খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব। সত্যজিৎ তাঁর জীবনবিমার টাকা, নিজের আর্টবুক বিক্রি করে কিছু, আর নিকটতম বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে সিনেমার শুটিং শুরু করেন। অর্থাভাবে প্রায়ই কাজ বন্ধ থাকত। টাকা জোগাড় হলে তবেই আবার হতো শুটিং।
আজ সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবসে রইল তাঁর প্রথম সিনেমা তৈরির অন্তরালের কিছু ঘটনা।
মিলছে না অপুর খোঁজ
তত দিনে সত্যজিৎ রায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, তিনি সিনেমা বানাবেন। বিলেত থেকে ফেরার পথে জাহাজে বসেই লিখে ফেলেছেন ‘পথের পাঁচালী’র চিত্রনাট্য। এবার আসল কাজ, মানে শুটিংয়ে নামার পালা। ছুটির দিনে শিল্প নির্দেশক বংশীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন লোকেশনের খোঁজে। তা ছাড়া সত্যজিতের বেড়ে ওঠার সঙ্গে তো গ্রামের যোগাযোগ অতটা ছিল না। গ্রামীণ প্রকৃতি, পরিবেশ, জীবনযাপন অনেকটাই তাঁর জানার বাইরে ছিল। ফলে গ্রামকে আবিষ্কারের নেশায় তখন বুঁদ সত্যজিৎ। ভেতরে-ভেতরে একটা যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন লোক যুক্ত হচ্ছেন টিমে। কিন্তু প্রধান দুই চরিত্র অপু আর দুর্গা কারা হবে, তা ঠিক হয়নি তখনো। খোঁজ চলছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। শত শত শিশুর ইন্টারভিউ করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে মনে ধরছে না সত্যজিতের।
হঠাৎ নজর গেল একটি ছেলের দিকে
এক বিকেলে বাড়ির জানালায় হঠাৎ শিশুদের কলরব। সত্যজিতের স্ত্রী বিজয়া শাশুড়ির সঙ্গে গল্প করছিলেন। শিশুদের হইচই শুনে নিচে তাকালেন। কয়েকটি শিশু খেলা করছে। হঠাৎ তাঁর নজর গেল একটি ছেলের দিকে। ভারী সুন্দর ফুটফুটে চেহারা, বছর পাঁচ–ছয় হবে। ছেলেটিকে দেখে বিজয়ার মনে হয়, ‘আহা, এ রকম দেখতে ছেলের মতো যদি আমাদের অপুকে পাওয়া যেত!’ তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, ছেলেটি অবাঙালি। কারণ তাঁদের পাড়ায় তখন বেশির ভাগই দক্ষিণ ভারত আর উত্তর প্রদেশের লোক থাকত। তবুও বাড়ির কাজের মহিলাকে দিয়ে ডেকে পাঠালেন ছেলেটিকে। কথা বলে বুঝলেন, ছেলেটি বাঙালি।
সন্ধ্যায় অফিস থেকে সত্যজিৎ ফিরতেই সুখবর শোনালেন বিজয়া, ‘অপুকে পাওয়া গেছে।’ শুনে সত্যজিৎ তো অবাক! এত বিজ্ঞাপন দিয়ে যাকে পাওয়া গেল না, শেষে তার খোঁজ মিলল পাশের বাড়িতে! আবারও ছেলেটিকে ডেকে পাঠানো হলো। সুবীর ব্যানার্জিকে (ছেলেটির নাম) দেখে তৃপ্তির হাসি হাসলেন সত্যজিৎ। এর চেয়ে ভালো অপু আর কেউ হতে পারে না! এরপর দুর্গাকে পেতে বেশি বেগ পেতে হলো না। সত্যজিতের সহকারী আশিস বর্মণের মাধ্যমে পাওয়া গেল উমা দাশগুপ্তকে। সে–ই পথের পাঁচালীর দুর্গা।
শুরুতেই গোলমাল
প্রথম দিনের শুটিং। অপু–দুর্গাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা থেকে ৭০ মাইল দূরে বর্ধমানের কাছে পালসিট বলে একটা জায়গায়। সেখানে রেললাইনের ধারে কাশফুলে ভরা মাঠ। অপু–দুর্গার সেই বিখ্যাত কাশবনের ভেতরে ঘোরার দৃশ্য তোলা হবে। বেশ বড় দৃশ্য। তাই একদিনে হবে না, অন্তত দুই দিন লাগবে। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত অর্ধেক দৃশ্য তোলা হলো। প্রথম দিন শুটিংয়ের এক সপ্তাহ পর আবার একই জায়গায় শুটিং। কিন্তু লোকেশনে গিয়ে সবাই অবাক! সেই কাশবন আর নেই! স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাশফুল নাকি গরুর খাদ্য! এই এক সপ্তাহে সব কাশ খেয়ে গেছে ওরা। এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে সেখানে শুটিং করলে আর প্রথম দিনের শুটিংয়ের সঙ্গে মিলবে না। এ দৃশ্যের বাকি অংশ তাই তোলা হয় পরের বছরের শরৎকালে। তখন আবার নতুন কাশে মাঠ ভরে গেছে।
সাদা কাশ, কালো ধোঁয়া
এ শিডিউলে সেই বিখ্যাত ট্রেনের শটও নেওয়া হয়। ট্রেনের এত শট ছিল যে, একটা ট্রেনে কাজ হয়নি। পরপর তিনটি ট্রেন ব্যবহার করা হয়। কাছাকাছি স্টেশনে থাকতেন পথের পাঁচালী টিমের অনিল বাবু। ট্রেন এলে তিনি ড্রাইভারের পাশে বসে পড়তেন। কারণ ট্রেন শুটিং স্পটের কাছাকাছি এলেই বয়লারে কয়লা দিতে হবে। তা না হলে কালো ধোঁয়া বেরোবে না। সাদা কাশফুলের পাশে কালো ধোঁয়া না পেলে দৃশ্য জমবে কীভাবে!
একটি কুকুরের মৃত্যু
অপু–দুর্গার পোষা কুকুর ভুলো পথের পাঁচালী সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। গ্রাম থেকে একটি কুকুর জোগাড় করা হয়েছিল। সে বেশ মিশে গিয়েছিল সিনেমার ইউনিটের সঙ্গে। এক দৃশ্যে মা সর্বজয়া অপুকে ভাত খাওয়াচ্ছে। ভুলো দাওয়ায় বসে তা দেখছে। খাওয়ায় বিশেষ মন নেই অপুর। সে ব্যস্ত তীর–ধনুক নিয়ে। মা বুঝতে পারে, অপু আর খাবে না। পরের শটে দেখানো হবে সর্বজয়া বাকি ভাতটুকু আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেন। আর পোষা কুকুরটি গিয়ে সেই ভাত খেয়ে নেয়। কিন্তু এ শটটা সেদিন নেওয়া গেল না। দিনের আলো ফুরিয়ে গেল। সঙ্গে টাকাও। মাস ছয়েক পরে টাকা জোগাড় হলে আবার বোড়াল গ্রামে শুটিং করতে যান সত্যজিৎ। কিন্তু জানা গেল, এ ছয় মাসের মধ্যে কুকুরটি মারা গেছে! এখন কী হবে! খবর পাওয়া গেল, ভুলোর মতো দেখতে আরেকটি কুকুর আছে গ্রামে। পরে তাকে নিয়ে এসে দৃশ্যটি সম্পূর্ণ করা হয়।
ফাঁকি ধরতে পারেনি কেউ
চিনিবাস ময়রার কাছ থেকে মিষ্টি কেনার সামর্থ্য দুর্গা–অপুর নেই। তাই ময়রার পেছন ধাওয়া করে তারা যায় মুখুজ্যেদের বাড়ি। তারা বড়লোক, মিষ্টি কিনবেই, আর তা দেখেই অপু–দুর্গার আনন্দ। এ দৃশ্য খানিকটা তোলার পর অর্থাভাবে শুটিং কয়েক মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। পরেরবার শুটিং করতে গিয়ে জানা গেল, চিনিবাসের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন, তিনি আর বেঁচে নেই। বিপদে পড়লেন সত্যজিৎ। এখন কী উপায়! চিনিবাসের মতো দেখতে নাদুসনুদুস আরেকজনকে নিয়ে এসে শট নেওয়া হলো। সিনেমায় দেখা যায়, এক নম্বর চিনিবাস বাঁশবন থেকে বেরোলেন, আর পরের শটেই দু’নম্বর চিনিবাস ক্যামেরার দিকে পিঠ করে মুখুজ্যুদের বাড়ির ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেন। ‘একেই বলে শুটিং’ বইয়ে এ ঘটনার উল্লেখ করে সত্যজিৎ লিখেছেন, ‘পথের পাঁচালী ছবি অনেকে একাধিকবার দেখেছে। কিন্তু কেউ কোনো দিন আমাদের ফাঁকি ধরতে পেরেছে বলে শুনিনি।’
একটি বাস্তুসাপ
পথের পাঁচালী সিনেমায় যে বাড়িটিকে অপু–দুর্গাদের বাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছে, সেটি সত্যজিৎ রায় পেয়েছিলেন জীর্ণ জংলা অবস্থায়। সেটিকে কাজের উপযোগী করে নিতে তাঁদের সময় লেগেছিল প্রায় এক মাস। বাড়ির এক অংশে সার বাঁধা পাশাপাশি কয়েকটা ঘর ছিল, সেটা সিনেমায় দেখা যায়নি। ঘরগুলোতে শুটিংয়ের মালপত্র রাখা হতো। আর সাউন্ডের যন্ত্র নিয়ে এক ঘরে বসতেন ভূপেন বাবু। সত্যজিৎ রায় প্রতি শটের পর হাঁক দিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, ‘সাউন্ড ঠিক আছে তো?’ ভেতর থেকে জবাব দিতেন ভূপেন বাবু। একদিন শটের পর যথারীতি প্রশ্ন করলেন সত্যজিৎ। কোনো জবাব এল না। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থবারেও কোনো জবাব নেই। ঘরে ঢুকে সত্যজিৎ দেখলেন, একটি বিরাট গোখরো সাপ ঘরের পেছন দিকের জানালা দিয়ে ঢুকে মেঝেতে নামছে। কথা বন্ধ হয়ে গেছে ভূপেন বাবুর! এরপর সাপের ভয় নিয়েই পুরো শুটিং করতে হয়েছে তাঁদের। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সাপটিকে তারা মারতে পারেননি গ্রামবাসীদের নিষেধের কারণে। এটি নাকি বাস্তুসাপ। বহুদিন থেকে এই পোড়ো বাড়িতে বসবাস করছে!
তথ্যসূত্র:
একেই বলে শুটিং, সত্যজিৎ রায়
আমাদের কথা, বিজয়া রায়

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব। সত্যজিৎ তাঁর জীবনবিমার টাকা, নিজের আর্টবুক বিক্রি করে কিছু, আর নিকটতম বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে সিনেমার শুটিং শুরু করেন। অর্থাভাবে প্রায়ই কাজ বন্ধ থাকত। টাকা জোগাড় হলে তবেই আবার হতো শুটিং।
আজ সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবসে রইল তাঁর প্রথম সিনেমা তৈরির অন্তরালের কিছু ঘটনা।
মিলছে না অপুর খোঁজ
তত দিনে সত্যজিৎ রায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, তিনি সিনেমা বানাবেন। বিলেত থেকে ফেরার পথে জাহাজে বসেই লিখে ফেলেছেন ‘পথের পাঁচালী’র চিত্রনাট্য। এবার আসল কাজ, মানে শুটিংয়ে নামার পালা। ছুটির দিনে শিল্প নির্দেশক বংশীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন লোকেশনের খোঁজে। তা ছাড়া সত্যজিতের বেড়ে ওঠার সঙ্গে তো গ্রামের যোগাযোগ অতটা ছিল না। গ্রামীণ প্রকৃতি, পরিবেশ, জীবনযাপন অনেকটাই তাঁর জানার বাইরে ছিল। ফলে গ্রামকে আবিষ্কারের নেশায় তখন বুঁদ সত্যজিৎ। ভেতরে-ভেতরে একটা যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন লোক যুক্ত হচ্ছেন টিমে। কিন্তু প্রধান দুই চরিত্র অপু আর দুর্গা কারা হবে, তা ঠিক হয়নি তখনো। খোঁজ চলছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। শত শত শিশুর ইন্টারভিউ করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে মনে ধরছে না সত্যজিতের।
হঠাৎ নজর গেল একটি ছেলের দিকে
এক বিকেলে বাড়ির জানালায় হঠাৎ শিশুদের কলরব। সত্যজিতের স্ত্রী বিজয়া শাশুড়ির সঙ্গে গল্প করছিলেন। শিশুদের হইচই শুনে নিচে তাকালেন। কয়েকটি শিশু খেলা করছে। হঠাৎ তাঁর নজর গেল একটি ছেলের দিকে। ভারী সুন্দর ফুটফুটে চেহারা, বছর পাঁচ–ছয় হবে। ছেলেটিকে দেখে বিজয়ার মনে হয়, ‘আহা, এ রকম দেখতে ছেলের মতো যদি আমাদের অপুকে পাওয়া যেত!’ তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, ছেলেটি অবাঙালি। কারণ তাঁদের পাড়ায় তখন বেশির ভাগই দক্ষিণ ভারত আর উত্তর প্রদেশের লোক থাকত। তবুও বাড়ির কাজের মহিলাকে দিয়ে ডেকে পাঠালেন ছেলেটিকে। কথা বলে বুঝলেন, ছেলেটি বাঙালি।
সন্ধ্যায় অফিস থেকে সত্যজিৎ ফিরতেই সুখবর শোনালেন বিজয়া, ‘অপুকে পাওয়া গেছে।’ শুনে সত্যজিৎ তো অবাক! এত বিজ্ঞাপন দিয়ে যাকে পাওয়া গেল না, শেষে তার খোঁজ মিলল পাশের বাড়িতে! আবারও ছেলেটিকে ডেকে পাঠানো হলো। সুবীর ব্যানার্জিকে (ছেলেটির নাম) দেখে তৃপ্তির হাসি হাসলেন সত্যজিৎ। এর চেয়ে ভালো অপু আর কেউ হতে পারে না! এরপর দুর্গাকে পেতে বেশি বেগ পেতে হলো না। সত্যজিতের সহকারী আশিস বর্মণের মাধ্যমে পাওয়া গেল উমা দাশগুপ্তকে। সে–ই পথের পাঁচালীর দুর্গা।
শুরুতেই গোলমাল
প্রথম দিনের শুটিং। অপু–দুর্গাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা থেকে ৭০ মাইল দূরে বর্ধমানের কাছে পালসিট বলে একটা জায়গায়। সেখানে রেললাইনের ধারে কাশফুলে ভরা মাঠ। অপু–দুর্গার সেই বিখ্যাত কাশবনের ভেতরে ঘোরার দৃশ্য তোলা হবে। বেশ বড় দৃশ্য। তাই একদিনে হবে না, অন্তত দুই দিন লাগবে। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত অর্ধেক দৃশ্য তোলা হলো। প্রথম দিন শুটিংয়ের এক সপ্তাহ পর আবার একই জায়গায় শুটিং। কিন্তু লোকেশনে গিয়ে সবাই অবাক! সেই কাশবন আর নেই! স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাশফুল নাকি গরুর খাদ্য! এই এক সপ্তাহে সব কাশ খেয়ে গেছে ওরা। এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে সেখানে শুটিং করলে আর প্রথম দিনের শুটিংয়ের সঙ্গে মিলবে না। এ দৃশ্যের বাকি অংশ তাই তোলা হয় পরের বছরের শরৎকালে। তখন আবার নতুন কাশে মাঠ ভরে গেছে।
সাদা কাশ, কালো ধোঁয়া
এ শিডিউলে সেই বিখ্যাত ট্রেনের শটও নেওয়া হয়। ট্রেনের এত শট ছিল যে, একটা ট্রেনে কাজ হয়নি। পরপর তিনটি ট্রেন ব্যবহার করা হয়। কাছাকাছি স্টেশনে থাকতেন পথের পাঁচালী টিমের অনিল বাবু। ট্রেন এলে তিনি ড্রাইভারের পাশে বসে পড়তেন। কারণ ট্রেন শুটিং স্পটের কাছাকাছি এলেই বয়লারে কয়লা দিতে হবে। তা না হলে কালো ধোঁয়া বেরোবে না। সাদা কাশফুলের পাশে কালো ধোঁয়া না পেলে দৃশ্য জমবে কীভাবে!
একটি কুকুরের মৃত্যু
অপু–দুর্গার পোষা কুকুর ভুলো পথের পাঁচালী সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। গ্রাম থেকে একটি কুকুর জোগাড় করা হয়েছিল। সে বেশ মিশে গিয়েছিল সিনেমার ইউনিটের সঙ্গে। এক দৃশ্যে মা সর্বজয়া অপুকে ভাত খাওয়াচ্ছে। ভুলো দাওয়ায় বসে তা দেখছে। খাওয়ায় বিশেষ মন নেই অপুর। সে ব্যস্ত তীর–ধনুক নিয়ে। মা বুঝতে পারে, অপু আর খাবে না। পরের শটে দেখানো হবে সর্বজয়া বাকি ভাতটুকু আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেন। আর পোষা কুকুরটি গিয়ে সেই ভাত খেয়ে নেয়। কিন্তু এ শটটা সেদিন নেওয়া গেল না। দিনের আলো ফুরিয়ে গেল। সঙ্গে টাকাও। মাস ছয়েক পরে টাকা জোগাড় হলে আবার বোড়াল গ্রামে শুটিং করতে যান সত্যজিৎ। কিন্তু জানা গেল, এ ছয় মাসের মধ্যে কুকুরটি মারা গেছে! এখন কী হবে! খবর পাওয়া গেল, ভুলোর মতো দেখতে আরেকটি কুকুর আছে গ্রামে। পরে তাকে নিয়ে এসে দৃশ্যটি সম্পূর্ণ করা হয়।
ফাঁকি ধরতে পারেনি কেউ
চিনিবাস ময়রার কাছ থেকে মিষ্টি কেনার সামর্থ্য দুর্গা–অপুর নেই। তাই ময়রার পেছন ধাওয়া করে তারা যায় মুখুজ্যেদের বাড়ি। তারা বড়লোক, মিষ্টি কিনবেই, আর তা দেখেই অপু–দুর্গার আনন্দ। এ দৃশ্য খানিকটা তোলার পর অর্থাভাবে শুটিং কয়েক মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। পরেরবার শুটিং করতে গিয়ে জানা গেল, চিনিবাসের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন, তিনি আর বেঁচে নেই। বিপদে পড়লেন সত্যজিৎ। এখন কী উপায়! চিনিবাসের মতো দেখতে নাদুসনুদুস আরেকজনকে নিয়ে এসে শট নেওয়া হলো। সিনেমায় দেখা যায়, এক নম্বর চিনিবাস বাঁশবন থেকে বেরোলেন, আর পরের শটেই দু’নম্বর চিনিবাস ক্যামেরার দিকে পিঠ করে মুখুজ্যুদের বাড়ির ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেন। ‘একেই বলে শুটিং’ বইয়ে এ ঘটনার উল্লেখ করে সত্যজিৎ লিখেছেন, ‘পথের পাঁচালী ছবি অনেকে একাধিকবার দেখেছে। কিন্তু কেউ কোনো দিন আমাদের ফাঁকি ধরতে পেরেছে বলে শুনিনি।’
একটি বাস্তুসাপ
পথের পাঁচালী সিনেমায় যে বাড়িটিকে অপু–দুর্গাদের বাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছে, সেটি সত্যজিৎ রায় পেয়েছিলেন জীর্ণ জংলা অবস্থায়। সেটিকে কাজের উপযোগী করে নিতে তাঁদের সময় লেগেছিল প্রায় এক মাস। বাড়ির এক অংশে সার বাঁধা পাশাপাশি কয়েকটা ঘর ছিল, সেটা সিনেমায় দেখা যায়নি। ঘরগুলোতে শুটিংয়ের মালপত্র রাখা হতো। আর সাউন্ডের যন্ত্র নিয়ে এক ঘরে বসতেন ভূপেন বাবু। সত্যজিৎ রায় প্রতি শটের পর হাঁক দিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, ‘সাউন্ড ঠিক আছে তো?’ ভেতর থেকে জবাব দিতেন ভূপেন বাবু। একদিন শটের পর যথারীতি প্রশ্ন করলেন সত্যজিৎ। কোনো জবাব এল না। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থবারেও কোনো জবাব নেই। ঘরে ঢুকে সত্যজিৎ দেখলেন, একটি বিরাট গোখরো সাপ ঘরের পেছন দিকের জানালা দিয়ে ঢুকে মেঝেতে নামছে। কথা বন্ধ হয়ে গেছে ভূপেন বাবুর! এরপর সাপের ভয় নিয়েই পুরো শুটিং করতে হয়েছে তাঁদের। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সাপটিকে তারা মারতে পারেননি গ্রামবাসীদের নিষেধের কারণে। এটি নাকি বাস্তুসাপ। বহুদিন থেকে এই পোড়ো বাড়িতে বসবাস করছে!
তথ্যসূত্র:
একেই বলে শুটিং, সত্যজিৎ রায়
আমাদের কথা, বিজয়া রায়

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব।
২৩ এপ্রিল ২০২৪
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব।
২৩ এপ্রিল ২০২৪
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব।
২৩ এপ্রিল ২০২৪
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব।
২৩ এপ্রিল ২০২৪
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে