Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

শিল্পীকে রাজনীতি-সচেতন হতে হবে, কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করবে না

আজাদ আবুল কালাম। ছবি: সংগৃহীত

গত শনিবার হয়ে গেল অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন। ২০২৫-২৮ মেয়াদের সভাপতি হয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। গত কমিটির কিছু কার্যক্রম পড়েছিল প্রশ্নের মুখে। তাই নতুন কমিটির চ্যালেঞ্জটা এবার একটু বেশি। অভিনয়শিল্পী সংঘ নিয়ে নতুন সভাপতি আজাদ আবুল কালামের সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

শিহাব আহমেদ 
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০০: ০৩

অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হলেন। সংগঠন নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী।

অভিনয়শিল্পী সংঘের রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে নির্বাচিত কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চাই। এখানে আমি একা নই। কমিটির সদস্য ২১ জন। কোনো প্যানেলভিত্তিক নির্বাচন হয়নি। সবাই স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে পাস করেছেন। সবার একটা নিজস্ব ভাবনা আছে। সেই ভাবনাগুলো একত্র করে তৈরি হবে অভিনয়শিল্পী সংঘের আগামী তিন বছরের রূপরেখা।

নিশ্চয়ই আপনার কোনো পরিকল্পনা ছিল, নির্বাচনী ইশতেহার ছিল?

অভিনয় যে একটা পেশা, এটা এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত না। রাষ্ট্রীয়ভাবে অভিনয়কে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কাজ করতে চাই। এ ছাড়া অভিনয়শিল্পীরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। সেই বৈষম্য কীভাবে দূর করা যায়, সেটা নিয়েও কাজ করতে চাই। প্রস্তুত থাকতে চাই বিভিন্ন সময়ের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য।

নির্বাচনে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আব্দুল্লাহ রানা। ফল প্রকাশের পর তিনি আপনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যাঁরা নির্বাচনে জিততে পারেননি, তাঁদের উদ্দেশে কী বলবেন।

আমরা শুরু থেকেই বলছি, অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে জিতবে ২১, হারবে না কেউ। তার মানে হলো এখানে হারজিত কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তবে এটা একটা চ্যালেঞ্জিং অর্জন। এই সংঘে নিবন্ধিত ৭ শতাধিক অভিনয়শিল্পী ভোটের মাধ্যমে তাঁদের নেতা নির্বাচন করেন। আমি আগে থেকে বিশ্বাস করি, আব্দুল্লাহ রানা জিতলে আমার জয়, আবার আমি জিতে গেলে রানা জিতে যাবেন। তাঁকেও কিন্তু অনেকে নেতা হিসেবে চান। শুধু তিনি নন, প্রতিটি পদে যারা জিততে পারেননি, তাঁদেরও অনেকেই চান। ভোটের পার্থক্য কিন্তু খুব বেশি নয়। ফলাফলের দিকে তাকালে সেটা স্পষ্ট। তাঁদেরও বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে এবং তাঁরা কাজ করবেন।

অভিনয়শিল্পী সংঘের গত কমিটির কিছু কর্মকাণ্ড সমালোচিত হয়েছিল। সেই বিষয়টিও নিশ্চয় বর্তমান কমিটির ভাবনায় থাকবে?

সমালোচিত হয়েছে, এটা ঠিক। আবার তারা অনেক কাজ করেছে, এটাও সত্য। ভুলত্রুটি সব ক্ষেত্রেই হয়। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, এ ধরনের সংগঠনকে সরকারের কাছে যেতেই হয়। সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করতে হয়। যে সরকারই থাকুক না কেন। সেই দেনদরবারের ক্ষেত্রে হয়তো কিছু ভুল তারা করেছে। কিছু বিবৃতি তাদের বিপক্ষে গেছে। ওই যে বললাম, দাবি আদায়ের জন্য সরকারের কাছে সংগঠনগুলোকে যেতে হয়। কিন্তু যেতে হয় মানে এই নয় যে তারা সরকারের লেজুড়বৃত্তি করছে। কিছু কিছু জায়গায় অভিনয়শিল্পী সংঘের পূর্ববর্তী কমিটি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছে। সেগুলো তাদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ ছাড়া কারও কারও কর্মকাণ্ড ভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করেছে মানুষ। ওই কাজগুলো যে তাঁরা বুঝেশুনে করেছেন—এমনটাও নয়। আগের কমিটি কিন্তু এ ব্যাপারে তাদের ভুল স্বীকার করেছে, স্যরি বলেছে। অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটির কাছে দায়িত্বও ছেড়ে দিয়েছে।

অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাব এনেছে। সেগুলো নিয়ে কী ভাবছেন।

তারিক আনাম খানের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি কিছু কাজ করেছে। যেগুলো বাকি আছে সেগুলো নিয়ে আমরা অবশ্যই পর্যালোচনা করব। আগেই বললাম, এখানে সদস্য ২১ জন আছেন। তাদের নানা মত আছে। একার কারও মত চাপিয়ে দেওয়ার কোনো বিষয় এখানে নেই। সংস্কার কমিটির কী কী প্রস্তাব আছে এবং তারা কতটুকু কাজ করেছে আর কী কী বাকি আছে, তা সবাই মিলে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সেই সময়ে শিল্পীদের মাঝে বিভক্তি দেখা গিয়েছিল। সেই বিভক্তি দূর করার জন্য কিছু ভেবেছেন?

হ্যাঁ, বিভেদ হয়েছিল। সেই বিভেদ যে স্থায়ী হয়েছিল, তা নয়। অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন কিন্তু শিল্পীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। বিভেদ এখনো থাকলে এমন পরিবেশ সৃষ্টি হতো না। তবে যেকোনো ধরনের বিভেদ খুব ভয়ংকর জিনিস। এ ছাড়া রাজনৈতিক ট্যাগিং, একে ট্যাগ করা, ওকে ট্যাগ করা খুব খারাপ। এই যেমন টিপ নিয়ে একটা কাণ্ড হয়েছিল। ১৮ শিল্পী সেটা নিয়ে কথা বলেছিলেন। সেটা নিয়ে মামলা হয়ে গেছে। এটা তো খুব বীভৎস ব্যাপার। ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পরে একটা বড় সমস্যা হয়েছে। নানাভাবে নানাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং মব ক্রিয়েট করা হয়েছে। অথবা এমন সব মতামত তৈরি করা হয়েছে, যা এঁদের সমাজবহির্ভূত করার প্রক্রিয়া। এটা আরেক ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ। এটাও কিন্তু বড় সমস্যা।

অভিনয়শিল্পীদের রাজনীতিতে কতটা জড়ানো উচিত বলে মনে করেন।

শিল্পী, প্রথমত একজন শিল্পী। তিনি রাজনীতিক নন। কোনো রাজনৈতিক দলের নন। শিল্পীকে রাজনীতি-সচেতন হতে হবে, কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করবে না। অভিনয়শিল্পীদের একসঙ্গে থাকা বেশি জরুরি এবং দাবিদাওয়ার পক্ষে একতাবদ্ধ থাকা জরুরি।

অভিনয়শিল্পী সংঘের পাশাপাশি থিয়েটার আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া মঞ্চ ও পর্দায় কাজ করছেন। সবকিছু সামাল দেওয়া কতটা চ্যালেঞ্জিং।

সবই আর্ট রিলেটেড কাজ। ভালোভাবে দেখলে বোঝা যাবে, সবই কাছাকাছি ধরনের কাজ। তবে চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি। ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। দেখা যাক চ্যালেঞ্জটা কতটা নিতে পারি। কমিটিতে অনেকে আছেন। সবকিছু আমি একাই সামলে নেব, বিষয়টি তেমন নয়। সবাই মিলে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে চাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ছয় বছর পর অংশুর পরিচালনায় সুনেরাহ, আরশের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে গুঞ্জন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছয় বছর পর অংশুর পরিচালনায় সুনেরাহ, আরশের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে গুঞ্জন
সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালে তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় ‘ন’ডরাই’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় সুনেরাহ বিনতে কামালের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন অভিনেত্রী। সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জেতেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর ওটিটি, সিনেমা ও টিভি নাটকে নিয়মিত কাজ করলেও তানিম রহমান অংশুর পরিচালনায় আর দেখা যায়নি সুনেরাহকে। ছয় বছর পর আবার এই পরিচালকের নির্দেশনায় কাজ করছেন তিনি।

নতুন এই কাজের শুটিং করতে ১৮ ডিসেম্বর নেপালে যান সুনেরাহ। গতকাল শেষ হয়েছে শুটিং। গতকাল তানিম রহমান অংশুর সঙ্গে তোলা শুটিংয়ের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘কিছু একটা হচ্ছে। ছয় বছর পর একসঙ্গে আমরা কাজ করছি। সবাইকে দেখানোর অপেক্ষায়।’

নতুন এই কাজ নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় সুনেরাহর সঙ্গে। নেপাল থেকে খুদেবার্তায় সুনেরাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দারুণ ইন্টারেস্টিং একটা কাজ করছি। এখানে আমাকে এমন চরিত্রে দেখা যাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখা যায়নি।’

এটি ওটিটি কনটেন্ট নাকি সিনেমা, সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে রাজি নন সুনেরাহ। বললেন, ‘কাজটি কোথায় দেখা যাবে এ নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না। আশা করছি শিগগির দর্শক কাজটি দেখতে পারবে।’

আরশের সঙ্গে সুনেরাহ বিনতে কামাল
আরশের সঙ্গে সুনেরাহ বিনতে কামাল

শুটিং অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুনেরাহ বলেন, ‘খুব ঠান্ডার মধ্যে শুটিং করতে হচ্ছে। আমরা যেখানে শুটিং করছি, সেখানে মাইনাস ডিগ্রি। প্রথমবার এ রকম আবহাওয়াতে শুটিং করলাম। সব মিলিয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু কাজটি খুব ভালো হয়েছে।’

অন্যদিকে, ২২ ডিসেম্বর ভিন্ন একটি ছবি পোস্ট করেন সুনেরাহ। অভিনেতা আরশ খানের সঙ্গে তোলা ছবিটিতে দেখা যায়, সমুদ্রপারে আরশ ও সুনেরাহ দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে হাসছেন। মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ছবিটি। অনেকেই দাবি করেন, এই ছবি দিয়ে আরশের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন স্বীকার করলেন সুনেরাহ। অনেকে তাঁদের শুভকামনা জানান।

বরাবরের মতো এবারও প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সুনেরাহ। জানালেন এই ছবিতে নেটিজেনদের শুভেচ্ছাবার্তা তাঁকে বিস্মিত করেছে। আরও জানালেন থাইল্যান্ডে শুটিংয়ের সময় তোলা হয়েছিল ভাইরাল হওয়া ছবিটি। থাইল্যান্ডে ওই সময় একসঙ্গে ছয়টি নাটকের শুটিংয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এই ছবিটি ভালো লাগায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সুনেরাহ। এর বাইরে কিছু না।

নাটক, ওটিটি ও সিনেমা—সব মাধ্যমেই ব্যস্ত সময় পার করছেন সুনেরাহ। টিভি ও ইউটিউবে নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে তাঁর অভিনীত নাটক। গত মাস থেকে প্রচার শুরু হয়েছে সুনেরাহর প্রথম ধারাবাহিক ‘এটা আমাদেরই গল্প’। সম্প্রতি শেষ করেছেন আরাফাত মহসিন নিধি পরিচালিত একটি সিরিজের শুটিং। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় আছে রুবাইয়াত হোসেনের সিনেমা ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’। এতে সুনেরাহর সহশিল্পী আজমেরী হক বাঁধন, রিকিতা নন্দিনী শিমু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিন উপলক্ষে শিল্পকলায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
এফ মাইনর ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
এফ মাইনর ব্যান্ডের সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার অগ্রযাত্রায় ঈদ, বৌদ্ধপূর্ণিমা, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবার বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামীকাল খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় আজ ২৪ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। বড়দিনকে ঘিরে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধে মানুষের জীবনকে আলোকিত করার প্রয়াসে আয়োজিত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় থাকছে সংগীত, ক্যারল সং ও কীর্তন পরিবেশনা।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন তেজগাঁও চার্চ কয়‌্যার শিল্পীরা। পরিবেশনায় অংশ নেবেন ক্রিস্টোফার গ‌োমেজ, দিলীপ মন্ডল, বিজয় গোমেজ, রে‌ক্সোনা মন্ডল, জয়া গ‌োমেজ, বিভা গ‌োমেজ, সুভাষ পি‌রিচ প্রমুখ। সংগীত পরিবেশন করবেন জুলিয়েট সুস্মিতা বাড়ৈ। ব্যান্ডসংগীত নিয়ে মঞ্চে আসবে ব্যান্ড গেৎশিমানী ওরশিপ ও এফ মাইনর। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

উল্লেখ্য, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৩০ মার্চ একাডেমির নন্দনমঞ্চে চাঁদরাতের আনন্দ অনুষ্ঠান, বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ১০ মে একাডেমির নন্দনমঞ্চসহ ৬টি জেলায় সাংস্কৃতিক উৎসব, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ জুন নন্দনমঞ্চে আনন্দ উৎসব, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩০ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ১ অক্টোবর একাডেমির নন্দনমঞ্চে দুই দিনব্যাপী শারদীয় সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রেলারেই ঝড় তুলল নোলানের ‘দ্য ওডিসি’

বিনোদন ডেস্ক
ওডিসিয়াস চরিত্রে ম্যাট ডেমন। ছবি: সংগৃহীত
ওডিসিয়াস চরিত্রে ম্যাট ডেমন। ছবি: সংগৃহীত

‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার সাফল্যের পর ক্রিস্টোফার নোলান নজর দিয়েছেন গ্রিক মহাকাব্যে। গ্রিক কবি হোমারের ‘দ্য ওডিসি’ মহাকাব্য তুলে আনছেন পর্দায়। হাজার হাজার বছর ধরে যে গল্প মানুষ মনে রেখেছে, যেসব চরিত্র রহস্য-রোমান্সের অনুভূতি জাগিয়েছে; সেই গল্প ও চরিত্ররা কতটা জীবন্ত হয়ে ধরা পড়বে ক্যামেরায়, তা নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল ছিল। অবশেষে দ্য ওডিসির ট্রেলার প্রকাশ করল ইউনিভার্সাল পিকচার্স। প্রায় দুই মিনিটের এ ট্রেলার রীতিমতো ঝড় তুলেছে বিশ্বজুড়ে। এ যেন সত্যিই এক মহাকাব্যিক নির্মাণ!

দ্য ওডিসি তৈরি হয়েছে ওডিসিয়াসের নিজ ভূমিতে ফেরার রোমহর্ষক সংগ্রাম নিয়ে। গ্রিসের এক ছোট দ্বীপ ইথাকার রাজা ছিলেন ওডিসিয়াস। ট্রোজান যুদ্ধ শুরু হলে ওডিসিয়াসকে সেই যুদ্ধে অংশ নিতে হয়। একটানা ১০ বছর চলে সেই যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরার পথে ঝড়ের মুখে পড়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ওডিসিয়াস। পথভ্রষ্ট হয়ে সে সাগরের মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে বিভিন্ন দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের মানুষ, জন্তু-জানোয়ার এবং দেব-দেবীর মুখোমুখি হয়। ভয়ংকর সব বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু নিজের বুদ্ধি, সাহস এবং শক্তি দিয়ে সকল বিপদ পেরিয়ে প্রায় ২০ বছর পর বিজয়ী হিসেবে নিজ দেশে ফেরে ওডিসিয়াস।

দ্য ওডিসির ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যায় ট্রয় যুদ্ধের ময়দানে পড়ে থাকা শত শত সমাধির দৃশ্য। বাড়ি ফেরার জন্য সৈন্য বাহিনী নিয়ে রওনা দেয় ওডিসিয়াস। বিপৎসংকুল সমুদ্রযাত্রা, পথে শত্রুদের হানা, কখনো তীব্র ঝড়, ভুল দ্বীপে গিয়ে ওঠা, নতুন নতুন বিপদ—সবকিছুই ক্যামেরায় নিখুঁতভাবে তুলে এনেছেন ক্রিস্টোফার নোলান!

সিনেমার মুখ্য চরিত্র ওডিসিয়াসের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ম্যাট ডেমন। ট্রেলারের প্রায় পুরোটা জুড়ে তাঁর উপস্থিতি। কয়েক ঝলক দেখা গেল ওডিসিয়াসের ছেলে টেলিমাকাস চরিত্রে টম হল্যান্ড এবং ওডিসিয়াসের স্ত্রী পেনেলোপের চরিত্রে অ্যান হ্যাথাওয়েকে। আরও অভিনয় করেছেন রবার্ট প্যাটিনসন, জেন্ডায়া, শার্লিজ থেরন, মিয়া গোথ, বেনি সাফডি, জন বার্নথাল প্রমুখ। তবে ট্রেলারে তাঁদের দেখা যায়নি।

দ্য ওডিসি সিনেমায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন আইম্যাক্স ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন ক্রিস্টোফার নোলান। ২০ লাখ ফুট ফিল্ম খরচ করেছেন গল্পটি তুলে আনতে।

বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমাটি বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৭ জুলাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শত পর্বে ধারাবাহিক ‘তেল ছাড়া পরোটা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শত পর্বে ধারাবাহিক ‘তেল ছাড়া পরোটা’

গত আগস্টে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার শুরু হয় ধারাবাহিক নাটক ‘তেল ছাড়া পরোটা’। সমাজের নীতিবান ও নীতিহীন মানুষের গল্পে ধারাবাহিকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন কচি খন্দকার। দেখতে দেখতে শত পর্বের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নাটকটি। আজ রাত ৮টায় প্রচার হবে তেল ছাড়া পরোটা ধারাবাহিকের ১০০তম পর্ব।

তেল ছাড়া পরোটা নাটকের গল্পে দেখা যায় একটি পরিবার একসময় তিলের খাজার ব্যবসা করত। এখন তারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ক্ষমতাবানদের তোষামোদ করে বিশাল ব্যবসা গড়ে তুলেছে। তাদের ব্যবসা সরিষার তেল, নারকেল তেলের। এমনকি জ্বালানি তেল পেট্রলের ব্যবসাও আছে। তাদের কোম্পানির নাম তিলের খাজা অয়েল মিল কোম্পানি লিমিটেড। অন্যদিকে, রয়েছে আরেক পরিবার, যারা সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তোষামোদ নয়, তারা নিজেদের নীতিতেই বিশ্বাসী। এই দুই পরিবারের মধ্যকার সাংস্কৃতিক, নৈতিক ও সামাজিক সংঘাত নিয়েই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।

নির্মাতা বলেন, ‘সমাজে একদল মানুষ আছে, যারা বিশ্বাস করে, উন্নতি করতে হলে সমাজে যারা ক্ষমতাবান, তাদের তেল দিয়ে চলতে হয়। অন্যদিকে আরেক দল মানুষ আছে, যারা কাউকে তোষামোদ করতে পছন্দ করে না। এসব কারণে অনেক প্রতিভাবান হারিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি মানুষ হিসেবে আমাকে যন্ত্রণা দেয়। সেই যন্ত্রণা থেকে গল্পের শুরু। এরপর নানাভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী গল্প এগিয়ে গেছে।’

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারজুক রাসেল, চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, কচি খন্দকার, রোবেনা রেজা জুঁই, সুজাত শিমুল, অনিক, আব্দুল্লাহ রানা, মিলি বাসার প্রমুখ।

গত মাসে নির্মাতা কচি খন্দকার জানিয়েছিলেন, ১০০ পর্ব থেকে ধারাবাহিকের গল্পে আসবে নতুন চমক। সেই চমকের অংশ হিসেবে ধারাবাহিকে যুক্ত হবেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। এতে মোশাররফ করিমকে দেখা যাবে তেল কোম্পানির মালিকানা হারিয়ে সংগ্রাম করা এক চরিত্রে। মূলত তেল কোম্পানি থেকে তাঁর অংশ দখল হয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত