খায়রুল বাসার নির্ঝর

ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান ফিল্ম’ বিদেশি ভাষার সিনেমার ক্ষেত্রে এ নীতিই মেনে চলে একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের যেকোনো দেশ থেকে প্রতিবছর কেবল একটি সিনেমাই পাঠানো যাবে অস্কার মনোনয়নের জন্য। কিন্তু এমন তো নয় যে একটি দেশে বছরে একটিই ভালো সিনেমা হয়! একাধিকও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোনটিকে নির্বাচন করা হবে? এ প্রশ্নটি মাথায় রেখেই পৃথিবীর অনেক দেশে সিলেকশন কমিটির উদ্ভব।
প্রতিবছর সিনেমা আহ্বান করা হয়। যাচাই-বাছাই করে কমিটি সিদ্ধান্ত দেয় কোনটি অস্কারে পাঠানোর উপযোগী। যুক্তরাজ্যে এ কাজটি করে ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এ দায়িত্ব পালন করে ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। আবার ব্রাজিলের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা অন্য রকম। অস্কারে সিনেমা পাঠানো-সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড দেখভাল করে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশেও এ–সংক্রান্ত একটি কমিটি আছে ‘অস্কার বাংলাদেশ কমিটি’। ২০০২ সাল থেকে তারা কাজ করছে। বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের উদ্যোগে ওই বছর তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশি ছবির অস্কারযাত্রা। এই দীর্ঘ সময়ে অস্কারগামী বাংলাদেশি ছবির সংখ্যা ঠেকেছে ১৬ তে।
বাংলাদেশি সিনেমার জন্য এটি অত গৌরবের বিষয় না হলেও একেবারেই ফেলনা নয়। অতীতে অস্কারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা সিনেমার তালিকায় প্রশংসিত কাজ যেমন ছিল, তেমনি এমন অনেক সিনেমা ছিল যেগুলো নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। সমালোচকদের অভিযোগ, তুলনামূলক গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা বাদ পড়েছে।
ফিসফিসানিটা ক্রমেই বাড়ছে। ভারতে তো অস্কার সিলেকশন কমিটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবারই প্রকাশ্যে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজক! প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের অস্কার কমিটি সিনেমা বাছাইকরণ প্রক্রিয়ায় কতখানি স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছে?
হাবিবুর রহমান খান, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিনেমার প্রযোজক। তিনি শুরু থেকেই অস্কার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে বিতর্কের সুযোগ নেই। প্রতিবছর অস্কার কমিটির কাছে আমাদের কমিটির তালিকা পাঠাতে হয়। ওরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়ার পর আমরা কাজটা করি।’
নয় সদস্যের কমিটি। কারা থাকেন এতে? চেয়ারম্যান হিসেবে এ বছরও আছেন হাবিবুর রহমান খান। আরও আছেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সভাপতি আব্দুস সেলিম, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, ফিল্ম এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মূসা দেবু, নির্মাতা শামীমা আক্তার ও আবু সাইয়ীদ।
কে কী বলছেন?
বিতর্ক করার জন্য কিছু লোক তো থাকেই

হাবিবুর রহমান খান চেয়ারম্যান, অস্কার বাংলাদেশ কমিটি
প্রতিবছর অস্কারের মূল কমিটির কাছে আমাদের কমিটির তালিকা পাঠাতে হয়। ওরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়ার পর আমরা কাজটা করি। এখানে আমরা ওদের অ্যাফিলিয়েটেড কমিটি। ইচ্ছা করলেই আমি একটা কমিটি করলাম বা আপনি একটা করলেন—সেটা হবে না। আর বিতর্কের বিষয়ে বলব, বিতর্ক করার জন্য কিছু লোক তো থাকেই। কেউ বিতর্ক করতে চাইলে কিছু করতে পারব আমরা? একটা কথা বলি, এখনকার অনেক স্থপতি আছেন যাঁরা তাজমহলেরও ভুল ধরেন! কীই-বা করার আছে। প্রতিবছর একটা-দুটা-তিনটা করে ছবি জমা পড়ে। অস্কারের আবার বিভিন্ন নিয়মনীতি আছে—কোনটা দেওয়া যাবে, কোনটা যাবে না। সব যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নিই।
একাধিক সিনেমা পাঠানো গেলে ভালো হতো

আবু সাইয়ীদ, অস্কার বাংলাদেশ কমিটির সদস্য, ‘নিরন্তর’ পরিচালক
এটা সত্যি যে, একটা প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি থাকতে হয়। তবে কমিটিতে কে থাকবে, কে থাকবে না এ নিয়ে একাডেমির কোনো মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। এটা যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল বডি নয়, লোকাল বডি; ফলে তার জায়গা থেকে কমিটি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেখান থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। যদি এ রকম হতো, একটা দেশ থেকে দুটি বা তিনটি ছবি যাবে, অস্কারের সাবকমিটি যেকোনো একটা নির্বাচন করবে, তাহলে আরেক রকম হতো। ভারতেও মাঝে মাঝে দেখা যায়, একটা ছবি সাবমিটেড হলে অন্যরা সেটা পছন্দ করে না। এর বাইরে অন্য কোথাও বিষয়টি নিয়ে কোনো বিতর্ক হয় কি না, সেটা জানার তেমন সুযোগ নেই। কারণ, এটা খুবই ছোট একটা বিষয়! তবে আমার মনে হয় একাধিক ছবি পাঠানোর সুযোগ থাকলে জটিলতা কমত।
জয়যাত্রা কিন্তু অস্কারে যায়নি

তৌকীর আহমেদ, ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচালক
এই কমিটির মাধ্যমেই বাংলাদেশি ছবি প্রথম অস্কারে যায়। সময়ের সঙ্গে হয়তো কমিটি আরও অর্গানাইজড হবে। আর সত্যি কথা বলতে কি, আমরা যে খুব ভালো ছবি বানাচ্ছি, তা-ও তো নয়। এখান থেকে যে সিলেকশনটা দেওয়া হয়, এটা একধরনের প্রতিনিধিত্ব। একটা সময়ে আমাদের ছবি মূল পর্বে সিলেক্ট হবে, সে রকম স্বপ্নও আমরা দেখতে পারি। কিন্তু সে রকম ছবি তো নির্মাণ করতে হবে!
আমি তো আগেও ছবি বানিয়েছি, ‘জয়যাত্রা’ [২০০৪] ভীষণ প্রশংসিত ছবি। ‘জয়যাত্রা’ কিন্তু অস্কারে যায়নি। আবার ‘অজ্ঞাতনামা’ পাঠানো হয়েছিল অস্কারে।
এখানে একটা কমিটি কাজ করছে। সিলেকশন যত নিরপেক্ষ হবে, আমাদের জন্য ততই মঙ্গল। আশা করছি সাংগঠনিকভাবে এসব কমিটি আরও দক্ষ হয়ে উঠবে। প্রত্যাশা করি, তাঁরা যেন উপযুক্ত সিদ্ধান্তটা নিতে পারেন। কারণ, এটা একটা দেশের ইমেজের ব্যাপার। যত সুষ্ঠু হবে প্রক্রিয়াটা, ততই চলচ্চিত্রের জন্য মঙ্গল।
আপনার ইচ্ছা হলে নাটকও একটা পাঠাতে পারেন

অমিতাভ রেজা চৌধুরী, পরিচালক
আমার কোনো আইডিয়াই নেই এসব ব্যাপারে। আমি আসলে আগ্রহী নই। আমার ছবি বানাতে পারলেই হয়, এসব পুরস্কার-অস্কার নিয়ে তেমন কিছুই জানি না। কানে প্রতিবছর দুই লাখ ছবি এন্ট্রি হয়, আপনার ইচ্ছা হলে নাটকও একটা পাঠাতে পারেন। অসুবিধা তো নেই! অস্কারেও তো এ রকম অনেক ছবি যায়। এখন প্রতি দেশ থেকে একটা ছবিই যায়, নাকি কীভাবে যায়, একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের কী নিয়ম—কিচ্ছু জানি না। কান-বার্লিন সম্বন্ধে জানি, অস্কার নিয়ে জানি না। বাংলাদেশ থেকে ‘আয়নাবাজি’ অস্কারে পাঠানোর মতো ছবি বলেও মনে হয় না। সারা পৃথিবী থেকে বিদেশি ভাষায় যে ছবিগুলো অস্কার পায়, সেগুলোর কাছাকাছি মানের কোনো ছবি আমরা বানাতে পেরেছি নাকি?
অস্কার কমিটিই অধিক দায়িত্বশীল

আবু শাহেদ ইমন, ‘জালালের গল্প’ পরিচালক
বাংলাদেশে অস্কার কমিটি কীভাবে হবে, এটার জন্য একটা দিকনির্দেশনা আছে। দিকনির্দেশনা মোতাবেক অস্কার কমিটি গঠন করা হয়। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বরা থাকেন এখানে। এফডিসির প্রতিনিধিরা থাকেন। চলচ্চিত্র সংসদগুলোর প্রতিনিধিরাও থাকেন। গত কয়েক বছরে যে ছবিগুলো অস্কারে পাঠানো হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। দু-একটা বছর হয়তো কিছু ছবি নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, সেটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। জাতীয়ভাবে যেসব পুরস্কার দেওয়া হয়, সেখানে বিদেশে পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবির ব্যাপারে একধরনের অনীহা দেখা যায়। যতগুলো ছবি অস্কারে গেছে, সেসবের বেশির ভাগই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়নি। আমার তো মনে হয়, অস্কার কমিটিই অধিক দায়িত্বশীল।
অস্কারে যত সিনেমা
মাটির ময়না [২০০২] তারেক মাসুদ
শ্যামল ছায়া [২০০৫] হুমায়ূন আহমেদ
নিরন্তর [২০০৬] আবু সাইয়ীদ
স্বপ্নডানায় [২০০৭] গোলাম রাব্বানী বিপ্লব
আহা! [২০০৮] এনামুল করিম নির্ঝর
বৃত্তের বাইরে [২০০৯] গোলাম রাব্বানী বিপ্লব
থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার [২০১০] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
ঘেটুপুত্র কমলা [২০১২] হুমায়ূন আহমেদ
টেলিভিশন [২০১৩] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
জোনাকির আলো [২০১৪] খালিদ মাহমুদ মিঠু
জালালের গল্প [২০১৫] আবু শাহেদ ইমন
অজ্ঞাতনামা [২০১৬] তৌকীর আহমেদ
খাঁচা [২০১৭] আকরাম খান
ডুব [২০১৮] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
আলফা [২০১৯] নাসির উদ্দীন ইউসুফ
ইতি তোমারই ঢাকা [২০২০] ১১ জন নির্মাতা

ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান ফিল্ম’ বিদেশি ভাষার সিনেমার ক্ষেত্রে এ নীতিই মেনে চলে একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের যেকোনো দেশ থেকে প্রতিবছর কেবল একটি সিনেমাই পাঠানো যাবে অস্কার মনোনয়নের জন্য। কিন্তু এমন তো নয় যে একটি দেশে বছরে একটিই ভালো সিনেমা হয়! একাধিকও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোনটিকে নির্বাচন করা হবে? এ প্রশ্নটি মাথায় রেখেই পৃথিবীর অনেক দেশে সিলেকশন কমিটির উদ্ভব।
প্রতিবছর সিনেমা আহ্বান করা হয়। যাচাই-বাছাই করে কমিটি সিদ্ধান্ত দেয় কোনটি অস্কারে পাঠানোর উপযোগী। যুক্তরাজ্যে এ কাজটি করে ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এ দায়িত্ব পালন করে ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। আবার ব্রাজিলের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা অন্য রকম। অস্কারে সিনেমা পাঠানো-সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড দেখভাল করে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশেও এ–সংক্রান্ত একটি কমিটি আছে ‘অস্কার বাংলাদেশ কমিটি’। ২০০২ সাল থেকে তারা কাজ করছে। বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের উদ্যোগে ওই বছর তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশি ছবির অস্কারযাত্রা। এই দীর্ঘ সময়ে অস্কারগামী বাংলাদেশি ছবির সংখ্যা ঠেকেছে ১৬ তে।
বাংলাদেশি সিনেমার জন্য এটি অত গৌরবের বিষয় না হলেও একেবারেই ফেলনা নয়। অতীতে অস্কারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা সিনেমার তালিকায় প্রশংসিত কাজ যেমন ছিল, তেমনি এমন অনেক সিনেমা ছিল যেগুলো নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। সমালোচকদের অভিযোগ, তুলনামূলক গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা বাদ পড়েছে।
ফিসফিসানিটা ক্রমেই বাড়ছে। ভারতে তো অস্কার সিলেকশন কমিটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবারই প্রকাশ্যে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজক! প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের অস্কার কমিটি সিনেমা বাছাইকরণ প্রক্রিয়ায় কতখানি স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছে?
হাবিবুর রহমান খান, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিনেমার প্রযোজক। তিনি শুরু থেকেই অস্কার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে বিতর্কের সুযোগ নেই। প্রতিবছর অস্কার কমিটির কাছে আমাদের কমিটির তালিকা পাঠাতে হয়। ওরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়ার পর আমরা কাজটা করি।’
নয় সদস্যের কমিটি। কারা থাকেন এতে? চেয়ারম্যান হিসেবে এ বছরও আছেন হাবিবুর রহমান খান। আরও আছেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সভাপতি আব্দুস সেলিম, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, ফিল্ম এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মূসা দেবু, নির্মাতা শামীমা আক্তার ও আবু সাইয়ীদ।
কে কী বলছেন?
বিতর্ক করার জন্য কিছু লোক তো থাকেই

হাবিবুর রহমান খান চেয়ারম্যান, অস্কার বাংলাদেশ কমিটি
প্রতিবছর অস্কারের মূল কমিটির কাছে আমাদের কমিটির তালিকা পাঠাতে হয়। ওরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়ার পর আমরা কাজটা করি। এখানে আমরা ওদের অ্যাফিলিয়েটেড কমিটি। ইচ্ছা করলেই আমি একটা কমিটি করলাম বা আপনি একটা করলেন—সেটা হবে না। আর বিতর্কের বিষয়ে বলব, বিতর্ক করার জন্য কিছু লোক তো থাকেই। কেউ বিতর্ক করতে চাইলে কিছু করতে পারব আমরা? একটা কথা বলি, এখনকার অনেক স্থপতি আছেন যাঁরা তাজমহলেরও ভুল ধরেন! কীই-বা করার আছে। প্রতিবছর একটা-দুটা-তিনটা করে ছবি জমা পড়ে। অস্কারের আবার বিভিন্ন নিয়মনীতি আছে—কোনটা দেওয়া যাবে, কোনটা যাবে না। সব যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নিই।
একাধিক সিনেমা পাঠানো গেলে ভালো হতো

আবু সাইয়ীদ, অস্কার বাংলাদেশ কমিটির সদস্য, ‘নিরন্তর’ পরিচালক
এটা সত্যি যে, একটা প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি থাকতে হয়। তবে কমিটিতে কে থাকবে, কে থাকবে না এ নিয়ে একাডেমির কোনো মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। এটা যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল বডি নয়, লোকাল বডি; ফলে তার জায়গা থেকে কমিটি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেখান থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। যদি এ রকম হতো, একটা দেশ থেকে দুটি বা তিনটি ছবি যাবে, অস্কারের সাবকমিটি যেকোনো একটা নির্বাচন করবে, তাহলে আরেক রকম হতো। ভারতেও মাঝে মাঝে দেখা যায়, একটা ছবি সাবমিটেড হলে অন্যরা সেটা পছন্দ করে না। এর বাইরে অন্য কোথাও বিষয়টি নিয়ে কোনো বিতর্ক হয় কি না, সেটা জানার তেমন সুযোগ নেই। কারণ, এটা খুবই ছোট একটা বিষয়! তবে আমার মনে হয় একাধিক ছবি পাঠানোর সুযোগ থাকলে জটিলতা কমত।
জয়যাত্রা কিন্তু অস্কারে যায়নি

তৌকীর আহমেদ, ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচালক
এই কমিটির মাধ্যমেই বাংলাদেশি ছবি প্রথম অস্কারে যায়। সময়ের সঙ্গে হয়তো কমিটি আরও অর্গানাইজড হবে। আর সত্যি কথা বলতে কি, আমরা যে খুব ভালো ছবি বানাচ্ছি, তা-ও তো নয়। এখান থেকে যে সিলেকশনটা দেওয়া হয়, এটা একধরনের প্রতিনিধিত্ব। একটা সময়ে আমাদের ছবি মূল পর্বে সিলেক্ট হবে, সে রকম স্বপ্নও আমরা দেখতে পারি। কিন্তু সে রকম ছবি তো নির্মাণ করতে হবে!
আমি তো আগেও ছবি বানিয়েছি, ‘জয়যাত্রা’ [২০০৪] ভীষণ প্রশংসিত ছবি। ‘জয়যাত্রা’ কিন্তু অস্কারে যায়নি। আবার ‘অজ্ঞাতনামা’ পাঠানো হয়েছিল অস্কারে।
এখানে একটা কমিটি কাজ করছে। সিলেকশন যত নিরপেক্ষ হবে, আমাদের জন্য ততই মঙ্গল। আশা করছি সাংগঠনিকভাবে এসব কমিটি আরও দক্ষ হয়ে উঠবে। প্রত্যাশা করি, তাঁরা যেন উপযুক্ত সিদ্ধান্তটা নিতে পারেন। কারণ, এটা একটা দেশের ইমেজের ব্যাপার। যত সুষ্ঠু হবে প্রক্রিয়াটা, ততই চলচ্চিত্রের জন্য মঙ্গল।
আপনার ইচ্ছা হলে নাটকও একটা পাঠাতে পারেন

অমিতাভ রেজা চৌধুরী, পরিচালক
আমার কোনো আইডিয়াই নেই এসব ব্যাপারে। আমি আসলে আগ্রহী নই। আমার ছবি বানাতে পারলেই হয়, এসব পুরস্কার-অস্কার নিয়ে তেমন কিছুই জানি না। কানে প্রতিবছর দুই লাখ ছবি এন্ট্রি হয়, আপনার ইচ্ছা হলে নাটকও একটা পাঠাতে পারেন। অসুবিধা তো নেই! অস্কারেও তো এ রকম অনেক ছবি যায়। এখন প্রতি দেশ থেকে একটা ছবিই যায়, নাকি কীভাবে যায়, একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের কী নিয়ম—কিচ্ছু জানি না। কান-বার্লিন সম্বন্ধে জানি, অস্কার নিয়ে জানি না। বাংলাদেশ থেকে ‘আয়নাবাজি’ অস্কারে পাঠানোর মতো ছবি বলেও মনে হয় না। সারা পৃথিবী থেকে বিদেশি ভাষায় যে ছবিগুলো অস্কার পায়, সেগুলোর কাছাকাছি মানের কোনো ছবি আমরা বানাতে পেরেছি নাকি?
অস্কার কমিটিই অধিক দায়িত্বশীল

আবু শাহেদ ইমন, ‘জালালের গল্প’ পরিচালক
বাংলাদেশে অস্কার কমিটি কীভাবে হবে, এটার জন্য একটা দিকনির্দেশনা আছে। দিকনির্দেশনা মোতাবেক অস্কার কমিটি গঠন করা হয়। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বরা থাকেন এখানে। এফডিসির প্রতিনিধিরা থাকেন। চলচ্চিত্র সংসদগুলোর প্রতিনিধিরাও থাকেন। গত কয়েক বছরে যে ছবিগুলো অস্কারে পাঠানো হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। দু-একটা বছর হয়তো কিছু ছবি নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, সেটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। জাতীয়ভাবে যেসব পুরস্কার দেওয়া হয়, সেখানে বিদেশে পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবির ব্যাপারে একধরনের অনীহা দেখা যায়। যতগুলো ছবি অস্কারে গেছে, সেসবের বেশির ভাগই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়নি। আমার তো মনে হয়, অস্কার কমিটিই অধিক দায়িত্বশীল।
অস্কারে যত সিনেমা
মাটির ময়না [২০০২] তারেক মাসুদ
শ্যামল ছায়া [২০০৫] হুমায়ূন আহমেদ
নিরন্তর [২০০৬] আবু সাইয়ীদ
স্বপ্নডানায় [২০০৭] গোলাম রাব্বানী বিপ্লব
আহা! [২০০৮] এনামুল করিম নির্ঝর
বৃত্তের বাইরে [২০০৯] গোলাম রাব্বানী বিপ্লব
থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার [২০১০] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
ঘেটুপুত্র কমলা [২০১২] হুমায়ূন আহমেদ
টেলিভিশন [২০১৩] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
জোনাকির আলো [২০১৪] খালিদ মাহমুদ মিঠু
জালালের গল্প [২০১৫] আবু শাহেদ ইমন
অজ্ঞাতনামা [২০১৬] তৌকীর আহমেদ
খাঁচা [২০১৭] আকরাম খান
ডুব [২০১৮] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
আলফা [২০১৯] নাসির উদ্দীন ইউসুফ
ইতি তোমারই ঢাকা [২০২০] ১১ জন নির্মাতা
খায়রুল বাসার নির্ঝর

ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান ফিল্ম’ বিদেশি ভাষার সিনেমার ক্ষেত্রে এ নীতিই মেনে চলে একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের যেকোনো দেশ থেকে প্রতিবছর কেবল একটি সিনেমাই পাঠানো যাবে অস্কার মনোনয়নের জন্য। কিন্তু এমন তো নয় যে একটি দেশে বছরে একটিই ভালো সিনেমা হয়! একাধিকও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোনটিকে নির্বাচন করা হবে? এ প্রশ্নটি মাথায় রেখেই পৃথিবীর অনেক দেশে সিলেকশন কমিটির উদ্ভব।
প্রতিবছর সিনেমা আহ্বান করা হয়। যাচাই-বাছাই করে কমিটি সিদ্ধান্ত দেয় কোনটি অস্কারে পাঠানোর উপযোগী। যুক্তরাজ্যে এ কাজটি করে ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এ দায়িত্ব পালন করে ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। আবার ব্রাজিলের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা অন্য রকম। অস্কারে সিনেমা পাঠানো-সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড দেখভাল করে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশেও এ–সংক্রান্ত একটি কমিটি আছে ‘অস্কার বাংলাদেশ কমিটি’। ২০০২ সাল থেকে তারা কাজ করছে। বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের উদ্যোগে ওই বছর তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশি ছবির অস্কারযাত্রা। এই দীর্ঘ সময়ে অস্কারগামী বাংলাদেশি ছবির সংখ্যা ঠেকেছে ১৬ তে।
বাংলাদেশি সিনেমার জন্য এটি অত গৌরবের বিষয় না হলেও একেবারেই ফেলনা নয়। অতীতে অস্কারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা সিনেমার তালিকায় প্রশংসিত কাজ যেমন ছিল, তেমনি এমন অনেক সিনেমা ছিল যেগুলো নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। সমালোচকদের অভিযোগ, তুলনামূলক গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা বাদ পড়েছে।
ফিসফিসানিটা ক্রমেই বাড়ছে। ভারতে তো অস্কার সিলেকশন কমিটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবারই প্রকাশ্যে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজক! প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের অস্কার কমিটি সিনেমা বাছাইকরণ প্রক্রিয়ায় কতখানি স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছে?
হাবিবুর রহমান খান, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিনেমার প্রযোজক। তিনি শুরু থেকেই অস্কার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে বিতর্কের সুযোগ নেই। প্রতিবছর অস্কার কমিটির কাছে আমাদের কমিটির তালিকা পাঠাতে হয়। ওরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়ার পর আমরা কাজটা করি।’
নয় সদস্যের কমিটি। কারা থাকেন এতে? চেয়ারম্যান হিসেবে এ বছরও আছেন হাবিবুর রহমান খান। আরও আছেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সভাপতি আব্দুস সেলিম, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, ফিল্ম এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মূসা দেবু, নির্মাতা শামীমা আক্তার ও আবু সাইয়ীদ।
কে কী বলছেন?
বিতর্ক করার জন্য কিছু লোক তো থাকেই

হাবিবুর রহমান খান চেয়ারম্যান, অস্কার বাংলাদেশ কমিটি
প্রতিবছর অস্কারের মূল কমিটির কাছে আমাদের কমিটির তালিকা পাঠাতে হয়। ওরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়ার পর আমরা কাজটা করি। এখানে আমরা ওদের অ্যাফিলিয়েটেড কমিটি। ইচ্ছা করলেই আমি একটা কমিটি করলাম বা আপনি একটা করলেন—সেটা হবে না। আর বিতর্কের বিষয়ে বলব, বিতর্ক করার জন্য কিছু লোক তো থাকেই। কেউ বিতর্ক করতে চাইলে কিছু করতে পারব আমরা? একটা কথা বলি, এখনকার অনেক স্থপতি আছেন যাঁরা তাজমহলেরও ভুল ধরেন! কীই-বা করার আছে। প্রতিবছর একটা-দুটা-তিনটা করে ছবি জমা পড়ে। অস্কারের আবার বিভিন্ন নিয়মনীতি আছে—কোনটা দেওয়া যাবে, কোনটা যাবে না। সব যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নিই।
একাধিক সিনেমা পাঠানো গেলে ভালো হতো

আবু সাইয়ীদ, অস্কার বাংলাদেশ কমিটির সদস্য, ‘নিরন্তর’ পরিচালক
এটা সত্যি যে, একটা প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি থাকতে হয়। তবে কমিটিতে কে থাকবে, কে থাকবে না এ নিয়ে একাডেমির কোনো মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। এটা যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল বডি নয়, লোকাল বডি; ফলে তার জায়গা থেকে কমিটি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেখান থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। যদি এ রকম হতো, একটা দেশ থেকে দুটি বা তিনটি ছবি যাবে, অস্কারের সাবকমিটি যেকোনো একটা নির্বাচন করবে, তাহলে আরেক রকম হতো। ভারতেও মাঝে মাঝে দেখা যায়, একটা ছবি সাবমিটেড হলে অন্যরা সেটা পছন্দ করে না। এর বাইরে অন্য কোথাও বিষয়টি নিয়ে কোনো বিতর্ক হয় কি না, সেটা জানার তেমন সুযোগ নেই। কারণ, এটা খুবই ছোট একটা বিষয়! তবে আমার মনে হয় একাধিক ছবি পাঠানোর সুযোগ থাকলে জটিলতা কমত।
জয়যাত্রা কিন্তু অস্কারে যায়নি

তৌকীর আহমেদ, ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচালক
এই কমিটির মাধ্যমেই বাংলাদেশি ছবি প্রথম অস্কারে যায়। সময়ের সঙ্গে হয়তো কমিটি আরও অর্গানাইজড হবে। আর সত্যি কথা বলতে কি, আমরা যে খুব ভালো ছবি বানাচ্ছি, তা-ও তো নয়। এখান থেকে যে সিলেকশনটা দেওয়া হয়, এটা একধরনের প্রতিনিধিত্ব। একটা সময়ে আমাদের ছবি মূল পর্বে সিলেক্ট হবে, সে রকম স্বপ্নও আমরা দেখতে পারি। কিন্তু সে রকম ছবি তো নির্মাণ করতে হবে!
আমি তো আগেও ছবি বানিয়েছি, ‘জয়যাত্রা’ [২০০৪] ভীষণ প্রশংসিত ছবি। ‘জয়যাত্রা’ কিন্তু অস্কারে যায়নি। আবার ‘অজ্ঞাতনামা’ পাঠানো হয়েছিল অস্কারে।
এখানে একটা কমিটি কাজ করছে। সিলেকশন যত নিরপেক্ষ হবে, আমাদের জন্য ততই মঙ্গল। আশা করছি সাংগঠনিকভাবে এসব কমিটি আরও দক্ষ হয়ে উঠবে। প্রত্যাশা করি, তাঁরা যেন উপযুক্ত সিদ্ধান্তটা নিতে পারেন। কারণ, এটা একটা দেশের ইমেজের ব্যাপার। যত সুষ্ঠু হবে প্রক্রিয়াটা, ততই চলচ্চিত্রের জন্য মঙ্গল।
আপনার ইচ্ছা হলে নাটকও একটা পাঠাতে পারেন

অমিতাভ রেজা চৌধুরী, পরিচালক
আমার কোনো আইডিয়াই নেই এসব ব্যাপারে। আমি আসলে আগ্রহী নই। আমার ছবি বানাতে পারলেই হয়, এসব পুরস্কার-অস্কার নিয়ে তেমন কিছুই জানি না। কানে প্রতিবছর দুই লাখ ছবি এন্ট্রি হয়, আপনার ইচ্ছা হলে নাটকও একটা পাঠাতে পারেন। অসুবিধা তো নেই! অস্কারেও তো এ রকম অনেক ছবি যায়। এখন প্রতি দেশ থেকে একটা ছবিই যায়, নাকি কীভাবে যায়, একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের কী নিয়ম—কিচ্ছু জানি না। কান-বার্লিন সম্বন্ধে জানি, অস্কার নিয়ে জানি না। বাংলাদেশ থেকে ‘আয়নাবাজি’ অস্কারে পাঠানোর মতো ছবি বলেও মনে হয় না। সারা পৃথিবী থেকে বিদেশি ভাষায় যে ছবিগুলো অস্কার পায়, সেগুলোর কাছাকাছি মানের কোনো ছবি আমরা বানাতে পেরেছি নাকি?
অস্কার কমিটিই অধিক দায়িত্বশীল

আবু শাহেদ ইমন, ‘জালালের গল্প’ পরিচালক
বাংলাদেশে অস্কার কমিটি কীভাবে হবে, এটার জন্য একটা দিকনির্দেশনা আছে। দিকনির্দেশনা মোতাবেক অস্কার কমিটি গঠন করা হয়। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বরা থাকেন এখানে। এফডিসির প্রতিনিধিরা থাকেন। চলচ্চিত্র সংসদগুলোর প্রতিনিধিরাও থাকেন। গত কয়েক বছরে যে ছবিগুলো অস্কারে পাঠানো হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। দু-একটা বছর হয়তো কিছু ছবি নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, সেটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। জাতীয়ভাবে যেসব পুরস্কার দেওয়া হয়, সেখানে বিদেশে পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবির ব্যাপারে একধরনের অনীহা দেখা যায়। যতগুলো ছবি অস্কারে গেছে, সেসবের বেশির ভাগই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়নি। আমার তো মনে হয়, অস্কার কমিটিই অধিক দায়িত্বশীল।
অস্কারে যত সিনেমা
মাটির ময়না [২০০২] তারেক মাসুদ
শ্যামল ছায়া [২০০৫] হুমায়ূন আহমেদ
নিরন্তর [২০০৬] আবু সাইয়ীদ
স্বপ্নডানায় [২০০৭] গোলাম রাব্বানী বিপ্লব
আহা! [২০০৮] এনামুল করিম নির্ঝর
বৃত্তের বাইরে [২০০৯] গোলাম রাব্বানী বিপ্লব
থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার [২০১০] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
ঘেটুপুত্র কমলা [২০১২] হুমায়ূন আহমেদ
টেলিভিশন [২০১৩] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
জোনাকির আলো [২০১৪] খালিদ মাহমুদ মিঠু
জালালের গল্প [২০১৫] আবু শাহেদ ইমন
অজ্ঞাতনামা [২০১৬] তৌকীর আহমেদ
খাঁচা [২০১৭] আকরাম খান
ডুব [২০১৮] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
আলফা [২০১৯] নাসির উদ্দীন ইউসুফ
ইতি তোমারই ঢাকা [২০২০] ১১ জন নির্মাতা

ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান ফিল্ম’ বিদেশি ভাষার সিনেমার ক্ষেত্রে এ নীতিই মেনে চলে একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের যেকোনো দেশ থেকে প্রতিবছর কেবল একটি সিনেমাই পাঠানো যাবে অস্কার মনোনয়নের জন্য। কিন্তু এমন তো নয় যে একটি দেশে বছরে একটিই ভালো সিনেমা হয়! একাধিকও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোনটিকে নির্বাচন করা হবে? এ প্রশ্নটি মাথায় রেখেই পৃথিবীর অনেক দেশে সিলেকশন কমিটির উদ্ভব।
প্রতিবছর সিনেমা আহ্বান করা হয়। যাচাই-বাছাই করে কমিটি সিদ্ধান্ত দেয় কোনটি অস্কারে পাঠানোর উপযোগী। যুক্তরাজ্যে এ কাজটি করে ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এ দায়িত্ব পালন করে ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। আবার ব্রাজিলের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা অন্য রকম। অস্কারে সিনেমা পাঠানো-সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড দেখভাল করে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশেও এ–সংক্রান্ত একটি কমিটি আছে ‘অস্কার বাংলাদেশ কমিটি’। ২০০২ সাল থেকে তারা কাজ করছে। বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের উদ্যোগে ওই বছর তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশি ছবির অস্কারযাত্রা। এই দীর্ঘ সময়ে অস্কারগামী বাংলাদেশি ছবির সংখ্যা ঠেকেছে ১৬ তে।
বাংলাদেশি সিনেমার জন্য এটি অত গৌরবের বিষয় না হলেও একেবারেই ফেলনা নয়। অতীতে অস্কারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা সিনেমার তালিকায় প্রশংসিত কাজ যেমন ছিল, তেমনি এমন অনেক সিনেমা ছিল যেগুলো নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে। সমালোচকদের অভিযোগ, তুলনামূলক গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা বাদ পড়েছে।
ফিসফিসানিটা ক্রমেই বাড়ছে। ভারতে তো অস্কার সিলেকশন কমিটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবারই প্রকাশ্যে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজক! প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের অস্কার কমিটি সিনেমা বাছাইকরণ প্রক্রিয়ায় কতখানি স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছে?
হাবিবুর রহমান খান, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিনেমার প্রযোজক। তিনি শুরু থেকেই অস্কার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে বিতর্কের সুযোগ নেই। প্রতিবছর অস্কার কমিটির কাছে আমাদের কমিটির তালিকা পাঠাতে হয়। ওরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়ার পর আমরা কাজটা করি।’
নয় সদস্যের কমিটি। কারা থাকেন এতে? চেয়ারম্যান হিসেবে এ বছরও আছেন হাবিবুর রহমান খান। আরও আছেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সভাপতি আব্দুস সেলিম, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, ফিল্ম এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মূসা দেবু, নির্মাতা শামীমা আক্তার ও আবু সাইয়ীদ।
কে কী বলছেন?
বিতর্ক করার জন্য কিছু লোক তো থাকেই

হাবিবুর রহমান খান চেয়ারম্যান, অস্কার বাংলাদেশ কমিটি
প্রতিবছর অস্কারের মূল কমিটির কাছে আমাদের কমিটির তালিকা পাঠাতে হয়। ওরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়ার পর আমরা কাজটা করি। এখানে আমরা ওদের অ্যাফিলিয়েটেড কমিটি। ইচ্ছা করলেই আমি একটা কমিটি করলাম বা আপনি একটা করলেন—সেটা হবে না। আর বিতর্কের বিষয়ে বলব, বিতর্ক করার জন্য কিছু লোক তো থাকেই। কেউ বিতর্ক করতে চাইলে কিছু করতে পারব আমরা? একটা কথা বলি, এখনকার অনেক স্থপতি আছেন যাঁরা তাজমহলেরও ভুল ধরেন! কীই-বা করার আছে। প্রতিবছর একটা-দুটা-তিনটা করে ছবি জমা পড়ে। অস্কারের আবার বিভিন্ন নিয়মনীতি আছে—কোনটা দেওয়া যাবে, কোনটা যাবে না। সব যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নিই।
একাধিক সিনেমা পাঠানো গেলে ভালো হতো

আবু সাইয়ীদ, অস্কার বাংলাদেশ কমিটির সদস্য, ‘নিরন্তর’ পরিচালক
এটা সত্যি যে, একটা প্রতিনিধিত্বমূলক কমিটি থাকতে হয়। তবে কমিটিতে কে থাকবে, কে থাকবে না এ নিয়ে একাডেমির কোনো মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। এটা যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল বডি নয়, লোকাল বডি; ফলে তার জায়গা থেকে কমিটি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেখান থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। যদি এ রকম হতো, একটা দেশ থেকে দুটি বা তিনটি ছবি যাবে, অস্কারের সাবকমিটি যেকোনো একটা নির্বাচন করবে, তাহলে আরেক রকম হতো। ভারতেও মাঝে মাঝে দেখা যায়, একটা ছবি সাবমিটেড হলে অন্যরা সেটা পছন্দ করে না। এর বাইরে অন্য কোথাও বিষয়টি নিয়ে কোনো বিতর্ক হয় কি না, সেটা জানার তেমন সুযোগ নেই। কারণ, এটা খুবই ছোট একটা বিষয়! তবে আমার মনে হয় একাধিক ছবি পাঠানোর সুযোগ থাকলে জটিলতা কমত।
জয়যাত্রা কিন্তু অস্কারে যায়নি

তৌকীর আহমেদ, ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচালক
এই কমিটির মাধ্যমেই বাংলাদেশি ছবি প্রথম অস্কারে যায়। সময়ের সঙ্গে হয়তো কমিটি আরও অর্গানাইজড হবে। আর সত্যি কথা বলতে কি, আমরা যে খুব ভালো ছবি বানাচ্ছি, তা-ও তো নয়। এখান থেকে যে সিলেকশনটা দেওয়া হয়, এটা একধরনের প্রতিনিধিত্ব। একটা সময়ে আমাদের ছবি মূল পর্বে সিলেক্ট হবে, সে রকম স্বপ্নও আমরা দেখতে পারি। কিন্তু সে রকম ছবি তো নির্মাণ করতে হবে!
আমি তো আগেও ছবি বানিয়েছি, ‘জয়যাত্রা’ [২০০৪] ভীষণ প্রশংসিত ছবি। ‘জয়যাত্রা’ কিন্তু অস্কারে যায়নি। আবার ‘অজ্ঞাতনামা’ পাঠানো হয়েছিল অস্কারে।
এখানে একটা কমিটি কাজ করছে। সিলেকশন যত নিরপেক্ষ হবে, আমাদের জন্য ততই মঙ্গল। আশা করছি সাংগঠনিকভাবে এসব কমিটি আরও দক্ষ হয়ে উঠবে। প্রত্যাশা করি, তাঁরা যেন উপযুক্ত সিদ্ধান্তটা নিতে পারেন। কারণ, এটা একটা দেশের ইমেজের ব্যাপার। যত সুষ্ঠু হবে প্রক্রিয়াটা, ততই চলচ্চিত্রের জন্য মঙ্গল।
আপনার ইচ্ছা হলে নাটকও একটা পাঠাতে পারেন

অমিতাভ রেজা চৌধুরী, পরিচালক
আমার কোনো আইডিয়াই নেই এসব ব্যাপারে। আমি আসলে আগ্রহী নই। আমার ছবি বানাতে পারলেই হয়, এসব পুরস্কার-অস্কার নিয়ে তেমন কিছুই জানি না। কানে প্রতিবছর দুই লাখ ছবি এন্ট্রি হয়, আপনার ইচ্ছা হলে নাটকও একটা পাঠাতে পারেন। অসুবিধা তো নেই! অস্কারেও তো এ রকম অনেক ছবি যায়। এখন প্রতি দেশ থেকে একটা ছবিই যায়, নাকি কীভাবে যায়, একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের কী নিয়ম—কিচ্ছু জানি না। কান-বার্লিন সম্বন্ধে জানি, অস্কার নিয়ে জানি না। বাংলাদেশ থেকে ‘আয়নাবাজি’ অস্কারে পাঠানোর মতো ছবি বলেও মনে হয় না। সারা পৃথিবী থেকে বিদেশি ভাষায় যে ছবিগুলো অস্কার পায়, সেগুলোর কাছাকাছি মানের কোনো ছবি আমরা বানাতে পেরেছি নাকি?
অস্কার কমিটিই অধিক দায়িত্বশীল

আবু শাহেদ ইমন, ‘জালালের গল্প’ পরিচালক
বাংলাদেশে অস্কার কমিটি কীভাবে হবে, এটার জন্য একটা দিকনির্দেশনা আছে। দিকনির্দেশনা মোতাবেক অস্কার কমিটি গঠন করা হয়। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্বরা থাকেন এখানে। এফডিসির প্রতিনিধিরা থাকেন। চলচ্চিত্র সংসদগুলোর প্রতিনিধিরাও থাকেন। গত কয়েক বছরে যে ছবিগুলো অস্কারে পাঠানো হয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। দু-একটা বছর হয়তো কিছু ছবি নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে, সেটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। জাতীয়ভাবে যেসব পুরস্কার দেওয়া হয়, সেখানে বিদেশে পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবির ব্যাপারে একধরনের অনীহা দেখা যায়। যতগুলো ছবি অস্কারে গেছে, সেসবের বেশির ভাগই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়নি। আমার তো মনে হয়, অস্কার কমিটিই অধিক দায়িত্বশীল।
অস্কারে যত সিনেমা
মাটির ময়না [২০০২] তারেক মাসুদ
শ্যামল ছায়া [২০০৫] হুমায়ূন আহমেদ
নিরন্তর [২০০৬] আবু সাইয়ীদ
স্বপ্নডানায় [২০০৭] গোলাম রাব্বানী বিপ্লব
আহা! [২০০৮] এনামুল করিম নির্ঝর
বৃত্তের বাইরে [২০০৯] গোলাম রাব্বানী বিপ্লব
থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার [২০১০] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
ঘেটুপুত্র কমলা [২০১২] হুমায়ূন আহমেদ
টেলিভিশন [২০১৩] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
জোনাকির আলো [২০১৪] খালিদ মাহমুদ মিঠু
জালালের গল্প [২০১৫] আবু শাহেদ ইমন
অজ্ঞাতনামা [২০১৬] তৌকীর আহমেদ
খাঁচা [২০১৭] আকরাম খান
ডুব [২০১৮] মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
আলফা [২০১৯] নাসির উদ্দীন ইউসুফ
ইতি তোমারই ঢাকা [২০২০] ১১ জন নির্মাতা

‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
১ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৩ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৩ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

‘ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান ফিল্ম’ বিদেশি ভাষার সিনেমার ক্ষেত্রে এ নীতিই মেনে চলে একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের যেকোনো দেশ থেকে প্রতিবছর কেবল একটি সিনেমাই পাঠানো যাবে অস্কার মনোনয়নের জন্য। কিন্তু এমন তো নয় যে একটি দেশে বছরে একটিই ভালো সিনেমা হয়! একাধিকও হতে পারে। সে ক
২২ এপ্রিল ২০২১
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৩ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৩ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

‘ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান ফিল্ম’ বিদেশি ভাষার সিনেমার ক্ষেত্রে এ নীতিই মেনে চলে একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের যেকোনো দেশ থেকে প্রতিবছর কেবল একটি সিনেমাই পাঠানো যাবে অস্কার মনোনয়নের জন্য। কিন্তু এমন তো নয় যে একটি দেশে বছরে একটিই ভালো সিনেমা হয়! একাধিকও হতে পারে। সে ক
২২ এপ্রিল ২০২১
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
১ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৩ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

‘ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান ফিল্ম’ বিদেশি ভাষার সিনেমার ক্ষেত্রে এ নীতিই মেনে চলে একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের যেকোনো দেশ থেকে প্রতিবছর কেবল একটি সিনেমাই পাঠানো যাবে অস্কার মনোনয়নের জন্য। কিন্তু এমন তো নয় যে একটি দেশে বছরে একটিই ভালো সিনেমা হয়! একাধিকও হতে পারে। সে ক
২২ এপ্রিল ২০২১
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
১ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৩ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



‘ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান ফিল্ম’ বিদেশি ভাষার সিনেমার ক্ষেত্রে এ নীতিই মেনে চলে একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের যেকোনো দেশ থেকে প্রতিবছর কেবল একটি সিনেমাই পাঠানো যাবে অস্কার মনোনয়নের জন্য। কিন্তু এমন তো নয় যে একটি দেশে বছরে একটিই ভালো সিনেমা হয়! একাধিকও হতে পারে। সে ক
২২ এপ্রিল ২০২১
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
১ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৩ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৩ ঘণ্টা আগে