মীর রাকিব হাসান, ঢাকা

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
প্রযোজনার উৎসাহ এল কীভাবে?
শৈশব-কৈশোরে প্রচুর দেশি-বিদেশি সিনেমা সিরিজ দেখা হতো। সেখান থেকেই মূলত স্বপ্নটা দেখা শুরু হয়। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলেছেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।' তার মানে, আমাদের স্বপ্ন যত বড় হবে, আমরাও তত বড় হব। পড়াশোনায় কখনোই সিরিয়াস ছিলাম না । আমার এখনো মনে আছে, এসএসসি ও এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষার আগের রাতেও ডিভিডিতে ইংরেজি ছবি দেখেছিলাম। আমাদের বংশেই কেউ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে কখনো মনে হয়নি সময় নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক কিংবা অভিনেতা হতে পারব। দ্বিতীয়ত, বাংলা ছবির যখন রমরমা যুগ ছিল, তখনো আমাদের পিকচারাইজেশন মন ছুঁত না। পাশাপাশি হলিউডের ছবি ঝকঝকে ছিল। পিকচারাইজেশন দেখে মনে হতো আমরা উন্নতমানের সিনেমাটিক কোয়ালিটিতে অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্নটা ছিল যে একদিন যখন অনেক টাকা আয় করব, তখন এমন হলিউড বা বলিউড কোয়ালিটির ছবি বানাব। পড়াশোনার গতিপথে চলতে চলতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসি। এখানে এসেও আমার মনে হয়েছে দেশের নাটক-সিনেমার জন্য কিছু করতে পারব। আস্তে আস্তে টাকা উপার্জন শুরু করলাম। প্রযোজনায়ও নামলাম। আমি মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী প্রযোজক। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাটক প্রযোজনা শুরু করি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিং খান শাকিব আমাকে দেখে তো অবাক হয়েছিলেন।
শাকিব খানের গল্পটা কী?
নাটক প্রযোজনার বছরখানেকের মধ্যেই আমি ছবি নির্মাণের প্ল্যান করি। শাকিব খান এখনো নাম্বার ওয়ান। বছর দশেক আগে এমনই জনপ্রিয় ছিলেন, ব্যস্ত শিডিউল ছিল। আমি এফডিসিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি আমার সঙ্গে খুবই আন্তরিকভাবে কথা বললেন। উনি শুনে অবাক যে আমি প্রযোজক, ইতিমধ্যেই এই বয়সে অনেকগুলো নাটক প্রযোজনা করেছি। তখন আমার বয়স ১৮ বছর। যদিও ছবি নির্মাণে পিছপা হতে হয়েছিল।
কেন পিছপা হতে হয়েছিল?
প্রযোজনার প্ল্যান থাকলেও কিছুদিন ঘুরে মনে হয়েছে আমার আরও সময় নেওয়া উচিত। কেননা, অভিজ্ঞতা অর্জন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি যে মানের ছবি বানাতে চাই, তার জন্য সময় নেওয়া উচিত। ছবি নির্মাণ না করলেও নিয়মিত নাটক ও বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছি। ইতিমধ্যে শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছি। আমার প্রযোজনায় বাংলাদেশে নাটকের সব বড় বড় স্টার অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায় আফজাল হোসেন, নোবেল, মৌ, জাহিদ হাসান, রিয়াজ, তৌকির আহমেদ, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপূর্ব, আফরান নিশো, মেহজাবিন, তানজিন তিশা, তাহসান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মীর সাব্বির, রিনা খান, সুব্রত, সাজু খাদেম, জন কবির, সিয়াম, তাসকিন রহমান, ইমন, শামিম হাসান সরকার, ফারহান আহমেদ জোভান, নাঈম, নাদিয়া, সালমান, পিয়া বিপাশা, শখ, সারিকা, মম, শারলিন, সোহানা সাবা, নিশা, নওশিন, জেনি, সানজিদা প্রীতিসহ সময়ের সব জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি বিশ্ব ক্রিকেটের সব ফরম্যাটের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করতে করতে আমি ছবির প্ল্যানও করে ফেলেছি।
তাহলে ছবি নির্মাণ করছেন?
গত বছরই হয়তো আমার ছবির শুটিং শুরু হয়ে যেত। করোনা এসে বাধা হয়ে দাঁড়াল। এই যে অস্ট্রেলিয়ায় এখনো লকডাউন চলছে। আমি বাসা থেকেই অফিস করছি। আমি আফরান নিশো-পরীমণিকে জুটি করে ছবি নির্মাণ করতে চাইছি। আমার নিশো ভাই ও পরীর সঙ্গে কথাও হয়েছিল। ওনারা দুজনেই ভালো কাজ করার ব্যাপারে সব সময়ই পজিটিভ। অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। বর্ডার খুললে বাংলাদেশে গিয়ে সামনাসামনি বসে ছবির ব্যাপারটি ফাইনাল করার প্ল্যান আছে। এর আগে তো অবশ্যই তাঁদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ হবে।
নিশো-পরীকে জুটি করতে চাইছেন কেন?
নিশো ভাইয়ের সঙ্গে নাটকে অনেক কাজ করেছি। সবগুলোই জনপ্রিয়। ব্যক্তিগতভাবেও উনি আমার প্রিয় অভিনেতা। একটা ঘটনা বলি। একবার আমি মালয়েশিয়া যাচ্ছি, আমার পাশে বসেছেন এক প্রবাসী ভাই। উনি আমাকে দেখে চিনেছেন। বলে, ভাই, আপনি না নাটকে অভিনয় করেন? তখন তাকে বোঝালাম যে আমি নাটকে অভিনয় করি না। দেশে এলে মাঝেমধ্যে অতিথি চরিত্র করা হয়। তখন উনি একটা নাটকের কথা বললেন। অবাক হলাম এটা জেনে যে উনি জানেন, আমি ওই নাটকের প্রযোজক এবং লেখকও। উনি তখন বললেন, ভাই, নিশো ভাইকে নিয়ে একটা সিনেমা বানান। আমরা প্রবাসে থাকি, পরিশ্রম করে রুমে ফিরে নাটক দেখি। ওনার আমি ভীষণ ফ্যান। নাটক দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। অনেক দুঃখ-কষ্ট ভুলে যাই। তখন আমার মনে হলো নিশো ভাইকে নিয়ে আমি সিনেমা নির্মাণ করবই। তাকে আমি যেকোনোভাবে রাজি করাব। আর আমি আশাবাদী যে তাঁর ভালোলাগার গল্প ও শুটিং প্ল্যান নিয়েই বসব। নিশো ভাই একটা এক ঘণ্টার নাটক করার জন্য যেই ডেডিকেশন দেন, যদি সিনেমায় ওনাকে ওভাবে সময় দিতে পারি, উনি অন্যরকম কিছু করতে পারবেন। অন্যদিকে পরীমণি বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা। উনি কতটা জনপ্রিয়, এই সময়ে এসে সবাই ভালোই টের পেয়েছেন। তাছাড়া উনি ভালো অভিনেত্রীও। ভালো পরিচালক ওনাকে গাইড করলে সেটা আমরা দেখতেও পাই। যেমন ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাই ওনার কাছ থেকে কী দুর্দান্তই না অভিনয় বের করেছেন।
শুটিং প্ল্যান কি কিছু হয়েছে?
প্রথমত রিয়েল লাইফ বেসড রোম্যান্টিক ছবি বানাব, যাতে করে মানুষ রিলেট করতে পারে কাজটা। দেখে মনে হয় যেন এটা তো আমারই দেখা একজনের জীবনের গল্প! ইচ্ছে আছে যৌথ প্রযোজনা করার। দুই বাংলা থেকে দুজন জনপ্রিয় পরিচালক এবং সমানভাবে অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজটা করার। এখনো সবকিছু ঠিক না হলেও কথাবার্তা চলছে। বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে ২৬ কোটিরও বেশি বাংলা ভাষাভাষীর বসবাস বাংলাদেশ ও ভারতে। বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী বাকি ৪ কোটিরও বেশি মানুষ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই বিশাল অডিয়েন্সটাকে যদি আমরা ধরতে পারি, তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না । আমার ছবিটা বিশ্বের অনেক দেশেই মুক্তি দিতে চাইছি। কেননা, বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় তো মুক্তি দেবই; এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। শুটিংটাও সেভাবে করতে চাইছি। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে এর শুটিং হবে। গল্পটাই এমন হবে। একটা-দুটো গান করার জন্য যে বিদেশে আনব টিম, সেটা না। গল্পের বাঁকে বাঁকে টুইস্ট রেখে এটা করার ইচ্ছে। এখন এসব প্ল্যান করে এই বছর আর সম্ভব নয়। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার খুললে আগে দেশে তো যেতে হবে।
প্রবাসে থেকে বাংলাদেশে প্রযোজনা। লাভ-ক্ষতির হিসেব কী?
আমি যে খুব একটা লাভের আশায় বিনিয়োগ করি এমনটা না। একটা ভালোবাসার জায়গা তো আছেই। আমার চাওয়া যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হোক। আবার এত দিন কাজ করতে করতে একটা শিক্ষাও হয়েছে। আমার মা সব সময় একটা কথা বলতেন যে তোমার ক্লাসে অনেক স্টুডেন্ট থাকবে। এর মধ্যে কেউ ভালো এবং কেউ খারাপ থাকবে। তবে তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা কোনো ভালো গুণ আছে। তোমার কাজটা হলো তাদের খারাপ গুণগুলো বর্জন করে ভালো গুণ বা দক্ষতাকে নিজের মধ্যে ক্রিমের মতো অ্যাডাপ্ট করে নেওয়া। এভাবেই আমি সারা জীবন সব সময় ভালো গুণগুলোই অ্যাডাপ্ট করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ করে সবার ভালো পরামর্শগুলোই সব সময় নিয়ে কাজ করেছি। তার পরও কিছু দুঃখবোধ তো আছে।
তা কী?
অনেক পরিচালক মনে করেন আজ পেয়েছি। প্রযোজকের টাকাটা যত্ন করে খরচ করেন না বা মনে করেন, যা পারি এই নাটক থেকেই আয় করে নিই। বাইরে থেকে সব সময় তো সবটা মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। কিন্তু কোনো না কোনো সময় তো বুঝি যে আমাকে কীভাবে ঠকিয়েছে। আমি কালো টাকা দিয়ে প্রযোজনা করি না। পড়াশোনা শেষে চাকরি করে সৎভাবে টাকা আয় করে ভালোবাসার জায়গা থেকে ইনভেস্ট করি। তা ছাড়া অনেক সময় চ্যানেলের ব্যবহারেও খুশি থাকতে পারি না। একটা নাটক কিনে নেওয়ার পর তারা যে কতবার প্রচার করে হিসাব নেই। এর থেকে ডিজিটালি আয় করে। এর ক্লিপস কেটে আয় করে। কিন্তু আমরা প্রযোজকেরা সেখান থেকে কী পাই? ছবির ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা না। আমাদের মহানায়ক সালমান শাহর ছবি থেকে আমার পরিচিত একজন প্রযোজক আংকেল এখনো উপার্জন করছেন। তাঁর প্রযোজনা করা চলচ্চিত্রটি যতবার টেলিভিশনের পর্দায় প্রদর্শিত হয়, ততবার তিনি টাকা পাচ্ছেন। এটা একধরনের সম্পত্তির মতো। নাটক প্রযোজনাটা বেশ কষ্টসাধ্য। কেননা, নাটকের বাজেট যেমন প্রতিনিয়ত বাড়ছে, ঠিক তেমনি নাটকের লাভের পরিমাণ সেভাবেই কমছে। এর থেকে খুব বেশি কিছু পাওয়ার আশাও করা যায় না।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
প্রযোজনার উৎসাহ এল কীভাবে?
শৈশব-কৈশোরে প্রচুর দেশি-বিদেশি সিনেমা সিরিজ দেখা হতো। সেখান থেকেই মূলত স্বপ্নটা দেখা শুরু হয়। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার বলেছেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।' তার মানে, আমাদের স্বপ্ন যত বড় হবে, আমরাও তত বড় হব। পড়াশোনায় কখনোই সিরিয়াস ছিলাম না । আমার এখনো মনে আছে, এসএসসি ও এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষার আগের রাতেও ডিভিডিতে ইংরেজি ছবি দেখেছিলাম। আমাদের বংশেই কেউ মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত ছিল না বলে কখনো মনে হয়নি সময় নিয়ে প্রযোজক, পরিচালক কিংবা অভিনেতা হতে পারব। দ্বিতীয়ত, বাংলা ছবির যখন রমরমা যুগ ছিল, তখনো আমাদের পিকচারাইজেশন মন ছুঁত না। পাশাপাশি হলিউডের ছবি ঝকঝকে ছিল। পিকচারাইজেশন দেখে মনে হতো আমরা উন্নতমানের সিনেমাটিক কোয়ালিটিতে অন্যদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্নটা ছিল যে একদিন যখন অনেক টাকা আয় করব, তখন এমন হলিউড বা বলিউড কোয়ালিটির ছবি বানাব। পড়াশোনার গতিপথে চলতে চলতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসি। এখানে এসেও আমার মনে হয়েছে দেশের নাটক-সিনেমার জন্য কিছু করতে পারব। আস্তে আস্তে টাকা উপার্জন শুরু করলাম। প্রযোজনায়ও নামলাম। আমি মনে হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে কম বয়সী প্রযোজক। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নাটক প্রযোজনা শুরু করি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিং খান শাকিব আমাকে দেখে তো অবাক হয়েছিলেন।
শাকিব খানের গল্পটা কী?
নাটক প্রযোজনার বছরখানেকের মধ্যেই আমি ছবি নির্মাণের প্ল্যান করি। শাকিব খান এখনো নাম্বার ওয়ান। বছর দশেক আগে এমনই জনপ্রিয় ছিলেন, ব্যস্ত শিডিউল ছিল। আমি এফডিসিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। উনি আমার সঙ্গে খুবই আন্তরিকভাবে কথা বললেন। উনি শুনে অবাক যে আমি প্রযোজক, ইতিমধ্যেই এই বয়সে অনেকগুলো নাটক প্রযোজনা করেছি। তখন আমার বয়স ১৮ বছর। যদিও ছবি নির্মাণে পিছপা হতে হয়েছিল।
কেন পিছপা হতে হয়েছিল?
প্রযোজনার প্ল্যান থাকলেও কিছুদিন ঘুরে মনে হয়েছে আমার আরও সময় নেওয়া উচিত। কেননা, অভিজ্ঞতা অর্জন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি যে মানের ছবি বানাতে চাই, তার জন্য সময় নেওয়া উচিত। ছবি নির্মাণ না করলেও নিয়মিত নাটক ও বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছি। ইতিমধ্যে শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছি। আমার প্রযোজনায় বাংলাদেশে নাটকের সব বড় বড় স্টার অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায় আফজাল হোসেন, নোবেল, মৌ, জাহিদ হাসান, রিয়াজ, তৌকির আহমেদ, মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, অপূর্ব, আফরান নিশো, মেহজাবিন, তানজিন তিশা, তাহসান খান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মীর সাব্বির, রিনা খান, সুব্রত, সাজু খাদেম, জন কবির, সিয়াম, তাসকিন রহমান, ইমন, শামিম হাসান সরকার, ফারহান আহমেদ জোভান, নাঈম, নাদিয়া, সালমান, পিয়া বিপাশা, শখ, সারিকা, মম, শারলিন, সোহানা সাবা, নিশা, নওশিন, জেনি, সানজিদা প্রীতিসহ সময়ের সব জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী। বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি বিশ্ব ক্রিকেটের সব ফরম্যাটের নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করতে করতে আমি ছবির প্ল্যানও করে ফেলেছি।
তাহলে ছবি নির্মাণ করছেন?
গত বছরই হয়তো আমার ছবির শুটিং শুরু হয়ে যেত। করোনা এসে বাধা হয়ে দাঁড়াল। এই যে অস্ট্রেলিয়ায় এখনো লকডাউন চলছে। আমি বাসা থেকেই অফিস করছি। আমি আফরান নিশো-পরীমণিকে জুটি করে ছবি নির্মাণ করতে চাইছি। আমার নিশো ভাই ও পরীর সঙ্গে কথাও হয়েছিল। ওনারা দুজনেই ভালো কাজ করার ব্যাপারে সব সময়ই পজিটিভ। অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। বর্ডার খুললে বাংলাদেশে গিয়ে সামনাসামনি বসে ছবির ব্যাপারটি ফাইনাল করার প্ল্যান আছে। এর আগে তো অবশ্যই তাঁদের সঙ্গে আরও যোগাযোগ হবে।
নিশো-পরীকে জুটি করতে চাইছেন কেন?
নিশো ভাইয়ের সঙ্গে নাটকে অনেক কাজ করেছি। সবগুলোই জনপ্রিয়। ব্যক্তিগতভাবেও উনি আমার প্রিয় অভিনেতা। একটা ঘটনা বলি। একবার আমি মালয়েশিয়া যাচ্ছি, আমার পাশে বসেছেন এক প্রবাসী ভাই। উনি আমাকে দেখে চিনেছেন। বলে, ভাই, আপনি না নাটকে অভিনয় করেন? তখন তাকে বোঝালাম যে আমি নাটকে অভিনয় করি না। দেশে এলে মাঝেমধ্যে অতিথি চরিত্র করা হয়। তখন উনি একটা নাটকের কথা বললেন। অবাক হলাম এটা জেনে যে উনি জানেন, আমি ওই নাটকের প্রযোজক এবং লেখকও। উনি তখন বললেন, ভাই, নিশো ভাইকে নিয়ে একটা সিনেমা বানান। আমরা প্রবাসে থাকি, পরিশ্রম করে রুমে ফিরে নাটক দেখি। ওনার আমি ভীষণ ফ্যান। নাটক দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। অনেক দুঃখ-কষ্ট ভুলে যাই। তখন আমার মনে হলো নিশো ভাইকে নিয়ে আমি সিনেমা নির্মাণ করবই। তাকে আমি যেকোনোভাবে রাজি করাব। আর আমি আশাবাদী যে তাঁর ভালোলাগার গল্প ও শুটিং প্ল্যান নিয়েই বসব। নিশো ভাই একটা এক ঘণ্টার নাটক করার জন্য যেই ডেডিকেশন দেন, যদি সিনেমায় ওনাকে ওভাবে সময় দিতে পারি, উনি অন্যরকম কিছু করতে পারবেন। অন্যদিকে পরীমণি বাংলাদেশের এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা। উনি কতটা জনপ্রিয়, এই সময়ে এসে সবাই ভালোই টের পেয়েছেন। তাছাড়া উনি ভালো অভিনেত্রীও। ভালো পরিচালক ওনাকে গাইড করলে সেটা আমরা দেখতেও পাই। যেমন ‘স্বপ্নজাল’ ছবিতে গিয়াসউদ্দিন সেলিম ভাই ওনার কাছ থেকে কী দুর্দান্তই না অভিনয় বের করেছেন।
শুটিং প্ল্যান কি কিছু হয়েছে?
প্রথমত রিয়েল লাইফ বেসড রোম্যান্টিক ছবি বানাব, যাতে করে মানুষ রিলেট করতে পারে কাজটা। দেখে মনে হয় যেন এটা তো আমারই দেখা একজনের জীবনের গল্প! ইচ্ছে আছে যৌথ প্রযোজনা করার। দুই বাংলা থেকে দুজন জনপ্রিয় পরিচালক এবং সমানভাবে অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজটা করার। এখনো সবকিছু ঠিক না হলেও কথাবার্তা চলছে। বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে ২৬ কোটিরও বেশি বাংলা ভাষাভাষীর বসবাস বাংলাদেশ ও ভারতে। বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী বাকি ৪ কোটিরও বেশি মানুষ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই বিশাল অডিয়েন্সটাকে যদি আমরা ধরতে পারি, তাহলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না । আমার ছবিটা বিশ্বের অনেক দেশেই মুক্তি দিতে চাইছি। কেননা, বাংলাদেশের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় তো মুক্তি দেবই; এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। শুটিংটাও সেভাবে করতে চাইছি। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে এর শুটিং হবে। গল্পটাই এমন হবে। একটা-দুটো গান করার জন্য যে বিদেশে আনব টিম, সেটা না। গল্পের বাঁকে বাঁকে টুইস্ট রেখে এটা করার ইচ্ছে। এখন এসব প্ল্যান করে এই বছর আর সম্ভব নয়। তা ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বর্ডার খুললে আগে দেশে তো যেতে হবে।
প্রবাসে থেকে বাংলাদেশে প্রযোজনা। লাভ-ক্ষতির হিসেব কী?
আমি যে খুব একটা লাভের আশায় বিনিয়োগ করি এমনটা না। একটা ভালোবাসার জায়গা তো আছেই। আমার চাওয়া যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ হোক। আবার এত দিন কাজ করতে করতে একটা শিক্ষাও হয়েছে। আমার মা সব সময় একটা কথা বলতেন যে তোমার ক্লাসে অনেক স্টুডেন্ট থাকবে। এর মধ্যে কেউ ভালো এবং কেউ খারাপ থাকবে। তবে তাদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা কোনো ভালো গুণ আছে। তোমার কাজটা হলো তাদের খারাপ গুণগুলো বর্জন করে ভালো গুণ বা দক্ষতাকে নিজের মধ্যে ক্রিমের মতো অ্যাডাপ্ট করে নেওয়া। এভাবেই আমি সারা জীবন সব সময় ভালো গুণগুলোই অ্যাডাপ্ট করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ করে সবার ভালো পরামর্শগুলোই সব সময় নিয়ে কাজ করেছি। তার পরও কিছু দুঃখবোধ তো আছে।
তা কী?
অনেক পরিচালক মনে করেন আজ পেয়েছি। প্রযোজকের টাকাটা যত্ন করে খরচ করেন না বা মনে করেন, যা পারি এই নাটক থেকেই আয় করে নিই। বাইরে থেকে সব সময় তো সবটা মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। কিন্তু কোনো না কোনো সময় তো বুঝি যে আমাকে কীভাবে ঠকিয়েছে। আমি কালো টাকা দিয়ে প্রযোজনা করি না। পড়াশোনা শেষে চাকরি করে সৎভাবে টাকা আয় করে ভালোবাসার জায়গা থেকে ইনভেস্ট করি। তা ছাড়া অনেক সময় চ্যানেলের ব্যবহারেও খুশি থাকতে পারি না। একটা নাটক কিনে নেওয়ার পর তারা যে কতবার প্রচার করে হিসাব নেই। এর থেকে ডিজিটালি আয় করে। এর ক্লিপস কেটে আয় করে। কিন্তু আমরা প্রযোজকেরা সেখান থেকে কী পাই? ছবির ক্ষেত্রে কিন্তু এমনটা না। আমাদের মহানায়ক সালমান শাহর ছবি থেকে আমার পরিচিত একজন প্রযোজক আংকেল এখনো উপার্জন করছেন। তাঁর প্রযোজনা করা চলচ্চিত্রটি যতবার টেলিভিশনের পর্দায় প্রদর্শিত হয়, ততবার তিনি টাকা পাচ্ছেন। এটা একধরনের সম্পত্তির মতো। নাটক প্রযোজনাটা বেশ কষ্টসাধ্য। কেননা, নাটকের বাজেট যেমন প্রতিনিয়ত বাড়ছে, ঠিক তেমনি নাটকের লাভের পরিমাণ সেভাবেই কমছে। এর থেকে খুব বেশি কিছু পাওয়ার আশাও করা যায় না।

হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগে
চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৬ ঘণ্টা আগে
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাঁদের ছেলে নিক রেইনারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কারাগারের নথির বরাতে জানিয়েছে, ৩২ বছর বয়সী নিক রেইনারকে গতকাল রাতে হেফাজতে নেওয়া হয়। নথিতে তাঁর বিরুদ্ধে ‘গ্যাং কার্যকলাপ’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযোগের বিস্তারিত জানানো হয়নি। তাঁর জামিনের জন্য ৪০ লাখ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসা সহায়তার জন্য ব্রেন্টউডের ওই বাড়িতে পৌঁছায় লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্ট। সেখানে ৭৮ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ৬৮ বছর বয়সী এক নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাঁদের রব ও মিশেল রেইনার হিসেবে শনাক্ত করা হয়। জানা গেছে, পাশের বাড়িতে থাকা একটি মেয়ে প্রথম তাঁদের মরদেহ দেখতে পান।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ (এলএপিডি) পরে জানায়, গোয়েন্দারা ঘটনাটি ‘সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে তদন্ত করছে। টিএমজেড ও পিপল ম্যাগাজিন জানিয়েছে, দুজনের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, পরিবারের একজন সদস্যকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে গতকাল রাতে সংবাদ সম্মেলনে এলএপিডির প্রধান গোয়েন্দা অ্যালান হ্যামিলটন বলেন, তদন্ত চলমান। এখনো কাউকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি।
রেইনার পরিবারের এক মুখপাত্র গতকাল সন্ধ্যায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রব রেইনার হলিউডের অন্যতম সফল ও প্রভাবশালী পরিচালক। When Harry Met Sally, This Is Spinal Tap, Stand By Me, Misery, A Few Good Men–সহ বিভিন্ন অনেক জনপ্রিয় সিনেমা তিনি নির্মাণ করেছেন। তিনি উদারপন্থী রাজনীতি ও ডেমোক্রেটিক দলের একজন প্রকাশ্য সমর্থক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাঁদের ছেলে নিক রেইনারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির কারাগারের নথির বরাতে জানিয়েছে, ৩২ বছর বয়সী নিক রেইনারকে গতকাল রাতে হেফাজতে নেওয়া হয়। নথিতে তাঁর বিরুদ্ধে ‘গ্যাং কার্যকলাপ’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অভিযোগের বিস্তারিত জানানো হয়নি। তাঁর জামিনের জন্য ৪০ লাখ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চিকিৎসা সহায়তার জন্য ব্রেন্টউডের ওই বাড়িতে পৌঁছায় লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্ট। সেখানে ৭৮ বছর বয়সী এক পুরুষ ও ৬৮ বছর বয়সী এক নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাঁদের রব ও মিশেল রেইনার হিসেবে শনাক্ত করা হয়। জানা গেছে, পাশের বাড়িতে থাকা একটি মেয়ে প্রথম তাঁদের মরদেহ দেখতে পান।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ (এলএপিডি) পরে জানায়, গোয়েন্দারা ঘটনাটি ‘সম্ভাব্য হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে তদন্ত করছে। টিএমজেড ও পিপল ম্যাগাজিন জানিয়েছে, দুজনের শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, পরিবারের একজন সদস্যকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে গতকাল রাতে সংবাদ সম্মেলনে এলএপিডির প্রধান গোয়েন্দা অ্যালান হ্যামিলটন বলেন, তদন্ত চলমান। এখনো কাউকে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি।
রেইনার পরিবারের এক মুখপাত্র গতকাল সন্ধ্যায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রব রেইনার হলিউডের অন্যতম সফল ও প্রভাবশালী পরিচালক। When Harry Met Sally, This Is Spinal Tap, Stand By Me, Misery, A Few Good Men–সহ বিভিন্ন অনেক জনপ্রিয় সিনেমা তিনি নির্মাণ করেছেন। তিনি উদারপন্থী রাজনীতি ও ডেমোক্রেটিক দলের একজন প্রকাশ্য সমর্থক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৬ ঘণ্টা আগে
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। এবার তানিম নূরের ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমায় সুরমা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৮ কেজি ওজন কমালেন বাঁধন। আজ থেকে শুরু হবে এই সিনেমার শুটিং। এ ছাড়া ইতিমধ্যে তিনি শেষ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’ ও রুবাইয়াত হোসেনের ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমার শুটিং।
গত শুক্রবার বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানানো হয়, এতে অভিনয় করছেন বাঁধন। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁধন জানালেন, নতুন এই সিনেমার জন্য প্রস্তুত হতে তাঁকে কমাতে হয়েছে ১৮ কেজি ওজন। বাঁধন জানালেন, ওজন কমানোর এই পথ সহজ ছিল না তাঁর জন্য। ফেসবুকে বাঁধন লেখেন, ‘৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি—এই যাত্রা সহজ ছিল না। মানসিক স্বাস্থ্য সংগ্রাম, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও জেনেটিক কারণে ওজন বেড়েই যাচ্ছিল। কিন্তু সঠিক চিকিৎসকের নির্দেশনা, ডিসিপ্লিন এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে আমি মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি। এটি শুধু ওজন কমানো নয়—এটি নিরাময়, শক্তি এবং আত্মসম্মানেরও প্রতীক; এখনো এগিয়ে চলছি।’
বাঁধন জানান, এই যাত্রায় সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তাঁর মেয়ে। মেয়েই তাঁকে শরীরচর্চা করতে, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে এবং প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এর আগে বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে বাঁধন জানান, এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম প্রেরণা ছিল তাঁর মেয়ে। বাঁধন বলেন, ‘তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে সবার আগে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। ও চায় উৎসব-এর মতো সিনেমায় আমি কাজ করি। তাই এই চিত্রনাট্য আমার কাছে এগিয়ে ছিল।’
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে বনলতা এক্সপ্রেস। এতে বাঁধনের বিপরীতে আছেন চঞ্চল চৌধুরী। আরও দেখা যাবে মোশাররফ করিম, ইন্তেখাব দিনার, জাকিয়া বারী মম, শরিফুল রাজ, সাবিলা নূর ও শ্যামল মাওলাকে। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে এই সিনেমা।

এদিকে শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত জানালেন, সম্পূর্ণ কাজ শেষে মাস্টার সিনেমাটি এখন সবাইকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানার মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। এতে বাঁধনকে দেখা যাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) চরিত্রে। আরও অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, জাকিয়া বারী মম প্রমুখ। নির্মাতা জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে মাস্টার।

এ বছরের মাঝামঝি সময়ে বাঁধন শেষ করেছেন দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমার কাজ। ১৩ ডিসেম্বর ফ্রান্সে শুরু হওয়া লেস আর্কস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওয়ার্ক-ইন-প্রোগ্রেস প্রোগ্রামে এই সিনেমার প্রকল্পটি প্রদর্শিত হবে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ শেষ হবে সম্পূর্ণ কাজ। রুবাইয়াত হোসেনের পরিচালনায় এতে বাঁধনের সহশিল্পী রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুনেরাহ বিনতে কামাল, জাইনিন করিম চৌধুরী প্রমুখ।

চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। এবার তানিম নূরের ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমায় সুরমা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৮ কেজি ওজন কমালেন বাঁধন। আজ থেকে শুরু হবে এই সিনেমার শুটিং। এ ছাড়া ইতিমধ্যে তিনি শেষ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’ ও রুবাইয়াত হোসেনের ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমার শুটিং।
গত শুক্রবার বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানানো হয়, এতে অভিনয় করছেন বাঁধন। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঁধন জানালেন, নতুন এই সিনেমার জন্য প্রস্তুত হতে তাঁকে কমাতে হয়েছে ১৮ কেজি ওজন। বাঁধন জানালেন, ওজন কমানোর এই পথ সহজ ছিল না তাঁর জন্য। ফেসবুকে বাঁধন লেখেন, ‘৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি—এই যাত্রা সহজ ছিল না। মানসিক স্বাস্থ্য সংগ্রাম, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ও জেনেটিক কারণে ওজন বেড়েই যাচ্ছিল। কিন্তু সঠিক চিকিৎসকের নির্দেশনা, ডিসিপ্লিন এবং আত্মবিশ্বাসের জোরে আমি মাত্র ৬ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি। এটি শুধু ওজন কমানো নয়—এটি নিরাময়, শক্তি এবং আত্মসম্মানেরও প্রতীক; এখনো এগিয়ে চলছি।’
বাঁধন জানান, এই যাত্রায় সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তাঁর মেয়ে। মেয়েই তাঁকে শরীরচর্চা করতে, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে এবং প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করেছে। এর আগে বনলতা এক্সপ্রেস সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে বাঁধন জানান, এই সিনেমায় যুক্ত হওয়ার অন্যতম প্রেরণা ছিল তাঁর মেয়ে। বাঁধন বলেন, ‘তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে সবার আগে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। ও চায় উৎসব-এর মতো সিনেমায় আমি কাজ করি। তাই এই চিত্রনাট্য আমার কাছে এগিয়ে ছিল।’
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে বনলতা এক্সপ্রেস। এতে বাঁধনের বিপরীতে আছেন চঞ্চল চৌধুরী। আরও দেখা যাবে মোশাররফ করিম, ইন্তেখাব দিনার, জাকিয়া বারী মম, শরিফুল রাজ, সাবিলা নূর ও শ্যামল মাওলাকে। আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে এই সিনেমা।

এদিকে শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত জানালেন, সম্পূর্ণ কাজ শেষে মাস্টার সিনেমাটি এখন সবাইকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানার মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। এতে বাঁধনকে দেখা যাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) চরিত্রে। আরও অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, জাকিয়া বারী মম প্রমুখ। নির্মাতা জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেওয়ার পর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে মাস্টার।

এ বছরের মাঝামঝি সময়ে বাঁধন শেষ করেছেন দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমার কাজ। ১৩ ডিসেম্বর ফ্রান্সে শুরু হওয়া লেস আর্কস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওয়ার্ক-ইন-প্রোগ্রেস প্রোগ্রামে এই সিনেমার প্রকল্পটি প্রদর্শিত হবে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ শেষ হবে সম্পূর্ণ কাজ। রুবাইয়াত হোসেনের পরিচালনায় এতে বাঁধনের সহশিল্পী রিকিতা নন্দিনী শিমু, সুনেরাহ বিনতে কামাল, জাইনিন করিম চৌধুরী প্রমুখ।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগে
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে। পরিচালনা করবেন কাজী আসাদ। প্রাথমিকভাবে সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ‘লাইফ লাইন’। নতুন বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে এটি।
১৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ওয়েব ফিল্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন মিম। মিম জানান, গল্পটা তাঁর ভালো লেগেছে। আরও জানান, গল্প ভালো না লাগায় এত দিন কাজ করা হয়নি তাঁর। মিম বলেন, ‘অনেকেই জানতে চান, কাজ কম করছি কেন? কারণ গল্পটাই মিলছিল না ঠিকভাবে। গল্প বা কাজের প্রস্তাব তো অনেক আসে, কিন্তু গল্প বা আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো ভালো লাগছিল না। কাজী আসাদ যখন এই গল্পটা শোনালেন এবং আমি চরকিতে তাঁর আগের কাজ দেখলাম, আমার মনে হলো কাজটা করা দরকার।’
এই ওয়েব ফিল্মে একদম নতুনভাবে উপস্থাপন করা হবে মিমকে। কাজী আসাদ বলেন, ‘বিদ্যা সিনহা মিম আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন পরীক্ষিত, মেধাবী এবং গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী। সচরাচর তাঁকে গ্ল্যামার লুকেই দেখি। কিন্তু মজাটাই ওখানে যে তাঁকে কীভাবে ভেঙে নতুন ধরনের চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির করা যায়। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। আশা করছি দর্শকেরা আমার কথা মিলিয়ে নিতে পারবেন।’
এখনই গল্প নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না নির্মাতা। শুধু জানালেন, এটি নির্মিত হবে ইমোশনাল ড্রামা ঘরানায়। গল্প লিখেছেন মাহমুদুল হাসান টিপু ও কাজী আসাদ। নির্মাতার সঙ্গে চিত্রনাট্য করেছেন আসাদুজ্জামান আবীর। এ মাসের শেষ দিকে শুরু হবে শুটিং। এই সিনেমায় মিমের সহশিল্পীদের নাম শিগগির ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে চরকি।

গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে। পরিচালনা করবেন কাজী আসাদ। প্রাথমিকভাবে সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ‘লাইফ লাইন’। নতুন বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে এটি।
১৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ওয়েব ফিল্মের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন মিম। মিম জানান, গল্পটা তাঁর ভালো লেগেছে। আরও জানান, গল্প ভালো না লাগায় এত দিন কাজ করা হয়নি তাঁর। মিম বলেন, ‘অনেকেই জানতে চান, কাজ কম করছি কেন? কারণ গল্পটাই মিলছিল না ঠিকভাবে। গল্প বা কাজের প্রস্তাব তো অনেক আসে, কিন্তু গল্প বা আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো ভালো লাগছিল না। কাজী আসাদ যখন এই গল্পটা শোনালেন এবং আমি চরকিতে তাঁর আগের কাজ দেখলাম, আমার মনে হলো কাজটা করা দরকার।’
এই ওয়েব ফিল্মে একদম নতুনভাবে উপস্থাপন করা হবে মিমকে। কাজী আসাদ বলেন, ‘বিদ্যা সিনহা মিম আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন পরীক্ষিত, মেধাবী এবং গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী। সচরাচর তাঁকে গ্ল্যামার লুকেই দেখি। কিন্তু মজাটাই ওখানে যে তাঁকে কীভাবে ভেঙে নতুন ধরনের চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির করা যায়। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। আশা করছি দর্শকেরা আমার কথা মিলিয়ে নিতে পারবেন।’
এখনই গল্প নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না নির্মাতা। শুধু জানালেন, এটি নির্মিত হবে ইমোশনাল ড্রামা ঘরানায়। গল্প লিখেছেন মাহমুদুল হাসান টিপু ও কাজী আসাদ। নির্মাতার সঙ্গে চিত্রনাট্য করেছেন আসাদুজ্জামান আবীর। এ মাসের শেষ দিকে শুরু হবে শুটিং। এই সিনেমায় মিমের সহশিল্পীদের নাম শিগগির ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে চরকি।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগে
চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৬ ঘণ্টা আগে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা।
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা। গত শুক্রবার মুক্তির ঘোষণা এল আরও এক সিনেমার। ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে আহমেদ হাসান সানি পরিচালিত ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’। এই সিনেমা দিয়ে শেষ হচ্ছে বছর।
এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি সিনেমার গল্পে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিরতার নানা প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন নির্মাতা। গত মাস থেকে সিনেমার প্রচার শুরু হয়েছে। গানের পর ট্রেলার প্রকাশের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হলো সিনেমার মুক্তির তারিখ।
আহমেদ হাসান সানি একজন সংগীতশিল্পী। বিজ্ঞাপনচিত্র বানিয়ে নির্মাতা হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’ তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক আলাপের অভ্যাসটা জরুরি। মানুষ যত রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবে, তত দেশকে নিয়ে ভাবতে শিখবে। আমরা সারা জীবন দেখে এসেছি হোটেলে, বাসে, রেস্টুরেন্টে বড় করে লেখা থাকে, এখানে রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ। রাজনৈতিক আলাপ করাকে ট্যাবু হিসেবে দেখেছি আমরা। এই ট্যাবুকে ভাঙার লক্ষ্যে সিনেমাটি করা।’
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, তানভীর অপূর্ব, এ কে আজাদ সেতু, কেয়া আলমসহ অনেকে। প্রযোজনা করেছেন খালিদ মাহমুদ তূর্য।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনেমা মুক্তির হার কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এ বছর এখন পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি সিনেমা। বছরের শেষ ভাগে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়লেও ডিসেম্বরে এসে কমেছে। এ মাসে মুক্তি পেয়েছে একটি সিনেমা। গত শুক্রবার মুক্তির ঘোষণা এল আরও এক সিনেমার। ২৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে আহমেদ হাসান সানি পরিচালিত ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’। এই সিনেমা দিয়ে শেষ হচ্ছে বছর।
এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি সিনেমার গল্পে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিরতার নানা প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন নির্মাতা। গত মাস থেকে সিনেমার প্রচার শুরু হয়েছে। গানের পর ট্রেলার প্রকাশের মধ্য দিয়ে ঘোষণা করা হলো সিনেমার মুক্তির তারিখ।
আহমেদ হাসান সানি একজন সংগীতশিল্পী। বিজ্ঞাপনচিত্র বানিয়ে নির্মাতা হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। ‘এখানে রাজনৈতিক আলাপ জরুরি’ তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক আলাপের অভ্যাসটা জরুরি। মানুষ যত রাজনৈতিকভাবে সচেতন হবে, তত দেশকে নিয়ে ভাবতে শিখবে। আমরা সারা জীবন দেখে এসেছি হোটেলে, বাসে, রেস্টুরেন্টে বড় করে লেখা থাকে, এখানে রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ। রাজনৈতিক আলাপ করাকে ট্যাবু হিসেবে দেখেছি আমরা। এই ট্যাবুকে ভাঙার লক্ষ্যে সিনেমাটি করা।’
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, তানভীর অপূর্ব, এ কে আজাদ সেতু, কেয়া আলমসহ অনেকে। প্রযোজনা করেছেন খালিদ মাহমুদ তূর্য।

প্রযোজক হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিতি আছে সাব্বির চৌধুরীর। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেও নিয়মিত দেশের নাটক, বিজ্ঞাপন প্রযোজনা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় করছেন বাংলাদেশ এবং ভারতের বাংলা ছবি পরিবেশনা। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আছে ছবি প্রযোজনার। সাব্বিরের সঙ্গে কথোপকথনে ছিলেন মীর রাকিব হাসান।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
হলিউডের নির্মাতা রব রেইনার ও তাঁর স্ত্রী মিশেল সিঙ্গার রেইনারের মৃত্যুর খবরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল রোববার লস অ্যাঞ্জেলেসের অভিজাত ব্রেন্টউড এলাকায় নিজেদের বাড়িতে রব রেইনার (৭৮) ও তাঁর স্ত্রী মিশেলকে (৬৮) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগে
চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেন না অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর রেহেনা, ‘গুটি’র সুলতানা কিংবা ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার পুলিশ কর্মকর্তা লীনা চরিত্রেও দেখা গেছে পুরো প্রস্তুত হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী।
১৬ ঘণ্টা আগে
গত মাসেই বিদ্যা সিনহা মিম জানিয়েছিলেন, নতুন বছরটা হবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের বছর। সেভাবেই এগোচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে শেষ করেছেন সাইফ চন্দনের নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার শুটিং। এবার যুক্ত হলেন নতুন ওয়েব ফিল্মে।
১৬ ঘণ্টা আগে