Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট

আফসানা আলম প্রীতি। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর জেলার পশ্চিম শেখপুরা গ্রাম থেকে উঠে এসে হলি ক্রস কলেজ এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস বোস্টনে পাবলিক পলিসিতে পিএইচডি গবেষণার যাত্রা। বর্তমানে ম্যাসাচুসেটস স্টেট হাউসের ব্যস্ত করিডরে লেজিসলেটিভ ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করছেন। বলছি বাংলাদেশের তরুণী আফসানা আলম প্রীতির কথা। তাঁর শৈশব, উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন, বৃত্তি পাওয়ার অভিজ্ঞতা এবং যুক্তরাষ্ট্রে মানিয়ে নেওয়ার গল্প নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক খান

আব্দুর রাজ্জাক খান

আপনার শৈশব এবং পড়াশোনা বিষয়ে জানতে চাই।

শৈশব কেটেছে লক্ষ্মীপুর জেলার পশ্চিম শেখপুরা গ্রামে। বড় হয়েছি যৌথ পরিবারে। স্কুলজীবনের প্রথম অংশ কেটেছে স্থানীয় স্কুলে। অষ্টম শ্রেণিতে শহরের রামগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হই। দু-তিন ঘণ্টা লাগত সেখানে যেতে। মাধ্যমিক পর্যন্ত সেখানে পড়াশোনা শেষে ঢাকায় হলি ক্রস কলেজ এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করি।

আপনি কখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখলেন? প্রেরণা কোথায় পেলেন?

স্নাতকের শেষ দিকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার কথা ভাবা শুরু করি। স্নাতকে বিষয় ছিল গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা। হঠাৎ আগ্রহ বদলে যায়। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার প্রক্রিয়াটা জটিল ও ব্যয়বহুল মনে হলেও পরে জানতে পারি, বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। স্বপ্নটা আর অসম্ভব মনে হয়নি। শুধু পড়াশোনা নয়, নতুন দেশ, নতুন সংস্কৃতি এবং নতুন সমাজ সম্পর্কে জানার সুযোগও ভীষণভাবে আকর্ষণ করেছিল। সবচেয়ে বড় কথা, শুরু থেকে পরিবারের সদস্যরা পাশে ছিলেন। তাঁরা সাহস জুগিয়েছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন এবং প্রতিটি ধাপে আমার সঙ্গে থেকেছেন।

বৃত্তি পাওয়ার প্রক্রিয়াটা কেমন ছিল?

এই প্রক্রিয়াটা ছিল দীর্ঘ আর ধৈর্যের। শুরুতে এমন বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজতে শুরু করি, যেখানে আমার আগ্রহের প্রোগ্রাম রয়েছে। এরপর সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করি। ভাষাগত দক্ষতা প্রমাণের জন্য আইইএলটিএস পরীক্ষা দিই। তারপর শুরু করি স্টেটমেন্ট অব পারপাস লেখার কাজ, যেটি সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে লিখেছি। কারণ, এর মাধ্যমেই নিজের গল্প, দক্ষতা ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অ্যাডমিশন কমিটির কাছে তুলে ধরতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে আবেদনপ্রক্রিয়া নিয়ে গাইড করার কেউ ছিলেন না। সবকিছু নিজেই শিখতে হয়েছে। যাঁরা আমাকে একাডেমিক ও প্রফেশনাল দিক থেকে ভালোভাবে চেনেন এবং আমার কাজ সম্পর্কে বলতে পারেন, তাঁদের থেকেই রেফারেন্স লেটার চেয়েছি।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম যখন পা রাখলেন, কী মনে হয়েছিল? সংস্কৃতি, আবহাওয়া, ভাষাগত ব্যবধান—কোনটা সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল?

প্রথম যখন যুক্তরাষ্ট্রে আসি, ভাষাগত দিক থেকে খুব বেশি চ্যালেঞ্জ অনুভব করিনি। ইংরেজি ভাষায় আগে থেকে কিছুটা অভ্যস্ত ছিলাম। বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আবহাওয়া। তীব্র ঠান্ডা, বরফ—এসবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। প্রথম তুষার পড়তে দেখার অনুভূতি স্বপ্নের মতো লেগেছিল।

সংস্কৃতির দিক থেকেও কিছু পার্থক্য ছিল। যদিও প্রতিটি সংস্কৃতিরই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য আছে।

কাজ, ক্লাস, হোমওয়ার্ক—সবকিছু সামলে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কীভাবে নিজেকে সামলেছেন?

মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা শুরুতে কঠিন ছিল। পড়াশোনার চাপ, একা থাকা, নতুন পরিবেশ—সব মিলিয়ে নিজেকে তৈরি করতে কিছুটা সময় লেগেছিল। আমার পরিবার এবং বন্ধুরা সব সময় মানসিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক সচেতন। এখানে কাউন্সেলিং সেন্টার, ওয়েলনেস প্রোগ্রাম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নানা রিসোর্স বা সময় বরাদ্দ থাকে, যা সহায়ক হয়েছে। ধীরে ধীরে বুঝেছি, মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে নিজের জন্য সময় বের করা জরুরি। চেষ্টা করি সময় পরিকল্পনা করে ব্যবহার করতে, যাতে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের জন্যও কিছুটা সময় রাখা যায়। মাঝে মাঝে হাঁটতে বের হই, প্রিয় গান শুনি, বই পড়ি কিংবা ইয়োগা করি। আর পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখাটা আমার জন্য অপরিহার্য।

‘কমিশন অন ইলেকশন ল’-এ আপনি এখন যুক্ত আছেন। এই কাজটা আসলে কী ধরনের?

বর্তমানে আমি ম্যাসাচুসেটস স্টেট হাউসে ‘কমিশন অন ইলেকশন ল’-এর অধীনে লেজিসলেটিভ ইন্টার্নশিপ করছি। এই কমিশনের মূল কাজ হলো নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন আইন, ভোটাধিকার এবং পুরো নির্বাচনপ্রক্রিয়া ঘিরে আসা বিলগুলো পর্যালোচনা করা এবং আলোচনা ও গবেষণার মাধ্যমে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করা।

আমার কাজের অংশ হিসেবে নির্বাচনী আইন-সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে গবেষণা করি, কমিটির শুনানি পর্যবেক্ষণ করি এবং মাঝে মাঝে রিপোর্ট তৈরিতে সহায়তা করি। এই কাজ করতে গিয়ে আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া, নীতিনির্ধারণ এবং জনগণের অংশগ্রহণ—সবই কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছি।

এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করতে গিয়ে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ বা শিখন অভিজ্ঞতা হয়েছে?

খুব বড় কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়িনি; বরং পুরো পরিবেশটাই ছিল দারুণ। সবাই আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন। তবে শুরুতে আমেরিকার সরকারব্যবস্থা, নির্বাচনপ্রক্রিয়া, বিশেষ করে ম্যাসাচুসেটসের সম্পর্কে খুব বেশি জানতাম না। এখানে কাজ করতে গিয়ে নতুন অনেক শব্দ, নিয়ম ও পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত হতে হয়েছে।

শুনেছি, আপনি ম্যাসাচুসেটস স্টেট হাউসে হিয়ারিং সেশনে অংশ নিয়েছেন। সেদিনের কথা যদি বলেন।

এই অভিজ্ঞতা সত্যিই বিশেষ ছিল। ক্লাসরুমে বসে এত দিন যেসব নীতি ও পলিসি নিয়ে আলোচনা করতাম, সেগুলো এবার সামনে থেকে দেখা, পুরো প্রক্রিয়ার অংশ হওয়া—আলাদা অনুভূতি ছিল। যেকোনো আইন বা নীতি কীভাবে জনগণের প্রত্যক্ষ মতামতে তৈরি হয়, সেই বিষয়েও ধারণা হয়েছে। নীতিনির্ধারণ যে শুধু তাত্ত্বিক কিছু নয়, বরং বাস্তব প্রক্রিয়া, সেটা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি।

‘বিদেশি’ বা নারী শিক্ষার্থী হিসেবে কখনো কি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন?

একজন নারী বা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে আমার পরিচয় নিয়ে কেউ অবমূল্যায়ন করেছে, এমনটা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের জন্য কিছু সীমাবদ্ধতা আছে; বিশেষ করে কাজের ধরন, ইন্টার্নশিপ বা কিছু বৃত্তির ক্ষেত্রে। তবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়, কাজের জায়গা—সব সময় চাহিদা বা পরিস্থিতি বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করেছে।

আফসানা আলম প্রীতি। ছবি: সংগৃহীত
আফসানা আলম প্রীতি। ছবি: সংগৃহীত

এখন পাবলিক পলিসিতে পিএইচডি করছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

ভবিষ্যতে এমন জায়গায় নিজেকে দেখতে চাই, যেখানে গবেষণা আর নীতিনির্ধারণ—দুটি একসঙ্গে করা যায়। আমার কাজ যেন শুধু একাডেমিক গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং বাস্তবিক জীবনযাপনকে প্রভাবিত করে, এটাই চাওয়া। বিশেষ করে নারী, অভিবাসী বা প্রান্তিক মানুষকে নিয়ে কাজ করতে চাই। ভবিষ্যতে কোনো গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় বা নীতিনির্ধারণমূলক সংস্থায় কাজ করতে চাই।

যেহেতু রাজনীতি ও নীতিনির্ধারণ নিয়ে শিখছি, এই খাতেও কাজ করতে আগ্রহী। যে কাজই করি, তা যেন মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।

যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে থাকেন, সেখানে শিক্ষার্থীর জন্য থাকা-খাওয়ার খরচ কত?

আমি বোস্টনে থাকি, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর। একজন শিক্ষার্থীর জন্য এখানে থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, হেলথ ইনস্যুরেন্স—সব মিলিয়ে মাসে প্রায় ২ হাজার ডলার খরচ হয়। এটি সামলাতে আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া স্টাইপেন্ডের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও পরিকল্পনা করে চললে এই খরচ ম্যানেজ করা সম্ভব।

অনেক শিক্ষার্থীই ডাইনিং হলে, ক্যাফে বা টিউটরিং করে আয় করেন। আপনার ক্ষেত্রে কেমন ছিল?

ক্যাফেতে কাজ করার অভিজ্ঞতা খুব ভালো লেগেছে। কাস্টমার গ্রিটিংস, কফি বানানো—এসব আমার ভালো লাগত। এখন বিভিন্ন ধরনের কফি বানাতে পারি! টিউটরিংয়ের অভিজ্ঞতাও দারুণ ছিল। যখন কাউকে কিছু শেখাতাম, সে ক্ষেত্রে নিজেরও অনেক কিছু জানা হয়ে যেত।

ফান্ডিং থাকলেও কি কখনো আর্থিক টানাপোড়েন অনুভব করেছেন?

হ্যাঁ, অবশ্যই। পুরোপুরি ফান্ডেড হলেও আর্থিক টানাপোড়েন তো রয়েছেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে যেখানে থাকি, সেই শহরটা অনেক ব্যয়বহুল।

এখানে বিভিন্ন ধরনের খরচ থাকে, অনেক সময় এমন খরচও চলে আসে, যেটা আগে ধারণা করা যায় না। তাই মনে হয়, বাজেট করে চলাটা খুব জরুরি।

যাঁরা এখন যুক্তরাষ্ট্রে মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে আসতে চান, তাঁদের কী পরামর্শ দেবেন?

প্রথমে নিজের লক্ষ্য অটুট রাখতে হবে। আপনি কেন মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে চান, কোন বিষয়ে করতে চান, আর সেটা কীভাবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সঙ্গে মেলে। এসব বিষয় ভেবে সঠিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রাম নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। স্টেটমেন্ট অব পারপাস আর রেফারেন্স লেটার—এসব নিয়ে আগে থেকে কাজ করা উচিত। তাড়াহুড়ো না করে হাতে সময় নিয়ে এই প্রস্তুতিগুলো নিতে পারলে ভালো হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে এসে শুধু পড়াশোনাই নয়, মানিয়ে নেওয়া, একা থাকা, আর্থিক দিক সামলানো—সবকিছুই চ্যালেঞ্জিং। তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা খুব দরকার। সবচেয়ে বড় কথা, নিজের ওপর বিশ্বাস রাখা জরুরি। এই জার্নিতে অনিশ্চয়তা এবং নানা ধরনের মানসিক চাপ আসবে। আপনি যদি মন থেকে চেষ্টা করেন, শেখার ইচ্ছা রাখেন, আর ধৈর্য ধরে এগিয়ে যান, অবশ্যই সফল হবেন।

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আজকের পত্রিকাকে ধন্যবাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

পরীক্ষা নিয়ে স্কুলে মুখোমুখি শিক্ষক-অভিভাবকেরা

  • পিরোজপুর, পাবনায় শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের সংঘর্ষ।
  • অনেক জায়গায় স্কুলের তালা ভেঙে পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
  • শিক্ষকনেতাদের বদলি। প্রতিবাদে আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকি।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলনের জেরে সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গতকাল পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার নেছারাবাদে। ছবি: আজকের পত্রিকা
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলনের জেরে সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গতকাল পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার নেছারাবাদে। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।

এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’

এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।

পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।

বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।

এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।

একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।

জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’

সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।

সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাবিপ্রবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ৮ ডিসেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।

২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্যাংকে ব্যবহৃত ১০টি ইংরেজি বাক্য: (পর্ব-১)

শিক্ষা ডেস্ক
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

  • Welcome to our bank. – আমাদের ব্যাংকে স্বাগতম।
  • May I have your name, please?– দয়া করে আপনার নাম বলবেন?
  • How can I assist you? – কীভাবে সাহায্য করতে পারি?
  • Please fill out this form. – দয়া করে এই ফরমটি পূরণ করুন।
  • Do you have an account with us? – আপনার আমাদের সঙ্গে কোনো অ্যাকাউন্ট আছে কি?
  • I would like to open a new account. – আমি একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে চাই।
  • What type of account would you like to open? – আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে চান?
  • I’d like a savings account, please.– সেভিংস অ্যাকাউন্ট, অনুগ্রহ করে।
  • I want to deposit money. – আমি টাকা জমা দিতে চাই।
  • How much would you like to deposit? – কত টাকা জমা দিতে চান?
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনের চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চীন। ছবি: সংগৃহীত
চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চীন। ছবি: সংগৃহীত

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।

সুযোগ-সুবিধা

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য

প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ

বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত