জাহীদ রেজা নূর

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্যসীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। মন্ত্রী থাকলেন পথে, শুরু হয়ে গেল পরিচিতি অনুষ্ঠান। সিনেমাতেই রয়েছে যে ইংরেজি গানটি, সেটি নাসিম আলী খান পরিবেশন করলেন সবার আগে। মিলনায়তনের প্রায় নিবে যাওয়া রহস্যময় আলো-আঁধারিতে কানে বাজতে লাগল নাসিম আলী খানের গান।
‘জে কে ১৯৭১’ ছবির পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান পরিচয় করিয়ে দিলেন কলাকুশলীদের সঙ্গে। তাঁদের কেউ কেউ যখন কথা বলছেন, তখন উপস্থিত হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বুঝলেন, সময়ক্ষেপণ করা ঠিক হবে না। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে সিনেমাটি দেখার সুযোগ করে দিলেন। ফলে ট্রেন চলল কু ঝিকঝিক। ছবি শুরু হতে দেরি হলো না।
ফাখরুলের যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তা হলো পরিমিতিবোধ। অযথা সংলাপের বাড়াবাড়ি কিংবা দৃশ্যায়নে নাটকীয়তা সৃষ্টির কোনো প্রয়াস দেখি না ওর মধ্যে। যা সাবলীল, যা চোখ এবং কানকে আরাম দেয় কিংবা কষ্ট দেয়, সে রকম ঘটনারই প্রকাশ দেখা গেল ছবিটায়।
জে কে ১৯৭১ ছবিটি শুরু হওয়ার পরই মনে হলো, নানা স্তরের মুক্তিযুদ্ধের একটি স্তর নিয়ে সযতনে যে কাজটি করেছেন ফাখরুল, সে জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানানো দরকার। অনেকেই এখন জানেন, বোঝেন, বাংলার মুক্তিসংগ্রাম তো কেবল ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধ ছিল না, যেখানে অস্ত্র হাতে দুই দল সৈন্য সামনাসামনি হয়েছে। বহু যুগ আগে থেকে শুরু হওয়া মুক্তিসংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি স্বাধীনতাযুদ্ধে। এবং এই যুদ্ধ নানাভাবে করেছে এ দেশেরই মানুষ। কেউ লিখে, কেউ এঁকে, কেউ গান গেয়ে, কেউ ফুটবল খেলে, কেউ রোগীর সেবা করে, কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে, কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করে স্বাধীনতার রসদ জোগান দিয়েছেন। সেটা যে শুধুই বঙ্গদেশের নাগরিকেরা করেছেন তা নয়; বিদেশ-বিভুঁইয়ের অনেকেই বাংলা নামের দেশটির সঙ্গে প্রাণের যুক্ততা অনুভব করেছেন।
আর হ্যাঁ, একটি প্রবল গণযুদ্ধকে শুধু জেনারেলদের সমরকাহিনি বলে চালালেও বিপদ আছে। তাহলে সত্য ইতিহাসটি ভুল দিকে রওনা করতে পারে। ইতিহাসকে ঠিক পথে রাখার জন্য যে প্রয়াসগুলো নিতে হয়, তা নিতে হয় বুঝেশুনেই। আমাদের দেশে একাত্তর নিয়ে যে এখনো বড় মাপের কোনো কাজ হলো না, তার একটা কারণ তো একাত্তরকে ঠিকভাবে বুকে ধারণ করতে না পারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে যে সিনেমাগুলো হয়েছে, সেগুলোর দিকে চোখ রাখলেও এই সত্য ধরা পড়ে। যুদ্ধ আছে ছবিতে, কিন্তু মানুষের কাহিনিই সেখানে বিবৃত হয়েছে যথার্থভাবে। ‘ক্রেইনস আর ফ্লাইং’ কিংবা ‘ব্যালাড অব এ সোলজার’ ছবি দুটির দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, যুদ্ধের ভয়াবহতা অগ্রাহ্য করে কীভাবে জয়ী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তেমনি একজন মানুষের গল্প শোনালেন ফাখরুল আরেফীন খান। ফরাসি এই যুবক তাঁর প্রাণের বিশালতা এবং শিশুদের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা থেকে যে কাজটি করেছিলেন, তারই চলচ্চিত্ররূপ দেখা গেল ফাখরুলে।
ফাখরুল ছবিতে নাটকীয়তা বর্জন করেছেন। আবহ সংগীত ব্যবহারেও ছিলেন সংযত। কখনো কখনো মনে হচ্ছিল একটু নাটকীয় হলে ক্ষতি কী ছিল? হলিউডি ছবির মতো হঠাৎ করে সৃষ্টিছাড়া শব্দের জন্ম হলেই বা কী ক্ষতি ছিল? ছুরি হাতে এয়ারহোস্টেজ যখন জেকেকে হত্যা করার জন্য এগিয়ে আসে, তখন অভিনয়ে কিংবা আবহসংগীতে কি আরেকটু চাঞ্চল্য আনা যেত? কিংবা শেষ দিকে কমান্ডোরা যখন ঢুকছে, তখন কি আরেকটু টানটান হতে পারত দৃশ্যটি? তা নিয়ে বোদ্ধামহলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু আমরা যারা খোলা মন নিয়ে ছবি দেখতে যাই, যারা সমালোচনা করার যোগ্য নই, তারা ওই সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে রাজি থাকি।
ছবিটি কেবল সিনেমা হলে এসেছে, এখন কাহিনি নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। তাতে দর্শক-শ্রোতা কাহিনি জেনে নেওয়ায় হলে গিয়ে ছবি দেখতে নিরুৎসাহিত হতে পারেন। তাই অন্য কথা বলি। ফাখরুল যখন থেকে ছবি করছেন, তখন থেকেই তাঁর ভাবনার দিকটি স্বচ্ছ ছিল। সে লালনের আখড়া হোক, আর হোক আলবদরের কাহিনি, সে ভুবনমাঝি হোক, আর জেকে ১৯৭১ হোক, সবখানেই ওর বলার উদ্দেশ্যটি পরিষ্কার। আরেফীনের ছবিগুলোয় একধরনের শিকড়ের প্রতি ভালোবাসা দৃশ্যমান। কিংবা একটু ভিন্নধারায় যে ‘গণ্ডি’ ছবিটি তিনি করেছেন, তাতেও প্রকাশ পায় তাঁর পরিমিতি।
আর যেটা ভালো লাগে, তা হলো আমাদের উচ্চকিত সংস্কৃতি জগৎটায় প্রায় সবাই যখন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সাংবাদিক ভজাচ্ছেন, উচ্চবিত্ত মানুষকে তোয়াজ করছেন, রাজনৈতিক প্রভু খুঁজছেন, তখন ফাখরুল নিজের পছন্দের একটা বিষয় নিয়ে বুঁদ হচ্ছেন সৃষ্টির আনন্দে।
অভিনয়ে সবাই উতরে গেছেন। তবে যে ফরাসিরা হাইজ্যাকের মতো একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামাল দিচ্ছিলেন, তাঁদের দেহভাষায় আরেকটু উত্তাপ থাকতে পারত। আর জেকে যখন ফরাসিতে দীর্ঘ দীর্ঘ কথা বলছিলেন, তখন দোভাষী ভদ্রলোক (ইন্দ্রজিৎ যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন) একেবারে মুখস্থের মতো তা ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন, সেটা একটু অস্বস্তি আনছিল মনে। বাক্যগুলো আলাদা আলাদা বলা হলে তা মনে রেখে অনুবাদ করা যায়। কিন্তু একবারে বলা কথাগুলো একেবারে ঠিক ঠিক অনুবাদ করা দুরূহ!
বলতে হবে, ফাখরুলের এই সিনেমা স্বস্তি এনে দেয় মনে, আরাম এনে দেয়। বহু দূরদেশের একজন তরুণ তেপান্তরের মাঠ পেরোনো আর এক দেশের শিশুদের বাঁচাতে খালি হাতে প্লেন হাইজ্যাক করছেন, এই অসামান্য ঘটনাটি সংরক্ষণ করা হলো, এ বড় আনন্দ সংবাদ।
ফাখরুলের ক্যামেরা ঠিক বিষয়টিকে উঠিয়ে আনে। পরিমিতিবোধের কথা তো আগেই বলা হলো। ইদানীং বাংলাদেশে চলচ্চিত্রে নতুন একটা ঢেউ এসেছে সত্যি। ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, ‘হাওয়া. ’ ‘পরান’, ‘দামাল’ ছবিগুলো প্রতিশ্রুতিশীল। ফাখরুল আরেফীন খানের ‘জেকে ১৯৭১’ তারই ধারাবাহিকতা শুধু নয়, আরও কিছু।
ছবিতে ‘জঁ কুয়ে’র ভূমিকায় যে ছেলেটি অভিনয় করেছেন, তিনি নিজেকে ফরাসি যুবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। হ্যাঁ, সৌরভ শুভ্র দাশকে জঁ কুয়ে ভাবতে একেবারেই কষ্ট হয়নি।
শেষ দৃশ্যটি মনে কেন আরাম দেয় সেটা বুঝতে হলে তো যেতে হবে সিনেমা হলে। সে এক অন্য অভিজ্ঞতা।
ফাখরুল চলচ্চিত্রকার হতে চাননি। তিনি বলেছেন, এই জগতে আসা তাঁর জন্য একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু এ রকম দুর্ঘটনা আমাদের সংস্কৃতিজগতের জন্য ভালো। প্রাণদায়ী। এই দুর্ঘটনা আমাদের ভালো কিছুর সামনে নিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতেও আনবে, এই ভাবনা স্বস্তি দেয়।

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্যসীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। মন্ত্রী থাকলেন পথে, শুরু হয়ে গেল পরিচিতি অনুষ্ঠান। সিনেমাতেই রয়েছে যে ইংরেজি গানটি, সেটি নাসিম আলী খান পরিবেশন করলেন সবার আগে। মিলনায়তনের প্রায় নিবে যাওয়া রহস্যময় আলো-আঁধারিতে কানে বাজতে লাগল নাসিম আলী খানের গান।
‘জে কে ১৯৭১’ ছবির পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান পরিচয় করিয়ে দিলেন কলাকুশলীদের সঙ্গে। তাঁদের কেউ কেউ যখন কথা বলছেন, তখন উপস্থিত হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বুঝলেন, সময়ক্ষেপণ করা ঠিক হবে না। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষ করে সিনেমাটি দেখার সুযোগ করে দিলেন। ফলে ট্রেন চলল কু ঝিকঝিক। ছবি শুরু হতে দেরি হলো না।
ফাখরুলের যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে ভালো লাগে তা হলো পরিমিতিবোধ। অযথা সংলাপের বাড়াবাড়ি কিংবা দৃশ্যায়নে নাটকীয়তা সৃষ্টির কোনো প্রয়াস দেখি না ওর মধ্যে। যা সাবলীল, যা চোখ এবং কানকে আরাম দেয় কিংবা কষ্ট দেয়, সে রকম ঘটনারই প্রকাশ দেখা গেল ছবিটায়।
জে কে ১৯৭১ ছবিটি শুরু হওয়ার পরই মনে হলো, নানা স্তরের মুক্তিযুদ্ধের একটি স্তর নিয়ে সযতনে যে কাজটি করেছেন ফাখরুল, সে জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানানো দরকার। অনেকেই এখন জানেন, বোঝেন, বাংলার মুক্তিসংগ্রাম তো কেবল ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধ ছিল না, যেখানে অস্ত্র হাতে দুই দল সৈন্য সামনাসামনি হয়েছে। বহু যুগ আগে থেকে শুরু হওয়া মুক্তিসংগ্রামের চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখেছি স্বাধীনতাযুদ্ধে। এবং এই যুদ্ধ নানাভাবে করেছে এ দেশেরই মানুষ। কেউ লিখে, কেউ এঁকে, কেউ গান গেয়ে, কেউ ফুটবল খেলে, কেউ রোগীর সেবা করে, কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সহযোগিতা করে, কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করে স্বাধীনতার রসদ জোগান দিয়েছেন। সেটা যে শুধুই বঙ্গদেশের নাগরিকেরা করেছেন তা নয়; বিদেশ-বিভুঁইয়ের অনেকেই বাংলা নামের দেশটির সঙ্গে প্রাণের যুক্ততা অনুভব করেছেন।
আর হ্যাঁ, একটি প্রবল গণযুদ্ধকে শুধু জেনারেলদের সমরকাহিনি বলে চালালেও বিপদ আছে। তাহলে সত্য ইতিহাসটি ভুল দিকে রওনা করতে পারে। ইতিহাসকে ঠিক পথে রাখার জন্য যে প্রয়াসগুলো নিতে হয়, তা নিতে হয় বুঝেশুনেই। আমাদের দেশে একাত্তর নিয়ে যে এখনো বড় মাপের কোনো কাজ হলো না, তার একটা কারণ তো একাত্তরকে ঠিকভাবে বুকে ধারণ করতে না পারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে যে সিনেমাগুলো হয়েছে, সেগুলোর দিকে চোখ রাখলেও এই সত্য ধরা পড়ে। যুদ্ধ আছে ছবিতে, কিন্তু মানুষের কাহিনিই সেখানে বিবৃত হয়েছে যথার্থভাবে। ‘ক্রেইনস আর ফ্লাইং’ কিংবা ‘ব্যালাড অব এ সোলজার’ ছবি দুটির দিকে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, যুদ্ধের ভয়াবহতা অগ্রাহ্য করে কীভাবে জয়ী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তেমনি একজন মানুষের গল্প শোনালেন ফাখরুল আরেফীন খান। ফরাসি এই যুবক তাঁর প্রাণের বিশালতা এবং শিশুদের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা থেকে যে কাজটি করেছিলেন, তারই চলচ্চিত্ররূপ দেখা গেল ফাখরুলে।
ফাখরুল ছবিতে নাটকীয়তা বর্জন করেছেন। আবহ সংগীত ব্যবহারেও ছিলেন সংযত। কখনো কখনো মনে হচ্ছিল একটু নাটকীয় হলে ক্ষতি কী ছিল? হলিউডি ছবির মতো হঠাৎ করে সৃষ্টিছাড়া শব্দের জন্ম হলেই বা কী ক্ষতি ছিল? ছুরি হাতে এয়ারহোস্টেজ যখন জেকেকে হত্যা করার জন্য এগিয়ে আসে, তখন অভিনয়ে কিংবা আবহসংগীতে কি আরেকটু চাঞ্চল্য আনা যেত? কিংবা শেষ দিকে কমান্ডোরা যখন ঢুকছে, তখন কি আরেকটু টানটান হতে পারত দৃশ্যটি? তা নিয়ে বোদ্ধামহলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু আমরা যারা খোলা মন নিয়ে ছবি দেখতে যাই, যারা সমালোচনা করার যোগ্য নই, তারা ওই সীমাবদ্ধতা মেনে নিতে রাজি থাকি।
ছবিটি কেবল সিনেমা হলে এসেছে, এখন কাহিনি নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। তাতে দর্শক-শ্রোতা কাহিনি জেনে নেওয়ায় হলে গিয়ে ছবি দেখতে নিরুৎসাহিত হতে পারেন। তাই অন্য কথা বলি। ফাখরুল যখন থেকে ছবি করছেন, তখন থেকেই তাঁর ভাবনার দিকটি স্বচ্ছ ছিল। সে লালনের আখড়া হোক, আর হোক আলবদরের কাহিনি, সে ভুবনমাঝি হোক, আর জেকে ১৯৭১ হোক, সবখানেই ওর বলার উদ্দেশ্যটি পরিষ্কার। আরেফীনের ছবিগুলোয় একধরনের শিকড়ের প্রতি ভালোবাসা দৃশ্যমান। কিংবা একটু ভিন্নধারায় যে ‘গণ্ডি’ ছবিটি তিনি করেছেন, তাতেও প্রকাশ পায় তাঁর পরিমিতি।
আর যেটা ভালো লাগে, তা হলো আমাদের উচ্চকিত সংস্কৃতি জগৎটায় প্রায় সবাই যখন দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সাংবাদিক ভজাচ্ছেন, উচ্চবিত্ত মানুষকে তোয়াজ করছেন, রাজনৈতিক প্রভু খুঁজছেন, তখন ফাখরুল নিজের পছন্দের একটা বিষয় নিয়ে বুঁদ হচ্ছেন সৃষ্টির আনন্দে।
অভিনয়ে সবাই উতরে গেছেন। তবে যে ফরাসিরা হাইজ্যাকের মতো একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামাল দিচ্ছিলেন, তাঁদের দেহভাষায় আরেকটু উত্তাপ থাকতে পারত। আর জেকে যখন ফরাসিতে দীর্ঘ দীর্ঘ কথা বলছিলেন, তখন দোভাষী ভদ্রলোক (ইন্দ্রজিৎ যে ভূমিকায় অভিনয় করেছেন) একেবারে মুখস্থের মতো তা ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন, সেটা একটু অস্বস্তি আনছিল মনে। বাক্যগুলো আলাদা আলাদা বলা হলে তা মনে রেখে অনুবাদ করা যায়। কিন্তু একবারে বলা কথাগুলো একেবারে ঠিক ঠিক অনুবাদ করা দুরূহ!
বলতে হবে, ফাখরুলের এই সিনেমা স্বস্তি এনে দেয় মনে, আরাম এনে দেয়। বহু দূরদেশের একজন তরুণ তেপান্তরের মাঠ পেরোনো আর এক দেশের শিশুদের বাঁচাতে খালি হাতে প্লেন হাইজ্যাক করছেন, এই অসামান্য ঘটনাটি সংরক্ষণ করা হলো, এ বড় আনন্দ সংবাদ।
ফাখরুলের ক্যামেরা ঠিক বিষয়টিকে উঠিয়ে আনে। পরিমিতিবোধের কথা তো আগেই বলা হলো। ইদানীং বাংলাদেশে চলচ্চিত্রে নতুন একটা ঢেউ এসেছে সত্যি। ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, ‘হাওয়া. ’ ‘পরান’, ‘দামাল’ ছবিগুলো প্রতিশ্রুতিশীল। ফাখরুল আরেফীন খানের ‘জেকে ১৯৭১’ তারই ধারাবাহিকতা শুধু নয়, আরও কিছু।
ছবিতে ‘জঁ কুয়ে’র ভূমিকায় যে ছেলেটি অভিনয় করেছেন, তিনি নিজেকে ফরাসি যুবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। হ্যাঁ, সৌরভ শুভ্র দাশকে জঁ কুয়ে ভাবতে একেবারেই কষ্ট হয়নি।
শেষ দৃশ্যটি মনে কেন আরাম দেয় সেটা বুঝতে হলে তো যেতে হবে সিনেমা হলে। সে এক অন্য অভিজ্ঞতা।
ফাখরুল চলচ্চিত্রকার হতে চাননি। তিনি বলেছেন, এই জগতে আসা তাঁর জন্য একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু এ রকম দুর্ঘটনা আমাদের সংস্কৃতিজগতের জন্য ভালো। প্রাণদায়ী। এই দুর্ঘটনা আমাদের ভালো কিছুর সামনে নিয়ে এসেছে, ভবিষ্যতেও আনবে, এই ভাবনা স্বস্তি দেয়।

‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৭ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৮ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৮ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৮ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৮ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৭ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৮ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৭ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৮ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



মন্ত্রী পৌঁছাতে দেরি করছেন, সে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেমে থাকেনি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল আসুন না মন্ত্রী, তারপর শুরু করা যাবে। কিন্তু তাতে ছবিটি দেখার কৌতূহল নিয়ে যাঁরা উপস্থিত হয়েছিলেন মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে, তাঁদের ধৈর্য সীমায় আঘাত লাগতে পারে ভেবে সিনেমার লোকেরা সিদ্ধান্ত পরিবর্
০৪ মার্চ ২০২৩
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৭ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৮ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৮ ঘণ্টা আগে