Ajker Patrika

জিম্যাটের সেকশনগুলো কী (পর্ব-২)

মুসাররাত আবির
জিম্যাটের সেকশনগুলো কী (পর্ব-২)

গত পর্বে জিম্যাট কী, সে সম্পর্কে জেনেছি। আজকের পর্বে জিম্যাটের সেকশনগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা—

২০২৪ সাল থেকে জিম্যাটের ফরম্যাটে কিছু পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে একটি হলো, চারটি সেকশনের পরিবর্তে তিনটি সেকশন করা। সেই তিনটি সেকশন হলো—কোয়ান্টিটিভ রিজনিং (২১টি প্রশ্ন), ভার্বাল রিজনিং (২৩টি প্রশ্ন) ও ডেটা ইনসাইটস (২০টি প্রশ্ন)। 

কোয়ান্টিটিভ রিজনিং
এ ধাপে একজন পরীক্ষার্থীর তথ্য বিশ্লেষণ এবং যুক্তি ও দক্ষতা ব্যবহার করে প্রশ্ন সমাধান করার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। পুরো সেকশনটিতে বীজগণিত, পাটিগণিত ও জ্যামিতি থেকে ২১টি প্রশ্ন করা হয়। আর এগুলো সমাধানের জন্য আলাদা করে কোনো ক্যালকুলেটর বহন করা লাগবে না। স্ক্রিনেই একটি ক্যালকুলেটর চলে আসবে, সেটি ব্যবহার করে হিসাব করা যাবে। 

সাধারণত পাটিগণিত অংশে সংখ্যাতত্ত্ব, ইউনিট, সূচক, লগারিদম, বর্গমূল, ঘনমূল, ভগ্নাংশ), অনুপাত, মিশ্রণ, শতকরা, লাভ-ক্ষতি, সময়, গতি, দূরত্ব, সেট, পরিসংখ্যান ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রশ্ন আসে। বীজগণিতের প্রশ্ন সমীকরণ, দ্বিঘাত সমীকরণ, বহুপদ, ফাংশন, সূচক, অসমতা, স্থানান্তর, সমন্বয় ইত্যাদি থেকে করা হয়। আর জ্যামিতিতে থাকে ত্রিভুজ, রেখা এবং কোণ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত, স্থানাঙ্ক জ্যামিতি ইত্যাদি। 

ভার্বাল রিজনিং
এ বিভাগে একজন পরীক্ষার্থীর ইংরেজি পড়া ও বোঝার বোধগম্য এবং ইংরেজিতে সমালোচনামূলক যুক্তি মূল্যায়ন করার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। এ ভাগে দুই ধরনের বহুনির্বাচনীমূলক প্রশ্ন থাকে। প্রথম ধরনে ৩৫০ শব্দের কিছু অনুচ্ছেদ পড়তে হয়, এরপর সেখান থেকে করা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে আপনি অনুচ্ছেদগুলো কী রকম বুঝতে পারছেন এবং বিষয়বস্তুর বিভিন্ন অংশের মধ্যে যৌক্তিক সংযোগ শনাক্ত করতে পারছেন, সেটা দেখা হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নের ধরনে আপনার যুক্তি খণ্ডনের দক্ষতা দেখা হয়। আপনাকে একধরনের অর্ধ সমাপ্ত অনুচ্ছেদ দেওয়া হয়, যেটা পড়ে আপনাকে যুক্তি দিয়ে একটি উপসংহারে পৌঁছাতে হবে। এখানে প্যারালাল ইজম, মডিফায়ার, ক্রিটিক্যাল রিজনিং, সাবজেক্ট-ভার্ব অ্যাগ্রিমেন্ট, কাউন্টেবল-আনকাউন্টেবল নাউন থেকেও প্রশ্ন চলে আসে। 

ডেটা ইনসাইটস
এটি জিম্যাটের নতুন সংযোজন। এখানে পরীক্ষার্থীর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের দক্ষতা যাচাই করা হয়। 

এই অংশে টেবিল বা গ্রাফ আকারে কিছু ডেটা দেওয়া হয় এবং সেটাকে বিশ্লেষণ করতে হয়। বর্তমানে ব্যবসার জগতে কী ধরনের ডেটা কাজে আসে, ব্যবসার বিভিন্ন সমস্যা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা, প্যাটার্ন নির্ধারণ—এ ধরনের প্রশ্ন এখানে করা হয়। আরও থাকে ডেটা সাফিসিয়েন্সি, গ্রাফিকস ইন্টারপ্রিটেশন, টেবিল অ্যানালাইসিস, টু-পার্ট অ্যানালাইসিস, মাল্টি-সোর্স রিজনিং ইত্যাদি সম্পর্কিত প্রশ্ন। 

আর কী পরিবর্তন
যেহেতু জিম্যাট কম্পিউটার অ্যাডাপ্টিভ টেস্ট, তাই কোনো প্রশ্নের উত্তর বাদ দিলে বা ভুল করলে আবার সেই উত্তর ঠিক করার কোনো সুযোগ আগে ছিল না। তবে ২০২৪ সালের নতুন নিয়ম অনুযায়ী আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ বার রেখে আসা বা ভুল করা প্রশ্নের উত্তর সম্পাদনা করতে পারবেন। এ জন্য যে প্রশ্নটার উত্তর আবার দিতে চান, সে প্রশ্নটাকে বুকমার্ক করে ফেলতে হবে। সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া শেষে স্ক্রিনের ‘রিভিউ অ্যান্ড এডিট’ সেকশনে গেলেই সম্পাদনা করা যাবে। প্রতিটি সেকশনের জন্য বরাদ্দ থাকতে ৪৫ মিনিট, মাঝে ১০ মিনিটের বিরতি। অর্থাৎ মোট ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের পরীক্ষা। 

পরীক্ষা দেওয়ার পরপরই আন-অফিশিয়াল ফলাফল দেখতে পারবেন। অফিশিয়াল স্কোর পেতে এক সপ্তাহের মতো অপেক্ষা করতে হবে। স্কোরের পাশাপাশি আপনার পারফরম্যান্সের একটি বিস্তারিত রিপোর্টও পেয়ে যাবেন। 

সূত্র: জিম্যাট নিঞ্জা, এমবিএ ডটকম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা: চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানে বাংলাদেশি মিথিলার পথচলা

শিক্ষা ডেস্ক
মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলা। ছবি: সংগৃহীত
মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা এবং বেড়ে ওঠা মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। উদীয়মান এই চিকিৎসা নৃবিজ্ঞানী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে নৃবিজ্ঞানে পিএইচডি অধ্যয়নরত। তাঁর গবেষণার মূল ক্ষেত্র চিকিৎসা নৃবিজ্ঞান। বিশেষভাবে তিনি বহুমূত্র রোগ (ডায়াবেটিস) ও বায়োমার্কারকে কেন্দ্র করে মানবস্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও জৈবিক উপাদানের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করছেন। বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জ ও অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন তিনি। অনুলিখন মো. আশিকুর রহমানের।

নৃবিজ্ঞান বেছে নেওয়ার কারণ

বাংলাদেশে নৃবিজ্ঞান এখনো তুলনামূলকভাবে অপরিচিত বিষয়। মিথিলা বলেন, ‘উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞানের অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরে এমন একটি বিষয় খুঁজছিলাম, যেখানে পাস-ফেলের ভয় থাকবে না।’ তবে পুরো স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম হওয়া তাঁর ‘চাপমুক্ত পড়াশোনা’র পরিকল্পনায় কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাঁর ভাষায়, নৃবিজ্ঞানে শূন্য পাওয়া কঠিন হলেও ১০/১০ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ক্লাস নোট, বাংলা ও ইংরেজি নানা সোর্স ঘেঁটে পড়াশোনা করা এবং পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনা—এই তিনটি বিষয় তাঁকে এগিয়ে রেখেছে।

মিথিলা মনে করেন, এই বিষয়ে পড়াশোনার মাধ্যমে সমাজের বৈচিত্র্যময় দিকগুলোর প্রতি সহনশীলতা বেড়েছে, সংস্কৃতির আলোচনায় দক্ষতা অর্জন করেছেন। গোল্ড মেডেল ও ডিনস অ্যাওয়ার্ড—এই স্বীকৃতির দিনগুলো তাঁর জীবনের স্মৃতির খাতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এসব অর্জন তাঁকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, ‘আমি না পারলে আর কে পারবে?’

হঠাৎ বদলে যাওয়া সিদ্ধান্ত

মিথিলা বলেন, শুরুতে পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাজ্যে যাওয়ার। তবে হঠাৎ মনে হলো, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য এখন সবচেয়ে কঠিন সময়। এই সময়ে দেখি ফান্ড পাই কি না। নিজের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন মিথিলা। সবকিছু ঠিক থাকলেও পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ হয়নি, যা কষ্টের ছিল। তবু নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। কারণ, যখন চেয়েছেন, তখনই যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পেরেছেন।

প্রফেসর নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বড় কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। মিথিলার মতে, যাঁরা নির্দিষ্ট কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, তাঁদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা উচিত। না হলে সেখানে টিকে থাকা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। প্রস্তুতি আগেভাগে গুছিয়ে নেওয়া জরুরি। তাড়াহুড়ো করলে যেমন ভুল হয়, তেমনি আশানুরূপ ফলও আসে না।

গবেষণার বিষয়

বর্তমানে মিথিলা চিকিৎসা নৃবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করছেন এবং গবেষণার বিষয় হিসেবে ডায়াবেটিসকে চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই রোগের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বই এই ‘নীরব ঘাতক’ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এ ক্ষেত্রে গবেষণার মাধ্যমে সামান্য অবদান রাখতে পারলেও সেটাই তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি।

ভয় যেভাবে করেছেন জয়

বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ভয়। ভয় পেলে ইন্টারভিউ ভালো হয় না, কাগজপত্রের ঝামেলায় ঘাবড়ে যেতে হয়। তাই ভয় কমাতে হবে। তাঁর মতে, সঠিক গাইডলাইন ও পর্যাপ্ত তথ্য ঘাঁটাঘাঁটি করলে ভয় অনেকটা কমে। নিজের ফিল্ডের কোনো সিনিয়রের সঙ্গে আলোচনা করলে বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়। আর্থিক বিষয়ে তিনি বলেন, ফুল ফান্ডেড প্রোগ্রামে বড় কোনো খরচ থাকে না। যেটুকু হয়, সেটাও ধার করে শোধ করা সম্ভব। পুরো প্রক্রিয়ার জন্য অন্তত এক বছর সময় নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন।

কাছের মানুষের অনুপ্রেরণা

মিথিলার পথচলায় সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তাঁর বাবা। তিনি সব সময় বলতেন, আমেরিকায় গিয়ে এটা করা যাবে না, সেটা করা যাবে না। সেই নিষেধই যেন তাঁকে আমেরিকায় পৌঁছে দিয়েছে। ইন-লজরা তাঁর পড়াশোনায় সব সময় উৎসাহ দিয়েছেন। স্বামী যেভাবে প্রয়োজন হয়েছে, ঠিক সেভাবেই পাশে দাঁড়িয়েছেন। মা ও বোন সময়-সময় সাহস জুগিয়েছেন। পাবলিক স্পিকিংয়ে সব সময় আতঙ্ক ছিল তাঁর। প্রেজেন্টেশনে তাঁর বন্ধুরা অনেক সময় ভরসা হয়ে উঠেছে। সিনিয়র ভাই-আপুদের দিকনির্দেশনা, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের স্নেহ—সবকিছুর কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন মিথিলা।

আগ্রহীদের জন্য পরামর্শ

মাহিমা ফেরদৌসী মিথিলার মতে, আমেরিকায় যাওয়া এবং সেখানে টিকে থাকতে হলে ধৈর্য ও পরিশ্রমের বিকল্প নেই। ফল একটু খারাপ হলেও পছন্দের ফিল্ডে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, মানবিক ও সমাজবিজ্ঞানের স্কোপ স্টেমের তুলনায় কম হলেও সুযোগ একেবারে কম নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আশা হারানো যাবে না। লেগে থাকতে হবে, তাহলেই পথ খুলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষক বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন উর্মি

মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঝিকরগাছা (যশোর)
সুচরিতা আক্তার উর্মি।
সুচরিতা আক্তার উর্মি।

বাবার স্বপ্নপূরণে মেডিকেলে পড়ছেন সুচরিতা আক্তার উর্মি। অনেক আগে অনন্তের জগতে পাড়ি জমানো কৃষক বাবার ইচ্ছা ছিল, তাঁর মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে সুচরিতা আক্তার উর্মি সুচিকিৎসক হতে চান।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএসে যশোর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন উর্মি। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের কৃষক বাবলুর রহমান ও গৃহিণী ঝরনা খাতুন দম্পতির মেয়ে উর্মি।

ছোটবেলা থেকে উর্মি ছিলেন মেধাবী। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে নির্বাসখোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং ২০২৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন তিনি। স্কুল-কলেজ জীবনজুড়ে সব শ্রেণিতে প্রথম হয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন উর্মি।

উর্মির বাবা বাবলুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন, তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে অন্তত একজন চিকিৎসক হোক। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই ২০১৬ সালে হঠাৎ মারা যান তিনি। বাবার অবর্তমানে সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে মায়ের কাঁধে। মায়ের সংগ্রাম আর বাবার অপূর্ণ স্বপ্নই উর্মির মনে চিকিৎসক হওয়ার দৃঢ়প্রত্যয় গড়ে তোলে।

উর্মির মা ঝরনা খাতুন বলেন, ‘আমাদের কৃষক পরিবার হলেও মেয়েদের নিয়ে তাদের বাবা স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল, অন্তত একটি মেয়ে যেন চিকিৎসক হয়। আমার বড় মেয়ে অনার্সে প্রাণিবিদ্যায় চতুর্থ বর্ষে পড়ে, ছোট মেয়েটি এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে। আর মেজ মেয়ে সুচরিতা আক্তার উর্মি যশোর মেডিকেল কলেজে পড়ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্যাংকে ব্যবহৃত ৮টি ইংরেজি বাক্য (পর্ব-৬)

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৬
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আজ থাকছে আরও ৮টি প্রয়োজনীয় ইংরেজি বাক্য—

  • How can I apply for net banking? আমি কীভাবে নেট ব্যাংকিংয়ের জন্য আবেদন করতে পারি?
  • I want to activate mobile banking. আমি মোবাইল ব্যাংকিং সক্রিয় করতে চাই।
  • I have a problem with my account. আমার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে একটি সমস্যা আছে।
  • My transaction did not go through. আমার লেনদেন সম্পন্ন হয়নি।
  • The ATM did not dispense cash. এটিএম টাকা দেয়নি।
  • I need help with online banking. অনলাইন ব্যাংকিংয়ে সাহায্য প্রয়োজন।
  • My password is not working. আমার পাসওয়ার্ড কাজ করছে না।
  • I forgot my PIN. আমি আমার পিন ভুলে গেছি।
  • Could you help me reset it? আপনি কি
  • এটি রিসেট করতে সাহায্য করবেন?
  • I need to report a suspicious transaction. আমাকে একটি সন্দেহজনক লেনদেন রিপোর্ট করতে হবে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত মেক্সট বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ 
অর্থায়িত মেক্সট বৃত্তি

জাপানে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এসেছে দারুণ এক সুযোগ। জাপানের স্বনামধন্য চুও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও ডক্টরাল প্রোগ্রামে পড়াশোনার জন্য চুও ইউনিভার্সিটি মেক্সট বৃত্তির আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। জাপানের শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পরিচালিত এ সম্মানজনক বৃত্তির আওতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ অর্থায়নে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন।

জাপানের রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত চুও ইউনিভার্সিটি দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উচ্চশিক্ষার সুযোগের জন্য দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে পরিচিত। আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি চুও ইউনিভার্সিটি বাস্তবমুখী জ্ঞান ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে গুরুত্ব দেয়।

সুযোগ-সুবিধা: চুও ইউনিভার্সিটি মেক্সট স্কলারশিপ জাপানে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়িত বৃত্তি। এই স্কলারশিপের আওতায় চুও ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ নির্বাহের জন্য ভাতা হিসেবে দেওয়া হবে ১ লাখ ৪৩ হাজার ইয়েন। এ ছাড়া নিজ দেশ থেকে জাপানে যাতায়াতের জন্য আন্তর্জাতিক রাউন্ড-ট্রিপ বিমান টিকিটও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আবেদনের শর্তাবলি: বৃত্তির জন্য আবেদন করতে আগ্রহী প্রার্থীদের নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সেপ্টেম্বর ২০২৬ থেকে চুও ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন শুরু করতে হবে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের নন-ডিগ্রি শিক্ষার্থী (কেনক্যুসেই বা সেনকাসেই) হিসেবে ভর্তি হতে হবে। পরবর্তী সময়ে তাঁরা চুও ইউনিভার্সিটির মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন। আবেদনকারীদের একাডেমিক ফলাফলেও রয়েছে নির্দিষ্ট মানদণ্ড। মেক্সট গ্রেডিং সিস্টেম অনুযায়ী ন্যূনতম সিজিপিএ-৩-এর মধ্যে ২.৩০ থাকতে হবে।

বয়সের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের জন্ম ২ এপ্রিল ১৯৯১ বা তার পর হতে হবে। শুধু নন-ডিগ্রি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য এই বৃত্তিতে আবেদন করা যাবে না। এ ছাড়া, আবেদনকারীর পূর্ববর্তী শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যই তাঁর নির্বাচিত গবেষণা বা অধ্যয়ন বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। একই সঙ্গে প্রার্থীদের জাপানি অথবা ইংরেজি ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতার প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য: এই বৃত্তিতে আবেদন করতে হলে প্রার্থীদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি জমা দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে মেক্সট অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম, চুও ইউনিভার্সিটির আবেদন ফর্ম, পাসপোর্টের কপি, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা সমাপ্তির সনদ, স্টাডি প্ল্যান বা রিসার্চ প্রপোজাল, একটি সুপারিশপত্র, ইংরেজি বা জাপানি ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র এবং হালনাগাদ সিভি বা রেজুমে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো: আইন, বিজনেস ও কমার্স, সোশ্যাল সায়েন্স, হিউম্যানিটিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স ও তথ্যপ্রযুক্তি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মিডিয়া ও কমিউনিকেশন স্টাডিজ। এসব অনুষদের অধীনে অন্তত ৫-৭টি বিভাগে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবদেন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২ জানুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত