ফজলুল কবির

রূপকথার দিন ফুরিয়ে যায়। রূপকথা যেন কোন সুদূর অতীতের বিষয়-আশয়, যার কথা বলে বলে হা-পিত্যেশ করা যায়। চোখে মায়াঞ্জন না থাকলে অরূপ দুনিয়ায় রূপের কথা ফুরিয়ে যায়, যেতে বাধ্য। এ কারণেই সব সোনালি সময় ভর করে থাকে অতীতের ঘাড়ে। এটাই নিয়ম যেন। যেমনটা শোনা যায় এ দেশের নানা বিষয় নিয়ে, সে সিনেমা হোক বা ভাঁড়ার।
সিনেমার কথা উঠলেই কয়েক দশক পেছনে ফিরে যাওয়াটাই যেন নিয়ম। ‘আহ, কিছু হচ্ছে না’ বলে শুরু করাটাই যেন একমাত্র চল। এই চলে একটা হাওয়া অন্তত দিয়ে গেল ‘হাওয়া’। বদলের কি-না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না অবশ্য।
তাহলে একটু শুরু থেকে শুরু করা যাক। দিনটি ছিল, ‘শুভ শনিবার’। কেউ চমকালে কিছু করার নেই। তবে অবিশ্বাসীদের জন্য বলে রাখাই যায় যে, শনিবার শনি হয়ে নয়, কারও কারও কাছে ছুটিবার হয়ে শুভ হিসেবে ধরা দেয়।
গত শনিবার ছিল হাওয়া বইতে শুরু করার পর নবম দিন। প্রথম কয়েক দিন বিভিন্ন দিক থেকেই ‘হাউসফুল’ আওয়াজ আসছিল। একই আওয়াজ দিয়েছে কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’-ও। দুটিরই টিকিট পাওয়া নাকি দুষ্কর। তাই ‘সিনেমা দেখব’ ভাবনা নিয়েই সবান্ধব বের হওয়া। উদ্দেশ্য—হাওয়া বা পরাণ, যেটার টিকিট পাওয়া যায়, সেটাই সই। সময়টা বিকেল। লক্ষ্য—মতিঝিল মধুমিতা হল।
এদিকে বাস-গাড়ি বেশ কম। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যে যখন ‘পরাণ’ ওষ্ঠাগত, তখনই আগের দিন; অর্থাৎ, শুক্রবার (৫ আগস্ট) সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল। পথে তার ধক দেখা গেল। তোপখানা রোড ধরে পুরানা পল্টন পর্যন্ত স্লোগানে মুখর। এসব দেখে-শুনে মনে যা-ই আসুক, কণ্ঠে যা-ই ভিড় করুক, ছুটিবার তবু সিনেমার দিকেই হাঁটে। এই হাঁটা যে শেষ পর্যন্ত মন্দ হয়নি, তা মধুমিতাই বলে দিয়েছে।
কৈশোরের মধুমিতা হল যেন হঠাৎ করেই ফিরে এসেছে। ‘হাওয়া’ বইছে মধুমিতায়। ‘পরাণ’ অন্য হলে। হলের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই পাশ ঘেঁষে একজন চলে গেল চাপা কণ্ঠে ‘ডিসি, ডিসি’ করতে করতে। একটু তাকাতেই হাতের মুঠো আলগা করে দেখিয়ে দিলেন টিকিটের তাড়া। তাঁকে উপেক্ষা করে সামনে এগোতেই দেখা গেল বন্ধ কাউন্টারের সামনে টিকিটের কিউ সাপ হবে হবে করছে। সেখানে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই আরেকজন পাশ ঘেঁষে চলে গেলেন। একই বুলি—ডিসি ডিসি। একজন পাশ থেকে প্রশ্ন করলেন, কত? উত্তর এল—৩০০। শুনেই সামনে তাকালাম। কাউন্টারের ওপরে বড় করে লেখা ১৫০।
কেমন ঘাবড়ে যেতে হলো। কিন্তু একটা কি ভালো লাগাও দোলা দিল? টিকিট ব্ল্যাকের মতো অন্যায় দেখে ভালো লাগা! স্বীকার করতেই হবে, কিছুটা ভালো লেগেছে। হলগুলোর দুর্দিন তো চোখের সামনেই এসেছিল। ব্ল্যাকারদের বিমর্ষ হতে হতে হারিয়ে যেতে দেখা এই চোখ হঠাৎ তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে সিনেমারই ফিরে আসার নিদর্শন খুঁজেছে হয়তো। অপরাধ মার্জনা হোক।
খোঁজ নিয়ে ঘাম ছুটে গেল। টিকিট নেই সত্যি। অগত্যা, আরেকজন পাশ ঘেঁষে যাওয়া লোকের সঙ্গে কথা বলতেই হলো।
সিনেমা শুরুর কয়েক মিনিট পর হলে ঢোকা গেল। শুরুটা মিস হয়েছে। হলভর্তি মানুষ। ভুল সিটে বসে একবার সিট পাল্টানো কিছুটা বিরক্তি উৎপাদন করল। হাওয়ার দৃশ্যরূপ, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান কিংবা একজন হাশিম মাহমুদ তো এখন সবার মুখে মুখে। কিংবা চঞ্চল চৌধুরী, সুমন আনোয়ার, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডলসহ সবার অভিনয় নিয়ে কথা হয়েছে বিস্তর।
অনেকেই ‘হাওয়া’-কে ১০০-তে লাখ নম্বর দিতে প্রস্তুত। অনেকে কিছুটা সমালোচনা করে ছাড় দিয়েছেন। কেউ বলছেন, একটা গোটা জলজ সিনেমা বানানো মুখের কথা নয়। মেজবাউর রহমান সুমন প্রশংসায় ভাসছেন। এই সব দৃশ্য পাশ কাটিয়ে হাওয়া মাখা যাক।
হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই শুধু তার গোপন দুয়ার খোলা। নৈকট্যের আলাপে যে শুরুতেই ইঞ্জিনম্যানকে জানায়, দেবীর আদেশেই সে এসেছে। কে এই দেবী? ‘মা মনসা’ নয়তো?
না, শুধু মনসামঙ্গলের কথাই স্মরণ করায় না হাওয়া। বহুল পঠিত ‘অ্যানশিয়েন্ট মেরিনার’-এর কথাও সে মনে করিয়ে দেয়, যখন ডাঙা না পেয়ে ফিরে আসা পাখিটি পুড়িয়ে খেয়ে ফেলা হয়, যখন পাল ভেঙে হুড়মুড় করে পড়ে যায়, যখন পানির অভাব প্রকট হয়ে দেখা দেয়, যখন পার্কেস দূরে জাহাজ দেখার ভ্রমে সাগরের অসীমে সাঁতরে চলে যায়। এর সঙ্গে আছে এই সময়ের সঙ্গে মিল রেখে প্রেম ও যৌনতার ভিন্নধর্মী উপস্থাপন, আছে নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির মঞ্চায়ন। এই সবই চমৎকার। তবু একটা কিন্তু থেকে যায়। সেটা কী?
হাওয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের কথা আগেই বলা হয়েছে। কস্টিউম ডিজাইনার একটা বড় বাহবা পেতেই পারেন। শুধু নাজিফা তুষির এক কাপড়ের অমলিন দশা একটা খচখচানি রেখে দেয়। শিল্প নির্দেশনা লেটার মার্কের বেশিই পাবে। তাহলে কিন্তুটা কোথায়? কিন্তুটা গল্পের বুনট নিয়ে। সেই বোবা মেয়েটার মুখে বুলি ফোটাতে হয়েছে শুধু তার প্রতিশোধস্পৃহার কার্যকারণ বর্ণনার জন্যই। অথচ প্রতিশোধের গল্পের বয়ান অনায়াসে অপরাধের কিছু দৃশ্যরূপের মাধ্যমেই হয়তো ফুটিয়ে তোলা যেত, বিশেষত যেহেতু বর্ণনা অনুযায়ী অপরাধের সংঘটনস্থলও সাগরই। ফলে শুধু জলজ পরিবেশে একটি আস্ত সিনেমা নির্মাণের লক্ষ্যের সঙ্গে তা খুব একটা সাংঘর্ষিক হতো না। রয়েছে আরেকটা বড় কিন্তু। অপরাধ তো করেছিল চাঁন ডাকাত, যে এখন চাঁন মাঝি। তাহলে তার সঙ্গীদের এমন করুণ পরিণতির কারণ কী? সেটা কি শুধুই কামুক পুরুষদের প্রতি একজন প্রতীকী নারীর প্রতিশোধ? তেমনটা হলে, তা কিন্তু সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
যাক, এসব কাটাছেঁড়া, এগুলো সিনেমা বোদ্ধারা করাই ভালো। বরং ভালো লাগার গল্পে ফেরা যাক। সিনেমা হলে একটু একটু পরপর সিটি বেজেছে, কখনো কখনো হয়তো না বুঝেই সিটি বাজিয়েছেন কেউ। পাশে বসা দুই ভদ্রলোকের ক্রমাগত বিশ্লেষণ মনোযোগের বারোটা বাজিয়েছে। এই সব একই সঙ্গে বিরক্তি ও ভালো লাগা দুই-ই উৎপাদন করেছে। এই ভালো লাগার ক্ষণটি নির্মাণের কৃতিত্ব হাওয়া-কে দিতেই হবে।
কে নায়ক—হলের ভেতর এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়িয়েছে হর-হামেশাই। পর্দায় চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতি তাঁকে নায়ক ভাবতে বাধ্য করলেও তাঁর চরিত্র আবার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে অনেকের মধ্যেই। পাশে বসা বোদ্ধা দুই দর্শক একটু পরপরই এ নিয়ে আলাপে মেতেছেন। বোঝা গেছে, হাওয়া-এর মতো সিনেমা দেখে তাঁরা অভ্যস্ত নন। তাহলে কেন এলেন তাঁরা হলে? নিশ্চিতভাবেই হাওয়ার সজোর প্রচার এর বড় কারণ। হাওয়া সিনেমা এর প্রচার-কৌশলের কারণেও দারুণ নম্বর দাবি করতে পারে, যার অভাবে বাংলা সিনেমা বহু দিন ভুগেছে। সঙ্গে ছিল হলে যেতে চাওয়া, কিন্তু জুতমতো কনটেন্ট খুঁজে না পাওয়া শহুরে মধ্যবিত্তের উদ্গ্রীব অপেক্ষার তাল। বলে রাখা ভালো—শহুরে মধ্যবিত্তের কনটেন্ট না পাওয়ার আক্ষেপ কোনো দিন মিটে গেলে, ব্ল্যাকারদের দেখে শুধু বিরক্তিই যেদিন উৎপাদন হবে, সেদিনই হবে হাওয়ার মতো সিনেমার আসল পরীক্ষা। সে জন্য হাওয়াকে মৌসুমি হলে চলবে না।
সব মিলিয়ে মেজবাউর রহমান সুমন ও তাঁর পুরো দল হাওয়াকে যেভাবে বইয়েছেন, তাতে সাধুবাদ পেতেই পারেন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, এ যেন মৌসুমি হাওয়া না হয়।

রূপকথার দিন ফুরিয়ে যায়। রূপকথা যেন কোন সুদূর অতীতের বিষয়-আশয়, যার কথা বলে বলে হা-পিত্যেশ করা যায়। চোখে মায়াঞ্জন না থাকলে অরূপ দুনিয়ায় রূপের কথা ফুরিয়ে যায়, যেতে বাধ্য। এ কারণেই সব সোনালি সময় ভর করে থাকে অতীতের ঘাড়ে। এটাই নিয়ম যেন। যেমনটা শোনা যায় এ দেশের নানা বিষয় নিয়ে, সে সিনেমা হোক বা ভাঁড়ার।
সিনেমার কথা উঠলেই কয়েক দশক পেছনে ফিরে যাওয়াটাই যেন নিয়ম। ‘আহ, কিছু হচ্ছে না’ বলে শুরু করাটাই যেন একমাত্র চল। এই চলে একটা হাওয়া অন্তত দিয়ে গেল ‘হাওয়া’। বদলের কি-না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না অবশ্য।
তাহলে একটু শুরু থেকে শুরু করা যাক। দিনটি ছিল, ‘শুভ শনিবার’। কেউ চমকালে কিছু করার নেই। তবে অবিশ্বাসীদের জন্য বলে রাখাই যায় যে, শনিবার শনি হয়ে নয়, কারও কারও কাছে ছুটিবার হয়ে শুভ হিসেবে ধরা দেয়।
গত শনিবার ছিল হাওয়া বইতে শুরু করার পর নবম দিন। প্রথম কয়েক দিন বিভিন্ন দিক থেকেই ‘হাউসফুল’ আওয়াজ আসছিল। একই আওয়াজ দিয়েছে কাছাকাছি সময়ে মুক্তি পাওয়া ‘পরাণ’-ও। দুটিরই টিকিট পাওয়া নাকি দুষ্কর। তাই ‘সিনেমা দেখব’ ভাবনা নিয়েই সবান্ধব বের হওয়া। উদ্দেশ্য—হাওয়া বা পরাণ, যেটার টিকিট পাওয়া যায়, সেটাই সই। সময়টা বিকেল। লক্ষ্য—মতিঝিল মধুমিতা হল।
এদিকে বাস-গাড়ি বেশ কম। ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্যে যখন ‘পরাণ’ ওষ্ঠাগত, তখনই আগের দিন; অর্থাৎ, শুক্রবার (৫ আগস্ট) সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল। পথে তার ধক দেখা গেল। তোপখানা রোড ধরে পুরানা পল্টন পর্যন্ত স্লোগানে মুখর। এসব দেখে-শুনে মনে যা-ই আসুক, কণ্ঠে যা-ই ভিড় করুক, ছুটিবার তবু সিনেমার দিকেই হাঁটে। এই হাঁটা যে শেষ পর্যন্ত মন্দ হয়নি, তা মধুমিতাই বলে দিয়েছে।
কৈশোরের মধুমিতা হল যেন হঠাৎ করেই ফিরে এসেছে। ‘হাওয়া’ বইছে মধুমিতায়। ‘পরাণ’ অন্য হলে। হলের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই পাশ ঘেঁষে একজন চলে গেল চাপা কণ্ঠে ‘ডিসি, ডিসি’ করতে করতে। একটু তাকাতেই হাতের মুঠো আলগা করে দেখিয়ে দিলেন টিকিটের তাড়া। তাঁকে উপেক্ষা করে সামনে এগোতেই দেখা গেল বন্ধ কাউন্টারের সামনে টিকিটের কিউ সাপ হবে হবে করছে। সেখানে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই আরেকজন পাশ ঘেঁষে চলে গেলেন। একই বুলি—ডিসি ডিসি। একজন পাশ থেকে প্রশ্ন করলেন, কত? উত্তর এল—৩০০। শুনেই সামনে তাকালাম। কাউন্টারের ওপরে বড় করে লেখা ১৫০।
কেমন ঘাবড়ে যেতে হলো। কিন্তু একটা কি ভালো লাগাও দোলা দিল? টিকিট ব্ল্যাকের মতো অন্যায় দেখে ভালো লাগা! স্বীকার করতেই হবে, কিছুটা ভালো লেগেছে। হলগুলোর দুর্দিন তো চোখের সামনেই এসেছিল। ব্ল্যাকারদের বিমর্ষ হতে হতে হারিয়ে যেতে দেখা এই চোখ হঠাৎ তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে সিনেমারই ফিরে আসার নিদর্শন খুঁজেছে হয়তো। অপরাধ মার্জনা হোক।
খোঁজ নিয়ে ঘাম ছুটে গেল। টিকিট নেই সত্যি। অগত্যা, আরেকজন পাশ ঘেঁষে যাওয়া লোকের সঙ্গে কথা বলতেই হলো।
সিনেমা শুরুর কয়েক মিনিট পর হলে ঢোকা গেল। শুরুটা মিস হয়েছে। হলভর্তি মানুষ। ভুল সিটে বসে একবার সিট পাল্টানো কিছুটা বিরক্তি উৎপাদন করল। হাওয়ার দৃশ্যরূপ, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ইত্যাদি নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গান কিংবা একজন হাশিম মাহমুদ তো এখন সবার মুখে মুখে। কিংবা চঞ্চল চৌধুরী, সুমন আনোয়ার, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডলসহ সবার অভিনয় নিয়ে কথা হয়েছে বিস্তর।
অনেকেই ‘হাওয়া’-কে ১০০-তে লাখ নম্বর দিতে প্রস্তুত। অনেকে কিছুটা সমালোচনা করে ছাড় দিয়েছেন। কেউ বলছেন, একটা গোটা জলজ সিনেমা বানানো মুখের কথা নয়। মেজবাউর রহমান সুমন প্রশংসায় ভাসছেন। এই সব দৃশ্য পাশ কাটিয়ে হাওয়া মাখা যাক।
হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই শুধু তার গোপন দুয়ার খোলা। নৈকট্যের আলাপে যে শুরুতেই ইঞ্জিনম্যানকে জানায়, দেবীর আদেশেই সে এসেছে। কে এই দেবী? ‘মা মনসা’ নয়তো?
না, শুধু মনসামঙ্গলের কথাই স্মরণ করায় না হাওয়া। বহুল পঠিত ‘অ্যানশিয়েন্ট মেরিনার’-এর কথাও সে মনে করিয়ে দেয়, যখন ডাঙা না পেয়ে ফিরে আসা পাখিটি পুড়িয়ে খেয়ে ফেলা হয়, যখন পাল ভেঙে হুড়মুড় করে পড়ে যায়, যখন পানির অভাব প্রকট হয়ে দেখা দেয়, যখন পার্কেস দূরে জাহাজ দেখার ভ্রমে সাগরের অসীমে সাঁতরে চলে যায়। এর সঙ্গে আছে এই সময়ের সঙ্গে মিল রেখে প্রেম ও যৌনতার ভিন্নধর্মী উপস্থাপন, আছে নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির মঞ্চায়ন। এই সবই চমৎকার। তবু একটা কিন্তু থেকে যায়। সেটা কী?
হাওয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের কথা আগেই বলা হয়েছে। কস্টিউম ডিজাইনার একটা বড় বাহবা পেতেই পারেন। শুধু নাজিফা তুষির এক কাপড়ের অমলিন দশা একটা খচখচানি রেখে দেয়। শিল্প নির্দেশনা লেটার মার্কের বেশিই পাবে। তাহলে কিন্তুটা কোথায়? কিন্তুটা গল্পের বুনট নিয়ে। সেই বোবা মেয়েটার মুখে বুলি ফোটাতে হয়েছে শুধু তার প্রতিশোধস্পৃহার কার্যকারণ বর্ণনার জন্যই। অথচ প্রতিশোধের গল্পের বয়ান অনায়াসে অপরাধের কিছু দৃশ্যরূপের মাধ্যমেই হয়তো ফুটিয়ে তোলা যেত, বিশেষত যেহেতু বর্ণনা অনুযায়ী অপরাধের সংঘটনস্থলও সাগরই। ফলে শুধু জলজ পরিবেশে একটি আস্ত সিনেমা নির্মাণের লক্ষ্যের সঙ্গে তা খুব একটা সাংঘর্ষিক হতো না। রয়েছে আরেকটা বড় কিন্তু। অপরাধ তো করেছিল চাঁন ডাকাত, যে এখন চাঁন মাঝি। তাহলে তার সঙ্গীদের এমন করুণ পরিণতির কারণ কী? সেটা কি শুধুই কামুক পুরুষদের প্রতি একজন প্রতীকী নারীর প্রতিশোধ? তেমনটা হলে, তা কিন্তু সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
যাক, এসব কাটাছেঁড়া, এগুলো সিনেমা বোদ্ধারা করাই ভালো। বরং ভালো লাগার গল্পে ফেরা যাক। সিনেমা হলে একটু একটু পরপর সিটি বেজেছে, কখনো কখনো হয়তো না বুঝেই সিটি বাজিয়েছেন কেউ। পাশে বসা দুই ভদ্রলোকের ক্রমাগত বিশ্লেষণ মনোযোগের বারোটা বাজিয়েছে। এই সব একই সঙ্গে বিরক্তি ও ভালো লাগা দুই-ই উৎপাদন করেছে। এই ভালো লাগার ক্ষণটি নির্মাণের কৃতিত্ব হাওয়া-কে দিতেই হবে।
কে নায়ক—হলের ভেতর এমন প্রশ্ন ঘুরে বেড়িয়েছে হর-হামেশাই। পর্দায় চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতি তাঁকে নায়ক ভাবতে বাধ্য করলেও তাঁর চরিত্র আবার প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে অনেকের মধ্যেই। পাশে বসা বোদ্ধা দুই দর্শক একটু পরপরই এ নিয়ে আলাপে মেতেছেন। বোঝা গেছে, হাওয়া-এর মতো সিনেমা দেখে তাঁরা অভ্যস্ত নন। তাহলে কেন এলেন তাঁরা হলে? নিশ্চিতভাবেই হাওয়ার সজোর প্রচার এর বড় কারণ। হাওয়া সিনেমা এর প্রচার-কৌশলের কারণেও দারুণ নম্বর দাবি করতে পারে, যার অভাবে বাংলা সিনেমা বহু দিন ভুগেছে। সঙ্গে ছিল হলে যেতে চাওয়া, কিন্তু জুতমতো কনটেন্ট খুঁজে না পাওয়া শহুরে মধ্যবিত্তের উদ্গ্রীব অপেক্ষার তাল। বলে রাখা ভালো—শহুরে মধ্যবিত্তের কনটেন্ট না পাওয়ার আক্ষেপ কোনো দিন মিটে গেলে, ব্ল্যাকারদের দেখে শুধু বিরক্তিই যেদিন উৎপাদন হবে, সেদিনই হবে হাওয়ার মতো সিনেমার আসল পরীক্ষা। সে জন্য হাওয়াকে মৌসুমি হলে চলবে না।
সব মিলিয়ে মেজবাউর রহমান সুমন ও তাঁর পুরো দল হাওয়াকে যেভাবে বইয়েছেন, তাতে সাধুবাদ পেতেই পারেন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, এ যেন মৌসুমি হাওয়া না হয়।

‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৯ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
২১ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
২১ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
২১ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
২১ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৯ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
২১ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৯ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
২১ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
২১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



হাওয়ার গল্প প্রতিশোধের, যেখানে চাঁন মাঝি চাঁদ সওদাগরের কথা স্মরণ করায়। আছে লখাইও, ইঞ্জিনঘরের লোহালক্কড়ে যার বাস। আর বেহুলা? হ্যাঁ, সেও আছে পুরো জাহাজে একমাত্র নারী চরিত্র হিসেবে, বোবার অভিনয় করে বহু পুরুষ বাঁচিয়ে এক প্রিয়জনে নিবেদনের মাধ্যমে। এই প্রিয়র কাছেই শুধু তার সজল বুলির আয়াস। এই একজনের কাছেই
০৯ আগস্ট ২০২২
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৯ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
২১ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
২১ ঘণ্টা আগে