Ajker Patrika

বছরের প্রথম দিন শিশুরা পাচ্ছে না বেশির ভাগ পাঠ্যবই

  • ৪০ কোটির বেশি বইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি।
  • সব উপজেলায় বই পৌঁছায়নি। সব দরপত্র-প্রক্রিয়া শেষ হয়নি।
  • হচ্ছে না বই উৎসব। প্রথম দিনে অনলাইনে সব বই দেওয়া হবে।
  • নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, বই পরিমার্জনের জন্য দরপত্রে দেরি।
রাহুল শর্মা, ঢাকা 
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৫২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে এবার আর ‘বই উৎসব’ করে শিক্ষার্থীদের নতুন পাঠ্যবই দেওয়া হচ্ছে না। সব শিক্ষার্থী বই পাচ্ছেও না। যারা পাবে, তারাও আজ বছরের প্রথম দিনে সর্বোচ্চ তিনটি বই পেতে পারে। কারণ, ৪০ কোটির বেশি বই দরকার হলেও গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রস্তুত হয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ কোটি বই। সব উপজেলায় বই পাঠানোও হয়নি।

অবশ্য সরকারের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, অর্থের অপচয় রোধে এবার বই উৎসব হচ্ছে না। প্রথম দিনে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অন্তত তিনটি বই এবং জানুয়ারির মধ্যে সব বই তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা। বইয়ের চাহিদা পূরণে প্রথম দিনই সব পাঠ্যবইয়ের সফট কপি অনলাইনে প্রকাশ করা হবে।

এনসিটিবি সূত্র বলছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং ক্ষমতার পটপরিবর্তনের কারণে পাঠ্যবই ছাপানোর দরপত্র, পুনঃদরপত্র প্রক্রিয়ায় এবার অনেক দেরি হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, বইয়ে সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জন হয়েছে। এতে দরপত্রপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে অক্টোবরে। কয়েকটি বইয়ের দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্যান্য বছর দরপত্রপ্রক্রিয়া জুনে শেষ হয়েছিল। এ ছাড়া এবার মানসম্মত কাগজ ও কালির ব্যাপক সংকট ছিল। সব মিলিয়ে সময়মতো বই ছাপানো শুরু করা যায়নি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, সব শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রথম দিনই অন্তত তিনটি বই পাবে। জানুয়ারি মাসেই সব বই হাতে পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে প্রথম দিন সব বইয়ের সফট কপি অনলাইনে উন্মুক্ত করা হবে।’ তিনি বলেন, অর্থের অপচয় রোধ করতেই এবার বই উৎসব হচ্ছে না।

২০১০ সাল থেকে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যের পাঠ্যবই দিচ্ছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে ১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।

এ বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে মোট ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২টি পাঠ্যবই ছাপানো হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৩০ কোটি ৯৫ লাখ ৪১ হাজার ৪৮৬টি এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই রয়েছে। এসব বই ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।

এনসিটিবি সূত্র বলছে, প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই ছাপানোর কাজ মোটামুটি শেষ। দশম শ্রেণির এক কোটি বই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ছাপানো হচ্ছে। তাই এই শ্রেণির বই ১০ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে। বাকি বইগুলো ছাপানোর কাজ শেষ করে মাঠপর্যায়ে পৌঁছাতে আগামী মার্চ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

সূত্র জানায়, গতকাল দুপুর পর্যন্ত ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে মাত্র সাড়ে ৬ কোটি পাঠ্যবই। এর মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি বইয়ের পোস্ট ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই) শেষ হয়েছে। অর্থাৎ এসব বই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এনসিটিবির উৎপাদন দপ্তরের সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের ছাড়পত্র হয়েছে ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯ হাজারটির। তবে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির ২৭টি লটের বইয়ের পুনঃদরপত্র হয়েছে। এতে এসব লটের জন্য নির্ধারিত ১০৫টি উপজেলায় আজ বছরের প্রথম দিন বই না যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানোর কাজ চলছে। গতকাল পর্যন্ত এই দুই শ্রেণির সাড়ে ১৩ শতাংশ বই ছাপানোসহ সব কাজ শেষ হয়েছে। পিডিআই বাকি। এদিকে মাধ্যমিক (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) স্তরের মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখের মতো বইয়ের পিডিআই হয়েছে। বেশ কয়েকটি লটের দরপত্রপ্রক্রিয়া এখনো চলছে।

গতকাল দেশের অন্তত ১৫টি উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোনো কোনো উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের একটি, কোনোটিতে দুটি বই পৌঁছেছে। কোনো কোনো উপজেলায় গতকাল পর্যন্ত একটি বইও পৌঁছায়নি। যেসব উপজেলায় বই গেছে, সেগুলো শিক্ষার্থীদের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে সব শিক্ষার্থী বই পাবে না।

জানতে চাইলে এনসিটিবির উৎপাদন নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবু নাসের টুকু বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে বই ছাপানোর কাজ শেষ করতে আমরা দিন-রাত কাজ করছি।’

সূত্র জানায়, আগের বছরগুলোতে বই ছাপানোর দরপত্রের সব প্রক্রিয়া জুনের মধ্যেই শেষ হয়েছে। জুলাই থেকে বই ছাপানোর কাজ শুরু হতো। কিন্তু এবার প্রথম দফায় জুনে বেশির ভাগ লটের দরপত্র সম্পন্ন হয়েছিল। কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। কিন্তু মধ্য জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে এ প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি বদলে যায়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের সব দরপত্রপ্রক্রিয়া এবং নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করা হয়। পাঠ্যবইয়ে সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন হয়। এসব কারণে পুনরায় দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় দেরি হয়। সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে দরপত্র আহ্বান শুরু হয়। দরপত্রপ্রক্রিয়া শেষে অক্টোবর থেকে বিভিন্ন লটের কার্যাদেশ নির্বাচিত মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয়।

কিন্তু এত বিপুলসংখ্যক বই ছাপানোর কাজ করতে গিয়ে দেখা দেয় মানসম্মত কাগজের সংকট। একই অবস্থা কালির। ফলে কার্যাদেশ পেলেও কাগজ-কালির সংকটে বই ছাপানোতে হিমশিম খেতে হয় মুদ্রণকারীদের।

কার্যাদেশ পাওয়া একটি মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেশ কয়েকটি কারণে বই ছাপানোয় দেরি হচ্ছে। শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করে বইগুলো পরিমার্জন, পুনরায় দরপত্র, কার্যাদেশ দেরিতে দেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজে দেরি করেছে এনসিটিবি। এরপর আছে কাগজ ও কালির সংকট। ফলে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই তুলে দিতে মার্চ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, এবার বছরের প্রথম দিন মাধ্যমিকের সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে ‍তুলে দেওয়া সম্ভব হবে না—এমন চিন্তা থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বইয়ের ছাপানোসহ সব কাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই তিন বইও সব শিক্ষার্থীর জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ৪৫ লটের বই ছাপানোর পুনঃদরপত্র করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই দরপত্রগুলো সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া মুদ্রণের কাজ পাওয়া কিছু মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠান এখনো বই ছাপানোর জন্য এনসিটিবির সঙ্গে এখনো চুক্তি করেনি। অনেক দরপত্রের বই সরবরাহের জন্য ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বই ছাপানোর কাজ শুরু করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এ ক্ষতি পোষাতে দিনরাত কাজ চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

শরিফুল ইসলাম শুভ
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে, এ ভয় শুধু তুমি একা পাচ্ছ না; সব পরীক্ষার্থীই কম-বেশি একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তোমার আগে যেসব সিনিয়র ভাইয়া-আপুরা চান্স পেয়েছেন, তাঁরাও এই একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে গেছেন।

৬ পেপারের প্রস্তুতি

সাধারণত শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষা বা কলেজে একটি বিষয়ের একটি পত্রের পরীক্ষা দিয়ে থাকে (যেমন: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র)। আর এ একটি পত্রের প্রস্তুতিই যেখানে বেশ কঠিন, সেখানে ৬টি পত্রের প্রস্তুতি নেওয়াটা নিশ্চয়ই আরও কঠিন। আর তাই এই কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমেই অসংখ্য পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে অল্পসংখ্যককে বুয়েটে পড়াশোনার জন্য নির্বাচন করা হয়।

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির মূল কৌশল

তোমার হাতে যখন আর অল্প ক’দিন বাকি আছে, তখন শেষ মুহূর্তে নিজের প্রস্তুতিকে শাণিত করতে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, একাডেমিক থেকে অ্যাডমিশন পর্যন্ত শেখা টপিকগুলো ভালোভাবে রিভিশন দিতে হবে। আর তা করতে হবে তোমার নিজস্ব নোটখাতা থেকে। যদি নিজের ভালোভাবে নোট করা না থাকে তবে যে বইগুলো পড়েছ, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। থিওরির ক্ষেত্রে ডিটেইলস প্রতিপাদন বা লাইন বাই লাইন সব পড়ার দরকার নেই; বরং মূল আইডিয়াগুলো পরিষ্কারভাবে মাথায় রাখতে হবে। আর ম্যাথের ক্ষেত্রে সব ধরনের সূত্র ও প্রশ্নের টাইপ ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে।

প্রস্তুতি যেভাবে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখবে

দেখো, শুধু রিভিশন করলেই আত্মবিশ্বাস আসবে না। আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য অবশ্যই ফাইনাল মডেল টেস্ট দিতে হবে। ফিজিকস, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথ মিলিয়ে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করে এবং তাতে ধীরে ধীরে উন্নতি করার মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। অফলাইনে পরীক্ষা দিতে যাতায়াতে সময় অপচয় হলে বা সুবিধামতো টাইম শিডিউল না পেলে চাইলে অনলাইনেও মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পার। বর্তমানে শিখোসহ বেশ কয়েকটি অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

মডেল টেস্টে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে

কয়েকটি ফুল মডেল টেস্ট (বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ) দেওয়ার পর তুমি বুঝতে পারবে, কিছু টপিক তুমি স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে উত্তর করতে পারছ। আবার কিছু টপিক থেকে প্রশ্ন এলে তোমার উত্তর করতে কষ্ট হচ্ছে বা মনে থাকছে না। বেছে বেছে সে টপিকগুলো ভালো করে আবার ঝালাই করে নিতে হবে।

মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় বিশেষভাবে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখবে। যেমন: স্পিড মেইনটেইন করা; রিভিশন দেওয়া ও সিলি মিসটেক কমানো।

আড়াই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার অভ্যাস করতে হবে

বুয়েট অ্যাডমিশন টেস্টের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো টাইম শর্টেজ। ৩ ঘণ্টায় ৬০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাই মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় চেষ্টা করবে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে লেখা শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে। এতে এক্সাম ডে-তে টাইম ম্যানেজ করা অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি শেষে ১০-১৫ মিনিট সময় রাখতে হবে রিভিশনের জন্য। অনেক সময় মেন্টাল প্রেশারের কারণে ছোটখাটো ক্যালকুলেশন মিসটেক হয়ে যায়, যা শেষে রিভিশন দেওয়ার সময় ধরতে পারলে ওভারঅল নম্বর তথা ফলাফল অনেক ভালো হয়।

মডেল টেস্টের খাতাগুলোও রিভিশন দাও

মডেল টেস্ট দিতে গেলে দেখবে, অসংখ্য ছোট ছোট ভুল তোমার নম্বর কমিয়ে দিচ্ছে। আমার পরামর্শ হলো, পরীক্ষার আগের কয়েক দিন গত দুই বছরে তুমি যেসব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছো, সেগুলোর মধ্যে যেসব খাতা তোমার কাছে আছে, সেগুলো একবার করে দেখে যাও। বিশেষ করে যেসব জায়গায় ভুলের কারণে নম্বর কাটা গেছে, সেগুলোর দিকে ৩০ সেকেন্ড করে ফোকাস করো। এতে ভুলের ব্যাপারে তোমার সেনসিটিভিটি বাড়বে এবং ছোট ছোট ভুল অনেক কমে যাবে।

সবশেষে বলব, প্রস্তুতি যেমনই হোক না কেন, বিশ্বাস রাখবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা হবে তোমার জীবনের বেস্ট পরীক্ষা। আর এক্সাম চলাকালে যদি কোনো প্রশ্ন না পার, তখন ঘাবড়ে যাবে না; বরং ভাববে এটা শুধু আমি না, বাকিরাও সম্ভবত পারছে না। তাই ভয় না পেয়ে যেগুলো পারছ, সেগুলো ভালোভাবে করার চেষ্টা করো। তাহলেই তোমার এক্সাম ভালো হবে। আজ আর বেশি কিছু বলব না। শেষ মুহূর্তে নিজের বেস্ট এফোর্টটা দাও। ইনশা আল্লাহ, তোমার পরীক্ষা অনেক ভালো হবে।

শিক্ষার্থী, ইইই বিভাগ, ১৪ ব্যাচ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাবির ‘বি’ ইউনিটে চান্স পেতে যা করতে হবে

মো. ফাহিম ফরহাদ
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে। পরীক্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসে, ততই ভর্তি-ইচ্ছুকদের মনে তৈরি হয় দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা। তবে সঠিক দিকনির্দেশনা, বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পিত কৌশল অনুসরণ করলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।

বাংলা

বাংলার ক্ষেত্রে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র বইয়ের গদ্য, পদ্য, উপন্যাস ও নাটক নিয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। প্রতিবছর বাংলা পাঠ্যবইয়ের কবি-লেখক পরিচিতি, শব্দার্থ এবং গদ্য-পদ্যের লাইন থেকে প্রশ্ন আসে। বাংলা ব্যাকরণের সমাস, সন্ধি, শব্দধ্বনি, বাক্য, পদ, ণ-ত্ব বিধান-ষ-ত্ব বিধান এবং মুখস্থ অংশ (বিপরীত শব্দ, পারিভাষিক শব্দ, বাগধারা) গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। যদি কেউ জাবির নৃবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করতে চায়, তাহলে অবশ্যই বাংলায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।

ইংরেজি

ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইংরেজি। প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় শুধু ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতার কারণে। জাবির ‘বি’ ইউনিটে প্যাসেজ থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রে বাসায় প্যাসেজ অনুশীলন করা জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, ইংরেজি প্রথম পত্র পাঠ্যবইয়ের প্যাসেজ থেকেও প্রশ্ন আসে, তাই সেগুলোও পড়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও ইংরেজি গ্রামারের পার্টস অব স্পিচ, সেন্টেন্স, নেরেশন, টেন্স, ভয়েস এ টপিকগুলো গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে এবং ইংরেজি সাহিত্যিক পদ থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।

সাধারণ গণিত

জাবির ‘বি’ ইউনিটে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ রয়েছে। তাই ‘বি’ ইউনিটে সাধারণ গণিত থেকেও ২০টি প্রশ্ন আসে। তবে ভয়ের কিছু নেই। সাধারণ গণিত থেকে আসা প্রশ্নগুলো সহজ এবং মৌলিক ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণ গণিতে বীজগণিত (সাধারণ সূত্র, ফাংশন, সেট, সম্ভাবনা, সমীকরণ, উৎপাদক), পাটিগণিত (ধারা, ল সা গু-গ সা গু, গড়, ঐকিক নিয়ম, শতকরা, লাভ-ক্ষতি-মুনাফা) এবং জ্যামিতি (সাধারণ ধারণা, ক্ষেত্রফল, পিথাগোরাস, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত) গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ

সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রথমত সাময়িক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ ছাড়াও সাধারণ জ্ঞানের জন্য নদী-নালা, বাংলাদেশের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ সাল, বিভিন্ন সংস্থা, পূর্বনাম, পূর্ণরূপ, সদর দপ্তর-ভাষা-মুদ্রা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংসদ ও সরকারব্যবস্থা, সংবিধান—এ টপিকগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অত্যাবশ্যক তথ্যগুলো মনে রাখতে হবে।

বাজারে যৌক্তিক বিশ্লেষণ বিষয়টির জন্য কিছু বই পাওয়া যায়। সেসব বই থেকে ঘড়ির সময়, বার, দিন, মাস, বছর নির্ণয়, দূরত্ব, নৌকা স্রোত, সংখ্যা সিরিজ, রক্তের সম্পর্ক, প্রতিবিম্ব, সিদ্ধান্ত গ্রহণ—এ টপিকগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যেহেতু পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নেতিবাচক নম্বর কাটা হবে, তাই মনোযোগসহকারে সঠিক উত্তর চিহ্নিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা তীব্র, তাই সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়া যাবে না, পরিশ্রম একদিন ফলপ্রসূ হবেই।

শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাবি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে সম্পূর্ণ অর্থায়িত গবেষণা বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
মোনাশ ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া। ছবি: সংগৃহীত
মোনাশ ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটিতে অর্থায়ন করবে দেশের সরকার। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি উন্মুক্ত।

অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় ও বিশ্বখ্যাত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মোনাশ ইউনিভার্সিটি অন্যতম। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে অবস্থিত। গবেষণা, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিত রয়েছে। কিউএস ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিংয়ে মোনাশ ইউনিভার্সিটি ধারাবাহিকভাবে স্থান করে নিচ্ছে।

আর্থিক সুবিধা

এই বৃত্তিটি যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত একটি সুযোগ। অস্ট্রেলিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রদত্ত এ স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব খরচই বহন করা হয়। এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে এবং মাসিক স্টাইপেন্ড বা ভাতা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মিলবে আন্তর্জাতিক যাতায়াতের বিমান টিকিট, নতুন দেশে গিয়ে বসবাস শুরুর জন্য রিলোকেশন অ্যালাউয়েন্স, নিয়মিত লিভিং অ্যালাউয়েন্স, বই ও কোর্স উপকরণের খরচ এবং স্বাস্থ্যসেবা ভাতা।

বৃত্তির ধরন

অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ। এর মধ্যে রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম স্কলারশিপ অস্ট্রেলিয়ান সরকারের অর্থায়নে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হয়। এই বৃত্তির মোট মূল্য সর্বোচ্চ প্রায় ৩২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। একই পরিসরে মোনাশ গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণা ডিগ্রির শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রয়েছে ম্যাক্সওয়েল কিং পিএইচডি স্কলারশিপ, যা পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে সহায়তা করে। এই বৃত্তির আর্থিক মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৬০০ ডলার। প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন অনুষদে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয় মোনাশ সিলভার জুবিলি পিএইচডি স্কলারশিপ। যার মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ডলার। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য রয়েছে রেডন গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ। এই বৃত্তির মূল্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার ডলার।

আবেদনের যোগ্যতা

দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। এই স্কলারশিপ মূলত প্রার্থীর একাডেমিক ফলাফল, গবেষণাকর্ম এবং পূর্ববর্তী গবেষণা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচিত প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ থাকা বাধ্যতামূলক।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো

আর্টস, ডিজাইন ও আর্কিটেকচার; হিউম্যানিটিজ এবং সোশ্যাল সায়েন্সেস; বিজনেস; এডুকেশন; ইঞ্জিনিয়ারিং; ইনফরমেশন টেকনোলজি; মেডিসিন; নার্সিং; হেলথ সায়েন্সেস; ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস এবং ল। এ বিষয়গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়

৩১ মার্চ, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত