Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

শিল্পীকে রাজনীতি-সচেতন হতে হবে, কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করবে না

আজাদ আবুল কালাম। ছবি: সংগৃহীত

গত শনিবার হয়ে গেল অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন। ২০২৫-২৮ মেয়াদের সভাপতি হয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। গত কমিটির কিছু কার্যক্রম পড়েছিল প্রশ্নের মুখে। তাই নতুন কমিটির চ্যালেঞ্জটা এবার একটু বেশি। অভিনয়শিল্পী সংঘ নিয়ে নতুন সভাপতি আজাদ আবুল কালামের সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

শিহাব আহমেদ 
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০০: ০৩

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হলেন। সংগঠন নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী।

অভিনয়শিল্পী সংঘের রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে নির্বাচিত কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চাই। এখানে আমি একা নই। কমিটির সদস্য ২১ জন। কোনো প্যানেলভিত্তিক নির্বাচন হয়নি। সবাই স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে পাস করেছেন। সবার একটা নিজস্ব ভাবনা আছে। সেই ভাবনাগুলো একত্র করে তৈরি হবে অভিনয়শিল্পী সংঘের আগামী তিন বছরের রূপরেখা।

নিশ্চয়ই আপনার কোনো পরিকল্পনা ছিল, নির্বাচনী ইশতেহার ছিল?

অভিনয় যে একটা পেশা, এটা এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত না। রাষ্ট্রীয়ভাবে অভিনয়কে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কাজ করতে চাই। এ ছাড়া অভিনয়শিল্পীরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। সেই বৈষম্য কীভাবে দূর করা যায়, সেটা নিয়েও কাজ করতে চাই। প্রস্তুত থাকতে চাই বিভিন্ন সময়ের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য।

নির্বাচনে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আব্দুল্লাহ রানা। ফল প্রকাশের পর তিনি আপনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যাঁরা নির্বাচনে জিততে পারেননি, তাঁদের উদ্দেশে কী বলবেন।

আমরা শুরু থেকেই বলছি, অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে জিতবে ২১, হারবে না কেউ। তার মানে হলো এখানে হারজিত কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তবে এটা একটা চ্যালেঞ্জিং অর্জন। এই সংঘে নিবন্ধিত ৭ শতাধিক অভিনয়শিল্পী ভোটের মাধ্যমে তাঁদের নেতা নির্বাচন করেন। আমি আগে থেকে বিশ্বাস করি, আব্দুল্লাহ রানা জিতলে আমার জয়, আবার আমি জিতে গেলে রানা জিতে যাবেন। তাঁকেও কিন্তু অনেকে নেতা হিসেবে চান। শুধু তিনি নন, প্রতিটি পদে যারা জিততে পারেননি, তাঁদেরও অনেকেই চান। ভোটের পার্থক্য কিন্তু খুব বেশি নয়। ফলাফলের দিকে তাকালে সেটা স্পষ্ট। তাঁদেরও বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে এবং তাঁরা কাজ করবেন।

অভিনয়শিল্পী সংঘের গত কমিটির কিছু কর্মকাণ্ড সমালোচিত হয়েছিল। সেই বিষয়টিও নিশ্চয় বর্তমান কমিটির ভাবনায় থাকবে?

সমালোচিত হয়েছে, এটা ঠিক। আবার তারা অনেক কাজ করেছে, এটাও সত্য। ভুলত্রুটি সব ক্ষেত্রেই হয়। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, এ ধরনের সংগঠনকে সরকারের কাছে যেতেই হয়। সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করতে হয়। যে সরকারই থাকুক না কেন। সেই দেনদরবারের ক্ষেত্রে হয়তো কিছু ভুল তারা করেছে। কিছু বিবৃতি তাদের বিপক্ষে গেছে। ওই যে বললাম, দাবি আদায়ের জন্য সরকারের কাছে সংগঠনগুলোকে যেতে হয়। কিন্তু যেতে হয় মানে এই নয় যে তারা সরকারের লেজুড়বৃত্তি করছে। কিছু কিছু জায়গায় অভিনয়শিল্পী সংঘের পূর্ববর্তী কমিটি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছে। সেগুলো তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ ছাড়া কারও কারও কর্মকাণ্ড ভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করেছে মানুষ। ওই কাজগুলো যে তাঁরা বুঝেশুনে করেছেন—এমনটাও নয়। আগের কমিটি কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের ভুল স্বীকার করেছে, স্যরি বলেছে। অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটির কাছে দায়িত্বও ছেড়ে দিয়েছে।

অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব এনেছে। সেগুলো নিয়ে কী ভাবছেন।

তারিক আনাম খানের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি কিছু কাজ করেছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলো নিয়ে আমরা অবশ্যই পর্যালোচনা করব। আগেই বললাম, এখানে সদস্য ২১ জন আছেন। তাদের নানা মত আছে। একার কারও মত চাপিয়ে দেওয়ার কোনো বিষয় এখানে নেই। সংস্কার কমিটির কী কী প্রস্তাব আছে এবং তারা কতটুকু কাজ করেছে আর কী কী বাকি আছে, তা সবাই মিলে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সেই সময়ে শিল্পীদের মাঝে বিভক্তি দেখা গিয়েছিল। সেই বিভক্তি দূর করার জন্য কিছু ভেবেছেন?

হ্যাঁ, বিভেদ হয়েছিল। সেই বিভেদ যে স্থায়ী হয়েছিল, তা নয়। অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন কিন্তু শিল্পীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। বিভেদ এখনো থাকলে এমন পরিবেশ সৃষ্টি হতো না। তবে যেকোনো ধরনের বিভেদ খুব ভয়ংকর জিনিস। এ ছাড়া রাজনৈতিক ট্যাগিং, একে ট্যাগ করা, ওকে ট্যাগ করা খুব খারাপ। এই যেমন টিপ নিয়ে একটা কাণ্ড হয়েছিল। ১৮ শিল্পী সেটা নিয়ে কথা বলেছিলেন। সেটা নিয়ে মামলা হয়ে গেছে। এটা তো খুব বীভৎস ব্যাপার। ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পরে একটা বড় সমস্যা হয়েছে। নানাভাবে নানাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং মব ক্রিয়েট করা হয়েছে। অথবা এমন সব মতামত তৈরি করা হয়েছে, যা এঁদের সমাজবহির্ভূত করার প্রক্রিয়া। এটা আরেক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ। এটাও কিন্তু বড় সমস্যা।

অভিনয়শিল্পীদের রাজনীতিতে কতটা জড়ানো উচিত বলে মনে করেন।

শিল্পী, প্রথমত একজন শিল্পী। তিনি রাজনীতিক নন। কোনো রাজনৈতিক দলের নন। শিল্পীকে রাজনীতি-সচেতন হতে হবে, কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করবে না। অভিনয়শিল্পীদের একসঙ্গে থাকা বেশি জরুরি এবং দাবিদাওয়ার পক্ষে একতাবদ্ধ থাকা জরুরি।

অভিনয়শিল্পী সংঘের পাশাপাশি থিয়েটার আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া মঞ্চ ও পর্দায় কাজ করছেন। সবকিছু সামাল দেওয়া কতটা চ্যালেঞ্জিং।

সবই আর্ট রিলেটেড কাজ। ভালোভাবে দেখলে বোঝা যাবে, সবই কাছাকাছি ধরনের কাজ। তবে চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি। ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। দেখা যাক চ্যালেঞ্জটা কতটা নিতে পারি। কমিটিতে অনেকে আছেন। সবকিছু আমি একাই সামলে নেব, বিষয়টি তেমন নয়। সবাই মিলে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে চাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৬ বছর পর প্রকাশ্যে এল অপু-মোমরেনাজের বিচ্ছেদের খবর

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
রাশেদ মামুন অপু। ছবি: সংগৃহীত
রাশেদ মামুন অপু। ছবি: সংগৃহীত

ছয় বছর আগে ভেঙেছে সংসার। এত দিন গোপন রেখেছিলেন সেই খবর। অবশেষে আজ রোববার তা প্রকাশ্যে এলো। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রাশেদ মামুন অপু ও মমরেনাজ মোম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে প্রেম হয় দুজনের, সেই প্রেমের পরিণতি বিয়ে, সংসার। রাশেদ মামুন অপু জনপ্রিয় অভিনেতা, মমরেনাজ মোম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নিউজ প্রেজেন্টার। দুজনেই জানালেন, আর একসঙ্গে নেই তাঁরা।

রাশেদ মামুন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা দুজনে আলোচনা করেই নিয়েছি। কারণ, জীবনে সবারই ভালো থাকা জরুরি।’

মমরেনাজ মোম জানিয়েছেন, অনেক আগেই দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন তাঁরা। দীর্ঘদিনের গোপন বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন নিজেদের স্বস্তির জন্য। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবশেষে ঈশ্বর ক্ষমা করলেন। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, ভয়, লজ্জার জন্য দীর্ঘ ৬ বছরের বিচ্ছেদ চেপে রাখার সিদ্ধান্ত দুজন মিলে নিয়েছিলাম। গোপনীয়তা বিষয়টি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছিল দুজনের জন্যই। তাই দুজনের সিদ্ধান্তে আমরা বিষয়টি পরিষ্কার হতে চাই। এখন খুব আন্তরিকভাবে দুজনের সিদ্ধান্তেই আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনছি। বিচ্ছেদ মানেই ধ্বংস নয়, শেষ হয়ে যাওয়া নয়...।’

মোমরেনাজ মোম। ছবি: সংগৃহীত
মোমরেনাজ মোম। ছবি: সংগৃহীত

অপু ও মমরেনাজের সংসারে এক ছেলে রয়েছে। তার সম্পর্কে জানতে চাইলে অপু জানান, সে অপুর সঙ্গেই আছে। অপুর সঙ্গেই থাকবে। তবে বিচ্ছেদের এই ঘটনা নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না অপু। জানালেন, তিনিও একটা স্ট্যাটাস শেয়ার করে ঘটানাটি জানিয়েছেন। তবে স্ট্যাটাসটি এখন অনলি মি করে রেখেছেন। বিচ্ছেদের ঘটনাকে জীবনের বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা হিসেবে দেখছেন না দুজনের কেউ। বরং জীবনের আরেকটি অধ্যায় বলেই মনে করছেন।

রাশেদ মামুন অপু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে থিয়েটার করেছেন। সেখান থেকেই শোবিজের সঙ্গে সখ্য শুরু। ঢাকায় এসে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার পর নিজে চারটি নাটক পরিচালনা করেছেন। অভিনয়ে এসে রাজশাহী ভাষার আঞ্চলিক সংলাপ দিয়ে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। সেই থেকে নিয়মিত অভিনয় করছেন, একের পর এক নাটক সিনেমায় অভিনয় করে নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরু হচ্ছে তারকাবহুল ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার শুটিং

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।

হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’

অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’

আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’

জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের আয়োজন

৬ ইয়াং স্টারকে নিয়ে ৩ বিচারকের গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।

আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।

কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’

সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’

কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রটারড্যাম উৎসবে ‘দেলুপি’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।

আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।

রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’

দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত