এম এস রানা

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবাই বলছেন, মহানগর টু বরং ওয়ানের চেয়ে আরও বেশি কমপ্যাক্ট, আরও মাল্টি লেয়ারড, আরও সাবপ্লটসহ অনেক এন্টারটেইনিং।
ওসি হারুন একজন ধূর্ত-দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার, আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন। নিজে দুর্নীতি করলেও অন্যায়কারীকে শাস্তির আওতায় আনে বুদ্ধি খাটিয়ে। এমন একটা দ্বৈত চরিত্র নিয়ে ভাবার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কি?
প্রতিটি মানুষই কিন্তু দ্বৈত চরিত্রের। আমাদের যেমন স্ট্রেন্থ আছে, আবার লিমিটেশনসও আছে। সবাই আমাদের খুব পছন্দ করে বা সবাই খুব অপছন্দ করে, এমনটা হয় না। ওসি হারুন চরিত্রটাও তেমনি। তার স্ট্রেন্থ একদিকে, আবার তার লিমিটেশনস একদিকে। একটা উদাহরণ দিই, যেকোনো নারী চরিত্রের প্রতি তার বক্রদৃষ্টি দেখা যায় না। আবার তার চেয়ে পাওয়ারফুল ব্যক্তিদের সঙ্গে সে খেলতে পছন্দ করে। তাদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা কিংবা তাকে ঝামেলায় ফেলা থেকে শুরু করে যেকোনো কাজে পিছপা হয় না। এটাই এই চরিত্রের গ্রাফ।
দুটি সিজন গেল। ওসি হারুনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো তথ্যই মিলল না। কেন?
সিজন ওয়ান ছিল এক রাতের গল্প। সিজন টুও একটা রাতের গল্প। এই দুইটা রাতের মধ্যে আমি ওসি হারুনের ফ্যামিলিকে আনতে চাইনি। পরে হয়তো ওসি হারুনের ফ্যামিলি সামনে আসতেও পারে।
ওসি হারুনের একটা দীর্ঘ ইন্টারগেশন চলল। অথচ, সিনিয়র অফিসারদের কোনো ইন্টারফেয়ার বা ইনভলভমেন্ট দেখা যায়নি। এটা কেন? এটা কি সিনিয়রদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয় না?
দিন শেষে এটা একটা ফিকশন, একটা গল্প। আমরা জানি না ইন্টারগেশন এভাবে বসিয়ে বসিয়ে রসিয়ে রসিয়ে এত সুন্দর করে হয় কি না। এটা পুরোটাই আমার কল্পনাপ্রসূত। নিশ্চয়ই এমন একজন অফিসারকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ঊর্ধ্বতনরা খোঁজ নেবেন বা নির্দেশনা দেবেন। কিন্তু সিরিজের পুরো গল্পটাকে পরিকল্পনামতো এগিয়ে নিতেই ঘটনাটা এভাবে ডিজাইন করা।
ঘটনা বা চরিত্রগুলো বাস্তবতার ছায়া অবলম্বনে কি না?
মহানগর একটা ফিকশন। একজন লেখক বা শিল্পী যখন শিল্পচর্চা করেন, তখন আশপাশের এক ধরনের প্রভাব তো থাকেই। অবিকল পুরো ঘটনা উঠে আসে না। তাহলে এটা ডকুমেন্টারি হয়ে যেত। আশপাশের চরিত্রগুলোই লেখকের ভাবনার মতো করে গড়ে ওঠে। একটা উদাহরণ দিই, আমার নিজের কোনো বোন নেই। কিন্তু সিজন টুতে আমি যে ভাইবোনের ঝগড়াটা দেখালাম, বোনের যে টান, বোনের যে অনুভূতি, এটা কিন্তু আমার আশপাশের বোনদের দেখেই লেখা। বাস্তবতার প্রভাব শিল্পের সব শাখাতেই যেমন থাকে, আমার কাজেও সে রকম ছিল।
যখন মেয়র বা এমপির সম্পর্কটা দেখি, তখন নারায়ণগঞ্জের একজন এমপি ও মেয়রের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাই, আবার যখন একজন ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদ একজন নায়িকাকে ফোন করে আসতে বলেন, কিংবা অভিযানের নামে ক্রসফায়ার বা খেলা হবের মতো সংলাপ দেখি, তখন সাম্প্রতিক অনেক চরিত্র বা ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এটা কি সচেতনভাবেই করা?
এই যে চরিত্র বা সংলাপ বা ঘটনাগুলোর কথা বললেন, এর কোনোটাই বিনা প্রয়োজনে আসেনি। পুরোপুরি ফ্যান্টাসি কিছু বানাতে চাইলেই কেবল কল্পনা করে বানানো সম্ভব। একজন নির্মাতা ও লেখক হিসেবে আমি সব সময় চেষ্টা করি, যেন বর্তমান সময়টাকে ধরা যায়। সে ক্ষেত্রে সমসাময়িক ঘটনা বা চরিত্রের ছোঁয়া আসবেই। তার মানে এই না যে অনেকেই যেভাবে বলছেন নারায়ণগঞ্জের মেয়র বা খেলা হবে- দেখুন এগুলো কিন্তু আসলে একটা শব্দই বা একটা চরিত্র। দেশে যখন দুর্ভিক্ষ চলছিল, তখন জয়নুল আবেদিন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন। আশপাশের ঘটনা বা চরিত্র দিয়েই কিন্তু শিল্পী প্রভাবিত হন।
চলতি ঘটনা এবং দুই বছর আগের একটা ঘটনা একই সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা একটা দারুণ ব্যাপার। বিষয়টা কি রিস্কি ছিল না? দর্শক কনফিউজড হয়ে যেতে পারত।
খুবই রিস্কি ছিল। যখন আমরা সিজন টু করছিলাম, প্রথমেই আমার টিমের কাছে জানতে চাইলাম, কীভাবে সিজন টু হতে পারে। সবাই নানা পয়েন্ট নিয়ে এল। দেখলাম, যেসব বিষয় তারা নোট করেছে, দর্শক আসলে সেভাবেই ভাববে। আমি একেবারেই নতুন করে, দর্শক কল্পনাও করবে না এমনভাবেই শুরু করলাম। রিস্ক ছিল আরও একটা কারণে, প্রথম সিজন যেমন এক রাতের গল্প, দ্বিতীয় সিজনে ফ্ল্যাশব্যাকে যে গল্পটা বলা হচ্ছে, সেটাও এক রাতের গল্প। আবার বর্তমান সময়ের যে গল্পটা, সেটাও এক রাতেরই গল্প। এই টাইমলাইনগুলোকে একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়াটা নিশ্চিতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আমি মনে করি সফলতার জন্য ঝুঁকি নিতেই হবে।
ওসি হারুন থেকে শুরু করে দীন মোহাম্মদ, আফনান চৌধুরী, সুকুমার বড়ুয়া, দীপুসহ বেশির ভাগ চরিত্রকেই দেখি দুর্নীতির বেড়াজালে ঘুরপাক খাচ্ছে। কেন বলুন তো?
ফিকশনের চরিত্রগুলো যদি সাদাকালো হয়ে যায়, তাহলে ক্যারেকটারে মজা থাকে না। ম্যারম্যারে হয়ে যায়। খেয়াল করবেন, বলা হয়েছে এখানে সিস্টেমের কোনায় কোনায় ভূত। আমরা জেনে না জেনে প্রায়ই দুর্নীতি করে ফেলি। একটা উদাহরণ দিই, হাঙ্গামা এড়াতে অনেক সময়ই আমরা ব্ল্যাকারকে একটু বেশি টাকা দিলে সে বাসায় এসে টিকিটটা দিয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। হাঙ্গামা এড়াতে একটু বেশি টাকা দিয়েছিমাত্র। কিন্তু আমার কারণে বৈধভাবে লাইনে থাকা একটা মানুষ টিকিট পেল না। এটা কিন্তু দুর্নীতিই।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নিরপরাধীকে ভিকটিম বানানো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর রাজনীতিবিদদের প্রভাব খাটানো, অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ার, ঘুষ-দুর্নীতি, ধর্ষণসহ নানা ইস্যু তুলে এনেছেন। নির্মাতা হিসেবে আপনি কোনো বিপদের আশঙ্কা করছেন?
যে টার্মগুলোর কথা বললেন, এগুলো তো পত্রিকায়, টিভিতে, ফেসবুকে, ইউটিউবে অহরহ আমরা দেখতে পাচ্ছি। একজন শিল্পী বা লেখকের সৃষ্টিতে এসব ঘটনা আসতেই পারে। ফিকশনগুলোতে অতটা আসছে না বলেই আমরা ঝুঁকি মনে করছি। দেখুন, জয়নুল আবেদিন যখন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন তিনি কি তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ছবি এঁকেছেন? নিশ্চয়ই না। শিল্পীদের তো সমাজের প্রতি দায় থাকে। সেই দায় থেকে একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে আমি যতটুকু করেছি, তার জন্য যদি বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়, তাহলে সেটা আমাকেই মোকাবিলা করতে হবে।
আফনান চৌধুরীকে যতটা ক্ষমতাবান মনে হয়েছে, শেষ পর্যন্ত তাকে ততটাই অসহায় মনে হয়েছে। এটা কি বাস্তবে হয়?
দুইটা ব্যাপার আছে, রিয়েলিটি এবং এথিক্যাল রিয়েলিটি। দর্শক এথিক্যাল রিয়েলিটি দেখতে পছন্দ করে। বাস্তবে যেমনটা ঘটছে, সেটা দর্শক পর্দায় কেন দেখবে? তাছাড়া আফনান চৌধুরীর পরিণতি কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
শেষ দৃশ্যে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে এনেছেন। এটা কি কেবলই চমক? নাকি নতুন সিজনের আভাস?
অবশ্যই মহানগর সিজন থ্রি আসবে। অনেকগুলো অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েই গেছে। সেগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য এবং অনির্বাণকে কেবল চমক দিতে নয়, নতুন সিজনের জন্যই আনা। গল্পটা শুনেই উনি রাজি হয়েছেন।
আপনার ফিকশনের চরিত্র নির্বাচন প্রক্রিয়াটা বলবেন?
আমার গল্পের চরিত্র নির্বাচন সব সময়ই আমার গাডস ফিলিংস থেকেই হয়। সেটা এমন না যে ওনারা কী ধরনের অভিনয় করেন, তার ওপর নির্ভর করে। যদি ওসি হারুনের কথাই বলি, মোশাররফ ভাই এত লম্বা সময় ধরে এ রকম একটা গ্রে শ্যাডেড ক্যারেকটার প্লে করেননি। দিব্য বা তানজিকার কথাই যদি বলি, দিব্য তো আগে অভিনয় করেনি, আবার তানজিকাকে ওটিটির কাজে আগে তেমন দেখাই যায়নি। আসলে একটা ক্যারেকটার যখন কমপ্লিটলি ডিরেক্টরের কাছে স্যারেন্ডার করে, তখনই কেবল আমি বলতে পারি, আপনি আমার উপর আস্থা রাখেন, আমি চরিত্রটাকে একটা সুন্দর ল্যান্ডিং দেব।
আপনার নতুন আর কোনো কাজের খবর আছে?
হইচইয়ের সঙ্গে বেশকিছু কাজের কথা হয়ে আছে। মহানগরের নতুন সিজন, ‘সাবরিনা’ সিরিজের নতুন সিজন, ‘কমন ম্যান’ নামের একটা সিরিজ করার কথা রয়েছে। দেশীয় প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও কথা চলছে। সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে সেটা হয়নি। ‘গোল্লা’ নামের সিনেমাটি যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করব।
আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চাই।
ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন সুখী মানুষ। আমার স্ত্রী এলিটা করিম একজন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এবং সাংবাদিক। এবার ঈদে রেনেসাঁর ফিচারে তাঁর একটি গান প্রকাশ হয়েছে। আমরা দুজনে শিল্পী বলেই একে অন্যকে সহজেই বুঝতে পারি এবং ছাড় দিতে পারি। তাই আমাদের কাজ করাটা সহজ হয়।

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবাই বলছেন, মহানগর টু বরং ওয়ানের চেয়ে আরও বেশি কমপ্যাক্ট, আরও মাল্টি লেয়ারড, আরও সাবপ্লটসহ অনেক এন্টারটেইনিং।
ওসি হারুন একজন ধূর্ত-দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার, আবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন। নিজে দুর্নীতি করলেও অন্যায়কারীকে শাস্তির আওতায় আনে বুদ্ধি খাটিয়ে। এমন একটা দ্বৈত চরিত্র নিয়ে ভাবার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে কি?
প্রতিটি মানুষই কিন্তু দ্বৈত চরিত্রের। আমাদের যেমন স্ট্রেন্থ আছে, আবার লিমিটেশনসও আছে। সবাই আমাদের খুব পছন্দ করে বা সবাই খুব অপছন্দ করে, এমনটা হয় না। ওসি হারুন চরিত্রটাও তেমনি। তার স্ট্রেন্থ একদিকে, আবার তার লিমিটেশনস একদিকে। একটা উদাহরণ দিই, যেকোনো নারী চরিত্রের প্রতি তার বক্রদৃষ্টি দেখা যায় না। আবার তার চেয়ে পাওয়ারফুল ব্যক্তিদের সঙ্গে সে খেলতে পছন্দ করে। তাদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা কিংবা তাকে ঝামেলায় ফেলা থেকে শুরু করে যেকোনো কাজে পিছপা হয় না। এটাই এই চরিত্রের গ্রাফ।
দুটি সিজন গেল। ওসি হারুনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো তথ্যই মিলল না। কেন?
সিজন ওয়ান ছিল এক রাতের গল্প। সিজন টুও একটা রাতের গল্প। এই দুইটা রাতের মধ্যে আমি ওসি হারুনের ফ্যামিলিকে আনতে চাইনি। পরে হয়তো ওসি হারুনের ফ্যামিলি সামনে আসতেও পারে।
ওসি হারুনের একটা দীর্ঘ ইন্টারগেশন চলল। অথচ, সিনিয়র অফিসারদের কোনো ইন্টারফেয়ার বা ইনভলভমেন্ট দেখা যায়নি। এটা কেন? এটা কি সিনিয়রদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয় না?
দিন শেষে এটা একটা ফিকশন, একটা গল্প। আমরা জানি না ইন্টারগেশন এভাবে বসিয়ে বসিয়ে রসিয়ে রসিয়ে এত সুন্দর করে হয় কি না। এটা পুরোটাই আমার কল্পনাপ্রসূত। নিশ্চয়ই এমন একজন অফিসারকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ঊর্ধ্বতনরা খোঁজ নেবেন বা নির্দেশনা দেবেন। কিন্তু সিরিজের পুরো গল্পটাকে পরিকল্পনামতো এগিয়ে নিতেই ঘটনাটা এভাবে ডিজাইন করা।
ঘটনা বা চরিত্রগুলো বাস্তবতার ছায়া অবলম্বনে কি না?
মহানগর একটা ফিকশন। একজন লেখক বা শিল্পী যখন শিল্পচর্চা করেন, তখন আশপাশের এক ধরনের প্রভাব তো থাকেই। অবিকল পুরো ঘটনা উঠে আসে না। তাহলে এটা ডকুমেন্টারি হয়ে যেত। আশপাশের চরিত্রগুলোই লেখকের ভাবনার মতো করে গড়ে ওঠে। একটা উদাহরণ দিই, আমার নিজের কোনো বোন নেই। কিন্তু সিজন টুতে আমি যে ভাইবোনের ঝগড়াটা দেখালাম, বোনের যে টান, বোনের যে অনুভূতি, এটা কিন্তু আমার আশপাশের বোনদের দেখেই লেখা। বাস্তবতার প্রভাব শিল্পের সব শাখাতেই যেমন থাকে, আমার কাজেও সে রকম ছিল।
যখন মেয়র বা এমপির সম্পর্কটা দেখি, তখন নারায়ণগঞ্জের একজন এমপি ও মেয়রের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাই, আবার যখন একজন ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদ একজন নায়িকাকে ফোন করে আসতে বলেন, কিংবা অভিযানের নামে ক্রসফায়ার বা খেলা হবের মতো সংলাপ দেখি, তখন সাম্প্রতিক অনেক চরিত্র বা ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। এটা কি সচেতনভাবেই করা?
এই যে চরিত্র বা সংলাপ বা ঘটনাগুলোর কথা বললেন, এর কোনোটাই বিনা প্রয়োজনে আসেনি। পুরোপুরি ফ্যান্টাসি কিছু বানাতে চাইলেই কেবল কল্পনা করে বানানো সম্ভব। একজন নির্মাতা ও লেখক হিসেবে আমি সব সময় চেষ্টা করি, যেন বর্তমান সময়টাকে ধরা যায়। সে ক্ষেত্রে সমসাময়িক ঘটনা বা চরিত্রের ছোঁয়া আসবেই। তার মানে এই না যে অনেকেই যেভাবে বলছেন নারায়ণগঞ্জের মেয়র বা খেলা হবে- দেখুন এগুলো কিন্তু আসলে একটা শব্দই বা একটা চরিত্র। দেশে যখন দুর্ভিক্ষ চলছিল, তখন জয়নুল আবেদিন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন। আশপাশের ঘটনা বা চরিত্র দিয়েই কিন্তু শিল্পী প্রভাবিত হন।
চলতি ঘটনা এবং দুই বছর আগের একটা ঘটনা একই সঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা একটা দারুণ ব্যাপার। বিষয়টা কি রিস্কি ছিল না? দর্শক কনফিউজড হয়ে যেতে পারত।
খুবই রিস্কি ছিল। যখন আমরা সিজন টু করছিলাম, প্রথমেই আমার টিমের কাছে জানতে চাইলাম, কীভাবে সিজন টু হতে পারে। সবাই নানা পয়েন্ট নিয়ে এল। দেখলাম, যেসব বিষয় তারা নোট করেছে, দর্শক আসলে সেভাবেই ভাববে। আমি একেবারেই নতুন করে, দর্শক কল্পনাও করবে না এমনভাবেই শুরু করলাম। রিস্ক ছিল আরও একটা কারণে, প্রথম সিজন যেমন এক রাতের গল্প, দ্বিতীয় সিজনে ফ্ল্যাশব্যাকে যে গল্পটা বলা হচ্ছে, সেটাও এক রাতের গল্প। আবার বর্তমান সময়ের যে গল্পটা, সেটাও এক রাতেরই গল্প। এই টাইমলাইনগুলোকে একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়াটা নিশ্চিতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আমি মনে করি সফলতার জন্য ঝুঁকি নিতেই হবে।
ওসি হারুন থেকে শুরু করে দীন মোহাম্মদ, আফনান চৌধুরী, সুকুমার বড়ুয়া, দীপুসহ বেশির ভাগ চরিত্রকেই দেখি দুর্নীতির বেড়াজালে ঘুরপাক খাচ্ছে। কেন বলুন তো?
ফিকশনের চরিত্রগুলো যদি সাদাকালো হয়ে যায়, তাহলে ক্যারেকটারে মজা থাকে না। ম্যারম্যারে হয়ে যায়। খেয়াল করবেন, বলা হয়েছে এখানে সিস্টেমের কোনায় কোনায় ভূত। আমরা জেনে না জেনে প্রায়ই দুর্নীতি করে ফেলি। একটা উদাহরণ দিই, হাঙ্গামা এড়াতে অনেক সময়ই আমরা ব্ল্যাকারকে একটু বেশি টাকা দিলে সে বাসায় এসে টিকিটটা দিয়ে যায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। হাঙ্গামা এড়াতে একটু বেশি টাকা দিয়েছিমাত্র। কিন্তু আমার কারণে বৈধভাবে লাইনে থাকা একটা মানুষ টিকিট পেল না। এটা কিন্তু দুর্নীতিই।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নিরপরাধীকে ভিকটিম বানানো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর রাজনীতিবিদদের প্রভাব খাটানো, অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ার, ঘুষ-দুর্নীতি, ধর্ষণসহ নানা ইস্যু তুলে এনেছেন। নির্মাতা হিসেবে আপনি কোনো বিপদের আশঙ্কা করছেন?
যে টার্মগুলোর কথা বললেন, এগুলো তো পত্রিকায়, টিভিতে, ফেসবুকে, ইউটিউবে অহরহ আমরা দেখতে পাচ্ছি। একজন শিল্পী বা লেখকের সৃষ্টিতে এসব ঘটনা আসতেই পারে। ফিকশনগুলোতে অতটা আসছে না বলেই আমরা ঝুঁকি মনে করছি। দেখুন, জয়নুল আবেদিন যখন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকেছেন তিনি কি তখন দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ছবি এঁকেছেন? নিশ্চয়ই না। শিল্পীদের তো সমাজের প্রতি দায় থাকে। সেই দায় থেকে একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে আমি যতটুকু করেছি, তার জন্য যদি বিপদের আশঙ্কা তৈরি হয়, তাহলে সেটা আমাকেই মোকাবিলা করতে হবে।
আফনান চৌধুরীকে যতটা ক্ষমতাবান মনে হয়েছে, শেষ পর্যন্ত তাকে ততটাই অসহায় মনে হয়েছে। এটা কি বাস্তবে হয়?
দুইটা ব্যাপার আছে, রিয়েলিটি এবং এথিক্যাল রিয়েলিটি। দর্শক এথিক্যাল রিয়েলিটি দেখতে পছন্দ করে। বাস্তবে যেমনটা ঘটছে, সেটা দর্শক পর্দায় কেন দেখবে? তাছাড়া আফনান চৌধুরীর পরিণতি কিন্তু এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
শেষ দৃশ্যে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে এনেছেন। এটা কি কেবলই চমক? নাকি নতুন সিজনের আভাস?
অবশ্যই মহানগর সিজন থ্রি আসবে। অনেকগুলো অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েই গেছে। সেগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য এবং অনির্বাণকে কেবল চমক দিতে নয়, নতুন সিজনের জন্যই আনা। গল্পটা শুনেই উনি রাজি হয়েছেন।
আপনার ফিকশনের চরিত্র নির্বাচন প্রক্রিয়াটা বলবেন?
আমার গল্পের চরিত্র নির্বাচন সব সময়ই আমার গাডস ফিলিংস থেকেই হয়। সেটা এমন না যে ওনারা কী ধরনের অভিনয় করেন, তার ওপর নির্ভর করে। যদি ওসি হারুনের কথাই বলি, মোশাররফ ভাই এত লম্বা সময় ধরে এ রকম একটা গ্রে শ্যাডেড ক্যারেকটার প্লে করেননি। দিব্য বা তানজিকার কথাই যদি বলি, দিব্য তো আগে অভিনয় করেনি, আবার তানজিকাকে ওটিটির কাজে আগে তেমন দেখাই যায়নি। আসলে একটা ক্যারেকটার যখন কমপ্লিটলি ডিরেক্টরের কাছে স্যারেন্ডার করে, তখনই কেবল আমি বলতে পারি, আপনি আমার উপর আস্থা রাখেন, আমি চরিত্রটাকে একটা সুন্দর ল্যান্ডিং দেব।
আপনার নতুন আর কোনো কাজের খবর আছে?
হইচইয়ের সঙ্গে বেশকিছু কাজের কথা হয়ে আছে। মহানগরের নতুন সিজন, ‘সাবরিনা’ সিরিজের নতুন সিজন, ‘কমন ম্যান’ নামের একটা সিরিজ করার কথা রয়েছে। দেশীয় প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও কথা চলছে। সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে সেটা হয়নি। ‘গোল্লা’ নামের সিনেমাটি যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করব।
আপনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানতে চাই।
ব্যক্তিগত জীবনে আমি একজন সুখী মানুষ। আমার স্ত্রী এলিটা করিম একজন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এবং সাংবাদিক। এবার ঈদে রেনেসাঁর ফিচারে তাঁর একটি গান প্রকাশ হয়েছে। আমরা দুজনে শিল্পী বলেই একে অন্যকে সহজেই বুঝতে পারি এবং ছাড় দিতে পারি। তাই আমাদের কাজ করাটা সহজ হয়।

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন? খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবা
২৭ এপ্রিল ২০২৩
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন? খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবা
২৭ এপ্রিল ২০২৩
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন? খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবা
২৭ এপ্রিল ২০২৩
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

প্রথম সিজনের মতোই ‘মহানগর সিজন টু’ দর্শকের প্রশংসায় ভাসছে। আপনি কেমন সাড়া পাচ্ছেন? খুবই ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রথম সিজনের চেয়েও বেশি পাচ্ছি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সিজন টু ওয়ার্ক করে না। এই চাপটা আমাদের মাঝে ছিল। তাই সতর্ক ছিলাম। যেন কোনোভাবেই দর্শকের সময় নষ্ট না হয়, দর্শকের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়। সবা
২৭ এপ্রিল ২০২৩
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৯ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৯ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৯ ঘণ্টা আগে