বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত

ঢাকা: আলাপ শুরুর আগে, একটু হেসে, বলে নিলেন, ‘যদি কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যাই জাগিয়ে দেবেন।’ ১৫ নভেম্বরের ভরসন্ধ্যায় কেন তাঁকে এমন ঘুমে পেয়ে বসেছিলো, সেটার ব্যাখ্যাও দিলেন, ‘আজকে ভোর সাড়ে চারটায় প্রেমেন (প্রেমেন্দ্র মজুমদার, চলচ্চিত্র সমালোচক) আমাকে ফোন করেছে।
সকাল আটটায় ফ্লাইট। অথচ সেই ভোর চারটায় জাগিয়ে বসিয়ে রেখেছে!’
ক্লান্তির আরও একটা কারণ রয়েছে।
এর আগের রাতেই নিজের নতুন ছবি ‘টোপ’-এর রাফকাট শেষ করেছেন বুদ্ধদেব। সেটার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করছিলেন, ‘গত এক মাস কলকাতা থেকে বেশ কিছুটা দূরে আমার ছবিটির শুটিং করছিলাম। কখনো কখনো এক শ কিলোমিটার গিয়ে মাত্র দু ঘণ্টা শুটিং করে, আবার সেই পথ ধরে ফিরে আসতে হয়েছে। খুবই ক্লান্তিকর।’
প্রেমেন যখন আমাকে বললো, ‘যেতে হবে’। আমি আর জিজ্ঞেস করিনি কোথায় যেতে হবে। ঢাকা যেতে হবে শুনে আমি লাফিয়ে উঠলাম নিশ্চয়ই। কেননা এখানকার মাটির সঙ্গে আমার নাড়ির যোগ। আসতে ভালো লাগে।
এখন যে ছবি করছি, ‘টোপ’, সেটা নিয়ে ভাবছি গত পনেরো বছর ধরে। যতবার শুরু করবো ভেবেছি, পিছিয়েছি তার চেয়ে বেশিবার! আমার মনে হয়েছে, সময় হয়নি। সময় হয়নি এই কারণে, বহুদিন পর অন্য কারও গল্প নিয়ে ছবি করছি।
অন্যের গল্প নিয়ে কাজ করার নানান ঝামেলা আছে। মুশকিল আছে। বিপদও আছে। কারণ, গল্পকে আমি সম্পূর্ণ বদলে দেই। এই বদলে দেওয়াটা অনেক সময় লেখক পছন্দ করেন না। লেখক না থাকলে লেখকের স্ত্রী পছন্দ করেন না। লেখকের শ্যালিকা পছন্দ করেন না। মহা মুশকিল।
সেজন্য নিজের গল্প নিয়েই করি। তাতে আরেকটা সুবিধা, আমার যে ভাবনা, তা নতুন করে করতে পারি। পনেরো বছর ধরে ভেবে, কোন কূল-কিনারা করতে পারছিলাম না। এবার তিন-চার মাস আগে মনে হলো যে, কাজটা করার সময় এসেছে।
অভিনেতার খোঁজেপ্রাথমিক খসড়ার পর মুশকিল হলো, কাকে নিয়ে কাজটা করব? অভিনেতা কে হবে? কলকাতার কাউকেই আমার মনে ধরল না। অনেকেই করতে চেয়ে ফোন করলেন, কিন্তু না করে দিলাম। আমি চাইছিলাম সম্পূর্ণ নতুন। আমি সিনেমা করি পুরোপুরি নিজের শর্তে। বলি, আপনারা আমার সঙ্গে ছবি করতে চাইলে, খুব ভালো। পয়সা কম দিন ঠিক আছে। কিন্তু আমার শর্তগুলো মেনে নিতে হবে। যদি মেনে নেন, তাহলে আছি।
কারণ, আমার খুব বেশি পয়সা লাগে না। লাগে একটা জিনিস, সেটা হলো শর্তপূরণ। মুশকিল হলো, অনেক খুঁজে নতুন একজনকে পেলাম। কিন্তু তাকে নিয়ে ছবি করতে কেউ রাজি নয়। কারণ, প্রত্যেকেরই ধারণা, নতুন মুখ হলে ছবি চলবে না।
কিন্তু কলকাতায় অদ্ভুত কতগুলো ঘটনা ঘটছে। কারও নামেই ছবি চলছে না। যখন প্রসেনজিৎ থাকে, তখনও কেউ ছবি দেখতে আসে না। আর কি যেন নাম...

দেবের ছবি চলে না। ছবিগুলো সত্যিই চলে না। ছবি চলে ছবির গুণে। অন্য কারও থাকা না থাকা, ছবি চলায় প্রভাব ফেলে না। তো প্রযোজক বললো যে, ‘আপনি যা চাইছেন সেভাবেই করবো। কিন্তু আমার খুব কম টাকা আছে।’
আমি বললাম, ঠিক আছে। তাই সই। সেই কম টাকা দিয়ে ছবি করতে যা হয় আর কি, নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায়! তারপর আবার পান্তা তৈরি করতে সময় লাগে। এসব করে করে ছবি শেষ করতে গলদঘর্ম ছুটে গেল।
আমি চাইছিলাম এমন একটা মুখ, যাকে দেখে কিচ্ছু বলা যাবে না। কি যে করবেন, কি যে করবেন না, তা কিন্তু আমরা ধরতে পারবো না। তাকে পাওয়া গেলো। তিনি নাটক করেন। আমাকে বললেন, আমার নাটকটা দেখতে আসবেন। বললাম, ঠিক আছে যাবো। নাটক দেখতে গিয়ে, সে নাটক অসম্ভব খারাপ! দেখাই যায় না। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো, আমিই মঞ্চে উঠে যাই!
যারা আমার সঙ্গে কাজ করেন, তারা বললেন, ‘দাদা এটা হতে পারে না। একে নিয়ে আপনি কিছুতেই এই সিনেমা করতে পারবেন না।’ এমন নিরুৎসাহ দিতে শুরু করলেন! আমিও ঘাবড়ে গেলাম।
তারপর যাই হোক, আরও অনেক খোঁজাখুঁজির পর, আমার নায়ককে পেলাম। ভদ্রলোককে দেখতে একেবারেই মিরাকল। ওয়ান্ডারফুল অ্যাক্টর। বহুকাল বিদেশে থেকেছেন। নাটক পড়িয়েছেন। কিন্তু একেবারে আনপ্রেডিক্টেবল যে ব্যাপারটা, সেটা আমি তাকে দিয়ে করাতে পারলাম।
আরেকটা চরিত্র আমার দরকার ছিল, যে দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটে। আমার টিম শহর তোলপাড় করে চারটি মেয়েকে নিয়ে এলো আমার কাছে। বাচ্চা বাচ্চা মেয়ে। বয়স কারও নয়-দশ। একটা মেয়েকে আমার ভীষণ ভালো লাগলো।
এরা প্রত্যেকে কিন্তু একটাই কাজ করে- দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটে। খেলাগুলো দেখায়। এটাই ওদের কাজ। আর কিছু জানে না। এই মেয়েটি, যাকে আমি পছন্দ করলাম, কথা বলেই না প্রায়। অক্ষর চেনে না। পড়াশোনা কিছুই জানে না। দড়ির ওপর দাঁড়িয়ে নানান কসরত করে।
কিন্তু অভিনয়টা করতে হবে তো। সংলাপ বলতে হবে তো। ভয়ংকর ভয় হচ্ছিল। ওয়ার্কশপ করালাম। মেয়েটি যখন অভিনয় করতে শুরু করল, ভাবা যায় না। মানে প্রত্যেক দিন উন্নতি করছে। এই বাচ্চা মেয়েটি, এগারো বছর বয়স, ও আমার ছবির নায়িকা।
পুরস্কারে অসন্তুষ্টিআমি দেখেছি, আমার ছবি নিয়ে যখনই কেউ কিছু বলতে চান, যখন আলাপ করিয়ে দেন, পুরস্কারের কথা বলেন। আমি জানি না কি পুরস্কার পেয়েছি, জানতেও চাই না। সেদিন কাগজে দেখলাম, ভারতবর্ষে আমি নাকি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পুরস্কার পেয়েছি সত্যজিৎ রায়ের পর।
এটা কোনো বিষয়ই না আমার কাছে। কেননা আমি জানি, এসব পুরস্কার আমাকে তৈরি করতে পারে না। অনেক পরিচালককে দেখেছি, এই পুরস্কার নিয়ে গর্ব করতে। তারা মনে করেন, পুরস্কার তাদের পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকবে! তাদের গায়ে আঁচ লাগতে দেবে না। তা কখনও হয় না। পুরস্কার কেউ মনে রাখেন না। না সাহিত্যে মনে রাখেন, না সিনেমায়, না সংগীতে।

বাণিজ্য ছাড়া হয় না। দীর্ঘ সময় আমি অর্থনীতি পড়িয়েছি। পড়েছি তারও আগে দীর্ঘ সময়। যেটা বুঝেছি যে, বাণিজ্য ছাড়া কবিতা লেখা যায়। যখন কবিতা লিখি তখন বাণিজ্যের কথা ভাবি না। যখন সিনেমা করি, তখন এটা ভাবতে হয়। কেননা দিনের শেষে এটা একটা পণ্য।
আমাকে এটা বিক্রি করতে হবে। তো, কোথায় আমি বিক্রি করব? জায়গা একটা দরকার। আজকেও একজন বলছিলেন, বহুকাল ধরে, ঢাকায় এলেই, একটা খুব দুঃখের কথা শুনি, ছবি দেখানোর জায়গা নেই। সিনেমা হল নেই। বা হল থাকলেও সব ছবি দেখানো যায় না।
এর চেয়ে দুঃখের কথা আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু কলকাতায়, ভারতবর্ষে এই অবস্থাটা তৈরি হয়নি এখনও। ছবি করলে দেখানো যায়। হ্যাঁ, কেউ হয়তো তিন শটা হলে মুক্তি দেন, কেউ হয়তো ত্রিশটা হলে। কিন্তু ছবি দেখানো সম্ভব। বাণিজ্য করা সম্ভব। কিন্তু তাহলে কী করা যায়? তাহলে কি বাংলাদেশে ছবি হবে না? ছবি কেউ করবেন না? আমার মনে হয় বাজারটা খুঁজে পেতে হবে। বাজার কিন্তু আছে।
আমার প্রথম ছবি ‘দূরত্ব’। চাকরি বাকরি ছেড়ে দিয়ে, তার আগে আমি ডকুমেন্টারি ফিল্ম করেছি। তারপর ‘দূরত্ব’¡ করলাম, তো একটা ঘোর থাকে না? আমিও ওই ঘোরের মধ্যে শুরু করেছিলাম, আজও ওই ঘোরের মধ্যেই আছি।
‘দূরত্ব’ করার জন্য কেউ আমাকে টাকা দেয় নি। দেওয়ার কথাও নয়। আমাকে কেউ চেনেন না তখন। নিজে টাকা যোগাড় করে, ধার নিয়ে, মায়ের গয়না বন্ধক রেখে, ছবিটি করেছিলাম। কিন্তু ‘দূরত্ব’ বিদেশের বাজারে বিক্রি হয়েছে। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, বাজার একটা আছে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত, আমার প্রত্যেকটা ছবি কিন্তু বিদেশের বাজারে বিক্রি হয়েছে।
যেমন ধরুন আরেকটা ছবির কথা বলি ‘উত্তরা’, প্রযোজক এসে টাকা দিয়ে গেলেন। আমি পাঠিয়ে দিলাম শিল্প নির্দেশককে, লোকেশন দেখতে। তারপর একদিন প্রযোজক বললেন, ‘আমার ভীষণ ক্ষতি হয়ে গেছে ব্যবসার। ছবিটা করতে পারছি না।’
সাংঘাতিক অবস্থা। তখন আমি বললাম, ঠিক আছে। অফিসে বসে কয়েকজন মিলে ঠিক করলাম, আমিই প্রযোজনা করব। এর আগেও প্রযোজনা করেছি। তিনটে ছবি। ‘দুরত্ব’ আমার, ‘নিম অন্নপূর্ণা’, ‘ফেরা’ এবং ‘উত্তরা’ও করলাম।
এই ‘উত্তরা’ শুরু করতে করতেই কিন্তু আরেকটা কাজ করলাম। সেটা দিয়ে যে টাকাটা পেলাম, তাতেই খরচ উঠে গেল। তারপর ভেনিসে সেটা দেখানো হলো। অ্যাওয়ার্ড পেলো, এবং সে ছবি হটকেকের মতো বিক্রি হয়ে গেল। প্রত্যেকটা ছবি কিন্তু এভাবে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, এখন আমি জানি যে বাজারটা আছে।
মুশকিল হচ্ছে যে, এখন কলকাতায় আমাকে অনেকেই বলেন, তাদের ছবি বিক্রি করে দিতে। হয় না। সব জিনিস বিক্রি হয় না। সেজন্য কতোগুলো গুণের দরকার হয়। যেমন মনে আছে, বহুকাল আগে, সে বছর বার্লিনে যাবো আমার ছবি নিয়ে। একজন তামিল পরিচালক, তার একটা ছবি তামিল বা তেলুগু, বললেন, ‘আপনার সঙ্গে যাবো। আপনি খালি একটু সাহায্য করবেন। আপনার পরিবেশকদের যদি একটু আমন্ত্রণ জানান।’ আমি বললাম, ঠিক আছে চলুন। কিন্তু ছবিটা বিক্রি হবে কি-না আমি জানি না।
ছবিটা আমি দেখেছিলাম। বিষয় হচ্ছে, আপনি জানেন যে, ভারতবর্ষ একটা অদ্ভুত দেশ। ভারতবর্ষের নানান বিষয়। যেমন, কেউ যদি কাউকে ছুঁয়ে দেন, তাহলে তার খাওয়াই বন্ধ হয়ে যায়। স্নান-টান করে আবার খেতে বসেন।

ছবিটা দেখার পর আর কেউ কিনলেন না। কিনলেন না তো বটেই। আমার পরিবেশকরা এত বিরক্ত হলেন! ওরা ভাবতেই পারেন না, একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে স্পর্শ করলে, এমন কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু বিষয়টা তো মিথ্যে না। ভারতবর্ষে তো ঘটনাটা ঘটছে। ফলে পরিচালক বলতেই পারেন যে, আমার দেশে যা ঘটছে, সেটা নিয়েই ছবি করছি। আমার বক্তব্য, এমন অনেক ঘটনাই ঘটে। ভারতবর্ষে ঘটে, বাংলাদেশে ঘটে- সব দেশেই ঘটে। কিন্তু সব ঘটনা নিয়ে ছবি করলেই যে বাজার আসবে, তা কিন্তু নয়।
বাজারটা খুঁজে বের করতে হবে। কেননা, এই বাজার ছাড়া কিন্তু আমাদের দেশের সংস্কৃতির এগিয়ে যাওয়া সম্ভবই নয়। সেজন্য সবাইকে বলি, কলকাতার নতুন পরিচালকদের, কি ছবি করবেন, সেজন্য সময় দিন। অনেক সময় ধরে ভাবুন। কি ছবি করবেন, কেন করবেন, কাদের জন্য করবেন এবং কোন বাজারের জন্য করবেন, ভাবুন। আমি জানি, আমার ছবি কলকাতায় রমরমিয়ে চলবে না। কিন্তু আমার ছবি থেকে ঠিকই টাকা রোজগার করতে হবে। আমার ছবি এমনই হবে যে, সারা পৃথিবীর মানুষকে স্পর্শ করবে। এটা কিন্তু হওয়া দরকার। এটা যদি হয়, বাজারটাও তৈরি হয়ে যায়।
রাইসুল ইসলাম আসাদে মুগ্ধসিনেমা করতে গিয়ে দেখেছি- ক্যামেরার সামনে যে মুখ, সেটা কিন্তু আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে, উৎসাহ জোগাবে। আপনি অনেক কথা বলবেন, যা আপনি ভাবেন নি। কথাগুলো, মনে হবে, আপনি মুখ দিয়ে বলবেন না, (বুকের কাছে হাত রেখে) এই জায়গা দিয়ে বলবেন। বাংলাদেশে এমন একজন অভিনেতা আছেন যিনি আমার সঙ্গে কাজ করেছেন, আসাদ (রাইসুল ইসলাম আসাদ)। আসাদ আমার দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন (‘লাল দরজা’ ১৯৯৭ ও ‘উত্তরা’ ২০০০)। ওকে দেখেও আমার মনে হয়েছিল, অনেক কাজ ওকে দিয়ে করানো যায়। অসামান্য কাজ করেছিল।
মোবাইল রেকর্ডারে টাইম বাড়তে বাড়তে মিনিট পেরিয়ে ঘণ্টার কাছাকাছি। শিল্পকলা একাডেমীর সন্ধ্যায় বসে বুদ্ধদেব স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে চলে গেলেন সেই কতকাল আগে! সেদিনটাও এমনই বোধহয়। শান্ত সন্ধ্যা। বাইরে থেকে ফিরেছেন। বাড়িতে কেউ নেই। বুদ্ধদেবের ফ্ল্যাটের ডিজাইনটা আবার এমন- দরজা খুলেই বড় ড্রয়িংরুমের মতো জায়গা। ওখানে আড্ডা-গল্প-গবেষণা-খাওয়া দাওয়া চলে। পেরিয়ে, তারপরই রুমগুলো।
দরজা খুলে ঢুকেই বুদ্ধদেব দেখলেন, কেউ নেই, কিচ্ছু নেই। ড্রয়িংরুম ভর্তি আসবাবপত্র-টিভি-বই; কিচ্ছু নেই। পুরোটা ফাঁকা। উল্টো একটা মাঠ এসে হাজির! বিস্তীর্ণ মাঠ। সবুজ। বুদ্ধদেবের সেই ছেলেবেলার মাঠটার মতো। যেখানে তিনি খেলতেন। বিকেলবেলায়। ছোট লাল-লাল পোকাগুলো উড়ছে। ওই পোকাগুলো হাতের তালুতে নিয়ে বুদ্ধদেব খেলতেন ছোটবেলায়। মাঠের আশপাশে গাছগুলো আছে। আর আছে তার বন্ধুরা। ছেলেবেলার বন্ধু। তারা বুদ্ধদেবকে ডাকছেন হাত নেড়েনেড়ে।
‘পনেরো-বিশ সেকেন্ড’, বুদ্ধদেব বললেন, ‘এরকমটা আমি দেখলাম। তারপর সব ঠিকঠাক। আগে যা ছিল, সবই আছে। এই যে আমি দেখলাম, এ ব্যাপারটি কিন্তু আমার সিনেমায় চলে এল।’
যে জন্য বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর সিনেমা-কবিতায় আরও বেশি করে আকৃষ্ট হয় মানুষ। মুগ্ধ হয়। এটাই সেই এক্সটেনডেড রিয়েলিটি, ম্যাজিক রিয়েলিজম। বুদ্ধদেব বুঝিয়ে দিলেন মাত্র একটি উদাহরণে, কত সহজে!
তারপরও যদি আরও প্রশ্ন জাগে, কীভাবে ভাবেন তিনি এতোসব গল্প? কীভাবে নির্মাণ করেন এত দুর্দান্ত সব সিনেমা? বুদ্ধদেব বলেন, ‘কিছুটা বাস্তবতা মিশাই, কিছুটা স্বপ্ন, আর কিছুটা ম্যাজিক। মিশিয়ে একটা মিছরি তৈরি করি। সেটাই আমার ছবি।’

ঢাকা: আলাপ শুরুর আগে, একটু হেসে, বলে নিলেন, ‘যদি কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যাই জাগিয়ে দেবেন।’ ১৫ নভেম্বরের ভরসন্ধ্যায় কেন তাঁকে এমন ঘুমে পেয়ে বসেছিলো, সেটার ব্যাখ্যাও দিলেন, ‘আজকে ভোর সাড়ে চারটায় প্রেমেন (প্রেমেন্দ্র মজুমদার, চলচ্চিত্র সমালোচক) আমাকে ফোন করেছে।
সকাল আটটায় ফ্লাইট। অথচ সেই ভোর চারটায় জাগিয়ে বসিয়ে রেখেছে!’
ক্লান্তির আরও একটা কারণ রয়েছে।
এর আগের রাতেই নিজের নতুন ছবি ‘টোপ’-এর রাফকাট শেষ করেছেন বুদ্ধদেব। সেটার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করছিলেন, ‘গত এক মাস কলকাতা থেকে বেশ কিছুটা দূরে আমার ছবিটির শুটিং করছিলাম। কখনো কখনো এক শ কিলোমিটার গিয়ে মাত্র দু ঘণ্টা শুটিং করে, আবার সেই পথ ধরে ফিরে আসতে হয়েছে। খুবই ক্লান্তিকর।’
প্রেমেন যখন আমাকে বললো, ‘যেতে হবে’। আমি আর জিজ্ঞেস করিনি কোথায় যেতে হবে। ঢাকা যেতে হবে শুনে আমি লাফিয়ে উঠলাম নিশ্চয়ই। কেননা এখানকার মাটির সঙ্গে আমার নাড়ির যোগ। আসতে ভালো লাগে।
এখন যে ছবি করছি, ‘টোপ’, সেটা নিয়ে ভাবছি গত পনেরো বছর ধরে। যতবার শুরু করবো ভেবেছি, পিছিয়েছি তার চেয়ে বেশিবার! আমার মনে হয়েছে, সময় হয়নি। সময় হয়নি এই কারণে, বহুদিন পর অন্য কারও গল্প নিয়ে ছবি করছি।
অন্যের গল্প নিয়ে কাজ করার নানান ঝামেলা আছে। মুশকিল আছে। বিপদও আছে। কারণ, গল্পকে আমি সম্পূর্ণ বদলে দেই। এই বদলে দেওয়াটা অনেক সময় লেখক পছন্দ করেন না। লেখক না থাকলে লেখকের স্ত্রী পছন্দ করেন না। লেখকের শ্যালিকা পছন্দ করেন না। মহা মুশকিল।
সেজন্য নিজের গল্প নিয়েই করি। তাতে আরেকটা সুবিধা, আমার যে ভাবনা, তা নতুন করে করতে পারি। পনেরো বছর ধরে ভেবে, কোন কূল-কিনারা করতে পারছিলাম না। এবার তিন-চার মাস আগে মনে হলো যে, কাজটা করার সময় এসেছে।
অভিনেতার খোঁজেপ্রাথমিক খসড়ার পর মুশকিল হলো, কাকে নিয়ে কাজটা করব? অভিনেতা কে হবে? কলকাতার কাউকেই আমার মনে ধরল না। অনেকেই করতে চেয়ে ফোন করলেন, কিন্তু না করে দিলাম। আমি চাইছিলাম সম্পূর্ণ নতুন। আমি সিনেমা করি পুরোপুরি নিজের শর্তে। বলি, আপনারা আমার সঙ্গে ছবি করতে চাইলে, খুব ভালো। পয়সা কম দিন ঠিক আছে। কিন্তু আমার শর্তগুলো মেনে নিতে হবে। যদি মেনে নেন, তাহলে আছি।
কারণ, আমার খুব বেশি পয়সা লাগে না। লাগে একটা জিনিস, সেটা হলো শর্তপূরণ। মুশকিল হলো, অনেক খুঁজে নতুন একজনকে পেলাম। কিন্তু তাকে নিয়ে ছবি করতে কেউ রাজি নয়। কারণ, প্রত্যেকেরই ধারণা, নতুন মুখ হলে ছবি চলবে না।
কিন্তু কলকাতায় অদ্ভুত কতগুলো ঘটনা ঘটছে। কারও নামেই ছবি চলছে না। যখন প্রসেনজিৎ থাকে, তখনও কেউ ছবি দেখতে আসে না। আর কি যেন নাম...

দেবের ছবি চলে না। ছবিগুলো সত্যিই চলে না। ছবি চলে ছবির গুণে। অন্য কারও থাকা না থাকা, ছবি চলায় প্রভাব ফেলে না। তো প্রযোজক বললো যে, ‘আপনি যা চাইছেন সেভাবেই করবো। কিন্তু আমার খুব কম টাকা আছে।’
আমি বললাম, ঠিক আছে। তাই সই। সেই কম টাকা দিয়ে ছবি করতে যা হয় আর কি, নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায়! তারপর আবার পান্তা তৈরি করতে সময় লাগে। এসব করে করে ছবি শেষ করতে গলদঘর্ম ছুটে গেল।
আমি চাইছিলাম এমন একটা মুখ, যাকে দেখে কিচ্ছু বলা যাবে না। কি যে করবেন, কি যে করবেন না, তা কিন্তু আমরা ধরতে পারবো না। তাকে পাওয়া গেলো। তিনি নাটক করেন। আমাকে বললেন, আমার নাটকটা দেখতে আসবেন। বললাম, ঠিক আছে যাবো। নাটক দেখতে গিয়ে, সে নাটক অসম্ভব খারাপ! দেখাই যায় না। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিলো, আমিই মঞ্চে উঠে যাই!
যারা আমার সঙ্গে কাজ করেন, তারা বললেন, ‘দাদা এটা হতে পারে না। একে নিয়ে আপনি কিছুতেই এই সিনেমা করতে পারবেন না।’ এমন নিরুৎসাহ দিতে শুরু করলেন! আমিও ঘাবড়ে গেলাম।
তারপর যাই হোক, আরও অনেক খোঁজাখুঁজির পর, আমার নায়ককে পেলাম। ভদ্রলোককে দেখতে একেবারেই মিরাকল। ওয়ান্ডারফুল অ্যাক্টর। বহুকাল বিদেশে থেকেছেন। নাটক পড়িয়েছেন। কিন্তু একেবারে আনপ্রেডিক্টেবল যে ব্যাপারটা, সেটা আমি তাকে দিয়ে করাতে পারলাম।
আরেকটা চরিত্র আমার দরকার ছিল, যে দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটে। আমার টিম শহর তোলপাড় করে চারটি মেয়েকে নিয়ে এলো আমার কাছে। বাচ্চা বাচ্চা মেয়ে। বয়স কারও নয়-দশ। একটা মেয়েকে আমার ভীষণ ভালো লাগলো।
এরা প্রত্যেকে কিন্তু একটাই কাজ করে- দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটে। খেলাগুলো দেখায়। এটাই ওদের কাজ। আর কিছু জানে না। এই মেয়েটি, যাকে আমি পছন্দ করলাম, কথা বলেই না প্রায়। অক্ষর চেনে না। পড়াশোনা কিছুই জানে না। দড়ির ওপর দাঁড়িয়ে নানান কসরত করে।
কিন্তু অভিনয়টা করতে হবে তো। সংলাপ বলতে হবে তো। ভয়ংকর ভয় হচ্ছিল। ওয়ার্কশপ করালাম। মেয়েটি যখন অভিনয় করতে শুরু করল, ভাবা যায় না। মানে প্রত্যেক দিন উন্নতি করছে। এই বাচ্চা মেয়েটি, এগারো বছর বয়স, ও আমার ছবির নায়িকা।
পুরস্কারে অসন্তুষ্টিআমি দেখেছি, আমার ছবি নিয়ে যখনই কেউ কিছু বলতে চান, যখন আলাপ করিয়ে দেন, পুরস্কারের কথা বলেন। আমি জানি না কি পুরস্কার পেয়েছি, জানতেও চাই না। সেদিন কাগজে দেখলাম, ভারতবর্ষে আমি নাকি এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পুরস্কার পেয়েছি সত্যজিৎ রায়ের পর।
এটা কোনো বিষয়ই না আমার কাছে। কেননা আমি জানি, এসব পুরস্কার আমাকে তৈরি করতে পারে না। অনেক পরিচালককে দেখেছি, এই পুরস্কার নিয়ে গর্ব করতে। তারা মনে করেন, পুরস্কার তাদের পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকবে! তাদের গায়ে আঁচ লাগতে দেবে না। তা কখনও হয় না। পুরস্কার কেউ মনে রাখেন না। না সাহিত্যে মনে রাখেন, না সিনেমায়, না সংগীতে।

বাণিজ্য ছাড়া হয় না। দীর্ঘ সময় আমি অর্থনীতি পড়িয়েছি। পড়েছি তারও আগে দীর্ঘ সময়। যেটা বুঝেছি যে, বাণিজ্য ছাড়া কবিতা লেখা যায়। যখন কবিতা লিখি তখন বাণিজ্যের কথা ভাবি না। যখন সিনেমা করি, তখন এটা ভাবতে হয়। কেননা দিনের শেষে এটা একটা পণ্য।
আমাকে এটা বিক্রি করতে হবে। তো, কোথায় আমি বিক্রি করব? জায়গা একটা দরকার। আজকেও একজন বলছিলেন, বহুকাল ধরে, ঢাকায় এলেই, একটা খুব দুঃখের কথা শুনি, ছবি দেখানোর জায়গা নেই। সিনেমা হল নেই। বা হল থাকলেও সব ছবি দেখানো যায় না।
এর চেয়ে দুঃখের কথা আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু কলকাতায়, ভারতবর্ষে এই অবস্থাটা তৈরি হয়নি এখনও। ছবি করলে দেখানো যায়। হ্যাঁ, কেউ হয়তো তিন শটা হলে মুক্তি দেন, কেউ হয়তো ত্রিশটা হলে। কিন্তু ছবি দেখানো সম্ভব। বাণিজ্য করা সম্ভব। কিন্তু তাহলে কী করা যায়? তাহলে কি বাংলাদেশে ছবি হবে না? ছবি কেউ করবেন না? আমার মনে হয় বাজারটা খুঁজে পেতে হবে। বাজার কিন্তু আছে।
আমার প্রথম ছবি ‘দূরত্ব’। চাকরি বাকরি ছেড়ে দিয়ে, তার আগে আমি ডকুমেন্টারি ফিল্ম করেছি। তারপর ‘দূরত্ব’¡ করলাম, তো একটা ঘোর থাকে না? আমিও ওই ঘোরের মধ্যে শুরু করেছিলাম, আজও ওই ঘোরের মধ্যেই আছি।
‘দূরত্ব’ করার জন্য কেউ আমাকে টাকা দেয় নি। দেওয়ার কথাও নয়। আমাকে কেউ চেনেন না তখন। নিজে টাকা যোগাড় করে, ধার নিয়ে, মায়ের গয়না বন্ধক রেখে, ছবিটি করেছিলাম। কিন্তু ‘দূরত্ব’ বিদেশের বাজারে বিক্রি হয়েছে। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, বাজার একটা আছে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত, আমার প্রত্যেকটা ছবি কিন্তু বিদেশের বাজারে বিক্রি হয়েছে।
যেমন ধরুন আরেকটা ছবির কথা বলি ‘উত্তরা’, প্রযোজক এসে টাকা দিয়ে গেলেন। আমি পাঠিয়ে দিলাম শিল্প নির্দেশককে, লোকেশন দেখতে। তারপর একদিন প্রযোজক বললেন, ‘আমার ভীষণ ক্ষতি হয়ে গেছে ব্যবসার। ছবিটা করতে পারছি না।’
সাংঘাতিক অবস্থা। তখন আমি বললাম, ঠিক আছে। অফিসে বসে কয়েকজন মিলে ঠিক করলাম, আমিই প্রযোজনা করব। এর আগেও প্রযোজনা করেছি। তিনটে ছবি। ‘দুরত্ব’ আমার, ‘নিম অন্নপূর্ণা’, ‘ফেরা’ এবং ‘উত্তরা’ও করলাম।
এই ‘উত্তরা’ শুরু করতে করতেই কিন্তু আরেকটা কাজ করলাম। সেটা দিয়ে যে টাকাটা পেলাম, তাতেই খরচ উঠে গেল। তারপর ভেনিসে সেটা দেখানো হলো। অ্যাওয়ার্ড পেলো, এবং সে ছবি হটকেকের মতো বিক্রি হয়ে গেল। প্রত্যেকটা ছবি কিন্তু এভাবে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, এখন আমি জানি যে বাজারটা আছে।
মুশকিল হচ্ছে যে, এখন কলকাতায় আমাকে অনেকেই বলেন, তাদের ছবি বিক্রি করে দিতে। হয় না। সব জিনিস বিক্রি হয় না। সেজন্য কতোগুলো গুণের দরকার হয়। যেমন মনে আছে, বহুকাল আগে, সে বছর বার্লিনে যাবো আমার ছবি নিয়ে। একজন তামিল পরিচালক, তার একটা ছবি তামিল বা তেলুগু, বললেন, ‘আপনার সঙ্গে যাবো। আপনি খালি একটু সাহায্য করবেন। আপনার পরিবেশকদের যদি একটু আমন্ত্রণ জানান।’ আমি বললাম, ঠিক আছে চলুন। কিন্তু ছবিটা বিক্রি হবে কি-না আমি জানি না।
ছবিটা আমি দেখেছিলাম। বিষয় হচ্ছে, আপনি জানেন যে, ভারতবর্ষ একটা অদ্ভুত দেশ। ভারতবর্ষের নানান বিষয়। যেমন, কেউ যদি কাউকে ছুঁয়ে দেন, তাহলে তার খাওয়াই বন্ধ হয়ে যায়। স্নান-টান করে আবার খেতে বসেন।

ছবিটা দেখার পর আর কেউ কিনলেন না। কিনলেন না তো বটেই। আমার পরিবেশকরা এত বিরক্ত হলেন! ওরা ভাবতেই পারেন না, একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে স্পর্শ করলে, এমন কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু বিষয়টা তো মিথ্যে না। ভারতবর্ষে তো ঘটনাটা ঘটছে। ফলে পরিচালক বলতেই পারেন যে, আমার দেশে যা ঘটছে, সেটা নিয়েই ছবি করছি। আমার বক্তব্য, এমন অনেক ঘটনাই ঘটে। ভারতবর্ষে ঘটে, বাংলাদেশে ঘটে- সব দেশেই ঘটে। কিন্তু সব ঘটনা নিয়ে ছবি করলেই যে বাজার আসবে, তা কিন্তু নয়।
বাজারটা খুঁজে বের করতে হবে। কেননা, এই বাজার ছাড়া কিন্তু আমাদের দেশের সংস্কৃতির এগিয়ে যাওয়া সম্ভবই নয়। সেজন্য সবাইকে বলি, কলকাতার নতুন পরিচালকদের, কি ছবি করবেন, সেজন্য সময় দিন। অনেক সময় ধরে ভাবুন। কি ছবি করবেন, কেন করবেন, কাদের জন্য করবেন এবং কোন বাজারের জন্য করবেন, ভাবুন। আমি জানি, আমার ছবি কলকাতায় রমরমিয়ে চলবে না। কিন্তু আমার ছবি থেকে ঠিকই টাকা রোজগার করতে হবে। আমার ছবি এমনই হবে যে, সারা পৃথিবীর মানুষকে স্পর্শ করবে। এটা কিন্তু হওয়া দরকার। এটা যদি হয়, বাজারটাও তৈরি হয়ে যায়।
রাইসুল ইসলাম আসাদে মুগ্ধসিনেমা করতে গিয়ে দেখেছি- ক্যামেরার সামনে যে মুখ, সেটা কিন্তু আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে, উৎসাহ জোগাবে। আপনি অনেক কথা বলবেন, যা আপনি ভাবেন নি। কথাগুলো, মনে হবে, আপনি মুখ দিয়ে বলবেন না, (বুকের কাছে হাত রেখে) এই জায়গা দিয়ে বলবেন। বাংলাদেশে এমন একজন অভিনেতা আছেন যিনি আমার সঙ্গে কাজ করেছেন, আসাদ (রাইসুল ইসলাম আসাদ)। আসাদ আমার দুটি ছবিতে অভিনয় করেছেন (‘লাল দরজা’ ১৯৯৭ ও ‘উত্তরা’ ২০০০)। ওকে দেখেও আমার মনে হয়েছিল, অনেক কাজ ওকে দিয়ে করানো যায়। অসামান্য কাজ করেছিল।
মোবাইল রেকর্ডারে টাইম বাড়তে বাড়তে মিনিট পেরিয়ে ঘণ্টার কাছাকাছি। শিল্পকলা একাডেমীর সন্ধ্যায় বসে বুদ্ধদেব স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে চলে গেলেন সেই কতকাল আগে! সেদিনটাও এমনই বোধহয়। শান্ত সন্ধ্যা। বাইরে থেকে ফিরেছেন। বাড়িতে কেউ নেই। বুদ্ধদেবের ফ্ল্যাটের ডিজাইনটা আবার এমন- দরজা খুলেই বড় ড্রয়িংরুমের মতো জায়গা। ওখানে আড্ডা-গল্প-গবেষণা-খাওয়া দাওয়া চলে। পেরিয়ে, তারপরই রুমগুলো।
দরজা খুলে ঢুকেই বুদ্ধদেব দেখলেন, কেউ নেই, কিচ্ছু নেই। ড্রয়িংরুম ভর্তি আসবাবপত্র-টিভি-বই; কিচ্ছু নেই। পুরোটা ফাঁকা। উল্টো একটা মাঠ এসে হাজির! বিস্তীর্ণ মাঠ। সবুজ। বুদ্ধদেবের সেই ছেলেবেলার মাঠটার মতো। যেখানে তিনি খেলতেন। বিকেলবেলায়। ছোট লাল-লাল পোকাগুলো উড়ছে। ওই পোকাগুলো হাতের তালুতে নিয়ে বুদ্ধদেব খেলতেন ছোটবেলায়। মাঠের আশপাশে গাছগুলো আছে। আর আছে তার বন্ধুরা। ছেলেবেলার বন্ধু। তারা বুদ্ধদেবকে ডাকছেন হাত নেড়েনেড়ে।
‘পনেরো-বিশ সেকেন্ড’, বুদ্ধদেব বললেন, ‘এরকমটা আমি দেখলাম। তারপর সব ঠিকঠাক। আগে যা ছিল, সবই আছে। এই যে আমি দেখলাম, এ ব্যাপারটি কিন্তু আমার সিনেমায় চলে এল।’
যে জন্য বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর সিনেমা-কবিতায় আরও বেশি করে আকৃষ্ট হয় মানুষ। মুগ্ধ হয়। এটাই সেই এক্সটেনডেড রিয়েলিটি, ম্যাজিক রিয়েলিজম। বুদ্ধদেব বুঝিয়ে দিলেন মাত্র একটি উদাহরণে, কত সহজে!
তারপরও যদি আরও প্রশ্ন জাগে, কীভাবে ভাবেন তিনি এতোসব গল্প? কীভাবে নির্মাণ করেন এত দুর্দান্ত সব সিনেমা? বুদ্ধদেব বলেন, ‘কিছুটা বাস্তবতা মিশাই, কিছুটা স্বপ্ন, আর কিছুটা ম্যাজিক। মিশিয়ে একটা মিছরি তৈরি করি। সেটাই আমার ছবি।’

২০১৯ সালে তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় ‘ন’ডরাই’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সুনেরাহ বিনতে কামালের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জেতেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ওটিটি, সিনেমা ও টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করলেও তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় আর দেখা যায়নি সুনেরাহকে।
১৪ মিনিট আগে
অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় ঈদ, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবার বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামীকাল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন।
২০ মিনিট আগে
‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার সাফল্যের পর ক্রিস্টোফার নোলান নজর দিয়েছেন গ্রিক মহাকাব্যে। গ্রিক কবি হোমারের ‘দ্য ওডিসি’ মহাকাব্য তুলে আনছেন পর্দায়। হাজার হাজার বছর ধরে যে গল্প মানুষ মনে রেখেছে, যেসব চরিত্র রহস্য-রোমান্সের অনুভূতি জাগিয়েছে; সেই গল্প ও চরিত্ররা কতটা জীবন্ত হয়ে ধরা পড়বে ক্যামেরায়...
২৮ মিনিট আগে
গত আগস্টে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয় ধারাবাহিক নাটক ‘তেল ছাড়া পরোটা’। সমাজের নীতিবান ও নীতিহীন মানুষের গল্পে ধারাবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার। দেখতে দেখতে শত পর্বের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নাটকটি। আজ রাত ৮টায় প্রচার হবে তেল ছাড়া পরোটা ধারাবাহিকের ১০০তম পর্ব।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৯ সালে তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় ‘ন’ডরাই’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সুনেরাহ বিনতে কামালের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জেতেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ওটিটি, সিনেমা ও টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করলেও তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় আর দেখা যায়নি সুনেরাহকে। ছয় বছর পর আবার এই পরিচালকের নির্দেশনায় কাজ করছেন তিনি।
নতুন এই কাজের শুটিং করতে ১৮ ডিসেম্বর নেপালে যান সুনেরাহ। গতকাল শেষ হয়েছে শুটিং। গতকাল তানিম রহমান অংশুর সঙ্গে তোলা শুটিংয়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘কিছু একটা হচ্ছে। ছয় বছর পর একসঙ্গে আমরা কাজ করছি। সবাইকে দেখানোর অপেক্ষায়।’
নতুন এই কাজ নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় সুনেরাহর সঙ্গে। নেপাল থেকে খুদেবার্তায় সুনেরাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারুণ ইন্টারেস্টিং একটা কাজ করছি। এখানে আমাকে এমন চরিত্রে দেখা যাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখা যায়নি।’
এটি ওটিটি কনটেন্ট নাকি সিনেমা, সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে রাজি নন সুনেরাহ। বললেন, ‘কাজটি কোথায় দেখা যাবে এ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না। আশা করছি শিগগির দর্শক কাজটি দেখতে পারবে।’

শুটিং অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুনেরাহ বলেন, ‘খুব ঠান্ডার মধ্যে শুটিং করতে হচ্ছে। আমরা যেখানে শুটিং করছি, সেখানে মাইনাস ডিগ্রি। প্রথমবার এ রকম আবহাওয়াতে শুটিং করলাম। সব মিলিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু কাজটি খুব ভালো হয়েছে।’
অন্যদিকে, ২২ ডিসেম্বর ভিন্ন একটি ছবি পোস্ট করেন সুনেরাহ। অভিনেতা আরশ খানের সঙ্গে তোলা ছবিটিতে দেখা যায়, সমুদ্রপারে আরশ ও সুনেরাহ দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে হাসছেন। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ছবিটি। অনেকেই দাবি করেন, এই ছবি দিয়ে আরশের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন স্বীকার করলেন সুনেরাহ। অনেকে তাঁদের শুভকামনা জানান।
বরাবরের মতো এবারও প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সুনেরাহ। জানালেন এই ছবিতে নেটিজেনদের শুভেচ্ছাবার্তা তাঁকে বিস্মিত করেছে। আরও জানালেন থাইল্যান্ডে শুটিংয়ের সময় তোলা হয়েছিল ভাইরাল হওয়া ছবিটি। থাইল্যান্ডে ওই সময় একসঙ্গে ছয়টি নাটকের শুটিংয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই ছবিটি ভালো লাগায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সুনেরাহ। এর বাইরে কিছু না।
নাটক, ওটিটি ও সিনেমা—সব মাধ্যমেই ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনেরাহ। টিভি ও ইউটিউবে নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে তাঁর অভিনীত নাটক। গত মাস থেকে প্রচার শুরু হয়েছে সুনেরাহর প্রথম ধারাবাহিক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। সম্প্রতি শেষ করেছেন আরাফাত মহসিন নিধি পরিচালিত একটি সিরিজের শুটিং। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে রুবাইয়াত হোসেনের সিনেমা ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’। এতে সুনেরাহর সহশিল্পী আজমেরী হক বাঁধন, রিকিতা নন্দিনী শিমু।

২০১৯ সালে তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় ‘ন’ডরাই’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সুনেরাহ বিনতে কামালের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জেতেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ওটিটি, সিনেমা ও টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করলেও তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় আর দেখা যায়নি সুনেরাহকে। ছয় বছর পর আবার এই পরিচালকের নির্দেশনায় কাজ করছেন তিনি।
নতুন এই কাজের শুটিং করতে ১৮ ডিসেম্বর নেপালে যান সুনেরাহ। গতকাল শেষ হয়েছে শুটিং। গতকাল তানিম রহমান অংশুর সঙ্গে তোলা শুটিংয়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘কিছু একটা হচ্ছে। ছয় বছর পর একসঙ্গে আমরা কাজ করছি। সবাইকে দেখানোর অপেক্ষায়।’
নতুন এই কাজ নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় সুনেরাহর সঙ্গে। নেপাল থেকে খুদেবার্তায় সুনেরাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারুণ ইন্টারেস্টিং একটা কাজ করছি। এখানে আমাকে এমন চরিত্রে দেখা যাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখা যায়নি।’
এটি ওটিটি কনটেন্ট নাকি সিনেমা, সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে রাজি নন সুনেরাহ। বললেন, ‘কাজটি কোথায় দেখা যাবে এ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না। আশা করছি শিগগির দর্শক কাজটি দেখতে পারবে।’

শুটিং অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুনেরাহ বলেন, ‘খুব ঠান্ডার মধ্যে শুটিং করতে হচ্ছে। আমরা যেখানে শুটিং করছি, সেখানে মাইনাস ডিগ্রি। প্রথমবার এ রকম আবহাওয়াতে শুটিং করলাম। সব মিলিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু কাজটি খুব ভালো হয়েছে।’
অন্যদিকে, ২২ ডিসেম্বর ভিন্ন একটি ছবি পোস্ট করেন সুনেরাহ। অভিনেতা আরশ খানের সঙ্গে তোলা ছবিটিতে দেখা যায়, সমুদ্রপারে আরশ ও সুনেরাহ দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে হাসছেন। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ছবিটি। অনেকেই দাবি করেন, এই ছবি দিয়ে আরশের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন স্বীকার করলেন সুনেরাহ। অনেকে তাঁদের শুভকামনা জানান।
বরাবরের মতো এবারও প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সুনেরাহ। জানালেন এই ছবিতে নেটিজেনদের শুভেচ্ছাবার্তা তাঁকে বিস্মিত করেছে। আরও জানালেন থাইল্যান্ডে শুটিংয়ের সময় তোলা হয়েছিল ভাইরাল হওয়া ছবিটি। থাইল্যান্ডে ওই সময় একসঙ্গে ছয়টি নাটকের শুটিংয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই ছবিটি ভালো লাগায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সুনেরাহ। এর বাইরে কিছু না।
নাটক, ওটিটি ও সিনেমা—সব মাধ্যমেই ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনেরাহ। টিভি ও ইউটিউবে নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে তাঁর অভিনীত নাটক। গত মাস থেকে প্রচার শুরু হয়েছে সুনেরাহর প্রথম ধারাবাহিক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। সম্প্রতি শেষ করেছেন আরাফাত মহসিন নিধি পরিচালিত একটি সিরিজের শুটিং। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে রুবাইয়াত হোসেনের সিনেমা ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’। এতে সুনেরাহর সহশিল্পী আজমেরী হক বাঁধন, রিকিতা নন্দিনী শিমু।

আলাপ শুরুর আগে, একটু হেসে, বলে নিলেন, ‘যদি কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যাই জাগিয়ে দেবেন।’ ১৫ নভেম্বরের ভরসন্ধ্যায় কেন তাঁকে এমন ঘুমে পেয়ে বসেছিলো, সেটার ব্যাখ্যাও দিলেন, ‘আজকে ভোর সাড়ে চারটায় প্রেমেন (প্রেমেন্দ্র মজুমদার, চলচ্চিত্র সমালোচক) আমাকে ফোন করেছে।
১০ জুন ২০২১
অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় ঈদ, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবার বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামীকাল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন।
২০ মিনিট আগে
‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার সাফল্যের পর ক্রিস্টোফার নোলান নজর দিয়েছেন গ্রিক মহাকাব্যে। গ্রিক কবি হোমারের ‘দ্য ওডিসি’ মহাকাব্য তুলে আনছেন পর্দায়। হাজার হাজার বছর ধরে যে গল্প মানুষ মনে রেখেছে, যেসব চরিত্র রহস্য-রোমান্সের অনুভূতি জাগিয়েছে; সেই গল্প ও চরিত্ররা কতটা জীবন্ত হয়ে ধরা পড়বে ক্যামেরায়...
২৮ মিনিট আগে
গত আগস্টে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয় ধারাবাহিক নাটক ‘তেল ছাড়া পরোটা’। সমাজের নীতিবান ও নীতিহীন মানুষের গল্পে ধারাবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার। দেখতে দেখতে শত পর্বের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নাটকটি। আজ রাত ৮টায় প্রচার হবে তেল ছাড়া পরোটা ধারাবাহিকের ১০০তম পর্ব।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় ঈদ, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবার বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামীকাল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আজ ২৪ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। বড়দিনকে ঘিরে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধে মানুষের জীবনকে আলোকিত করার প্রয়াসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় থাকছে সংগীত, ক্যারল সং ও কীর্তন পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন তেজগাঁও চার্চ কয়্যার শিল্পীরা। পরিবেশনায় অংশ নেবেন ক্রিস্টোফার গোমেজ, দিলীপ মন্ডল, বিজয় গোমেজ, রেক্সোনা মন্ডল, জয়া গোমেজ, বিভা গোমেজ, সুভাষ পিরিচ প্রমুখ। সংগীত পরিবেশন করবেন জুলিয়েট সুস্মিতা বাড়ৈ। ব্যান্ডসংগীত নিয়ে মঞ্চে আসবে ব্যান্ড গেৎশিমানী ওরশিপ ও এফ মাইনর। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৩০ মার্চ একাডেমির নন্দনমঞ্চে চাঁদরাতের আনন্দ অনুষ্ঠান, বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ১০ মে একাডেমির নন্দনমঞ্চসহ ৬টি জেলায় সাংস্কৃতিক উৎসব, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ জুন নন্দনমঞ্চে আনন্দ উৎসব, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩০ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ১ অক্টোবর একাডেমির নন্দনমঞ্চে দুই দিনব্যাপী শারদীয় সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়।

অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় ঈদ, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবার বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামীকাল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আজ ২৪ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। বড়দিনকে ঘিরে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধে মানুষের জীবনকে আলোকিত করার প্রয়াসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় থাকছে সংগীত, ক্যারল সং ও কীর্তন পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন তেজগাঁও চার্চ কয়্যার শিল্পীরা। পরিবেশনায় অংশ নেবেন ক্রিস্টোফার গোমেজ, দিলীপ মন্ডল, বিজয় গোমেজ, রেক্সোনা মন্ডল, জয়া গোমেজ, বিভা গোমেজ, সুভাষ পিরিচ প্রমুখ। সংগীত পরিবেশন করবেন জুলিয়েট সুস্মিতা বাড়ৈ। ব্যান্ডসংগীত নিয়ে মঞ্চে আসবে ব্যান্ড গেৎশিমানী ওরশিপ ও এফ মাইনর। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৩০ মার্চ একাডেমির নন্দনমঞ্চে চাঁদরাতের আনন্দ অনুষ্ঠান, বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ১০ মে একাডেমির নন্দনমঞ্চসহ ৬টি জেলায় সাংস্কৃতিক উৎসব, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ জুন নন্দনমঞ্চে আনন্দ উৎসব, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩০ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ১ অক্টোবর একাডেমির নন্দনমঞ্চে দুই দিনব্যাপী শারদীয় সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়।

আলাপ শুরুর আগে, একটু হেসে, বলে নিলেন, ‘যদি কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যাই জাগিয়ে দেবেন।’ ১৫ নভেম্বরের ভরসন্ধ্যায় কেন তাঁকে এমন ঘুমে পেয়ে বসেছিলো, সেটার ব্যাখ্যাও দিলেন, ‘আজকে ভোর সাড়ে চারটায় প্রেমেন (প্রেমেন্দ্র মজুমদার, চলচ্চিত্র সমালোচক) আমাকে ফোন করেছে।
১০ জুন ২০২১
২০১৯ সালে তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় ‘ন’ডরাই’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সুনেরাহ বিনতে কামালের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জেতেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ওটিটি, সিনেমা ও টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করলেও তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় আর দেখা যায়নি সুনেরাহকে।
১৪ মিনিট আগে
‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার সাফল্যের পর ক্রিস্টোফার নোলান নজর দিয়েছেন গ্রিক মহাকাব্যে। গ্রিক কবি হোমারের ‘দ্য ওডিসি’ মহাকাব্য তুলে আনছেন পর্দায়। হাজার হাজার বছর ধরে যে গল্প মানুষ মনে রেখেছে, যেসব চরিত্র রহস্য-রোমান্সের অনুভূতি জাগিয়েছে; সেই গল্প ও চরিত্ররা কতটা জীবন্ত হয়ে ধরা পড়বে ক্যামেরায়...
২৮ মিনিট আগে
গত আগস্টে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয় ধারাবাহিক নাটক ‘তেল ছাড়া পরোটা’। সমাজের নীতিবান ও নীতিহীন মানুষের গল্পে ধারাবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার। দেখতে দেখতে শত পর্বের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নাটকটি। আজ রাত ৮টায় প্রচার হবে তেল ছাড়া পরোটা ধারাবাহিকের ১০০তম পর্ব।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার সাফল্যের পর ক্রিস্টোফার নোলান নজর দিয়েছেন গ্রিক মহাকাব্যে। গ্রিক কবি হোমারের ‘দ্য ওডিসি’ মহাকাব্য তুলে আনছেন পর্দায়। হাজার হাজার বছর ধরে যে গল্প মানুষ মনে রেখেছে, যেসব চরিত্র রহস্য-রোমান্সের অনুভূতি জাগিয়েছে; সেই গল্প ও চরিত্ররা কতটা জীবন্ত হয়ে ধরা পড়বে ক্যামেরায়, তা নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল ছিল। অবশেষে দ্য ওডিসির ট্রেলার প্রকাশ করল ইউনিভার্সাল পিকচার্স। প্রায় দুই মিনিটের এ ট্রেলার রীতিমতো ঝড় তুলেছে বিশ্বজুড়ে। এ যেন সত্যিই এক মহাকাব্যিক নির্মাণ!
দ্য ওডিসি তৈরি হয়েছে ওডিসিয়াসের নিজ ভূমিতে ফেরার রোমহর্ষক সংগ্রাম নিয়ে। গ্রিসের এক ছোট দ্বীপ ইথাকার রাজা ছিলেন ওডিসিয়াস। ট্রোজান যুদ্ধ শুরু হলে ওডিসিয়াসকে সেই যুদ্ধে অংশ নিতে হয়। একটানা ১০ বছর চলে সেই যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পথে ঝড়ের মুখে পড়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ওডিসিয়াস। পথভ্রষ্ট হয়ে সে সাগরের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের মানুষ, জন্তু-জানোয়ার এবং দেব-দেবীর মুখোমুখি হয়। ভয়ংকর সব বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু নিজের বুদ্ধি, সাহস এবং শক্তি দিয়ে সকল বিপদ পেরিয়ে প্রায় ২০ বছর পর বিজয়ী হিসেবে নিজ দেশে ফেরে ওডিসিয়াস।
দ্য ওডিসির ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যায় ট্রয় যুদ্ধের ময়দানে পড়ে থাকা শত শত সমাধির দৃশ্য। বাড়ি ফেরার জন্য সৈন্য বাহিনী নিয়ে রওনা দেয় ওডিসিয়াস। বিপৎসংকুল সমুদ্রযাত্রা, পথে শত্রুদের হানা, কখনো তীব্র ঝড়, ভুল দ্বীপে গিয়ে ওঠা, নতুন নতুন বিপদ—সবকিছুই ক্যামেরায় নিখুঁতভাবে তুলে এনেছেন ক্রিস্টোফার নোলান!
সিনেমার মুখ্য চরিত্র ওডিসিয়াসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন। ট্রেলারের প্রায় পুরোটা জুড়ে তাঁর উপস্থিতি। কয়েক ঝলক দেখা গেল ওডিসিয়াসের ছেলে টেলিমাকাস চরিত্রে টম হল্যান্ড এবং ওডিসিয়াসের স্ত্রী পেনেলোপের চরিত্রে অ্যান হ্যাথাওয়েকে। আরও অভিনয় করেছেন রবার্ট প্যাটিনসন, জেন্ডায়া, শার্লিজ থেরন, মিয়া গোথ, বেনি সাফডি, জন বার্নথাল প্রমুখ। তবে ট্রেলারে তাঁদের দেখা যায়নি।
দ্য ওডিসি সিনেমায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন আইম্যাক্স ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন ক্রিস্টোফার নোলান। ২০ লাখ ফুট ফিল্ম খরচ করেছেন গল্পটি তুলে আনতে।
বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৭ জুলাই।

‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার সাফল্যের পর ক্রিস্টোফার নোলান নজর দিয়েছেন গ্রিক মহাকাব্যে। গ্রিক কবি হোমারের ‘দ্য ওডিসি’ মহাকাব্য তুলে আনছেন পর্দায়। হাজার হাজার বছর ধরে যে গল্প মানুষ মনে রেখেছে, যেসব চরিত্র রহস্য-রোমান্সের অনুভূতি জাগিয়েছে; সেই গল্প ও চরিত্ররা কতটা জীবন্ত হয়ে ধরা পড়বে ক্যামেরায়, তা নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল ছিল। অবশেষে দ্য ওডিসির ট্রেলার প্রকাশ করল ইউনিভার্সাল পিকচার্স। প্রায় দুই মিনিটের এ ট্রেলার রীতিমতো ঝড় তুলেছে বিশ্বজুড়ে। এ যেন সত্যিই এক মহাকাব্যিক নির্মাণ!
দ্য ওডিসি তৈরি হয়েছে ওডিসিয়াসের নিজ ভূমিতে ফেরার রোমহর্ষক সংগ্রাম নিয়ে। গ্রিসের এক ছোট দ্বীপ ইথাকার রাজা ছিলেন ওডিসিয়াস। ট্রোজান যুদ্ধ শুরু হলে ওডিসিয়াসকে সেই যুদ্ধে অংশ নিতে হয়। একটানা ১০ বছর চলে সেই যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পথে ঝড়ের মুখে পড়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ওডিসিয়াস। পথভ্রষ্ট হয়ে সে সাগরের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের মানুষ, জন্তু-জানোয়ার এবং দেব-দেবীর মুখোমুখি হয়। ভয়ংকর সব বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু নিজের বুদ্ধি, সাহস এবং শক্তি দিয়ে সকল বিপদ পেরিয়ে প্রায় ২০ বছর পর বিজয়ী হিসেবে নিজ দেশে ফেরে ওডিসিয়াস।
দ্য ওডিসির ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যায় ট্রয় যুদ্ধের ময়দানে পড়ে থাকা শত শত সমাধির দৃশ্য। বাড়ি ফেরার জন্য সৈন্য বাহিনী নিয়ে রওনা দেয় ওডিসিয়াস। বিপৎসংকুল সমুদ্রযাত্রা, পথে শত্রুদের হানা, কখনো তীব্র ঝড়, ভুল দ্বীপে গিয়ে ওঠা, নতুন নতুন বিপদ—সবকিছুই ক্যামেরায় নিখুঁতভাবে তুলে এনেছেন ক্রিস্টোফার নোলান!
সিনেমার মুখ্য চরিত্র ওডিসিয়াসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন। ট্রেলারের প্রায় পুরোটা জুড়ে তাঁর উপস্থিতি। কয়েক ঝলক দেখা গেল ওডিসিয়াসের ছেলে টেলিমাকাস চরিত্রে টম হল্যান্ড এবং ওডিসিয়াসের স্ত্রী পেনেলোপের চরিত্রে অ্যান হ্যাথাওয়েকে। আরও অভিনয় করেছেন রবার্ট প্যাটিনসন, জেন্ডায়া, শার্লিজ থেরন, মিয়া গোথ, বেনি সাফডি, জন বার্নথাল প্রমুখ। তবে ট্রেলারে তাঁদের দেখা যায়নি।
দ্য ওডিসি সিনেমায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন আইম্যাক্স ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন ক্রিস্টোফার নোলান। ২০ লাখ ফুট ফিল্ম খরচ করেছেন গল্পটি তুলে আনতে।
বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৭ জুলাই।

আলাপ শুরুর আগে, একটু হেসে, বলে নিলেন, ‘যদি কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যাই জাগিয়ে দেবেন।’ ১৫ নভেম্বরের ভরসন্ধ্যায় কেন তাঁকে এমন ঘুমে পেয়ে বসেছিলো, সেটার ব্যাখ্যাও দিলেন, ‘আজকে ভোর সাড়ে চারটায় প্রেমেন (প্রেমেন্দ্র মজুমদার, চলচ্চিত্র সমালোচক) আমাকে ফোন করেছে।
১০ জুন ২০২১
২০১৯ সালে তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় ‘ন’ডরাই’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সুনেরাহ বিনতে কামালের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জেতেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ওটিটি, সিনেমা ও টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করলেও তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় আর দেখা যায়নি সুনেরাহকে।
১৪ মিনিট আগে
অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় ঈদ, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবার বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামীকাল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন।
২০ মিনিট আগে
গত আগস্টে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয় ধারাবাহিক নাটক ‘তেল ছাড়া পরোটা’। সমাজের নীতিবান ও নীতিহীন মানুষের গল্পে ধারাবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার। দেখতে দেখতে শত পর্বের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নাটকটি। আজ রাত ৮টায় প্রচার হবে তেল ছাড়া পরোটা ধারাবাহিকের ১০০তম পর্ব।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত আগস্টে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয় ধারাবাহিক নাটক ‘তেল ছাড়া পরোটা’। সমাজের নীতিবান ও নীতিহীন মানুষের গল্পে ধারাবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার। দেখতে দেখতে শত পর্বের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নাটকটি। আজ রাত ৮টায় প্রচার হবে তেল ছাড়া পরোটা ধারাবাহিকের ১০০তম পর্ব।
তেল ছাড়া পরোটা নাটকের গল্পে দেখা যায় একটি পরিবার একসময় তিলের খাজার ব্যবসা করত। এখন তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতাবানদের তোষামোদ করে বিশাল ব্যবসা গড়ে তুলেছে। তাদের ব্যবসা সরিষার তেল, নারকেল তেলের। এমনকি জ্বালানি তেল পেট্রলের ব্যবসাও আছে। তাদের কোম্পানির নাম তিলের খাজা অয়েল মিল কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে, রয়েছে আরেক পরিবার, যারা সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তোষামোদ নয়, তারা নিজেদের নীতিতেই বিশ্বাসী। এই দুই পরিবারের মধ্যকার সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও সামাজিক সংঘাত নিয়েই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।
নির্মাতা বলেন, ‘সমাজে একদল মানুষ আছে, যারা বিশ্বাস করে, উন্নতি করতে হলে সমাজে যারা ক্ষমতাবান, তাদের তেল দিয়ে চলতে হয়। অন্যদিকে আরেক দল মানুষ আছে, যারা কাউকে তোষামোদ করতে পছন্দ করে না। এসব কারণে অনেক প্রতিভাবান হারিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি মানুষ হিসেবে আমাকে যন্ত্রণা দেয়। সেই যন্ত্রণা থেকে গল্পের শুরু। এরপর নানাভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী গল্প এগিয়ে গেছে।’
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, কচি খন্দকার, রোবেনা রেজা জুঁই, সুজাত শিমুল, অনিক, আব্দুল্লাহ রানা, মিলি বাসার প্রমুখ।
গত মাসে নির্মাতা কচি খন্দকার জানিয়েছিলেন, ১০০ পর্ব থেকে ধারাবাহিকের গল্পে আসবে নতুন চমক। সেই চমকের অংশ হিসেবে ধারাবাহিকে যুক্ত হবেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। এতে মোশাররফ করিমকে দেখা যাবে তেল কোম্পানির মালিকানা হারিয়ে সংগ্রাম করা এক চরিত্রে। মূলত তেল কোম্পানি থেকে তাঁর অংশ দখল হয়ে যায়।

গত আগস্টে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয় ধারাবাহিক নাটক ‘তেল ছাড়া পরোটা’। সমাজের নীতিবান ও নীতিহীন মানুষের গল্পে ধারাবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার। দেখতে দেখতে শত পর্বের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নাটকটি। আজ রাত ৮টায় প্রচার হবে তেল ছাড়া পরোটা ধারাবাহিকের ১০০তম পর্ব।
তেল ছাড়া পরোটা নাটকের গল্পে দেখা যায় একটি পরিবার একসময় তিলের খাজার ব্যবসা করত। এখন তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতাবানদের তোষামোদ করে বিশাল ব্যবসা গড়ে তুলেছে। তাদের ব্যবসা সরিষার তেল, নারকেল তেলের। এমনকি জ্বালানি তেল পেট্রলের ব্যবসাও আছে। তাদের কোম্পানির নাম তিলের খাজা অয়েল মিল কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে, রয়েছে আরেক পরিবার, যারা সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তোষামোদ নয়, তারা নিজেদের নীতিতেই বিশ্বাসী। এই দুই পরিবারের মধ্যকার সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও সামাজিক সংঘাত নিয়েই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।
নির্মাতা বলেন, ‘সমাজে একদল মানুষ আছে, যারা বিশ্বাস করে, উন্নতি করতে হলে সমাজে যারা ক্ষমতাবান, তাদের তেল দিয়ে চলতে হয়। অন্যদিকে আরেক দল মানুষ আছে, যারা কাউকে তোষামোদ করতে পছন্দ করে না। এসব কারণে অনেক প্রতিভাবান হারিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি মানুষ হিসেবে আমাকে যন্ত্রণা দেয়। সেই যন্ত্রণা থেকে গল্পের শুরু। এরপর নানাভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী গল্প এগিয়ে গেছে।’
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, কচি খন্দকার, রোবেনা রেজা জুঁই, সুজাত শিমুল, অনিক, আব্দুল্লাহ রানা, মিলি বাসার প্রমুখ।
গত মাসে নির্মাতা কচি খন্দকার জানিয়েছিলেন, ১০০ পর্ব থেকে ধারাবাহিকের গল্পে আসবে নতুন চমক। সেই চমকের অংশ হিসেবে ধারাবাহিকে যুক্ত হবেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। এতে মোশাররফ করিমকে দেখা যাবে তেল কোম্পানির মালিকানা হারিয়ে সংগ্রাম করা এক চরিত্রে। মূলত তেল কোম্পানি থেকে তাঁর অংশ দখল হয়ে যায়।

আলাপ শুরুর আগে, একটু হেসে, বলে নিলেন, ‘যদি কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যাই জাগিয়ে দেবেন।’ ১৫ নভেম্বরের ভরসন্ধ্যায় কেন তাঁকে এমন ঘুমে পেয়ে বসেছিলো, সেটার ব্যাখ্যাও দিলেন, ‘আজকে ভোর সাড়ে চারটায় প্রেমেন (প্রেমেন্দ্র মজুমদার, চলচ্চিত্র সমালোচক) আমাকে ফোন করেছে।
১০ জুন ২০২১
২০১৯ সালে তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় ‘ন’ডরাই’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সুনেরাহ বিনতে কামালের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জেতেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ওটিটি, সিনেমা ও টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করলেও তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় আর দেখা যায়নি সুনেরাহকে।
১৪ মিনিট আগে
অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় ঈদ, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবার বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামীকাল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন।
২০ মিনিট আগে
‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার সাফল্যের পর ক্রিস্টোফার নোলান নজর দিয়েছেন গ্রিক মহাকাব্যে। গ্রিক কবি হোমারের ‘দ্য ওডিসি’ মহাকাব্য তুলে আনছেন পর্দায়। হাজার হাজার বছর ধরে যে গল্প মানুষ মনে রেখেছে, যেসব চরিত্র রহস্য-রোমান্সের অনুভূতি জাগিয়েছে; সেই গল্প ও চরিত্ররা কতটা জীবন্ত হয়ে ধরা পড়বে ক্যামেরায়...
২৮ মিনিট আগে