
আজ ৩ এপ্রিল। অভিনেতা আলমগীরের জন্মদিন। আগে ঘটা করে জন্মদিন পালন করলেও, এখন পরিবারের সঙ্গেই কাটে দিনটি। টেলিফোনে কথা হলো আলমগীরের সঙ্গে, এবারের জন্মদিন উদ্যাপন নিয়ে বললেন তিনি। গত বছরেও জন্মদিনের ঠিক আগে কথা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে, তাঁর বাসায়। আলমগীরের সঙ্গে খান মুহাম্মদ রুমেলের কথোপকথনের অংশবিশেষ রইল এই প্রতিবেদনে
খান মুহাম্মদ রুমেল

আজ ৩ এপ্রিল। আলমগীরের জন্মদিন। না, মুঘল সম্রাট আলমগীর নন, তিনি নায়ক আলমগীর। অবশ্য এক অর্থে তিনিও সম্রাট। বাংলা চলচ্চিত্রের সম্রাট! জন্মদিনের শুভক্ষণে ফোন করি তাঁকে। একবার রিং বাজতেই রিসিভ করেন তিনি। সেই চিরপরিচিত ভরাট কণ্ঠ।
—হ্যালো!
—শুভ জন্মদিন!
—অনেক ধন্যবাদ। কেমন আছো?’ ফোনের অপর প্রান্তে তাঁর হাসি টের পাওয়া যায়।
—জি ভালো আছি। ৭৫ পেরোলেন আজ। কেমন লাগছে?
—৭৫ হয়ে গেছে আমার? বলো কি!
—জি
—ভালো লাগছে। ভালোই তো একটা দীর্ঘ জীবন পেলাম।
—জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো উচ্ছ্বাস কাজ করে?
—আমি তো এখনো সতেজ ও সুস্থ আছি। সুতরাং, কিছুটা ভালো লাগা তো কাজ করেই। তবে জন্মদিনে বিশেষ কোনো উৎসব নেই। ঘরোয়াভাবে কাটছে আজকের দিন। বাইরের কেউ আসবে না। হয়তো আজকে ছেলেমেয়েরা আসবে। তারা নিশ্চয়ই একটা কেক কাটবে। আমার এক মেয়ে দেশের বাইরে থাকে। ঈদ করতে ঢাকায় এসেছে। তার মেয়েরও জন্মদিন ১২ এপ্রিল। নানা–নাতি মিলে কেক কাটব। এই তো!
—এর বাইরে আর কিছু না?
—নাহ, আর কী? কত জন্মদিন তো চলে গেছে ব্যস্ততার ফাঁকে, টেরই পাইনি!
—জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?
—স্মৃতির কি আর শেষ আছে? তবে ছোটবেলায় ঘটা করে জন্মদিন পালন হতো। অনেক বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন আসত। এখন আর ওসব করি না। ঘরোয়াভাবে পরিবারের সঙ্গে কাটাই।...
সংক্ষিপ্ত কথোপকথন শেষ হলো। মনে পড়ে গেল গত বছর তাঁর জন্মদিনের ঠিক আগে বাসার ড্রয়িং রুমে বসে দীর্ঘ আলাপ হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। সেই এপ্রিলে চরম গরম ছিল। তীব্র তাপে পুড়ছিল চারপাশ। নির্দিষ্ট সময়ের আধা ঘণ্টা আগে পৌঁছে পায়চারি করছিলাম বাসার নিচে। খোঁজ পেয়ে তিনি ডেকে পাঠান। ঘরে ঢুকতেই গম্ভীর মুখ জিজ্ঞাসা—নিচে হাঁটাহাঁটি করছ কেন?
—না মানে আমার তো আরও আধা ঘণ্টা পরে আসার কথা। তাই সময় কাটানোর জন্য নিচে অপেক্ষা করছিলাম।
গাম্ভীর্যের মুখোশ খুলে এবার হাহা করে হাসেন তিনি।
—ভারি অদ্ভূত ছেলে তো তুমি? বলো কী জানতে চাও?
—জানতে চাই না তেমন কিছু। আপনার সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা দিতে চাই।
কথা শুনে একটু থামেন তিনি। তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে থাকেন দেয়ালে টাঙানো নিজের একটা ছবির দিকে। সুন্দর গোছানো বিশাল ড্রয়িং রুমে দেয়ালে দেয়ালে আলমগীরের তারুণ্যের ছবি। এক পাশের দেয়ালজুড়ে কাঠের কারুকাজ করা হারমোনিয়াম, তানপুরা ও ফিল্মি ক্যামেরার ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটি দেখে বোঝা যায় রুনা লায়লা আলমগীরের যুগলবন্দী জীবনকে ইঙ্গিত করছে এই কারুকাজ। তার নিচে থরে থরে সাজানো নানা পুরস্কার। তার মধ্যে অনেকগুলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পদক। দেয়াল থেকে চোখ ফিরিয়ে প্রশ্ন করি আলমগীরকে।
—পাঁচ দশকের বেশি সময়ের চলচ্চিত্রযাত্রায় পেছন ফিরলে অর্জনের খাতায় কী দেখেন?
ছোট করে একটুখানি হাসেন তিনি। বলেন, ‘অর্জন কী আছে? অর্জন তো কিছু নেই! যেটা স্বপ্ন দেখে, তার আশপাশে তো যেতে পারে না মানুষ। আমরা যখন যাত্রা শুরু করি, তখন চলচ্চিত্রের উড়ব উড়ব ভাব। তারপর আমরা যখন মধ্য গগণে, তখন চলচ্চিত্র উড়ছিল। কিন্তু এখন তো চলচ্চিত্র ভালো নেই। ভালো আছি কী করে বলব।’
—কোনো গ্রাফ তো আর সরল রেখায় চলে না। আপ অ্যান্ড ডাউন থাকে। এখন হয়তো একটু ডাউন। আবার চলচ্চিত্রের ওপরে ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু দেখেন আপনি?
—আমি আশাবাদী লোক। এখন রাত চলছে। ভোর হবে আবার। সে আশা করি। কিন্তু একটু ভয় লাগে। আমরা সবাই মিলে হয়তো চেষ্টা করছি। কিন্তু মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিল্পী, কলাকুশলী, প্রযোজক ও পরিচালক মিলে কী করবে। আমাদের সিঙ্গেল স্ক্রিন সিনেমা হল লাগবে। মাল্টিপ্লেক্স তো একটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পরিচয় হতে পারে না!
—আপনি বলেছিলেন মানুষ এক জীবনে স্বপ্ন ছুঁতে পারে না। কিন্তু স্বপ্ন তাড়া করে....
—হ্যাঁ, তাড়া তো আমি করেছি। এখনো করে চলেছি। দীলিপ কুমারের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে অনেকবার। তিনি আমাকে বলেছেন, আলমগীর আমি অ্যাকটিংয়ের Aটাও এখনো শিখতে পারিনি। দীলিপ কুমার যদি এ কথা বলেন, তাহলে ভাব আমাদের অবস্থা কোথায়? অভিনয়ের যে বিশালতা, সেটা এক জনমে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। অভিনেতা হিসেবে নিজেকে খুব বেশি নম্বর দিতে পারি না। দুই–তিন নম্বর হয়তো দেব, দশের মধ্যে।
—এই যে আপনি অভিনেতা হিসেবে নিজেকে দুই–তিন নম্বর দিচ্ছেন, আপনি দীলিপ কুমারের কথা বলছেন, এই যে একটা অতৃপ্তি, স্বপ্ন তাড়া করতে এই অতৃপ্তিই কি একজন শিল্পীকে এগিয়ে নেয়?
—হ্যাঁ, তাই হয়েছে গত পঞ্চাশ বছর ধরে। ধরো, একটা শট দিয়ে এলাম। পরে এসে ভাবছি, এটা এভাবে না করে ওভাবেও করতে পারতাম। এই যে ভাবনা, আমার কিন্তু রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেল।

—আপনার নায়িকাদের নিয়ে বলুন। আপনার সময়ের সব নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে শাবানা–আলমগীর জুটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। দর্শক জুটি তৈরি করে নাকি পরিচালক তৈরি করেন, নাকি গল্পের প্রয়োজনেই হয়?
—আসলে এটা কেউ তৈরি করে না। এটা হয়ে যায়। আমি আর শাবানা প্ল্যান করে কোনো সিনেমা করিনি। আমার প্রথম সিনেমা রিলিজ হয় ১৯৭৩ সালে। আমি শুটিং শুরু করেছি ’৭২-এর ২৬ জুন। প্রথম সিনেমা রিলিজের আগে আরও চার–পাঁচটা সিনেমা হয়ে যায় আমার। শাবানার সঙ্গে আমার প্রথম সিনেমা ‘দস্যুরানী’ এরপর ‘অতিথি’, ‘জয় পরাজয়’। তিনটাই সুপার হিট হয়েছিল। পরিচালকেরা তো গল্প অনুযায়ী নায়ক–নায়িকা নেন। কিন্তু প্রডিউসারেরা চান সেলেবল কমোডিটি। তখন প্রডিউসারেরা বলতে থাকলেন, এমন গল্প নেন যেখানে আলমগীর-শাবানাকে নেওয়া যায়। আমাদের সময় আমরা সবাই কাজপাগল ছিলাম। প্রেমটেম করার সময় ছিল না আমাদের। এর ওপর পরিচালকদের চোখ, মারাত্মক চোখ। আমি ডায়লগ বাদ দিয়ে হিরোইনের সঙ্গে কথা বলছি, বকা শুনতে হতো, খুব বকা শুনতে হতো। শাবানা, কবরী ও ববিতা মানুষ হিসেবে অসাধারণ, শিল্পী হিসেবেও অসাধারণ। আসলে তাঁদের সম্পর্কে মন্তব্য করা আমার সাজে না। কারণ, তাঁরা তিনজনই নায়িকা হিসেবে আমার সিনিয়র। হ্যাঁ, রোজিনা সম্পর্কে বলতে পারি। রোজিনা একটা কাজপাগলা মেয়ে ছিল। ও আর কিছু বুঝত না। সিনেমা করতে হবে, ভালো অভিনয় করতে হবে...ও জীবন দিয়ে কাজ করত। শাবানাও প্রচণ্ড সিরিয়াস অভিনেত্রী। ববিতাও মোটামুটি সিরিয়াস অভিনেত্রী...হাহাহা
—মোটামুটি সিরিয়াস কেন?
—ফূর্তিবাজ ছিলেন। হুল্লোড় করতেন। উনি আমাদের খুব স্নেহ করতেন। আর ববিতাকে চেনা কিন্তু খুব কঠিন। ববিতার সামনে সব সময় একটা পর্দা থাকে। পর্দা ক্রস করতে পারলে সে খুব ভালো বন্ধু। তবে পর্দা ক্রস করার পারমিশন পাওয়া খুব কঠিন। কিন্তু তাঁদের অভিনয় যাচাই করার মতো ক্ষমতা আমার নেই।
গল্পে গল্পে কেটে যায় অনেক সময়। জিজ্ঞেস করি, অন্তরালের জীবনে থাকতে সুচিত্রা সেন হাতে গোনা যে কয়েকজন মানুষকে দেখা দিতেন, তাঁদের মধ্যে আপনিও ছিলেন, কীভাবে?

—সময়টা ঠিক মনে নেই। আমি কলকাতায় সিনেমা করতে যাই। ঢাকার আরও কয়েকজন আর্টিস্ট ছিলেন। শুটিংয়ের আগে আমি স্টুডিও দেখতে গেলাম। একটা মেকাপ রুম ছিল, যেটা উত্তম কুমার ব্যবহার করতেন। ঘুরে ঘুরে দেখলাম। এমন সময় মনে হলো, সুচিত্রা সেন তো বেঁচে আছেন। উত্তম কুমারের সঙ্গে দেখা হলো না, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তো দেখা করার চেষ্টা করতে পারি। একপ্রকার যুদ্ধ করে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছি। অনেককে বলেছি, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে দেখা চাই। সবার এক কথা, যা চাও করে দেব, কিন্তু এটা সম্ভব না। বারীন ব্যানার্জি নামের আমার এক বন্ধু তাঁর গাড়ি করে সুচিত্রা সেনের বাড়ির গেটে পৌঁছে দিলেন। দারোয়ানকে দিয়ে আমার কার্ড পাঠালাম। পেছনে লিখে দিলাম—দিদি আমি বাংলাদেশ থেকে আলমগীর। তোমার দর্শন প্রার্থনীয়। কিছুক্ষণ পর দারোয়ান একটা কাগজে ফোন নম্বর লিখে নিয়ে এল। পরদিন সকাল ১০টায় কল করতে বলেছেন। পরদিন কল করলাম। কথা হলো। কিন্তু তিনি দেখা দেবেন না। জোরাজুরি করতে থাকলে তিনি বললেন, পরের বার এলে দেখা হবে। আমি বললাম, দিদি উত্তর কুমারও আমাকে বলেছিলেন পরেরবার এলে দেখা হবে। কিন্তু দেখাটা আর হয়নি। তখন কাজ হলো। তিনি আমাকে সময় দিতে রাজি হলেন। তবে বললেন, এসো, সময় পনেরো মিনিট। বাট নো ফ্রেন্ডস, নো ক্যামেরা। সেই পনেরো মিনিট হয়ে গেল এক ঘণ্টা। তারপর তো আমি তার ছোট ভাই হয়ে গিয়েছিলাম।
আলমগীরের সঙ্গে আড্ডায় সময়টা যেন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। তবু কথা শেষ হয় না। কিন্তু একসময় তো থামতে হয়। আমিও থামি।
বাইরে বের হয়ে রাস্তায় নামি। তাতানো রোদ কমে গিয়ে রাস্তাজুড়ে বিছিয়ে কমলা রঙের আলো। বইছে আরামদায়ক বাতাস।
আজ ৩ এপ্রিল। আলমগীরের জন্মদিন। না, মুঘল সম্রাট আলমগীর নন, তিনি নায়ক আলমগীর। অবশ্য এক অর্থে তিনিও সম্রাট। বাংলা চলচ্চিত্রের সম্রাট! জন্মদিনের শুভক্ষণে ফোন করি তাঁকে। একবার রিং বাজতেই রিসিভ করেন তিনি। সেই চিরপরিচিত ভরাট কণ্ঠ।
—হ্যালো!
—শুভ জন্মদিন!
—অনেক ধন্যবাদ। কেমন আছো?’ ফোনের অপর প্রান্তে তাঁর হাসি টের পাওয়া যায়।
—জি ভালো আছি। ৭৫ পেরোলেন আজ। কেমন লাগছে?
—৭৫ হয়ে গেছে আমার? বলো কি!
—জি
—ভালো লাগছে। ভালোই তো একটা দীর্ঘ জীবন পেলাম।
—জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো উচ্ছ্বাস কাজ করে?
—আমি তো এখনো সতেজ ও সুস্থ আছি। সুতরাং, কিছুটা ভালো লাগা তো কাজ করেই। তবে জন্মদিনে বিশেষ কোনো উৎসব নেই। ঘরোয়াভাবে কাটছে আজকের দিন। বাইরের কেউ আসবে না। হয়তো আজকে ছেলেমেয়েরা আসবে। তারা নিশ্চয়ই একটা কেক কাটবে। আমার এক মেয়ে দেশের বাইরে থাকে। ঈদ করতে ঢাকায় এসেছে। তার মেয়েরও জন্মদিন ১২ এপ্রিল। নানা–নাতি মিলে কেক কাটব। এই তো!
—এর বাইরে আর কিছু না?
—নাহ, আর কী? কত জন্মদিন তো চলে গেছে ব্যস্ততার ফাঁকে, টেরই পাইনি!
—জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনো স্মৃতি মনে পড়ে?
—স্মৃতির কি আর শেষ আছে? তবে ছোটবেলায় ঘটা করে জন্মদিন পালন হতো। অনেক বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন আসত। এখন আর ওসব করি না। ঘরোয়াভাবে পরিবারের সঙ্গে কাটাই।...
সংক্ষিপ্ত কথোপকথন শেষ হলো। মনে পড়ে গেল গত বছর তাঁর জন্মদিনের ঠিক আগে বাসার ড্রয়িং রুমে বসে দীর্ঘ আলাপ হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। সেই এপ্রিলে চরম গরম ছিল। তীব্র তাপে পুড়ছিল চারপাশ। নির্দিষ্ট সময়ের আধা ঘণ্টা আগে পৌঁছে পায়চারি করছিলাম বাসার নিচে। খোঁজ পেয়ে তিনি ডেকে পাঠান। ঘরে ঢুকতেই গম্ভীর মুখ জিজ্ঞাসা—নিচে হাঁটাহাঁটি করছ কেন?
—না মানে আমার তো আরও আধা ঘণ্টা পরে আসার কথা। তাই সময় কাটানোর জন্য নিচে অপেক্ষা করছিলাম।
গাম্ভীর্যের মুখোশ খুলে এবার হাহা করে হাসেন তিনি।
—ভারি অদ্ভূত ছেলে তো তুমি? বলো কী জানতে চাও?
—জানতে চাই না তেমন কিছু। আপনার সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা দিতে চাই।
কথা শুনে একটু থামেন তিনি। তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে থাকেন দেয়ালে টাঙানো নিজের একটা ছবির দিকে। সুন্দর গোছানো বিশাল ড্রয়িং রুমে দেয়ালে দেয়ালে আলমগীরের তারুণ্যের ছবি। এক পাশের দেয়ালজুড়ে কাঠের কারুকাজ করা হারমোনিয়াম, তানপুরা ও ফিল্মি ক্যামেরার ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটি দেখে বোঝা যায় রুনা লায়লা আলমগীরের যুগলবন্দী জীবনকে ইঙ্গিত করছে এই কারুকাজ। তার নিচে থরে থরে সাজানো নানা পুরস্কার। তার মধ্যে অনেকগুলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের পদক। দেয়াল থেকে চোখ ফিরিয়ে প্রশ্ন করি আলমগীরকে।
—পাঁচ দশকের বেশি সময়ের চলচ্চিত্রযাত্রায় পেছন ফিরলে অর্জনের খাতায় কী দেখেন?
ছোট করে একটুখানি হাসেন তিনি। বলেন, ‘অর্জন কী আছে? অর্জন তো কিছু নেই! যেটা স্বপ্ন দেখে, তার আশপাশে তো যেতে পারে না মানুষ। আমরা যখন যাত্রা শুরু করি, তখন চলচ্চিত্রের উড়ব উড়ব ভাব। তারপর আমরা যখন মধ্য গগণে, তখন চলচ্চিত্র উড়ছিল। কিন্তু এখন তো চলচ্চিত্র ভালো নেই। ভালো আছি কী করে বলব।’
—কোনো গ্রাফ তো আর সরল রেখায় চলে না। আপ অ্যান্ড ডাউন থাকে। এখন হয়তো একটু ডাউন। আবার চলচ্চিত্রের ওপরে ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু দেখেন আপনি?
—আমি আশাবাদী লোক। এখন রাত চলছে। ভোর হবে আবার। সে আশা করি। কিন্তু একটু ভয় লাগে। আমরা সবাই মিলে হয়তো চেষ্টা করছি। কিন্তু মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিল্পী, কলাকুশলী, প্রযোজক ও পরিচালক মিলে কী করবে। আমাদের সিঙ্গেল স্ক্রিন সিনেমা হল লাগবে। মাল্টিপ্লেক্স তো একটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পরিচয় হতে পারে না!
—আপনি বলেছিলেন মানুষ এক জীবনে স্বপ্ন ছুঁতে পারে না। কিন্তু স্বপ্ন তাড়া করে....
—হ্যাঁ, তাড়া তো আমি করেছি। এখনো করে চলেছি। দীলিপ কুমারের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে অনেকবার। তিনি আমাকে বলেছেন, আলমগীর আমি অ্যাকটিংয়ের Aটাও এখনো শিখতে পারিনি। দীলিপ কুমার যদি এ কথা বলেন, তাহলে ভাব আমাদের অবস্থা কোথায়? অভিনয়ের যে বিশালতা, সেটা এক জনমে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়। অভিনেতা হিসেবে নিজেকে খুব বেশি নম্বর দিতে পারি না। দুই–তিন নম্বর হয়তো দেব, দশের মধ্যে।
—এই যে আপনি অভিনেতা হিসেবে নিজেকে দুই–তিন নম্বর দিচ্ছেন, আপনি দীলিপ কুমারের কথা বলছেন, এই যে একটা অতৃপ্তি, স্বপ্ন তাড়া করতে এই অতৃপ্তিই কি একজন শিল্পীকে এগিয়ে নেয়?
—হ্যাঁ, তাই হয়েছে গত পঞ্চাশ বছর ধরে। ধরো, একটা শট দিয়ে এলাম। পরে এসে ভাবছি, এটা এভাবে না করে ওভাবেও করতে পারতাম। এই যে ভাবনা, আমার কিন্তু রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেল।

—আপনার নায়িকাদের নিয়ে বলুন। আপনার সময়ের সব নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন। তবে শাবানা–আলমগীর জুটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। দর্শক জুটি তৈরি করে নাকি পরিচালক তৈরি করেন, নাকি গল্পের প্রয়োজনেই হয়?
—আসলে এটা কেউ তৈরি করে না। এটা হয়ে যায়। আমি আর শাবানা প্ল্যান করে কোনো সিনেমা করিনি। আমার প্রথম সিনেমা রিলিজ হয় ১৯৭৩ সালে। আমি শুটিং শুরু করেছি ’৭২-এর ২৬ জুন। প্রথম সিনেমা রিলিজের আগে আরও চার–পাঁচটা সিনেমা হয়ে যায় আমার। শাবানার সঙ্গে আমার প্রথম সিনেমা ‘দস্যুরানী’ এরপর ‘অতিথি’, ‘জয় পরাজয়’। তিনটাই সুপার হিট হয়েছিল। পরিচালকেরা তো গল্প অনুযায়ী নায়ক–নায়িকা নেন। কিন্তু প্রডিউসারেরা চান সেলেবল কমোডিটি। তখন প্রডিউসারেরা বলতে থাকলেন, এমন গল্প নেন যেখানে আলমগীর-শাবানাকে নেওয়া যায়। আমাদের সময় আমরা সবাই কাজপাগল ছিলাম। প্রেমটেম করার সময় ছিল না আমাদের। এর ওপর পরিচালকদের চোখ, মারাত্মক চোখ। আমি ডায়লগ বাদ দিয়ে হিরোইনের সঙ্গে কথা বলছি, বকা শুনতে হতো, খুব বকা শুনতে হতো। শাবানা, কবরী ও ববিতা মানুষ হিসেবে অসাধারণ, শিল্পী হিসেবেও অসাধারণ। আসলে তাঁদের সম্পর্কে মন্তব্য করা আমার সাজে না। কারণ, তাঁরা তিনজনই নায়িকা হিসেবে আমার সিনিয়র। হ্যাঁ, রোজিনা সম্পর্কে বলতে পারি। রোজিনা একটা কাজপাগলা মেয়ে ছিল। ও আর কিছু বুঝত না। সিনেমা করতে হবে, ভালো অভিনয় করতে হবে...ও জীবন দিয়ে কাজ করত। শাবানাও প্রচণ্ড সিরিয়াস অভিনেত্রী। ববিতাও মোটামুটি সিরিয়াস অভিনেত্রী...হাহাহা
—মোটামুটি সিরিয়াস কেন?
—ফূর্তিবাজ ছিলেন। হুল্লোড় করতেন। উনি আমাদের খুব স্নেহ করতেন। আর ববিতাকে চেনা কিন্তু খুব কঠিন। ববিতার সামনে সব সময় একটা পর্দা থাকে। পর্দা ক্রস করতে পারলে সে খুব ভালো বন্ধু। তবে পর্দা ক্রস করার পারমিশন পাওয়া খুব কঠিন। কিন্তু তাঁদের অভিনয় যাচাই করার মতো ক্ষমতা আমার নেই।
গল্পে গল্পে কেটে যায় অনেক সময়। জিজ্ঞেস করি, অন্তরালের জীবনে থাকতে সুচিত্রা সেন হাতে গোনা যে কয়েকজন মানুষকে দেখা দিতেন, তাঁদের মধ্যে আপনিও ছিলেন, কীভাবে?

—সময়টা ঠিক মনে নেই। আমি কলকাতায় সিনেমা করতে যাই। ঢাকার আরও কয়েকজন আর্টিস্ট ছিলেন। শুটিংয়ের আগে আমি স্টুডিও দেখতে গেলাম। একটা মেকাপ রুম ছিল, যেটা উত্তম কুমার ব্যবহার করতেন। ঘুরে ঘুরে দেখলাম। এমন সময় মনে হলো, সুচিত্রা সেন তো বেঁচে আছেন। উত্তম কুমারের সঙ্গে দেখা হলো না, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তো দেখা করার চেষ্টা করতে পারি। একপ্রকার যুদ্ধ করে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছি। অনেককে বলেছি, সুচিত্রা সেনের সঙ্গে দেখা চাই। সবার এক কথা, যা চাও করে দেব, কিন্তু এটা সম্ভব না। বারীন ব্যানার্জি নামের আমার এক বন্ধু তাঁর গাড়ি করে সুচিত্রা সেনের বাড়ির গেটে পৌঁছে দিলেন। দারোয়ানকে দিয়ে আমার কার্ড পাঠালাম। পেছনে লিখে দিলাম—দিদি আমি বাংলাদেশ থেকে আলমগীর। তোমার দর্শন প্রার্থনীয়। কিছুক্ষণ পর দারোয়ান একটা কাগজে ফোন নম্বর লিখে নিয়ে এল। পরদিন সকাল ১০টায় কল করতে বলেছেন। পরদিন কল করলাম। কথা হলো। কিন্তু তিনি দেখা দেবেন না। জোরাজুরি করতে থাকলে তিনি বললেন, পরের বার এলে দেখা হবে। আমি বললাম, দিদি উত্তর কুমারও আমাকে বলেছিলেন পরেরবার এলে দেখা হবে। কিন্তু দেখাটা আর হয়নি। তখন কাজ হলো। তিনি আমাকে সময় দিতে রাজি হলেন। তবে বললেন, এসো, সময় পনেরো মিনিট। বাট নো ফ্রেন্ডস, নো ক্যামেরা। সেই পনেরো মিনিট হয়ে গেল এক ঘণ্টা। তারপর তো আমি তার ছোট ভাই হয়ে গিয়েছিলাম।
আলমগীরের সঙ্গে আড্ডায় সময়টা যেন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। তবু কথা শেষ হয় না। কিন্তু একসময় তো থামতে হয়। আমিও থামি।
বাইরে বের হয়ে রাস্তায় নামি। তাতানো রোদ কমে গিয়ে রাস্তাজুড়ে বিছিয়ে কমলা রঙের আলো। বইছে আরামদায়ক বাতাস।

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
১৪ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১৪ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

আজ ৩ এপ্রিল। অভিনেতা আলমগীরের জন্মদিন। আগে ঘটা করে জন্মদিন পালন করলেও, এখন পরিবারের সঙ্গেই কাটে দিনটি। টেলিফোনে কথা হলো আলমগীরের সঙ্গে, এবারের জন্মদিন উদ্যাপন নিয়ে বললেন তিনি। গত বছরেও জন্মদিনের ঠিক আগে কথা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে, তাঁর বাসায়। আলমগীরের সঙ্গে খান মুহাম্মদ রুমেলের কথোপকথনের অংশবিশেষ রইল
০৩ এপ্রিল ২০২৫
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১৪ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

আজ ৩ এপ্রিল। অভিনেতা আলমগীরের জন্মদিন। আগে ঘটা করে জন্মদিন পালন করলেও, এখন পরিবারের সঙ্গেই কাটে দিনটি। টেলিফোনে কথা হলো আলমগীরের সঙ্গে, এবারের জন্মদিন উদ্যাপন নিয়ে বললেন তিনি। গত বছরেও জন্মদিনের ঠিক আগে কথা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে, তাঁর বাসায়। আলমগীরের সঙ্গে খান মুহাম্মদ রুমেলের কথোপকথনের অংশবিশেষ রইল
০৩ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
১৪ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



আজ ৩ এপ্রিল। অভিনেতা আলমগীরের জন্মদিন। আগে ঘটা করে জন্মদিন পালন করলেও, এখন পরিবারের সঙ্গেই কাটে দিনটি। টেলিফোনে কথা হলো আলমগীরের সঙ্গে, এবারের জন্মদিন উদ্যাপন নিয়ে বললেন তিনি। গত বছরেও জন্মদিনের ঠিক আগে কথা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে, তাঁর বাসায়। আলমগীরের সঙ্গে খান মুহাম্মদ রুমেলের কথোপকথনের অংশবিশেষ রইল
০৩ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
১৪ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

আজ ৩ এপ্রিল। অভিনেতা আলমগীরের জন্মদিন। আগে ঘটা করে জন্মদিন পালন করলেও, এখন পরিবারের সঙ্গেই কাটে দিনটি। টেলিফোনে কথা হলো আলমগীরের সঙ্গে, এবারের জন্মদিন উদ্যাপন নিয়ে বললেন তিনি। গত বছরেও জন্মদিনের ঠিক আগে কথা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে, তাঁর বাসায়। আলমগীরের সঙ্গে খান মুহাম্মদ রুমেলের কথোপকথনের অংশবিশেষ রইল
০৩ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
১৪ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১৪ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১৪ ঘণ্টা আগে