Ajker Patrika

বাংলা সিনেমার প্রযোজক নায়িকারা

বিনোদন প্রতিবেদক
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৬
বাংলা সিনেমার প্রযোজক নায়িকারা

জয়া আহসান

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী জয়া আহসানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘সি তে সিনেমা’। সে প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যে প্রযোজনা করেছেন ‘দেবী’। সিনেমা দুটি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছে। লকডাউনের মধ্যে গত বছর নির্মাণ করেছেন নাম ঠিক না হওয়া দ্বিতীয় সিনেমার কাজ। পরিচালনা করেছেন পিপলু আর খান। খুব তাড়াতাড়ি শুরু করবেন তাঁর প্রযোজনায় তৃতীয় সিনেমা ‘ফুড়ুৎ’।

জয়া আহসান প্রযোজিত প্রথম ভারতীয় সিনেমার নাম ‘ওসিডি’। বানাবেন সৌকর্য ঘোষাল। তিনি জয়াকে নিয়ে এর আগে ‘ভূতপুরী’ বানিয়েছেন। প্রযোজনা নিয়ে জয়া বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট জার্নির পর প্রযোজনায় আসা যেতেই পারে। কেননা, একটা সময়ে এখানকার সবকিছু হাতের তালুর রেখার মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। যদি কাজটা তারা ভালোভাবে করে, ফাঁক-ফোকরগুলো পূরণ করতে পারে, তাহলে ভালো কিছু করা সম্ভব। পাশাপাশি একটা ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গিও থাকে, যাতে টাকাটা ঘরে আসে। তবে আফসোস হয় যে, এত সম্ভাবনা থাকার পরও কেন ইন্ডাস্ট্রি একটা সিস্টেমের মধ্যে আসছে না!’

নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবি: ফেসবুক থেকেনুসরাত ইমরোজ তিশা

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রথমবার নির্মাণ করছেন ওয়েব সিরিজ। কনটেন্টটির নাম, অভিনয়শিল্পী বা কোন প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে–তার কোনোকিছুই প্রকাশ করেননি পরিচালক। জানা গেল, ওয়েব সিরিজটির প্রযোজক জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ফারুকীর স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’, ‘আ বার্নিং কোয়েশ্চেন’ সিনেমা দুটির পাশাপাশি ওয়েব সিরিজটিরও প্রযোজক হিসেবে আছেন তিনি।

প্রযোজক হিসেবে নিয়মিত কনটেন্ট নির্মাণ করতে চাই। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান করারও ইচ্ছে আছে। আমি পুরোদস্তুর অভিনেত্রী হলেও এই পরিচয়টা আশা করি উপভোগ করব। প্রযোজক হলে একটা কাজের শুরু থেকে থাকা যায়। তাতে দায়বদ্ধতাও বাড়ে।

নুসরাত ইমরোজ তিশা, অভিনেত্রী


মাহিয়া মাহি। ছবি: ফেসবুক থেকেমাহিয়া মাহি

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আড়াই বছরের মাথায় প্রযোজনার ঘোষণা দেন হালের আলোচিত নায়িকা মাহিয়া মাহি। তরুণ এই নায়িকা জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম ছবির পরিচালক হবেন জাকির হোসেন রাজু। পাঁচ বছর চলে গেলেও ‘স্করপিয়ন’ নামের সেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আজও কোনো ছবি নির্মিত হয়নি।
অনেকেই বিষয়টিকে মাহির ‘ফাঁকা আওয়াজ’ বলে মনে করেছিলেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, মাহির অভিষেক হওয়া প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যদি বিরোধে না জড়াতেন, তাহলে হয়তো ঠিক সময়ে শুটিংয়ে গড়াত মাহির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সিনেমা। নিজের প্রযোজনায় সিনেমা বানাতে না পারলেও একটি ওয়েব কনটেন্ট প্রযোজনায় করেছেন মাহি। কনটেনন্টটির নাম ‘এইডা কপাল’। ত্রিশ মিনিট দৈর্ঘে্যর কনটেন্টটি বানিয়েছেন রায়হান রাফি। সম্প্রতি এর টিজার প্রকাশ হয়েছে অনলাইনে। গত বছর হয়েছে শুটিং। জানা যায়, ‘আঁধার থেকে আঁধারে’ নামের একটি সিনেমা খুব শিগগির শুরু করতে পারেন তিনি।

পরীমনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকেপরীমনি

‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবি দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে পরীমনির। তার আগে টেলিভিশন নাটকে টুকটাক অভিনয় করতেন। ক্যারিয়ারের তিন বছরের মাথায় বেশ জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ‘সোনার তরী’ নামের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা দেন পরীমনি। প্রথম সিনেমা হওয়ার কথা ছিল ‘ক্ষত’। শামীম আহমেদ পরিচালিত ছবিতে নায়ক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন জায়েদ খানও। তবে সেসব এখন অতীত।

আমার মনে হয়েছে আরও কিছুটা সময় নেওয়া দরকার। প্রযোজক একটা সিনেমার প্রাণ। শুধু টাকা ঢাললেই প্রযোজক হওয়া যায় না। আমি যে সিনেমা বানাব সেটা পুরোপুরি তদারকি করতে চাই। সেই সময়টা এখন দিতে পারব না বলেই এখনি আগ্রহী হচ্ছি না।

পরীমনি, ঢালিউড নায়িকা

এ ছাড়াও

‘মুসাফির ২’ নামে নতুন সিনেমা প্রযোজনা করছেন চিত্রনায়িকা মারজান জেনিফার। চিত্রনায়িকা ববির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘ববস্টার’। এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম সিনেমা বানানো হয় ‘বিজলী’ নামে। ২০১৮ সালে মুক্তি পায় এটি। এরপর আর কোনো খোঁজ নেই।

প্রযোজনার অতীত ইতিহাস

১৯৭৬ সালে প্রথম প্রযোজনায় আসেন নায়িকা সুজাতা। ‘অর্পণ’ সিনেমা প্রযোজনার পাশাপাশি পরিচালনাও করেন। নিজ নামে প্রতিষ্ঠিত সুজাতা প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয় ‘প্রতিনিধি’। ‘সুজাতা প্রোডাকশনস’ ছাড়াও সুজাতা-আজিম মিলে ‘এস এ ফিল্মস’ ও ‘সুফল কথাচিত্র’ নামের আরও দুটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। তিনটি প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ‘চেনা–অচেনা’ , ‘টাকার খেলা’, ‘প্রতিনিধি’, ‘রূপবানের রূপকথা’, ‘বদলা’, ‘রং–বেরং’, ‘এখানে আকাশ নীল’ ইত্যাদি।

প্রথম ছবি মুক্তির পাঁচ বছরের মাথায় প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কবরী। শুরুতে শ্রীমতী প্রোডাকশন হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। পরে প্রথম সিনেমা ‘শীত-বসন্ত’ সেন্সরে জমা দেওয়ার পর আপত্তির মুখে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে ফেলতে বাধ্য হন। সুভাষ দত্তের পরিচালনায় পরের ছবি ‘বলাকা মন’ যখন মুক্তি পায়, তখন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম হয়ে যায় কবরী প্রোডাকশন। কবরীর প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া শেষ ছবি ‘গুন্ডা’।

ববিতা মুভিজের ব্যানারে তৈরি প্রথম ছবি ‘ফুলশয্যা’। এই ছবির পরিচালক ছিলেন সুভাষ দত্ত। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে নির্মিত ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ ছবির পরিচালক আখতারুজ্জামান। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেনের ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবিটি প্রযোজনার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন। ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ কয়েকটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পায়।

২২ বছর টানা অভিনয়ের পর চলচ্চিত্র প্রযোজনায় নাম লেখান শাবানা। স্বামী ওয়াহিদ সাদিককে সঙ্গী করে গড়ে তোলেন এসএস প্রোডাকশন হাউস। নিজের প্রযোজিত প্রথম ছবি ‘মাটির ঘর’ তাঁকে প্রযোজক হিসেবে খ্যাতি এনে দেয়। এরপর ২৫টির বেশি ছবি প্রযোজনা করেছেন শাবানা।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বিভিন্ন সময় অভিনয়ের পাশাপাশি আরও অনেক নায়িকা প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এঁদের মধ্যে সুমিতা দেবী, মালতি দে, সুচন্দা, মাহবুবা রহমান, সুলতানা জামান, নীলুফার খায়ের, জোহরা কাজী, রোজিনা, অঞ্জু ঘোষ উল্লেখযোগ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৩
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে নতুন কুঁড়ি ২০০৩-এর দেশাত্মবোধক গানের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করছেন পুতুল। ছবি: সংগৃহীত
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে নতুন কুঁড়ি ২০০৩-এর দেশাত্মবোধক গানের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করছেন পুতুল। ছবি: সংগৃহীত

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।

খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’

বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৫
খালেদা জিয়া ও জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া ও জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।

ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’

জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’

গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোবিজ তারকাদের শোক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।

ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’

জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’

অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’

শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’

সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’

নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’

অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদা পারভীনের জন্মদিনে শিল্পকলায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।

আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।

ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।

এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত