Ajker Patrika

যুক্তরাজ্যে পড়তে যাবেন যাঁরা

সৈকত সরকার
যুক্তরাজ্যে পড়তে যাবেন যাঁরা

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় যুক্তরাজ্য। দেশটির পড়াশোনার মান এবং বিশ্বে স্বীকৃত স্বনামধন্য ডিগ্রির জন্য সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে আসা শিক্ষার্থীদের বাসস্থানসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে থাকছে এই আয়োজনে। 

আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক
একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে স্নাতকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাতে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক। তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এনএসইউ, ব্র্যাক, ড্যাফোডিল, সাউথইস্ট, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়াম অব ইন্সট্রাকশন (এমওআই) যদি ইংরেজি হয়, সে ক্ষেত্রে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের এমওআই সার্টিফিকেট দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলোতে আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন করা যায়। ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথ, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস, ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসসহ আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমওআই সার্টিফিকেট আছে। 

টিউশন ফির বিষয়ে জেনে নিন
যুক্তরাজ্যে ভর্তি হতে, আন্ডারগ্র্যাজুয়েশনে আইইএলটিএসে অন্তত ওভারঅল ব্যান্ড স্কোর ৬, যেখানে প্রতিটি ব্যান্ডে ন্যূনতম ৫.৫ থাকতে হবে। আর মাস্টার্সে ওভারঅল ব্যান্ড স্কোর ৬.৫, যেখানে প্রতিটি ব্যান্ডে ন্যূনতম ৬ থাকতে হবে। যোগ্যতা অনুযায়ী কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এর থেকেও বেশি আইইএলটিএস স্কোর চাইতে পারে। তবে এর কম হলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই অফার লেটার দেবে না। সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রিকোয়ারমেন্টগুলো দেখে নিতে হবে। আর হ্যাঁ, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার আগে অনলাইনে তাদের বার্ষিক টিউশন ফি চেক করে নেওয়া যায়। এতে করে ভার্সিটির টিউশন ফি অ্যাফোর্ডেবল কি না, শিক্ষার্থীদের এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর পাওয়া যায়। কারণ, একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি একেক রকম। 

আইইএলটিএস দিয়ে আসাই ভালো
তবে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে আমার পরামর্শ থাকবে আইইএলটিএস ছাড়াই যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যায় সেগুলোতে না এসে, আইইএলটিএস দিয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসাই ভালো। কারণ আইইএলটিএস ছাড়া যেগুলোতে আসা যায়, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যুক্তরাজ্যের প্রধান শহর লন্ডনের বাইরে। শুধু তা-ই নয়, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফির কথা বিচার-বিশ্লেষণ করলে তুলনামূলক অনেক বেশি। আর আইইএলটিএস দিয়ে আসা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি এগুলোর তুলনায় অনেক কম। এদের অবস্থান যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক ও প্রধান শহর লন্ডনে। শুধু তা-ই নয়, আইইএলটিএসে ভালো স্কোর এবং আগের একাডেমিক রেজাল্টের ওপর ভিত্তি করে এখানকার সব বিশ্ববিদ্যালয়ই ৩০-৪০ শতাংশ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে; যা প্রত্যেক ছাত্রের জন্য বড় একটি সুযোগ। 

লন্ডনে থাকার সুবিধা
এবার আসি লন্ডনে অবস্থান করলে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, সে কথায়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে প্রতিটি ছাত্র সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার কাজের সুযোগ পাবেন। আর লন্ডনে স্টুডেন্ট হিসেবে পার্টটাইম জব করার সুযোগ অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেক বেশি। এ সুযোগটি পরবর্তীকালে শিক্ষার্থীদের কর্মজীবন এবং দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এমনকি তাঁদের চাকরি পেতেও সহায়তা করবে। ভার্সিটির এনরোলমেন্ট হওয়ার পরপরই একজন শিক্ষার্থী দেশে থাকতেই তাঁর ইউনিভার্সিটির অনলাইন অ্যাকাউন্টে এক্সসেস পেয়ে যায়। শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে লগইন করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে তাঁর সিট বুক করতে পারবেন। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ই-মেইল করে খুব সহজেই সিট বুক করা যায়। এ ছাড়া বিভিন্ন এডুকেশনাল কনসালট্যান্সির সাহায্যে বাসা বুক করা সম্ভব। 

যাতায়াতে ভাড়া বাঁচাতে
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৪০-২০০ পাউন্ড চার্জ ধরা হয়, যা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল। সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা হলে সিট বুক করে প্রথম দুই-তিন সপ্তাহ অবস্থান করে নিজেরাই বাসা ঠিক করে নেওয়া ভালো। সে ক্ষেত্রে একেক জন ছাত্রের সিঙ্গেল রুমের মাসিক ভাড়া বাসার অবস্থান ও জায়গার ওপর নির্ভর করে ৪০০-৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত পড়বে। শেয়ারিং রুম ভাড়া এক রুমে দুজন, জনপ্রতি লোকেশন অনুযায়ী ২৫০-৪৫০ পাউন্ডে হয়ে যায়। খাবার ও অন্যান্য হাতখরচ ১৫০-২০০ পাউন্ড লাগে। লন্ডনে আসার পর পরই যাতায়াতব্যবস্থার জন্য ওয়েস্টার কার্ড করে নিতে হবে। স্টুডেন্ট ওয়েস্টার কার্ডে ছাত্ররা ৩০ শতাংশ ছাড় পাবেন। লন্ডন তাদের বিশ্ববিখ্যাত আন্ডারগ্রাউন্ড ও ওভারগ্রাউন্ড মেট্রোরেলের জন্য বিখ্যাত, যার ভাড়া তুলনামূলক বেশি। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে বাসা ভাড়া নেওয়া হলে যাতায়াত ফি বেঁচে যাবে। 

সঙ্গে যা আনতে হবে
এবার আসি দেশ থেকে আসার সময় কী কী আনা লাগবে। লন্ডনের আবহাওয়ায় এই রোদ, এই বৃষ্টি। মাইনাস ১০২ ডিগ্রি শীতেও হঠাৎ বৃষ্টি। অনেক সময় তুষারপাতও শুরু হয়। তাই আসার আগে অবশ্যই ভারী জামা-কাপড় নিয়ে আসা অত্যাবশ্যকীয়। পাশাপাশি দেশ ত্যাগ করার সময় পাসপোর্ট, কাস লেটার, অফার লেটার, টিবি টেস্টের মেডিকেল সার্টিফিকেট, একাডেমিক সার্টিফিকেটসহ সব ধরনের ডকুমেন্ট সঙ্গে নিয়ে আসা জরুরি। 

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত