জাহীদ রেজা নূর

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্যসীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। মন্ত্রী থাকলেন পথে, শুরু হয়ে গেল পরিচিতি অনুষ্ঠান। সিনেমাতেই রয়েছে যে ইংরেজি গানটি, সেটি নাসিম আলী খান পরিবেশন করলেন সবার আগে। মিলনায়তনের প্রায় নিবে যাওয়া রহস্যময় আলো-আঁধারিতে কানে বাজতে লাগল নাসিম আলী খানের গান।
‘জে কে ১৯৭১’ ছবির পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান পরিচয় করিয়ে দিলেন কলাকুশলীদের সঙ্গে। তাঁদের কেউ কেউ যখন কথা বলছেন, তখন উপস্থিত হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বুঝলেন, সময়ক্ষেপণ করা ঠিক হবে না। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে সিনেমাটি দেখার সুযোগ করে দিলেন। ফলে ট্রেন চলল কু ঝিকঝিক। ছবি শুরু হতে দেরি হলো না।
ফাখরুলের যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তা হলো পরিমিতিবোধ। অযথা সংলাপের বাড়াবাড়ি কিংবা দৃশ্যায়নে নাটকীয়তা সৃষ্টির কোনো প্রয়াস দেখি না ওর মধ্যে। যা সাবলীল, যা চোখ এবং কানকে আরাম দেয় কিংবা কষ্ট দেয়, সে রকম ঘটনারই প্রকাশ দেখা গেল ছবিটায়।
জে কে ১৯৭১ ছবিটি শুরু হওয়ার পরই মনে হলো, নানা স্তরের মুক্তিযুদ্ধের একটি স্তর নিয়ে সযতনে যে কাজটি করেছেন ফাখরুল, সে জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানানো দরকার। অনেকেই এখন জানেন, বোঝেন, বাংলার মুক্তিসংগ্রাম তো কেবল ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধ ছিল না, যেখানে অস্ত্র হাতে দুই দল সৈন্য সামনাসামনি হয়েছে। বহু যুগ আগে থেকে শুরু হওয়া মুক্তিসংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি স্বাধীনতাযুদ্ধে। এবং এই যুদ্ধ নানাভাবে করেছে এ দেশেরই মানুষ। কেউ লিখে, কেউ এঁকে, কেউ গান গেয়ে, কেউ ফুটবল খেলে, কেউ রোগীর সেবা করে, কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে, কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করে স্বাধীনতার রসদ জোগান দিয়েছেন। সেটা যে শুধুই বঙ্গদেশের নাগরিকেরা করেছেন তা নয়; বিদেশ-বিভুঁইয়ের অনেকেই বাংলা নামের দেশটির সঙ্গে প্রাণের যুক্ততা অনুভব করেছেন।
আর হ্যাঁ, একটি প্রবল গণযুদ্ধকে শুধু জেনারেলদের সমরকাহিনি বলে চালালেও বিপদ আছে। তাহলে সত্য ইতিহাসটি ভুল দিকে রওনা করতে পারে। ইতিহাসকে ঠিক পথে রাখার জন্য যে প্রয়াসগুলো নিতে হয়, তা নিতে হয় বুঝেশুনেই। আমাদের দেশে একাত্তর নিয়ে যে এখনো বড় মাপের কোনো কাজ হলো না, তার একটা কারণ তো একাত্তরকে ঠিকভাবে বুকে ধারণ করতে না পারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে যে সিনেমাগুলো হয়েছে, সেগুলোর দিকে চোখ রাখলেও এই সত্য ধরা পড়ে। যুদ্ধ আছে ছবিতে, কিন্তু মানুষের কাহিনিই সেখানে বিবৃত হয়েছে যথার্থভাবে। ‘ক্রেইনস আর ফ্লাইং’ কিংবা ‘ব্যালাড অব এ সোলজার’ ছবি দুটির দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, যুদ্ধের ভয়াবহতা অগ্রাহ্য করে কীভাবে জয়ী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তেমনি একজন মানুষের গল্প শোনালেন ফাখরুল আরেফীন খান। ফরাসি এই যুবক তাঁর প্রাণের বিশালতা এবং শিশুদের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা থেকে যে কাজটি করেছিলেন, তারই চলচ্চিত্ররূপ দেখা গেল ফাখরুলে।
ফাখরুল ছবিতে নাটকীয়তা বর্জন করেছেন। আবহ সংগীত ব্যবহারেও ছিলেন সংযত। কখনো কখনো মনে হচ্ছিল একটু নাটকীয় হলে ক্ষতি কী ছিল? হলিউডি ছবির মতো হঠাৎ করে সৃষ্টিছাড়া শব্দের জন্ম হলেই বা কী ক্ষতি ছিল? ছুরি হাতে এয়ারহোস্টেজ যখন জেকেকে হত্যা করার জন্য এগিয়ে আসে, তখন অভিনয়ে কিংবা আবহসংগীতে কি আরেকটু চাঞ্চল্য আনা যেত? কিংবা শেষ দিকে কমান্ডোরা যখন ঢুকছে, তখন কি আরেকটু টানটান হতে পারত দৃশ্যটি? তা নিয়ে বোদ্ধামহলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু আমরা যারা খোলা মন নিয়ে ছবি দেখতে যাই, যারা সমালোচনা করার যোগ্য নই, তারা ওই সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে রাজি থাকি।
ছবিটি কেবল সিনেমা হলে এসেছে, এখন কাহিনি নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। তাতে দর্শক-শ্রোতা কাহিনি জেনে নেওয়ায় হলে গিয়ে ছবি দেখতে নিরুৎসাহিত হতে পারেন। তাই অন্য কথা বলি। ফাখরুল যখন থেকে ছবি করছেন, তখন থেকেই তাঁর ভাবনার দিকটি স্বচ্ছ ছিল। সে লালনের আখড়া হোক, আর হোক আলবদরের কাহিনি, সে ভুবনমাঝি হোক, আর জেকে ১৯৭১ হোক, সবখানেই ওর বলার উদ্দেশ্যটি পরিষ্কার। আরেফীনের ছবিগুলোয় একধরনের শিকড়ের প্রতি ভালোবাসা দৃশ্যমান। কিংবা একটু ভিন্নধারায় যে ‘গণ্ডি’ ছবিটি তিনি করেছেন, তাতেও প্রকাশ পায় তাঁর পরিমিতি।
আর যেটা ভালো লাগে, তা হলো আমাদের উচ্চকিত সংস্কৃতি জগৎটায় প্রায় সবাই যখন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সাংবাদিক ভজাচ্ছেন, উচ্চবিত্ত মানুষকে তোয়াজ করছেন, রাজনৈতিক প্রভু খুঁজছেন, তখন ফাখরুল নিজের পছন্দের একটা বিষয় নিয়ে বুঁদ হচ্ছেন সৃষ্টির আনন্দে।
অভিনয়ে সবাই উতরে গেছেন। তবে যে ফরাসিরা হাইজ্যাকের মতো একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামাল দিচ্ছিলেন, তাঁদের দেহভাষায় আরেকটু উত্তাপ থাকতে পারত। আর জেকে যখন ফরাসিতে দীর্ঘ দীর্ঘ কথা বলছিলেন, তখন দোভাষী ভদ্রলোক (ইন্দ্রজিৎ যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন) একেবারে মুখস্থের মতো তা ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন, সেটা একটু অস্বস্তি আনছিল মনে। বাক্যগুলো আলাদা আলাদা বলা হলে তা মনে রেখে অনুবাদ করা যায়। কিন্তু একবারে বলা কথাগুলো একেবারে ঠিক ঠিক অনুবাদ করা দুরূহ!
বলতে হবে, ফাখরুলের এই সিনেমা স্বস্তি এনে দেয় মনে, আরাম এনে দেয়। বহু দূরদেশের একজন তরুণ তেপান্তরের মাঠ পেরোনো আর এক দেশের শিশুদের বাঁচাতে খালি হাতে প্লেন হাইজ্যাক করছেন, এই অসামান্য ঘটনাটি সংরক্ষণ করা হলো, এ বড় আনন্দ সংবাদ।
ফাখরুলের ক্যামেরা ঠিক বিষয়টিকে উঠিয়ে আনে। পরিমিতিবোধের কথা তো আগেই বলা হলো। ইদানীং বাংলাদেশে চলচ্চিত্রে নতুন একটা ঢেউ এসেছে সত্যি। ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, ‘হাওয়া. ’ ‘পরান’, ‘দামাল’ ছবিগুলো প্রতিশ্রুতিশীল। ফাখরুল আরেফীন খানের ‘জেকে ১৯৭১’ তারই ধারাবাহিকতা শুধু নয়, আরও কিছু।
ছবিতে ‘জঁ কুয়ে’র ভূমিকায় যে ছেলেটি অভিনয় করেছেন, তিনি নিজেকে ফরাসি যুবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। হ্যাঁ, সৌরভ শুভ্র দাশকে জঁ কুয়ে ভাবতে একেবারেই কষ্ট হয়নি।
শেষ দৃশ্যটি মনে কেন আরাম দেয় সেটা বুঝতে হলে তো যেতে হবে সিনেমা হলে। সে এক অন্য অভিজ্ঞতা।
ফাখরুল চলচ্চিত্রকার হতে চাননি। তিনি বলেছেন, এই জগতে আসা তাঁর জন্য একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু এ রকম দুর্ঘটনা আমাদের সংস্কৃতিজগতের জন্য ভালো। প্রাণদায়ী। এই দুর্ঘটনা আমাদের ভালো কিছুর সামনে নিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতেও আনবে, এই ভাবনা স্বস্তি দেয়।

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্যসীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। মন্ত্রী থাকলেন পথে, শুরু হয়ে গেল পরিচিতি অনুষ্ঠান। সিনেমাতেই রয়েছে যে ইংরেজি গানটি, সেটি নাসিম আলী খান পরিবেশন করলেন সবার আগে। মিলনায়তনের প্রায় নিবে যাওয়া রহস্যময় আলো-আঁধারিতে কানে বাজতে লাগল নাসিম আলী খানের গান।
‘জে কে ১৯৭১’ ছবির পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান পরিচয় করিয়ে দিলেন কলাকুশলীদের সঙ্গে। তাঁদের কেউ কেউ যখন কথা বলছেন, তখন উপস্থিত হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বুঝলেন, সময়ক্ষেপণ করা ঠিক হবে না। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে সিনেমাটি দেখার সুযোগ করে দিলেন। ফলে ট্রেন চলল কু ঝিকঝিক। ছবি শুরু হতে দেরি হলো না।
ফাখরুলের যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তা হলো পরিমিতিবোধ। অযথা সংলাপের বাড়াবাড়ি কিংবা দৃশ্যায়নে নাটকীয়তা সৃষ্টির কোনো প্রয়াস দেখি না ওর মধ্যে। যা সাবলীল, যা চোখ এবং কানকে আরাম দেয় কিংবা কষ্ট দেয়, সে রকম ঘটনারই প্রকাশ দেখা গেল ছবিটায়।
জে কে ১৯৭১ ছবিটি শুরু হওয়ার পরই মনে হলো, নানা স্তরের মুক্তিযুদ্ধের একটি স্তর নিয়ে সযতনে যে কাজটি করেছেন ফাখরুল, সে জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানানো দরকার। অনেকেই এখন জানেন, বোঝেন, বাংলার মুক্তিসংগ্রাম তো কেবল ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধ ছিল না, যেখানে অস্ত্র হাতে দুই দল সৈন্য সামনাসামনি হয়েছে। বহু যুগ আগে থেকে শুরু হওয়া মুক্তিসংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি স্বাধীনতাযুদ্ধে। এবং এই যুদ্ধ নানাভাবে করেছে এ দেশেরই মানুষ। কেউ লিখে, কেউ এঁকে, কেউ গান গেয়ে, কেউ ফুটবল খেলে, কেউ রোগীর সেবা করে, কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে, কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করে স্বাধীনতার রসদ জোগান দিয়েছেন। সেটা যে শুধুই বঙ্গদেশের নাগরিকেরা করেছেন তা নয়; বিদেশ-বিভুঁইয়ের অনেকেই বাংলা নামের দেশটির সঙ্গে প্রাণের যুক্ততা অনুভব করেছেন।
আর হ্যাঁ, একটি প্রবল গণযুদ্ধকে শুধু জেনারেলদের সমরকাহিনি বলে চালালেও বিপদ আছে। তাহলে সত্য ইতিহাসটি ভুল দিকে রওনা করতে পারে। ইতিহাসকে ঠিক পথে রাখার জন্য যে প্রয়াসগুলো নিতে হয়, তা নিতে হয় বুঝেশুনেই। আমাদের দেশে একাত্তর নিয়ে যে এখনো বড় মাপের কোনো কাজ হলো না, তার একটা কারণ তো একাত্তরকে ঠিকভাবে বুকে ধারণ করতে না পারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে যে সিনেমাগুলো হয়েছে, সেগুলোর দিকে চোখ রাখলেও এই সত্য ধরা পড়ে। যুদ্ধ আছে ছবিতে, কিন্তু মানুষের কাহিনিই সেখানে বিবৃত হয়েছে যথার্থভাবে। ‘ক্রেইনস আর ফ্লাইং’ কিংবা ‘ব্যালাড অব এ সোলজার’ ছবি দুটির দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, যুদ্ধের ভয়াবহতা অগ্রাহ্য করে কীভাবে জয়ী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তেমনি একজন মানুষের গল্প শোনালেন ফাখরুল আরেফীন খান। ফরাসি এই যুবক তাঁর প্রাণের বিশালতা এবং শিশুদের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা থেকে যে কাজটি করেছিলেন, তারই চলচ্চিত্ররূপ দেখা গেল ফাখরুলে।
ফাখরুল ছবিতে নাটকীয়তা বর্জন করেছেন। আবহ সংগীত ব্যবহারেও ছিলেন সংযত। কখনো কখনো মনে হচ্ছিল একটু নাটকীয় হলে ক্ষতি কী ছিল? হলিউডি ছবির মতো হঠাৎ করে সৃষ্টিছাড়া শব্দের জন্ম হলেই বা কী ক্ষতি ছিল? ছুরি হাতে এয়ারহোস্টেজ যখন জেকেকে হত্যা করার জন্য এগিয়ে আসে, তখন অভিনয়ে কিংবা আবহসংগীতে কি আরেকটু চাঞ্চল্য আনা যেত? কিংবা শেষ দিকে কমান্ডোরা যখন ঢুকছে, তখন কি আরেকটু টানটান হতে পারত দৃশ্যটি? তা নিয়ে বোদ্ধামহলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু আমরা যারা খোলা মন নিয়ে ছবি দেখতে যাই, যারা সমালোচনা করার যোগ্য নই, তারা ওই সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে রাজি থাকি।
ছবিটি কেবল সিনেমা হলে এসেছে, এখন কাহিনি নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। তাতে দর্শক-শ্রোতা কাহিনি জেনে নেওয়ায় হলে গিয়ে ছবি দেখতে নিরুৎসাহিত হতে পারেন। তাই অন্য কথা বলি। ফাখরুল যখন থেকে ছবি করছেন, তখন থেকেই তাঁর ভাবনার দিকটি স্বচ্ছ ছিল। সে লালনের আখড়া হোক, আর হোক আলবদরের কাহিনি, সে ভুবনমাঝি হোক, আর জেকে ১৯৭১ হোক, সবখানেই ওর বলার উদ্দেশ্যটি পরিষ্কার। আরেফীনের ছবিগুলোয় একধরনের শিকড়ের প্রতি ভালোবাসা দৃশ্যমান। কিংবা একটু ভিন্নধারায় যে ‘গণ্ডি’ ছবিটি তিনি করেছেন, তাতেও প্রকাশ পায় তাঁর পরিমিতি।
আর যেটা ভালো লাগে, তা হলো আমাদের উচ্চকিত সংস্কৃতি জগৎটায় প্রায় সবাই যখন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সাংবাদিক ভজাচ্ছেন, উচ্চবিত্ত মানুষকে তোয়াজ করছেন, রাজনৈতিক প্রভু খুঁজছেন, তখন ফাখরুল নিজের পছন্দের একটা বিষয় নিয়ে বুঁদ হচ্ছেন সৃষ্টির আনন্দে।
অভিনয়ে সবাই উতরে গেছেন। তবে যে ফরাসিরা হাইজ্যাকের মতো একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামাল দিচ্ছিলেন, তাঁদের দেহভাষায় আরেকটু উত্তাপ থাকতে পারত। আর জেকে যখন ফরাসিতে দীর্ঘ দীর্ঘ কথা বলছিলেন, তখন দোভাষী ভদ্রলোক (ইন্দ্রজিৎ যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন) একেবারে মুখস্থের মতো তা ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন, সেটা একটু অস্বস্তি আনছিল মনে। বাক্যগুলো আলাদা আলাদা বলা হলে তা মনে রেখে অনুবাদ করা যায়। কিন্তু একবারে বলা কথাগুলো একেবারে ঠিক ঠিক অনুবাদ করা দুরূহ!
বলতে হবে, ফাখরুলের এই সিনেমা স্বস্তি এনে দেয় মনে, আরাম এনে দেয়। বহু দূরদেশের একজন তরুণ তেপান্তরের মাঠ পেরোনো আর এক দেশের শিশুদের বাঁচাতে খালি হাতে প্লেন হাইজ্যাক করছেন, এই অসামান্য ঘটনাটি সংরক্ষণ করা হলো, এ বড় আনন্দ সংবাদ।
ফাখরুলের ক্যামেরা ঠিক বিষয়টিকে উঠিয়ে আনে। পরিমিতিবোধের কথা তো আগেই বলা হলো। ইদানীং বাংলাদেশে চলচ্চিত্রে নতুন একটা ঢেউ এসেছে সত্যি। ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, ‘হাওয়া. ’ ‘পরান’, ‘দামাল’ ছবিগুলো প্রতিশ্রুতিশীল। ফাখরুল আরেফীন খানের ‘জেকে ১৯৭১’ তারই ধারাবাহিকতা শুধু নয়, আরও কিছু।
ছবিতে ‘জঁ কুয়ে’র ভূমিকায় যে ছেলেটি অভিনয় করেছেন, তিনি নিজেকে ফরাসি যুবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। হ্যাঁ, সৌরভ শুভ্র দাশকে জঁ কুয়ে ভাবতে একেবারেই কষ্ট হয়নি।
শেষ দৃশ্যটি মনে কেন আরাম দেয় সেটা বুঝতে হলে তো যেতে হবে সিনেমা হলে। সে এক অন্য অভিজ্ঞতা।
ফাখরুল চলচ্চিত্রকার হতে চাননি। তিনি বলেছেন, এই জগতে আসা তাঁর জন্য একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু এ রকম দুর্ঘটনা আমাদের সংস্কৃতিজগতের জন্য ভালো। প্রাণদায়ী। এই দুর্ঘটনা আমাদের ভালো কিছুর সামনে নিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতেও আনবে, এই ভাবনা স্বস্তি দেয়।

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৯ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৪ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা।
উৎসব শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন নাট্যতীর্থের দলপ্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে তীরন্দাজ রেপার্টারির প্রযোজনা দীপক সুমনের নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’।
আগামীকাল শনিবার মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন সামিনা লুৎফা নিত্রা। সম্মাননা পদক দেওয়া হবে অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে।
২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বাতিঘরের প্রযোজনা ‘প্যারাবোলা’, নির্দেশনায় মুক্তনীল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আফজাল হোসেন ও সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন শাহীন খান।
২২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বহুবচনের প্রযোজনা আরহাম আলো নির্দেশিত ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। এদিন সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন সামিউন জাহান দোলা।
২৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে নাট্যতীর্থের প্রযোজনা ‘জুলিয়াস সিজার’, নির্দেশনায় তপন হাফিজ। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বাপ্পাদিত্য চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের প্রযোজনা গোলাম সরোয়ার নির্দেশিত ‘ঘর জামাই’। সম্মাননা দেওয়া হবে খন্দকার সাইফুল ইসলাম নিপুকে।
২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। নির্দেশনা সুদীপ চক্রবর্তী। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন মাহফুজা হিলালী। নাটক প্রদর্শনীর আগে এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ‘প্রবীণের ঐতিহ্যালোকে নবীনের শিল্পযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার।
২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে নাট্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নাট্যতীর্থের কর্মীদের মধ্য নির্বাচিত নাট্যকর্মীকে দেওয়া হবে ‘নাট্যতীর্থ সর্বোচ্চ উপস্থিতি সম্মাননা পদক’। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা।
উৎসব শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন নাট্যতীর্থের দলপ্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে তীরন্দাজ রেপার্টারির প্রযোজনা দীপক সুমনের নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’।
আগামীকাল শনিবার মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন সামিনা লুৎফা নিত্রা। সম্মাননা পদক দেওয়া হবে অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে।
২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বাতিঘরের প্রযোজনা ‘প্যারাবোলা’, নির্দেশনায় মুক্তনীল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আফজাল হোসেন ও সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন শাহীন খান।
২২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বহুবচনের প্রযোজনা আরহাম আলো নির্দেশিত ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। এদিন সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন সামিউন জাহান দোলা।
২৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে নাট্যতীর্থের প্রযোজনা ‘জুলিয়াস সিজার’, নির্দেশনায় তপন হাফিজ। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বাপ্পাদিত্য চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের প্রযোজনা গোলাম সরোয়ার নির্দেশিত ‘ঘর জামাই’। সম্মাননা দেওয়া হবে খন্দকার সাইফুল ইসলাম নিপুকে।
২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। নির্দেশনা সুদীপ চক্রবর্তী। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন মাহফুজা হিলালী। নাটক প্রদর্শনীর আগে এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ‘প্রবীণের ঐতিহ্যালোকে নবীনের শিল্পযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার।
২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে নাট্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নাট্যতীর্থের কর্মীদের মধ্য নির্বাচিত নাট্যকর্মীকে দেওয়া হবে ‘নাট্যতীর্থ সর্বোচ্চ উপস্থিতি সম্মাননা পদক’। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৪ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’
প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।
২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’
রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।
টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’
প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।
২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’
রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।
টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৯ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।
গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।
আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।
গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।
আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৯ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৫ ঘণ্টা আগেপ্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক

সাবা (বাংলা সিনেমা)
রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)
মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)
এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)
থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

সাবা (বাংলা সিনেমা)
রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)
মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)
এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)
থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
৯ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৪ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৪ ঘণ্টা আগে