
ঢালিউডের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা ‘আম্মাজান’। সিনেমাটি নায়ক মান্নার ক্যারিয়ারকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য উচ্চতায়। আর শবনম হয়ে ওঠেন সারাদেশের আম্মাজান। তবে প্রথমে এই দুই চরিত্রে তাঁদের অভিনয়ের কথাই ছিল না। আম্মাজান প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল মান্নার কাছ থেকে। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা। আর আম্মাজান চরিত্রে প্রথম পছন্দ ছিলেন শাবানা। এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক কাজী হায়াৎ।
সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। অন্যদিকে, দুজন প্রযোজক এ গল্পে লগ্নি করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর, ডিপজলের প্রযোজনায় সিনেমাটি করা ছাড়া উপায়ও ছিল না কাজী হায়াতের।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘ডিপজল আমায় বলল, রুবেলকে নিয়ে শুরু করেন। আমার গল্পের যে চরিত্রটি ছিল, সেটি রুবেল টানতে পারবে কিনা সন্দেহ ছিল। ডিপজল বলল, তাহলে হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে শুরু করেন। ফরীদিকে গল্প শোনানোর পর দারুণ আগ্রহ প্রকাশ করল। ওদিকে মান্না আমার কাছে এসে বলল, আপনি নাকি ফরীদিকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন। আমি তাকে বলি, ডিপজলের সঙ্গে তোর কী হয়েছে আমি জানি না। কালকের মধ্যে মিটমাট করবি। যেন ডিপজল আমায় ফোন করে বলে এই সিনেমায় তোকে নিতে। নাহলে তোর জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ সিনেমা মাইনাস হয়ে যাবে।’

পরদিন সকালে কাজী হায়াতকে ফোন করে ডিপজল তাঁর অফিসে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে কাজী হায়াৎ দেখেন, মান্না বসে আছেন। ডিপজল-মান্নার যে মনোমালিন্য ছিল, সেটা মিটে যায় ওইদিন। মান্নাকে নিয়েই শুরু হয় আম্মাজানের শুটিং।
অন্যদিকে, আম্মাজান চরিত্রে শবনম নয়, পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিল শাবানা। গল্প শুনে শাবানা সম্মতিও জানিয়েছিলেন। তবে মান্নার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা ঠিক হবে না, শাবানাকে এমন পরামর্শ দিয়েছিল অনেকে। ফলে বেঁকে বসেন অভিনেত্রী।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘গল্প শোনার পর শাবানা কেঁদে দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে জানাল, যেদিন থেকে শিডিউল লাগবে সেদিন থেকেই রাজি। দুইদিন পর এফডিসিতে শাবানাকে সাইনিং মানি দিতে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর শাবানা আমাকে দেখে মুখ অন্যদিক করে রাখে। আমাকে এড়িয়ে চলছে। মেকআপ রুমে গিয়ে তাঁকে বলি, ম্যাডাম আমার সঙ্গে কথা বলবেন না? সে আমাকে বলল, ভাই আমি দুঃখিত, সিনেমাটি করতে পারছি না। কেন করবেন না? জানতে চাইলে সে আমাকে বলে, আমার সহকর্মীদের সঙ্গে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম আমাকে মান্নার মা হতে হবে, তোমরা কী বলো? সবাই নিষেধ করেছে।’

শাবানা ‘না’ করে দেওয়ায় বিপদেই পড়ে গিয়েছিলেন কাজী হায়াৎ। ভেবে উঠতে পারছিলেন না, কে হয়ে উঠতে পারবেন আম্মাজান। সে সময় ত্রাতা হয়ে এলেন শবনম। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। আম্মাজানের জনপ্রিয়তার কল্যাণে এ নামেই পরিচিতি পেয়ে যান শবনম।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘শাবানা না করার পর বিপদেই পড়ে গিয়েছিলাম। এই পুরো বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী। তিনি আমাকে শবনম ম্যাডামের কথা জানালেন। গল্প শোনার পর শবনম ম্যাডাম আমাকে বলেন, কাল থেকেই শুটিং শুরু করতে পারেন। আমার সমস্ত শিডিউল এই সিনেমার জন্য।’

শুধু অভিনয়শিল্পী নয়, আম্মাজানের প্রযোজক খুঁজতেও হিমশিম খেতে হয়েছে কাজী হায়াতকে। গল্প শোনার পর একাধিক প্রযোজক তাঁকে বলেই দিয়েছিলেন, এই ধরনের গল্প দর্শক দেখবে না। কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আম্মাজান সিনেমার গল্পটি আমি দুইজন প্রযোজককে শুনিয়েছিলাম। যমুনা ফিল্মস থেকে বলা হয়, এই সিনেমা চলবে না। আম্মাজান সন্তানের সামনে ধর্ষিত হয়েছে—এমন গল্পের সিনেমা আমাদের দেশে চলবে না। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।’
দ্বিতীয় ঘটনাও একই রকম। একই কারণ দেখিয়ে আরও এক প্রযোজক ফিরিয়ে দেন কাজী হায়াৎকে। এরপর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ডিপজলের প্রযোজনায় তৈরি হয় আম্মাজান। কত ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি? এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডিপজল জানান, এক কোটি চার লাখ টাকা খরচ হয়েছিল এ সিনেমা তৈরি করতে। মুক্তির আগেই হল থেকে পেয়েছিলেন ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আম্মাজান মোট আয় করেছিল ১৯-২০ কোটি টাকা।

ঢালিউডের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা ‘আম্মাজান’। সিনেমাটি নায়ক মান্নার ক্যারিয়ারকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য উচ্চতায়। আর শবনম হয়ে ওঠেন সারাদেশের আম্মাজান। তবে প্রথমে এই দুই চরিত্রে তাঁদের অভিনয়ের কথাই ছিল না। আম্মাজান প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল মান্নার কাছ থেকে। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা। আর আম্মাজান চরিত্রে প্রথম পছন্দ ছিলেন শাবানা। এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক কাজী হায়াৎ।
সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। অন্যদিকে, দুজন প্রযোজক এ গল্পে লগ্নি করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর, ডিপজলের প্রযোজনায় সিনেমাটি করা ছাড়া উপায়ও ছিল না কাজী হায়াতের।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘ডিপজল আমায় বলল, রুবেলকে নিয়ে শুরু করেন। আমার গল্পের যে চরিত্রটি ছিল, সেটি রুবেল টানতে পারবে কিনা সন্দেহ ছিল। ডিপজল বলল, তাহলে হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে শুরু করেন। ফরীদিকে গল্প শোনানোর পর দারুণ আগ্রহ প্রকাশ করল। ওদিকে মান্না আমার কাছে এসে বলল, আপনি নাকি ফরীদিকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন। আমি তাকে বলি, ডিপজলের সঙ্গে তোর কী হয়েছে আমি জানি না। কালকের মধ্যে মিটমাট করবি। যেন ডিপজল আমায় ফোন করে বলে এই সিনেমায় তোকে নিতে। নাহলে তোর জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ সিনেমা মাইনাস হয়ে যাবে।’

পরদিন সকালে কাজী হায়াতকে ফোন করে ডিপজল তাঁর অফিসে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে কাজী হায়াৎ দেখেন, মান্না বসে আছেন। ডিপজল-মান্নার যে মনোমালিন্য ছিল, সেটা মিটে যায় ওইদিন। মান্নাকে নিয়েই শুরু হয় আম্মাজানের শুটিং।
অন্যদিকে, আম্মাজান চরিত্রে শবনম নয়, পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিল শাবানা। গল্প শুনে শাবানা সম্মতিও জানিয়েছিলেন। তবে মান্নার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা ঠিক হবে না, শাবানাকে এমন পরামর্শ দিয়েছিল অনেকে। ফলে বেঁকে বসেন অভিনেত্রী।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘গল্প শোনার পর শাবানা কেঁদে দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে জানাল, যেদিন থেকে শিডিউল লাগবে সেদিন থেকেই রাজি। দুইদিন পর এফডিসিতে শাবানাকে সাইনিং মানি দিতে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর শাবানা আমাকে দেখে মুখ অন্যদিক করে রাখে। আমাকে এড়িয়ে চলছে। মেকআপ রুমে গিয়ে তাঁকে বলি, ম্যাডাম আমার সঙ্গে কথা বলবেন না? সে আমাকে বলল, ভাই আমি দুঃখিত, সিনেমাটি করতে পারছি না। কেন করবেন না? জানতে চাইলে সে আমাকে বলে, আমার সহকর্মীদের সঙ্গে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম আমাকে মান্নার মা হতে হবে, তোমরা কী বলো? সবাই নিষেধ করেছে।’

শাবানা ‘না’ করে দেওয়ায় বিপদেই পড়ে গিয়েছিলেন কাজী হায়াৎ। ভেবে উঠতে পারছিলেন না, কে হয়ে উঠতে পারবেন আম্মাজান। সে সময় ত্রাতা হয়ে এলেন শবনম। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। আম্মাজানের জনপ্রিয়তার কল্যাণে এ নামেই পরিচিতি পেয়ে যান শবনম।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘শাবানা না করার পর বিপদেই পড়ে গিয়েছিলাম। এই পুরো বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী। তিনি আমাকে শবনম ম্যাডামের কথা জানালেন। গল্প শোনার পর শবনম ম্যাডাম আমাকে বলেন, কাল থেকেই শুটিং শুরু করতে পারেন। আমার সমস্ত শিডিউল এই সিনেমার জন্য।’

শুধু অভিনয়শিল্পী নয়, আম্মাজানের প্রযোজক খুঁজতেও হিমশিম খেতে হয়েছে কাজী হায়াতকে। গল্প শোনার পর একাধিক প্রযোজক তাঁকে বলেই দিয়েছিলেন, এই ধরনের গল্প দর্শক দেখবে না। কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আম্মাজান সিনেমার গল্পটি আমি দুইজন প্রযোজককে শুনিয়েছিলাম। যমুনা ফিল্মস থেকে বলা হয়, এই সিনেমা চলবে না। আম্মাজান সন্তানের সামনে ধর্ষিত হয়েছে—এমন গল্পের সিনেমা আমাদের দেশে চলবে না। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।’
দ্বিতীয় ঘটনাও একই রকম। একই কারণ দেখিয়ে আরও এক প্রযোজক ফিরিয়ে দেন কাজী হায়াৎকে। এরপর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ডিপজলের প্রযোজনায় তৈরি হয় আম্মাজান। কত ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি? এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডিপজল জানান, এক কোটি চার লাখ টাকা খরচ হয়েছিল এ সিনেমা তৈরি করতে। মুক্তির আগেই হল থেকে পেয়েছিলেন ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আম্মাজান মোট আয় করেছিল ১৯-২০ কোটি টাকা।

ঢালিউডের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা ‘আম্মাজান’। সিনেমাটি নায়ক মান্নার ক্যারিয়ারকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য উচ্চতায়। আর শবনম হয়ে ওঠেন সারাদেশের আম্মাজান। তবে প্রথমে এই দুই চরিত্রে তাঁদের অভিনয়ের কথাই ছিল না। আম্মাজান প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল মান্নার কাছ থেকে। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা। আর আম্মাজান চরিত্রে প্রথম পছন্দ ছিলেন শাবানা। এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক কাজী হায়াৎ।
সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। অন্যদিকে, দুজন প্রযোজক এ গল্পে লগ্নি করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর, ডিপজলের প্রযোজনায় সিনেমাটি করা ছাড়া উপায়ও ছিল না কাজী হায়াতের।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘ডিপজল আমায় বলল, রুবেলকে নিয়ে শুরু করেন। আমার গল্পের যে চরিত্রটি ছিল, সেটি রুবেল টানতে পারবে কিনা সন্দেহ ছিল। ডিপজল বলল, তাহলে হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে শুরু করেন। ফরীদিকে গল্প শোনানোর পর দারুণ আগ্রহ প্রকাশ করল। ওদিকে মান্না আমার কাছে এসে বলল, আপনি নাকি ফরীদিকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন। আমি তাকে বলি, ডিপজলের সঙ্গে তোর কী হয়েছে আমি জানি না। কালকের মধ্যে মিটমাট করবি। যেন ডিপজল আমায় ফোন করে বলে এই সিনেমায় তোকে নিতে। নাহলে তোর জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ সিনেমা মাইনাস হয়ে যাবে।’

পরদিন সকালে কাজী হায়াতকে ফোন করে ডিপজল তাঁর অফিসে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে কাজী হায়াৎ দেখেন, মান্না বসে আছেন। ডিপজল-মান্নার যে মনোমালিন্য ছিল, সেটা মিটে যায় ওইদিন। মান্নাকে নিয়েই শুরু হয় আম্মাজানের শুটিং।
অন্যদিকে, আম্মাজান চরিত্রে শবনম নয়, পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিল শাবানা। গল্প শুনে শাবানা সম্মতিও জানিয়েছিলেন। তবে মান্নার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা ঠিক হবে না, শাবানাকে এমন পরামর্শ দিয়েছিল অনেকে। ফলে বেঁকে বসেন অভিনেত্রী।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘গল্প শোনার পর শাবানা কেঁদে দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে জানাল, যেদিন থেকে শিডিউল লাগবে সেদিন থেকেই রাজি। দুইদিন পর এফডিসিতে শাবানাকে সাইনিং মানি দিতে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর শাবানা আমাকে দেখে মুখ অন্যদিক করে রাখে। আমাকে এড়িয়ে চলছে। মেকআপ রুমে গিয়ে তাঁকে বলি, ম্যাডাম আমার সঙ্গে কথা বলবেন না? সে আমাকে বলল, ভাই আমি দুঃখিত, সিনেমাটি করতে পারছি না। কেন করবেন না? জানতে চাইলে সে আমাকে বলে, আমার সহকর্মীদের সঙ্গে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম আমাকে মান্নার মা হতে হবে, তোমরা কী বলো? সবাই নিষেধ করেছে।’

শাবানা ‘না’ করে দেওয়ায় বিপদেই পড়ে গিয়েছিলেন কাজী হায়াৎ। ভেবে উঠতে পারছিলেন না, কে হয়ে উঠতে পারবেন আম্মাজান। সে সময় ত্রাতা হয়ে এলেন শবনম। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। আম্মাজানের জনপ্রিয়তার কল্যাণে এ নামেই পরিচিতি পেয়ে যান শবনম।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘শাবানা না করার পর বিপদেই পড়ে গিয়েছিলাম। এই পুরো বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী। তিনি আমাকে শবনম ম্যাডামের কথা জানালেন। গল্প শোনার পর শবনম ম্যাডাম আমাকে বলেন, কাল থেকেই শুটিং শুরু করতে পারেন। আমার সমস্ত শিডিউল এই সিনেমার জন্য।’

শুধু অভিনয়শিল্পী নয়, আম্মাজানের প্রযোজক খুঁজতেও হিমশিম খেতে হয়েছে কাজী হায়াতকে। গল্প শোনার পর একাধিক প্রযোজক তাঁকে বলেই দিয়েছিলেন, এই ধরনের গল্প দর্শক দেখবে না। কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আম্মাজান সিনেমার গল্পটি আমি দুইজন প্রযোজককে শুনিয়েছিলাম। যমুনা ফিল্মস থেকে বলা হয়, এই সিনেমা চলবে না। আম্মাজান সন্তানের সামনে ধর্ষিত হয়েছে—এমন গল্পের সিনেমা আমাদের দেশে চলবে না। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।’
দ্বিতীয় ঘটনাও একই রকম। একই কারণ দেখিয়ে আরও এক প্রযোজক ফিরিয়ে দেন কাজী হায়াৎকে। এরপর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ডিপজলের প্রযোজনায় তৈরি হয় আম্মাজান। কত ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি? এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডিপজল জানান, এক কোটি চার লাখ টাকা খরচ হয়েছিল এ সিনেমা তৈরি করতে। মুক্তির আগেই হল থেকে পেয়েছিলেন ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আম্মাজান মোট আয় করেছিল ১৯-২০ কোটি টাকা।

ঢালিউডের অন্যতম ব্যবসাসফল সিনেমা ‘আম্মাজান’। সিনেমাটি নায়ক মান্নার ক্যারিয়ারকে নিয়ে গিয়েছিল অন্য উচ্চতায়। আর শবনম হয়ে ওঠেন সারাদেশের আম্মাজান। তবে প্রথমে এই দুই চরিত্রে তাঁদের অভিনয়ের কথাই ছিল না। আম্মাজান প্রায় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল মান্নার কাছ থেকে। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা। আর আম্মাজান চরিত্রে প্রথম পছন্দ ছিলেন শাবানা। এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক কাজী হায়াৎ।
সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। অন্যদিকে, দুজন প্রযোজক এ গল্পে লগ্নি করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর, ডিপজলের প্রযোজনায় সিনেমাটি করা ছাড়া উপায়ও ছিল না কাজী হায়াতের।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘ডিপজল আমায় বলল, রুবেলকে নিয়ে শুরু করেন। আমার গল্পের যে চরিত্রটি ছিল, সেটি রুবেল টানতে পারবে কিনা সন্দেহ ছিল। ডিপজল বলল, তাহলে হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে শুরু করেন। ফরীদিকে গল্প শোনানোর পর দারুণ আগ্রহ প্রকাশ করল। ওদিকে মান্না আমার কাছে এসে বলল, আপনি নাকি ফরীদিকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন। আমি তাকে বলি, ডিপজলের সঙ্গে তোর কী হয়েছে আমি জানি না। কালকের মধ্যে মিটমাট করবি। যেন ডিপজল আমায় ফোন করে বলে এই সিনেমায় তোকে নিতে। নাহলে তোর জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ সিনেমা মাইনাস হয়ে যাবে।’

পরদিন সকালে কাজী হায়াতকে ফোন করে ডিপজল তাঁর অফিসে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে কাজী হায়াৎ দেখেন, মান্না বসে আছেন। ডিপজল-মান্নার যে মনোমালিন্য ছিল, সেটা মিটে যায় ওইদিন। মান্নাকে নিয়েই শুরু হয় আম্মাজানের শুটিং।
অন্যদিকে, আম্মাজান চরিত্রে শবনম নয়, পরিচালকের প্রথম পছন্দ ছিল শাবানা। গল্প শুনে শাবানা সম্মতিও জানিয়েছিলেন। তবে মান্নার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা ঠিক হবে না, শাবানাকে এমন পরামর্শ দিয়েছিল অনেকে। ফলে বেঁকে বসেন অভিনেত্রী।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘গল্প শোনার পর শাবানা কেঁদে দিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে জানাল, যেদিন থেকে শিডিউল লাগবে সেদিন থেকেই রাজি। দুইদিন পর এফডিসিতে শাবানাকে সাইনিং মানি দিতে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পর শাবানা আমাকে দেখে মুখ অন্যদিক করে রাখে। আমাকে এড়িয়ে চলছে। মেকআপ রুমে গিয়ে তাঁকে বলি, ম্যাডাম আমার সঙ্গে কথা বলবেন না? সে আমাকে বলল, ভাই আমি দুঃখিত, সিনেমাটি করতে পারছি না। কেন করবেন না? জানতে চাইলে সে আমাকে বলে, আমার সহকর্মীদের সঙ্গে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম আমাকে মান্নার মা হতে হবে, তোমরা কী বলো? সবাই নিষেধ করেছে।’

শাবানা ‘না’ করে দেওয়ায় বিপদেই পড়ে গিয়েছিলেন কাজী হায়াৎ। ভেবে উঠতে পারছিলেন না, কে হয়ে উঠতে পারবেন আম্মাজান। সে সময় ত্রাতা হয়ে এলেন শবনম। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। আম্মাজানের জনপ্রিয়তার কল্যাণে এ নামেই পরিচিতি পেয়ে যান শবনম।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘শাবানা না করার পর বিপদেই পড়ে গিয়েছিলাম। এই পুরো বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী। তিনি আমাকে শবনম ম্যাডামের কথা জানালেন। গল্প শোনার পর শবনম ম্যাডাম আমাকে বলেন, কাল থেকেই শুটিং শুরু করতে পারেন। আমার সমস্ত শিডিউল এই সিনেমার জন্য।’

শুধু অভিনয়শিল্পী নয়, আম্মাজানের প্রযোজক খুঁজতেও হিমশিম খেতে হয়েছে কাজী হায়াতকে। গল্প শোনার পর একাধিক প্রযোজক তাঁকে বলেই দিয়েছিলেন, এই ধরনের গল্প দর্শক দেখবে না। কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আম্মাজান সিনেমার গল্পটি আমি দুইজন প্রযোজককে শুনিয়েছিলাম। যমুনা ফিল্মস থেকে বলা হয়, এই সিনেমা চলবে না। আম্মাজান সন্তানের সামনে ধর্ষিত হয়েছে—এমন গল্পের সিনেমা আমাদের দেশে চলবে না। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।’
দ্বিতীয় ঘটনাও একই রকম। একই কারণ দেখিয়ে আরও এক প্রযোজক ফিরিয়ে দেন কাজী হায়াৎকে। এরপর নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ডিপজলের প্রযোজনায় তৈরি হয় আম্মাজান। কত ব্যবসা করেছিল সিনেমাটি? এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডিপজল জানান, এক কোটি চার লাখ টাকা খরচ হয়েছিল এ সিনেমা তৈরি করতে। মুক্তির আগেই হল থেকে পেয়েছিলেন ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আম্মাজান মোট আয় করেছিল ১৯-২০ কোটি টাকা।

বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
৩ মিনিট আগে
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
১৭ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
৭ ঘণ্টা আগে
‘মধ্যবিত্ত’ দিয়ে বছর শুরু, ‘খিলাড়ি’ দিয়ে বছর শেষ। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালে মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি বাংলা সিনেমা। কিন্তু আলোচনা তৈরি করতে পেরেছে কয়টি, সেটাই বড় প্রশ্ন। দুই ঈদ ছাড়া ইদানীং বাংলা সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে না। নির্মাতারাও চান যেকোনো উৎসবে সিনেমা আনতে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য রইল নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার
গত মে মাসে থাইল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে জুলাই অভ্যুত্থানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এক দিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান এই নায়িকা।
পরীমণির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
গত এপ্রিল মাসে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তবে পরীমণি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।

শাকিবের মেগাস্টার শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি
অনেকেই শাকিব খানকে মেগাস্টার বলে সম্বোধন করেন। তবে শাকিব খানের নামের আগে এই শব্দচয়ন নিয়ে আপত্তিও রয়েছে অনেকের। গত জুনে এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের নামের আগে ব্যবহার করা মেগাস্টার শব্দটি নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানান জাহিদ হাসান। এতে শাকিবের ভক্তদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

কান উৎসবে পুরস্কার জয়
গত মে মাসে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে স্পেশাল মেনশন পুরস্কার জিতে নেয় আদনান আল রাজীব পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’। কান উৎসবে এটি বাংলাদেশের প্রথম পুরস্কার।
সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন দীঘি
একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বছরের শুরুতে গত ফেব্রুয়ারিতে জানা যায়, ‘টগর’ সিনেমায় দীঘির জায়গায় নেওয়া হয়েছে পূজা চেরিকে। নির্মাতা আলোক হাসান জানান, পেশাদারি মনোভাবের অভাব থাকায় দীঘিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে সরকারি অনুদানের ‘দেনা পাওনা’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয় দীঘিকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।

বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য রইল নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার
গত মে মাসে থাইল্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে জুলাই অভ্যুত্থানের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এক দিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান এই নায়িকা।
পরীমণির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
গত এপ্রিল মাসে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী পিংকি আক্তার তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তবে পরীমণি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।

শাকিবের মেগাস্টার শব্দ নিয়ে জাহিদ হাসানের আপত্তি
অনেকেই শাকিব খানকে মেগাস্টার বলে সম্বোধন করেন। তবে শাকিব খানের নামের আগে এই শব্দচয়ন নিয়ে আপত্তিও রয়েছে অনেকের। গত জুনে এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের নামের আগে ব্যবহার করা মেগাস্টার শব্দটি নিয়ে নিজের আপত্তির কথা জানান জাহিদ হাসান। এতে শাকিবের ভক্তদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

কান উৎসবে পুরস্কার জয়
গত মে মাসে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে স্পেশাল মেনশন পুরস্কার জিতে নেয় আদনান আল রাজীব পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘আলী’। কান উৎসবে এটি বাংলাদেশের প্রথম পুরস্কার।
সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন দীঘি
একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বছরের শুরুতে গত ফেব্রুয়ারিতে জানা যায়, ‘টগর’ সিনেমায় দীঘির জায়গায় নেওয়া হয়েছে পূজা চেরিকে। নির্মাতা আলোক হাসান জানান, পেশাদারি মনোভাবের অভাব থাকায় দীঘিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে সরকারি অনুদানের ‘দেনা পাওনা’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয় দীঘিকে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।

সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
১৭ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
৭ ঘণ্টা আগে
‘মধ্যবিত্ত’ দিয়ে বছর শুরু, ‘খিলাড়ি’ দিয়ে বছর শেষ। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালে মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি বাংলা সিনেমা। কিন্তু আলোচনা তৈরি করতে পেরেছে কয়টি, সেটাই বড় প্রশ্ন। দুই ঈদ ছাড়া ইদানীং বাংলা সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে না। নির্মাতারাও চান যেকোনো উৎসবে সিনেমা আনতে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বিয়ে করলেন যাঁরা
বছরের শুরুতেই বিয়ের খবর জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তাহসানের সঙ্গে অভিনেত্রী মিথিলার বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৭ সালে। এরপর মিথিলা ওপার বাংলার নির্মাতা সৃজিতের সঙ্গে ঘর বাঁধলেও তাহসান ছিলেন একা। এ বছর জানুয়ারিতে নতুন সংসার বাঁধলেন তাহসান। পাত্রী রোজা আহমেদ। পেশায় মেকওভার আর্টিস্ট। রোজা নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর পড়াশোনা করেছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা। নিউইয়র্কে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁর।

এ বছর বিশেষ আলোচনার জন্ম দিয়েছে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও নির্মাতা আদনান আল রাজীবের বিয়ের ঘটনা। ২০১৩ সাল থেকে দুজনে প্রেম করছেন বলে জানা যায়। দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রমের সফল পরিণতি আসে এ বছর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তাঁরা।
এ বছর একই সঙ্গে বিচ্ছেদ, বিয়ে ও নবাগত সন্তানের খবর দিয়ে চমকে দিয়েছেন সংগীত তারকা জেমস। দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজীরের সঙ্গে জেমসের বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৪ সালে। এর ১০ বছর পর ২০২৪ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নামিয়া আমিনকে বিয়ে করেন জেমস। এ বছর জুন মাসে তিনি পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছেন। এত দিন ব্যক্তিগত জীবনের এসব খবর গোপন রেখেছিলেন জেমস। গত ২২ অক্টোবর নিজেই জানিয়েছেন সব ঘটনা। সেই সঙ্গে প্রকাশ করেছেন নতুন সংসারে ঘর আলো করে আসা পুত্রসন্তানের ছবি।

এ বছর আরও যাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া, শামীম হাসান সরকার, জামিল হোসেন, মাইমুনা ফেরদৌস মম, সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা, নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মিজানুর রহমান আরিয়ান ও জাহিম প্রীতম।
ভেঙেছে যাঁদের সংসার
অনেক তারকার নতুন সংসার শুরু করার খবরের পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও জানা গেছে এ বছর। ১৪ ডিসেম্বর অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু জানান, সংবাদ পাঠিকা মমরেনাজ মোমোর সঙ্গে ছয় বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। এত দিন দুজনের সিদ্ধান্তেই খবরটি গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। আবার দুজনে আলোচনা করেই বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশ করেছেন এ বছর।

২০ ডিসেম্বর অভিনেত্রী আফসানা আরা বিন্দু জানান তাঁর সংসার ভাঙার খবর। ২০১৭ সাল থেকে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিক ও বিন্দু সেপারেশনে ছিলেন। ২০২২ সালে আলোচনার মাধ্যমেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কাছের মানুষেরা জানলেও মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশ করেননি তাঁরা।
গতকাল ৩০ ডিসেম্বর সংগীতশিল্পী সালমার সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানান সানাউল্লাহ নূরে সাগর। এরপর সালমা নিজেও জানিয়েছেন তাঁর সংসার ভাঙার খবর। সালমা জানিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের।

২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
বিয়ে করলেন যাঁরা
বছরের শুরুতেই বিয়ের খবর জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তাহসানের সঙ্গে অভিনেত্রী মিথিলার বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৭ সালে। এরপর মিথিলা ওপার বাংলার নির্মাতা সৃজিতের সঙ্গে ঘর বাঁধলেও তাহসান ছিলেন একা। এ বছর জানুয়ারিতে নতুন সংসার বাঁধলেন তাহসান। পাত্রী রোজা আহমেদ। পেশায় মেকওভার আর্টিস্ট। রোজা নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজির ওপর পড়াশোনা করেছেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা। নিউইয়র্কে রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁর।

এ বছর বিশেষ আলোচনার জন্ম দিয়েছে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও নির্মাতা আদনান আল রাজীবের বিয়ের ঘটনা। ২০১৩ সাল থেকে দুজনে প্রেম করছেন বলে জানা যায়। দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রমের সফল পরিণতি আসে এ বছর। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তাঁরা।
এ বছর একই সঙ্গে বিচ্ছেদ, বিয়ে ও নবাগত সন্তানের খবর দিয়ে চমকে দিয়েছেন সংগীত তারকা জেমস। দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজীরের সঙ্গে জেমসের বিচ্ছেদ হয়েছে ২০১৪ সালে। এর ১০ বছর পর ২০২৪ সালে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নামিয়া আমিনকে বিয়ে করেন জেমস। এ বছর জুন মাসে তিনি পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছেন। এত দিন ব্যক্তিগত জীবনের এসব খবর গোপন রেখেছিলেন জেমস। গত ২২ অক্টোবর নিজেই জানিয়েছেন সব ঘটনা। সেই সঙ্গে প্রকাশ করেছেন নতুন সংসারে ঘর আলো করে আসা পুত্রসন্তানের ছবি।

এ বছর আরও যাঁরা বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া, শামীম হাসান সরকার, জামিল হোসেন, মাইমুনা ফেরদৌস মম, সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা, নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মিজানুর রহমান আরিয়ান ও জাহিম প্রীতম।
ভেঙেছে যাঁদের সংসার
অনেক তারকার নতুন সংসার শুরু করার খবরের পাশাপাশি বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও জানা গেছে এ বছর। ১৪ ডিসেম্বর অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু জানান, সংবাদ পাঠিকা মমরেনাজ মোমোর সঙ্গে ছয় বছর আগে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। এত দিন দুজনের সিদ্ধান্তেই খবরটি গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। আবার দুজনে আলোচনা করেই বিচ্ছেদের খবরটি প্রকাশ করেছেন এ বছর।

২০ ডিসেম্বর অভিনেত্রী আফসানা আরা বিন্দু জানান তাঁর সংসার ভাঙার খবর। ২০১৭ সাল থেকে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিক ও বিন্দু সেপারেশনে ছিলেন। ২০২২ সালে আলোচনার মাধ্যমেই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কাছের মানুষেরা জানলেও মিডিয়ায় বিষয়টি প্রকাশ করেননি তাঁরা।
গতকাল ৩০ ডিসেম্বর সংগীতশিল্পী সালমার সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানান সানাউল্লাহ নূরে সাগর। এরপর সালমা নিজেও জানিয়েছেন তাঁর সংসার ভাঙার খবর। সালমা জানিয়েছেন, ২৯ নভেম্বর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তাঁদের।

সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
৩ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
৭ ঘণ্টা আগে
‘মধ্যবিত্ত’ দিয়ে বছর শুরু, ‘খিলাড়ি’ দিয়ে বছর শেষ। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালে মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি বাংলা সিনেমা। কিন্তু আলোচনা তৈরি করতে পেরেছে কয়টি, সেটাই বড় প্রশ্ন। দুই ঈদ ছাড়া ইদানীং বাংলা সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে না। নির্মাতারাও চান যেকোনো উৎসবে সিনেমা আনতে।
১৫ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
বিনোদন ডেস্ক

তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
—হানিফ সংকেত, নির্মাতা ও উপস্থাপক
সর্বজন শ্রদ্ধেয় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি হারিয়েছে একজন অভিভাবক। দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। তাঁর শোকাবহ পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা।
আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে
—মনির খান, সংগীতশিল্পী
২০১১ সালে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। হাতে পুরস্কার ও গলায় মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমাকে অনেক দূর যেতে হবে।’ একপর্যায়ে তিনি আমাকে জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক কমিটির সহসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক বানালেন। সেই সুবাদে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা হতো, কথা হতো। উনি বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন, নির্দেশনা দিতেন কীভাবে কাজ করতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদ শুনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে আমার, কোনোভাবেই মানতে পারছি না। কিছু চলে যাওয়া পাহাড় সমান বেদনার। অনেকবার তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছেন। বারবার এসেছে তাঁর বিদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গ। উনি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এ দেশের মাটি ও মানুষ ছাড়া বিদেশের মাটিতে আমার কোনো ঠিকানা নেই। দেশের মানুষের অন্তরেই আমার বসবাস। এখানেই আমার মৃত্যু হবে, এই মাটিতেই আমার কবর হবে।’ তাঁর কথাই সত্য হলো।
তিনি দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ
—কনকচাঁপা, সংগীতশিল্পী
চলে গেলেন স্মরণকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আপসহীন অবিসংবাদিত নেতা বেগম খালেদা জিয়া। বারবার তাঁর নামের সঙ্গে উচ্চারিত হয় ‘আপসহীন’। তিনি অন্যায়, মিথ্যাচার, স্বৈরচারিতার কাছে মাথা নত করেননি। দেশের মানুষের মায়ায় তিনি সংসার, সন্তান, আরাম-আয়েশি বিলাসী জীবন—কিছুর তোয়াক্কা করেন নাই। আফসোস, একটা মিথ্যা মামলার কারণে তিনি সুন্দরভাবে জীবনের সমাপ্তি টানতে পারলেন না। জেলখানায় তাঁর জীবন কীভাবে কেটেছে তা ভেবে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত। অথচ তিনি থাকতেন নির্ভার! এ জন্যই তিনি অকুতোভয় জীবনযোদ্ধা, মৃত্যুঞ্জয়ী মহামানবী। তাঁর স্পষ্ট উচ্চারণ ছিল, ‘জীবনে যা কিছু হয়ে যাক এই দেশ, এই দেশের মানুষ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না।’ দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ তিনি, তিনিই প্রকৃত রাজনীতিবিদ এবং খাঁটি দেশনেতা। আমাদের দুঃখ রাখার জায়গা নেই যে আমরা তাঁকে সঠিক মর্যাদা দিতে পারিনি।
বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন তিনি
—জয়া আহসান, অভিনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চির প্রশান্তি লাভ করুক।
শত প্রতিকূলতায়ও মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি
—আজমেরী হক বাঁধন, অভিনেত্রী
আমাদের জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর নেতৃত্ব ও দীর্ঘদিনের জনসেবা বাংলাদেশের ওপর স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে। তিনি অসাধারণ এক জীবন যাপন করেছেন। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও যে মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি, তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। জাতি তাঁকে সম্মান, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তাঁর প্রয়াণে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল
—বেবী নাজনীন, সংগীতশিল্পী
বেগম খালেদা জিয়া দেশ এবং মানুষের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, রাজনীতির ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁকে হারানোর দুঃখ মানুষের মনে সব সময় বিরাজমান থাকবে।
খালেদা জিয়া হলো একটা ইনস্টিটিউশন। তাঁর সঙ্গে থেকে অনেকে অনেক কিছু শিখেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের অভিভাবক ছিলেন। দলের নেতা-কর্মীদের হাতে-কলমে শিখিয়েছেন কীভাবে রাজনীতি করতে হয়। আমারও হাতেখড়ি তিনিই দিয়েছেন।
তাঁর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। আমার মতো তাঁর কাছাকাছি আর কেউ হয়তো থাকেনি। উনি জেলে যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। খুব আদর ও স্নেহ করে বলেছিলেন, ‘ভালো থেকো, নিজের যত্ন নিও। তোমরা দেশ বাঁচাও এবং দেশের মানুষ বাঁচাও।’
এই অন্তিম যাত্রায় তিনি যেমন মানুষের দোয়া নিয়ে গেছেন, তেমনি দেশের মানুষের জন্য রেখে গেছেন আশীর্বাদ, যা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষের মাঝে গণতান্ত্রিক শক্তি হয়ে কাজ করবে।

তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
—হানিফ সংকেত, নির্মাতা ও উপস্থাপক
সর্বজন শ্রদ্ধেয় তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি হারিয়েছে একজন অভিভাবক। দেশ ও জাতির কল্যাণে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। তাঁর শোকাবহ পরিবারের সকল সদস্যের প্রতি গভীর সমবেদনা।
আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে
—মনির খান, সংগীতশিল্পী
২০১১ সালে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম, তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। হাতে পুরস্কার ও গলায় মেডেল পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমাকে অনেক দূর যেতে হবে।’ একপর্যায়ে তিনি আমাকে জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক কমিটির সহসংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক বানালেন। সেই সুবাদে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা হতো, কথা হতো। উনি বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন, নির্দেশনা দিতেন কীভাবে কাজ করতে হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদ শুনে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে আমার, কোনোভাবেই মানতে পারছি না। কিছু চলে যাওয়া পাহাড় সমান বেদনার। অনেকবার তিনি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরে এসেছেন। বারবার এসেছে তাঁর বিদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গ। উনি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এ দেশের মাটি ও মানুষ ছাড়া বিদেশের মাটিতে আমার কোনো ঠিকানা নেই। দেশের মানুষের অন্তরেই আমার বসবাস। এখানেই আমার মৃত্যু হবে, এই মাটিতেই আমার কবর হবে।’ তাঁর কথাই সত্য হলো।
তিনি দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ
—কনকচাঁপা, সংগীতশিল্পী
চলে গেলেন স্মরণকালের সর্বশ্রেষ্ঠ আপসহীন অবিসংবাদিত নেতা বেগম খালেদা জিয়া। বারবার তাঁর নামের সঙ্গে উচ্চারিত হয় ‘আপসহীন’। তিনি অন্যায়, মিথ্যাচার, স্বৈরচারিতার কাছে মাথা নত করেননি। দেশের মানুষের মায়ায় তিনি সংসার, সন্তান, আরাম-আয়েশি বিলাসী জীবন—কিছুর তোয়াক্কা করেন নাই। আফসোস, একটা মিথ্যা মামলার কারণে তিনি সুন্দরভাবে জীবনের সমাপ্তি টানতে পারলেন না। জেলখানায় তাঁর জীবন কীভাবে কেটেছে তা ভেবে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত। অথচ তিনি থাকতেন নির্ভার! এ জন্যই তিনি অকুতোভয় জীবনযোদ্ধা, মৃত্যুঞ্জয়ী মহামানবী। তাঁর স্পষ্ট উচ্চারণ ছিল, ‘জীবনে যা কিছু হয়ে যাক এই দেশ, এই দেশের মানুষ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না।’ দেশপ্রেমের উৎকৃষ্ট উদাহরণ তিনি, তিনিই প্রকৃত রাজনীতিবিদ এবং খাঁটি দেশনেতা। আমাদের দুঃখ রাখার জায়গা নেই যে আমরা তাঁকে সঠিক মর্যাদা দিতে পারিনি।
বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন তিনি
—জয়া আহসান, অভিনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চির প্রশান্তি লাভ করুক।
শত প্রতিকূলতায়ও মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি
—আজমেরী হক বাঁধন, অভিনেত্রী
আমাদের জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর নেতৃত্ব ও দীর্ঘদিনের জনসেবা বাংলাদেশের ওপর স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে। তিনি অসাধারণ এক জীবন যাপন করেছেন। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও যে মর্যাদা ও ধীর-স্থিরতায় নিজেকে ধারণ করেছেন তিনি, তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তা ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। জাতি তাঁকে সম্মান, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তাঁর প্রয়াণে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল
—বেবী নাজনীন, সংগীতশিল্পী
বেগম খালেদা জিয়া দেশ এবং মানুষের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, রাজনীতির ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। তাঁকে হারানোর দুঃখ মানুষের মনে সব সময় বিরাজমান থাকবে।
খালেদা জিয়া হলো একটা ইনস্টিটিউশন। তাঁর সঙ্গে থেকে অনেকে অনেক কিছু শিখেছে। তিনি বাংলাদেশের মানুষের অভিভাবক ছিলেন। দলের নেতা-কর্মীদের হাতে-কলমে শিখিয়েছেন কীভাবে রাজনীতি করতে হয়। আমারও হাতেখড়ি তিনিই দিয়েছেন।
তাঁর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি। আমার মতো তাঁর কাছাকাছি আর কেউ হয়তো থাকেনি। উনি জেলে যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। খুব আদর ও স্নেহ করে বলেছিলেন, ‘ভালো থেকো, নিজের যত্ন নিও। তোমরা দেশ বাঁচাও এবং দেশের মানুষ বাঁচাও।’
এই অন্তিম যাত্রায় তিনি যেমন মানুষের দোয়া নিয়ে গেছেন, তেমনি দেশের মানুষের জন্য রেখে গেছেন আশীর্বাদ, যা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানুষের মাঝে গণতান্ত্রিক শক্তি হয়ে কাজ করবে।

সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
৩ মিনিট আগে
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
১৭ মিনিট আগে
‘মধ্যবিত্ত’ দিয়ে বছর শুরু, ‘খিলাড়ি’ দিয়ে বছর শেষ। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালে মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি বাংলা সিনেমা। কিন্তু আলোচনা তৈরি করতে পেরেছে কয়টি, সেটাই বড় প্রশ্ন। দুই ঈদ ছাড়া ইদানীং বাংলা সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে না। নির্মাতারাও চান যেকোনো উৎসবে সিনেমা আনতে।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

‘মধ্যবিত্ত’ দিয়ে বছর শুরু, ‘খিলাড়ি’ দিয়ে বছর শেষ। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালে মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি বাংলা সিনেমা। কিন্তু আলোচনা তৈরি করতে পেরেছে কয়টি, সেটাই বড় প্রশ্ন। দুই ঈদ ছাড়া ইদানীং বাংলা সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে না। নির্মাতারাও চান যেকোনো উৎসবে সিনেমা আনতে। ফলে পুরো বছর সিনেমার খরায় ভুগতে থাকে প্রেক্ষাগৃহগুলো।
এই সংকট কিছুটা হলেও পূরণ করেছে সরকারি অনুদানের এবং স্বাধীন নির্মাতাদের কম বাজেটের সিনেমাগুলো। এ বছর যত সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, বেশির ভাগই এ ধরনের। অনেক বছর ধরে আটকে থাকা সিনেমা মুক্তির হিড়িক ছিল বছরজুড়ে, বিশেষ করে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে। প্রচার ছাড়া অনেকটা দায়সারাভাবে মুক্তি দেওয়া এসব সিনেমা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ তো ছিলই না, নির্মাতারাও তাঁদের কাজ পৌঁছে দিতে অত গরজ দেখাননি। যেন অনেক দিনের বোঝা কাঁধ থেকে নামাতে পেরে দায়মুক্ত হয়েছেন তাঁরা! ‘মেকাপ’, ‘রিকশা গার্ল’, ‘জলে জ্বলে তারা’, ‘ময়না’, ‘অন্তরাত্মা’, ‘অন্যদিন’, ‘জলরঙ’, ‘নন্দিনী’, ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’, ‘মন যে বোঝে না’সহ ১৯টি সিনেমা আছে এ তালিকায়।
২০২৪ সালের সঙ্গে তুলনা টানলে এ বছর ঢালিউডে হিট সিনেমার সংখ্যা বেড়েছে। শাকিবের ‘তুফান’ই ছিল গত বছরের একমাত্র ব্যবসাসফল সিনেমা। তবে ২০২৫ সালে পাঁচটির বেশি সিনেমা দর্শকদের হলমুখী করতে পেরেছে। যদিও বড় বাজেট, বড় তারকা আর বড় ক্যানভাসের সিনেমাগুলোই সব মনোযোগ কেড়ে নেয়। চলচ্চিত্রের মতো গ্ল্যামারাস ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয়তা আর টাকার উদ্যাপনই স্বাভাবিক। যে কারণে, এ বছরও শাকিব খানের ‘বরবাদ’, ‘তাণ্ডব’ এবং আফরান নিশোর ‘দাগি’কে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও প্রত্যাশা ছিল। বরবাদ হিট হলেও অন্য দুটি প্রত্যাশিত ব্যবসা করতে পারেনি।
তবে একটা অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এবার। বড় বাজেট আর বড় আলোচনাকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে তুলনায় কম বাজেটের কিছু সিনেমা। প্রমাণ করেছে, তারকার চেয়ে গল্পের শক্তি বেশি। রোজার ঈদে যেমন বরবাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ ও সিয়ামের ‘জংলি’, তেমনি কোরবানির ঈদে তান্ডবকে পেছনে ফেলে দিয়েছে জাহিদ হাসানের ‘উৎসব’। নভেম্বরে মুক্তি পাওয়া ‘দেলুপি’ হলে অতটা দর্শক টানতে না পারলেও ভালো প্রচেষ্টা হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
বিদেশের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রশংসা পাওয়া ‘সাবা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘ফেরেশতে’, ‘রিকশা গার্ল’ সিনেমাগুলো দেশে মুক্তির পর সমালোচকদের মনোযোগ পেয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বড় সাফল্য এনে দিয়েছে ‘আলী’। ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে প্রথমবার স্পেশাল মেনশন পুরস্কার জিতে নেয় আদনান আল রাজীব পরিচালিত সিনেমাটি। কান উৎসবে এই জয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলা সিনেমার পরিচিতি আরও বেড়েছে। এই অর্জন উৎসাহিত করেছে দেশের তরুণ নির্মাতাদের।
তবে চলচ্চিত্র যাদের রুটি-রুজি, তাঁদের জন্য বছরটা খুব সুখকর ছিল না। শিল্পী থেকে কলাকুশলীরা বছরের একটা লম্বা সময় বেকার কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, নতুন সিনেমার ঘোষণা এসেছে কম, শুটিংয়ের রমরমা তেমন ছিল না। নতুন বছরে এই অবস্থা বদলে যাবে, চলচ্চিত্রপাড়া আবারও ব্যস্ত হবে—এটাই প্রত্যাশা।

আলোচিত ঘটনা
বিয়ে ও বিচ্ছেদ
২০ ডিসেম্বর অভিনেত্রী আফসানা আরা বিন্দু জানান, ২০২২ সালে ভেঙে গেছে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিকের সঙ্গে তাঁর সংসার।
৩০ ডিসেম্বর সংগীতশিল্পী সালমার সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানান তাঁর স্বামী সানাউল্লাহ নূরে সাগর।
হারিয়েছি যাঁদের
অঞ্জনা রহমান: ৪ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।

প্রবীর মিত্র: ৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
জাহিদুর রহিম অঞ্জন: ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। কয়েক বছর ধরে লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন অঞ্জন।

সন্জীদা খাতুন: ২৫ মার্চ মারা যান বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ, ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন। তিনি ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
গুলশান আরা আহমেদ: ১৫ এপ্রিল মারা যান ছোট পর্দার অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ। হার্ট অ্যাটাক করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
মুস্তাফা জামান আব্বাসী: ১০ মে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান সংগীতব্যক্তিত্ব মুস্তাফা জামান আব্বাসী। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
জীনাত রেহানা: ‘সাগরের তীর থেকে’ গানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী জীনাত রেহানা মারা যান ২ জুলাই। দীর্ঘদিন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
এ কে রাতুল: জিম করতে গিয়ে ২৭ জুলাই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান মিউজিশিয়ান এ কে রাতুল। তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা জসীমের মেজ ছেলে।
অমরেশ রায় চৌধুরী: ১২ আগস্ট মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী অমরেশ রায় চৌধুরী।

ফরিদা পারভীন: ১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
সেলিম হায়দার: ফিডব্যাক ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিটারিস্ট সেলিম হায়দার মারা যান ২৭ নভেম্বর। ক্যানসারসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে ফিডব্যাকসহ বাজিয়েছেন বেশ কয়েকটি ব্যান্ডের সঙ্গে। গত ৩০ বছর রুনা লায়লার সঙ্গেও নিয়মিত বাজিয়েছেন তিনি।
জেনস সুমন: গত ২৮ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সংগীতশিল্পী জেনস সুমন। ১৬ বছরের বিরতি কাটিয়ে গত বছর আবার গানে ফিরেছিলেন ‘একটা চাদর হবে’খ্যাত এই গায়ক।

‘মধ্যবিত্ত’ দিয়ে বছর শুরু, ‘খিলাড়ি’ দিয়ে বছর শেষ। সব মিলিয়ে ২০২৫ সালে মুক্তি পেয়েছে ৪৬টি বাংলা সিনেমা। কিন্তু আলোচনা তৈরি করতে পেরেছে কয়টি, সেটাই বড় প্রশ্ন। দুই ঈদ ছাড়া ইদানীং বাংলা সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ে না। নির্মাতারাও চান যেকোনো উৎসবে সিনেমা আনতে। ফলে পুরো বছর সিনেমার খরায় ভুগতে থাকে প্রেক্ষাগৃহগুলো।
এই সংকট কিছুটা হলেও পূরণ করেছে সরকারি অনুদানের এবং স্বাধীন নির্মাতাদের কম বাজেটের সিনেমাগুলো। এ বছর যত সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, বেশির ভাগই এ ধরনের। অনেক বছর ধরে আটকে থাকা সিনেমা মুক্তির হিড়িক ছিল বছরজুড়ে, বিশেষ করে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে। প্রচার ছাড়া অনেকটা দায়সারাভাবে মুক্তি দেওয়া এসব সিনেমা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ তো ছিলই না, নির্মাতারাও তাঁদের কাজ পৌঁছে দিতে অত গরজ দেখাননি। যেন অনেক দিনের বোঝা কাঁধ থেকে নামাতে পেরে দায়মুক্ত হয়েছেন তাঁরা! ‘মেকাপ’, ‘রিকশা গার্ল’, ‘জলে জ্বলে তারা’, ‘ময়না’, ‘অন্তরাত্মা’, ‘অন্যদিন’, ‘জলরঙ’, ‘নন্দিনী’, ‘স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা’, ‘মন যে বোঝে না’সহ ১৯টি সিনেমা আছে এ তালিকায়।
২০২৪ সালের সঙ্গে তুলনা টানলে এ বছর ঢালিউডে হিট সিনেমার সংখ্যা বেড়েছে। শাকিবের ‘তুফান’ই ছিল গত বছরের একমাত্র ব্যবসাসফল সিনেমা। তবে ২০২৫ সালে পাঁচটির বেশি সিনেমা দর্শকদের হলমুখী করতে পেরেছে। যদিও বড় বাজেট, বড় তারকা আর বড় ক্যানভাসের সিনেমাগুলোই সব মনোযোগ কেড়ে নেয়। চলচ্চিত্রের মতো গ্ল্যামারাস ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয়তা আর টাকার উদ্যাপনই স্বাভাবিক। যে কারণে, এ বছরও শাকিব খানের ‘বরবাদ’, ‘তাণ্ডব’ এবং আফরান নিশোর ‘দাগি’কে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও প্রত্যাশা ছিল। বরবাদ হিট হলেও অন্য দুটি প্রত্যাশিত ব্যবসা করতে পারেনি।
তবে একটা অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে এবার। বড় বাজেট আর বড় আলোচনাকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে তুলনায় কম বাজেটের কিছু সিনেমা। প্রমাণ করেছে, তারকার চেয়ে গল্পের শক্তি বেশি। রোজার ঈদে যেমন বরবাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ ও সিয়ামের ‘জংলি’, তেমনি কোরবানির ঈদে তান্ডবকে পেছনে ফেলে দিয়েছে জাহিদ হাসানের ‘উৎসব’। নভেম্বরে মুক্তি পাওয়া ‘দেলুপি’ হলে অতটা দর্শক টানতে না পারলেও ভালো প্রচেষ্টা হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
বিদেশের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রশংসা পাওয়া ‘সাবা’, ‘বাড়ির নাম শাহানা’, ‘ফেরেশতে’, ‘রিকশা গার্ল’ সিনেমাগুলো দেশে মুক্তির পর সমালোচকদের মনোযোগ পেয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বড় সাফল্য এনে দিয়েছে ‘আলী’। ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে প্রথমবার স্পেশাল মেনশন পুরস্কার জিতে নেয় আদনান আল রাজীব পরিচালিত সিনেমাটি। কান উৎসবে এই জয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলা সিনেমার পরিচিতি আরও বেড়েছে। এই অর্জন উৎসাহিত করেছে দেশের তরুণ নির্মাতাদের।
তবে চলচ্চিত্র যাদের রুটি-রুজি, তাঁদের জন্য বছরটা খুব সুখকর ছিল না। শিল্পী থেকে কলাকুশলীরা বছরের একটা লম্বা সময় বেকার কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, নতুন সিনেমার ঘোষণা এসেছে কম, শুটিংয়ের রমরমা তেমন ছিল না। নতুন বছরে এই অবস্থা বদলে যাবে, চলচ্চিত্রপাড়া আবারও ব্যস্ত হবে—এটাই প্রত্যাশা।

আলোচিত ঘটনা
বিয়ে ও বিচ্ছেদ
২০ ডিসেম্বর অভিনেত্রী আফসানা আরা বিন্দু জানান, ২০২২ সালে ভেঙে গেছে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিকের সঙ্গে তাঁর সংসার।
৩০ ডিসেম্বর সংগীতশিল্পী সালমার সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানান তাঁর স্বামী সানাউল্লাহ নূরে সাগর।
হারিয়েছি যাঁদের
অঞ্জনা রহমান: ৪ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।

প্রবীর মিত্র: ৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।
জাহিদুর রহিম অঞ্জন: ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন। কয়েক বছর ধরে লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন অঞ্জন।

সন্জীদা খাতুন: ২৫ মার্চ মারা যান বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সংগীতজ্ঞ, ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন। তিনি ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, কিডনি রোগে ভুগছিলেন।
গুলশান আরা আহমেদ: ১৫ এপ্রিল মারা যান ছোট পর্দার অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ। হার্ট অ্যাটাক করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
মুস্তাফা জামান আব্বাসী: ১০ মে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান সংগীতব্যক্তিত্ব মুস্তাফা জামান আব্বাসী। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
জীনাত রেহানা: ‘সাগরের তীর থেকে’ গানের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী জীনাত রেহানা মারা যান ২ জুলাই। দীর্ঘদিন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
এ কে রাতুল: জিম করতে গিয়ে ২৭ জুলাই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান মিউজিশিয়ান এ কে রাতুল। তিনি চলচ্চিত্র অভিনেতা জসীমের মেজ ছেলে।
অমরেশ রায় চৌধুরী: ১২ আগস্ট মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী অমরেশ রায় চৌধুরী।

ফরিদা পারভীন: ১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
সেলিম হায়দার: ফিডব্যাক ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিটারিস্ট সেলিম হায়দার মারা যান ২৭ নভেম্বর। ক্যানসারসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে ফিডব্যাকসহ বাজিয়েছেন বেশ কয়েকটি ব্যান্ডের সঙ্গে। গত ৩০ বছর রুনা লায়লার সঙ্গেও নিয়মিত বাজিয়েছেন তিনি।
জেনস সুমন: গত ২৮ নভেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সংগীতশিল্পী জেনস সুমন। ১৬ বছরের বিরতি কাটিয়ে গত বছর আবার গানে ফিরেছিলেন ‘একটা চাদর হবে’খ্যাত এই গায়ক।

সিনেমার গল্প চুড়ান্ত হওয়ার পর প্রথমে মান্নাকেই ভেবেছিলেন কাজী হায়াৎ। তবে প্রযোজক ডিপজলের সঙ্গে সে সময় মান্নার দূরত্ব চলছিল। তাই মান্নাকে নিতে রাজি ছিলেন না ডিপজল। ভাবা হচ্ছিল, রুবেল কিংবা হুমায়ূন ফরীদির কথা।
১৫ নভেম্বর ২০২৪
বছরজুড়ে চলচ্চিত্রের জগতে ঘটেছে কাঙ্ক্ষিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত নানা ঘটনা। আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য নির্বাচিত পাঁচটি আলোচিত ঘটনার খবর।
৩ মিনিট আগে
২০২৫ সালে অনেক তারকা যেমন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন, তেমনি এসেছে বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তারকাদের বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই প্রতিবেদন।
১৭ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে দেশে। শোকাহত দেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে নিজেদের অনুভূতি জানিয়েছেন তাঁরা। অনেকেই করেছেন স্মৃতিচারণা। শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
৭ ঘণ্টা আগে