গোলাম ওয়াদুদ

বাবা-মায়ের অন্যতম চিন্তা থাকে ছেলেমেয়ের পড়ালেখা নিয়ে। সন্তান জন্মের পর থেকেই তাকে পড়তে শেখানোটাকে অনেক বড় করে দেখেন বাবা-মা। কথা বলতে শেখার পরই শুরু হয় পড়তে শেখানোর তোড়জোড়। কোনো কোনো দেশে চার বছর বয়সে বাচ্চারা লিখতে ও পড়তে শেখে। আবার কোনো দেশে সাত বছরের আগে কোনোভাবেই পড়ালেখা শুরু করা হয় না। কেউ বলেন অল্প বয়স থেকেই পড়তে শেখা শুরু করা উচিত, আবার কেউ বলেন একেবারে উল্টো কথা। কোনটি সঠিক?
দেশে এখন প্রি-স্কুল ধারণা বেশ প্রসার পেয়েছে। বিশেষত শহুরে শিশুরা বেশ অল্প বয়সেই গুটি গুটি পায়ে স্কুলে যাচ্ছে। রোজ সকালে অভিভাবকের আঙুল ধরে বাচ্চাদের এমন স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য চোখ মেললেই নজরে পড়ে। সরাসরি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বদলে প্লে, নার্সারি হয়ে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হওয়াটা এখন শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
যে অভিভাবকের হাত ধরে চার-সাড়ে চার বছরের শিশুটি স্কুলে যাচ্ছে, সেই অভিভাবক হয়তো ছয় কি সাত বছর বয়সে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। তাহলে পড়াশোনা শুরুর মোক্ষম বয়স সম্পর্কিত ধারণা কি বদলে গেল? একটা বিতর্ক প্রায়ই উঠতে দেখা যায়—শিশুদের ওপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে। কেউ বলেন, শৈশবেই গুরুত্ব সহকারে পড়তে শেখানোটা জরুরি। আবার কেউ বলেন, আগে শৈশবটা কাটাতে দিতে হবে। বাড়তি চাপ না দিয়ে শিশুকে নিজের মতো বেড়ে উঠতে দিতে হবে। কখনো কখনো আবার অভিভাবকেরা শিশুর পড়াশোনা নিয়ে অহেতুক উদ্বিগ্ন হচ্ছেন কি-না, তা নিয়ে সংশয়ে পড়ে যান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সম্প্রতি এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, কোনো সন্দেহ নেই যে লেখা, কথা, গাওয়া বা উচ্চ স্বরে পড়া আমাদের প্রাথমিক বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাবা-মা সন্তানকে শিশু অবস্থাতেই পড়তে উৎসাহিত করেন। শিশু হিসেবে তাদের সঙ্গে কতটা বেশি বা কম কথা বলা হয়, তা তার ভবিষ্যৎ শিক্ষা অর্জনের ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।
একটি শিশুর ভাষা সম্পর্কে প্রাথমিক অভিজ্ঞতা তাদের পরবর্তী সাফল্যের জন্য মুখ্য প্রভাবক হিসেবে বিবেচিত। তাই প্রি-স্কুলগুলোতে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরুর আগেই শিশুদের মৌলিক সাক্ষরতার দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেওয়া হয়। শিশুরা যখন স্কুল শুরু করে, তখন সাক্ষরতা সব সময়ই একটি প্রধান মনোযোগের বিষয় হয়ে ওঠে। কিন্তু সব শিশু লিখতে ও পড়তে পারে কি-না, তা নিশ্চিত করা এখন বেশি চাপের হয়ে উঠেছে। গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, মহামারির প্রভাবে ধনী ও দরিদ্র পরিবারের শিশুদের দক্ষতা অর্জনের ব্যবধান বেড়েছে। বেড়েছে শিক্ষা বৈষম্য।

অনেক দেশেই আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় চার বছর বয়স থেকে। কিছু অভিভাবক এই শিশুদের জন্য আবার অতিরিক্ত প্রাইভেট টিউটরিংয়ের ব্যবস্থাও করেন। তাড়াতাড়ি শুরু করলে শিশুরা শিক্ষাজীবনে দ্রুত এগিয়ে যাবে—এমন চিন্তা থেকেই এটি করা হয়। মূল লক্ষ্য—এ যুগের অস্ত্র ‘শিক্ষা’ দিয়ে সন্তান বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ‘সশস্ত্র’ করে তোলা, যাতে সে প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় টিকে থাকতে পারে।
কয়েক দশক আগের খেলাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে তুলনা করলেই এখনকার প্রবণতার সঙ্গে এর নীতিগত ফারাকটা বোঝা যাবে। যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে একটি আইন করে, যেখানে বলা হয় ‘কোনো শিশুকে পেছনে ফেলব না’। এই আইনের পর দেশটিতে শিশুদের তাড়াতাড়ি স্কুলে পাঠানোর প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে শিশুদের বয়স ৫-৬ বছর হলে তারা পড়াশোনার জন্য প্রস্তুত কি-না, তা বুঝতে তাদের পরীক্ষা করা হয়। এই নিয়মের প্রবক্তাদের ভাষ্য, কোন শিশুর অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন, তা এই পদ্ধতিতে শনাক্ত করা যায়। এর সমালোচনাও আছে। সমালোচকদের বক্তব্য, এই পদ্ধতি কিছু শিশুর পড়া বন্ধ করে দিতে পারে।
যা হোক, কিছু গবেষণা বলছে তাড়াতাড়ি অ্যাকাডেমিক পরিবেশে প্রবেশ শিশুদের কিছু সুবিধা দেয়। ২০১৫ সালে একটি মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিন্ডারগার্টেনে শিশুদের কী জানা প্রয়োজন, সে সম্পর্কে সমাজের প্রত্যাশায় পরিবর্তন হয়েছে। তারা খেলাভিত্তিক শিক্ষার বদলে উপযুক্ত শ্রেণিকক্ষেই শিশুদের পাঠাতে বেশি আগ্রহী।
তাড়াতাড়ি বিদ্যালয়ে পাঠানোর ঝুঁকি
শিশুরা কী এবং কীভাবে শেখে, তা নির্ভর করে শিক্ষার পরিবেশের ওপর। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রাথমিক শিক্ষার অধ্যাপক ডমিনিক ওয়াইস বলেছেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো শিশুদের পড়তে শেখা। এটি শিশুদের জীবনে অগ্রগতির জন্য মৌলিক বিষয়।’ডমিনিক ওয়াইস সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যালিস ব্র্যাডবারির সঙ্গে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে শিশুদের সাক্ষরতা শেখাই, তা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
২০২২ সালে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইংরেজি স্কুল সিস্টেমে ধ্বনির ওপর যে মনোযোগ দেওয়া হয়, তাতে কিছু বাচ্চা ব্যর্থ হতে পারে। এর কারণ হিসেবে ব্র্যাডবারি বলছেন, তাড়াতাড়ি স্কুলে পাঠানোর ফলে অ্যাকাডেমিক শিক্ষার দিকে ঝোঁক বেড়ে গেছে। কিন্তু শিশুদের পরীক্ষায় ব্যবহৃত প্রাথমিক শিক্ষার বই বা অন্যান্য পাঠ্যবইগুলো পড়া বা উপভোগ করার জন্য যে দক্ষতা প্রয়োজন, সেটা খুবই কম হচ্ছে।
কীভাবে পড়া শেখা উচিত, সে বিষয়ে ডমিনিক ওয়াইস বা ব্র্যাডবারি—কেউই আলোকপাত করেননি। বরং শিশুদের যেভাবে সাক্ষরতা শেখানো হয়, সেটা পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মত দিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন, ‘গল্পের বই, গান ও কবিতা ব্যবহার করে শব্দের সঙ্গে শিশুদের পরিচিত ও আগ্রহী করায় উৎসাহিত করা উচিত। এগুলো শিশুকে শব্দ উচ্চারণ করতে, সেই সঙ্গে শব্দভান্ডার প্রসারিত করতে সহায়তা করে।’
প্রি-স্কুলে যোগদান শিশুদের জীবনের পরবর্তী অর্জনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি অ্যাকাডেমিক দক্ষতার ক্ষেত্রে তেমন প্রয়োজনীয় নয় বলে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং এটি অত্যধিক অ্যাকাডেমিক চাপ, এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলেও অনেক গবেষক শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে এর স্বপক্ষে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরিচালিত এক সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরা হয়। ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা অ্যাকাডেমিকভাবে জোর দিয়ে প্রি-স্কুলে ভর্তি হয়েছিল, তারা কয়েক বছর পর খুব কম অ্যাকাডেমিক কৃতিত্ব দেখিয়েছে। অন্যদিকে যারা প্রি-স্কুলে ভর্তি হয়নি বা হতে পারেনি, তারা তাদের চেয়ে ভালো করেছিল।
শিশুকালে খেলাভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্বের ওপর গবেষণা করে দেখা যায়, খেলাভিত্তিক প্রি-স্কুলগুলো অ্যাকাডেমিকভাবে পরিচালিত প্রি-স্কুলগুলোর চেয়ে ভালো ফলাফল করছে। চলতি বছরের এক গবেষণায় দেখা যায়, শিশুদের সামগ্রিক স্কুলজীবনের সাফল্য তাদের প্রাথমিক শিক্ষার অভিজ্ঞতা ওপর নির্ভর করে। সমীক্ষার উপসংহারে বলা হয়, শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি প্রি-স্কুলে ভর্তি করাটা আসলেই সমস্যার হতে পারে।
পরে শুরু, ভালো ফলাফল
দেখা যাচ্ছে শিশুশিক্ষা সবাই তাড়াতাড়ি শুরুর পক্ষে নন। জার্মানি, ইরান, জাপানসহ অনেক দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলে পড়াশোনা শুরু হয় ছয় বছরের দিকে। ফিনল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষা ব্যবস্থার দেশ হিসেবে সমাদৃত। সেখানে শিশুরা সাত বছর বয়সে স্কুল শুরু করে।
আপাতদৃষ্টিতে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ফিনল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের থেকে পড়া বোঝার দিক দিয়ে বেশি স্কোর করে। ফিনল্যান্ডের কিন্ডারগার্টেনগুলোতে খেলা ও কিছু আনুষ্ঠানিক অ্যাকাডেমিক নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়।
২০০৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পর্যালোচনা প্রস্তাব করে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুল শুরুর বয়স ছয় বছর হওয়া উচিত বলে মত দেওয়া হয়। বলা হয়, তাড়াতাড়ি স্কুলে দিলে পাঁচ বছরের শিশুর আত্মবিশ্বাস নষ্ট হতে পারে। তারা শেখার দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
একই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ে শিশুরা আগে যে বয়সে ভর্তি হতো, তার চেয়ে এক বছর দেরিতে ভর্তি হওয়ায় তাদের পরীক্ষায় নম্বরের উন্নতি হয়েছে।
তাড়াতাড়ি শুরু করা ও দেরিতে শুরু করা শিশুদের মধ্যে তুলনা করে দেখা গেছে, যারা তাড়াতাড়ি শুরু করেছে, তারা দেরিতে শুরু করা শিশুদের থেকে পড়া এবং তা বোঝার ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জার্মানির রেজেনসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লেখক সেবাস্টিয়ান সুগেট বিবিসিকে বলেন, দেরিতে শেখার ফলে তারা যা শিখছে, তার সঙ্গে তাদের জ্ঞান, বোধগম্যতাকে মিলিয়ে নিতে পারে। তিনি বলেন, ‘যদি আপনি ভাষায় মনোযোগ দিতে বেশি সময় ব্যয় করেন, তবে আসলে আপনি দক্ষতার একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করছেন, যার বিকাশ ঘটতে কয়েক বছর সময় লাগে। পড়া দ্রুত বাছাই করা যেতে পারে। কিন্তু ভাষার জন্য কোনো সস্তা কৌশল নেই। এটার জন্য দরকার কঠোর পরিশ্রম।’
তাই প্রশ্ন থেকে যায় যে, যদি তাড়াতাড়ি শেখার মাধ্যমে পড়ার ক্ষমতা উন্নত না হয়, তবে তাড়াতাড়ি শুরু করা কেন? মূল লক্ষ্য যদি হয় শিশুকে ভবিষ্যৎ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করা, তবে তার জন্য যেটা ভালো, সে পদ্ধতিই অনুসরণ করা উচিত। শিশুর সাক্ষরতার জন্য তাড়াহুড়ো না করে, তার প্রবণতার দিকে তাকানোটাই জরুরি। শিশু যদি অল্প বয়সেই পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে ওঠে, তবে তার সে আগ্রহকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। বিপরীতে তেমন আগ্রহ যদি তার ভেতরে দেখা না যায়, তবে তাকে ধরেবেঁধে পড়ার জগতে না ঢুকিয়ে অপেক্ষা করাটাই ভালো। যেহেতু দ্রুত পাঠ শুরুর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ পড়াশোনায় সুফল পাওয়ার তেমন প্রমাণ হাত নেই।

বাবা-মায়ের অন্যতম চিন্তা থাকে ছেলেমেয়ের পড়ালেখা নিয়ে। সন্তান জন্মের পর থেকেই তাকে পড়তে শেখানোটাকে অনেক বড় করে দেখেন বাবা-মা। কথা বলতে শেখার পরই শুরু হয় পড়তে শেখানোর তোড়জোড়। কোনো কোনো দেশে চার বছর বয়সে বাচ্চারা লিখতে ও পড়তে শেখে। আবার কোনো দেশে সাত বছরের আগে কোনোভাবেই পড়ালেখা শুরু করা হয় না। কেউ বলেন অল্প বয়স থেকেই পড়তে শেখা শুরু করা উচিত, আবার কেউ বলেন একেবারে উল্টো কথা। কোনটি সঠিক?
দেশে এখন প্রি-স্কুল ধারণা বেশ প্রসার পেয়েছে। বিশেষত শহুরে শিশুরা বেশ অল্প বয়সেই গুটি গুটি পায়ে স্কুলে যাচ্ছে। রোজ সকালে অভিভাবকের আঙুল ধরে বাচ্চাদের এমন স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য চোখ মেললেই নজরে পড়ে। সরাসরি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বদলে প্লে, নার্সারি হয়ে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হওয়াটা এখন শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
যে অভিভাবকের হাত ধরে চার-সাড়ে চার বছরের শিশুটি স্কুলে যাচ্ছে, সেই অভিভাবক হয়তো ছয় কি সাত বছর বয়সে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। তাহলে পড়াশোনা শুরুর মোক্ষম বয়স সম্পর্কিত ধারণা কি বদলে গেল? একটা বিতর্ক প্রায়ই উঠতে দেখা যায়—শিশুদের ওপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে। কেউ বলেন, শৈশবেই গুরুত্ব সহকারে পড়তে শেখানোটা জরুরি। আবার কেউ বলেন, আগে শৈশবটা কাটাতে দিতে হবে। বাড়তি চাপ না দিয়ে শিশুকে নিজের মতো বেড়ে উঠতে দিতে হবে। কখনো কখনো আবার অভিভাবকেরা শিশুর পড়াশোনা নিয়ে অহেতুক উদ্বিগ্ন হচ্ছেন কি-না, তা নিয়ে সংশয়ে পড়ে যান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সম্প্রতি এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, কোনো সন্দেহ নেই যে লেখা, কথা, গাওয়া বা উচ্চ স্বরে পড়া আমাদের প্রাথমিক বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাবা-মা সন্তানকে শিশু অবস্থাতেই পড়তে উৎসাহিত করেন। শিশু হিসেবে তাদের সঙ্গে কতটা বেশি বা কম কথা বলা হয়, তা তার ভবিষ্যৎ শিক্ষা অর্জনের ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।
একটি শিশুর ভাষা সম্পর্কে প্রাথমিক অভিজ্ঞতা তাদের পরবর্তী সাফল্যের জন্য মুখ্য প্রভাবক হিসেবে বিবেচিত। তাই প্রি-স্কুলগুলোতে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরুর আগেই শিশুদের মৌলিক সাক্ষরতার দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেওয়া হয়। শিশুরা যখন স্কুল শুরু করে, তখন সাক্ষরতা সব সময়ই একটি প্রধান মনোযোগের বিষয় হয়ে ওঠে। কিন্তু সব শিশু লিখতে ও পড়তে পারে কি-না, তা নিশ্চিত করা এখন বেশি চাপের হয়ে উঠেছে। গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, মহামারির প্রভাবে ধনী ও দরিদ্র পরিবারের শিশুদের দক্ষতা অর্জনের ব্যবধান বেড়েছে। বেড়েছে শিক্ষা বৈষম্য।

অনেক দেশেই আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় চার বছর বয়স থেকে। কিছু অভিভাবক এই শিশুদের জন্য আবার অতিরিক্ত প্রাইভেট টিউটরিংয়ের ব্যবস্থাও করেন। তাড়াতাড়ি শুরু করলে শিশুরা শিক্ষাজীবনে দ্রুত এগিয়ে যাবে—এমন চিন্তা থেকেই এটি করা হয়। মূল লক্ষ্য—এ যুগের অস্ত্র ‘শিক্ষা’ দিয়ে সন্তান বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ‘সশস্ত্র’ করে তোলা, যাতে সে প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় টিকে থাকতে পারে।
কয়েক দশক আগের খেলাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে তুলনা করলেই এখনকার প্রবণতার সঙ্গে এর নীতিগত ফারাকটা বোঝা যাবে। যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে একটি আইন করে, যেখানে বলা হয় ‘কোনো শিশুকে পেছনে ফেলব না’। এই আইনের পর দেশটিতে শিশুদের তাড়াতাড়ি স্কুলে পাঠানোর প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে শিশুদের বয়স ৫-৬ বছর হলে তারা পড়াশোনার জন্য প্রস্তুত কি-না, তা বুঝতে তাদের পরীক্ষা করা হয়। এই নিয়মের প্রবক্তাদের ভাষ্য, কোন শিশুর অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন, তা এই পদ্ধতিতে শনাক্ত করা যায়। এর সমালোচনাও আছে। সমালোচকদের বক্তব্য, এই পদ্ধতি কিছু শিশুর পড়া বন্ধ করে দিতে পারে।
যা হোক, কিছু গবেষণা বলছে তাড়াতাড়ি অ্যাকাডেমিক পরিবেশে প্রবেশ শিশুদের কিছু সুবিধা দেয়। ২০১৫ সালে একটি মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিন্ডারগার্টেনে শিশুদের কী জানা প্রয়োজন, সে সম্পর্কে সমাজের প্রত্যাশায় পরিবর্তন হয়েছে। তারা খেলাভিত্তিক শিক্ষার বদলে উপযুক্ত শ্রেণিকক্ষেই শিশুদের পাঠাতে বেশি আগ্রহী।
তাড়াতাড়ি বিদ্যালয়ে পাঠানোর ঝুঁকি
শিশুরা কী এবং কীভাবে শেখে, তা নির্ভর করে শিক্ষার পরিবেশের ওপর। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রাথমিক শিক্ষার অধ্যাপক ডমিনিক ওয়াইস বলেছেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো শিশুদের পড়তে শেখা। এটি শিশুদের জীবনে অগ্রগতির জন্য মৌলিক বিষয়।’ডমিনিক ওয়াইস সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যালিস ব্র্যাডবারির সঙ্গে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে শিশুদের সাক্ষরতা শেখাই, তা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
২০২২ সালে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইংরেজি স্কুল সিস্টেমে ধ্বনির ওপর যে মনোযোগ দেওয়া হয়, তাতে কিছু বাচ্চা ব্যর্থ হতে পারে। এর কারণ হিসেবে ব্র্যাডবারি বলছেন, তাড়াতাড়ি স্কুলে পাঠানোর ফলে অ্যাকাডেমিক শিক্ষার দিকে ঝোঁক বেড়ে গেছে। কিন্তু শিশুদের পরীক্ষায় ব্যবহৃত প্রাথমিক শিক্ষার বই বা অন্যান্য পাঠ্যবইগুলো পড়া বা উপভোগ করার জন্য যে দক্ষতা প্রয়োজন, সেটা খুবই কম হচ্ছে।
কীভাবে পড়া শেখা উচিত, সে বিষয়ে ডমিনিক ওয়াইস বা ব্র্যাডবারি—কেউই আলোকপাত করেননি। বরং শিশুদের যেভাবে সাক্ষরতা শেখানো হয়, সেটা পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মত দিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন, ‘গল্পের বই, গান ও কবিতা ব্যবহার করে শব্দের সঙ্গে শিশুদের পরিচিত ও আগ্রহী করায় উৎসাহিত করা উচিত। এগুলো শিশুকে শব্দ উচ্চারণ করতে, সেই সঙ্গে শব্দভান্ডার প্রসারিত করতে সহায়তা করে।’
প্রি-স্কুলে যোগদান শিশুদের জীবনের পরবর্তী অর্জনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি অ্যাকাডেমিক দক্ষতার ক্ষেত্রে তেমন প্রয়োজনীয় নয় বলে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং এটি অত্যধিক অ্যাকাডেমিক চাপ, এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলেও অনেক গবেষক শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে এর স্বপক্ষে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরিচালিত এক সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরা হয়। ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা অ্যাকাডেমিকভাবে জোর দিয়ে প্রি-স্কুলে ভর্তি হয়েছিল, তারা কয়েক বছর পর খুব কম অ্যাকাডেমিক কৃতিত্ব দেখিয়েছে। অন্যদিকে যারা প্রি-স্কুলে ভর্তি হয়নি বা হতে পারেনি, তারা তাদের চেয়ে ভালো করেছিল।
শিশুকালে খেলাভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্বের ওপর গবেষণা করে দেখা যায়, খেলাভিত্তিক প্রি-স্কুলগুলো অ্যাকাডেমিকভাবে পরিচালিত প্রি-স্কুলগুলোর চেয়ে ভালো ফলাফল করছে। চলতি বছরের এক গবেষণায় দেখা যায়, শিশুদের সামগ্রিক স্কুলজীবনের সাফল্য তাদের প্রাথমিক শিক্ষার অভিজ্ঞতা ওপর নির্ভর করে। সমীক্ষার উপসংহারে বলা হয়, শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি প্রি-স্কুলে ভর্তি করাটা আসলেই সমস্যার হতে পারে।
পরে শুরু, ভালো ফলাফল
দেখা যাচ্ছে শিশুশিক্ষা সবাই তাড়াতাড়ি শুরুর পক্ষে নন। জার্মানি, ইরান, জাপানসহ অনেক দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলে পড়াশোনা শুরু হয় ছয় বছরের দিকে। ফিনল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষা ব্যবস্থার দেশ হিসেবে সমাদৃত। সেখানে শিশুরা সাত বছর বয়সে স্কুল শুরু করে।
আপাতদৃষ্টিতে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ফিনল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের থেকে পড়া বোঝার দিক দিয়ে বেশি স্কোর করে। ফিনল্যান্ডের কিন্ডারগার্টেনগুলোতে খেলা ও কিছু আনুষ্ঠানিক অ্যাকাডেমিক নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়।
২০০৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পর্যালোচনা প্রস্তাব করে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুল শুরুর বয়স ছয় বছর হওয়া উচিত বলে মত দেওয়া হয়। বলা হয়, তাড়াতাড়ি স্কুলে দিলে পাঁচ বছরের শিশুর আত্মবিশ্বাস নষ্ট হতে পারে। তারা শেখার দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
একই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ে শিশুরা আগে যে বয়সে ভর্তি হতো, তার চেয়ে এক বছর দেরিতে ভর্তি হওয়ায় তাদের পরীক্ষায় নম্বরের উন্নতি হয়েছে।
তাড়াতাড়ি শুরু করা ও দেরিতে শুরু করা শিশুদের মধ্যে তুলনা করে দেখা গেছে, যারা তাড়াতাড়ি শুরু করেছে, তারা দেরিতে শুরু করা শিশুদের থেকে পড়া এবং তা বোঝার ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জার্মানির রেজেনসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লেখক সেবাস্টিয়ান সুগেট বিবিসিকে বলেন, দেরিতে শেখার ফলে তারা যা শিখছে, তার সঙ্গে তাদের জ্ঞান, বোধগম্যতাকে মিলিয়ে নিতে পারে। তিনি বলেন, ‘যদি আপনি ভাষায় মনোযোগ দিতে বেশি সময় ব্যয় করেন, তবে আসলে আপনি দক্ষতার একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করছেন, যার বিকাশ ঘটতে কয়েক বছর সময় লাগে। পড়া দ্রুত বাছাই করা যেতে পারে। কিন্তু ভাষার জন্য কোনো সস্তা কৌশল নেই। এটার জন্য দরকার কঠোর পরিশ্রম।’
তাই প্রশ্ন থেকে যায় যে, যদি তাড়াতাড়ি শেখার মাধ্যমে পড়ার ক্ষমতা উন্নত না হয়, তবে তাড়াতাড়ি শুরু করা কেন? মূল লক্ষ্য যদি হয় শিশুকে ভবিষ্যৎ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করা, তবে তার জন্য যেটা ভালো, সে পদ্ধতিই অনুসরণ করা উচিত। শিশুর সাক্ষরতার জন্য তাড়াহুড়ো না করে, তার প্রবণতার দিকে তাকানোটাই জরুরি। শিশু যদি অল্প বয়সেই পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে ওঠে, তবে তার সে আগ্রহকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। বিপরীতে তেমন আগ্রহ যদি তার ভেতরে দেখা না যায়, তবে তাকে ধরেবেঁধে পড়ার জগতে না ঢুকিয়ে অপেক্ষা করাটাই ভালো। যেহেতু দ্রুত পাঠ শুরুর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ পড়াশোনায় সুফল পাওয়ার তেমন প্রমাণ হাত নেই।
গোলাম ওয়াদুদ

বাবা-মায়ের অন্যতম চিন্তা থাকে ছেলেমেয়ের পড়ালেখা নিয়ে। সন্তান জন্মের পর থেকেই তাকে পড়তে শেখানোটাকে অনেক বড় করে দেখেন বাবা-মা। কথা বলতে শেখার পরই শুরু হয় পড়তে শেখানোর তোড়জোড়। কোনো কোনো দেশে চার বছর বয়সে বাচ্চারা লিখতে ও পড়তে শেখে। আবার কোনো দেশে সাত বছরের আগে কোনোভাবেই পড়ালেখা শুরু করা হয় না। কেউ বলেন অল্প বয়স থেকেই পড়তে শেখা শুরু করা উচিত, আবার কেউ বলেন একেবারে উল্টো কথা। কোনটি সঠিক?
দেশে এখন প্রি-স্কুল ধারণা বেশ প্রসার পেয়েছে। বিশেষত শহুরে শিশুরা বেশ অল্প বয়সেই গুটি গুটি পায়ে স্কুলে যাচ্ছে। রোজ সকালে অভিভাবকের আঙুল ধরে বাচ্চাদের এমন স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য চোখ মেললেই নজরে পড়ে। সরাসরি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বদলে প্লে, নার্সারি হয়ে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হওয়াটা এখন শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
যে অভিভাবকের হাত ধরে চার-সাড়ে চার বছরের শিশুটি স্কুলে যাচ্ছে, সেই অভিভাবক হয়তো ছয় কি সাত বছর বয়সে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। তাহলে পড়াশোনা শুরুর মোক্ষম বয়স সম্পর্কিত ধারণা কি বদলে গেল? একটা বিতর্ক প্রায়ই উঠতে দেখা যায়—শিশুদের ওপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে। কেউ বলেন, শৈশবেই গুরুত্ব সহকারে পড়তে শেখানোটা জরুরি। আবার কেউ বলেন, আগে শৈশবটা কাটাতে দিতে হবে। বাড়তি চাপ না দিয়ে শিশুকে নিজের মতো বেড়ে উঠতে দিতে হবে। কখনো কখনো আবার অভিভাবকেরা শিশুর পড়াশোনা নিয়ে অহেতুক উদ্বিগ্ন হচ্ছেন কি-না, তা নিয়ে সংশয়ে পড়ে যান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সম্প্রতি এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, কোনো সন্দেহ নেই যে লেখা, কথা, গাওয়া বা উচ্চ স্বরে পড়া আমাদের প্রাথমিক বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাবা-মা সন্তানকে শিশু অবস্থাতেই পড়তে উৎসাহিত করেন। শিশু হিসেবে তাদের সঙ্গে কতটা বেশি বা কম কথা বলা হয়, তা তার ভবিষ্যৎ শিক্ষা অর্জনের ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।
একটি শিশুর ভাষা সম্পর্কে প্রাথমিক অভিজ্ঞতা তাদের পরবর্তী সাফল্যের জন্য মুখ্য প্রভাবক হিসেবে বিবেচিত। তাই প্রি-স্কুলগুলোতে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরুর আগেই শিশুদের মৌলিক সাক্ষরতার দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেওয়া হয়। শিশুরা যখন স্কুল শুরু করে, তখন সাক্ষরতা সব সময়ই একটি প্রধান মনোযোগের বিষয় হয়ে ওঠে। কিন্তু সব শিশু লিখতে ও পড়তে পারে কি-না, তা নিশ্চিত করা এখন বেশি চাপের হয়ে উঠেছে। গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, মহামারির প্রভাবে ধনী ও দরিদ্র পরিবারের শিশুদের দক্ষতা অর্জনের ব্যবধান বেড়েছে। বেড়েছে শিক্ষা বৈষম্য।

অনেক দেশেই আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় চার বছর বয়স থেকে। কিছু অভিভাবক এই শিশুদের জন্য আবার অতিরিক্ত প্রাইভেট টিউটরিংয়ের ব্যবস্থাও করেন। তাড়াতাড়ি শুরু করলে শিশুরা শিক্ষাজীবনে দ্রুত এগিয়ে যাবে—এমন চিন্তা থেকেই এটি করা হয়। মূল লক্ষ্য—এ যুগের অস্ত্র ‘শিক্ষা’ দিয়ে সন্তান বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ‘সশস্ত্র’ করে তোলা, যাতে সে প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় টিকে থাকতে পারে।
কয়েক দশক আগের খেলাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে তুলনা করলেই এখনকার প্রবণতার সঙ্গে এর নীতিগত ফারাকটা বোঝা যাবে। যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে একটি আইন করে, যেখানে বলা হয় ‘কোনো শিশুকে পেছনে ফেলব না’। এই আইনের পর দেশটিতে শিশুদের তাড়াতাড়ি স্কুলে পাঠানোর প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে শিশুদের বয়স ৫-৬ বছর হলে তারা পড়াশোনার জন্য প্রস্তুত কি-না, তা বুঝতে তাদের পরীক্ষা করা হয়। এই নিয়মের প্রবক্তাদের ভাষ্য, কোন শিশুর অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন, তা এই পদ্ধতিতে শনাক্ত করা যায়। এর সমালোচনাও আছে। সমালোচকদের বক্তব্য, এই পদ্ধতি কিছু শিশুর পড়া বন্ধ করে দিতে পারে।
যা হোক, কিছু গবেষণা বলছে তাড়াতাড়ি অ্যাকাডেমিক পরিবেশে প্রবেশ শিশুদের কিছু সুবিধা দেয়। ২০১৫ সালে একটি মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিন্ডারগার্টেনে শিশুদের কী জানা প্রয়োজন, সে সম্পর্কে সমাজের প্রত্যাশায় পরিবর্তন হয়েছে। তারা খেলাভিত্তিক শিক্ষার বদলে উপযুক্ত শ্রেণিকক্ষেই শিশুদের পাঠাতে বেশি আগ্রহী।
তাড়াতাড়ি বিদ্যালয়ে পাঠানোর ঝুঁকি
শিশুরা কী এবং কীভাবে শেখে, তা নির্ভর করে শিক্ষার পরিবেশের ওপর। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রাথমিক শিক্ষার অধ্যাপক ডমিনিক ওয়াইস বলেছেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো শিশুদের পড়তে শেখা। এটি শিশুদের জীবনে অগ্রগতির জন্য মৌলিক বিষয়।’ডমিনিক ওয়াইস সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যালিস ব্র্যাডবারির সঙ্গে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে শিশুদের সাক্ষরতা শেখাই, তা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
২০২২ সালে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইংরেজি স্কুল সিস্টেমে ধ্বনির ওপর যে মনোযোগ দেওয়া হয়, তাতে কিছু বাচ্চা ব্যর্থ হতে পারে। এর কারণ হিসেবে ব্র্যাডবারি বলছেন, তাড়াতাড়ি স্কুলে পাঠানোর ফলে অ্যাকাডেমিক শিক্ষার দিকে ঝোঁক বেড়ে গেছে। কিন্তু শিশুদের পরীক্ষায় ব্যবহৃত প্রাথমিক শিক্ষার বই বা অন্যান্য পাঠ্যবইগুলো পড়া বা উপভোগ করার জন্য যে দক্ষতা প্রয়োজন, সেটা খুবই কম হচ্ছে।
কীভাবে পড়া শেখা উচিত, সে বিষয়ে ডমিনিক ওয়াইস বা ব্র্যাডবারি—কেউই আলোকপাত করেননি। বরং শিশুদের যেভাবে সাক্ষরতা শেখানো হয়, সেটা পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মত দিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন, ‘গল্পের বই, গান ও কবিতা ব্যবহার করে শব্দের সঙ্গে শিশুদের পরিচিত ও আগ্রহী করায় উৎসাহিত করা উচিত। এগুলো শিশুকে শব্দ উচ্চারণ করতে, সেই সঙ্গে শব্দভান্ডার প্রসারিত করতে সহায়তা করে।’
প্রি-স্কুলে যোগদান শিশুদের জীবনের পরবর্তী অর্জনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি অ্যাকাডেমিক দক্ষতার ক্ষেত্রে তেমন প্রয়োজনীয় নয় বলে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং এটি অত্যধিক অ্যাকাডেমিক চাপ, এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলেও অনেক গবেষক শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে এর স্বপক্ষে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরিচালিত এক সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরা হয়। ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা অ্যাকাডেমিকভাবে জোর দিয়ে প্রি-স্কুলে ভর্তি হয়েছিল, তারা কয়েক বছর পর খুব কম অ্যাকাডেমিক কৃতিত্ব দেখিয়েছে। অন্যদিকে যারা প্রি-স্কুলে ভর্তি হয়নি বা হতে পারেনি, তারা তাদের চেয়ে ভালো করেছিল।
শিশুকালে খেলাভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্বের ওপর গবেষণা করে দেখা যায়, খেলাভিত্তিক প্রি-স্কুলগুলো অ্যাকাডেমিকভাবে পরিচালিত প্রি-স্কুলগুলোর চেয়ে ভালো ফলাফল করছে। চলতি বছরের এক গবেষণায় দেখা যায়, শিশুদের সামগ্রিক স্কুলজীবনের সাফল্য তাদের প্রাথমিক শিক্ষার অভিজ্ঞতা ওপর নির্ভর করে। সমীক্ষার উপসংহারে বলা হয়, শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি প্রি-স্কুলে ভর্তি করাটা আসলেই সমস্যার হতে পারে।
পরে শুরু, ভালো ফলাফল
দেখা যাচ্ছে শিশুশিক্ষা সবাই তাড়াতাড়ি শুরুর পক্ষে নন। জার্মানি, ইরান, জাপানসহ অনেক দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলে পড়াশোনা শুরু হয় ছয় বছরের দিকে। ফিনল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষা ব্যবস্থার দেশ হিসেবে সমাদৃত। সেখানে শিশুরা সাত বছর বয়সে স্কুল শুরু করে।
আপাতদৃষ্টিতে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ফিনল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের থেকে পড়া বোঝার দিক দিয়ে বেশি স্কোর করে। ফিনল্যান্ডের কিন্ডারগার্টেনগুলোতে খেলা ও কিছু আনুষ্ঠানিক অ্যাকাডেমিক নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়।
২০০৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পর্যালোচনা প্রস্তাব করে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুল শুরুর বয়স ছয় বছর হওয়া উচিত বলে মত দেওয়া হয়। বলা হয়, তাড়াতাড়ি স্কুলে দিলে পাঁচ বছরের শিশুর আত্মবিশ্বাস নষ্ট হতে পারে। তারা শেখার দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
একই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ে শিশুরা আগে যে বয়সে ভর্তি হতো, তার চেয়ে এক বছর দেরিতে ভর্তি হওয়ায় তাদের পরীক্ষায় নম্বরের উন্নতি হয়েছে।
তাড়াতাড়ি শুরু করা ও দেরিতে শুরু করা শিশুদের মধ্যে তুলনা করে দেখা গেছে, যারা তাড়াতাড়ি শুরু করেছে, তারা দেরিতে শুরু করা শিশুদের থেকে পড়া এবং তা বোঝার ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জার্মানির রেজেনসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লেখক সেবাস্টিয়ান সুগেট বিবিসিকে বলেন, দেরিতে শেখার ফলে তারা যা শিখছে, তার সঙ্গে তাদের জ্ঞান, বোধগম্যতাকে মিলিয়ে নিতে পারে। তিনি বলেন, ‘যদি আপনি ভাষায় মনোযোগ দিতে বেশি সময় ব্যয় করেন, তবে আসলে আপনি দক্ষতার একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করছেন, যার বিকাশ ঘটতে কয়েক বছর সময় লাগে। পড়া দ্রুত বাছাই করা যেতে পারে। কিন্তু ভাষার জন্য কোনো সস্তা কৌশল নেই। এটার জন্য দরকার কঠোর পরিশ্রম।’
তাই প্রশ্ন থেকে যায় যে, যদি তাড়াতাড়ি শেখার মাধ্যমে পড়ার ক্ষমতা উন্নত না হয়, তবে তাড়াতাড়ি শুরু করা কেন? মূল লক্ষ্য যদি হয় শিশুকে ভবিষ্যৎ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করা, তবে তার জন্য যেটা ভালো, সে পদ্ধতিই অনুসরণ করা উচিত। শিশুর সাক্ষরতার জন্য তাড়াহুড়ো না করে, তার প্রবণতার দিকে তাকানোটাই জরুরি। শিশু যদি অল্প বয়সেই পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে ওঠে, তবে তার সে আগ্রহকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। বিপরীতে তেমন আগ্রহ যদি তার ভেতরে দেখা না যায়, তবে তাকে ধরেবেঁধে পড়ার জগতে না ঢুকিয়ে অপেক্ষা করাটাই ভালো। যেহেতু দ্রুত পাঠ শুরুর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ পড়াশোনায় সুফল পাওয়ার তেমন প্রমাণ হাত নেই।

বাবা-মায়ের অন্যতম চিন্তা থাকে ছেলেমেয়ের পড়ালেখা নিয়ে। সন্তান জন্মের পর থেকেই তাকে পড়তে শেখানোটাকে অনেক বড় করে দেখেন বাবা-মা। কথা বলতে শেখার পরই শুরু হয় পড়তে শেখানোর তোড়জোড়। কোনো কোনো দেশে চার বছর বয়সে বাচ্চারা লিখতে ও পড়তে শেখে। আবার কোনো দেশে সাত বছরের আগে কোনোভাবেই পড়ালেখা শুরু করা হয় না। কেউ বলেন অল্প বয়স থেকেই পড়তে শেখা শুরু করা উচিত, আবার কেউ বলেন একেবারে উল্টো কথা। কোনটি সঠিক?
দেশে এখন প্রি-স্কুল ধারণা বেশ প্রসার পেয়েছে। বিশেষত শহুরে শিশুরা বেশ অল্প বয়সেই গুটি গুটি পায়ে স্কুলে যাচ্ছে। রোজ সকালে অভিভাবকের আঙুল ধরে বাচ্চাদের এমন স্কুলে যাওয়ার দৃশ্য চোখ মেললেই নজরে পড়ে। সরাসরি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বদলে প্লে, নার্সারি হয়ে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হওয়াটা এখন শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
যে অভিভাবকের হাত ধরে চার-সাড়ে চার বছরের শিশুটি স্কুলে যাচ্ছে, সেই অভিভাবক হয়তো ছয় কি সাত বছর বয়সে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। তাহলে পড়াশোনা শুরুর মোক্ষম বয়স সম্পর্কিত ধারণা কি বদলে গেল? একটা বিতর্ক প্রায়ই উঠতে দেখা যায়—শিশুদের ওপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে। কেউ বলেন, শৈশবেই গুরুত্ব সহকারে পড়তে শেখানোটা জরুরি। আবার কেউ বলেন, আগে শৈশবটা কাটাতে দিতে হবে। বাড়তি চাপ না দিয়ে শিশুকে নিজের মতো বেড়ে উঠতে দিতে হবে। কখনো কখনো আবার অভিভাবকেরা শিশুর পড়াশোনা নিয়ে অহেতুক উদ্বিগ্ন হচ্ছেন কি-না, তা নিয়ে সংশয়ে পড়ে যান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সম্প্রতি এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, কোনো সন্দেহ নেই যে লেখা, কথা, গাওয়া বা উচ্চ স্বরে পড়া আমাদের প্রাথমিক বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাবা-মা সন্তানকে শিশু অবস্থাতেই পড়তে উৎসাহিত করেন। শিশু হিসেবে তাদের সঙ্গে কতটা বেশি বা কম কথা বলা হয়, তা তার ভবিষ্যৎ শিক্ষা অর্জনের ওপর স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।
একটি শিশুর ভাষা সম্পর্কে প্রাথমিক অভিজ্ঞতা তাদের পরবর্তী সাফল্যের জন্য মুখ্য প্রভাবক হিসেবে বিবেচিত। তাই প্রি-স্কুলগুলোতে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরুর আগেই শিশুদের মৌলিক সাক্ষরতার দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেওয়া হয়। শিশুরা যখন স্কুল শুরু করে, তখন সাক্ষরতা সব সময়ই একটি প্রধান মনোযোগের বিষয় হয়ে ওঠে। কিন্তু সব শিশু লিখতে ও পড়তে পারে কি-না, তা নিশ্চিত করা এখন বেশি চাপের হয়ে উঠেছে। গবেষকেরা সতর্ক করেছেন, মহামারির প্রভাবে ধনী ও দরিদ্র পরিবারের শিশুদের দক্ষতা অর্জনের ব্যবধান বেড়েছে। বেড়েছে শিক্ষা বৈষম্য।

অনেক দেশেই আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় চার বছর বয়স থেকে। কিছু অভিভাবক এই শিশুদের জন্য আবার অতিরিক্ত প্রাইভেট টিউটরিংয়ের ব্যবস্থাও করেন। তাড়াতাড়ি শুরু করলে শিশুরা শিক্ষাজীবনে দ্রুত এগিয়ে যাবে—এমন চিন্তা থেকেই এটি করা হয়। মূল লক্ষ্য—এ যুগের অস্ত্র ‘শিক্ষা’ দিয়ে সন্তান বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ‘সশস্ত্র’ করে তোলা, যাতে সে প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় টিকে থাকতে পারে।
কয়েক দশক আগের খেলাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে তুলনা করলেই এখনকার প্রবণতার সঙ্গে এর নীতিগত ফারাকটা বোঝা যাবে। যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে একটি আইন করে, যেখানে বলা হয় ‘কোনো শিশুকে পেছনে ফেলব না’। এই আইনের পর দেশটিতে শিশুদের তাড়াতাড়ি স্কুলে পাঠানোর প্রতি ঝোঁক বেড়ে যায়।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে শিশুদের বয়স ৫-৬ বছর হলে তারা পড়াশোনার জন্য প্রস্তুত কি-না, তা বুঝতে তাদের পরীক্ষা করা হয়। এই নিয়মের প্রবক্তাদের ভাষ্য, কোন শিশুর অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন, তা এই পদ্ধতিতে শনাক্ত করা যায়। এর সমালোচনাও আছে। সমালোচকদের বক্তব্য, এই পদ্ধতি কিছু শিশুর পড়া বন্ধ করে দিতে পারে।
যা হোক, কিছু গবেষণা বলছে তাড়াতাড়ি অ্যাকাডেমিক পরিবেশে প্রবেশ শিশুদের কিছু সুবিধা দেয়। ২০১৫ সালে একটি মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিন্ডারগার্টেনে শিশুদের কী জানা প্রয়োজন, সে সম্পর্কে সমাজের প্রত্যাশায় পরিবর্তন হয়েছে। তারা খেলাভিত্তিক শিক্ষার বদলে উপযুক্ত শ্রেণিকক্ষেই শিশুদের পাঠাতে বেশি আগ্রহী।
তাড়াতাড়ি বিদ্যালয়ে পাঠানোর ঝুঁকি
শিশুরা কী এবং কীভাবে শেখে, তা নির্ভর করে শিক্ষার পরিবেশের ওপর। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রাথমিক শিক্ষার অধ্যাপক ডমিনিক ওয়াইস বলেছেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো শিশুদের পড়তে শেখা। এটি শিশুদের জীবনে অগ্রগতির জন্য মৌলিক বিষয়।’ডমিনিক ওয়াইস সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যালিস ব্র্যাডবারির সঙ্গে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে শিশুদের সাক্ষরতা শেখাই, তা সত্যিই অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
২০২২ সালে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত আরেক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইংরেজি স্কুল সিস্টেমে ধ্বনির ওপর যে মনোযোগ দেওয়া হয়, তাতে কিছু বাচ্চা ব্যর্থ হতে পারে। এর কারণ হিসেবে ব্র্যাডবারি বলছেন, তাড়াতাড়ি স্কুলে পাঠানোর ফলে অ্যাকাডেমিক শিক্ষার দিকে ঝোঁক বেড়ে গেছে। কিন্তু শিশুদের পরীক্ষায় ব্যবহৃত প্রাথমিক শিক্ষার বই বা অন্যান্য পাঠ্যবইগুলো পড়া বা উপভোগ করার জন্য যে দক্ষতা প্রয়োজন, সেটা খুবই কম হচ্ছে।
কীভাবে পড়া শেখা উচিত, সে বিষয়ে ডমিনিক ওয়াইস বা ব্র্যাডবারি—কেউই আলোকপাত করেননি। বরং শিশুদের যেভাবে সাক্ষরতা শেখানো হয়, সেটা পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মত দিয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন, ‘গল্পের বই, গান ও কবিতা ব্যবহার করে শব্দের সঙ্গে শিশুদের পরিচিত ও আগ্রহী করায় উৎসাহিত করা উচিত। এগুলো শিশুকে শব্দ উচ্চারণ করতে, সেই সঙ্গে শব্দভান্ডার প্রসারিত করতে সহায়তা করে।’
প্রি-স্কুলে যোগদান শিশুদের জীবনের পরবর্তী অর্জনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি অ্যাকাডেমিক দক্ষতার ক্ষেত্রে তেমন প্রয়োজনীয় নয় বলে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং এটি অত্যধিক অ্যাকাডেমিক চাপ, এমনকি দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলেও অনেক গবেষক শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে এর স্বপক্ষে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরিচালিত এক সমীক্ষার তথ্য তুলে ধরা হয়। ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা অ্যাকাডেমিকভাবে জোর দিয়ে প্রি-স্কুলে ভর্তি হয়েছিল, তারা কয়েক বছর পর খুব কম অ্যাকাডেমিক কৃতিত্ব দেখিয়েছে। অন্যদিকে যারা প্রি-স্কুলে ভর্তি হয়নি বা হতে পারেনি, তারা তাদের চেয়ে ভালো করেছিল।
শিশুকালে খেলাভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্বের ওপর গবেষণা করে দেখা যায়, খেলাভিত্তিক প্রি-স্কুলগুলো অ্যাকাডেমিকভাবে পরিচালিত প্রি-স্কুলগুলোর চেয়ে ভালো ফলাফল করছে। চলতি বছরের এক গবেষণায় দেখা যায়, শিশুদের সামগ্রিক স্কুলজীবনের সাফল্য তাদের প্রাথমিক শিক্ষার অভিজ্ঞতা ওপর নির্ভর করে। সমীক্ষার উপসংহারে বলা হয়, শিশুদের খুব তাড়াতাড়ি প্রি-স্কুলে ভর্তি করাটা আসলেই সমস্যার হতে পারে।
পরে শুরু, ভালো ফলাফল
দেখা যাচ্ছে শিশুশিক্ষা সবাই তাড়াতাড়ি শুরুর পক্ষে নন। জার্মানি, ইরান, জাপানসহ অনেক দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলে পড়াশোনা শুরু হয় ছয় বছরের দিকে। ফিনল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষা ব্যবস্থার দেশ হিসেবে সমাদৃত। সেখানে শিশুরা সাত বছর বয়সে স্কুল শুরু করে।
আপাতদৃষ্টিতে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ফিনল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা ১৫ বছর বয়সে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের থেকে পড়া বোঝার দিক দিয়ে বেশি স্কোর করে। ফিনল্যান্ডের কিন্ডারগার্টেনগুলোতে খেলা ও কিছু আনুষ্ঠানিক অ্যাকাডেমিক নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়।
২০০৯ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পর্যালোচনা প্রস্তাব করে। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুল শুরুর বয়স ছয় বছর হওয়া উচিত বলে মত দেওয়া হয়। বলা হয়, তাড়াতাড়ি স্কুলে দিলে পাঁচ বছরের শিশুর আত্মবিশ্বাস নষ্ট হতে পারে। তারা শেখার দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
একই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ে শিশুরা আগে যে বয়সে ভর্তি হতো, তার চেয়ে এক বছর দেরিতে ভর্তি হওয়ায় তাদের পরীক্ষায় নম্বরের উন্নতি হয়েছে।
তাড়াতাড়ি শুরু করা ও দেরিতে শুরু করা শিশুদের মধ্যে তুলনা করে দেখা গেছে, যারা তাড়াতাড়ি শুরু করেছে, তারা দেরিতে শুরু করা শিশুদের থেকে পড়া এবং তা বোঝার ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে জার্মানির রেজেনসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লেখক সেবাস্টিয়ান সুগেট বিবিসিকে বলেন, দেরিতে শেখার ফলে তারা যা শিখছে, তার সঙ্গে তাদের জ্ঞান, বোধগম্যতাকে মিলিয়ে নিতে পারে। তিনি বলেন, ‘যদি আপনি ভাষায় মনোযোগ দিতে বেশি সময় ব্যয় করেন, তবে আসলে আপনি দক্ষতার একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করছেন, যার বিকাশ ঘটতে কয়েক বছর সময় লাগে। পড়া দ্রুত বাছাই করা যেতে পারে। কিন্তু ভাষার জন্য কোনো সস্তা কৌশল নেই। এটার জন্য দরকার কঠোর পরিশ্রম।’
তাই প্রশ্ন থেকে যায় যে, যদি তাড়াতাড়ি শেখার মাধ্যমে পড়ার ক্ষমতা উন্নত না হয়, তবে তাড়াতাড়ি শুরু করা কেন? মূল লক্ষ্য যদি হয় শিশুকে ভবিষ্যৎ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করা, তবে তার জন্য যেটা ভালো, সে পদ্ধতিই অনুসরণ করা উচিত। শিশুর সাক্ষরতার জন্য তাড়াহুড়ো না করে, তার প্রবণতার দিকে তাকানোটাই জরুরি। শিশু যদি অল্প বয়সেই পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে ওঠে, তবে তার সে আগ্রহকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। বিপরীতে তেমন আগ্রহ যদি তার ভেতরে দেখা না যায়, তবে তাকে ধরেবেঁধে পড়ার জগতে না ঢুকিয়ে অপেক্ষা করাটাই ভালো। যেহেতু দ্রুত পাঠ শুরুর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ পড়াশোনায় সুফল পাওয়ার তেমন প্রমাণ হাত নেই।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
২০ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

শিশু কথা বলতে শেখার পরই শুরু হয় পড়তে শেখানোর তোড়জোড়। কোনো কোনো দেশে চার বছর বয়সে বাচ্চারা লিখতে ও পড়তে শেখে। আবার কোনো দেশে সাত বছরের আগে কোনোভাবেই পড়ালেখা শুরু করা হয় না। কেউ বলেন অল্প বয়স থেকেই পড়তে শেখা শুরু করা উচিত, আবার কেউ বলেন একেবারে উল্টো কথা। কোনটি সঠিক?
০৮ এপ্রিল ২০২২
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
২০ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

শিশু কথা বলতে শেখার পরই শুরু হয় পড়তে শেখানোর তোড়জোড়। কোনো কোনো দেশে চার বছর বয়সে বাচ্চারা লিখতে ও পড়তে শেখে। আবার কোনো দেশে সাত বছরের আগে কোনোভাবেই পড়ালেখা শুরু করা হয় না। কেউ বলেন অল্প বয়স থেকেই পড়তে শেখা শুরু করা উচিত, আবার কেউ বলেন একেবারে উল্টো কথা। কোনটি সঠিক?
০৮ এপ্রিল ২০২২
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
২০ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

শিশু কথা বলতে শেখার পরই শুরু হয় পড়তে শেখানোর তোড়জোড়। কোনো কোনো দেশে চার বছর বয়সে বাচ্চারা লিখতে ও পড়তে শেখে। আবার কোনো দেশে সাত বছরের আগে কোনোভাবেই পড়ালেখা শুরু করা হয় না। কেউ বলেন অল্প বয়স থেকেই পড়তে শেখা শুরু করা উচিত, আবার কেউ বলেন একেবারে উল্টো কথা। কোনটি সঠিক?
০৮ এপ্রিল ২০২২
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১০ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

শিশু কথা বলতে শেখার পরই শুরু হয় পড়তে শেখানোর তোড়জোড়। কোনো কোনো দেশে চার বছর বয়সে বাচ্চারা লিখতে ও পড়তে শেখে। আবার কোনো দেশে সাত বছরের আগে কোনোভাবেই পড়ালেখা শুরু করা হয় না। কেউ বলেন অল্প বয়স থেকেই পড়তে শেখা শুরু করা উচিত, আবার কেউ বলেন একেবারে উল্টো কথা। কোনটি সঠিক?
০৮ এপ্রিল ২০২২
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
১০ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
২০ ঘণ্টা আগে