খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

মর্গের ট্রলিতে যে মরদেহ শুইয়ে রাখা, তার গায়ে হলুদ গেঞ্জি, ডোরাকাটা হাফপ্যান্ট। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। গায়ের রং ফরসা। চোখ বন্ধ, মুখ বন্ধ। দুই হাত শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি, হাতের আঙুলের নখ নীল। গলায় দুই কানের লতির নিচে ঘাড় বরাবর একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতির গাঢ় কালো দাগ। বুকের বাঁ পাশে নিচে আরেকটি কালো দাগ। পুরুষাঙ্গ দিয়ে বীর্য বের হচ্ছিল, মলদ্বার দিয়ে মল বের হয়েছে। এ ছাড়া শরীরের কোথাও আর কোনো দাগ নেই।
মরদেহের সুরতহাল করা হলো বেলা ৩টার কিছু আগে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. তেজেন্দ্র চন্দ্র দাস রিপোর্টে লিখলেন, ‘মৃত্যু ফাঁসের দরুন ঝুলিয়া শ্বাসরুদ্ধ হইয়া সম্পন্ন হইয়াছে, যাহা মৃত্যুপূর্ব ও আত্মহত্যাজনিত।’
ওই দিন রাতে মৃতের বাসা থেকে অন্যান্য আলামতের সঙ্গে উদ্ধার হয় আকাশি রঙের প্যাডের একটি ছেঁড়া পাতা। যাতে কাঁপা কাঁপা হাতে লেখা, ‘আমি চৌঃ মোঃ শাহরিয়ার।...এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আজ অথবা আজকের পরে যে কোনো দিন আমার মৃত্যু হলে তার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমি আত্মহত্যা করছি।’ প্যাডের ওপরে ইংরেজি হরফে বড় করে লেখা ‘সালমান শাহ’। হস্তলিপিবিশারদ নিশ্চিত করেন, হ্যান্ডনোটটি সালমানেরই লেখা।
বাংলা চলচ্চিত্রে নব্বই দশকের শুরুতে যাঁর হঠাৎ আবির্ভাব, কয়েক বছর রাজত্বের পর এভাবে হঠাৎ একদিন লেখা হলো তাঁর প্রস্থানের চিত্রনাট্য। শেষবারের মতো এফডিসিতে এলেন সালমান শাহ। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে নায়ককে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ছুটল সিলেটের পথে। নায়কের জন্মভূমি। হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ প্রাঙ্গণে হলো দ্বিতীয় জানাজা। সেখানকার কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হলো সালমানকে। তখনো বোঝা যায়নি, ৯ দিন পরেই আবার তোলা হবে তাঁর লাশ।
সালমানের বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর লিখিত এজাহারের পরিপ্রেক্ষিতে রমনা থানায় যে অপমৃত্যুর মামলাটি হয়, তার তদন্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সালমানের পরিবার। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখায়। ১৫ সেপ্টেম্বর সালমানের লাশ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়। পাশাপাশি চলতে থাকে আলামত সংগ্রহ ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ। পরের বছর ১৯৯৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে ডিবি যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়, তাতেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় ‘আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু’। এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেন সালমানের বাবা। পুনঃ তদন্তের আদেশ দেন আদালত।
সালমান শাহ যে আত্মহত্যা করতে পারেন, এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না নায়কের পরিবার। তাদের দাবি ছিল, হত্যা করা হয়েছে সালমানকে। সালমানের স্ত্রী সামিরা খানের দিকেই ছিল তাদের অভিযোগের তির। সালমানের মা শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন, সামিরাসহ ১১ জনের যোগসাজশে সালমানকে চেপে ধরে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে গলায় ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। কিন্তু এ ধরনের কোনো প্রমাণ মিলছিল না। থানা-পুলিশ ও ডিবির তদন্তে যখন বেরিয়ে আসছিল, সালমানের মৃত্যুর একটাই কারণ—আত্মহত্যা, তখন একটি ঘটনা মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় অন্যদিকে।
১৯৯৭ সালের ১৯ জুলাই সকালে ক্যান্টনমেন্ট থানায় খবর যায়, লেলিন নামের এক যুবককে আটকে রাখা হয়েছে সালমানের বাবার বাড়িতে। পরিচালক আলমগীর কবীরের ছেলে পরিচয়ে সে গিয়েছিল সেখানে। তার কথায় সন্দেহ হয় সালমানের মা নীলা চৌধুরীর। পুলিশ গিয়ে লেলিনকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যায়। জানা যায়, তার আসল নাম লেলিন নয়, রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ। গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আদালতে সে জবানবন্দি দেয়, ডন, ডেভিড, ফারুক, আজিজ মোহাম্মদ, সাত্তার, সাজু, সামিরা, লতিফা হক লুসি, রুবিসহ সে নিজে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে সালমান শাহকে। ফলে এত দিন যেটা ছিল অপমৃত্যুর মামলা, সেটা এবার হত্যা মামলায় রূপ নেয়। সালমানের স্ত্রী সামিরাকে করা হয় প্রধান আসামি। তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
কিছুদিন পর বক্তব্য বদলে যায় রেজভী ওরফে ফরহাদের। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদে রেজভী জানায়, সে সালমানের একজন ভক্ত। ভক্ত হিসেবেই সালমানের ব্যবহৃত কাপড়চোপড় ও ছবি সংগ্রহের জন্য সে গিয়েছিল সালমানের বাবার বাসায়। সালমানের মৃত্যুর বিষয়ে সে কিছুই জানে না। হত্যা মামলায় তার সঙ্গে যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদেরও চেনে না। নীলা চৌধুরীর ইন্ধনে তাকে মারপিট করে রাজসাক্ষী করা হয়েছে। পরে ১ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় রেজভীকে।
এরপর সিআইডি রিপোর্ট ও বিচার বিভাগীয় তদন্তে সালমানের মৃত্যুর আগের কারণটাই বহাল থাকে—আত্মহত্যা। তবে সিআইডির রিপোর্টে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে এই প্রথম উঠে আসে অন্য একটি নাম—চিত্রনায়িকা শাবনূর। সালমান শাহর সঙ্গে শাবনূরের অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা মানতে পারেননি সামিরা। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
পিবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের জুলাই নাগাদ মৃত্যুর দুই মাস আগে, সালমানের হাতে ছিল ২৭টি সিনেমার কাজ, বেশির ভাগেই তাঁর সহশিল্পী শাবনূর। অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁদের মধ্যে। শুটিংয়ের সময় শাবনূরকে নিয়ে সালমান শাহ বিভিন্ন স্থানে থাকতেন। এমনকি নায়কের বাসায়ও শাবনূর আসতেন মাঝেমধ্যে। বিষয়টি ভালো চোখে দেখতেন না সামিরা। তবে শাবনূরের সঙ্গে ছেলের এ সম্পর্কে পূর্ণ সমর্থন ছিল সালমানের মা নীলা চৌধুরীর। তিনি চাইতেন, শাবনূরের সঙ্গে সালমানের আবার বিয়ে দেবেন। শাবনূরকে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে রাখতে চাইতেন সালমানও।
সালমানের বাসার কাজের মেয়ে জরিনা বেগম আদালতে জানান, সামিরা চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায় শাবনূর দুই দিন সালমানের বাসায় আসেন। এক দিন সারা রাত ছিলেন, অন্যদিন চলে যান রাত ১২টার দিকে। সামিরা চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এ নিয়ে জরিনাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সত্যিটাই জানিয়ে দেন। যত দিন যাচ্ছিল, এ নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছিল সালমান-সামিরার দাম্পত্যে। এমনকি সালমানের মৃত্যুর আগের রাতেও এ নিয়ে ঝগড়া হয় তাঁদের মধ্যে। তার আগে সন্ধ্যায় এফডিসিতে গিয়ে সামিরা দেখেন, ডাবিং রুমে সালমান ও শাবনূর ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বসে আছেন। রাগ করে বেরিয়ে আসেন সামিরা।...

মর্গের ট্রলিতে যে মরদেহ শুইয়ে রাখা, তার গায়ে হলুদ গেঞ্জি, ডোরাকাটা হাফপ্যান্ট। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। গায়ের রং ফরসা। চোখ বন্ধ, মুখ বন্ধ। দুই হাত শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি, হাতের আঙুলের নখ নীল। গলায় দুই কানের লতির নিচে ঘাড় বরাবর একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতির গাঢ় কালো দাগ। বুকের বাঁ পাশে নিচে আরেকটি কালো দাগ। পুরুষাঙ্গ দিয়ে বীর্য বের হচ্ছিল, মলদ্বার দিয়ে মল বের হয়েছে। এ ছাড়া শরীরের কোথাও আর কোনো দাগ নেই।
মরদেহের সুরতহাল করা হলো বেলা ৩টার কিছু আগে। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. তেজেন্দ্র চন্দ্র দাস রিপোর্টে লিখলেন, ‘মৃত্যু ফাঁসের দরুন ঝুলিয়া শ্বাসরুদ্ধ হইয়া সম্পন্ন হইয়াছে, যাহা মৃত্যুপূর্ব ও আত্মহত্যাজনিত।’
ওই দিন রাতে মৃতের বাসা থেকে অন্যান্য আলামতের সঙ্গে উদ্ধার হয় আকাশি রঙের প্যাডের একটি ছেঁড়া পাতা। যাতে কাঁপা কাঁপা হাতে লেখা, ‘আমি চৌঃ মোঃ শাহরিয়ার।...এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আজ অথবা আজকের পরে যে কোনো দিন আমার মৃত্যু হলে তার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমি আত্মহত্যা করছি।’ প্যাডের ওপরে ইংরেজি হরফে বড় করে লেখা ‘সালমান শাহ’। হস্তলিপিবিশারদ নিশ্চিত করেন, হ্যান্ডনোটটি সালমানেরই লেখা।
বাংলা চলচ্চিত্রে নব্বই দশকের শুরুতে যাঁর হঠাৎ আবির্ভাব, কয়েক বছর রাজত্বের পর এভাবে হঠাৎ একদিন লেখা হলো তাঁর প্রস্থানের চিত্রনাট্য। শেষবারের মতো এফডিসিতে এলেন সালমান শাহ। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে নায়ককে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ছুটল সিলেটের পথে। নায়কের জন্মভূমি। হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ প্রাঙ্গণে হলো দ্বিতীয় জানাজা। সেখানকার কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হলো সালমানকে। তখনো বোঝা যায়নি, ৯ দিন পরেই আবার তোলা হবে তাঁর লাশ।
সালমানের বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর লিখিত এজাহারের পরিপ্রেক্ষিতে রমনা থানায় যে অপমৃত্যুর মামলাটি হয়, তার তদন্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সালমানের পরিবার। আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখায়। ১৫ সেপ্টেম্বর সালমানের লাশ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়। পাশাপাশি চলতে থাকে আলামত সংগ্রহ ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ। পরের বছর ১৯৯৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে ডিবি যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়, তাতেও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় ‘আত্মহত্যাজনিত মৃত্যু’। এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেন সালমানের বাবা। পুনঃ তদন্তের আদেশ দেন আদালত।
সালমান শাহ যে আত্মহত্যা করতে পারেন, এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না নায়কের পরিবার। তাদের দাবি ছিল, হত্যা করা হয়েছে সালমানকে। সালমানের স্ত্রী সামিরা খানের দিকেই ছিল তাদের অভিযোগের তির। সালমানের মা শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন, সামিরাসহ ১১ জনের যোগসাজশে সালমানকে চেপে ধরে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে গলায় ইলেকট্রিক তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। কিন্তু এ ধরনের কোনো প্রমাণ মিলছিল না। থানা-পুলিশ ও ডিবির তদন্তে যখন বেরিয়ে আসছিল, সালমানের মৃত্যুর একটাই কারণ—আত্মহত্যা, তখন একটি ঘটনা মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় অন্যদিকে।
১৯৯৭ সালের ১৯ জুলাই সকালে ক্যান্টনমেন্ট থানায় খবর যায়, লেলিন নামের এক যুবককে আটকে রাখা হয়েছে সালমানের বাবার বাড়িতে। পরিচালক আলমগীর কবীরের ছেলে পরিচয়ে সে গিয়েছিল সেখানে। তার কথায় সন্দেহ হয় সালমানের মা নীলা চৌধুরীর। পুলিশ গিয়ে লেলিনকে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিয়ে যায়। জানা যায়, তার আসল নাম লেলিন নয়, রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ। গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। আদালতে সে জবানবন্দি দেয়, ডন, ডেভিড, ফারুক, আজিজ মোহাম্মদ, সাত্তার, সাজু, সামিরা, লতিফা হক লুসি, রুবিসহ সে নিজে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে সালমান শাহকে। ফলে এত দিন যেটা ছিল অপমৃত্যুর মামলা, সেটা এবার হত্যা মামলায় রূপ নেয়। সালমানের স্ত্রী সামিরাকে করা হয় প্রধান আসামি। তদন্ত শুরু করে সিআইডি।
কিছুদিন পর বক্তব্য বদলে যায় রেজভী ওরফে ফরহাদের। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জিজ্ঞাসাবাদে রেজভী জানায়, সে সালমানের একজন ভক্ত। ভক্ত হিসেবেই সালমানের ব্যবহৃত কাপড়চোপড় ও ছবি সংগ্রহের জন্য সে গিয়েছিল সালমানের বাবার বাসায়। সালমানের মৃত্যুর বিষয়ে সে কিছুই জানে না। হত্যা মামলায় তার সঙ্গে যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদেরও চেনে না। নীলা চৌধুরীর ইন্ধনে তাকে মারপিট করে রাজসাক্ষী করা হয়েছে। পরে ১ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয় রেজভীকে।
এরপর সিআইডি রিপোর্ট ও বিচার বিভাগীয় তদন্তে সালমানের মৃত্যুর আগের কারণটাই বহাল থাকে—আত্মহত্যা। তবে সিআইডির রিপোর্টে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে এই প্রথম উঠে আসে অন্য একটি নাম—চিত্রনায়িকা শাবনূর। সালমান শাহর সঙ্গে শাবনূরের অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা মানতে পারেননি সামিরা। এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
পিবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের জুলাই নাগাদ মৃত্যুর দুই মাস আগে, সালমানের হাতে ছিল ২৭টি সিনেমার কাজ, বেশির ভাগেই তাঁর সহশিল্পী শাবনূর। অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁদের মধ্যে। শুটিংয়ের সময় শাবনূরকে নিয়ে সালমান শাহ বিভিন্ন স্থানে থাকতেন। এমনকি নায়কের বাসায়ও শাবনূর আসতেন মাঝেমধ্যে। বিষয়টি ভালো চোখে দেখতেন না সামিরা। তবে শাবনূরের সঙ্গে ছেলের এ সম্পর্কে পূর্ণ সমর্থন ছিল সালমানের মা নীলা চৌধুরীর। তিনি চাইতেন, শাবনূরের সঙ্গে সালমানের আবার বিয়ে দেবেন। শাবনূরকে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে রাখতে চাইতেন সালমানও।
সালমানের বাসার কাজের মেয়ে জরিনা বেগম আদালতে জানান, সামিরা চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায় শাবনূর দুই দিন সালমানের বাসায় আসেন। এক দিন সারা রাত ছিলেন, অন্যদিন চলে যান রাত ১২টার দিকে। সামিরা চট্টগ্রাম থেকে ফিরে এ নিয়ে জরিনাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সত্যিটাই জানিয়ে দেন। যত দিন যাচ্ছিল, এ নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছিল সালমান-সামিরার দাম্পত্যে। এমনকি সালমানের মৃত্যুর আগের রাতেও এ নিয়ে ঝগড়া হয় তাঁদের মধ্যে। তার আগে সন্ধ্যায় এফডিসিতে গিয়ে সামিরা দেখেন, ডাবিং রুমে সালমান ও শাবনূর ঘনিষ্ঠ অবস্থায় বসে আছেন। রাগ করে বেরিয়ে আসেন সামিরা।...

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৬ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৬ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

মর্গের ট্রলিতে যে মরদেহ শুইয়ে রাখা, তার গায়ে হলুদ গেঞ্জি, ডোরাকাটা হাফপ্যান্ট। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। গায়ের রং ফরসা। চোখ বন্ধ, মুখ বন্ধ। দুই হাত শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি, হাতের আঙুলের নখ নীল। গলায় দুই কানের লতির নিচে ঘাড় বরাবর একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতির গাঢ় কালো দাগ। বুকের বাঁ পাশে নিচে আরেকটি কালো দাগ। পুর
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৬ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

মর্গের ট্রলিতে যে মরদেহ শুইয়ে রাখা, তার গায়ে হলুদ গেঞ্জি, ডোরাকাটা হাফপ্যান্ট। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। গায়ের রং ফরসা। চোখ বন্ধ, মুখ বন্ধ। দুই হাত শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি, হাতের আঙুলের নখ নীল। গলায় দুই কানের লতির নিচে ঘাড় বরাবর একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতির গাঢ় কালো দাগ। বুকের বাঁ পাশে নিচে আরেকটি কালো দাগ। পুর
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৬ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

মর্গের ট্রলিতে যে মরদেহ শুইয়ে রাখা, তার গায়ে হলুদ গেঞ্জি, ডোরাকাটা হাফপ্যান্ট। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। গায়ের রং ফরসা। চোখ বন্ধ, মুখ বন্ধ। দুই হাত শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি, হাতের আঙুলের নখ নীল। গলায় দুই কানের লতির নিচে ঘাড় বরাবর একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতির গাঢ় কালো দাগ। বুকের বাঁ পাশে নিচে আরেকটি কালো দাগ। পুর
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৬ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

⊲ অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)
⊲ বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)
⊲ মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

⊲ অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)
⊲ বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)
⊲ মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

মর্গের ট্রলিতে যে মরদেহ শুইয়ে রাখা, তার গায়ে হলুদ গেঞ্জি, ডোরাকাটা হাফপ্যান্ট। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। গায়ের রং ফরসা। চোখ বন্ধ, মুখ বন্ধ। দুই হাত শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি, হাতের আঙুলের নখ নীল। গলায় দুই কানের লতির নিচে ঘাড় বরাবর একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতির গাঢ় কালো দাগ। বুকের বাঁ পাশে নিচে আরেকটি কালো দাগ। পুর
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৬ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৬ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
৬ ঘণ্টা আগে