খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব। সত্যজিৎ তাঁর জীবনবিমার টাকা, নিজের আর্টবুক বিক্রি করে কিছু, আর নিকটতম বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে সিনেমার শুটিং শুরু করেন। অর্থাভাবে প্রায়ই কাজ বন্ধ থাকত। টাকা জোগাড় হলে তবেই আবার হতো শুটিং।
আজ সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবসে রইল তাঁর প্রথম সিনেমা তৈরির অন্তরালের কিছু ঘটনা।
মিলছে না অপুর খোঁজ
তত দিনে সত্যজিৎ রায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, তিনি সিনেমা বানাবেন। বিলেত থেকে ফেরার পথে জাহাজে বসেই লিখে ফেলেছেন ‘পথের পাঁচালী’র চিত্রনাট্য। এবার আসল কাজ, মানে শুটিংয়ে নামার পালা। ছুটির দিনে শিল্প নির্দেশক বংশীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন লোকেশনের খোঁজে। তা ছাড়া সত্যজিতের বেড়ে ওঠার সঙ্গে তো গ্রামের যোগাযোগ অতটা ছিল না। গ্রামীণ প্রকৃতি, পরিবেশ, জীবনযাপন অনেকটাই তাঁর জানার বাইরে ছিল। ফলে গ্রামকে আবিষ্কারের নেশায় তখন বুঁদ সত্যজিৎ। ভেতরে-ভেতরে একটা যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন লোক যুক্ত হচ্ছেন টিমে। কিন্তু প্রধান দুই চরিত্র অপু আর দুর্গা কারা হবে, তা ঠিক হয়নি তখনো। খোঁজ চলছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। শত শত শিশুর ইন্টারভিউ করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে মনে ধরছে না সত্যজিতের।
হঠাৎ নজর গেল একটি ছেলের দিকে
এক বিকেলে বাড়ির জানালায় হঠাৎ শিশুদের কলরব। সত্যজিতের স্ত্রী বিজয়া শাশুড়ির সঙ্গে গল্প করছিলেন। শিশুদের হইচই শুনে নিচে তাকালেন। কয়েকটি শিশু খেলা করছে। হঠাৎ তাঁর নজর গেল একটি ছেলের দিকে। ভারী সুন্দর ফুটফুটে চেহারা, বছর পাঁচ–ছয় হবে। ছেলেটিকে দেখে বিজয়ার মনে হয়, ‘আহা, এ রকম দেখতে ছেলের মতো যদি আমাদের অপুকে পাওয়া যেত!’ তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, ছেলেটি অবাঙালি। কারণ তাঁদের পাড়ায় তখন বেশির ভাগই দক্ষিণ ভারত আর উত্তর প্রদেশের লোক থাকত। তবুও বাড়ির কাজের মহিলাকে দিয়ে ডেকে পাঠালেন ছেলেটিকে। কথা বলে বুঝলেন, ছেলেটি বাঙালি।
সন্ধ্যায় অফিস থেকে সত্যজিৎ ফিরতেই সুখবর শোনালেন বিজয়া, ‘অপুকে পাওয়া গেছে।’ শুনে সত্যজিৎ তো অবাক! এত বিজ্ঞাপন দিয়ে যাকে পাওয়া গেল না, শেষে তার খোঁজ মিলল পাশের বাড়িতে! আবারও ছেলেটিকে ডেকে পাঠানো হলো। সুবীর ব্যানার্জিকে (ছেলেটির নাম) দেখে তৃপ্তির হাসি হাসলেন সত্যজিৎ। এর চেয়ে ভালো অপু আর কেউ হতে পারে না! এরপর দুর্গাকে পেতে বেশি বেগ পেতে হলো না। সত্যজিতের সহকারী আশিস বর্মণের মাধ্যমে পাওয়া গেল উমা দাশগুপ্তকে। সে–ই পথের পাঁচালীর দুর্গা।
শুরুতেই গোলমাল
প্রথম দিনের শুটিং। অপু–দুর্গাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা থেকে ৭০ মাইল দূরে বর্ধমানের কাছে পালসিট বলে একটা জায়গায়। সেখানে রেললাইনের ধারে কাশফুলে ভরা মাঠ। অপু–দুর্গার সেই বিখ্যাত কাশবনের ভেতরে ঘোরার দৃশ্য তোলা হবে। বেশ বড় দৃশ্য। তাই একদিনে হবে না, অন্তত দুই দিন লাগবে। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত অর্ধেক দৃশ্য তোলা হলো। প্রথম দিন শুটিংয়ের এক সপ্তাহ পর আবার একই জায়গায় শুটিং। কিন্তু লোকেশনে গিয়ে সবাই অবাক! সেই কাশবন আর নেই! স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাশফুল নাকি গরুর খাদ্য! এই এক সপ্তাহে সব কাশ খেয়ে গেছে ওরা। এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে সেখানে শুটিং করলে আর প্রথম দিনের শুটিংয়ের সঙ্গে মিলবে না। এ দৃশ্যের বাকি অংশ তাই তোলা হয় পরের বছরের শরৎকালে। তখন আবার নতুন কাশে মাঠ ভরে গেছে।
সাদা কাশ, কালো ধোঁয়া
এ শিডিউলে সেই বিখ্যাত ট্রেনের শটও নেওয়া হয়। ট্রেনের এত শট ছিল যে, একটা ট্রেনে কাজ হয়নি। পরপর তিনটি ট্রেন ব্যবহার করা হয়। কাছাকাছি স্টেশনে থাকতেন পথের পাঁচালী টিমের অনিল বাবু। ট্রেন এলে তিনি ড্রাইভারের পাশে বসে পড়তেন। কারণ ট্রেন শুটিং স্পটের কাছাকাছি এলেই বয়লারে কয়লা দিতে হবে। তা না হলে কালো ধোঁয়া বেরোবে না। সাদা কাশফুলের পাশে কালো ধোঁয়া না পেলে দৃশ্য জমবে কীভাবে!
একটি কুকুরের মৃত্যু
অপু–দুর্গার পোষা কুকুর ভুলো পথের পাঁচালী সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। গ্রাম থেকে একটি কুকুর জোগাড় করা হয়েছিল। সে বেশ মিশে গিয়েছিল সিনেমার ইউনিটের সঙ্গে। এক দৃশ্যে মা সর্বজয়া অপুকে ভাত খাওয়াচ্ছে। ভুলো দাওয়ায় বসে তা দেখছে। খাওয়ায় বিশেষ মন নেই অপুর। সে ব্যস্ত তীর–ধনুক নিয়ে। মা বুঝতে পারে, অপু আর খাবে না। পরের শটে দেখানো হবে সর্বজয়া বাকি ভাতটুকু আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেন। আর পোষা কুকুরটি গিয়ে সেই ভাত খেয়ে নেয়। কিন্তু এ শটটা সেদিন নেওয়া গেল না। দিনের আলো ফুরিয়ে গেল। সঙ্গে টাকাও। মাস ছয়েক পরে টাকা জোগাড় হলে আবার বোড়াল গ্রামে শুটিং করতে যান সত্যজিৎ। কিন্তু জানা গেল, এ ছয় মাসের মধ্যে কুকুরটি মারা গেছে! এখন কী হবে! খবর পাওয়া গেল, ভুলোর মতো দেখতে আরেকটি কুকুর আছে গ্রামে। পরে তাকে নিয়ে এসে দৃশ্যটি সম্পূর্ণ করা হয়।
ফাঁকি ধরতে পারেনি কেউ
চিনিবাস ময়রার কাছ থেকে মিষ্টি কেনার সামর্থ্য দুর্গা–অপুর নেই। তাই ময়রার পেছন ধাওয়া করে তারা যায় মুখুজ্যেদের বাড়ি। তারা বড়লোক, মিষ্টি কিনবেই, আর তা দেখেই অপু–দুর্গার আনন্দ। এ দৃশ্য খানিকটা তোলার পর অর্থাভাবে শুটিং কয়েক মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। পরেরবার শুটিং করতে গিয়ে জানা গেল, চিনিবাসের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন, তিনি আর বেঁচে নেই। বিপদে পড়লেন সত্যজিৎ। এখন কী উপায়! চিনিবাসের মতো দেখতে নাদুসনুদুস আরেকজনকে নিয়ে এসে শট নেওয়া হলো। সিনেমায় দেখা যায়, এক নম্বর চিনিবাস বাঁশবন থেকে বেরোলেন, আর পরের শটেই দু’নম্বর চিনিবাস ক্যামেরার দিকে পিঠ করে মুখুজ্যুদের বাড়ির ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেন। ‘একেই বলে শুটিং’ বইয়ে এ ঘটনার উল্লেখ করে সত্যজিৎ লিখেছেন, ‘পথের পাঁচালী ছবি অনেকে একাধিকবার দেখেছে। কিন্তু কেউ কোনো দিন আমাদের ফাঁকি ধরতে পেরেছে বলে শুনিনি।’
একটি বাস্তুসাপ
পথের পাঁচালী সিনেমায় যে বাড়িটিকে অপু–দুর্গাদের বাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছে, সেটি সত্যজিৎ রায় পেয়েছিলেন জীর্ণ জংলা অবস্থায়। সেটিকে কাজের উপযোগী করে নিতে তাঁদের সময় লেগেছিল প্রায় এক মাস। বাড়ির এক অংশে সার বাঁধা পাশাপাশি কয়েকটা ঘর ছিল, সেটা সিনেমায় দেখা যায়নি। ঘরগুলোতে শুটিংয়ের মালপত্র রাখা হতো। আর সাউন্ডের যন্ত্র নিয়ে এক ঘরে বসতেন ভূপেন বাবু। সত্যজিৎ রায় প্রতি শটের পর হাঁক দিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, ‘সাউন্ড ঠিক আছে তো?’ ভেতর থেকে জবাব দিতেন ভূপেন বাবু। একদিন শটের পর যথারীতি প্রশ্ন করলেন সত্যজিৎ। কোনো জবাব এল না। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থবারেও কোনো জবাব নেই। ঘরে ঢুকে সত্যজিৎ দেখলেন, একটি বিরাট গোখরো সাপ ঘরের পেছন দিকের জানালা দিয়ে ঢুকে মেঝেতে নামছে। কথা বন্ধ হয়ে গেছে ভূপেন বাবুর! এরপর সাপের ভয় নিয়েই পুরো শুটিং করতে হয়েছে তাঁদের। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সাপটিকে তারা মারতে পারেননি গ্রামবাসীদের নিষেধের কারণে। এটি নাকি বাস্তুসাপ। বহুদিন থেকে এই পোড়ো বাড়িতে বসবাস করছে!
তথ্যসূত্র:
একেই বলে শুটিং, সত্যজিৎ রায়
আমাদের কথা, বিজয়া রায়

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব। সত্যজিৎ তাঁর জীবনবিমার টাকা, নিজের আর্টবুক বিক্রি করে কিছু, আর নিকটতম বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে সিনেমার শুটিং শুরু করেন। অর্থাভাবে প্রায়ই কাজ বন্ধ থাকত। টাকা জোগাড় হলে তবেই আবার হতো শুটিং।
আজ সত্যজিৎ রায়ের প্রয়াণ দিবসে রইল তাঁর প্রথম সিনেমা তৈরির অন্তরালের কিছু ঘটনা।
মিলছে না অপুর খোঁজ
তত দিনে সত্যজিৎ রায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, তিনি সিনেমা বানাবেন। বিলেত থেকে ফেরার পথে জাহাজে বসেই লিখে ফেলেছেন ‘পথের পাঁচালী’র চিত্রনাট্য। এবার আসল কাজ, মানে শুটিংয়ে নামার পালা। ছুটির দিনে শিল্প নির্দেশক বংশীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন লোকেশনের খোঁজে। তা ছাড়া সত্যজিতের বেড়ে ওঠার সঙ্গে তো গ্রামের যোগাযোগ অতটা ছিল না। গ্রামীণ প্রকৃতি, পরিবেশ, জীবনযাপন অনেকটাই তাঁর জানার বাইরে ছিল। ফলে গ্রামকে আবিষ্কারের নেশায় তখন বুঁদ সত্যজিৎ। ভেতরে-ভেতরে একটা যুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন লোক যুক্ত হচ্ছেন টিমে। কিন্তু প্রধান দুই চরিত্র অপু আর দুর্গা কারা হবে, তা ঠিক হয়নি তখনো। খোঁজ চলছে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। শত শত শিশুর ইন্টারভিউ করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে মনে ধরছে না সত্যজিতের।
হঠাৎ নজর গেল একটি ছেলের দিকে
এক বিকেলে বাড়ির জানালায় হঠাৎ শিশুদের কলরব। সত্যজিতের স্ত্রী বিজয়া শাশুড়ির সঙ্গে গল্প করছিলেন। শিশুদের হইচই শুনে নিচে তাকালেন। কয়েকটি শিশু খেলা করছে। হঠাৎ তাঁর নজর গেল একটি ছেলের দিকে। ভারী সুন্দর ফুটফুটে চেহারা, বছর পাঁচ–ছয় হবে। ছেলেটিকে দেখে বিজয়ার মনে হয়, ‘আহা, এ রকম দেখতে ছেলের মতো যদি আমাদের অপুকে পাওয়া যেত!’ তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, ছেলেটি অবাঙালি। কারণ তাঁদের পাড়ায় তখন বেশির ভাগই দক্ষিণ ভারত আর উত্তর প্রদেশের লোক থাকত। তবুও বাড়ির কাজের মহিলাকে দিয়ে ডেকে পাঠালেন ছেলেটিকে। কথা বলে বুঝলেন, ছেলেটি বাঙালি।
সন্ধ্যায় অফিস থেকে সত্যজিৎ ফিরতেই সুখবর শোনালেন বিজয়া, ‘অপুকে পাওয়া গেছে।’ শুনে সত্যজিৎ তো অবাক! এত বিজ্ঞাপন দিয়ে যাকে পাওয়া গেল না, শেষে তার খোঁজ মিলল পাশের বাড়িতে! আবারও ছেলেটিকে ডেকে পাঠানো হলো। সুবীর ব্যানার্জিকে (ছেলেটির নাম) দেখে তৃপ্তির হাসি হাসলেন সত্যজিৎ। এর চেয়ে ভালো অপু আর কেউ হতে পারে না! এরপর দুর্গাকে পেতে বেশি বেগ পেতে হলো না। সত্যজিতের সহকারী আশিস বর্মণের মাধ্যমে পাওয়া গেল উমা দাশগুপ্তকে। সে–ই পথের পাঁচালীর দুর্গা।
শুরুতেই গোলমাল
প্রথম দিনের শুটিং। অপু–দুর্গাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতা থেকে ৭০ মাইল দূরে বর্ধমানের কাছে পালসিট বলে একটা জায়গায়। সেখানে রেললাইনের ধারে কাশফুলে ভরা মাঠ। অপু–দুর্গার সেই বিখ্যাত কাশবনের ভেতরে ঘোরার দৃশ্য তোলা হবে। বেশ বড় দৃশ্য। তাই একদিনে হবে না, অন্তত দুই দিন লাগবে। সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত অর্ধেক দৃশ্য তোলা হলো। প্রথম দিন শুটিংয়ের এক সপ্তাহ পর আবার একই জায়গায় শুটিং। কিন্তু লোকেশনে গিয়ে সবাই অবাক! সেই কাশবন আর নেই! স্থানীয় লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাশফুল নাকি গরুর খাদ্য! এই এক সপ্তাহে সব কাশ খেয়ে গেছে ওরা। এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে সেখানে শুটিং করলে আর প্রথম দিনের শুটিংয়ের সঙ্গে মিলবে না। এ দৃশ্যের বাকি অংশ তাই তোলা হয় পরের বছরের শরৎকালে। তখন আবার নতুন কাশে মাঠ ভরে গেছে।
সাদা কাশ, কালো ধোঁয়া
এ শিডিউলে সেই বিখ্যাত ট্রেনের শটও নেওয়া হয়। ট্রেনের এত শট ছিল যে, একটা ট্রেনে কাজ হয়নি। পরপর তিনটি ট্রেন ব্যবহার করা হয়। কাছাকাছি স্টেশনে থাকতেন পথের পাঁচালী টিমের অনিল বাবু। ট্রেন এলে তিনি ড্রাইভারের পাশে বসে পড়তেন। কারণ ট্রেন শুটিং স্পটের কাছাকাছি এলেই বয়লারে কয়লা দিতে হবে। তা না হলে কালো ধোঁয়া বেরোবে না। সাদা কাশফুলের পাশে কালো ধোঁয়া না পেলে দৃশ্য জমবে কীভাবে!
একটি কুকুরের মৃত্যু
অপু–দুর্গার পোষা কুকুর ভুলো পথের পাঁচালী সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। গ্রাম থেকে একটি কুকুর জোগাড় করা হয়েছিল। সে বেশ মিশে গিয়েছিল সিনেমার ইউনিটের সঙ্গে। এক দৃশ্যে মা সর্বজয়া অপুকে ভাত খাওয়াচ্ছে। ভুলো দাওয়ায় বসে তা দেখছে। খাওয়ায় বিশেষ মন নেই অপুর। সে ব্যস্ত তীর–ধনুক নিয়ে। মা বুঝতে পারে, অপু আর খাবে না। পরের শটে দেখানো হবে সর্বজয়া বাকি ভাতটুকু আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেন। আর পোষা কুকুরটি গিয়ে সেই ভাত খেয়ে নেয়। কিন্তু এ শটটা সেদিন নেওয়া গেল না। দিনের আলো ফুরিয়ে গেল। সঙ্গে টাকাও। মাস ছয়েক পরে টাকা জোগাড় হলে আবার বোড়াল গ্রামে শুটিং করতে যান সত্যজিৎ। কিন্তু জানা গেল, এ ছয় মাসের মধ্যে কুকুরটি মারা গেছে! এখন কী হবে! খবর পাওয়া গেল, ভুলোর মতো দেখতে আরেকটি কুকুর আছে গ্রামে। পরে তাকে নিয়ে এসে দৃশ্যটি সম্পূর্ণ করা হয়।
ফাঁকি ধরতে পারেনি কেউ
চিনিবাস ময়রার কাছ থেকে মিষ্টি কেনার সামর্থ্য দুর্গা–অপুর নেই। তাই ময়রার পেছন ধাওয়া করে তারা যায় মুখুজ্যেদের বাড়ি। তারা বড়লোক, মিষ্টি কিনবেই, আর তা দেখেই অপু–দুর্গার আনন্দ। এ দৃশ্য খানিকটা তোলার পর অর্থাভাবে শুটিং কয়েক মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। পরেরবার শুটিং করতে গিয়ে জানা গেল, চিনিবাসের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছেন, তিনি আর বেঁচে নেই। বিপদে পড়লেন সত্যজিৎ। এখন কী উপায়! চিনিবাসের মতো দেখতে নাদুসনুদুস আরেকজনকে নিয়ে এসে শট নেওয়া হলো। সিনেমায় দেখা যায়, এক নম্বর চিনিবাস বাঁশবন থেকে বেরোলেন, আর পরের শটেই দু’নম্বর চিনিবাস ক্যামেরার দিকে পিঠ করে মুখুজ্যুদের বাড়ির ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেন। ‘একেই বলে শুটিং’ বইয়ে এ ঘটনার উল্লেখ করে সত্যজিৎ লিখেছেন, ‘পথের পাঁচালী ছবি অনেকে একাধিকবার দেখেছে। কিন্তু কেউ কোনো দিন আমাদের ফাঁকি ধরতে পেরেছে বলে শুনিনি।’
একটি বাস্তুসাপ
পথের পাঁচালী সিনেমায় যে বাড়িটিকে অপু–দুর্গাদের বাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছে, সেটি সত্যজিৎ রায় পেয়েছিলেন জীর্ণ জংলা অবস্থায়। সেটিকে কাজের উপযোগী করে নিতে তাঁদের সময় লেগেছিল প্রায় এক মাস। বাড়ির এক অংশে সার বাঁধা পাশাপাশি কয়েকটা ঘর ছিল, সেটা সিনেমায় দেখা যায়নি। ঘরগুলোতে শুটিংয়ের মালপত্র রাখা হতো। আর সাউন্ডের যন্ত্র নিয়ে এক ঘরে বসতেন ভূপেন বাবু। সত্যজিৎ রায় প্রতি শটের পর হাঁক দিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, ‘সাউন্ড ঠিক আছে তো?’ ভেতর থেকে জবাব দিতেন ভূপেন বাবু। একদিন শটের পর যথারীতি প্রশ্ন করলেন সত্যজিৎ। কোনো জবাব এল না। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থবারেও কোনো জবাব নেই। ঘরে ঢুকে সত্যজিৎ দেখলেন, একটি বিরাট গোখরো সাপ ঘরের পেছন দিকের জানালা দিয়ে ঢুকে মেঝেতে নামছে। কথা বন্ধ হয়ে গেছে ভূপেন বাবুর! এরপর সাপের ভয় নিয়েই পুরো শুটিং করতে হয়েছে তাঁদের। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সাপটিকে তারা মারতে পারেননি গ্রামবাসীদের নিষেধের কারণে। এটি নাকি বাস্তুসাপ। বহুদিন থেকে এই পোড়ো বাড়িতে বসবাস করছে!
তথ্যসূত্র:
একেই বলে শুটিং, সত্যজিৎ রায়
আমাদের কথা, বিজয়া রায়

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
১৭ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১ দিন আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১ দিন আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা।
উৎসব শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন নাট্যতীর্থের দলপ্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে তীরন্দাজ রেপার্টারির প্রযোজনা দীপক সুমনের নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’।
আগামীকাল শনিবার মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন সামিনা লুৎফা নিত্রা। সম্মাননা পদক দেওয়া হবে অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে।
২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বাতিঘরের প্রযোজনা ‘প্যারাবোলা’, নির্দেশনায় মুক্তনীল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আফজাল হোসেন ও সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন শাহীন খান।
২২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বহুবচনের প্রযোজনা আরহাম আলো নির্দেশিত ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। এদিন সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন সামিউন জাহান দোলা।
২৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে নাট্যতীর্থের প্রযোজনা ‘জুলিয়াস সিজার’, নির্দেশনায় তপন হাফিজ। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বাপ্পাদিত্য চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের প্রযোজনা গোলাম সরোয়ার নির্দেশিত ‘ঘর জামাই’। সম্মাননা দেওয়া হবে খন্দকার সাইফুল ইসলাম নিপুকে।
২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। নির্দেশনা সুদীপ চক্রবর্তী। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন মাহফুজা হিলালী। নাটক প্রদর্শনীর আগে এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ‘প্রবীণের ঐতিহ্যালোকে নবীনের শিল্পযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার।
২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে নাট্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নাট্যতীর্থের কর্মীদের মধ্য নির্বাচিত নাট্যকর্মীকে দেওয়া হবে ‘নাট্যতীর্থ সর্বোচ্চ উপস্থিতি সম্মাননা পদক’। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা।
উৎসব শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন নাট্যতীর্থের দলপ্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে তীরন্দাজ রেপার্টারির প্রযোজনা দীপক সুমনের নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’।
আগামীকাল শনিবার মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন সামিনা লুৎফা নিত্রা। সম্মাননা পদক দেওয়া হবে অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে।
২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বাতিঘরের প্রযোজনা ‘প্যারাবোলা’, নির্দেশনায় মুক্তনীল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আফজাল হোসেন ও সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন শাহীন খান।
২২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বহুবচনের প্রযোজনা আরহাম আলো নির্দেশিত ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। এদিন সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন সামিউন জাহান দোলা।
২৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে নাট্যতীর্থের প্রযোজনা ‘জুলিয়াস সিজার’, নির্দেশনায় তপন হাফিজ। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বাপ্পাদিত্য চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের প্রযোজনা গোলাম সরোয়ার নির্দেশিত ‘ঘর জামাই’। সম্মাননা দেওয়া হবে খন্দকার সাইফুল ইসলাম নিপুকে।
২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। নির্দেশনা সুদীপ চক্রবর্তী। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন মাহফুজা হিলালী। নাটক প্রদর্শনীর আগে এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ‘প্রবীণের ঐতিহ্যালোকে নবীনের শিল্পযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার।
২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে নাট্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নাট্যতীর্থের কর্মীদের মধ্য নির্বাচিত নাট্যকর্মীকে দেওয়া হবে ‘নাট্যতীর্থ সর্বোচ্চ উপস্থিতি সম্মাননা পদক’। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব।
২৩ এপ্রিল ২০২৪
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১ দিন আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১ দিন আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’
প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।
২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’
রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।
টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’
প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।
২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’
রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।
টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব।
২৩ এপ্রিল ২০২৪
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
১৭ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১ দিন আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।
গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।
আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।
গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।
আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব।
২৩ এপ্রিল ২০২৪
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
১৭ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১ দিন আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ দিন আগেপ্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক

সাবা (বাংলা সিনেমা)
রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)
মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)
এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)
থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

সাবা (বাংলা সিনেমা)
রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)
মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)
এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)
থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

‘পথের পাঁচালী’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল আড়াই বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে রোজ যে শুটিং হয়েছে, তা নয়। তখনো সত্যজিৎ রায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অধিকাংশ শুটিং হতো ছুটির দিনে বা অফিস থেকে ছুটি নিয়ে। এর সঙ্গে ছিল অর্থাভাব।
২৩ এপ্রিল ২০২৪
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
১৭ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১ দিন আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১ দিন আগে