Ajker Patrika

বিইউপিতে ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য পরামর্শ

বিইউপিতে ভর্তি-ইচ্ছুকদের জন্য পরামর্শ

১৯ জানুয়ারি শুরু হবে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। হাতে খুব বেশি সময় নেই। এই অল্প সময়ের ব্যবধানে কীভাবে একটি গোছানো প্রস্তুতি নেওয়া যায়, সে সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন বিইউপির ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাররাত আবির। 

শেষ মুহূর্তে এসে নতুন কোনো বিষয় পড়ার মানেই হয় না। তার বদলে আগের পড়া বিষয়গুলো বেশি করে রিভিশন দাও। তা ছাড়া বিগত কয়েক মাস নিশ্চয় অনেক পড়েছ। তাই শেষ কিছুদিন ঠান্ডা মাথায় যে বিষয়গুলোতে সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধানের পাশাপাশি পুরোনো বিষয়গুলোই মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকো।

সময়ের দিকে খেয়াল রেখো
অনেক সময় শিক্ষার্থীর জানা প্রশ্নের উত্তরও না লিখে চলে আসতে হয় সময়ের দিকে খেয়াল না রাখার কারণে। তাই শুধু পড়াশোনা করে গেলেই চলবে না, কম সময়ে বেশি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কৌশলও রপ্ত করতে হবে।

পড়াশোনার স্ট্র‍্যাটেজি
বিইউপির ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ভোকাবুলারি নিয়ে অনেক সমস্যায় ভোগে। কিন্তু ভোকাবুলারি মুখস্থ করতে গিয়ে গ্রামারের অনেক অংশই পরীক্ষার আগে রিভিশন দেওয়ার সময় থাকে না। সে ক্ষেত্রে একটু কৌশলী হয়ে পড়াশোনা করতে হবে। একটি বিষয় আয়ত্ত করতে গিয়ে অন্য বিষয়গুলোর দিকে কম সময় দেওয়া যাবে না। আর যদি দেখো, কোনো একটি বিষয় মনে রাখতে খুব কষ্ট হচ্ছে, তাহলে সেটি বাদ দিয়ে অন্য বিষয় পড়ো। মোদ্দাকথা, সময় নষ্ট করা যাবে না। স্ট্র‍্যাটেজি মেনে পড়াশোনা করতে হবে। 

বেশি বেশি প্রশ্ন সমাধান করো
পরীক্ষার জন্য নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো মডেল টেস্ট দেওয়া। বাজারে মডেল টেস্টের বিভিন্ন বই পাওয়া যায়। সেই বইগুলো সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে অভ্যস্ত করে তুলতে পারো। এতে করে পরীক্ষাভীতি দূর হবে, আর প্রশ্নের ধরন সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যাবে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নের ধরন বোঝাটাই সবচেয়ে কঠিন সমস্যা। তাই যত পারো, প্রশ্ন সমাধান করো।

অনুষদভিত্তিক পরামর্শ

  • ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি: এই অনুষদে মোট ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। মোট চারটি বিষয়ে প্রশ্ন থাকবে। পরীক্ষার মানবণ্টন হলো: গণিত ২০, পদার্থবিজ্ঞান ২০, রসায়ন ২০ ও জীববিজ্ঞান ২০। এই চারটি বিষয়ের মধ্য থেকে যেকোনো তিনটি বিষয়ের উত্তর দিতে হবে। ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ক্ষেত্রে বিইউপির প্রশ্নব্যাংকের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিট ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নব্যাংকগুলো সমাধান করতে হবে।
  • ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স ও ফ্যাকাল্টি অব সিকিউরিটি অ্যান্ড স্ট্র‍্যাটেজিক স্টাডিজ: ইংরেজি ৪০, সাধারণ জ্ঞান ৪০, বাংলা ২০—এই তিনটি বিষয়ে প্রশ্ন হয়ে থাকে ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সের পরীক্ষায়। বাংলা প্রথম পত্রের ক্ষেত্রে বোর্ড বই তথা সাহিত্যপাঠের লেখক পরিচিতি, গদ্য-পদ্যের শব্দার্থ ও টিকা, সিলেবাসভুক্ত গদ্য-পদ্যের কোনটি কোন গ্রন্থ থেকে নেওয়া এবং কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত, নাটক ও উপন্যাসের প্রধান চরিত্র এবং উক্তি—এ বিষয়গুলোর ওপর চোখ বুলিয়ে যেয়ো।
  • বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার উৎস ও প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলা ব্যাকরণ এবং এর আলোচ্য বিষয়, ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ, অক্ষর বানান, ণত্ব ও স্বত্ব বিধান, সন্ধি, কারক ও বিভক্তি, অনুসর্গ ও বচন, সমাস, শব্দ ও শব্দের শ্রেণিবিভাগ, শব্দের উৎস, বাক্য প্রকরণ, বাক্য পরিবর্তন, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, ধ্বনি পরিবর্তন, বাগধারা, বিপরীত শব্দ, এককথায় প্রকাশ, প্রবাদ-প্রবচন, সমার্থক শব্দ, বাক্য শুদ্ধ করা—এসব বিষয় অবশ্যই পড়তে হবে।
  • ইংরেজির জন্য ভোকাবুলারির পাশাপাশি Right Form Of Verb, Subject Verb Agreement, Voice, Degree, Determiner, Article, Number, Conditional Sentence, Correction, Parts Of Speech, Pin Point Eror, Parralism & Sentence Structure—গ্রামারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভালোভাবে দেখতে হবে।
  • সাধারণ জ্ঞান অংশে সাহিত্য, সরকারব্যবস্থা, ছিটমহল উপজাতি, নৃগোষ্ঠী ইত্যাদি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক অংশে বিভিন্ন দেশের রাজধানী, মুদ্রা, রাষ্ট্রপ্রধানের নাম, কিসের জন্য বিখ্যাত, পার্লামেন্ট, জাতিসংঘ, পুরস্কার ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন চলে আসে। তবে সাধারণ জ্ঞান অংশে সাম্প্রতিক বিষয়াবলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিন-চতুর্থাংশ প্রশ্নই থাকে সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান থেকে। তাই পরীক্ষার চার বা পাঁচ মাস আগে থেকে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো সম্পর্কে জেনে রেখো। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি ও বিসিএস পরীক্ষার বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করতে হবে।
  • ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজ বিজ্ঞান, ব্যবসা ও মানবিক—তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরাই এই অনুষদের অধীনে ভর্তি হওয়ার জন্য পরীক্ষা দিতে পারবে। গণিত ৩৫, ইংরেজি ৩৫ ও সাধারণ জ্ঞান ৩০—এই তিনটি বিষয়ে ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজের পরীক্ষা হয়।

এই অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়ে থাকে। ইংরেজি বিষয়ের সিলেবাস বাকি দুই ইউনিটের মতো হলেও ভোকাবুলারি অংশে বেশি জোর দিতে হবে। সে জন্য ‘ওয়ার্ড স্মার্ট’ বইটি পড়তে পারো। সাধারণ জ্ঞান আগের দুই ইউনিটের মতোই হয়। আর গণিত অংশে কাজের সময়, শতকরা, ভগ্নাংশ, ল. সা. গু, গ. সা. গু, অনুপাত, লাভ-ক্ষতি, আয়-ব্যয়, গড়, বিভাজ্যতা, অসমতা, পরম মান, দূরত্ব, কোণ ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে। দেখা যায়, অঙ্ক করার নিয়ম ছোট হলেও প্রশ্ন বুঝতে বুঝতেই অনেক সময় চলে যায়। তাই এ বিষয়ে দ্রুত সমাধান করা শিখতে হবে। গণিত অংশের জন্য মেন্টরস ম্যাথ প্রশ্নব্যাংক, ম্যানহাটান জিম্যাট (১-৫) থেকে প্রশ্ন সমাধান করতে পারো। সবশেষে শুভকামনা রইল সবার জন্য। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত