েছিল।
কেন পিছপা হতে হয়েছিল?
প্রযোজনার প্ল্যান থাকলেও কিছুদিন ঘুরে মনে হয়েছে আমার আরও সময় নেওয়া উচিত। কেননা, অভিজ্ঞতা অর্জন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি যে মানের ছবি বানাতে চাই, তার জন্য সময় নেওয়া উচিত। ছবি নির্মাণ না করলেও নিয়মিত নাটক ও বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছি। ইতিমধ্যে শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছি। আমার প্রযোজনায় বাংলাদেশে নাটকের সব বড় বড় স্টার অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায় আফজাল হোসেন, নোবেল, মৌ, জাহিদ হাসান, রিয়াজ, তৌকির আহমেদ, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপূর্ব, আফরান নিশো, মেহজাবিন, তানজিন তিশা, তাহসান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মীর সাব্বির, রিনা খান, সুব্রত, সাজু খাদেম, জন কবির, সিয়াম, তাসকিন রহমান, ইমন, শামিম হাসান সরকার, ফারহান আহমেদ জোভান, নাঈম, নাদিয়া, সালমান, পিয়া বিপাশা, শখ, সারিকা, মম, শারলিন, সোহানা সাবা, নিশা, নওশিন, জেনি, সানজিদা প্রীতিসহ সময়ের সব জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি বিশ্ব ক্রিকেটের সব ফরম্যাটের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করতে করতে আমি ছবির প্ল্যানও করে ফেলেছি।
তাহলে ছবি নির্মাণ করছেন?
গত বছরই হয়তো আমার ছবির শুটিং শুরু হয়ে যেত। করোনা এসে বাধা হয়ে দাঁড়াল। এই যে অস্ট্রেলিয়ায় এখনো লকডাউন চলছে। আমি বাসা থেকেই অফিস করছি। আমি আফরান নিশো-পরীমণিকে জুটি করে ছবি নির্মাণ করতে চাইছি। আমার নিশো ভাই ও পরীর সঙ্গে কথাও হয়েছিল। ওনারা দুজনেই ভালো কাজ করার ব্যাপারে সব সময়ই পজিটিভ। অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। বর্ডার খুললে বাংলাদেশে গিয়ে সামনাসামনি বসে ছবির ব্যাপারটি ফাইনাল করার প্ল্যান আছে। এর আগে তো অবশ্যই তাঁদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ হবে।
নিশো-পরীকে জুটি করতে চাইছেন কেন?
নিশো ভাইয়ের সঙ্গে নাটকে অনেক কাজ করেছি। সবগুলোই জনপ্রিয়। ব্যক্তিগতভাবেও উনি আমার প্রিয় অভিনেতা। একটা ঘটনা বলি। একবার আমি মালয়েশিয়া যাচ্ছি, আমার পাশে বসেছেন এক প্রবাসী ভাই। উনি আমাকে দেখে চিনেছেন। বলে, ভাই, আপনি না নাটকে অভিনয় করেন? তখন তাকে বোঝালাম যে আমি নাটকে অভিনয় করি না। দেশে এলে মাঝেমধ্যে অতিথি চরিত্র করা হয়। তখন উনি একটা নাটকের কথা বললেন। অবাক হলাম এটা জেনে যে উনি জানেন, আমি ওই নাটকের প্রযোজক এবং লেখকও। উনি তখন বললেন, ভাই, নিশো ভাইকে নিয়ে একটা সিনেমা বানান। আমরা প্রবাসে থাকি, পরিশ্রম করে রুমে ফিরে নাটক দেখি। ওনার আমি ভীষণ ফ্যান। নাটক দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। অনেক দুঃখ-কষ্ট ভুলে যাই। তখন আমার মনে হলো নিশো ভাইকে নিয়ে আমি সিনেমা নির্মাণ করবই। তাকে আমি যেকোনোভাবে রাজি করাব। আর আমি আশাবাদী যে তাঁর ভালোলাগার গল্প ও শুটিং প্ল্যান নিয়েই বসব। নিশো ভাই একটা এক ঘণ্টার নাটক করার জন্য যেই ডেডিকেশন দেন, যদি সিনেমায় ওনাকে ওভাবে সময় দিতে পারি, উনি অন্যরকম কিছু করতে পারবেন। অন্যদিকে পরীমণি বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা। উনি কতটা জনপ্রিয়, এই সময়ে এসে সবাই ভালোই টের পেয়েছেন। তাছাড়া উনি ভালো অভিনেত্রীও। ভালো পরিচালক ওনাকে গাইড করলে সেটা আমরা দেখতেও পাই। যেমন ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাই ওনার কাছ থেকে কী দুর্দান্তই না অভিনয় বের করেছেন।
শুটিং প্ল্যান কি কিছু হয়েছে?
প্রথমত রিয়েল লাইফ বেসড রোম্যান্টিক ছবি বানাব, যাতে করে মানুষ রিলেট করতে পারে কাজটা। দেখে মনে হয় যেন এটা তো আমারই দেখা একজনের জীবনের গল্প! ইচ্ছে আছে যৌথ প্রযোজনা করার। দুই বাংলা থেকে দুজন জনপ্রিয় পরিচালক এবং সমানভাবে অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজটা করার। এখনো সবকিছু ঠিক না হলেও কথাবার্তা চলছে। বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে ২৬ কোটিরও বেশি বাংলা ভাষাভাষীর বসবাস বাংলাদেশ ও ভারতে। বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী বাকি ৪ কোটিরও বেশি মানুষ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই বিশাল অডিয়েন্সটাকে যদি আমরা ধরতে পারি, তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না । আমার ছবিটা বিশ্বের অনেক দেশেই মুক্তি দিতে চাইছি। কেননা, বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় তো মুক্তি দেবই; এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। শুটিংটাও সেভাবে করতে চাইছি। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে এর শুটিং হবে। গল্পটাই এমন হবে। একটা-দুটো গান করার জন্য যে বিদেশে আনব টিম, সেটা না। গল্পের বাঁকে বাঁকে টুইস্ট রেখে এটা করার ইচ্ছে। এখন এসব প্ল্যান করে এই বছর আর সম্ভব নয়। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার খুললে আগে দেশে তো যেতে হবে।
প্রবাসে থেকে বাংলাদেশে প্রযোজনা। লাভ-ক্ষতির হিসেব কী?
আমি যে খুব একটা লাভের আশায় বিনিয়োগ করি এমনটা না। একটা ভালোবাসার জায়গা তো আছেই। আমার চাওয়া যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হোক। আবার এত দিন কাজ করতে করতে একটা শিক্ষাও হয়েছে। আমার মা সব সময় একটা কথা বলতেন যে তোমার ক্লাসে অনেক স্টুডেন্ট থাকবে। এর মধ্যে কেউ ভালো এবং কেউ খারাপ থাকবে। তবে তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা কোনো ভালো গুণ আছে। তোমার কাজটা হলো তাদের খারাপ গুণগুলো বর্জন করে ভালো গুণ বা দক্ষতাকে নিজের মধ্যে ক্রিমের মতো অ্যাডাপ্ট করে নেওয়া। এভাবেই আমি সারা জীবন সব সময় ভালো গুণগুলোই অ্যাডাপ্ট করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ করে সবার ভালো পরামর্শগুলোই সব সময় নিয়ে কাজ করেছি। তার পরও কিছু দুঃখবোধ তো আছে।
তা কী?
অনেক পরিচালক মনে করেন আজ পেয়েছি। প্রযোজকের টাকাটা যত্ন করে খরচ করেন না বা মনে করেন, যা পারি এই নাটক থেকেই আয় করে নিই। বাইরে থেকে সব সময় তো সবটা মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। কিন্তু কোনো না কোনো সময় তো বুঝি যে আমাকে কীভাবে ঠকিয়েছে। আমি কালো টাকা দিয়ে প্রযোজনা করি না। পড়াশোনা শেষে চাকরি করে সৎভাবে টাকা আয় করে ভালোবাসার জায়গা থেকে ইনভেস্ট করি। তা ছাড়া অনেক সময় চ্যানেলের ব্যবহারেও খুশি থাকতে পারি না। একটা নাটক কিনে নেওয়ার পর তারা যে কতবার প্রচার করে হিসাব নেই। এর থেকে ডিজিটালি আয় করে। এর ক্লিপস কেটে আয় করে। কিন্তু আমরা প্রযোজকেরা সেখান থেকে কী পাই? ছবির ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা না। আমাদের মহানায়ক সালমান শাহর ছবি থেকে আমার পরিচিত একজন প্রযোজক আংকেল এখনো উপার্জন করছেন। তাঁর প্রযোজনা করা চলচ্চিত্রটি যতবার টেলিভিশনের পর্দায় প্রদর্শিত হয়, ততবার তিনি টাকা পাচ্ছেন। এটা একধরনের সম্পত্তির মতো। নাটক প্রযোজনাটা বেশ কষ্টসাধ্য। কেননা, নাটকের বাজেট যেমন প্রতিনিয়ত বাড়ছে, ঠিক তেমনি নাটকের লাভের পরিমাণ সেভাবেই কমছে। এর থেকে খুব বেশি কিছু পাওয়ার আশাও করা যায় না।

শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
২১ ঘণ্টা আগে
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?
শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।
এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?
বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।
অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?
দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।
এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...
ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।
অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?
পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।
ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?
শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।
এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?
বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।
অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?
দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।
এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...
ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।
অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?
পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।
বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’
সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।
বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’
সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।
শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।
উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।
শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।
উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।
সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’
প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’
ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’
পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।
এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।
মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।
সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’
প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’
ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’
পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।
এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।
মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
২১ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
২১ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
২১ ঘণ্টা আগে