বিনোদন ডেস্ক

ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক। তাঁর হাতেই অনেকখানি জীবনবোধ শিখেছে, আন্তর্জাতিকতা পেয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র। ঢাকায় তাঁর জন্ম। রাজশাহীতে যৌবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। দেশভাগের কারণে ঠাঁই হয় কলকাতায়। নিজের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার এই কষ্ট সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে ঋত্বিক ঘটককে। তাঁর প্রতিটি কাজেও সেটাই হয়ে উঠেছে প্রধান বিষয়। আজ এই বাংলা চলচ্চিত্রের দামাল প্রতিভার জন্মশতবর্ষ। এ উপলক্ষে ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বিশেষ আয়োজন।

ঋত্বিক আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি
সত্যজিৎ রায়, নির্মাতা
ঋত্বিকের সঙ্গে সামনাসামনি পরিচয় হবার আগে আমি তাঁকে প্রথম চিনি নিমাই ঘোষের ‘ছিন্নমূল’ সিনেমার অভিনেতা হিসেবে। অরোরা কোম্পানির আপিসে ঋত্বিকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তার কিছু আগে ‘পথের পাঁচালী’ মুক্তি পেয়েছে, ঋত্বিক সে ছবি দেখেছে, এবং তার খুব বেশি রকম ভালো লেগেছিল। সে কথা সে প্রাণ খুলে আমার কাছে বলে। কিন্তু আমার কাছে সবচাইতে ভালো লেগেছিল, সে যেভাবে ছবিটাকে বিশ্লেষণ করেছিল, তাতে আমার মনে হয়েছিল, ঋত্বিক যদি ছবি করে তাহলে সে খুবই ভালো করবে।
‘অযান্ত্রিক’ ছবির প্রথম শোতে আমি উপস্থিত ছিলাম। দেখে বুঝতে পেরেছিলাম, একজন সত্যিকারের শিল্পী যদি কাজের সুযোগ পায়, তাহলে সে কতটা এগিয়ে যেতে পারে! উনিশ শ ত্রিশ বা পঁচিশ থেকে শুরু করে প্রায় ষাট অবধি আমরা হলিউডের বাইরে খুব বেশি ছবি দেখার সুযোগ পাইনি। আমাদের সকলের মধ্যেই তাই কিছু কিছু হলিউডের প্রভাব ঢুকে পড়েছে। কিন্তু ঋত্বিক এক রহস্যময় কারণে সম্পূর্ণ সে প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল, তার মধ্যে হলিউডের কোনো ছাপ নেই। এটা যে কী করে হয়েছে, সেটা আমার কাছে রহস্য হয়ে রয়ে গেছে। ঋত্বিক মনেপ্রাণে বাঙালি পরিচালক ছিল, বাঙালি শিল্পী ছিল—আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি। আমার কাছে সেইটেই তার সবচেয়ে বড় পরিচয় এবং তার সবচেয়ে মূল্যবান এবং লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।

ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া
মৃণাল সেন, নির্মাতা
ঋত্বিক, সলিল চৌধুরী, তাপস সেন, হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়, বংশী চন্দ্রগুপ্ত, নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায় আর আমি; এই নিয়ে আমাদের একটা ছোট্ট দল ছিল তখন। কখনো বিজন ভট্টাচার্য এসে জুটতেন, কখনোবা কালী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋত্বিক ছিল দলের সবচেয়ে লম্বাটে, সবচেয়ে রোগাটে এবং অবশ্যই সবচেয়ে ডাকসাইটে শরিক। সকাল হতেই বেরিয়ে পড়তাম, হাজরা রোডের ওপর ছোট্ট একটা চায়ের দোকানে ভিড় করতাম। সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত চলত একটানা আসর। সূর্যের তলায় যা কিছু ছিল সবই তুলে ধরতাম চায়ের টেবিলে, বিচারে আর বিশ্লেষণে মুখর হয়ে উঠতাম প্রতি মুহূর্তে। কিন্তু বারবার নানা কথার মধ্যেও যে প্রশ্নে, যে তর্কে, যে বিষয়ে ফিরে আসতাম তা হলো সিনেমা। সিনেমাকে বিপ্লবের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে আমরা চলতে শিখেছিলাম সেদিন থেকেই। এই প্রাণচঞ্চল আসরগুলোয় যার গলা সবচেয়ে উঁচু পর্দায় বাঁধা ছিল, সে হলো ঋত্বিক। ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া। কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করত না।
ঋত্বিকের বেপরোয়া মেজাজ পরবর্তীকালে দর্শক প্রত্যক্ষ করেছেন ‘অযান্ত্রিক’-এ, ‘মেঘে ঢাকা তারা’য়, ‘সুবর্ণরেখা’য়, ওর কথাবার্তায়, ওর লিখিত বক্তব্যে। আমরা ঝগড়াও করেছি প্রচুর। তখন এবং পরবর্তী জীবনে। ঝগড়া করেছি, মতান্তর ঘটেছে, আবার সময় আর ঘটনার মধ্য দিয়ে মিশে গিয়েছি আগেকার মতোই, একসঙ্গে চলেছি।

অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো
মার্টিন স্করসেসি, হলিউড নির্মাতা
সত্যজিৎ রায় একবার ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বলেছিলেন, তাঁর কাছে হয়তো হলিউডের অস্তিত্বই ছিল না কখনো। কথাটা খুবই দারুণ লেগেছিল। আমরা ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড সিনেমা প্রজেক্ট শুরু করি। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে কখনো কখনো অনেক সিনেমা আড়ালে পড়ে গেছে, সেসব সিনেমাকে সংরক্ষণ করে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। অনেক সময় এমন হয়, নির্মাতার জীবদ্দশায় তাঁর কাজের যথেষ্ট স্বীকৃতি মেলে না। ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছিল। জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছিলেন তিনি।
অনেক বছর ধরে পশ্চিমাদের কাছে ভারতীয় চলচ্চিত্র মানেই ছিল সত্যজিৎ রায়। তারপর আসে বলিউড। সময় যত গড়িয়েছে, আমাদের দৃষ্টিসীমা যত প্রসারিত হয়েছে, ঋত্বিক ঘটকের মতো অনেক প্রতিভা বেরিয়ে আসছে। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘নাগরিক’ তৈরি হয়েছিল ‘পথের পাঁচালী’রও বছরখানেক আগে। সময়মতো মুক্তি পেলে এটিই হতে পারত প্রথম বাংলা আর্ট ফিল্ম। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ শিল্পী ছিলেন ঘটক। মাত্র ৮টি সিনেমা তৈরি করেছেন। তবে সিনেমা সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল খুবই পরিষ্কার। তাঁর প্রতিটি সিনেমা ভিজ্যুয়ালি এবং থিমের জায়গা থেকে খুবই সমৃদ্ধ। ভারতের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো।
একনজরে ঋত্বিক ঘটক

ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক। তাঁর হাতেই অনেকখানি জীবনবোধ শিখেছে, আন্তর্জাতিকতা পেয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র। ঢাকায় তাঁর জন্ম। রাজশাহীতে যৌবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। দেশভাগের কারণে ঠাঁই হয় কলকাতায়। নিজের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার এই কষ্ট সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে ঋত্বিক ঘটককে। তাঁর প্রতিটি কাজেও সেটাই হয়ে উঠেছে প্রধান বিষয়। আজ এই বাংলা চলচ্চিত্রের দামাল প্রতিভার জন্মশতবর্ষ। এ উপলক্ষে ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বিশেষ আয়োজন।

ঋত্বিক আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি
সত্যজিৎ রায়, নির্মাতা
ঋত্বিকের সঙ্গে সামনাসামনি পরিচয় হবার আগে আমি তাঁকে প্রথম চিনি নিমাই ঘোষের ‘ছিন্নমূল’ সিনেমার অভিনেতা হিসেবে। অরোরা কোম্পানির আপিসে ঋত্বিকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তার কিছু আগে ‘পথের পাঁচালী’ মুক্তি পেয়েছে, ঋত্বিক সে ছবি দেখেছে, এবং তার খুব বেশি রকম ভালো লেগেছিল। সে কথা সে প্রাণ খুলে আমার কাছে বলে। কিন্তু আমার কাছে সবচাইতে ভালো লেগেছিল, সে যেভাবে ছবিটাকে বিশ্লেষণ করেছিল, তাতে আমার মনে হয়েছিল, ঋত্বিক যদি ছবি করে তাহলে সে খুবই ভালো করবে।
‘অযান্ত্রিক’ ছবির প্রথম শোতে আমি উপস্থিত ছিলাম। দেখে বুঝতে পেরেছিলাম, একজন সত্যিকারের শিল্পী যদি কাজের সুযোগ পায়, তাহলে সে কতটা এগিয়ে যেতে পারে! উনিশ শ ত্রিশ বা পঁচিশ থেকে শুরু করে প্রায় ষাট অবধি আমরা হলিউডের বাইরে খুব বেশি ছবি দেখার সুযোগ পাইনি। আমাদের সকলের মধ্যেই তাই কিছু কিছু হলিউডের প্রভাব ঢুকে পড়েছে। কিন্তু ঋত্বিক এক রহস্যময় কারণে সম্পূর্ণ সে প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল, তার মধ্যে হলিউডের কোনো ছাপ নেই। এটা যে কী করে হয়েছে, সেটা আমার কাছে রহস্য হয়ে রয়ে গেছে। ঋত্বিক মনেপ্রাণে বাঙালি পরিচালক ছিল, বাঙালি শিল্পী ছিল—আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি। আমার কাছে সেইটেই তার সবচেয়ে বড় পরিচয় এবং তার সবচেয়ে মূল্যবান এবং লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।

ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া
মৃণাল সেন, নির্মাতা
ঋত্বিক, সলিল চৌধুরী, তাপস সেন, হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়, বংশী চন্দ্রগুপ্ত, নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায় আর আমি; এই নিয়ে আমাদের একটা ছোট্ট দল ছিল তখন। কখনো বিজন ভট্টাচার্য এসে জুটতেন, কখনোবা কালী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋত্বিক ছিল দলের সবচেয়ে লম্বাটে, সবচেয়ে রোগাটে এবং অবশ্যই সবচেয়ে ডাকসাইটে শরিক। সকাল হতেই বেরিয়ে পড়তাম, হাজরা রোডের ওপর ছোট্ট একটা চায়ের দোকানে ভিড় করতাম। সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত চলত একটানা আসর। সূর্যের তলায় যা কিছু ছিল সবই তুলে ধরতাম চায়ের টেবিলে, বিচারে আর বিশ্লেষণে মুখর হয়ে উঠতাম প্রতি মুহূর্তে। কিন্তু বারবার নানা কথার মধ্যেও যে প্রশ্নে, যে তর্কে, যে বিষয়ে ফিরে আসতাম তা হলো সিনেমা। সিনেমাকে বিপ্লবের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে আমরা চলতে শিখেছিলাম সেদিন থেকেই। এই প্রাণচঞ্চল আসরগুলোয় যার গলা সবচেয়ে উঁচু পর্দায় বাঁধা ছিল, সে হলো ঋত্বিক। ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া। কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করত না।
ঋত্বিকের বেপরোয়া মেজাজ পরবর্তীকালে দর্শক প্রত্যক্ষ করেছেন ‘অযান্ত্রিক’-এ, ‘মেঘে ঢাকা তারা’য়, ‘সুবর্ণরেখা’য়, ওর কথাবার্তায়, ওর লিখিত বক্তব্যে। আমরা ঝগড়াও করেছি প্রচুর। তখন এবং পরবর্তী জীবনে। ঝগড়া করেছি, মতান্তর ঘটেছে, আবার সময় আর ঘটনার মধ্য দিয়ে মিশে গিয়েছি আগেকার মতোই, একসঙ্গে চলেছি।

অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো
মার্টিন স্করসেসি, হলিউড নির্মাতা
সত্যজিৎ রায় একবার ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বলেছিলেন, তাঁর কাছে হয়তো হলিউডের অস্তিত্বই ছিল না কখনো। কথাটা খুবই দারুণ লেগেছিল। আমরা ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড সিনেমা প্রজেক্ট শুরু করি। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে কখনো কখনো অনেক সিনেমা আড়ালে পড়ে গেছে, সেসব সিনেমাকে সংরক্ষণ করে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। অনেক সময় এমন হয়, নির্মাতার জীবদ্দশায় তাঁর কাজের যথেষ্ট স্বীকৃতি মেলে না। ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছিল। জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছিলেন তিনি।
অনেক বছর ধরে পশ্চিমাদের কাছে ভারতীয় চলচ্চিত্র মানেই ছিল সত্যজিৎ রায়। তারপর আসে বলিউড। সময় যত গড়িয়েছে, আমাদের দৃষ্টিসীমা যত প্রসারিত হয়েছে, ঋত্বিক ঘটকের মতো অনেক প্রতিভা বেরিয়ে আসছে। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘নাগরিক’ তৈরি হয়েছিল ‘পথের পাঁচালী’রও বছরখানেক আগে। সময়মতো মুক্তি পেলে এটিই হতে পারত প্রথম বাংলা আর্ট ফিল্ম। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ শিল্পী ছিলেন ঘটক। মাত্র ৮টি সিনেমা তৈরি করেছেন। তবে সিনেমা সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল খুবই পরিষ্কার। তাঁর প্রতিটি সিনেমা ভিজ্যুয়ালি এবং থিমের জায়গা থেকে খুবই সমৃদ্ধ। ভারতের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো।
একনজরে ঋত্বিক ঘটক
বিনোদন ডেস্ক

ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক। তাঁর হাতেই অনেকখানি জীবনবোধ শিখেছে, আন্তর্জাতিকতা পেয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র। ঢাকায় তাঁর জন্ম। রাজশাহীতে যৌবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। দেশভাগের কারণে ঠাঁই হয় কলকাতায়। নিজের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার এই কষ্ট সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে ঋত্বিক ঘটককে। তাঁর প্রতিটি কাজেও সেটাই হয়ে উঠেছে প্রধান বিষয়। আজ এই বাংলা চলচ্চিত্রের দামাল প্রতিভার জন্মশতবর্ষ। এ উপলক্ষে ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বিশেষ আয়োজন।

ঋত্বিক আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি
সত্যজিৎ রায়, নির্মাতা
ঋত্বিকের সঙ্গে সামনাসামনি পরিচয় হবার আগে আমি তাঁকে প্রথম চিনি নিমাই ঘোষের ‘ছিন্নমূল’ সিনেমার অভিনেতা হিসেবে। অরোরা কোম্পানির আপিসে ঋত্বিকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তার কিছু আগে ‘পথের পাঁচালী’ মুক্তি পেয়েছে, ঋত্বিক সে ছবি দেখেছে, এবং তার খুব বেশি রকম ভালো লেগেছিল। সে কথা সে প্রাণ খুলে আমার কাছে বলে। কিন্তু আমার কাছে সবচাইতে ভালো লেগেছিল, সে যেভাবে ছবিটাকে বিশ্লেষণ করেছিল, তাতে আমার মনে হয়েছিল, ঋত্বিক যদি ছবি করে তাহলে সে খুবই ভালো করবে।
‘অযান্ত্রিক’ ছবির প্রথম শোতে আমি উপস্থিত ছিলাম। দেখে বুঝতে পেরেছিলাম, একজন সত্যিকারের শিল্পী যদি কাজের সুযোগ পায়, তাহলে সে কতটা এগিয়ে যেতে পারে! উনিশ শ ত্রিশ বা পঁচিশ থেকে শুরু করে প্রায় ষাট অবধি আমরা হলিউডের বাইরে খুব বেশি ছবি দেখার সুযোগ পাইনি। আমাদের সকলের মধ্যেই তাই কিছু কিছু হলিউডের প্রভাব ঢুকে পড়েছে। কিন্তু ঋত্বিক এক রহস্যময় কারণে সম্পূর্ণ সে প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল, তার মধ্যে হলিউডের কোনো ছাপ নেই। এটা যে কী করে হয়েছে, সেটা আমার কাছে রহস্য হয়ে রয়ে গেছে। ঋত্বিক মনেপ্রাণে বাঙালি পরিচালক ছিল, বাঙালি শিল্পী ছিল—আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি। আমার কাছে সেইটেই তার সবচেয়ে বড় পরিচয় এবং তার সবচেয়ে মূল্যবান এবং লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।

ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া
মৃণাল সেন, নির্মাতা
ঋত্বিক, সলিল চৌধুরী, তাপস সেন, হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়, বংশী চন্দ্রগুপ্ত, নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায় আর আমি; এই নিয়ে আমাদের একটা ছোট্ট দল ছিল তখন। কখনো বিজন ভট্টাচার্য এসে জুটতেন, কখনোবা কালী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋত্বিক ছিল দলের সবচেয়ে লম্বাটে, সবচেয়ে রোগাটে এবং অবশ্যই সবচেয়ে ডাকসাইটে শরিক। সকাল হতেই বেরিয়ে পড়তাম, হাজরা রোডের ওপর ছোট্ট একটা চায়ের দোকানে ভিড় করতাম। সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত চলত একটানা আসর। সূর্যের তলায় যা কিছু ছিল সবই তুলে ধরতাম চায়ের টেবিলে, বিচারে আর বিশ্লেষণে মুখর হয়ে উঠতাম প্রতি মুহূর্তে। কিন্তু বারবার নানা কথার মধ্যেও যে প্রশ্নে, যে তর্কে, যে বিষয়ে ফিরে আসতাম তা হলো সিনেমা। সিনেমাকে বিপ্লবের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে আমরা চলতে শিখেছিলাম সেদিন থেকেই। এই প্রাণচঞ্চল আসরগুলোয় যার গলা সবচেয়ে উঁচু পর্দায় বাঁধা ছিল, সে হলো ঋত্বিক। ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া। কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করত না।
ঋত্বিকের বেপরোয়া মেজাজ পরবর্তীকালে দর্শক প্রত্যক্ষ করেছেন ‘অযান্ত্রিক’-এ, ‘মেঘে ঢাকা তারা’য়, ‘সুবর্ণরেখা’য়, ওর কথাবার্তায়, ওর লিখিত বক্তব্যে। আমরা ঝগড়াও করেছি প্রচুর। তখন এবং পরবর্তী জীবনে। ঝগড়া করেছি, মতান্তর ঘটেছে, আবার সময় আর ঘটনার মধ্য দিয়ে মিশে গিয়েছি আগেকার মতোই, একসঙ্গে চলেছি।

অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো
মার্টিন স্করসেসি, হলিউড নির্মাতা
সত্যজিৎ রায় একবার ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বলেছিলেন, তাঁর কাছে হয়তো হলিউডের অস্তিত্বই ছিল না কখনো। কথাটা খুবই দারুণ লেগেছিল। আমরা ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড সিনেমা প্রজেক্ট শুরু করি। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে কখনো কখনো অনেক সিনেমা আড়ালে পড়ে গেছে, সেসব সিনেমাকে সংরক্ষণ করে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। অনেক সময় এমন হয়, নির্মাতার জীবদ্দশায় তাঁর কাজের যথেষ্ট স্বীকৃতি মেলে না। ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছিল। জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছিলেন তিনি।
অনেক বছর ধরে পশ্চিমাদের কাছে ভারতীয় চলচ্চিত্র মানেই ছিল সত্যজিৎ রায়। তারপর আসে বলিউড। সময় যত গড়িয়েছে, আমাদের দৃষ্টিসীমা যত প্রসারিত হয়েছে, ঋত্বিক ঘটকের মতো অনেক প্রতিভা বেরিয়ে আসছে। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘নাগরিক’ তৈরি হয়েছিল ‘পথের পাঁচালী’রও বছরখানেক আগে। সময়মতো মুক্তি পেলে এটিই হতে পারত প্রথম বাংলা আর্ট ফিল্ম। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ শিল্পী ছিলেন ঘটক। মাত্র ৮টি সিনেমা তৈরি করেছেন। তবে সিনেমা সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল খুবই পরিষ্কার। তাঁর প্রতিটি সিনেমা ভিজ্যুয়ালি এবং থিমের জায়গা থেকে খুবই সমৃদ্ধ। ভারতের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো।
একনজরে ঋত্বিক ঘটক

ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক। তাঁর হাতেই অনেকখানি জীবনবোধ শিখেছে, আন্তর্জাতিকতা পেয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র। ঢাকায় তাঁর জন্ম। রাজশাহীতে যৌবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। দেশভাগের কারণে ঠাঁই হয় কলকাতায়। নিজের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার এই কষ্ট সারা জীবন তাড়িয়ে বেড়িয়েছে ঋত্বিক ঘটককে। তাঁর প্রতিটি কাজেও সেটাই হয়ে উঠেছে প্রধান বিষয়। আজ এই বাংলা চলচ্চিত্রের দামাল প্রতিভার জন্মশতবর্ষ। এ উপলক্ষে ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বিশেষ আয়োজন।

ঋত্বিক আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি
সত্যজিৎ রায়, নির্মাতা
ঋত্বিকের সঙ্গে সামনাসামনি পরিচয় হবার আগে আমি তাঁকে প্রথম চিনি নিমাই ঘোষের ‘ছিন্নমূল’ সিনেমার অভিনেতা হিসেবে। অরোরা কোম্পানির আপিসে ঋত্বিকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তার কিছু আগে ‘পথের পাঁচালী’ মুক্তি পেয়েছে, ঋত্বিক সে ছবি দেখেছে, এবং তার খুব বেশি রকম ভালো লেগেছিল। সে কথা সে প্রাণ খুলে আমার কাছে বলে। কিন্তু আমার কাছে সবচাইতে ভালো লেগেছিল, সে যেভাবে ছবিটাকে বিশ্লেষণ করেছিল, তাতে আমার মনে হয়েছিল, ঋত্বিক যদি ছবি করে তাহলে সে খুবই ভালো করবে।
‘অযান্ত্রিক’ ছবির প্রথম শোতে আমি উপস্থিত ছিলাম। দেখে বুঝতে পেরেছিলাম, একজন সত্যিকারের শিল্পী যদি কাজের সুযোগ পায়, তাহলে সে কতটা এগিয়ে যেতে পারে! উনিশ শ ত্রিশ বা পঁচিশ থেকে শুরু করে প্রায় ষাট অবধি আমরা হলিউডের বাইরে খুব বেশি ছবি দেখার সুযোগ পাইনি। আমাদের সকলের মধ্যেই তাই কিছু কিছু হলিউডের প্রভাব ঢুকে পড়েছে। কিন্তু ঋত্বিক এক রহস্যময় কারণে সম্পূর্ণ সে প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল, তার মধ্যে হলিউডের কোনো ছাপ নেই। এটা যে কী করে হয়েছে, সেটা আমার কাছে রহস্য হয়ে রয়ে গেছে। ঋত্বিক মনেপ্রাণে বাঙালি পরিচালক ছিল, বাঙালি শিল্পী ছিল—আমার থেকেও অনেক বেশি বাঙালি। আমার কাছে সেইটেই তার সবচেয়ে বড় পরিচয় এবং তার সবচেয়ে মূল্যবান এবং লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য।

ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া
মৃণাল সেন, নির্মাতা
ঋত্বিক, সলিল চৌধুরী, তাপস সেন, হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়, বংশী চন্দ্রগুপ্ত, নৃপেন গঙ্গোপাধ্যায় আর আমি; এই নিয়ে আমাদের একটা ছোট্ট দল ছিল তখন। কখনো বিজন ভট্টাচার্য এসে জুটতেন, কখনোবা কালী বন্দ্যোপাধ্যায়। ঋত্বিক ছিল দলের সবচেয়ে লম্বাটে, সবচেয়ে রোগাটে এবং অবশ্যই সবচেয়ে ডাকসাইটে শরিক। সকাল হতেই বেরিয়ে পড়তাম, হাজরা রোডের ওপর ছোট্ট একটা চায়ের দোকানে ভিড় করতাম। সকাল আটটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত চলত একটানা আসর। সূর্যের তলায় যা কিছু ছিল সবই তুলে ধরতাম চায়ের টেবিলে, বিচারে আর বিশ্লেষণে মুখর হয়ে উঠতাম প্রতি মুহূর্তে। কিন্তু বারবার নানা কথার মধ্যেও যে প্রশ্নে, যে তর্কে, যে বিষয়ে ফিরে আসতাম তা হলো সিনেমা। সিনেমাকে বিপ্লবের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে আমরা চলতে শিখেছিলাম সেদিন থেকেই। এই প্রাণচঞ্চল আসরগুলোয় যার গলা সবচেয়ে উঁচু পর্দায় বাঁধা ছিল, সে হলো ঋত্বিক। ঋত্বিক ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেপরোয়া। কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করত না।
ঋত্বিকের বেপরোয়া মেজাজ পরবর্তীকালে দর্শক প্রত্যক্ষ করেছেন ‘অযান্ত্রিক’-এ, ‘মেঘে ঢাকা তারা’য়, ‘সুবর্ণরেখা’য়, ওর কথাবার্তায়, ওর লিখিত বক্তব্যে। আমরা ঝগড়াও করেছি প্রচুর। তখন এবং পরবর্তী জীবনে। ঝগড়া করেছি, মতান্তর ঘটেছে, আবার সময় আর ঘটনার মধ্য দিয়ে মিশে গিয়েছি আগেকার মতোই, একসঙ্গে চলেছি।

অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো
মার্টিন স্করসেসি, হলিউড নির্মাতা
সত্যজিৎ রায় একবার ঋত্বিক ঘটককে নিয়ে বলেছিলেন, তাঁর কাছে হয়তো হলিউডের অস্তিত্বই ছিল না কখনো। কথাটা খুবই দারুণ লেগেছিল। আমরা ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড সিনেমা প্রজেক্ট শুরু করি। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণে কখনো কখনো অনেক সিনেমা আড়ালে পড়ে গেছে, সেসব সিনেমাকে সংরক্ষণ করে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। অনেক সময় এমন হয়, নির্মাতার জীবদ্দশায় তাঁর কাজের যথেষ্ট স্বীকৃতি মেলে না। ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ সিনেমার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছিল। জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছিলেন তিনি।
অনেক বছর ধরে পশ্চিমাদের কাছে ভারতীয় চলচ্চিত্র মানেই ছিল সত্যজিৎ রায়। তারপর আসে বলিউড। সময় যত গড়িয়েছে, আমাদের দৃষ্টিসীমা যত প্রসারিত হয়েছে, ঋত্বিক ঘটকের মতো অনেক প্রতিভা বেরিয়ে আসছে। তাঁর প্রথম সিনেমা ‘নাগরিক’ তৈরি হয়েছিল ‘পথের পাঁচালী’রও বছরখানেক আগে। সময়মতো মুক্তি পেলে এটিই হতে পারত প্রথম বাংলা আর্ট ফিল্ম। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ শিল্পী ছিলেন ঘটক। মাত্র ৮টি সিনেমা তৈরি করেছেন। তবে সিনেমা সম্পর্কে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল খুবই পরিষ্কার। তাঁর প্রতিটি সিনেমা ভিজ্যুয়ালি এবং থিমের জায়গা থেকে খুবই সমৃদ্ধ। ভারতের স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে তাঁর কাজগুলো।
একনজরে ঋত্বিক ঘটক

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় জয়া আহসান অভিনীত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে ঘরে বসে। ১৪ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে পুতুলনাচের ইতিকথা।
১ মিনিট আগে
প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে আরটিভি আয়োজন করেছে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর’। প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বে আছেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, সানিয়া সুলতানা লিজা ও জিনিয়া জাফরিন লুইপা।
১১ মিনিট আগে
অন্যের কণ্ঠ নকল করার হিডেন ট্যালেন্ট আছে শ্রদ্ধা কাপুরের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাঝে মাঝে পাওয়া যায় তাঁর এ প্রতিভার পরিচয়। এবার কণ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে আরও বড় পরিসরে হাজির হচ্ছেন শ্রদ্ধা। ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ‘জুটোপিয়া’র সিকুয়েল আসছে এ মাসেই।
১৬ মিনিট আগে
আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি বগুড়া শহরের মধুবন সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৬। এটা হতে যাচ্ছে উৎসবের ষষ্ঠ আসর। আয়োজন করছে পুণ্ড্রনগর ফিল্ম সোসাইটি বগুড়া।
২১ মিনিট আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় জয়া আহসান অভিনীত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে ঘরে বসে। ১৪ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে পুতুলনাচের ইতিকথা।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। দর্শকের জন্য সহজবোধ্য করতে গল্পের প্রেক্ষাপটকাল এগিয়ে এনেছেন নির্মাতা। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগ থেকে চল্লিশের দশকের শুরুর দিকের প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে গল্প। মূল উপন্যাসে সময়টা ছিল আরও পেছনের। এতে কুসুম চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। শশী ও কুমুদের চরিত্রে থাকছেন আবীর চট্টোপাধ্যায় ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। আরও অভিনয় করেছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
‘বিসর্জন’ ও ‘বিজয়া’র পর পুতুলনাচের ইতিকথা সিনেমাতেও প্রশংসিত হয়েছে আবীর-জয়ার পর্দার রসায়ন। এবার তাঁদের অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রি দেখা যাবে ঘরে বসে। ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ায় বাংলাদেশের দর্শকও সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবেন।

প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সময় জয়া আহসান জানিয়েছিলেন, সিনেমাটি বাংলাদেশের দর্শক দেখার সুযোগ পেলে তিনি খুব খুশি হবেন। ওটিটিতে মুক্তির মধ্য দিয়ে জয়ার সেই আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। সে সময় জয়া বলেছিলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাসটি ওপরের দিকেই থাকবে। এটি নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। খুব খুশি হব যদি এই সিনেমাটি আমার বাংলাদেশের দর্শক দেখতে পায়। সিনেমাটি ভারতীয় একজন নির্মাণ করলেও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশেরও। এ দেশের জলবায়ু, আবহাওয়া তাঁর গায়ে লেগেছে। বাংলাদেশের যে সকল দর্শক সাহিত্যনির্ভর সিনেমা পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য দেখবার মতো একটি সিনেমা পুতুলনাচের ইতিকথা।’
এদিকে ২ নভেম্বর দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে জয়া অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটির নির্মাতা ইরানের মুর্তজা অতাশ জমজম। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি এ সিনেমায় দেখা যাবে ঢাকা শহরের এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি। স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক ও জয়া আহসান। আরও আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী প্রমুখ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ফেরেশতে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় জয়া আহসান অভিনীত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে ঘরে বসে। ১৪ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে পুতুলনাচের ইতিকথা।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। দর্শকের জন্য সহজবোধ্য করতে গল্পের প্রেক্ষাপটকাল এগিয়ে এনেছেন নির্মাতা। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগ থেকে চল্লিশের দশকের শুরুর দিকের প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে গল্প। মূল উপন্যাসে সময়টা ছিল আরও পেছনের। এতে কুসুম চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। শশী ও কুমুদের চরিত্রে থাকছেন আবীর চট্টোপাধ্যায় ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। আরও অভিনয় করেছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
‘বিসর্জন’ ও ‘বিজয়া’র পর পুতুলনাচের ইতিকথা সিনেমাতেও প্রশংসিত হয়েছে আবীর-জয়ার পর্দার রসায়ন। এবার তাঁদের অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রি দেখা যাবে ঘরে বসে। ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ায় বাংলাদেশের দর্শকও সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবেন।

প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সময় জয়া আহসান জানিয়েছিলেন, সিনেমাটি বাংলাদেশের দর্শক দেখার সুযোগ পেলে তিনি খুব খুশি হবেন। ওটিটিতে মুক্তির মধ্য দিয়ে জয়ার সেই আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। সে সময় জয়া বলেছিলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে পুতুলনাচের ইতিকথা উপন্যাসটি ওপরের দিকেই থাকবে। এটি নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন সুমন মুখোপাধ্যায়। খুব খুশি হব যদি এই সিনেমাটি আমার বাংলাদেশের দর্শক দেখতে পায়। সিনেমাটি ভারতীয় একজন নির্মাণ করলেও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশেরও। এ দেশের জলবায়ু, আবহাওয়া তাঁর গায়ে লেগেছে। বাংলাদেশের যে সকল দর্শক সাহিত্যনির্ভর সিনেমা পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য দেখবার মতো একটি সিনেমা পুতুলনাচের ইতিকথা।’
এদিকে ২ নভেম্বর দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে জয়া অভিনীত ‘ফেরেশতে’। বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটির নির্মাতা ইরানের মুর্তজা অতাশ জমজম। সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি এ সিনেমায় দেখা যাবে ঢাকা শহরের এক রিকশাচালক স্বামী ও গার্মেন্টসে চাকরি করা তার স্ত্রীর কাহিনি। তাদের গল্পে আছে সংগ্রাম, বঞ্চনা, টিকে থাকার লড়াই ও মানবিকতার অদম্য শক্তি। স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন ফারুক ও জয়া আহসান। আরও আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু, শাহীন মৃধা, শিশুশিল্পী সাথী প্রমুখ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ফেরেশতে।

ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক।
৫ দিন আগে
প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে আরটিভি আয়োজন করেছে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর’। প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বে আছেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, সানিয়া সুলতানা লিজা ও জিনিয়া জাফরিন লুইপা।
১১ মিনিট আগে
অন্যের কণ্ঠ নকল করার হিডেন ট্যালেন্ট আছে শ্রদ্ধা কাপুরের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাঝে মাঝে পাওয়া যায় তাঁর এ প্রতিভার পরিচয়। এবার কণ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে আরও বড় পরিসরে হাজির হচ্ছেন শ্রদ্ধা। ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ‘জুটোপিয়া’র সিকুয়েল আসছে এ মাসেই।
১৬ মিনিট আগে
আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি বগুড়া শহরের মধুবন সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৬। এটা হতে যাচ্ছে উৎসবের ষষ্ঠ আসর। আয়োজন করছে পুণ্ড্রনগর ফিল্ম সোসাইটি বগুড়া।
২১ মিনিট আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে আরটিভি আয়োজন করেছে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর’। প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বে আছেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, সানিয়া সুলতানা লিজা ও জিনিয়া জাফরিন লুইপা। গতকাল থেকে আরটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে এই রিয়েলিটি শো। দেখা যাবে প্রতি শনি ও বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে।
অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর প্রতিযোগিতায় প্রায় ১২ হাজার প্রতিযোগী আবেদন করে। প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার প্রতিযোগীকে বাছাই করেন বিচারকেরা। তাঁদের বিচার-বিশ্লেষণে ১৫০ প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয় স্টুডিও রাউন্ডের জন্য। আরটিভি বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে ১৫০ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হচ্ছে আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বরের পরবর্তী বাছাই পর্ব। এসব রাউন্ডে থাকবে ফোক, রবীন্দ্রসংগীত এবং নজরুলসংগীত, মডার্ন সং ও ব্যান্ড রাউন্ড।
আরজু আহমেদের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন ইমতু রাতিশ ও রুহানি সালসাবিল লাবণ্য। সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান এবং ব্যবস্থাপনায় থাকবেন অনুষ্ঠানপ্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব। টিভি পর্দার পাশাপাশি আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর দেখা যাবে আরটিভির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।

প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে আরটিভি আয়োজন করেছে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর’। প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বে আছেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, সানিয়া সুলতানা লিজা ও জিনিয়া জাফরিন লুইপা। গতকাল থেকে আরটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে এই রিয়েলিটি শো। দেখা যাবে প্রতি শনি ও বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে।
অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর প্রতিযোগিতায় প্রায় ১২ হাজার প্রতিযোগী আবেদন করে। প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার প্রতিযোগীকে বাছাই করেন বিচারকেরা। তাঁদের বিচার-বিশ্লেষণে ১৫০ প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয় স্টুডিও রাউন্ডের জন্য। আরটিভি বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে ১৫০ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হচ্ছে আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বরের পরবর্তী বাছাই পর্ব। এসব রাউন্ডে থাকবে ফোক, রবীন্দ্রসংগীত এবং নজরুলসংগীত, মডার্ন সং ও ব্যান্ড রাউন্ড।
আরজু আহমেদের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন ইমতু রাতিশ ও রুহানি সালসাবিল লাবণ্য। সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান এবং ব্যবস্থাপনায় থাকবেন অনুষ্ঠানপ্রধান দেওয়ান শামসুর রকিব। টিভি পর্দার পাশাপাশি আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর দেখা যাবে আরটিভির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।

ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক।
৫ দিন আগে
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় জয়া আহসান অভিনীত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে ঘরে বসে। ১৪ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে পুতুলনাচের ইতিকথা।
১ মিনিট আগে
অন্যের কণ্ঠ নকল করার হিডেন ট্যালেন্ট আছে শ্রদ্ধা কাপুরের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাঝে মাঝে পাওয়া যায় তাঁর এ প্রতিভার পরিচয়। এবার কণ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে আরও বড় পরিসরে হাজির হচ্ছেন শ্রদ্ধা। ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ‘জুটোপিয়া’র সিকুয়েল আসছে এ মাসেই।
১৬ মিনিট আগে
আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি বগুড়া শহরের মধুবন সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৬। এটা হতে যাচ্ছে উৎসবের ষষ্ঠ আসর। আয়োজন করছে পুণ্ড্রনগর ফিল্ম সোসাইটি বগুড়া।
২১ মিনিট আগেবিনোদন ডেস্ক

অন্যের কণ্ঠ নকল করার হিডেন ট্যালেন্ট আছে শ্রদ্ধা কাপুরের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাঝে মাঝে পাওয়া যায় তাঁর এ প্রতিভার পরিচয়। এবার কণ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে আরও বড় পরিসরে হাজির হচ্ছেন শ্রদ্ধা। ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ‘জুটোপিয়া’র সিকুয়েল আসছে এ মাসেই। ‘জুটোপিয়া ২’-এর হিন্দি সংস্করণে জুডি হপস চরিত্রে শোনা যাবে শ্রদ্ধা কাপুরের কণ্ঠ।
গতকাল মুম্বাইয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস ইন্ডিয়া। সেখানে হাজির ছিলেন শ্রদ্ধা। এ চরিত্রে কণ্ঠ দিতে পেরে কতটা উচ্ছ্বসিত তিনি, জানান সে কথা। শ্রদ্ধা কাপুর বলেন, ‘হিন্দিতে জুডি হপস চরিত্রে কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে জুটোপিয়া ২-তে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই খুশি। শুধু আমি নই, আমার পরিবারের সদস্যরাও কাজটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’
জুটোপিয়া ২-তে শ্রদ্ধার যুক্ত হওয়ার খবর জানাতে একটি বিশেষ ট্রেলার বানিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস ইন্ডিয়া। দুই মিনিটের ওই ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, ড্রেসিং রুমে চরিত্র অনুযায়ী পোশাক খুঁজছেন শ্রদ্ধা। জুডি হপসের পোশাক পেয়েই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন তিনি। শুটিং শুরু হতেই খবর আসে, একটি আংটি হারিয়ে গেছে। জুডি হপসের মতো করে তদন্ত শুরু করে শ্রদ্ধা। আংটি খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর আসে জুটোপিয়া ২-এর কিছু ঝলক। ভয়েসওভারে শোনা যায় শ্রদ্ধার কণ্ঠ। জুডি হপসের ভঙ্গিতেই সিনেমাটির বর্ণনা দিতে থাকেন তিনি। জানা গেছে, জুটোপিয়ার সিকুয়েল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে ২৬ নভেম্বর। আর ভারতে দেখা যাবে ২৮ নভেম্বর থেকে।
জুটোপিয়ার প্রথম পর্ব মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালে। জ্যারেড বুশ ও বায়রন হাওয়ার্ড পরিচালিত এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে জুটোপিয়া নামের এক অদ্ভুত রাজ্যের গল্প। জুটোপিয়া জীবজন্তুদের শহর। সব প্রাণী একসঙ্গে বসবাস করে। জুডি হপস নামের এক খরগোশের ইচ্ছা পুলিশ অফিসার হওয়ার। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে প্রথম খরগোশ হিসেবে পুলিশ বিভাগে চাকরি পায় জুডি। কিন্তু চাকরির কিছুদিন না যেতেই শহরে ঘটতে থাকে একের পর এক রহস্যজনক ঘটনা। জুডিও দমবার পাত্র নয়। কোমর বেঁধে লেগে পড়ে রহস্য উদ্ঘাটনে।

অন্যের কণ্ঠ নকল করার হিডেন ট্যালেন্ট আছে শ্রদ্ধা কাপুরের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাঝে মাঝে পাওয়া যায় তাঁর এ প্রতিভার পরিচয়। এবার কণ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে আরও বড় পরিসরে হাজির হচ্ছেন শ্রদ্ধা। ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ‘জুটোপিয়া’র সিকুয়েল আসছে এ মাসেই। ‘জুটোপিয়া ২’-এর হিন্দি সংস্করণে জুডি হপস চরিত্রে শোনা যাবে শ্রদ্ধা কাপুরের কণ্ঠ।
গতকাল মুম্বাইয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস ইন্ডিয়া। সেখানে হাজির ছিলেন শ্রদ্ধা। এ চরিত্রে কণ্ঠ দিতে পেরে কতটা উচ্ছ্বসিত তিনি, জানান সে কথা। শ্রদ্ধা কাপুর বলেন, ‘হিন্দিতে জুডি হপস চরিত্রে কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে জুটোপিয়া ২-তে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই খুশি। শুধু আমি নই, আমার পরিবারের সদস্যরাও কাজটি নিয়ে উচ্ছ্বসিত।’
জুটোপিয়া ২-তে শ্রদ্ধার যুক্ত হওয়ার খবর জানাতে একটি বিশেষ ট্রেলার বানিয়েছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস ইন্ডিয়া। দুই মিনিটের ওই ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, ড্রেসিং রুমে চরিত্র অনুযায়ী পোশাক খুঁজছেন শ্রদ্ধা। জুডি হপসের পোশাক পেয়েই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন তিনি। শুটিং শুরু হতেই খবর আসে, একটি আংটি হারিয়ে গেছে। জুডি হপসের মতো করে তদন্ত শুরু করে শ্রদ্ধা। আংটি খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর আসে জুটোপিয়া ২-এর কিছু ঝলক। ভয়েসওভারে শোনা যায় শ্রদ্ধার কণ্ঠ। জুডি হপসের ভঙ্গিতেই সিনেমাটির বর্ণনা দিতে থাকেন তিনি। জানা গেছে, জুটোপিয়ার সিকুয়েল যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে ২৬ নভেম্বর। আর ভারতে দেখা যাবে ২৮ নভেম্বর থেকে।
জুটোপিয়ার প্রথম পর্ব মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালে। জ্যারেড বুশ ও বায়রন হাওয়ার্ড পরিচালিত এ সিনেমায় দেখানো হয়েছে জুটোপিয়া নামের এক অদ্ভুত রাজ্যের গল্প। জুটোপিয়া জীবজন্তুদের শহর। সব প্রাণী একসঙ্গে বসবাস করে। জুডি হপস নামের এক খরগোশের ইচ্ছা পুলিশ অফিসার হওয়ার। নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে প্রথম খরগোশ হিসেবে পুলিশ বিভাগে চাকরি পায় জুডি। কিন্তু চাকরির কিছুদিন না যেতেই শহরে ঘটতে থাকে একের পর এক রহস্যজনক ঘটনা। জুডিও দমবার পাত্র নয়। কোমর বেঁধে লেগে পড়ে রহস্য উদ্ঘাটনে।

ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক।
৫ দিন আগে
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় জয়া আহসান অভিনীত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে ঘরে বসে। ১৪ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে পুতুলনাচের ইতিকথা।
১ মিনিট আগে
প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে আরটিভি আয়োজন করেছে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর’। প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বে আছেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, সানিয়া সুলতানা লিজা ও জিনিয়া জাফরিন লুইপা।
১১ মিনিট আগে
আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি বগুড়া শহরের মধুবন সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৬। এটা হতে যাচ্ছে উৎসবের ষষ্ঠ আসর। আয়োজন করছে পুণ্ড্রনগর ফিল্ম সোসাইটি বগুড়া।
২১ মিনিট আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি বগুড়া শহরের মধুবন সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৬। এটা হতে যাচ্ছে উৎসবের ষষ্ঠ আসর। আয়োজন করছে পুণ্ড্রনগর ফিল্ম সোসাইটি বগুড়া। এবারের উৎসবে ৫টি ক্যাটাগরিতে ৩২টি দেশের ৭১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
বগুড়া উৎসবে শর্টফিল্ম, ফিচার ফিল্ম, ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেটেড ফিল্ম ও ওপেন ডোর শর্ট—এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে সিনেমা জমা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই সেরা নির্বাচন করা হবে। পুরস্কার হিসেবে থাকবে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও নগদ অর্থ।
প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেরা নির্বাচনের জন্য থাকছে ভিন্ন জুরিবোর্ড। বোর্ডে থাকছেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ নির্মাতা, ফিল্ম স্কলার ও কিউরেটররা। এই তালিকায় আছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন, মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান, অন্তু আজাদ, সিনেমাটোগ্রাফার শেখ রাজিবুল ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম, রাশিয়ার চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ আনাস্কিন সার্জে, নির্মাতা আলেক্সান্ডার মোরোও, ভারতের ফিল্ম কিউরেটর শান্তনু গাঙ্গুলি, ইরানের নির্মাতা মারিয়ম ঘাসেমি, নেপাল কালচারাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান সন্তোষ সুবেদী প্রমুখ।

আগামী ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি বগুড়া শহরের মধুবন সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৬। এটা হতে যাচ্ছে উৎসবের ষষ্ঠ আসর। আয়োজন করছে পুণ্ড্রনগর ফিল্ম সোসাইটি বগুড়া। এবারের উৎসবে ৫টি ক্যাটাগরিতে ৩২টি দেশের ৭১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
বগুড়া উৎসবে শর্টফিল্ম, ফিচার ফিল্ম, ডকুমেন্টারি, অ্যানিমেটেড ফিল্ম ও ওপেন ডোর শর্ট—এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে সিনেমা জমা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই সেরা নির্বাচন করা হবে। পুরস্কার হিসেবে থাকবে সম্মাননা স্মারক, সনদ ও নগদ অর্থ।
প্রতিটি ক্যাটাগরিতে সেরা নির্বাচনের জন্য থাকছে ভিন্ন জুরিবোর্ড। বোর্ডে থাকছেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ নির্মাতা, ফিল্ম স্কলার ও কিউরেটররা। এই তালিকায় আছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা খন্দকার সুমন, মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান, অন্তু আজাদ, সিনেমাটোগ্রাফার শেখ রাজিবুল ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম, রাশিয়ার চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ আনাস্কিন সার্জে, নির্মাতা আলেক্সান্ডার মোরোও, ভারতের ফিল্ম কিউরেটর শান্তনু গাঙ্গুলি, ইরানের নির্মাতা মারিয়ম ঘাসেমি, নেপাল কালচারাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান সন্তোষ সুবেদী প্রমুখ।

ঋত্বিক ঘটক—যেন এক গ্রিক মাস্টার! লম্বা শরীর, এলোমেলো চুল, পরনে পাঞ্জাবি, তার ওপর খাদির জ্যাকেট। বোতাম খোলা। একটা ঝোলা কাঁধ বেয়ে নেমে ঝুলে পড়েছে—আর জ্বলজ্বলে বুদ্ধিদীপ্ত দুটি চোখ, যেন ধরে রাখছে সব। প্রতিটি মুহূর্ত, দৃশ্য, জীবন—কিছুই ও চোখে এড়ায় না। সব মিলিয়ে ঋত্বিক ঘটক।
৫ দিন আগে
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে গত ১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় জয়া আহসান অভিনীত ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। এবার সিনেমাটি দেখা যাবে ঘরে বসে। ১৪ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাবে পুতুলনাচের ইতিকথা।
১ মিনিট আগে
প্রতিভাবান শিশু-কিশোরদের খোঁজে আরটিভি আয়োজন করেছে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘আরটিভি লিটল স্টার-আগামীর কণ্ঠস্বর’। প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্বে আছেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, সানিয়া সুলতানা লিজা ও জিনিয়া জাফরিন লুইপা।
১১ মিনিট আগে
অন্যের কণ্ঠ নকল করার হিডেন ট্যালেন্ট আছে শ্রদ্ধা কাপুরের। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাঝে মাঝে পাওয়া যায় তাঁর এ প্রতিভার পরিচয়। এবার কণ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে আরও বড় পরিসরে হাজির হচ্ছেন শ্রদ্ধা। ডিজনির জনপ্রিয় অ্যানিমেশন সিনেমা ‘জুটোপিয়া’র সিকুয়েল আসছে এ মাসেই।
১৬ মিনিট আগে