কাজী ফারহান হোসেন পূর্ব

আলবার্ট আইনস্টাইন যেন কৌতূহল এবং বুদ্ধির আরেক নাম। সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম এই বিজ্ঞানীর আপেক্ষিক তত্ত্ব ও অন্যান্য আবিষ্কার ছাড়াও তাঁর উক্তিগুলো প্রচলিত রয়েছে সর্বত্র। সেসব বুদ্ধিবৃত্তিক উক্তিতে লুকিয়ে আছে মস্তিষ্ককে শাণিত করার অনেক উপায়! চলো, আজ তাঁর তিনটি উক্তি থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা পড়াশোনায় কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা দেখে নিই!
তোমরা জেনে অবাক হবে যে আইনস্টাইনের অধিকাংশ আবিষ্কারের শুরুটাই হয়েছে একেকটা কিংবদন্তিতুল্য থট এক্সপেরিমেন্ট বা কাল্পনিক পরীক্ষা দিয়ে। একটি লিফট যদি ওপর থেকে মুক্তভাবে পড়ে, তবে লিফটে দাঁড়ানো ব্যক্তি কোনো ওজন অনুভব করবে না, তা তিনি একটি থট এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমেই প্রথম তুলে ধরেন। আইনস্টাইনের আরেকটি বিখ্যাত থট এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে তাঁর ছেলেবেলায় আলোকরশ্মির পেছনে ছুটে বেড়ানো। একটু ভেবে দেখো তো বিশ্বের কোন গবেষণাগারে তুমি নিমেষেই এসব পরীক্ষা করে ফেলতে পারবে?
তা ছাড়া আলোকরশ্মির সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করা আদৌ কি সম্ভব? অথচ তুমি কল্পনায় করে নিতে পারো নিজের ইচ্ছামতো পরীক্ষা, সেখানে নেই কোনো বাধা, নেই কোনো খরচের হিসাব। অসম্ভব বলেও নেই কোনো কিছু! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঠিক যেমন তাঁর গানে বলেছেন, ‘কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে!’ তাই আমরা যখন বই পড়ি তখন কেবল মুখস্থ না করে নিজেকে সমর্পণ করতে হবে কল্পনার রাজ্যে। সেখানে চাই অখণ্ড মনোযোগ এবং সীমাহীন কল্পনা। উদাহরণস্বরূপ তুমি যখন মানুষের হৃদপিণ্ড নিয়ে পড়বে, তখন কীভাবে অলিন্দ-নিলয়ের খেলায় হৃৎপিণ্ডটি সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে তা বইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে কল্পনায় ধারণ করার চেষ্টা করবে।
মানসপটে তা আরও দৃঢ়ভাবে ধারণ করার জন্য তার ভিডিও দেখে নিতে পারো ইউটিউবে। রক্ত সঞ্চালনের সময় হৃৎপিণ্ডে যে লাব-ডাব শব্দ হয় তা তোমার কল্পনায় স্পষ্ট শোনার চেষ্টা করবে। এভাবে সব ইন্দ্রিয়কে কাজে লাগিয়ে রং, আকার, আকৃতি, শব্দ, গন্ধ, স্বাদ, স্পর্শ কল্পনা করে মনোছবি দেখার অভ্যাস করলে সব পড়া তোমার মনে গেঁথে যাবে। ইমরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে দেখা যায়, পাঠক যখন কোনো বই পড়ে, তখন সে বইয়ের নায়কের চরিত্রে নিবিড়ভাবে আবিষ্ট হয়ে পড়ে। ধরো, সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা খুব বীরত্বের সঙ্গে লাফ দিয়ে একটি গাড়িতে উঠল, তখন পাঠকের মস্তিষ্কের বাস্তবে লাফ দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশটি কাজ করে ওঠে। সুতরাং বই পড়ে কল্পনা করলে সত্যি সত্যি কোনো একটা কিছু করলে তোমার মস্তিষ্কের যে অংশগুলো কাজ করার কথা, সেগুলো সজাগ হয়ে ওঠে। আমেরিকান শিক্ষাবিদ এডগার ডেইল তাঁর এক বিখ্যাত গবেষণায় খুঁজে পান যে আমরা কোনো একটা কিছুর ৭০ শতাংশ মনে রাখতে পারি যদি আমরা সেটা দেখি এবং শুনি। আর যত বেশি ইন্দ্রিয়কে সক্রিয় করতে পারি, মনে রাখার প্রবণতা বেড়ে যায় তত বেশি!
সুতরাং পড়ার সময় কল্পনায় যদি তুমি ইন্দ্রিয়গুলোকে সক্রিয় করতে পারো, তবে তা হবে সত্যিকারের দেখা, শোনা, স্বাদ নেওয়া, স্পর্শ করার কাছাকাছি এবং মনেও থাকবে বেশি। এ ছাড়া তুমি কোনো তালিকা মুখস্থ করতে গেলে একটির সঙ্গে আরেকটির মধ্যে সম্পর্ক তৈরির জন্য তোমার কল্পনার রাজ্যে গল্প ফেদে বসবে। যেমন ধরো একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান বইয়ে বলা আছে ‘ভূনিম্নস্থ অতি সংক্ষিপ্ত রূপান্তরিত কাণ্ডকে বাল্ব (Bulb) বলে। বাল্বের উদাহরণ হলো পেঁয়াজ, রসুন।’
এটা তুমি সরাসরি মুখস্থ না করে একে তুমি মজার একটা গল্পের মাধ্যমে তোমার মস্তিষ্কে একটা স্থায়ী স্থান দিয়ে দিতে পারো! এ জন্য তুমি কল্পনায় ধরে নাও পেঁয়াজ একটা সুন্দর লাল বাতি আর রসুন একটা সাদা বাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। কল্পনা করো যে তারা মাটির নিচে হঠাৎ জ্বলজ্বল করে ওঠে উঠেছে। এই এক গল্পেই বাল্বের সংজ্ঞা আর উদাহরণ কিন্তু তোমার মনে গেঁথে গেছে। তাই বইয়ের যেকোনো বিষয় পড়ার সময় তুমি পুরোপুরি নিমজ্জিত হয়ে পড়বে এবং কল্পনার ডালপালা বিস্তার করে দেবে। যত উদ্ভট এবং মজার গল্প বানাতে পারবে, মস্তিষ্কও গল্পটাকে তত নিখুঁতভাবে ধারণ করতে পারবে।
আমরা পড়াশোনা করার সময় অনেক ক্ষেত্রেই মনে করি আজকে সব পড়া শেষ করে ফেলব এবং সেই একদিন ঠিকঠাক পড়াশোনা করে পরের দিনগুলোয় আর বইয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকে না। এটি কিন্তু মোটেও করা যাবে না; বরং তোমাকে অধ্যবসায়ের সঙ্গে পড়তে হবে নিয়মিত। ড্যারেন হার্ডির বিখ্যাত বই ‘দ্য কম্পাউন্ড ইফেক্ট’-এ ঠিক এ বিষয়টিই বড় পরিসরে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তুমি যদি প্রতিদিন দশ পাতা করেও একটা বই পড়ো আর বইটিতে তিন শ পাতা থাকে, তবে তা শেষ হবে মাত্র ত্রিশ দিনে। তাই মোটা মোটা বই কিংবা বিশাল বিশাল কাজ দেখে মোটেও ভয় পাওয়া যাবে না; বরং সেটাকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে প্রতিদিন কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
এটি আইনস্টাইনের একটি অন্যতম সেরা উক্তি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই কথাটি সত্য। তুমি অনেক দ্রুত দৌড়াতে পারলেও দৌড় প্রতিযোগিতার নিয়ম না জানলে তোমার পক্ষে জেতা অসম্ভব। ঠিক তেমনি তুমি যদি প্রশ্নের ধরন না বোঝো, কোন প্রশ্নের উত্তর কীভাবে করা উচিত, কতটুকু করা উচিত, প্রতিটি প্রশ্নের জন্য কতটুকু সময় বরাদ্দ রাখা উচিত; সে-সম্পর্কে তুমি যদি ওয়াকিবহাল না থাকো। তবে যত ভালো শিক্ষার্থীই হও না কেন, প্রশ্নপত্রের সব উত্তর জানা থাকলেও তুমি কিন্তু পূর্ণ সন্তুষ্টির সঙ্গে তোমার পরীক্ষা দিতে পারবে না! পরীক্ষাও একটি মজার খেলা। তাই এ খেলায় অংশগ্রহণের জন্য তোমাকে নিয়মগুলো পাই টু পাই অবগত হয়েই তবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে!

আলবার্ট আইনস্টাইন যেন কৌতূহল এবং বুদ্ধির আরেক নাম। সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম এই বিজ্ঞানীর আপেক্ষিক তত্ত্ব ও অন্যান্য আবিষ্কার ছাড়াও তাঁর উক্তিগুলো প্রচলিত রয়েছে সর্বত্র। সেসব বুদ্ধিবৃত্তিক উক্তিতে লুকিয়ে আছে মস্তিষ্ককে শাণিত করার অনেক উপায়! চলো, আজ তাঁর তিনটি উক্তি থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা পড়াশোনায় কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা দেখে নিই!
তোমরা জেনে অবাক হবে যে আইনস্টাইনের অধিকাংশ আবিষ্কারের শুরুটাই হয়েছে একেকটা কিংবদন্তিতুল্য থট এক্সপেরিমেন্ট বা কাল্পনিক পরীক্ষা দিয়ে। একটি লিফট যদি ওপর থেকে মুক্তভাবে পড়ে, তবে লিফটে দাঁড়ানো ব্যক্তি কোনো ওজন অনুভব করবে না, তা তিনি একটি থট এক্সপেরিমেন্টের মাধ্যমেই প্রথম তুলে ধরেন। আইনস্টাইনের আরেকটি বিখ্যাত থট এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে তাঁর ছেলেবেলায় আলোকরশ্মির পেছনে ছুটে বেড়ানো। একটু ভেবে দেখো তো বিশ্বের কোন গবেষণাগারে তুমি নিমেষেই এসব পরীক্ষা করে ফেলতে পারবে?
তা ছাড়া আলোকরশ্মির সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করা আদৌ কি সম্ভব? অথচ তুমি কল্পনায় করে নিতে পারো নিজের ইচ্ছামতো পরীক্ষা, সেখানে নেই কোনো বাধা, নেই কোনো খরচের হিসাব। অসম্ভব বলেও নেই কোনো কিছু! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঠিক যেমন তাঁর গানে বলেছেন, ‘কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে!’ তাই আমরা যখন বই পড়ি তখন কেবল মুখস্থ না করে নিজেকে সমর্পণ করতে হবে কল্পনার রাজ্যে। সেখানে চাই অখণ্ড মনোযোগ এবং সীমাহীন কল্পনা। উদাহরণস্বরূপ তুমি যখন মানুষের হৃদপিণ্ড নিয়ে পড়বে, তখন কীভাবে অলিন্দ-নিলয়ের খেলায় হৃৎপিণ্ডটি সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে তা বইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে মিলিয়ে কল্পনায় ধারণ করার চেষ্টা করবে।
মানসপটে তা আরও দৃঢ়ভাবে ধারণ করার জন্য তার ভিডিও দেখে নিতে পারো ইউটিউবে। রক্ত সঞ্চালনের সময় হৃৎপিণ্ডে যে লাব-ডাব শব্দ হয় তা তোমার কল্পনায় স্পষ্ট শোনার চেষ্টা করবে। এভাবে সব ইন্দ্রিয়কে কাজে লাগিয়ে রং, আকার, আকৃতি, শব্দ, গন্ধ, স্বাদ, স্পর্শ কল্পনা করে মনোছবি দেখার অভ্যাস করলে সব পড়া তোমার মনে গেঁথে যাবে। ইমরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে দেখা যায়, পাঠক যখন কোনো বই পড়ে, তখন সে বইয়ের নায়কের চরিত্রে নিবিড়ভাবে আবিষ্ট হয়ে পড়ে। ধরো, সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা খুব বীরত্বের সঙ্গে লাফ দিয়ে একটি গাড়িতে উঠল, তখন পাঠকের মস্তিষ্কের বাস্তবে লাফ দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশটি কাজ করে ওঠে। সুতরাং বই পড়ে কল্পনা করলে সত্যি সত্যি কোনো একটা কিছু করলে তোমার মস্তিষ্কের যে অংশগুলো কাজ করার কথা, সেগুলো সজাগ হয়ে ওঠে। আমেরিকান শিক্ষাবিদ এডগার ডেইল তাঁর এক বিখ্যাত গবেষণায় খুঁজে পান যে আমরা কোনো একটা কিছুর ৭০ শতাংশ মনে রাখতে পারি যদি আমরা সেটা দেখি এবং শুনি। আর যত বেশি ইন্দ্রিয়কে সক্রিয় করতে পারি, মনে রাখার প্রবণতা বেড়ে যায় তত বেশি!
সুতরাং পড়ার সময় কল্পনায় যদি তুমি ইন্দ্রিয়গুলোকে সক্রিয় করতে পারো, তবে তা হবে সত্যিকারের দেখা, শোনা, স্বাদ নেওয়া, স্পর্শ করার কাছাকাছি এবং মনেও থাকবে বেশি। এ ছাড়া তুমি কোনো তালিকা মুখস্থ করতে গেলে একটির সঙ্গে আরেকটির মধ্যে সম্পর্ক তৈরির জন্য তোমার কল্পনার রাজ্যে গল্প ফেদে বসবে। যেমন ধরো একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জীববিজ্ঞান বইয়ে বলা আছে ‘ভূনিম্নস্থ অতি সংক্ষিপ্ত রূপান্তরিত কাণ্ডকে বাল্ব (Bulb) বলে। বাল্বের উদাহরণ হলো পেঁয়াজ, রসুন।’
এটা তুমি সরাসরি মুখস্থ না করে একে তুমি মজার একটা গল্পের মাধ্যমে তোমার মস্তিষ্কে একটা স্থায়ী স্থান দিয়ে দিতে পারো! এ জন্য তুমি কল্পনায় ধরে নাও পেঁয়াজ একটা সুন্দর লাল বাতি আর রসুন একটা সাদা বাতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। কল্পনা করো যে তারা মাটির নিচে হঠাৎ জ্বলজ্বল করে ওঠে উঠেছে। এই এক গল্পেই বাল্বের সংজ্ঞা আর উদাহরণ কিন্তু তোমার মনে গেঁথে গেছে। তাই বইয়ের যেকোনো বিষয় পড়ার সময় তুমি পুরোপুরি নিমজ্জিত হয়ে পড়বে এবং কল্পনার ডালপালা বিস্তার করে দেবে। যত উদ্ভট এবং মজার গল্প বানাতে পারবে, মস্তিষ্কও গল্পটাকে তত নিখুঁতভাবে ধারণ করতে পারবে।
আমরা পড়াশোনা করার সময় অনেক ক্ষেত্রেই মনে করি আজকে সব পড়া শেষ করে ফেলব এবং সেই একদিন ঠিকঠাক পড়াশোনা করে পরের দিনগুলোয় আর বইয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকে না। এটি কিন্তু মোটেও করা যাবে না; বরং তোমাকে অধ্যবসায়ের সঙ্গে পড়তে হবে নিয়মিত। ড্যারেন হার্ডির বিখ্যাত বই ‘দ্য কম্পাউন্ড ইফেক্ট’-এ ঠিক এ বিষয়টিই বড় পরিসরে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তুমি যদি প্রতিদিন দশ পাতা করেও একটা বই পড়ো আর বইটিতে তিন শ পাতা থাকে, তবে তা শেষ হবে মাত্র ত্রিশ দিনে। তাই মোটা মোটা বই কিংবা বিশাল বিশাল কাজ দেখে মোটেও ভয় পাওয়া যাবে না; বরং সেটাকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে প্রতিদিন কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
এটি আইনস্টাইনের একটি অন্যতম সেরা উক্তি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই কথাটি সত্য। তুমি অনেক দ্রুত দৌড়াতে পারলেও দৌড় প্রতিযোগিতার নিয়ম না জানলে তোমার পক্ষে জেতা অসম্ভব। ঠিক তেমনি তুমি যদি প্রশ্নের ধরন না বোঝো, কোন প্রশ্নের উত্তর কীভাবে করা উচিত, কতটুকু করা উচিত, প্রতিটি প্রশ্নের জন্য কতটুকু সময় বরাদ্দ রাখা উচিত; সে-সম্পর্কে তুমি যদি ওয়াকিবহাল না থাকো। তবে যত ভালো শিক্ষার্থীই হও না কেন, প্রশ্নপত্রের সব উত্তর জানা থাকলেও তুমি কিন্তু পূর্ণ সন্তুষ্টির সঙ্গে তোমার পরীক্ষা দিতে পারবে না! পরীক্ষাও একটি মজার খেলা। তাই এ খেলায় অংশগ্রহণের জন্য তোমাকে নিয়মগুলো পাই টু পাই অবগত হয়েই তবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে!

এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
১ ঘণ্টা আগে
মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১২ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি, ঢাকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মিটিং শেষে এ তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
নির্বাচন স্থগিতের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ৮টা ৩০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শুরুর নির্দেশনা থাকলেও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়।
এ সময় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা জানায় প্রশাসন। জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মিটিং শেষে এ তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।
নির্বাচন স্থগিতের এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ৮টা ৩০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শুরুর নির্দেশনা থাকলেও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়।
এ সময় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা জানায় প্রশাসন। জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।

আলবার্ট আইনস্টাইন যেন কৌতূহল এবং বুদ্ধির আরেক নাম। সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম এই বিজ্ঞানীর আপেক্ষিক তত্ত্ব ও অন্যান্য আবিষ্কার ছাড়াও তাঁর উক্তিগুলো প্রচলিত রয়েছে সর্বত্র। সেসব বুদ্ধিবৃত্তিক উক্তিতে লুকিয়ে আছে মস্তিষ্ককে শাণিত করার অনেক উপায়! চলো, আজ তাঁর তিনটি উক্তি থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণ
১২ আগস্ট ২০২১
মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১২ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১২ ঘণ্টা আগেরাহুল শর্মা, ঢাকা

মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি বইয়ে থাকছে না শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যবই সরবরাহ হলেও মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির সব বই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বই সরবরাহ করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছোটখাটো কিছু বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছর পাঠ্যবইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। মাধ্যমিকের প্রতিটি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত করা হয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে দেওয়া হয় গ্রাফিতি। ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয় পেছনের কভার থেকে শেখ হাসিনার বাণী। শেখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ পড়ে।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যবইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ দিয়ে নাম লেখা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান। অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়েও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের (সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) নাম যুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের পাশে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতিহাসনির্ভর আরও কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির ওপর একটি লেখা যুক্ত করা হয়েছে।
মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই ছাপা হয়নি
এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও মাধ্যমিকের সব শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ছাপা হলেও সরবরাহ বাকি ৪২ শতাংশ পাঠ্যবই। অবশ্য প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই নিয়ে কোনো সংকট নেই। এই স্তরে শতভাগ পাঠ্যবই মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৩০০টি এবং প্রাথমিক স্তরের (ইবতেদায়ি ছাড়া) জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৪টি বই।
এনসিটিবির কর্মকর্তা ও মুদ্রণকারীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের মতো এবারও সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই ছাড়াই শিক্ষাবর্ষ শুরু করবে। এবার বেশি বেকায়দায় পড়বে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। বই ছাপা ও সরবরাহের গতি দেখে মনে হচ্ছে আগামী জানুয়ারির মধ্যেও সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো কঠিন হবে।
এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বই ছাপা ও বাঁধাই শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহ-পূর্ব পরিদর্শনসহ (পিডিআই) আনুষঙ্গিক কাজ শেষে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে মাধ্যমিকের মোট বইয়ের ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাধ্যমিকের ৩৯ শতাংশের কিছু বেশি পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
সূত্র বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ৯০ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে ৭১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তম শ্রেণির ৭৮ দশমিক ৩১ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে, সরবরাহ করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অষ্টম শ্রেণির ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ৭৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
অবশ্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। গত রোববার এনসিটিবি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। এর আগেই প্রায় শতভাগ বই পৌঁছে যাবে।

মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের সঙ্গে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চমাধ্যমিকের ইংরেজি বইয়ে থাকছে না শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যবই সরবরাহ হলেও মাধ্যমিক স্তরের সব শ্রেণির সব বই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বই সরবরাহ করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছোটখাটো কিছু বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছর পাঠ্যবইয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। মাধ্যমিকের প্রতিটি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত করা হয় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে দেওয়া হয় গ্রাফিতি। ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয় পেছনের কভার থেকে শেখ হাসিনার বাণী। শেখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ পড়ে।
এনসিটিবির সূত্র বলছে, মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যবইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ দিয়ে নাম লেখা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান। অষ্টম শ্রেণির ইংরেজি বইয়েও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের (সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) নাম যুক্ত করা হয়েছে। মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের পাশে স্বৈরাচারসহ একাধিক বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ইতিহাসনির্ভর আরও কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের বাংলা বইয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির ওপর একটি লেখা যুক্ত করা হয়েছে।
মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই ছাপা হয়নি
এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও মাধ্যমিকের সব শ্রেণির পাঠ্যবই ছাপা এখনো শেষ হয়নি। ছাপা হলেও সরবরাহ বাকি ৪২ শতাংশ পাঠ্যবই। অবশ্য প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই নিয়ে কোনো সংকট নেই। এই স্তরে শতভাগ পাঠ্যবই মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ৩০০টি এবং প্রাথমিক স্তরের (ইবতেদায়ি ছাড়া) জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ৮৫৪টি বই।
এনসিটিবির কর্মকর্তা ও মুদ্রণকারীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের মতো এবারও সব শ্রেণির সব শিক্ষার্থী সব পাঠ্যবই ছাড়াই শিক্ষাবর্ষ শুরু করবে। এবার বেশি বেকায়দায় পড়বে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। বই ছাপা ও সরবরাহের গতি দেখে মনে হচ্ছে আগামী জানুয়ারির মধ্যেও সব বই মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো কঠিন হবে।
এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তরের ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ বই ছাপা ও বাঁধাই শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহ-পূর্ব পরিদর্শনসহ (পিডিআই) আনুষঙ্গিক কাজ শেষে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে মাধ্যমিকের মোট বইয়ের ৬০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অর্থাৎ মাধ্যমিকের ৩৯ শতাংশের কিছু বেশি পাঠ্যবই এখনো সরবরাহ করা হয়নি।
সূত্র বলছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ৯০ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে। সরবরাহ করা হয়েছে ৭১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। সপ্তম শ্রেণির ৭৮ দশমিক ৩১ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা শেষ হয়েছে, সরবরাহ করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অষ্টম শ্রেণির ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ ছাড়া নবম-দশম শ্রেণির ৮৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পাঠ্যবই ছাপা হলেও সরবরাহ করা হয়েছে ৭৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।
অবশ্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) বলেছেন, আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের আগেই শতভাগ নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। গত রোববার এনসিটিবি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম আগামী বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হবে। এর আগেই প্রায় শতভাগ বই পৌঁছে যাবে।

আলবার্ট আইনস্টাইন যেন কৌতূহল এবং বুদ্ধির আরেক নাম। সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম এই বিজ্ঞানীর আপেক্ষিক তত্ত্ব ও অন্যান্য আবিষ্কার ছাড়াও তাঁর উক্তিগুলো প্রচলিত রয়েছে সর্বত্র। সেসব বুদ্ধিবৃত্তিক উক্তিতে লুকিয়ে আছে মস্তিষ্ককে শাণিত করার অনেক উপায়! চলো, আজ তাঁর তিনটি উক্তি থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণ
১২ আগস্ট ২০২১
এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
১ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১২ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই (রাজনৈতিক দলের) আবেদন করেছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।’ এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।
তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এল—জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশনার। তারা বলে, এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন।
কোন কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন আবেদন করেছে—জানতে চাইলে কমিশন উত্তর দেয়নি। তবে সূত্র জানায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্যানেলের শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার এই পাস কার্ডের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমরা জানতাম ভোটার নয় এমন কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে রানিং শিক্ষার্থীরা থাকলেই হয়। কিন্ত হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।’
স্বতন্ত্র আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা ছাত্রনেতাদের কাউকে ঢুকতে দিলে এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হতে পারে ও নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থী নয়—এমন কোনো ব্যক্তি যেন না ঢোকে।’

আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই (রাজনৈতিক দলের) আবেদন করেছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।’ এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।
তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এল—জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশনার। তারা বলে, এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন।
কোন কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন আবেদন করেছে—জানতে চাইলে কমিশন উত্তর দেয়নি। তবে সূত্র জানায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্যানেলের শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার এই পাস কার্ডের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমরা জানতাম ভোটার নয় এমন কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে রানিং শিক্ষার্থীরা থাকলেই হয়। কিন্ত হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।’
স্বতন্ত্র আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা ছাত্রনেতাদের কাউকে ঢুকতে দিলে এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হতে পারে ও নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থী নয়—এমন কোনো ব্যক্তি যেন না ঢোকে।’

আলবার্ট আইনস্টাইন যেন কৌতূহল এবং বুদ্ধির আরেক নাম। সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম এই বিজ্ঞানীর আপেক্ষিক তত্ত্ব ও অন্যান্য আবিষ্কার ছাড়াও তাঁর উক্তিগুলো প্রচলিত রয়েছে সর্বত্র। সেসব বুদ্ধিবৃত্তিক উক্তিতে লুকিয়ে আছে মস্তিষ্ককে শাণিত করার অনেক উপায়! চলো, আজ তাঁর তিনটি উক্তি থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণ
১২ আগস্ট ২০২১
এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
১ ঘণ্টা আগে
মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালে বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। শুধু প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালে বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। শুধু প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

আলবার্ট আইনস্টাইন যেন কৌতূহল এবং বুদ্ধির আরেক নাম। সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম এই বিজ্ঞানীর আপেক্ষিক তত্ত্ব ও অন্যান্য আবিষ্কার ছাড়াও তাঁর উক্তিগুলো প্রচলিত রয়েছে সর্বত্র। সেসব বুদ্ধিবৃত্তিক উক্তিতে লুকিয়ে আছে মস্তিষ্ককে শাণিত করার অনেক উপায়! চলো, আজ তাঁর তিনটি উক্তি থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণ
১২ আগস্ট ২০২১
এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল ৯টার পরই এ বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন তারা।
১ ঘণ্টা আগে
মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসনির্ভর ঘটনায় আবার বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির সাহিত্য কণিকা বই থেকে বাদ পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ নিবন্ধটি। তাঁর নামের সঙ্গের বঙ্গবন্ধু উপাধি বাদ পড়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের...
৮ ঘণ্টা আগে
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১২ ঘণ্টা আগে