রাহুল শর্মা, ঢাকা

শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে এবার আর ‘বই উৎসব’ করে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে না। সব শিক্ষার্থী বই পাচ্ছেও না। যারা পাবে, তারাও আজ বছরের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ তিনটি বই পেতে পারে। কারণ, ৪০ কোটির বেশি বই দরকার হলেও গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রস্তুত হয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ কোটি বই। সব উপজেলায় বই পাঠানোও হয়নি।
অবশ্য সরকারের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, অর্থের অপচয় রোধে এবার বই উৎসব হচ্ছে না। প্রথম দিনে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অন্তত তিনটি বই এবং জানুয়ারির মধ্যে সব বই তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা। বইয়ের চাহিদা পূরণে প্রথম দিনই সব পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে প্রকাশ করা হবে।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র, পুনঃদরপত্র প্রক্রিয়ায় এবার অনেক দেরি হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, বইয়ে সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন হয়েছে। এতে দরপত্রপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে অক্টোবরে। কয়েকটি বইয়ের দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্যান্য বছর দরপত্রপ্রক্রিয়া জুনে শেষ হয়েছিল। এ ছাড়া এবার মানসম্মত কাগজ ও কালির ব্যাপক সংকট ছিল। সব মিলিয়ে সময়মতো বই ছাপানো শুরু করা যায়নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, সব শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রথম দিনই অন্তত তিনটি বই পাবে। জানুয়ারি মাসেই সব বই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথম দিন সব বইয়ের সফট কপি অনলাইনে উন্মুক্ত করা হবে।’ তিনি বলেন, অর্থের অপচয় রোধ করতেই এবার বই উৎসব হচ্ছে না।
২০১০ সাল থেকে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই দিচ্ছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে ১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই রয়েছে। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই ছাপানোর কাজ মোটামুটি শেষ। দশম শ্রেণির এক কোটি বই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ছাপানো হচ্ছে। তাই এই শ্রেণির বই ১০ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে। বাকি বইগুলো ছাপানোর কাজ শেষ করে মাঠপর্যায়ে পৌঁছাতে আগামী মার্চ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর পর্যন্ত ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ কোটি পাঠ্যবই। এর মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি বইয়ের পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) শেষ হয়েছে। অর্থাৎ এসব বই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এনসিটিবির উৎপাদন দপ্তরের সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের ছাড়পত্র হয়েছে ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯ হাজারটির। তবে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির ২৭টি লটের বইয়ের পুনঃদরপত্র হয়েছে। এতে এসব লটের জন্য নির্ধারিত ১০৫টি উপজেলায় আজ বছরের প্রথম দিন বই না যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানোর কাজ চলছে। গতকাল পর্যন্ত এই দুই শ্রেণির সাড়ে ১৩ শতাংশ বই ছাপানোসহ সব কাজ শেষ হয়েছে। পিডিআই বাকি। এদিকে মাধ্যমিক (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) স্তরের মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখের মতো বইয়ের পিডিআই হয়েছে। বেশ কয়েকটি লটের দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো চলছে।
গতকাল দেশের অন্তত ১৫টি উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোনো কোনো উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের একটি, কোনোটিতে দুটি বই পৌঁছেছে। কোনো কোনো উপজেলায় গতকাল পর্যন্ত একটি বইও পৌঁছায়নি। যেসব উপজেলায় বই গেছে, সেগুলো শিক্ষার্থীদের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে সব শিক্ষার্থী বই পাবে না।
জানতে চাইলে এনসিটিবির উৎপাদন নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবু নাসের টুকু বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে বই ছাপানোর কাজ শেষ করতে আমরা দিন-রাত কাজ করছি।’
সূত্র জানায়, আগের বছরগুলোতে বই ছাপানোর দরপত্রের সব প্রক্রিয়া জুনের মধ্যেই শেষ হয়েছে। জুলাই থেকে বই ছাপানোর কাজ শুরু হতো। কিন্তু এবার প্রথম দফায় জুনে বেশির ভাগ লটের দরপত্র সম্পন্ন হয়েছিল। কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। কিন্তু মধ্য জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে এ প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের সব দরপত্রপ্রক্রিয়া এবং নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করা হয়। পাঠ্যবইয়ে সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন হয়। এসব কারণে পুনরায় দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় দেরি হয়। সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে দরপত্র আহ্বান শুরু হয়। দরপত্রপ্রক্রিয়া শেষে অক্টোবর থেকে বিভিন্ন লটের কার্যাদেশ নির্বাচিত মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয়।
কিন্তু এত বিপুলসংখ্যক বই ছাপানোর কাজ করতে গিয়ে দেখা দেয় মানসম্মত কাগজের সংকট। একই অবস্থা কালির। ফলে কার্যাদেশ পেলেও কাগজ-কালির সংকটে বই ছাপানোতে হিমশিম খেতে হয় মুদ্রণকারীদের।
কার্যাদেশ পাওয়া একটি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেশ কয়েকটি কারণে বই ছাপানোয় দেরি হচ্ছে। শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করে বইগুলো পরিমার্জন, পুনরায় দরপত্র, কার্যাদেশ দেরিতে দেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজে দেরি করেছে এনসিটিবি। এরপর আছে কাগজ ও কালির সংকট। ফলে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই তুলে দিতে মার্চ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, এবার বছরের প্রথম দিন মাধ্যমিকের সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না—এমন চিন্তা থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বইয়ের ছাপানোসহ সব কাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই তিন বইও সব শিক্ষার্থীর জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ৪৫ লটের বই ছাপানোর পুনঃদরপত্র করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই দরপত্রগুলো সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া মুদ্রণের কাজ পাওয়া কিছু মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান এখনো বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবির সঙ্গে এখনো চুক্তি করেনি। অনেক দরপত্রের বই সরবরাহের জন্য ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বই ছাপানোর কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এ ক্ষতি পোষাতে দিনরাত কাজ চলছে।

শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে এবার আর ‘বই উৎসব’ করে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে না। সব শিক্ষার্থী বই পাচ্ছেও না। যারা পাবে, তারাও আজ বছরের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ তিনটি বই পেতে পারে। কারণ, ৪০ কোটির বেশি বই দরকার হলেও গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রস্তুত হয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ কোটি বই। সব উপজেলায় বই পাঠানোও হয়নি।
অবশ্য সরকারের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, অর্থের অপচয় রোধে এবার বই উৎসব হচ্ছে না। প্রথম দিনে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অন্তত তিনটি বই এবং জানুয়ারির মধ্যে সব বই তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা। বইয়ের চাহিদা পূরণে প্রথম দিনই সব পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে প্রকাশ করা হবে।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র, পুনঃদরপত্র প্রক্রিয়ায় এবার অনেক দেরি হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, বইয়ে সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন হয়েছে। এতে দরপত্রপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে অক্টোবরে। কয়েকটি বইয়ের দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্যান্য বছর দরপত্রপ্রক্রিয়া জুনে শেষ হয়েছিল। এ ছাড়া এবার মানসম্মত কাগজ ও কালির ব্যাপক সংকট ছিল। সব মিলিয়ে সময়মতো বই ছাপানো শুরু করা যায়নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, সব শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রথম দিনই অন্তত তিনটি বই পাবে। জানুয়ারি মাসেই সব বই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথম দিন সব বইয়ের সফট কপি অনলাইনে উন্মুক্ত করা হবে।’ তিনি বলেন, অর্থের অপচয় রোধ করতেই এবার বই উৎসব হচ্ছে না।
২০১০ সাল থেকে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই দিচ্ছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে ১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই রয়েছে। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই ছাপানোর কাজ মোটামুটি শেষ। দশম শ্রেণির এক কোটি বই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ছাপানো হচ্ছে। তাই এই শ্রেণির বই ১০ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে। বাকি বইগুলো ছাপানোর কাজ শেষ করে মাঠপর্যায়ে পৌঁছাতে আগামী মার্চ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর পর্যন্ত ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ কোটি পাঠ্যবই। এর মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি বইয়ের পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) শেষ হয়েছে। অর্থাৎ এসব বই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এনসিটিবির উৎপাদন দপ্তরের সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের ছাড়পত্র হয়েছে ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯ হাজারটির। তবে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির ২৭টি লটের বইয়ের পুনঃদরপত্র হয়েছে। এতে এসব লটের জন্য নির্ধারিত ১০৫টি উপজেলায় আজ বছরের প্রথম দিন বই না যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানোর কাজ চলছে। গতকাল পর্যন্ত এই দুই শ্রেণির সাড়ে ১৩ শতাংশ বই ছাপানোসহ সব কাজ শেষ হয়েছে। পিডিআই বাকি। এদিকে মাধ্যমিক (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) স্তরের মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখের মতো বইয়ের পিডিআই হয়েছে। বেশ কয়েকটি লটের দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো চলছে।
গতকাল দেশের অন্তত ১৫টি উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোনো কোনো উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের একটি, কোনোটিতে দুটি বই পৌঁছেছে। কোনো কোনো উপজেলায় গতকাল পর্যন্ত একটি বইও পৌঁছায়নি। যেসব উপজেলায় বই গেছে, সেগুলো শিক্ষার্থীদের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে সব শিক্ষার্থী বই পাবে না।
জানতে চাইলে এনসিটিবির উৎপাদন নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবু নাসের টুকু বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে বই ছাপানোর কাজ শেষ করতে আমরা দিন-রাত কাজ করছি।’
সূত্র জানায়, আগের বছরগুলোতে বই ছাপানোর দরপত্রের সব প্রক্রিয়া জুনের মধ্যেই শেষ হয়েছে। জুলাই থেকে বই ছাপানোর কাজ শুরু হতো। কিন্তু এবার প্রথম দফায় জুনে বেশির ভাগ লটের দরপত্র সম্পন্ন হয়েছিল। কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। কিন্তু মধ্য জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে এ প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের সব দরপত্রপ্রক্রিয়া এবং নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করা হয়। পাঠ্যবইয়ে সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন হয়। এসব কারণে পুনরায় দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় দেরি হয়। সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে দরপত্র আহ্বান শুরু হয়। দরপত্রপ্রক্রিয়া শেষে অক্টোবর থেকে বিভিন্ন লটের কার্যাদেশ নির্বাচিত মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয়।
কিন্তু এত বিপুলসংখ্যক বই ছাপানোর কাজ করতে গিয়ে দেখা দেয় মানসম্মত কাগজের সংকট। একই অবস্থা কালির। ফলে কার্যাদেশ পেলেও কাগজ-কালির সংকটে বই ছাপানোতে হিমশিম খেতে হয় মুদ্রণকারীদের।
কার্যাদেশ পাওয়া একটি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেশ কয়েকটি কারণে বই ছাপানোয় দেরি হচ্ছে। শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করে বইগুলো পরিমার্জন, পুনরায় দরপত্র, কার্যাদেশ দেরিতে দেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজে দেরি করেছে এনসিটিবি। এরপর আছে কাগজ ও কালির সংকট। ফলে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই তুলে দিতে মার্চ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, এবার বছরের প্রথম দিন মাধ্যমিকের সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না—এমন চিন্তা থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বইয়ের ছাপানোসহ সব কাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই তিন বইও সব শিক্ষার্থীর জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ৪৫ লটের বই ছাপানোর পুনঃদরপত্র করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই দরপত্রগুলো সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া মুদ্রণের কাজ পাওয়া কিছু মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান এখনো বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবির সঙ্গে এখনো চুক্তি করেনি। অনেক দরপত্রের বই সরবরাহের জন্য ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বই ছাপানোর কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এ ক্ষতি পোষাতে দিনরাত কাজ চলছে।

একই বিশ্ববিদ্যালয়, একই বিভাগ এবং একই সর্বোচ্চ সম্মান—স্বামী-স্ত্রীর হাতে এখন আচার্য স্বর্ণপদক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন কীর্তি এবারই প্রথম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৭তম সমাবর্তনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৪ পেয়ে আচার্য স্বর্ণপদক...
৪ ঘণ্টা আগে
মধ্য ইউরোপের একটি দেশ অস্ট্রিয়া। পাহাড়, নদী, বন ও প্রকৃতির মিশ্রণের এ দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বমানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গ।
৫ ঘণ্টা আগে
ছোটবেলা থেকে প্রকৃতি তাঁকে মুগ্ধ করত। নদী, খাল, গাছগাছালি আর গ্রামের জীবন তাঁকে বারবার টেনে নিত। সেই টানই তাঁকে ফটোগ্রাফির পথে নিয়ে যায়। শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত বর্তমানে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি জামালপুর সদরে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) গতকাল ৬ ডিসেম্বর আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ চাকরিমুখী আয়োজন ‘ঢাকা ব্যাংক প্রেজেন্টস আইইউবিএটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’।
৬ ঘণ্টা আগেইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

একই বিশ্ববিদ্যালয়, একই বিভাগ এবং একই সর্বোচ্চ সম্মান– স্বামী-স্ত্রী দুজনের হাতেই এখন আচার্য স্বর্ণপদক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন কীর্তি এবারই প্রথম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৭তম সমাবর্তনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৪ পেয়ে আচার্য স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন উম্মে জান্নাত তাপসী। এর আগে ২০২৩ সালের ১৫তম সমাবর্তনে একই পদক পেয়েছিলেন তাঁর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার। বর্তমানে দুজনই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
২০২৪ সালের স্প্রিং সেমিস্টারে তাপসীর স্নাতকোত্তরের যাত্রা শুরু হয়। কোনো বিরতি না নিয়ে দুই বছরের কোর্স দেড় বছরের মধ্যেই শেষ করেন তিনি। প্রতিটি সেমিস্টারে তাঁর সিজিপিএ ছিল ৪-এর মধ্যে ৪। বেশির ভাগ কোর্সে ৯৫-এর ওপরে নম্বর তুলেছেন। পুরো স্নাতকোত্তর করেছেন শতভাগ বৃত্তি নিয়ে।
সময়ের আগে ডিগ্রি সম্পন্ন করতে প্রতি সেমিস্টারে তাঁকে বেশি কোর্স নিতে হয়েছে। প্রথম সেমিস্টার থেকে থিসিসের কাজ শুরু করেন। একসঙ্গে কোর্সওয়ার্ক, থিসিস এবং চাকরির চাপ সামলেছেন তিনি। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিয়েছেন। নিজের স্নাতকোত্তরের ক্লাস করেছেন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা ও কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। সেই দিনগুলো পার করা মোটেও সহজ ছিল না। তবে সময় ব্যবস্থাপনাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি। সপ্তাহের প্রতিদিন ক্লাস, পড়াশোনা ও অফিসের কাজ– সবকিছুই ছিল তাঁর নির্দিষ্ট সময়সূচিতে বাঁধা।
তাপসী কখনো ক্লাস মিস করেননি। ক্লাসে শেখা বিষয়গুলো দ্রুত নিজের মতো করে পড়ে নিতেন। অফিসের ফাঁকে ফাঁকেও পড়াশোনা করতেন। অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করে বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে বুঝতেন। প্রতিদিনের সময় সর্বোচ্চ কাজে লাগানোই ছিল তাঁর মূল কৌশল।
তাপসীর ভাষায়, সিএসই বিভাগের শিক্ষকেরা অত্যন্ত সহায়ক এবং শিক্ষার্থীবান্ধব। যেকোনো সমস্যায় তাঁরা তাৎক্ষণিক সাহায্য করেছেন। পরিবারও ছিল তাঁর শক্তির জায়গা। বিশেষ করে স্বামী তৌহিদ আনোয়ার ছিলেন সবচেয়ে বড় ভরসা। পরীক্ষার আগে তিনি যেন নিশ্চিন্তে পড়তে পারেন, সেই পরিবেশ তৈরি করেছেন তিনি। মানসিকভাবেও সব সময় সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বাবা-মা ও ছোট বোনের সমর্থনও তাঁকে শক্তি জুগিয়েছে।
আচার্য স্বর্ণপদক পাওয়ার ই-মেইল পেয়ে তাপসী প্রথমে জানান তাঁর স্বামীকে। পরদিন ই-মেইলটি প্রিন্ট করে বাবা-মা ও ছোট বোনকে পড়ে শোনান। ছোট বোন তো আনন্দে কেঁদেই ফেলেন। তাপসী জানান, পরিবারকে আনন্দ দিতে পারাটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।

তাপসীর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি একই বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ভালো ফলের কারণে ২০১৯ সালে ব্র্যাকে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালে স্নাতকোত্তর শুরু করে দুই বছরে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ২০২৩ সালে ১৫তম সমাবর্তনে পান আচার্য স্বর্ণপদক এবং ছিলেন ভ্যালেডিক্টোরিয়ানও (স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান বিদায়ী বক্তা)।
উম্মে জান্নাত তাপসীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। প্রতি বছর পরিবারসহ সেখানে বেড়াতে যান। দাদার বাড়ির প্রতি তাঁর রয়েছে আলাদা টান। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। দুটোতেই পেয়েছেন জিপিএ–৫। বাবা মো. শফিকুল ইসলাম ব্যবসায়ী, মা তাইয়েবা বেগম গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়।
২০২০ সালের ব্র্যাকের সিএসই বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হন। ২০২৩ সালের ফল সেমিস্টারে ৩.৯৬ সিজিপিএ নিয়ে সর্বোচ্চ সম্মানসহ গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। তখনো পড়াশোনা করেছেন বৃত্তি নিয়ে। আকর্ষণীয় ফলাফলের কারণে তাপসী সিএসই বিভাগেই লেকচারার হওয়ার সুযোগ পান।

ছোটবেলায় তাঁর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীববিজ্ঞানে আগ্রহ কমে যায়। অন্যদিকে গণিতে ভালো করা এবং প্রযুক্তির প্রতি কৌতূহল তাঁকে সিএসইতে টেনে নেয়। স্নাতকোত্তর শেষের পর তাঁর লক্ষ্য এখন পিএইচডি করা। গবেষণায় নিজের ভবিষ্যৎ দেখছেন তিনি।
তাপসীর মতে, দেশে সিএসই গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সুযোগ অনেক। সফটওয়্যার খাতে অগ্রগতি চোখে পড়লেও হার্ডওয়্যার খাত এখনো পিছিয়ে। শিক্ষার্থীরা যদি দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষ থেকেই নিজের আগ্রহের ক্ষেত্র ঠিক করে স্কিল ডেভেলপ করতে পারে, তাহলে চাকরির বাজারে তাঁরা এগিয়ে থাকবেন।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তাপসী বলেন, শুরু থেকে প্রোগ্রামিংয়ের বুনিয়াদ শক্ত করতে হবে। নিয়মিত কোডিং অনুশীলন করতে হবে। সমসাময়িক প্রযুক্তির সঙ্গে আপডেট থাকতে হবে। আগ্রহের ক্ষেত্র ঠিক করে দুই-তিনটি নতুন টুলসে দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দিতে হবে। এরপর দক্ষতা প্রয়োগের কাজ করতে হবে।

একই বিশ্ববিদ্যালয়, একই বিভাগ এবং একই সর্বোচ্চ সম্মান– স্বামী-স্ত্রী দুজনের হাতেই এখন আচার্য স্বর্ণপদক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন কীর্তি এবারই প্রথম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৭তম সমাবর্তনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৪ পেয়ে আচার্য স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন উম্মে জান্নাত তাপসী। এর আগে ২০২৩ সালের ১৫তম সমাবর্তনে একই পদক পেয়েছিলেন তাঁর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার। বর্তমানে দুজনই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
২০২৪ সালের স্প্রিং সেমিস্টারে তাপসীর স্নাতকোত্তরের যাত্রা শুরু হয়। কোনো বিরতি না নিয়ে দুই বছরের কোর্স দেড় বছরের মধ্যেই শেষ করেন তিনি। প্রতিটি সেমিস্টারে তাঁর সিজিপিএ ছিল ৪-এর মধ্যে ৪। বেশির ভাগ কোর্সে ৯৫-এর ওপরে নম্বর তুলেছেন। পুরো স্নাতকোত্তর করেছেন শতভাগ বৃত্তি নিয়ে।
সময়ের আগে ডিগ্রি সম্পন্ন করতে প্রতি সেমিস্টারে তাঁকে বেশি কোর্স নিতে হয়েছে। প্রথম সেমিস্টার থেকে থিসিসের কাজ শুরু করেন। একসঙ্গে কোর্সওয়ার্ক, থিসিস এবং চাকরির চাপ সামলেছেন তিনি। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিয়েছেন। নিজের স্নাতকোত্তরের ক্লাস করেছেন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা ও কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। সেই দিনগুলো পার করা মোটেও সহজ ছিল না। তবে সময় ব্যবস্থাপনাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি। সপ্তাহের প্রতিদিন ক্লাস, পড়াশোনা ও অফিসের কাজ– সবকিছুই ছিল তাঁর নির্দিষ্ট সময়সূচিতে বাঁধা।
তাপসী কখনো ক্লাস মিস করেননি। ক্লাসে শেখা বিষয়গুলো দ্রুত নিজের মতো করে পড়ে নিতেন। অফিসের ফাঁকে ফাঁকেও পড়াশোনা করতেন। অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করে বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে বুঝতেন। প্রতিদিনের সময় সর্বোচ্চ কাজে লাগানোই ছিল তাঁর মূল কৌশল।
তাপসীর ভাষায়, সিএসই বিভাগের শিক্ষকেরা অত্যন্ত সহায়ক এবং শিক্ষার্থীবান্ধব। যেকোনো সমস্যায় তাঁরা তাৎক্ষণিক সাহায্য করেছেন। পরিবারও ছিল তাঁর শক্তির জায়গা। বিশেষ করে স্বামী তৌহিদ আনোয়ার ছিলেন সবচেয়ে বড় ভরসা। পরীক্ষার আগে তিনি যেন নিশ্চিন্তে পড়তে পারেন, সেই পরিবেশ তৈরি করেছেন তিনি। মানসিকভাবেও সব সময় সাহস ও অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বাবা-মা ও ছোট বোনের সমর্থনও তাঁকে শক্তি জুগিয়েছে।
আচার্য স্বর্ণপদক পাওয়ার ই-মেইল পেয়ে তাপসী প্রথমে জানান তাঁর স্বামীকে। পরদিন ই-মেইলটি প্রিন্ট করে বাবা-মা ও ছোট বোনকে পড়ে শোনান। ছোট বোন তো আনন্দে কেঁদেই ফেলেন। তাপসী জানান, পরিবারকে আনন্দ দিতে পারাটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।

তাপসীর স্বামী মো. তৌহিদ আনোয়ার বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি একই বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ভালো ফলের কারণে ২০১৯ সালে ব্র্যাকে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালে স্নাতকোত্তর শুরু করে দুই বছরে ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ২০২৩ সালে ১৫তম সমাবর্তনে পান আচার্য স্বর্ণপদক এবং ছিলেন ভ্যালেডিক্টোরিয়ানও (স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান বিদায়ী বক্তা)।
উম্মে জান্নাত তাপসীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। গ্রামের বাড়ি জামালপুরে। প্রতি বছর পরিবারসহ সেখানে বেড়াতে যান। দাদার বাড়ির প্রতি তাঁর রয়েছে আলাদা টান। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে। দুটোতেই পেয়েছেন জিপিএ–৫। বাবা মো. শফিকুল ইসলাম ব্যবসায়ী, মা তাইয়েবা বেগম গৃহিণী। দুই বোনের মধ্যে তিনি বড়।
২০২০ সালের ব্র্যাকের সিএসই বিভাগে স্নাতকে ভর্তি হন। ২০২৩ সালের ফল সেমিস্টারে ৩.৯৬ সিজিপিএ নিয়ে সর্বোচ্চ সম্মানসহ গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। তখনো পড়াশোনা করেছেন বৃত্তি নিয়ে। আকর্ষণীয় ফলাফলের কারণে তাপসী সিএসই বিভাগেই লেকচারার হওয়ার সুযোগ পান।

ছোটবেলায় তাঁর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জীববিজ্ঞানে আগ্রহ কমে যায়। অন্যদিকে গণিতে ভালো করা এবং প্রযুক্তির প্রতি কৌতূহল তাঁকে সিএসইতে টেনে নেয়। স্নাতকোত্তর শেষের পর তাঁর লক্ষ্য এখন পিএইচডি করা। গবেষণায় নিজের ভবিষ্যৎ দেখছেন তিনি।
তাপসীর মতে, দেশে সিএসই গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সুযোগ অনেক। সফটওয়্যার খাতে অগ্রগতি চোখে পড়লেও হার্ডওয়্যার খাত এখনো পিছিয়ে। শিক্ষার্থীরা যদি দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষ থেকেই নিজের আগ্রহের ক্ষেত্র ঠিক করে স্কিল ডেভেলপ করতে পারে, তাহলে চাকরির বাজারে তাঁরা এগিয়ে থাকবেন।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তাপসী বলেন, শুরু থেকে প্রোগ্রামিংয়ের বুনিয়াদ শক্ত করতে হবে। নিয়মিত কোডিং অনুশীলন করতে হবে। সমসাময়িক প্রযুক্তির সঙ্গে আপডেট থাকতে হবে। আগ্রহের ক্ষেত্র ঠিক করে দুই-তিনটি নতুন টুলসে দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দিতে হবে। এরপর দক্ষতা প্রয়োগের কাজ করতে হবে।

শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে এবার আর ‘বই উৎসব’ করে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে না। সব শিক্ষার্থী বই পাচ্ছেও না। যারা পাবে, তারাও আজ বছরের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ তিনটি বই পেতে পারে। কারণ, ৪০ কোটির বেশি বই দরকার হলেও গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রস্তুত হয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ কোটি বই। সব উপজেলায় বই পা
০১ জানুয়ারি ২০২৫
মধ্য ইউরোপের একটি দেশ অস্ট্রিয়া। পাহাড়, নদী, বন ও প্রকৃতির মিশ্রণের এ দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বমানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গ।
৫ ঘণ্টা আগে
ছোটবেলা থেকে প্রকৃতি তাঁকে মুগ্ধ করত। নদী, খাল, গাছগাছালি আর গ্রামের জীবন তাঁকে বারবার টেনে নিত। সেই টানই তাঁকে ফটোগ্রাফির পথে নিয়ে যায়। শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত বর্তমানে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি জামালপুর সদরে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) গতকাল ৬ ডিসেম্বর আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ চাকরিমুখী আয়োজন ‘ঢাকা ব্যাংক প্রেজেন্টস আইইউবিএটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’।
৬ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

মধ্য ইউরোপের একটি দেশ অস্ট্রিয়া। পাহাড়, নদী, বন ও প্রকৃতির মিশ্রণের এ দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বমানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন, কালচার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন বাংলাদেশের মেয়ে শাহনীরা আলম স্বজনী।
দেশে শাহনীরা আলম স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরে প্রায় সাত বছর দেশে বিভিন্ন গণমাধ্যম পেশায় যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে কাজের বেশ অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন আর ভ্রমণে আগ্রহের কারণেই তিনি অস্ট্রিয়াকে বেছে নেন।
পছন্দের বিষয়ের খোঁজখবর
বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো টিউশন ফি। শাহনীরারও তা ছিল। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের খোঁজ নেওয়ার পর তিনি দেখেন, ফি অনেক সময় পড়াশোনার পথে বড় বাধা। তাই তিনি খোঁজখবর নেওয়ার একপর্যায়ে জানতে পারেন, অস্ট্রিয়ার প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি নেই। শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপের বাইরের কিছু দেশও এই সুবিধা পাচ্ছে। এরপর তিনি নিজের পছন্দের বিষয় খুঁজতে থাকেন এবং ভর্তি হন।
আবেদনপ্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র
অস্ট্রিয়ার আবেদনপ্রক্রিয়া কিছুটা আলাদা। সাধারণত বাংলাদেশে সার্টিফিকেট বা ট্রান্সক্রিপ্ট সত্যায়িত করলেই চলে। কিন্তু অস্ট্রিয়ার ক্ষেত্রে, স্নাতকের সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্টকে অস্ট্রিয়ার এম্বাসি থেকে সত্যায়িত করতে হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত অস্ট্রিয়ার কনসুলেট অফিসে এই কাজ করা যায়। খরচ প্রায় ৭৫ হাজার টাকা এবং সময় লাগে আড়াই থেকে তিন মাস।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
অস্ট্রিয়ার বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ইনটেক থাকে—সামার ও উইন্টার। স্নাতকোত্তরে পড়তে চাইলে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.৫ থাকা আবশ্যক। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ৭ পর্যন্ত স্কোর চায়। আবেদন সাধারণত অনলাইনে করা যায়, কিছু ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট কুরিয়ারে পাঠাতে হয়।
শাহনীরার বিষয়
দেশে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করায় তিনি এই বিষয়ে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গে যখন বিষয়টি দেখি এবং তাদের কারিকুলাম পর্যালোচনা করি, তখন থেকে আমার আগ্রহ তৈরি হয়। অস্ট্রিয়ায় মাস্টার্স সম্পন্ন করতে হলে ব্যাচেলরের বিষয় সম্পর্কিত থাকা জরুরি।’
ভাষা দক্ষতায় গুরুত্ব
অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রভাষা জার্মান। দীর্ঘ মেয়াদে এখানে অবস্থান করতে হলে জার্মান ভাষায় দক্ষ হওয়া অপরিহার্য। তবে ইংরেজি দক্ষতা থাকলেও দৈনন্দিন জীবন এবং চাকরির ক্ষেত্রে সেটি পর্যাপ্ত নয়।
বাসাভাড়া ও দৈনন্দিন খরচ
শাহনীরা জানালেন, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ নির্ভর করে আপনি কোন শহরে থাকেন, তার ওপর। সালজবুর্গে গড়ে বাসাভাড়া ২৫০ থেকে ৩৫০ ইউরো; ইনস্যুরেন্স ৮০ ইউরো; পরিবহন ২৫ থেকে ৩৫ ইউরো; খাবার খরচ ৫০ থেকে ১০০ ইউরো।
পার্টটাইম কাজের সুযোগ
শিক্ষার্থীদের এখানে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে জার্মান ভাষায় যদি আপনি দক্ষ হন, তাহলে কাজের সুযোগ আরও ভালো। রেস্টুরেন্ট বা অন্যান্য দক্ষতা থাকলেও কাজ পাওয়া সম্ভব।
পড়াশোনার পর কাজ ও স্থায়ী বসবাস
শাহনীরা আলম স্বজনী বলেন, অস্ট্রিয়ায় নির্দিষ্ট সময় থাকার পর কিছু শর্ত পূরণ করে স্থায়ী বসবাস বা নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব।
শাহনীরা আলমের পরামর্শ হলো, বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অস্ট্রিয়ায় স্নাতকোত্তর করা সম্ভব নয়। তাই প্রথমে দেখুন আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবেদন করার সুযোগ আছে কি না। যাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে কাজ কিংবা বসবাস করতে চান, তাঁদের জার্মান ভাষায় অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।’

মধ্য ইউরোপের একটি দেশ অস্ট্রিয়া। পাহাড়, নদী, বন ও প্রকৃতির মিশ্রণের এ দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বমানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন, কালচার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছেন বাংলাদেশের মেয়ে শাহনীরা আলম স্বজনী।
দেশে শাহনীরা আলম স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিষয়ে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরে প্রায় সাত বছর দেশে বিভিন্ন গণমাধ্যম পেশায় যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে কাজের বেশ অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন আর ভ্রমণে আগ্রহের কারণেই তিনি অস্ট্রিয়াকে বেছে নেন।
পছন্দের বিষয়ের খোঁজখবর
বিদেশে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো টিউশন ফি। শাহনীরারও তা ছিল। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের খোঁজ নেওয়ার পর তিনি দেখেন, ফি অনেক সময় পড়াশোনার পথে বড় বাধা। তাই তিনি খোঁজখবর নেওয়ার একপর্যায়ে জানতে পারেন, অস্ট্রিয়ার প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি নেই। শুধু বাংলাদেশ নয়, ইউরোপের বাইরের কিছু দেশও এই সুবিধা পাচ্ছে। এরপর তিনি নিজের পছন্দের বিষয় খুঁজতে থাকেন এবং ভর্তি হন।
আবেদনপ্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র
অস্ট্রিয়ার আবেদনপ্রক্রিয়া কিছুটা আলাদা। সাধারণত বাংলাদেশে সার্টিফিকেট বা ট্রান্সক্রিপ্ট সত্যায়িত করলেই চলে। কিন্তু অস্ট্রিয়ার ক্ষেত্রে, স্নাতকের সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপ্টকে অস্ট্রিয়ার এম্বাসি থেকে সত্যায়িত করতে হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত অস্ট্রিয়ার কনসুলেট অফিসে এই কাজ করা যায়। খরচ প্রায় ৭৫ হাজার টাকা এবং সময় লাগে আড়াই থেকে তিন মাস।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
অস্ট্রিয়ার বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ইনটেক থাকে—সামার ও উইন্টার। স্নাতকোত্তরে পড়তে চাইলে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.৫ থাকা আবশ্যক। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ৭ পর্যন্ত স্কোর চায়। আবেদন সাধারণত অনলাইনে করা যায়, কিছু ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট কুরিয়ারে পাঠাতে হয়।
শাহনীরার বিষয়
দেশে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করায় তিনি এই বিষয়ে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গে যখন বিষয়টি দেখি এবং তাদের কারিকুলাম পর্যালোচনা করি, তখন থেকে আমার আগ্রহ তৈরি হয়। অস্ট্রিয়ায় মাস্টার্স সম্পন্ন করতে হলে ব্যাচেলরের বিষয় সম্পর্কিত থাকা জরুরি।’
ভাষা দক্ষতায় গুরুত্ব
অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রভাষা জার্মান। দীর্ঘ মেয়াদে এখানে অবস্থান করতে হলে জার্মান ভাষায় দক্ষ হওয়া অপরিহার্য। তবে ইংরেজি দক্ষতা থাকলেও দৈনন্দিন জীবন এবং চাকরির ক্ষেত্রে সেটি পর্যাপ্ত নয়।
বাসাভাড়া ও দৈনন্দিন খরচ
শাহনীরা জানালেন, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ নির্ভর করে আপনি কোন শহরে থাকেন, তার ওপর। সালজবুর্গে গড়ে বাসাভাড়া ২৫০ থেকে ৩৫০ ইউরো; ইনস্যুরেন্স ৮০ ইউরো; পরিবহন ২৫ থেকে ৩৫ ইউরো; খাবার খরচ ৫০ থেকে ১০০ ইউরো।
পার্টটাইম কাজের সুযোগ
শিক্ষার্থীদের এখানে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে জার্মান ভাষায় যদি আপনি দক্ষ হন, তাহলে কাজের সুযোগ আরও ভালো। রেস্টুরেন্ট বা অন্যান্য দক্ষতা থাকলেও কাজ পাওয়া সম্ভব।
পড়াশোনার পর কাজ ও স্থায়ী বসবাস
শাহনীরা আলম স্বজনী বলেন, অস্ট্রিয়ায় নির্দিষ্ট সময় থাকার পর কিছু শর্ত পূরণ করে স্থায়ী বসবাস বা নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভব।
শাহনীরা আলমের পরামর্শ হলো, বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অস্ট্রিয়ায় স্নাতকোত্তর করা সম্ভব নয়। তাই প্রথমে দেখুন আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবেদন করার সুযোগ আছে কি না। যাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে কাজ কিংবা বসবাস করতে চান, তাঁদের জার্মান ভাষায় অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।’

শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে এবার আর ‘বই উৎসব’ করে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে না। সব শিক্ষার্থী বই পাচ্ছেও না। যারা পাবে, তারাও আজ বছরের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ তিনটি বই পেতে পারে। কারণ, ৪০ কোটির বেশি বই দরকার হলেও গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রস্তুত হয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ কোটি বই। সব উপজেলায় বই পা
০১ জানুয়ারি ২০২৫
একই বিশ্ববিদ্যালয়, একই বিভাগ এবং একই সর্বোচ্চ সম্মান—স্বামী-স্ত্রীর হাতে এখন আচার্য স্বর্ণপদক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন কীর্তি এবারই প্রথম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৭তম সমাবর্তনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৪ পেয়ে আচার্য স্বর্ণপদক...
৪ ঘণ্টা আগে
ছোটবেলা থেকে প্রকৃতি তাঁকে মুগ্ধ করত। নদী, খাল, গাছগাছালি আর গ্রামের জীবন তাঁকে বারবার টেনে নিত। সেই টানই তাঁকে ফটোগ্রাফির পথে নিয়ে যায়। শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত বর্তমানে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি জামালপুর সদরে।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) গতকাল ৬ ডিসেম্বর আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ চাকরিমুখী আয়োজন ‘ঢাকা ব্যাংক প্রেজেন্টস আইইউবিএটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’।
৬ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

ছোটবেলা থেকে প্রকৃতি তাঁকে মুগ্ধ করত। নদী, খাল, গাছগাছালি আর গ্রামের জীবন তাঁকে বারবার টেনে নিত। সেই টানই তাঁকে ফটোগ্রাফির পথে নিয়ে যায়। শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত বর্তমানে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি জামালপুর সদরে। একান্নবর্তী পরিবারে বসবাস। তবে পরিবারের কেউই ফটোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত নন।
ফেসবুকে ফটোগ্রাফারের ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হন শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত। প্রথমে ছবি তুলতেন নকিয়া বাটন ফোন দিয়ে। পরে হাতে আসে নকিয়া লুমিয়া। নিজের কাজ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেন।
কওমি মাদ্রাসায় পড়ার সময় ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। তাই ছবি তুলতে হতো গোপনে। পরিবারের কেউ ছবি তোলা পছন্দ করতেন না; কিন্তু শাহরিয়ার থেমে থাকেননি। ধৈর্য ধরে এগিয়ে গেছেন। এখন তাঁর ছবির প্রশংসা করা হয়। এক্সিবিশনে ডাক পান। প্রতিযোগিতায় পুরস্কারও জেতেন।
রাঙামাটি, কক্সবাজার, সিলেট, পাবনাসহ দেশের অনেক জায়গায় ঘুরে ঘুরে ছবি তুলেছেন তিনি। শাহরিয়ার গ্রাম, প্রকৃতি, নদী ও মানুষের জীবনকে বেশি তুলে ধরেন। তিনি এখন ছবি তোলেন পোকো এক্স থ্রি দিয়ে। এর আগে নকিয়া লুমিয়া, আইফোন৪, রেডমি নোট, ভিভো এস১ প্রো দিয়ে ছবি তুলেছেন। ক্যামেরা কেনার চেষ্টা করেছিলেন; যদিও অর্থের অভাবে তা পারেননি। মাঝেমধ্যে অন্য ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরা বা ড্রোন ব্যবহার করে ছবি তুলেছেন।
শান্ত মূলত নিজ অধ্যয়নেই ফটোগ্রাফি শিখেছেন। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিন দিনের একটি বেসিক কোর্সও সম্পন্ন করেছেন তিনি।
তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘ঘর যেমনই হোক শিক্ষার আলো ঘরকে আলোকিত করবেই’ (ফেব্রুয়ারি ২০২১)। এই ছবি তাঁকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন ও আনওয়াইন্ড মাইন্ড এক্সিবিশনে প্রথম পুরস্কার পান। ভাঙা ঘরে শিশু পড়ছে—মুহূর্তটি ধারণ করতে তিনি গাছে উঠেও ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেননি। ‘অন দ্য ওয়ে টু সেলিং ডার্কনেস’ (২৯ অক্টোবর ২০২১)। ছবিটি ২০২৪ সালে ইরানের কাফ ফটো কনটেস্টে ফাইনালিস্ট হয়। প্রচণ্ড রোদে উত্তপ্ত বালুচরে দাঁড়িয়ে তিনি নদীর পারের গ্রামের অনন্য দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন।

ফটোগ্রাফির পথে নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। মাদ্রাসায় সীমিত সময়ে ছবি তুলতে হতো। একবার পুলিশ তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করতে চাইলে তিনি পরিচয় দিয়ে রক্ষা পান। অনেক সময় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার হেঁটে কোনো ছবি না পেয়ে ফিরতে হয়েছে; কিন্তু এসব কষ্ট কখনো তাঁকে দমাতে পারেনি।

২০২০-২৫ পর্যন্ত তিনি ৭০টির বেশি পুরস্কার জিতেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অনারেবল ম্যানশন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিবিশন ২০২৫; ফাইনালিস্ট, কাফ ফটো কনটেস্ট, ইরান ২০২৪; উইনার, আনওয়াইন্ড মাইন্ড ফটোগ্রাফি অ্যান্ড আর্ট এক্সিবিশন ২০২৪; উইনার, সামার ফটোগ্রাফি কনটেস্ট অ্যান্ড এক্সিবিশন ২০২৪, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; উইনার, ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফটো কনটেস্ট ২০২৩, ভারত।

ছবি বিক্রির অর্থ দিয়ে তিনি বন্যাদুর্গত মানুষকেও সহায়তা করেছেন। গত বছর ফেনীর বন্যায় ফেসবুকে ছবি বিক্রি করে পুরো টাকাই দান করে দিয়েছেন।

শাহরিয়ারের লক্ষ্য, যে পেশাতেই যান, ফটোগ্রাফি যেন তাঁর সঙ্গী থাকে। এখনো পড়াশোনার চাপ থাকায় ভ্রমণ কম। ভবিষ্যতে দেশের প্রতিটি জেলা ঘুরে ছবি তোলার ইচ্ছা। সুযোগ হলে বিদেশেও যেতে চান। মানুষের সামনে প্রকৃতি, মানুষ ও জীবনের সৌন্দর্য তুলে ধরাই তাঁর স্বপ্ন।

ছোটবেলা থেকে প্রকৃতি তাঁকে মুগ্ধ করত। নদী, খাল, গাছগাছালি আর গ্রামের জীবন তাঁকে বারবার টেনে নিত। সেই টানই তাঁকে ফটোগ্রাফির পথে নিয়ে যায়। শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত বর্তমানে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি জামালপুর সদরে। একান্নবর্তী পরিবারে বসবাস। তবে পরিবারের কেউই ফটোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত নন।
ফেসবুকে ফটোগ্রাফারের ছবি দেখে অনুপ্রাণিত হন শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত। প্রথমে ছবি তুলতেন নকিয়া বাটন ফোন দিয়ে। পরে হাতে আসে নকিয়া লুমিয়া। নিজের কাজ আরও উন্নত করার চেষ্টা করেন।
কওমি মাদ্রাসায় পড়ার সময় ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। তাই ছবি তুলতে হতো গোপনে। পরিবারের কেউ ছবি তোলা পছন্দ করতেন না; কিন্তু শাহরিয়ার থেমে থাকেননি। ধৈর্য ধরে এগিয়ে গেছেন। এখন তাঁর ছবির প্রশংসা করা হয়। এক্সিবিশনে ডাক পান। প্রতিযোগিতায় পুরস্কারও জেতেন।
রাঙামাটি, কক্সবাজার, সিলেট, পাবনাসহ দেশের অনেক জায়গায় ঘুরে ঘুরে ছবি তুলেছেন তিনি। শাহরিয়ার গ্রাম, প্রকৃতি, নদী ও মানুষের জীবনকে বেশি তুলে ধরেন। তিনি এখন ছবি তোলেন পোকো এক্স থ্রি দিয়ে। এর আগে নকিয়া লুমিয়া, আইফোন৪, রেডমি নোট, ভিভো এস১ প্রো দিয়ে ছবি তুলেছেন। ক্যামেরা কেনার চেষ্টা করেছিলেন; যদিও অর্থের অভাবে তা পারেননি। মাঝেমধ্যে অন্য ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরা বা ড্রোন ব্যবহার করে ছবি তুলেছেন।
শান্ত মূলত নিজ অধ্যয়নেই ফটোগ্রাফি শিখেছেন। একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিন দিনের একটি বেসিক কোর্সও সম্পন্ন করেছেন তিনি।
তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘ঘর যেমনই হোক শিক্ষার আলো ঘরকে আলোকিত করবেই’ (ফেব্রুয়ারি ২০২১)। এই ছবি তাঁকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়। অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন ও আনওয়াইন্ড মাইন্ড এক্সিবিশনে প্রথম পুরস্কার পান। ভাঙা ঘরে শিশু পড়ছে—মুহূর্তটি ধারণ করতে তিনি গাছে উঠেও ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করেননি। ‘অন দ্য ওয়ে টু সেলিং ডার্কনেস’ (২৯ অক্টোবর ২০২১)। ছবিটি ২০২৪ সালে ইরানের কাফ ফটো কনটেস্টে ফাইনালিস্ট হয়। প্রচণ্ড রোদে উত্তপ্ত বালুচরে দাঁড়িয়ে তিনি নদীর পারের গ্রামের অনন্য দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন।

ফটোগ্রাফির পথে নানা চ্যালেঞ্জ ছিল। মাদ্রাসায় সীমিত সময়ে ছবি তুলতে হতো। একবার পুলিশ তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করতে চাইলে তিনি পরিচয় দিয়ে রক্ষা পান। অনেক সময় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার হেঁটে কোনো ছবি না পেয়ে ফিরতে হয়েছে; কিন্তু এসব কষ্ট কখনো তাঁকে দমাতে পারেনি।

২০২০-২৫ পর্যন্ত তিনি ৭০টির বেশি পুরস্কার জিতেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘অনারেবল ম্যানশন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এক্সিবিশন ২০২৫; ফাইনালিস্ট, কাফ ফটো কনটেস্ট, ইরান ২০২৪; উইনার, আনওয়াইন্ড মাইন্ড ফটোগ্রাফি অ্যান্ড আর্ট এক্সিবিশন ২০২৪; উইনার, সামার ফটোগ্রাফি কনটেস্ট অ্যান্ড এক্সিবিশন ২০২৪, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; উইনার, ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ফটো কনটেস্ট ২০২৩, ভারত।

ছবি বিক্রির অর্থ দিয়ে তিনি বন্যাদুর্গত মানুষকেও সহায়তা করেছেন। গত বছর ফেনীর বন্যায় ফেসবুকে ছবি বিক্রি করে পুরো টাকাই দান করে দিয়েছেন।

শাহরিয়ারের লক্ষ্য, যে পেশাতেই যান, ফটোগ্রাফি যেন তাঁর সঙ্গী থাকে। এখনো পড়াশোনার চাপ থাকায় ভ্রমণ কম। ভবিষ্যতে দেশের প্রতিটি জেলা ঘুরে ছবি তোলার ইচ্ছা। সুযোগ হলে বিদেশেও যেতে চান। মানুষের সামনে প্রকৃতি, মানুষ ও জীবনের সৌন্দর্য তুলে ধরাই তাঁর স্বপ্ন।

শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে এবার আর ‘বই উৎসব’ করে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে না। সব শিক্ষার্থী বই পাচ্ছেও না। যারা পাবে, তারাও আজ বছরের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ তিনটি বই পেতে পারে। কারণ, ৪০ কোটির বেশি বই দরকার হলেও গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রস্তুত হয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ কোটি বই। সব উপজেলায় বই পা
০১ জানুয়ারি ২০২৫
একই বিশ্ববিদ্যালয়, একই বিভাগ এবং একই সর্বোচ্চ সম্মান—স্বামী-স্ত্রীর হাতে এখন আচার্য স্বর্ণপদক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন কীর্তি এবারই প্রথম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৭তম সমাবর্তনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৪ পেয়ে আচার্য স্বর্ণপদক...
৪ ঘণ্টা আগে
মধ্য ইউরোপের একটি দেশ অস্ট্রিয়া। পাহাড়, নদী, বন ও প্রকৃতির মিশ্রণের এ দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বমানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গ।
৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) গতকাল ৬ ডিসেম্বর আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ চাকরিমুখী আয়োজন ‘ঢাকা ব্যাংক প্রেজেন্টস আইইউবিএটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’।
৬ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাস ডেস্ক

রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) গতকাল ৬ ডিসেম্বর আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ চাকরিমুখী আয়োজন ‘ঢাকা ব্যাংক প্রেজেন্টস আইইউবিএটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’।
দিনব্যাপী এই উৎসব চলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চাকরিপ্রত্যাশীরা দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তাঁদের স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন।
এ বছর প্রায় ১৩০টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলো ১ হাজার ২০০-এর বেশি শূন্য পদে নিয়োগ দেবে। আইইউবিএটির শিক্ষার্থী ও স্নাতকেরা সরাসরি এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে সিভি জমা, প্রাথমিক বাছাই এবং সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য এটি অনন্য এক সুযোগ। তাঁরা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় দক্ষতা, যোগ্যতা এবং ক্যারিয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও দিকনির্দেশনা পাবেন।
দিনব্যাপী আয়োজনে ১০টি ক্যারিয়ার সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো পরিচালনা করবেন অভিজ্ঞ এইচআর পেশাজীবীরা।
এ ছাড়া শীর্ষ করপোরেট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে একটি প্যানেল ডিসকাশনও অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে আইইউবিএটি প্লেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যালামনাই অফিস। শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে নিরলসভাবে তারা কাজ করে যাচ্ছে।

রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) গতকাল ৬ ডিসেম্বর আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ চাকরিমুখী আয়োজন ‘ঢাকা ব্যাংক প্রেজেন্টস আইইউবিএটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫’।
দিনব্যাপী এই উৎসব চলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। চাকরিপ্রত্যাশীরা দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে তাঁদের স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন।
এ বছর প্রায় ১৩০টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলো ১ হাজার ২০০-এর বেশি শূন্য পদে নিয়োগ দেবে। আইইউবিএটির শিক্ষার্থী ও স্নাতকেরা সরাসরি এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে সিভি জমা, প্রাথমিক বাছাই এবং সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য এটি অনন্য এক সুযোগ। তাঁরা প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় দক্ষতা, যোগ্যতা এবং ক্যারিয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও দিকনির্দেশনা পাবেন।
দিনব্যাপী আয়োজনে ১০টি ক্যারিয়ার সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো পরিচালনা করবেন অভিজ্ঞ এইচআর পেশাজীবীরা।
এ ছাড়া শীর্ষ করপোরেট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে একটি প্যানেল ডিসকাশনও অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবারের মতো এবারও অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে আইইউবিএটি প্লেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যালামনাই অফিস। শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে নিরলসভাবে তারা কাজ করে যাচ্ছে।

শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে এবার আর ‘বই উৎসব’ করে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে না। সব শিক্ষার্থী বই পাচ্ছেও না। যারা পাবে, তারাও আজ বছরের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ তিনটি বই পেতে পারে। কারণ, ৪০ কোটির বেশি বই দরকার হলেও গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রস্তুত হয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ কোটি বই। সব উপজেলায় বই পা
০১ জানুয়ারি ২০২৫
একই বিশ্ববিদ্যালয়, একই বিভাগ এবং একই সর্বোচ্চ সম্মান—স্বামী-স্ত্রীর হাতে এখন আচার্য স্বর্ণপদক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন কীর্তি এবারই প্রথম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ১৭তম সমাবর্তনে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ ৪-এর মধ্যে ৪ পেয়ে আচার্য স্বর্ণপদক...
৪ ঘণ্টা আগে
মধ্য ইউরোপের একটি দেশ অস্ট্রিয়া। পাহাড়, নদী, বন ও প্রকৃতির মিশ্রণের এ দেশে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্বমানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিস লদরন ইউনিভার্সিটি অব সালজবুর্গ।
৫ ঘণ্টা আগে
ছোটবেলা থেকে প্রকৃতি তাঁকে মুগ্ধ করত। নদী, খাল, গাছগাছালি আর গ্রামের জীবন তাঁকে বারবার টেনে নিত। সেই টানই তাঁকে ফটোগ্রাফির পথে নিয়ে যায়। শাহরিয়ার হোসাইন শান্ত বর্তমানে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বাড়ি জামালপুর সদরে।
৫ ঘণ্টা আগে