Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

সন্ধ্যাকালীন অ্যামেচার থিয়েটার চর্চায় আটকে আছে মঞ্চনাটক

মোহাম্মদ বারী। ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালের ২৫ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় নাট্যদল অনুস্বর। আজ দলটির ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আজ মঞ্চে আসছে দলের নতুন প্রযোজনা ‘বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান’। এ ছাড়া আয়োজন করা হয়েছে অনুস্বর সংলাপ অনুষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে অনুস্বরের দলপ্রধান অভিনেতা ও নির্দেশক মোহাম্মদ বারীর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

শিহাব আহমেদ 

আজ অনুস্বর নাট্যদলের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। কী থাকছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনে?

নতুন নাটক ‘বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান’-এর প্রদর্শনী এবং অনুস্বর সংলাপ নামের একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। প্রতিবছর এই সংলাপে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হয় নাট্যকর্মী ও দর্শকদের সামনে। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর তিনি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্যকে ঘিরে শুরু হয় সংলাপ। দর্শকেরা অতিথিকে প্রশ্ন করেন। এবার থাকছেন নাট্য নির্দেশক ও শিক্ষক অধ্যাপক অসীম দাশ। সংলাপটি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ এপ্রিল শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে, সন্ধ্যা ৭টায়। এ ছাড়া বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান নাটকটির প্রদর্শনী হবে আজ ২৫ জুলাই অনুস্বরের নিজস্ব স্টুডিওতে। বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মোট দুটি প্রদর্শনী হবে।

বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান নাটকের প্রেক্ষাপট কী নিয়ে?

বর্তমান বিশ্বের যুদ্ধাবস্থা এমন কিছু প্রশ্ন নিয়ে আজ আমাদের সামনে উপস্থিত, যার উত্তর দিতে প্রতিটি বিবেকবান মানুষ কুণ্ঠিত, ভয়ার্ত, লজ্জিত। যুদ্ধ প্রতিনিয়ত এমন সব বীভৎস ঘটনার জন্ম দিচ্ছে, যেখানে জ্ঞান অনেকটাই অসার, নৈতিকতা ক্লান্ত আর মানবতা পরাজিত। এই পরিস্থিতি আজ গোটা মানবজাতির অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ রকম বিভ্রান্তিময় সময়ের পাকচক্রে গভীর রাতে এক বুদ্ধিজীবীর বাসায় হাজির হয় শয়তান। এ নাটক বর্তমান বিভ্রান্তকালের এক কল্পিত রাতের গল্প। লিখেছেন সাইফ সুমন। পরে আমি কিছু জায়গায় সংযোজন করেছি। তাই নাট্যকার হিসেবে আমাদের দুজনের নাম রয়েছে। নির্দেশনা দিয়েছি আমি। অভিনয় করেছেন সাইফ সুমন, মিতু, মাজেদুল মিঠু, নুরুজ্জামান সরকার ও রিমা।

এমন বিষয় বেছে নেওয়ার কারণ কী?

এটা মূলত স্যাটায়ার নাটক। তৌফিক আল হাকিমের মিসরীয় একটি নাটক এবং খলিল আল জিবরানের দুটি গল্পের নির্যাস থেকে রচিত হয়েছে। এটি বেছে নেওয়ার কারণ, যুদ্ধের ডামাডোল পৃথিবীজুড়েই চলছে। যুদ্ধ আসলে কাদের কারণে হয়, কেন হয়, কী কারণে হয়—সে বিষয়গুলো ব্যঙ্গাত্মক জায়গা থেকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক সময় আমরা মনে করি, শান্তির জন্য যুদ্ধ হয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল শান্তির জন্য। যুদ্ধের বিপরীতে আরেকটা জায়গা থাকে। এর সঙ্গে রক্তপাতের সম্পর্ক আছে, অমানবিকতার সম্পর্ক আছে। যুদ্ধের ক্ষেত্রে শান্তির চেয়ে মানবতার বন্দিত্বের ঘটনা বেশি ঘটে। মানুষের মুক্তির চেয়ে অন্য গোষ্ঠীকে বন্দী করার একটা কায়দা। যুগে যুগে দেখা গেছে যুদ্ধের পেছনে আছে অন্য কোনো উদ্দেশ্য। ফলে মানুষের বেঁচে থাকার যে আকাঙ্ক্ষা, সেটা আরও ভয়াবহভাবে নিস্পৃহ হয়।

অনুস্বরের ছয় বছর পূর্ণ হলো। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে দল গড়েছিলেন, তার কতখানি পূরণ হয়েছে বলে করেন?

প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের যথেষ্ট কর্মকাণ্ড ছিল। বুদ্ধিজীবীর বাসায় শয়তান আমাদের দ্বাদশ প্রযোজনা। এত কম সময়ে ১২টি নাটক করার অভিজ্ঞতা কম দলেরই আছে। আমাদের কাজ বলে দেয় দল হিসেবে আমরা কতটা সক্রিয়। অনুস্বরের সদস্যদের জীবনী শক্তি হলো কর্মচাঞ্চল্য। এটা ধরে রাখার চেষ্টা করছি শুরু থেকে। নাটকের বাইরে আমরা সংলাপের আয়োজন করি বিভিন্ন সময়। ভারতেও আমরা নাটক করেছি। সব মিলিয়ে ৬ বছরে আমরা যে কর্মমুখর সময় পার করেছি, তাতে ব্যক্তিগত ও দলপ্রধান হিসেবে আমি আনন্দিত।

নাট্য প্রদর্শনীর জন্য দলগুলোকে নির্ভর করতে হয় শিল্পকলা একাডেমি ও মহিলা সমিতির ওপর। কিন্তু আপনাদের নিজস্ব স্টুডিও আছে। এই ভাবনটা কী করে এল?

আমাদের যেহেতু রিহার্সালের জায়গা প্রয়োজন, তাই সেই জায়গাতেই যদি প্রদর্শনীর জায়গা করা যায়, তাহলে নিয়মিত কাজ করার একটি সুযোগ তৈরি করা যাবে। সেই ভাবনা থেকেই অনুস্বর স্টুডিও। অল্প আসন হলেও দর্শকদের নিয়ে প্রদর্শনী আয়োজন করা যাচ্ছে। এখানে আমরা কম দৈর্ঘ্যের নাটকগুলো করছি এবং সফল হয়েছি। এতে দর্শক যেমন ভিন্ন স্বাদের নাটক পাচ্ছেন, আমরাও হলের জন্য কারও ওপর নির্ভরশীল থাকছি না। দলের সদস্যদের নিয়মিত চর্চার একটা ব্যবস্থাও হয়েছে। অনেক দলেরই নিজস্ব জায়গা আছে। যেখানে তারা রিহার্সাল করে। তারাও চাইলে এমনটা করতে পারে। অনেকেই এখন করছে। যেমন প্রাচ্যনাট, আরণ্যক তাদের ওয়ার্কশপ প্রোগ্রামগুলো করছে।

আমাদের দেশে মঞ্চনাটকের যাত্রাটা দীর্ঘ সময়ের। গুণী অনেক শিল্পী উঠে এসেছেন মঞ্চ থেকে। কিন্তু এত বছরেও মঞ্চে কেন পেশাদারত্ব তৈরি হলো না?

একটা প্রজন্ম বিশেষ করে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নব নাট্য আন্দোলন শুরু করেছিল। মানুষকে নতুনভাবে থিয়েটারের রস খুঁজে পাওয়ার পথ তৈরি করেছিল। তাদের আমি ধন্যবাদ দিই। কিন্তু পেশাদারত্ব তৈরির কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য তাদের ছিল না। এটা হতেই পারে। কারণ তারা মাত্র শুরু করেছিল। একসময় নানা পেশায় জড়িয়ে গেছে। এ কারণেই তারা সন্ধ্যাকালীন থিয়েটার করেছে। কিন্তু থিয়েটারকে আশ্রয় করে একটা পেশার জায়গা তৈরি হতে পারে, সেটি ভাবেনি। তাদের উদ্দেশ্যহীন কর্মকাণ্ডের জন্যই থিয়েটার পেশাদারত্বের জায়গায় পৌঁছায়নি। যথাযথ চেষ্টা করলে হয়তো পেশাদারত্বের জায়গায় যাওয়া যেত। কিন্তু সন্ধ্যাকালীন অ্যামেচার থিয়েটার চর্চার মধ্যে আটকে রাখা হলো মঞ্চনাটককে। নিজস্ব পেশার বাইরে শিল্পচর্চার রস পেতে সন্ধ্যার সময়টা কাটানোর জন্য থিয়েটারকে বেছে নেওয়া হলো।

পেশাদারত্ব তৈরি করতে কী করা উচিত বলে মনে করেন?

এর জন্য যে অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দরকার, স্পনসরশিপের প্রয়োজন, সেটা আমাদের নেই। একচ্ছত্রভাবে কাউকে দোষারোপ করেও লাভ নেই। এই ক্ষেত্রটাই বিকশিত হয়নি। কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে তা করবে কিসের আশায়। সেই প্রাপ্তির জায়গা তৈরি করতে হবে। অনেকেই চেষ্টা করছেন। তবে সময় লাগবে। আরও একটি আন্দোলন লাগবে পেশাদারত্ব সৃষ্টি করতে। সেটা হয়তো শুরু হয়েছে। যেমন সৈয়দ জামিল আহমেদ প্রজেক্টভিত্তিক অনেক কাজ করছেন। অনেক ছেলেমেয়ে নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের পারিশ্রমিক দিয়ে শো করছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টা অন্যদেরও পথ দেখাচ্ছে, অনুপ্রাণিত করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিন বছর পর বিচ্ছেদের খবর দিলেন বিন্দু

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৮
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।

২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’

বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’

২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।

ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’

প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’

অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘ইত্যাদি’র নতুন পর্ব এবার চুয়াডাঙ্গায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।

এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।

ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের চার দিনে সাত প্রদর্শনী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।

নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’

নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’

মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন লুকে চমকে দিলেন কিয়ারা আদভানি

বিনোদন ডেস্ক
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।

শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।

ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।

ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।

ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’

প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত